বধূ নির্যাতনের মামলায় মুক্তি পেলেন শামি। মঙ্গলবার আদালতে সশরীরে হাজিরা দিলেন মহম্মদ শামি। ছিলেন শামির দাদা মহম্মদ হাসিমও। দুজনেই জামিনের আবেদন করেন। বিচারক সেই আবেদন মঞ্জুর করে দুজনকেই জামিন দেন।
শামির আইনজীবী সেলিম রহমান জানিয়েছেন, দুজনেই আদালতে হাজিরা দিয়ে জামিনের আবেদন করেন। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে। গত ২৩ অগাস্ট আলিপুরের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক নির্দেশ দেন, শামির প্রাক্তন স্ত্রী হাসিনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে শামিকে তলব করার পিছনে কোনও কারণ খুঁজে পাননি তিনি। তবে পরবর্তী প্রক্রিয়ার জন্য তাঁকে ট্রায়াল কোর্টে আবেদন করতে হবে। জামিনের আবেদন করতে পারবে। সেই নির্দেশ অনুযায়ী হাজিরা দেন শামি।
লিভ-ইন (Live-in) সম্পর্কে থাকলেও মহিলারা গার্হস্থ্য হিংসার বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবেন। একটি মামলার প্রেক্ষিতে এমনই রায় দিল কেরলের হাই কোর্ট (HighCourt)। আদালত জানিয়েছে, কোনও মহিলা যদি পুরুষের সঙ্গে একত্রবাসে থাকেন, তাহলে তিনি ওই পুরুষের দ্বারা যে কোনও হিংসার বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য় হিংসা আইনে মামলা করতে পারেন। তার জন্য তাঁর বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া আবশ্যক নয়।
মামলাকারীর বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসা আইনের ১২ নম্বর ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। পারিবারিক আদালতে সেই মামলার শুনানি চলছে। তাই মাঝে মধ্য়েই হাইকোর্টে দ্বারস্থ হন ওই ব্যক্তি। সম্প্রতি এই মামলার শুনানি শুরু হয়েছিল। মামলাকারী ব্যক্তির দাবি, অভিযোগকারী মহিলার সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কে তিনি আবদ্ধ হননি। তাঁরা লিভ ইন সম্পর্কে ছিলেন। তাই একে গার্হস্থ্য হিংসা বলা যায় না। তবে আদালত পাল্টা যুক্তি দিয়ে তাঁর অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে।
আদালত মামলাকারীর আবেদন খারিজ করে জানান, একত্রবাস বলতে এখানে দু’জনের মধ্যে এমন এক সম্পর্কের কথা বলা হয়েছে, যেখানে নারী এবং পুরুষ একই সংসারে থাকেন। কিংবা অতীতে কোনও একসময় ছিলেন। এই সম্পর্ক বিবাহের হতে পারে। আবার তা বিবাহের মতো কোনও সম্পর্ক, যা জন্মসূত্রের আত্মীয়তা কিংবা পারিবারিক যোগাযোগের মাধ্যমেও স্থাপিত হতে পারে।
চলতি বছরের শুরুতেই চর্চার শিরোনামে রয়েছেন নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি ও তাঁর স্ত্রী আলিয়া সিদ্দিকি। একে অপরের বিরুদ্ধে গৃহ হিংসার অভিযোগ তুলে একাধিক অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। দাম্পত্য কলহ তাঁদের এই মুহূর্তে বিবাহ বিচ্ছেদের দিকে গড়িয়েছে। নওয়াজের বিরুদ্ধে আগেই অভিযোগ করেন তার স্ত্রী আলিয়া। দু’জনের দাম্পত্য কলহের শিকার হয়েছে দুই সন্তান ইয়ানি ও শোরা। দুবাইয়ে স্কুলে পড়াশোনা করে তারা। অনেক দিন ধরেই বন্ধ পড়াশোনা। তবে শোনা যায়, এবার সন্তানদের কথা ভেবে নিজেদের মধ্যে সবটা মিটমাট করতে রাজি হয়েছেন নওয়াজউদ্দিন-আলিয়া।
২০২৩ সালের ৩ এপ্রিল নওয়াজ ও আলিয়ার দুই সন্তানের সঙ্গে বম্বে হাইকোর্টের হাজির হওয়ার আদেশ দিয়েছে বিচারক রেবতী মোহিতে দেরে ও বিচারক শর্মিলা দেশমুখের ডিভিশন বেঞ্চ। বিবাহবিচ্ছেদ যে হবে, তা আগেই বলেছিলেন আলিয়া। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সমস্যার সমাধান যাতে হয়, সেকারণে আলিয়ার শর্তে মত দেন নওয়াজ। আলিয়ার বিরুদ্ধে করা মানহানি মামলা প্রত্যাহার করতে রাজি হন অভিনেতা।
এমনকি ১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে যে মানহানির মামলা করেছিলেন তিনি, তা ফিরিয়ে নিতে রাজি হয়েছেন নওয়াজ।
একটি মামলার প্রেক্ষিতে অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্টের (Andhra Pradesh High Court) মন্তব্য, ঘরকন্নার কাজ না পারায় শাশুড়ির বকাঝকাকে গার্হস্থ্য হিংসা বলা যাবে না। এমনকি এই ‘অপরাধে’ কারও বিরুদ্ধে ৪৯৮-এ ধারায় মামলাও হতে পারে না। জানা গিয়েছে, ২০০৮-র এপ্রিল মাসে বিয়ে হওয়া মাত্র ৮ মাসের মধ্যে মৃত্যু হয় তরুণীর। মৃতার পরিবারের তরফে স্বামী এবং শাশুড়ির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। মামলায় অভিযোগ, বিয়েতে পণ দিতে না পারার কারণেই মেরে ফেলা হয়েছে মেয়েকে। এমনকি মৃতা বাড়ির কাজ করতে না পারলে তাঁর উপর ভীষণ অত্যাচারও করা হত, এই অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। এটি অন্ধ্রপ্রদেশের ঘটনা। তবে এই বিষয়ে অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্টের বিচারপতি ভিআরকে কৃপাসাগর তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেন, 'এর মধ্যে হিংসার কিছু নেই।'
এই ঘটনাকে বিচারপতি গৃহহিংসার তকমা না দিয়ে তাঁর পর্যবেক্ষণে জানান, 'প্রতিটি সংসারেই ঘরকন্নার কাজ করতে না পারলে পুত্রবধূদের বকাঝকা করা হয়। কোনও কোনও সময় অন্যের উদাহরণ টেনে ভাল কাজ করার প্রেরণাও জোগানো হয়। কিন্তু এমনটা কখনও ঘটে না যে, কেউ সংসারের কাজ না পারলে তাঁকে মারধর করা হয়। পণ না পাওয়ায় অত্যাচার করা হলে তখনই সেটি হিংসার পর্যায়ে পৌঁছতে পারে।' এই বলে মৃতার শাশুড়ি এবং স্বামীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছিল তা খারিজ করে দেন বিচারপতি।
তিন বছরের সন্তানের সামনেই স্ত্রীকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে। কাঠগড়ায় মৃতার শ্বশুরবাড়ির অন্য সদস্যরাও। অভিযুক্তর দ্বিতীয় বিয়ে ঘিরে প্রথম স্ত্রীয়ের সঙ্গে নিত্য অশান্তি, আর তাতেই খুনের ঘটনা। এমনটাই মৃতার পরিবারের অভিযোগ। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে মেয়ের মৃত্যুসংবাদ পান বাবা মদন সর্দার। তিনি জামাইয়ের বাড়ি গিয়ে দেখেন মেয়ের ঝুলন্ত দেহ। এরপর কুলতলি থানায় এসে দেহ উদ্ধার করে। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত। জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিনের প্রেম থেকে পাঁচ বছর আগে বিয়ে হয় অনুপ মণ্ডল এবং তপতী সর্দারের। তিন বছরের একটি ছেলেও আছে দম্পতির। তপতীর পরিবারের অভিযোগ, একবছর ধরে অন্য এক মহিলাকে বিয়ে করে সোনারপুরে সংসার পাতেন অনুপ।
প্রথম স্ত্রী এবং ছেলের খোঁজখবর পর্যন্ত নিতেন না অনুপ বলে খবর। বাবার থেকে টাকা নিয়েই সংসার চালাতেন তপতী। যে কারণে প্রায়ই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া লেগে থাকতো। রোজকার এই ঝামেলা মঙ্গলবার বিশাল আকার ধারণ করে। এভাবে ঝামেলা চলাকালীন ছেলের সামনেই স্ত্রীকে খুন করে পালিয়ে যান অনুপ। মৃতার পরিবার সূত্রে খবর, ভালোবাসা থেকে বছর পাঁচেক আগে বিয়ে করেছিলেন অনুপ-তপতী। ভালোভাবেই সংসার করছিলেন তাঁরা। কিন্তু অনুপ অন্য এক মহিলাকে বিয়ে করলে তাঁদের মধ্যে ঝামেলার সূত্রপাত। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সরব পরিবার।
তপতী সর্দারের বাবা জানান, 'মেয়ে প্রেম করে বিয়ে করে। তিন বছর আগে একটা সন্তানও হয়। জামাই অন্য একজনকে বিয়ে করে সোনারপুরে সংসার পাতে। তপতী এবং সন্তানের সঙ্গে থাকতেন না অনুপ। সংসারে কোনও টাকা পয়সাও দিতেন না। আমাদের থেকে কিছু টাকা-পয়সা এনে কোনওভাবে সংসার চালাত মেয়ে। দিন দুয়েক আগে তপতীর শ্বশুর ফোন করে বাড়ি ফিরে আসতে বলে। ও বাড়ি ফিরলেই মঙ্গলবার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে।'
"কু-সন্তান যদি বা হয়, কু-মাতা কভু নয়!" এমনই একটি প্রচলিত কথা রয়েছে বাংলায়। কিন্তু সবসময় সঠিক নয় সে কথা, তা ঔরঙ্গাবাদের সাদাতনগরের ঘটনা থেকে স্পষ্ট। পারিবারিক অশান্তির জেরে সন্তানদের বিষ খাইয়ে খুন করলেন মা। সোমবার রাতে নিজের দুই সন্তানকে খুন করেছে মা, গুরুতর এই অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনা জানাজানি হতেই তদন্ত শুরু করে পুলিস। দুই শিশুর মৃত্যু ঘিরে রহস্য দানা বাঁধছে। পুলিস জানিয়েছে, দুই শিশুর মধ্যে এক জনের বয়স ৮ এবং অন্য জনের বয়স ৪। ওই মহিলা আত্মীয়দের কাছে সন্তানদের খুনের কথা স্বীকার করেছেন বলে পুলিস সূত্রে দাবি। প্রতিবেদন লেখা অবধি মহিলাকে গ্রেফতার করার কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
ওই অভিযুক্ত মহিলার আত্মীয়রা জানান, প্রায়শই স্বামীর সঙ্গে ঝামেলা হত মহিলার। আর গত ১৫ দিন ধরে তা মাত্রারিক্ত হয়। এর জেরেই এই হত্যা বলে অনুমান পুলিসের। সোমবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ অসুস্থ অবস্থায় দুই শিশুকে প্রথমে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
বলিউডের ড্রামা কুইন (Bollywood Drama-Queen), কেউ কেউ আবার তাঁকে বলেন কন্ট্রোভার্সি কুইন। সম্প্রতি বিবাহিত জীবন নিয়ে চর্চায় রয়েছেন রাখী সওয়ান্ত (Rakhi Sawant)। বলা যায়, তাঁর জীবন নাটকীয়তায় পরিপূর্ণ। অবশেষে সোমবার রাতে সাত মাসের বিয়েতে ইতির ইঙ্গিত দিলেন। "আমার কপাল খারাপ। আমার স্বামীকে কেড়ে নিল। কিচ্ছু করতে পারলাম না।" স্বামী আদিল খান দুরানির (Adil Durrani Khan) সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘোষণা করে সংবাদমাধ্যমের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়লেন রাখী। এখনই শেষ নয় কাহিনি। স্বামী আদিলের বিরুদ্ধে পরকীয়া সহ আরও একাধিক গুরুতর অভিযোগ এনে মুম্বইয়ের ওসিওয়ারা থানার দারস্থ হয়েছেন তিনি।
আইটেম ডান্সার গার্হস্থ্য হিংসারও অভিযোগ এনেছেন আদিলের বিরুদ্ধে। তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আদিল তাঁকে রীতিমতো মারধর করতেন। রাখীর দাবি, তাঁকে এক দিন আদিল এমনভাবে টেনে হিঁচড়ে দরজা পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছিলেন, তাতে তিনি ভয়ে প্রস্রাব করে ফেলেন। এছাড়া তাঁর মায়ের মৃত্যুর জন্য আদিলই দায়ী। তিনি আদিলকে ১০ লক্ষ টাকার একটি চেক দিয়ে গিয়েছিলেন। যাতে প্রয়োজন মতো তাঁর মায়ের চিকিৎসার জন্য খরচ করেন। কিন্তু আদিল তা করেননি। ফলে মায়ের অস্ত্রোপচারে দেরি হয়ে যায়। এছাড়া গত আট মাসে নাকি তিনটি বিবাহ-বর্হিভূত সম্পর্কে জড়িয়েছেন তাঁর স্বামী।
অন্যদিকে, আদিলের পরিবারও রাখীর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। তাঁদের অভিযোগ, রাখী নাকি গায়ে হাত তুলতেন আদিলের। কিছু ঘটলেই সলমন খানের নাম করে ভয় দেখাতেন। রোজই নিত্যনতুন ঘটনা ঘটে চলেছে রাখী-আদিলকে কেন্দ্র করে।
স্ত্রী হাসিন জাহানের দায়ের করা গার্হস্থ্য হিংসা মামলায় সোমবার আদালত বড় সিদ্ধান্ত শোনাল ভারতীয় পেসার মহম্মদ শামিকে (Mohammad Shami)। ভারতীয় বোলারকে প্রতি মাসে স্ত্রী হাসিন জাহানের (Hasin Jahan) খোরপোশ বাবদ ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিল আলিপুর জেলা ও দায়রা আদালত। যদিও কোর্টের এই রায়ে খুশি নয় হাসিন। কারণ তিনি প্রতিমাসে ১০ লক্ষ টাকা দেওয়ার আর্জি জানান আদালতকে। এদিন রায়ের পর তাঁর আইনজীবী জানিয়েছেন, হাসিন উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হবেন।
২০১৮ সালে হাসিন জাহান, মহম্মদ শামির বিরুদ্ধে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক, গার্হস্থ্য হিংসা-সহ বেশ কয়েকটি মারাত্মক অভিযোগ নিয়ে এসেছিলেন। যদিও শামি প্রতিটা অভিযোগই একেবারে ভুয়ো দাবি করে অস্বীকার করেন। তারপর থেকেই তাঁরা আলাদা থাকা শুরু করেন। বিচ্ছেদ মামলা আদালতে ওঠার পর হাসিন মাসে ১০ লক্ষ টাকা খোরপোশ দাবি করেছিলেন। যদিও জাতীয় দলের ক্রিকেটার পাল্টা দাবি করেন, হাসিন মডেলিং করে মাসে ১০ লক্ষ টাকা আয় করেন। ফলে খোরপোশের বিষয়ে আপত্তি জানান শামি।
এদিন অতিরিক্ত জেলা বিচারক অনিন্দিতা গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, 'স্ত্রী হাসিন জাহানকে প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য দিতে হবে মহম্মদ শামির। এমনকি তা প্রতি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে দিতে হবে।' স্ত্রী হাসিনের পাশাপাশি ক্রিকেটারের মেয়েও আগের মতোই মাসিক খরচের টাকা পাবে শামির থেকে।
প্রসঙ্গত, এই দম্পতি ২০১৪ সালে বিয়ে করেছিলেন। বিয়ের আগে হাসিন জাহান একজন চিয়ার লিডার হিসেবে কাজ করতেন। পাশাপাশি তিনি মডেলিংও করতেন। তাঁদের এক কন্যাসন্তানও রয়েছে। তবে মেয়ে এখন মায়ের সঙ্গেই থাকে। উল্লেখ্য, আগেও একবার বিয়ে করেছিলেন হাসিন জাহান। কিন্তু ২০১০ সালে ডিভোর্স হয়ে যায়।
স্ত্রীকে খুন (murder) করার অভিযোগ স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। হাসপাতালে (hospital) দেখতে এলে শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের গণপ্রহার মৃতার (death) পরিবারের। ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা সোদপুর (Sodepur) পানিহাটি হাসপাতাল চত্বরে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় ঘোলা থানার পুলিস (police)। জানা গিয়েছে, ঘোলা বিদ্যাসাগর পল্লীর নন্দিতা ঘরামির বছর ছয়েক আগে বিয়ে হয়েছিল বিলকান্দা গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা বিশ্বনাথ হালদারের সঙ্গে। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই ছোটখাটো সমস্ত বিষয়ে নন্দিতাকে মারধর করতেন স্বামী বিশ্বনাথ।
বুধবার সকালে বিশ্বনাথ, নন্দিতার বাপের বাড়িতে ফোন করে জানায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তাঁদের মেয়ে। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে পানিহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। খবর পেয়েই নন্দিতার বোন ও তাঁর মা ছুটে আসেন হাসপাতালে। সেখানে এসে তাঁরা জানতে পারেন মৃত অবস্থায় নন্দিতাকে আনা হয়েছিল হাসপাতালে। এরপরেই নন্দিতার পরিবারের লোকজন ক্ষোভে ফেটে পড়েন।
স্বামী-সহ নন্দিতার শ্বশুরবাড়ির লোকজন হাসপাতালে আসলে তাঁদের ব্যাপক গণপ্রহার দেয় মৃতার পরিবারের সদস্যরা। তবে এই ঘটনায় পুলিস অভিযুক্তদের মারের হাত থেকে বাঁচাতে নিয়ে দৌড়ে পালায়। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয় হাসপাতাল চত্বরে। ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের আটক করেছে ঘোলা থানার পুলিস।
কর্নাটকের (Karnataka) নন্দাগুড়ি গ্রামের একটি পরিত্যক্ত এলাকা থেকে উদ্ধার এক ব্যক্তির পচাগলা দেহ। তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রেমিকের সহায়তায় স্বামীকে (Husband) খুন (Murder) করে দেহ ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ স্ত্রীর বিরুদ্ধে।ইতিমধ্যে গ্রেফতার (Arrest) করা হয়েছে ২৮ বছরের ওই অভিযুক্ত মহিলাকে। এমনকি খুন করার জন্য একজনকে ভাড়া করেন। তাঁকে ১ লক্ষ টাকা দিয়েছেন বলে পুলিসি তদন্তে উঠে এসেছে।
জানা গিয়েছে, পরিত্যক্ত এলাকা থেকে দেহ উদ্ধারের পর পুলিস জানতে পারে দেহটি সেখানকার কোলাক জেলার চাম্বি গ্রামের এক বাসিন্দার। নাম আনন্দ, পেশায় ট্রাকচালক। বেশ কয়েক দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। এরপর তদন্তের স্বার্থে তাঁর স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু বক্তব্যের মধ্যে অসঙ্গতি থাকায় পুলিশের সন্দেহ হয় মৃতের স্ত্রীয়ের উপর। ফলে প্রথমে তাঁকে আটক করে পুলিস, পরে গ্রেফতার করা হয়।
উল্লেখ্য, কয়েক বছর আগে আনন্দ ও চিত্রার বিয়ে হয়। আনন্দ প্রতিবেশী চলপতিকে নিয়ে সন্দেহ করতেন। এর ফলে তাঁদের মধ্যে প্রায় ঝগড়া-অশান্তি লেগে থাকত। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, মদ্যপ অবস্থায় প্রায়ই স্ত্রীকে মারধর করতেন আনন্দ। একসময় চিত্রা চলপতির বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তুলে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। কিন্তু পরে অবশ্য তাঁদের দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পথের কাঁটা সরাতে খুন করার পরিকল্পনা করেন দুজনে।
প্ল্যানমাফিক চলপতি তাঁর ভাইয়ের এক বন্ধুর সঙ্গে এবিষয় নিয়ে যোগাযোগ করেন। খুন করার জন্য সুপারিশ দেন। আর এর জন্য ১ লক্ষ টাকা ভাড়া করা ব্যক্তিকে দেওয়া হবে বলেও জানায়। পাঁচ হাজার টাকা অগ্রিম দেওয়া হয়। খুনের সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন চলপতি এবং চিত্রাও। পুলিস তদন্তে নেমে চলপতি-সহ আরও চার জনকে গ্রেফতার করেছে।
স্বামীর লাথিতে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর মৃত্যু (death)। খবর জানাজানি হতেই এলাকায় চাপা উত্তেজনা। অভিযোগ, ঘটনার পরই পলাতক স্বামী (husband)। তাঁর খোঁজে পুলিস (police)। নির্মম এই ঘটনা নৈহাটি (Naihati) কুলিয়াগড় দিঘীরপাড় এলাকার। পরিবার সূত্রে খবর, দু'বছর আগে দিঘীরপাড়ের বাসিন্দা বিধান হালদারের সঙ্গে বিয়ে হয় নৈহাটি দোগাছিয়া তালবাগানের বছর ২২-এর পূজার। পেশায় রাজমিস্ত্রীর কনট্রাকটর ছিলেন বিধান। কিন্তু অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পূজার বাড়ি থেকে টাকা চাওয়া হত। টাকা না পেয়ে চরম অত্যাচার করতেন স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ি।
এরপর পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা পূজাকে পেটে লাথি মারেন তাঁরই স্বামী। শুরু হয় রক্তক্ষরণ। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় নৈহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসার পর শারীরিক অবস্থা স্বাভাবিক হলে ছেড়ে দেওয়া হয় পূজাকে। এই ঘটনার পর নিজের স্বামীর নামেই অভিযোগ দায়ের করেন পূজা। কিন্তু এরপর ফের তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। দু'দিন আগে ফের পূজাকে ভর্তি করা হয় নৈহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি ঘটলে তাঁকে ট্রান্সফার করে দেওয়া হয় কল্যাণী জওহরলাল নেহরু হাসপাতালে।
কিন্তু গত সোমবার সেখানে মৃত্যু হয় পূজার। শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারে পূজার মৃত্যু হয়েছে এমনই অভিযোগ তুলে শিবদাসপুর থানায় আবারও অভিযোগ দায়ের করে পূজার পরিবার। পুলিস সূত্রে খবর, ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত বিধান হালদার এখনও পর্যন্ত পলাতক। তাঁর খোঁজ শুরু করেছে পুলিস।
এক গৃহবধুকে খুন (murder) করে মৃতদেহ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ স্বামীর (husband) বিরুদ্ধে। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় খানাকুলের (Khanakul) পাঁচুইখানা এলাকার। অভিযোগ, ওই গৃহবধূর স্বামী আগে খুন করে, তারপর মৃতদেহ (deadbody) পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। স্থানীয়রা অভিযুক্তদের চরমতম শাস্তির দাবিতে এলাকা ঘিরে রেখেছে। ঘটনাস্থলে খানাকুল থানার পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিস অভিযুক্ত স্বামী-সহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিস ওই গৃহবধূর অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃতার নাম মানসী মণ্ডল(৪২), দম্পতির দুই সন্তান। তড়িঘড়ি গ্রেফতারের দাবিতে স্থানীয় ক্ষুব্ধ মানুষজন দেহটি আটকে রাখে। পুলিস এলে অভিযুক্তদের পুলিসের হাতে তুলে দেন তাঁরা। অভিযুক্ত স্বামী হরেকৃষ্ণ জানা পেশায় সোনা ব্যবসায়ী। দোকান লাগোয়া তাঁদের বাড়ি। বেশ কিছু দিন ধরেই স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বনিবনা হচ্ছিল না। পারিবারিক বিবাদ লেগেই থাকত। পাশাপাশি হরেকৃষ্ণের ভাই কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। পাঁচুইখানার বাড়িতে মৃতার ছোট জা থাকেন।
পরিবার সূত্রে খবর, অভিযুক্ত হরেকৃষ্ণ জানার গ্রামের বাড়ি খানাকুলের নন্দনপুর এলাকায়। কর্মসূত্রে তাঁরা এখানেই থাকেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ভাইয়ের স্ত্রীর সঙ্গে হরেকৃষ্ণ পরকীয়ায় লিপ্ত হয়ে যান। আর সেই ঘটনা জানতে পারায় স্ত্রী মানসীর সঙ্গে বিবাদ শুরু হয়। অভিযোগ, স্ত্রীকে আগে খুন করেন স্বামী হরেকৃষ্ণ। পরে তাঁর দেহ বাথরুমে টেনে নিয়ে গিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন স্বামী। ঘটনা জানাজানি হতেই উত্তাল হয়ে ওঠে এলাকা। খবর পেয়েই তড়িঘড়ি আসে খানাকুল থানার পুলিস।
বৌমা জোরে আওয়াজ দিয়ে টিভি দেখছিলেন। আর শাশুড়ি (Mother-in-law) টিভি বন্ধ করে দেওয়ায় রেগে আগুন। যার জেরে এমন ঘটনা ঘটিয়ে বসবেন বৌমা, তা ভাবাও যায় না। বৌমার কীর্তি শুনে হতবাক সকলে। জানা গিয়েছে, ওই মহিলা রাগে বৃদ্ধা শাশুড়ির তিনটি আঙুল কামড়ে দেন। পুলিস সূত্রে এমনটাই খবর। ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) থানে (Thane) জেলার অম্বরনাথে।
শিবাজি নগর থানার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ৬০ বছর বয়সী বৃদ্ধা ব্রুশালি কুলকার্নি বাড়িতে ভজন পাঠ করছিলেন। আর সেসময় পুত্রবধূ বিজয়া কুলকার্নি (৩২) টেলিভিশন দেখছিলেন। আওয়াজ জোরে হওয়ায় শাশুড়ির ভজন পাঠে অসুবিধে হয়। তখন তিনি কমাতে বলেন আওয়াজ। এরপর শুরু হয় ঝগড়া।
ঝগড়া এমন পর্যায়ে পৌঁছয় রেগে শাশুড়ি টিভি বন্ধ করে দেন। তখন ঘটে যায় বিপত্তি। শাশুড়ির হাত ধরে তাঁর তিনটি আঙুল কামড়ে দেন। এমনকি বিজয়া তাঁর স্বামীকেও চড় মারেন, দুজনের ঝগড়ার মধ্যে ঢোকার জন্য।
আহত শিবাজিনগর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরে অভিযুক্ত মহিলার বিরুদ্ধে একটি ফৌজদারি অপরাধ নথিভুক্ত করা হয়েছে বলে পুলিস জানিয়েছে।
নৃশংস ঘটনা। মায়ের এহেন রূপ কল্পনাতীত। স্বামীর সঙ্গে অশান্তি লেগেই থাকে। পারিবারিকে কলহের জেরে তিন সন্তানকে বিষ খাইয়ে (poisoned) মারলেন (Murder) মা। দুই ছেলেকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে পুলিস। আর রাতে হাসপাতালেই মারা যায় মেয়ে। সোমবার উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) গাজিপুরের (Ghazipur) এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য।
গাজিপুরের এসপি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে অভিযুক্ত সুনিতা যাদব নামে ওই মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জানা গিয়েছে, বিবাদের জেরে স্বামীর উপর ক্রোধে ওই মহিলা তাঁর তিন সন্তানকে অ্যালুমিনিয়াম ফসফাইড খাইয়েছিলেন। দুই ছেলের বয়স ১০ বছর এবং ৮ বছর। মেয়ের অবস্থা খুবই গুরুতর ছিল এবং বারাণসী বিএইচইউতে রেফার করা হয়েছিল। তবে ওই রাতেই মেয়ের মৃত্যু হয়।
সোমবার বিকেল ৩ টের দিকে গাজিপুর থানার পুলিস এই খবর পায়। ওই অভিযুক্ত মহিলার নামে মামলাও দায়ের করেছে পুলিস।
আদালতের মধ্যেই স্ত্রীকে গলা কেটে খুন (Murder)করলেন স্বামী! এমনই শিউরে ওঠার মতো কাণ্ডের সাক্ষী থাকল কর্ণাটকের (Karnataka) হাসানের এক পরিবার আদালত। ঘটনায় হতবাক বিচারপতি থেকে আইনজীবী সকলে। স্বামীর হামলায় গুরুতর আহত স্ত্রীকে হাসপাতালে (Hospital) নিয়ে যাওয়া হলেও শেষরক্ষা হয়নি। অভিযুক্ত স্বামীর বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। গ্রেফতারও (Arrested) করা হয়েছে তাঁকে।
কর্নাটক পুলিস সূত্রে খবর, এই হাড়হিম করা ঘটনাটি ঘটেছে ৩২ বছর বয়সি শিবকুমার এবং ২৮ বছরের চিত্রার বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলাকালীন। নিয়ম অনুযায়ী, দু’পক্ষের আইনজীবী সওয়াল-জবাব চলছিল। সবটা শোনার পর মামলার পরবর্তী দিন জানান বিচারক। ঠিক সেই সময়ই ঘটে যায় এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা।
জানা গিয়েছে, এদিন শুনানিতে চিত্রা এবং শিবকুমার একসঙ্গে থাকতে রাজিও হয়েছিলেন। শিবকুমারের বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেছিলেন চিত্রা। শুনানির শেষে আদালত ভবনের শৌচালয়ে যান চিত্রা। তখনই ছুড়ি নিয়ে পিছন থেকে চিত্রার গলায় কোপ বসান। স্ত্রীর চিৎকার শুনে সকলে ছুটে আসেন। তখন শিবকুমার পালানোর চেষ্টা করলেও তা বৃথা হয়। আদালতে উপস্থিত জনতাই তাঁকে পুলিসের হাতে তুলে দেন।
জানা গিয়েছে, চিত্রার গলার ধমনী কেটে গিয়েছিল। অতিরিক্তি রক্তক্ষরণের ফলে মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।