অর্থ, প্রেম, বদলা-র জেরে খুনের ঘটনা প্রায়ই শোনা যায়। তবে পোষ্য প্রেমীর হাতে(pet lover) প্রতিবেশীর খুনের ঘটনা বিরল। বৃহস্পতিবার সেই ঘটনাই ঘটেছে তামিলনাড়ুর (Tamilnadu) দিন্দিগুল জেলার থাডিকোম্বু থানা এলাকায়। পোষ্যকে ‘কুকুর’ বলে ডাকায় প্রতিবেশী বৃদ্ধের বুকে ঘুষি মারেন এক প্রতিবেশী যুবক। সেই আঘাতেই মৃত্যু হয় ওই বৃদ্ধের। জানা গিয়েছে, মৃতের নাম রায়াপ্পান (৬২)।
স্থানীয়দের দাবি, নির্মলা ফতিমা রানি এবং তাঁর দুই ছেলে ড্যানিয়েল ও ভিনসেন্ট একটি কুকুর পোষেন পাড়ায়। একাধিক বার তাঁদের আদরের পোষ্যকে নাম ধরে ডাকার জন্য রায়াপ্পান ও তাঁর পরিবারকে সতর্ক করেছিলেন ড্যানিয়েলরা। কিন্তু বলা সত্ত্বেও নাম ধরে না ডেকে ‘কুকুর’ বলে সম্বোধন করতেন সেই বৃদ্ধ।
পুলিস জানিয়েছে, রায়াপ্পান নিজের নাতি কেলভিনকে মাঠে জলের পাম্প বন্ধ করতে পাঠিয়েছিলেন। প্রতিবেশীদের ওই কুকুরটি পথে থাকতে পারে সেই ভয়ে একটি লাঠি সঙ্গে নিয়ে যেতে বলেছিলেন রায়াপ্পান। আড়ি পেতে সেই কথা শুনে ফেলেন ড্যানিয়েল। এরপর ক্ষুব্ধ ড্যানিয়েল ওই বৃদ্ধকে আক্রমণ করেন। সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে পড়ে যান তিনি। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পরিবার-সহ পালান ড্যানিয়েল। তবে শুক্রবারে পুলিস তাদের আটক করেছে। শুধুমাত্র কুকুরকে কেন্দ্র করেই এই খুন, নাকি এই ঘটনার পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
নিজেরা উদ্যোগ নিয়েই অস্ত্রোপচার করে পথকুকুরের (street dog) মৃত্যু রুখলেন দুই পশু চিকিৎসক। এমন ঘটনার সাক্ষী থাকল বাঁকুড়াবাসী। প্রসঙ্গত, পেটে থাকা অবস্থাতেই মৃত্যু হয় দুটি বাচ্চার। মৃত সেই বাচ্চার শরীর থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছিল মা কুকুরের ইউটেরাসে। যন্ত্রনায় ছটফট করতে থাকা সেই মা পথ কুকুরকে দেখে এগিয়ে আসেন দুই পশু চিকিৎসক (Veterinarian)। শেষ পর্যন্ত নিজেদের উদ্যোগে অস্ত্রোপচার করে সেই পথ কুকুরকে বাঁচানোর চেষ্টা চালালেন দুই পশু চিকিৎসক ও এক পশু প্রেমী (animal lover)। আপাতত সুস্থই রয়েছে সেই মা কুকুর।
বাঁকুড়ার (Bankura) মাচানতলায় বেশ কিছুদিন ধরেই একটি মা কুকুরকে অসুস্থ অবস্থায় ঘুরে বেড়াতে দেখছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিষয়টি নজর এড়ায়নি বাঁকুড়ার এক সারমেয় প্রেমী মধুমিতা দাস ও স্থানীয় প্রাণীবন্ধু শুভাশিষ তেওয়ারির। কুকুরটিকে দেখেই শুভাশিষ বাবু বুঝতে পারেন মা কুকুরটির পেটে থাকা বাচ্চার মৃত্যু হয়েছে।
সেখান থেকেই মা কুকুরের শরীরে ছড়িয়েছে সংক্রমণ। এরপর পশুপ্রেমী মধুমিতা দেবীর উদ্যোগে দ্রুত খবর দেওয়া হয় পশু চিকিৎসক তাপস বিশ্বাসকে। তড়িঘড়ি মাচানতলা এলাকার মানুষের কাছে টেবিল চেয়ে খোলা আকাশের নিচে তৈরি করে ফেলা হয় অস্থায়ী অপারেশান থিয়েটার। সেখানে মা কুকুরটির শরীরে অস্ত্রোপচার করে চিকিৎসকরা বের করে আনেন মৃত শাবকগুলিকে। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় কেটে বাদ দিতে হয় ইউটেরাসও।
অস্ত্রোপচারের পর কিছুক্ষণ স্যালাইন ও অন্য ইঞ্জেকশান চালাতেই চাঙা হয়ে ওঠে মা কুকুরটি। কুকুরটির শরীরে অস্ত্রোপচার সফল হওয়ায় খুশি পশুপ্রেমী থেকে দুই পশু চিকিৎসকও।