শোকের ছায়া নেমে এলো টলিউড অভিনেতা দীপঙ্কর দে-র (Dipankar De) জীবনে। বুধবার রাতে কন্যাহারা হলেন অভিনেতা। দীপঙ্করের বড় মেয়ে বৈশালী, বেশ কিছু দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। হৃদযন্ত্র ও কিডনির সমস্যা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন হাসপাতালে। সকলে চেয়েছিলেন বৈশালী ফিরে আসুন। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। মাত্র ৫২ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন অভিনেতার বড় কন্যা।
অভিনেতা দীপঙ্কর দে-এর বয়স এখন ৭৯। তারও নানারকম শারীরিক জটিলতা রয়েছে। সন্তান হারানোর অভিঘাত তিনি বহন করছেন। অভিনেতা এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, 'বড় মেয়ের হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল। অকালে চলে গিয়েছে।' হতভাগ্য বাবার মুখ থেকে আর কোনও কথা বেরোয়নি। এই অবস্থায় দীপঙ্করকে সামলাচ্ছেন তাঁর সহধর্মিনী দোলন রায়।
তবে দোলনও এই মুহূর্তে বেশ জটিল পরিস্থিতিতে রয়েছেন। একদিকে সন্তানহারা হয়ে ভেঙে পড়েছেন স্বামী। তাঁর পাশে থাকা জরুরি। অন্যদিকে অভিনেত্রী শ্যুটিং থেকে ছুটি পাননি। তাই বাধ্য হয়ে কাজে যোগ দিতে হয়েছে দোলনকে। অভিনেতার জামাই অনিল কুরিয়াকোস পেশায় সিনেমার প্রযোজক। স্ত্রীকে হারিয়ে তিনিও ভেঙে পড়েছেন।
বিদেশে নাটক করতে গিয়ে দেখা, সেখান থেকে প্রেম আর তার পরেই বাগদান সারেন টলিপাড়ার জনপ্রিয় মুখ দোলন রায় এবং দীপঙ্কর দে। বিয়ের আগে ১৬ বছর একত্রবাস করেছেন তাঁরা। ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে আইনি মতে বিয়ে সারেন তাঁরা। দীর্ঘ ৩০ বছরের সম্পর্কে নেই কোনও দাগ, নেই কোনও মনোমালিন্য। যদিও দোলনের মনে রয়ে গিয়েছে একটি আক্ষেপ, যা তিনি শেষমেষ প্রকাশ করেছেন।
'অপুর সংসার' নামক রিয়্যালিটি শো এখন বাংলা টিভির চর্চিত বিষয়। চেনাপরিচিত টলি তারকাদের নিয়ে সেখানে একপ্রকার চাঁদের হাট বসে। এদিন এই শোয়ে উপস্থিত ছিলেন দীপঙ্কর দে ও তাঁর স্ত্রী দোলন রায়। পুরোনোa স্মৃতিচারণ-সহ বিভিন্ন প্রশ্নে মজেছিলেন দম্পতি। সেই প্রশ্নপালা পর্বের মধ্যেই হঠাৎ অভিনেত্রী দোলন রায় একপ্রকার সুপ্ত বাসনা প্রকাশ করেছেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের ছোড়া প্রশ্নে। নিজের ইচ্ছে প্রকাশ করে অভিনেত্রী বললেন, 'আমার খুব ইচ্ছে হয় মেয়ের মা হতে। আমি নিজে মায়ের খুব কাছের। এখন আমার মায়ের বয়স হয়ে গিয়েছে। সব কিছু তো আর ভাগ করা যায় না। মেয়ে থাকলে বেশ বন্ধুর মতো মিশতাম। মনের সব কথা ভাগ করে নিতাম। আমি মা হলে বেশ বন্ধুর মতো হতাম।'