পাচারের আগেই উদ্ধার লক্ষাধিক টাকার চোরাই সেগুন কাঠ। আর এই চোরাই কাঠের উদ্ধারে সাফল্য় অর্জন করেছে বনদফতরের চালসা রেঞ্জ ও ডায়না রেঞ্জের বনকর্মীরা। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির নাগরাকাটা থেকে জাতীয় সড়ক ধরে চালসা যাওয়ার পথে।
জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাতে চালসা রেঞ্জের বনকর্মীরা গোপন সূত্রে খবর পেয়ে নাগরাকাটার খুনিয়া এলাকায় তল্লাশি অভিযান শুরু করেন। সেই সময় প্লাস্টিকের আড়ালে একটি ছোট গাড়ি দ্রুত গতিতে নাগরাকাটা থেকে জাতীয় সড়ক ধরে চালসার দিকে যাচ্ছিল। সন্দেহজনক ওই গাড়িটির পিছন ধাওয়া করেন বনকর্মীরা। এরপর গাড়িটি মহাবাড়ি এলাকায় হঠাৎ করে দাঁড় করিয়ে ঘটনাস্থল থেকে গাড়িতে থাকা চালক সহ দুজন পালিয়ে যায়।
এরপর বনকর্মীরা ওই গাড়ি তল্লাশি চালাতেই উদ্ধার হয় সেগুন কাঠ। গাড়ির পিছনে ত্রিপলের আড়ালে ছিল চোরাই সেগুন কাঠ। শেষমেশ বাজেয়াপ্ত করা হয় সেগুন কাঠ সহ ছোট গাড়িটি। নিয়ে আসা হয় চালসা রেঞ্জ অফিসে। যদিও ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। চালসার রেঞ্জার প্রকাশ থাপা বলেন, ছোট গাড়ি সমেত লক্ষাধিক টাকার সেগুন কাঠ উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রসূন গুপ্ত: প্রবল দাবদাহের মধ্যে দিয়ে চলছে একেবারে ডুয়ার্স অঞ্চল বাদ দিয়ে সর্বত্র। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে দেশজুড়ে সাধারণ নির্বাচন। এটা এক আজব বিষয় যে আমাদের দেশের এবং রাজ্যের নির্বাচনগুলি সর্বদা এই প্রচন্ড গরমেই হয়ে থাকে। পশ্চিমবঙ্গ বাদ দিন , উত্তর, পশ্চিম ও মধ্য বহু জায়গায় তাপমান ৪৫ ডিগ্রি ছুঁয়ে ফেলেছে।
যখন মানুষ ঘরের বাইরে যেতে পারে না তখন ভোট অর্থাৎ গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করবে কী করে ? মানবিকতা নামক একটা বিষয় তো আছে। ভোটকেন্দ্রে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছে অনেকেই। অন্যদিকে প্রচারও তো একটি অঙ্গ ভোটের। বুধবার প্রচার করতে গিয়ে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন যে, প্রবল গরম এবং তিনি যে হেলিকপ্টারে আসছেন তাঁর অন্দরের তাপমান নাকি ৫০ ডিগ্রি। তিনি আবেদন করলেন যে, যাদের বাড়িতে শীতাতপ মেশিন আছে তাঁরা যেন ২৫ ডিগ্রির নিচে না নামেন কারণ বিদ্যুত খরচ হচ্ছে। দাবদাহের কথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ভাষণেও উঠে এসেছে। কিন্তু কেউই এটা বলছেন না যে, এই প্রায় দু মাস ধরে এই বিষাক্ত গরমে ভোট কেন ? এতো গেলো একটি দিক।
অন্যদিকে সরকারি বিদ্যালয় গুলিতে ছুটি ঘোষণা করেছেন মমতা। তিনি জানালেন তা। গরম হাওয়ার রাজ্যগুলিতে মে জুন মাসে এমনিতেই স্কুল ছুটি থাকে। আমাদের রাজ্যে আবার পুজোর ছুটি আছে প্রায় এক মাস কাজেই ছুটি বেশি। একদিকে যেমন সরকারি স্কুলগুলি ছুটি তেমন বেসরকারি স্কুলে কিন্তু ক্লাস চলেছে। অবিশ্যি কারণ আছে। এদের অধিকাংশই সিবিএসসি বা আইসিএসসির কোর্স পোড়ানো হয়ে থাকে। এদের বাৎসরিক পরীক্ষা হয় মার্চ থেকে এপ্রিলে।
নতুন ক্লাস শুরু হয় এপ্রিলেই কাজেই ছুটির প্রশ্ন নেই। এই স্কুলগুলিতে বেতন দিয়ে পড়ানো হয় এবং আজকাল তো অনেক স্কুলে শীততাপ যন্ত্র রয়েছে। কিন্তু স্কুল যাতায়াতের প্রশ্নও তো রয়েছে। ওই সময়ে ঠান্ডা থেকে গরমে এসে বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষামন্ত্রী অনায়াসেই আবেদন রাখতে পারেন স্কুলগুলিতে ছুটি দেওয়ার। ব্রাত্যবাবু ভাববেন কি ?
সোমবার এসএসসির রায় বেরোনোর পর, মঙ্গলবার বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হয় নিয়োগ দুর্নীতি মামলার অভিযুক্তদের জামিন মামলার। শুনানিতে মুখ্য সচিবের ওপর চরম ক্ষোভপ্রকাশ করেন বিচারপতি বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ। ২ বছর আগে তদন্তকারী সংস্থা মুখ্যসচিবের কাছ থেকে অনুমোদন পত্র চেয়েছে। কিন্তু তা জমা তো পড়েনি, এমনকি অনুমোদন পত্র দেওয়া বা না দেওয়ার সিদ্ধান্তও জানানো সম্ভব হয়নি মুখ্যসচিবের।
যদিও শুনানিতে রাজ্যের আইনজীবী কিশোর দত্ত জানান, নির্বাচনের জন্য কমিশনের নিয়মাবলীর মধ্যে বিষয়টি পড়ে যাওয়ায় মুখ্যসচিব অনুমোদন পত্র তৈরি করতে পারেননি। ক্ষুব্ধ বিচারপতি বাগচী জানান, দেড় মাসে মুখ্যসচিবের একটা অনুমোদন পত্র তৈরি করার সময় হচ্ছে না! নির্বাচন কমিশনের নিশ্চই নির্বাচনে নির্দিষ্ট ভূমিকা আছে। তবে আদালত তো নির্বাচন সংক্রান্ত ব্যাপারে কিছু করতে বলছে না। তাহলে সমস্যা কোথায়? বিচারপতির আরও মন্তব্য, রাজ্যের একজন উচ্চপদস্থ অফিসার এভাবে যুক্তি দেখিয়ে নিজের দায় এড়াচ্ছেন? আজ বলছেন নির্বাচন কাল বলবেন অন্য কাজ আছে। ক্রিমিনাল কোর্টের এত সময় কোথায়? সিবিআইয়ের আইনজীবী ধীরাজ ত্রিবেদীও জানান, অনুমোদন পত্র পেলেই আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করবো। নিয়মের বন্ধনে আমাদের হাত বাঁধা। ট্রায়ালও চলছে শ্লথ গতিতে।
দীর্ঘ শুনানির পর বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, মুখ্যসচিব এর হলফনামায় খুশি নয় কলকাতা হাইকোর্ট। মুখ্যসচিবকে অবিলম্বে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আদালত দশদিন সময় দিল। তারপরেও যদি মুখ্য সচিব অনুমোদন পত্র না জমা দেন, সেক্ষেত্রে রুল ইস্যুর হুঁশিয়ারিও দেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চ। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২ মে।
ভোটের আবহে বড় ধাক্কা রাজ্যে। প্রায় সাড়ে তিনমাস শুনানির পরে অবশেষে স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রায় দিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ। এসএসসির গ্রুপ-সি, গ্রুপ-ডি, নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশের নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। ২০১৬-র গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করল আদালত। ২৫,৭৫৩ শিক্ষকের চাকরি বাতিল করল আদালত। শুধুমাত্র সোমা দাসের চাকরি বহাল রাখল ডিভিশন বেঞ্চ। ক্যানসার আক্রান্ত হওয়ায় 'মানবিক কারন'-এ তাঁর নিয়োগ বাতিল করা হয়নি। পাশাপাশি সমস্ত নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করবে সিবিআই,স্পষ্ট জানিয়ে দিল বিচারপতি বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ।
মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরে কোনও চাকরি বৈধ নয় বলে জানিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। হাইকোর্ট জানিয়েছে, মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরে যাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন, চার সপ্তাহের মধ্যে টাকা ১২ শতাংশ সুদ-সহ ফেরত দিতে হবে। আর ছয় সপ্তাহের মধ্যে এব্যাপারে ডিআই ও জেলাশাসকদের রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
মামলা সুপ্রিম কোর্টে গেলে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে বিশেষ বেঞ্চ তৈরি করে মামলার নিষ্পত্তি করতে হবে ৬ মাসের মধ্যে। সেই মতো কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি শব্বর রশিদিকে নিয়ে ডিভিশন বেঞ্চ গঠন করা হয়। এরপরই শুরু হয় মামলার শুনানি। সেই শুনানি চলে প্রায় সাড়ে তিনমাস। আদালতে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলা চলছে বেশ কিছুদিন ধরে। শিক্ষক নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি ও বেনিয়মের অভিযোগে এই মুহূর্তে জেলে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য, শান্তিপ্রসাদ সিনহার মতো প্রাক্তন শিক্ষাকর্তারা।
প্রসূন গুপ্ত: হিন্দিতে প্রবাদ আছে পাহাড় খুদা নিকলে চুঁহা। বাংলা করার দরকার নেই। এই মূহুর্তে সবকটি বিরোধী দলের কাছে সবথেকে সমালোচিত তৃণমূল নেতার নাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গত দুবছর ধরে এমন একটি দিন যায়নি যেদিন বিরোধীরা অভিষেককে গালি না দিয়ে এক ঢোকে জল খেয়েছে। কি না বলা হয়েছে। অথচ এবারে লোকসভা নির্বাচনে সবার নজর ছিল অভিষেকের ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রে। ভাবা হচ্ছিল তাঁকে জব্দ করার জন্য জবরদস্ত প্রার্থী নিশ্চয়ই দেওয়া। কসরৎ কম হয় নি। জল্পনায় উঠে এসেছে বহু নাম কিন্তু শেষে অভিজিৎ দাস নামক এক অখ্যাত?
আসলে সাগরদিঘি ব্র্যান্ড করতে গিয়েই গুবলেট হয়েছে সব। শোনা যাচ্ছিল যে, আইএসএফ প্রধান নওশাদ সিদ্দিকি প্রার্থী হচ্ছেন। তেমন দাবি করেছিলেন নওশাদ। সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া অভিজিৎ গাঙ্গুলীও বলেছিলেন তিনি দাঁড়িয়ে লক্ষ লক্ষ ভোটে জিতবেন। কিন্তু দুজনেই সময় মত সরে গেলেন। নওশাদের যুক্তি অবশ্যই মানার মত। তিনি বুঝতে পারেন যে, সিএএ ইত্যাদি চক্কর তাঁর জমানত যেতে পারে। সিপিএম বা কংগ্রেস তা ঠেকাতে পারবে না। অন্যদিকে বিজেপির ধারনা ছিল যে যদি নওশাদ সংখ্যালঘু ভোটে থাবা দিতে পারে তবে বেশ হেভিওয়েট কাউকে দাঁড় করিয়ে জিতার লড়াই দেওয়া যাবে। কিন্তু নওশাদ রাজি না হওয়ায় সবকটি দলই বিপাকে পড়ল।
মুখ রক্ষায় সিপিএম একজন প্রার্থী দিল এবং দুদিন আগে বিজেপি প্রার্থী করল অনামী অভিজিৎ দাসকে। এই অভিজিৎবাবু আরএসএস করা নেতা। ২০০৯ এবং ২০১৪র লোকসভা নির্বাচনে দাঁড়িয়ে পরাজিত হয়েছেন। ফের তাঁকেই প্রার্থী করা হল মূলত সঙ্ঘ পরিবারের নির্দেশেই বলে খবর। নাম এসেছিল অনেক। যথা কৌস্তভ বাগচী, রূদ্রনীল ঘোষ, শঙ্কুদেব পান্ডা ইত্যাদি কিন্তু সঙ্ঘ মন করেছে এদের বিজেপিতে মোটেই বিশ্বাস যোগ্যতা নেই। হারজিত পরের বিষয় কিন্তু লড়াইয়ে থাকুক আদি বিজেপি। ১ জুন ভোট। ফল ৪ জুন । অভিষেক নিশ্চিন্তে সারা বাংলায় প্রচারই করতে পারবে।
শুরু হয়ে গিয়েছে লোকসভা নির্বাচনের মহাযুদ্ধ। অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট গ্রহণের সকাল থেকেই নির্বাচন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে অতি সক্রিয়তা রাজভবনে। ২০২৩ এর পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়ও নির্বাচনকে হিংসা মুক্ত করতে রাজভবনের তরফে চালু করা হয়েছিল পিস রুম। লোকসভা নির্বাচনেও হয়নি তার ব্যাতিক্রম।লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষে রাজভবনে চালু হল কন্ট্রোলরুম। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে পিসরুম থেকে কর্মকাণ্ড পরিচালনা করলেন বঙ্গের সাংবিধানিক প্রধান স্বয়ং।নির্বাচনের প্রথম দিনে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গা থেকে উঠে আসা এই অশান্তির অভিযোগ শুনে ইলেকশন কমিশনকে তৎক্ষণাৎ পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিলেন রাজ্যপাল।
নির্বাচনের প্রথম দফায় উত্তরবঙ্গের তিন জেলায় ক্রমশ বাড়াছে উত্তাপ। জমা পড়ছে একের পর এক অভিযোগ। ফোন এবং ই-মেল মারফত বহু অভিযোগ জমা হয়েছে রাজভবনে। ভোট প্রক্রিয়া সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশন দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে। কমিশনকে সেই কাজেই সহায়তা করেছে রাজভবনের বিশেষ প্রতিনিধি দল। কন্ট্রোল রুম থেকে এমনটাই জানালেন সাংবিধানিক প্রধান সিভি আনন্দ বোস।
পোর্টালে জমা হচ্ছে একের পর এক অভিযোগ। অভিযোগ গ্রহণ করছেন স্বয়ং রাজ্যপাল । তাঁর নির্দেশই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করল সংশ্লিষ্ট দফতর। যুদ্ধকালীন তৎপরতার সঙ্গে কাজ চলল রাজভবনের কন্ট্রোল রুমে।
দিব্য়ি হেঁটে চলে গেলেন ভোট দিতে। কিন্তু, ভোটকেন্দ্রে গিয়ে শুনলেন তিনি নাকি মারা গিয়েছেন। তাই ভোট দিতে দেওয়া হবে না তাঁকে। অভিযোগ, বেঁচে থেকেও ভোট দিতে পারলেন না সুনীল সাহা। শুক্রবার সকালে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটা ব্লকের জটেশ্বরে।
জানা গিয়েছে, জটেশ্বর বাস স্ট্যান্ড এলাকার বাসিন্দা সুনীল সাহা। এদিন সকালে ১৩/১৩৮ নম্বর বুথে ভোট দিতে গিয়েছিলেন তিনি। তখন ভোটের ডিউটিতে থাকা অফিসার জানান, ভোটার তালিকায় নাম ক্যানসেল করা রয়েছে। তাই ভোট দিতে পারবেন না তিনি, তাই ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। জীবিত থাকলেও কাগজে-কলমে তিনি মৃত। তাই ভোটাধিকার নেই তাঁর। ভোট দিতে না পেরে ভোটকেন্দ্র থেকে আবার ফিরে এলেন সুনীল সাহা।
প্রথম দফায় শুরু ভোট পর্ব। তার মধ্য়েই উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছে কোচবিহার। শুক্রবার সকালে ভোট প্রক্রিয়া চলাকালীন ১২ জনকে ভোট দেওয়া থেকে বঞ্চিত করা হয়। ভোটার তালিকায় তাঁদের মৃত বলে উল্লেখ করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ধূপগুড়ির ঝাড়আলতা অঞ্চলের উত্তর কাঠুলিয়া গ্রামের ৬০ নম্বর বুথে।
অভিযোগ, ধূপগুড়ির ওই বুথে ভোট দিতে গেলে ভোট কর্মীরা জানান, ভোটার তালিকায় মৃত বলে নাম রয়েছে। তাই তাঁরা ভোট দিতে পারবেন না। ভোট দিতে এসে মোট ১২ জন জলজ্য়ান্ত মানুষকে মৃত বলে জানানো হয়েছে বলে অভিযোগ।
পাশাপাশি ভোট দিতে পারলেন না ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধা। জানা গিয়েছে, সরকারি কাগজে তিনি মৃত। সমস্তরকম সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকেও বঞ্চিত ধূপগুড়ির সাত নম্বর ওয়ার্ডের বৃদ্ধা বাসন্তী দাস। এদিন সকালে বৈরাতীগুড়ি হাইস্কুলে ভোট দিতে গেলে তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে তিনি কারণ জানতে গেলে তাঁকে জানানো হয় কাগজ-কলমে তিনি মৃত। জেলাশাসক দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাঁকে মৃত বলে জানানো হয় বলে অভিযোগ।
জিটিএ-তে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিঙ্গেল বেঞ্চের সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ বহাল রাখল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। আজ, শুক্রবার মামলার শুনানিতে বিচারপতি হরিশচন্দ্র টন্ডন ও মধুরেশ প্রসাদ-এর ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয় সিবিআই অনুসন্ধান হোক। অনুসন্ধানের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে পরবর্তী নির্দেশ দেওয়া হবে বলে জানান বিচারপতি।
পাহাড় নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ সিঙ্গেল বেঞ্চ সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন মেনে আবেদন করেছিল রাজ্য। রাজ্যের আবেদনের ভিত্তিতে শুনানি বৃহস্পতিবারই শেষ হয়ে গিয়েছিল। আজ, শুক্রবার তারই রায়দান হল। রায় দান করতে গিয়ে বিচারপতি হরিশচন্দ্র টন্ডন ও মধুরেশ প্রসাদ জানান, রাজ্যের আবেদনের কোনও গুরুত্ব নেই। সিবিআই অনুসন্ধান রিপোর্ট দেওয়ার পরে পরবর্তী সিদ্ধান্তের কথা জানাবেন। আপাতত সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশের আবেদন খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট।
লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট শুরু। সকাল থেকেই উত্তপ্ত কোচবিহারের একাধিক এলাকা। ফের উত্তপ্ত সেই শীতলখুচি। শীতলখুচির ছোট শালবাড়ি এলাকায় সংঘর্ষে জড়াল তৃণমূল-বিজেপি। ওই এলাকার ২৮৬ নম্বর বুথের বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের হাতাহাতি হয়। দু’পক্ষের বেশ কয়েক জন ঘটনায় জখম হয়েছেন বলে খবর।
পাশাপাশি, শীতলকুচি ব্লকের গোসাইরহাট অঞ্চলের অন্তর্গত বড় ধাপের চাত্রার ২০১ নম্বর বুথে এক বিজেপি কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পরে ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিস বাহিনী এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। একই ছবি ধরা পড়েছে ১৩৯ নম্বর বুথেও।
প্রত্যেকবারই নির্বাচনের সময় খবরের শিরোনামে থাকে কোচবিহার। বিজেপি এবং শাসক শিবিরের মধ্যে চলছে অভিযোগ ও পালটা অভিযোগের পালা। তুফানগঞ্জ দুই নম্বর ব্লকের বারকোদালি দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের ৯/২২৬ ও ৯/২২৭ নম্বর বুথে তৃণমূলের বুথ এজেন্টকে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে। তৃণমূলের ভোটারদের ভোট দিতে না যাওয়ার হুমকি। এমনকি তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য কেও প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি, অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে সংশ্লিষ্ট এলাকায়।
মণি ভট্টাচার্য: পাহাড়েও নিয়োগ দুর্নীতি, এই অভিযোগে হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে সিবিআই অনুসন্ধানের প্রসঙ্গ। জিটিএ-তে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই অনুসন্ধানের বিরুদ্ধে এবার হাইকোর্টে আবেদন রাজ্যের। সূত্রের খবর, ৯-ই এপ্রিল হাইকোর্ট জিটিএ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দেয়। ২৫ তারিখ অর্থাৎ ১৫ দিনের মধ্যে একটি রিপোর্ট সিবিআইকে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এবার সিবিআই অনুসন্ধান বন্ধের দাবিতে প্রধান বিচারপতির কাছে মামলা করতে চেয়ে আবেদন রাজ্যের। মামলার অনুমতি প্রধান বিচারপতির, চলতি সপ্তাহে শুনানির সম্ভাবনা।
জিটিএ নিয়োগে দুর্নীতিতে বিনয় তামাং, অনীত থাপার হাত ধরে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে ক্যান্ডিডেট লিস্ট, বিচারপতির কাছে একটি বেনামী চিঠি। স্বতঃপ্রনোদিত মামলা করেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। সেই মামলায় গত সপ্তাহে সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ হাইকোর্টের। তাত্পর্যপূর্ণ ভাবে তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের নাম যুক্ত হয় মামলায় । জিটিএতে নিয়োগ দুর্নীতিতে ৭০০-১০০০ জন নিয়োগ হয়েছে। হাইকোর্ট সিবিআই অনুসন্ধান দিতেই জিটিএ-র নিয়োগ দুর্নীতিতে এফআইআর দায়ের রাজ্যের। এফআইআর-এ পার্থ সহ একাধিক তৃণমূল নেতার নাম। বিধাননগর উত্তর থানায় এফআইআর। এবার এই এফআইআর-এর দোহাই দিয়ে সিবিআই অনুসন্ধান বন্ধের আর্জি রাজ্যের। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, এটাই প্রত্যাশিত। সিবিআই অনুসন্ধান যাতে সিবিআই তদন্তে রূপান্তরিত না হয়, তাই এফআইআর রাজ্যের। কারণ এই নিয়োগ দুর্নীতিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ঢুকে পড়লে কানের সঙ্গে মাথাদের ধরা পড়ার আশঙ্কায় কি থরহরিকম্প রাজ্য, উঠছে প্রশ্ন।
ফের অফিস টাইমে যান্ত্রিক গোলযোগের জেরে বন্ধ মেট্রো পরিষেবা। মেট্রোরেল সূত্রে খবর, সকাল ১১টার পর থেকে শোভাবাজারের থেকে গড়িয়াগামী মেট্রোতে বিভ্রাট ঘটে। সপ্তাহের শুরুতে মেট্রোর গোলযোগের জন্য দুর্ভোগে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। আপাতত স্বাভাবিক মেট্রো পরিষেবা।
আরও জানা গিয়েছে, বন্ধ হয়ে গিয়েছিল শোভাবাজারের থেকে গড়িয়াগামী আপ ও ডাউন মেট্রো। দ্রুত শোভাবাজার মেট্রো স্টেশনের যান্ত্রিক ত্রুটি সারাইয়ের কাজ চলেছে বলে মেট্রো সূত্রে খবর।
পয়লা বৈশাখের শুভ দিনেই ইস্তেহার প্রকাশ বিজেপির। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরেই 'সংকল্প পত্র' প্রকাশ হয় আজ রবিবার। ইস্তেহারে উন্নত ভারতের কথা তুলে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি 'মোদীর গ্যারেন্টি'র উপরেও জোর দেওয়া হয়েছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়।
দফায় দফায় একাধিক বৈঠক শেষে এদিন ইস্তেহার প্রকাশ করা হয়েছে। ইস্তেহারের নাম বিজেপির তরফে 'সংকল্প পত্র' রাখা হয়েছে। যেখানে মহিলা, কৃষক থেকে শুরু করে গরীব পরিবারের জন্য একাধিক প্রতিশ্রুতির কথা বলা হয়েছে।
পাশাপাশি যুব সম্প্রদায়, কৃষক পরিবারের প্রতিও একাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বিজেপির সংকল্প পত্রে। প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও এদিনের অনুষ্ঠানে নির্মলা সীতারমণ, জেপি নাড্ডা সহ একাধিক শীর্ষ নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন।
সামনেই লোকসভা নির্বাচন। আগামী ১৯ এপ্রিল প্রথম দফার নির্বাচন। তার আগে এদিন ইস্তেহার প্রকাশ করলেন নরেন্দ্র মোদী। যেখানে একাধিক বিষয়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে রয়েছে এক দেশ এবং ভোট লাগু করার প্রতিশ্রুতি। পাশাপাশি নারীবন্দন আইন থেকে শুরু করে জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
সলমন খানের বাড়ির সামনে চলল গুলি। রবিবার সকালে এমন ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মুম্বইয়ের বান্দ্রায় রয়েছে অভিনেতার বিলাসবহুল বাড়ি। তারই সামনে গুলির শব্দ শোনা যায়। ভোর তখন ৪টে ৫১ মিনিট। ঘটনার পর অভিনেতার বাড়ির সামনে নিরাপত্তা আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, বাইক নিয়ে দুই ব্যক্তি উপস্থিত হয়েছিলেন সলমন খানের বাড়ির সামনে। তারা প্রথমে ৩ রাউন্ড গুলি চালান বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে। পরে এলাকা ছেড়ে পালানোর সময় পরপর ৪ রাউন্ড গুলি চালাতে দেখা যায় তাদের। রবিবারের ঘটনার পর সলমন খানের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে।
পাশাপাশি মুম্বইয়ের পুলিস কমিশনারের সঙ্গেও কথা বলেছেন তিনি। ইতিমধ্য়েই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় পুলিস ও ক্রাইম ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা। ফরেনসিক বিভাগের টিম সলমনের বাড়ির বাইরে থেকে বুলেটের খোল উদ্ধার করেছে। সেগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ডেপুটি পুলিস কমিশনার ও অ্যাডিশনাল ডিএসপির নেতৃত্বে এগোচ্ছে তদন্ত।
ঘটনার পরেই বাদ্রা পুলিসের বিরুদ্ধে অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। অন্যদিকে মুম্বই পুলিস জানাচ্ছে, যখন গুলি চলে সেই সময় বাড়িতেই ছিলেন সলমন খান। ইতিমধ্যে অভিযুক্তদের ধরতে একাধিক টিম গঠন করেছে মুম্বই পুলিস।
জেলবন্দি গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই ও ওয়ান্টেড তালিকায় থাকা আরও এক গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রার একাধিকবার সলমন খানকে খুন করার হুমকি দিয়েছে। তারপরই এই ঘটনায় উদ্বেগ বেড়েছে পুলিস প্রশাসনের। ওই দুই গ্যাংস্টারের লোকজন অভিনেতার বাড়িতে বন্দুকবাজদের পাঠিয়েছিল বলে অনুমান পুলিসের।
সমতলের ধাঁচে এবার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ পাহাড়েও। সম্প্রতি জিটিএ তে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সিবিআইকে অনুসন্ধানের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। অভিযোগ ২০১৯ সালে আপার প্রাইমারিতে ৩১৩ জন ও প্রাইমারিতে ১২১ জন শিক্ষক নিয়োগ হয়। যেখানে ভলেন্টিয়ার শিক্ষককে স্থায়ীকরণ করা হয়। অভিযোগ, এই নিয়োগ কোনও নিয়ম না মেনেই হয়েছে। এমনকি বহু এমন ব্যক্তি চাকরি পেয়েছেন, যাঁরা কখনও ভলেন্টিয়ার শিক্ষকই ছিলেনই না। ইতিমধ্যেই ওই ৩১৩ জন শিক্ষকের তালিকা সিএন-এর হাতে ওই তালিকায় এরকম দুইজনের নাম উঠে আসছে।
ওই তালিকার ৮৩ নম্বর রয়েছে কেশব রাজ শর্মার নাম যিনি ওই ভলেন্টিয়ার শিক্ষক নিয়োগের ভেরিফিকেশন প্রসেসের সদস্য। অভিযোগ এই ব্যক্তি কখনও কোনও স্কুলে ভলেন্টিয়ার এর শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকতা করেননি। এমনকি পাহাড়ের ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা দল যে দলটি তৃণমূল ঘনিষ্ঠ দল নামে পরিচিত ওই দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যের আত্মীয়।
ঘটনায় অপর একজনের নাম উঠে আসছে, যার নাম সঞ্চাবির সুব্বা। অভিযোগ এই ব্যক্তি কোন স্কুলে প্যারা টিচার হিসেবে কাজ করেনি, এমনকি তার বিএড ডিগ্রিও নেই। এছাড়া এই ব্যক্তি বর্তমানে জিটিএ শিক্ষা বিভাগের ডেপুটি চিফ এক্সজিউটিভ। ফলে সে কিভাবে জিটিএ ৩১৩ জন শিক্ষক নিয়োগ তালিকায় এল তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবে উঠছে প্রশ্ন।