ফের ইডির তলব এড়ালেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এই নিয়ে তৃতীয়বার ইডির নোটিশ এড়ালেন কেজরিওয়াল। ফলে আশঙ্কা বাড়ছে, লোকসভার নির্বাচনর আগেই কি গ্রেফতার হতে পারেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। আবগারি দুর্নীতি মামলায় অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে। আজ অর্থাৎ বুধবারও তাঁর হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এদিনও তিনি তলব এড়িয়ে ইডিকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, ইডির সঙ্গে সহযোগিতা করা সম্পূর্ণ ইচ্ছা রয়েছে তাঁর। কিন্তু এই নোটিশ 'বেআইনি' এবং 'অবৈধ'।
দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় আগেই গ্রেফতার হয়েছেন দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। এরপর এই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে তলব করেছে ইডি। এর আগে ১২ নভেম্বর ও ২১ ডিসেম্বর তলব করা হয়েছিল। আজও তাঁর ইডির দফতরে হাজির হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এদিন ইডিকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, তাঁর ইডির সঙ্গে সহযোগিতা করার সম্পূর্ণ ইচ্ছা আছে। কিন্তু যে নোটিশটি তাঁকে পাঠানো হয়েছে সেটি বেআইনি এবং অবৈধ। তিনি বুঝতে পারছেন যে, তাকে গ্রেফতার করার জন্যই এই নোটিশটি পাঠানো হয়েছে। যাতে তিনি আগামী লোকসভা নির্বাচনে দলের হয়ে প্রচার করতে না পারেন। তিনি আরও লিখেছেন আগের চিঠিতে তিনি বেশ কিছু প্রশ্ন তুলেছিলেন। সেগুলির কোনও উত্তর ইডি না দিয়ে ফের নোটিশ পাঠিয়েছে। এছাড়াও লোকসভা নির্বাচন সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রচার কার্যে ব্যস্ত থাকার জন্য তিনি হাজিরা দিতে পারছেন না। একাধিকবার ইডির তলব এড়ানোর জন্য ইডি পরবর্তী পদক্ষেপ কী নিতে চলেছে, সেটাই এখন দেখার।
ফের একবার ইডির তলব দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে। আজ অর্থাৎ সোমবার দিল্লি আবগারি মামলায় ইডি ফের তলব করল আপ নেতা তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আগামী ২১ ডিসেম্বর তাঁকে হাজিরা দিতে বলেছে। জানা গিয়েছে, এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের মধ্যেই ইডির সমন হাতে পেলেন কেজরিওয়াল।
এর আগেও দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে তলব করেছিল ইডি। কিন্তু সেসময় দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইডির সমন এড়িয়ে যান তিনি। বিধানসভা ভোটের প্রচারে মধ্যপ্রদেশে যাবেন বলেই কেজরীওয়াল ইডির সদর দফতরে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে পারবেন না বলে জানানো হয়েছিল। এছাড়াও জানা গিয়েছিল, কেজরীওয়াল তাঁকে তলব করার ঘটনাকে ‘বেআইনি এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলেছেন। ফলে এবার কি তিনি সমনে সাড়া দেবেন নাকি ফের হাজিরা এড়িয়ে যাবেন, এটাই এখন দেখার।
সংসদে ধোঁয়া কাণ্ডে তদন্ত করতে এবারে কলকাতায় এসেছে দিল্লি পুলিসের এক তদন্তকারী টিম। অভিযুক্তদের বিষয়ে একাধিক তথ্য জোগাড় করতে সোমবার কলকাতায় পৌঁছল দিল্লি পুলিসের বিশেষ দল। সংসদকাণ্ডের মূলচক্রী ললিত ঝা-এর সঙ্গে বাংলা যোগ আগেই পাওয়া গিয়েছে। এবারে তাই সেসব যোগসূত্র খুঁজতেই কলকাতায় এসেছে দিল্লি পুলিস। তাঁদের প্রথমে গিরিশ পার্ক থানায় যেতে দেখা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই নীলাক্ষ আইচের হালিশহরের বাড়িতেও গিয়েছে দিল্লি পুলিসের বিশেষ দল।
জানা গিয়েছে, সোমবার দিল্লি পুলিসের স্পেশাল টিম কলকাতায় পৌঁছতেই ললিতের ২১৮ রবীন্দ্র সরণীর বাড়িতে যায়। সেই বাড়ি তালা বন্ধ থাকায়, বাড়ির কেয়ারটেকারকে ডেকে পাঠানো হয়েছে গিরিশ পার্ক থানায়। ২১৮ রবীন্দ্র সরণীর যে ঘরে ললিত থাকত সেই ঘর খুলে তল্লাশি করতে চাইছে দিল্লি পুলিসের আধিকারিকরা। ললিতের সম্পর্কে খোঁজ নিতে এলাকার এক ব্যক্তিকে গিরিশ পার্ক থানায় তলব করল দিল্লি পুলিস। জনৈক ব্যক্তিকে ইতিমধ্যেই গিরিশ পার্ক থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু হয়েছে। ললিতের বাড়িতে কার কার যাতায়াত ছিল সে বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
সোশ্যাল মিডিয়া ও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে ললিত কার কার সঙ্গে যোগাযোগ রাখত, পশ্চিমবঙ্গের কারা কারা ছিল, তাদের কারোর সঙ্গে সংসদের ঘটনার কোনো যোগাযোগ রয়েছে কিনা। সংসদে বিক্ষোভ দেখানোর আগে এই বিষয়ে কার কার সঙ্গে ললিত কথা বলেছিল এ সব বিষয়ে জানার চেষ্টা করছে দিল্লি পুলিস। গিরিশ পার্ক থানা ললিত ঝা সম্পর্কে কী কী তথ্য জোগাড় করেছে সেই সমস্ত তথ্য একবার দেখে নিতে চাইছে দিল্লি পুলিস। ললিতের সমস্ত ঠিকানাতেই তল্লাশি চালাতে পারে দিল্লি পুলিস, এমনটাই সূত্রের খবর।
অন্যদিকে সংসদ ভবনে স্মোক বোমা কাণ্ডে হালিশহরে নীলাক্ষের বাড়ি পৌঁছে গিয়েছে দিল্লি পুলিসের বিশেষ দল। এরমধ্যে দু'জন রাজ্য পুলিসের আইবি অফিসার এবং দু'জন দিল্লীর কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি রয়েছে। প্রথমে নীলাক্ষের বাবা কে ডাকেন তাঁরা। এরপর ঘরে গিয়ে নীলাক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।
প্রসূন গুপ্তঃ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই মুহূর্তে দিল্লিতে। রবিবারেই পৌঁছে গিয়েছেন রাজধানীতে। দুটি বিষয়ে তাঁর দিল্লি আগমন। প্রথমত, মঙ্গলবার 'ইন্ডিয়া' জোটের বৈঠক এবং বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকার। সকলের নজরেই এই দুটি দিন রয়েছে।
জোটের চিত্র এই মুহূর্তে একেবারেই পাল্টিয়ে গিয়েছে। ৫ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের আগে জাতীয় কংগ্রেসের ভাবনা এক রকম ছিল যে তাঁরা হয়তো জিততে চলেছেন, কিন্তু তিন রাজ্যে তাদের পরাজয় হয়েছে। কাজেই বেশ চাপের মুখে জোটের প্রধান শরিক কংগ্রেস পার্টি। এই তিন রাজ্যে জিততে পারলে জোটের বৈঠকে অনেকটাই প্রাধান্য নিয়ে তারা দাবি রাখতে পারতো, কিন্তু ফল সম্পূর্ণ উল্টে যাওয়াতে এবারে তাদেরই অনেক প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে বলেই ধারণা।
কেন্দ্রীয় স্তরের জোট এর আগে অনেকবার হয়েছে। ১৯৭৭-এ ইন্দিরা গান্ধীর সরকারের বিরুদ্ধে জোট যা হয়েছিল বা সরকার তা একেবারেই অসম। চরম ডানপন্থীরা সঙ্গে বামপন্থীদের জোট। টেকেও নি। ফের জোট হয়েছিল ১৯৮৯-এ। রাজীব গান্ধীর কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিজেপি ও বামেদের সাহায্য নিয়ে জনতা দল যে জোট করে সরকার গড়েছিল তাও টেকেনি। এরপর ১৯৯৬ থেকে ৯৮ অবধি একটা জোট হয়েছিল, সেটিরও গঙ্গা প্রাপ্তি হয়েছিল। কিন্তু এরপরে টানা ১৬ বছর এনডিএ এবং ইউপিএ জোট সরকার চালিয়েছিল। যদিও ওই দুই সরকারে প্রাধান্য ছিল প্রথমে বিজেপির পরে কংগ্রেসের।
এবারে বর্তমান মোদী সরকার যথেষ্ট শক্তিশালী। তাদের বিরুদ্ধে জোট কিভাবে কাজ করবে তা নিয়ে অনেক জটিলতা রয়েছে, সাম্প্রতিক ৫ রাজ্যের ভোটে কংগ্রেস জিততে পারলে কিন্তু এই জোটের এক প্রকার শক্তি বাড়তো। হয় নি তা। এবারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিষ্কার ফর্মুলা দিয়েছেন যে, যে রাজ্যে যে দল শক্তিশালী তাদের ইচ্ছার উপরে এলাকা ভিত্তিক জোট হবে। বিষয়টি সমর্থন করেছেন স্তালিন, শারদ পাওয়ার, উদ্ধব ঠাকরে, হেমন্ত সোরেন, অখিলেশ যাদব বা অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ওই ফর্মুলাতে চললে এই রাজ্যে কংগ্রেসের বরাদ্দ দুটি আসন। তেমনই দিল্লির ৬টি আসনের মধ্যে কেজরিওয়াল হয়তো ৪/৫ টি আসন চাইবে। সে যাই হোক না কেন শেষ পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্য ভূমিকা যে নেবেন তা স্পষ্ট বলে দেওয়া যায়।
চারদিনের দিল্লি সফরে তিনটি মেগাবৈঠকে যোগ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবারই মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লি সফরের সূচি চূড়ান্ত হয়েছিল। আজ, রবিবার দিল্লি সফরের উদ্দেশ্যে বিশেষ বিমানে রওনা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্র মারফত খবর, সোমবার দলীয় সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী।
মঙ্গলবার দুপুরে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে যোগ দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার সকাল ১১ টার সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর এই সাক্ষাৎ পর্বে থাকবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে একাধিক বিষয় তুলতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, ১০০ দিনের বকেয়া টাকা তার মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার বিষয়।
উল্লেখ্য, বুধবার বিকেলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি বিমানবন্দর থেকে রওনা দেওয়ার কথা।
বুধবার সংসদে দুই ব্যক্তির আচমকা হানায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে সারা দেশজুড়ে। এরপর ধীরে ধীরে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে ও প্রকাশ্যে এসেছে 'মূলচক্রী'র নামও। সংসদে স্মোক কাণ্ডের পর থেকেই সে পলাতক বলে জানা গিয়েছে। আর এরপরই সামনে আসে 'মূলচক্রী' ললিত ঝাঁ-এর সঙ্গে বাংলার যোগের। জানা গিয়েছে, সংসদে হামলার ঘটনায় ললিত বাইরেই ছিল। সে সংসদ ভবনের বাইরে বিক্ষোভের ছবি তোলে ও বিক্ষোভরত চারজনের মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় এই বিক্ষোভের ছবি পোস্টও করে সে। আর সেই বাংলার ভিডিও বাংলার 'বন্ধু' নীলাক্ষ আইচকেও ফোনে পাঠায় ললিত।
জানা গিয়েছে, সংসদে হানা কাণ্ডে 'মূলচক্রী' ললিত ঝাঁ কলকাতার ২১৮, রবীন্দ্র সরণীতে থাকতেন এবং সেখানেই টিউশন পড়াতেন। কিন্তু প্রায় ১.৫ বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে ললিতদের ভাড়া নেওয়া এই ঘরটি। ৫৯ মুক্তারামবাবু স্ট্রিটে সপরিবারেই থাকতেন ললিত ঝাঁ। পরিবারের শুধুই ছিলেন তার বাবা। পূজা অর্চনার কাজ করতেন ললিতের বাবা। লকডাউনের পর থেকেই এখান থেকে চলে যায় ললিতের বাবা ও ললিত। আরও জানা গিয়েছে, পলাতক ললিত একসময় পশ্চিমবঙ্গের একটি এনজিওতে কাজ করতেন। সাম্যবাদী সুভাষ সভা নামে এনজিওতে কাজ করতেন পলাতক ললিত ঝাঁ। মূলত আদিবাসী উপজাতির পিছিয়ে পরা গ্রামের শিশুদের শিক্ষাও দিত সে।
ললিতের পরিচয় সামনে আসতেই বাংলার 'বন্ধু' নীলাক্ষ আইচের প্রসঙ্গ সামনে আসতেই বৃহস্পতিবার তাঁর বাড়িতে পৌঁছে যায় পুলিস। জানা গিয়েছে, হালিশহরের জেটিয়ার বাসিন্দা নীলাক্ষ আইচ। বিধান নগর কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। এনার মোবাইলেই সংসদে হামলার ঘটনার ভিডিওটা হোয়াটসঅ্যাপে পাঠায়। সাম্যবাদী সুভাষ সভা নামে একটি এনজিও করে নীলাক্ষও। আর সেই সূত্রেই ললিত ঝাঁর সঙ্গে আলাপ তাঁর। দিল্লি পুলিস থেকে ওনার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। এদিনই ব্যারাকপুর পুলিস কমিশনারেটের পুলিস অফিসাররা এসে কথা বলেছে। ওনারা আদিবাসী ছেলেমেয়েদের পড়াশুনা করায় বলে জানিয়েছে নীলাক্ষর বাবা নিলয় আইচ। গোটা পাড়া হতবাক এই ঘটনায়।
সংসদ (Parliament) হামলার ২২ বছর পূর্তিতেই নতুন সংসদ ভবনের লোকসভা কক্ষে দুই যুবকের হানা। বুধবার এই শিহরন জাগানো ঘটনার পর গ্রেফতার করা হয়েছিল চার জনকে। সেই রাতে বিক্রম নামে পঞ্চম একজনকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিস। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারায় মামলা রুজু করেছে দিল্লি পুলিস। হেফাজতে থাকা পাঁচ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ষষ্ঠ ব্যক্তি ললিত ঝায়ের খোঁজ পায় দিল্লি পুলিস, কিন্তু সে পলাতক, এমনটাই দিল্লি পুলিস সূত্রে খবর। এই ললিতই নাকি সংসদে হানার মূল চক্রী, প্রাথমিক তদন্তের পর বলছে দিল্লি পুলিসের একটি সূত্র।
সংসদে হানা-কাণ্ডে অন্যতম পাঁচ অভিযুক্তের নাম হল সাগর শর্মা, মনোরঞ্জন দেবারাজাগৌডা, নীলম সিং, অমল ধনরাজ শিণ্ডে, ললিত ঝা। এই ঘটনার পর সংসদের ভিতর থেকে গ্রেফতার হওয়া সাগর শর্মার বোন মাহি শর্মার দাবি, তিন মাস যাবৎ দাদা ই-রিক্সা চালান। আগে বেঙ্গালুরুতে কর্মসূত্রে থাকতেন, বাড়িতে দাদা বলেছিল দিল্লিতে ধর্না দেখাতে যাচ্ছেন, এমনটাই দাবি সাগরের বোনের। বুধবার সংসদের বাইরে থেকে গ্রেফতার হওয়া নীলম সিংয়ের ভাইয়ের দাবি, 'আমরা জানতামই না দিদি কোথায়। আমাদের বলা হয়েছিল হিসারে আছেন নীলম। দিদি যা করেছে, সে ব্যাপারে পরিবার অবগত নয়।' দাবি নীলমের ভাইয়ের।
এদিকে বুধবারের ঘটনার পর সংসদে নিরাপত্তার গাফিলতির অভিযোগে সরব ছিল বিরোধী দলগুলো। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস সর্বদলীয় বৈঠকে দিয়েছিলেন লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা। সূত্রের খবর, লোকসভার সচিবালয় কালার স্মোক-কাণ্ডে নিরাপত্তায় গাফিলতির অভিযোগে সংসদের আট জন নিরাপত্তাকর্মীকে সাসপেন্ড করেছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকও করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশে জয়ের পর বিজেপির সদর দফতরে এসে লোকসভা নির্বাচনের সুর বেঁধে দিলেন নরেন্দ্র মোদী। জানালেন, এই তিন রাজ্যে জয় ২০২৪ লোকসভার হ্যাট্রিকের গ্যারান্টি।
এদিন বিজেপির সদর দফতরে গিয়ে নরেন্দ্র মোদী বলেন, "কিছু লোকজন বলছেন, এদিনের হ্যাটট্রিক হওয়ার পর এবার ২৪-এ লোকসভা নির্বাচনেও হ্যাটট্রিকও নিশ্চিত করেছে। পরিবারতন্ত্র, তোষণ, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ জিরো টলারেন্স নীতি সমর্থন করেছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানুষ ভোটবাক্সে জবাব দিয়েছে।"
শুধু তাই নয়, বিরোধীদের আক্রমণ করে নরেন্দ্র মোদী বলেন, এবার শুধরে যান। না হলে মানুষ ও উন্নয়ন তাঁদের ছুঁড়ে ফেলে দেবে।
দূষণের কালো চাদরে ঢেকেছিল দিল্লি। দিল্লির বাতাসে রীতিমতো বিষ ছড়িয়ে পড়েছে। বাতাসের গুণগত মান কখনও থাকছে ৪৫০ তো, কখনও আরও খারাপ হয়ে ৫০০ মাত্রায়। এই অবস্থায় দূষণ সংক্রান্ত একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকার। শনি ও রবিবার বাতাসের মান সামান্য উন্নতি হওয়ায় তুলে নেওয়া হল সমস্ত নিষেধাজ্ঞা।
তবে এখনই দূষণ থেকে মুক্তি তা বলা যায় না। গুণমান 'অত্যন্ত ভয়ানক' থেকে 'খুব খারাপ' পর্যায়ে নেমেছে। আর সে কারণেই দূষণ নিয়ে নিয়ম শিথিল করছে সরকার। জানা গিয়েছে, এবার থেকে রাজধানীতে প্রবেশ করতে পারবে ডিজেল চালিত ট্রাক। সোমবার থেকে আবার চালু হচ্ছে সব সরকারি ও বেসরকারি স্কুল। তবে এখনও বাইরে খেলাধুলো বা জমায়েতের অনুমতি দেয়নি।
সিস্টেম অব এয়ার কোয়ালিটি অ্যান্ড ওয়েদার ফোর-কাস্টিং অ্যান্ড রিসার্চ (সফর)-এর তথ্য অনুযায়ী, রবিবার সকাল ৬টায় দিল্লির একিউআই ছিল ৩১৩। শনিবারের তুলনায় ‘উন্নতি’ লক্ষ করা গিয়েছে। শনিবার এই সময় একিউআই ছিল ৩৯৮।
সেন্ট্রাল পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ডের (CPCB) তথ্য় অনুযায়ী, সকাল রবিবার ৬টায় আরকে পুরমে বাতাসের গুণমান (AQI) ছিল ৩২৫, নিউ মতিবাগে AQI ছিল ৩২৩, IGI বিমানবন্দর এলাকায় AQI ছিল ২৯২, আনন্দ বিহার এলাকায় AQI ছিল ৩২৯, নেহরু নগরে AQI ছিল ৩৩৭। বেশিরভাগ জায়গাতেই বাতাসের গুণমান 'খুব খারাপ' পর্যায়ে রয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে গড় AQI প্রতিদিন বিকেল ৪টেয় পরিমাপ করা হয়। শনিবার সেই AQI ছিল ৩১৯। শুক্রবার AQI ছিল ৪০৫, বৃহস্পতিবার AQI ছিল ৪১৯, বুধবার AQI ছিল ৪০১, মঙ্গলবার AQI ছিল ৩৯৭, সোমবার AQI ছিল ৩৫৮।
রাজধানী দিল্লিতে এখনই গাড়ি চলাচলের ক্ষেত্রে জোড় বিজোড় নিয়ম লাগু হচ্ছে না। শুক্রবার বিকালে এবিষয়ে জানিয়েছেন সেখানকার পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই। তিনি জানিয়েছেন, দিল্লির বাতাসে আগের থেকে দূষণ অনেকটা কম। সেকারণে এখনই লাগু করা হচ্ছে না জোড়-বিজোড় নীতি।
দিল্লির বাতাসে দূষণ ভয়ঙ্করভাবে বৃদ্ধি পেয়েছিল। সেখান থেকে রক্ষা পেতে গাড়ি চলাচলের ক্ষেত্রে জোড়-বিজোড় নীতি লাগু করা হয়েছিল। আগামী ১৩ নভেম্বর থেকে এই নিয়ম চালু হওয়ার কথা ছিল। যদিও এখন সেই সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে এল দিল্লির কেজরিওয়াল সরকার।
জোড়-বিজোড় নীতি চালু করা নিয়ে আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়েছিল। শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, এই নীতি চালু করলে তার যে বিশাল প্রভাব পড়বে এমনটা নয়। বৃহস্পতিবার থেকে দিল্লিতে শুরু হয়েছে হালকা বৃষ্টি। তাতে বেশ কিছুটা স্বস্তি মিলেছে। কারণ বিষাক্ত ধোঁয়ার পরিমাণ অনেকটা কমেছে। তবে দূষণের মাত্রার খুব একটা হেরফের হয়নি।
অভিনেত্রী রশ্মিকা মান্দানার ডিপফেক ভিডিও নিয়ে যখন সারাদেশে শোরগোল পড়ে গিয়েছে, সেসময়ই আরও এক বিকৃত ভিডিও এল প্রকাশ্যে। সেই ভিডিওতেও দেখা যাচ্ছে, স্বল্প পোশাক পরে নাচছেন রশ্মিকা। মুখে চোখে অদ্ভুত অভিব্যক্তি। তবে উনি যে রশ্মিকা নন, প্রায় সবাই বুঝতে পারছেন এটি ডিপফেকের কারসাজি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় ভীষণই রেগে রশ্মিকার ভক্তরা। কেন বারংবার রশ্মিকাকে সাইবার ক্রাইমের শিকার হতে হচ্ছে, তা নিয়েই প্রশ্ন করছে তাঁর অনুরাগীরা। অন্যদিকে আগের ডিপফেক ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর এবারে সরব হয়েছে দিল্লি পুলিসও। এবারে সেই ভিডিও-র নেপথ্যে কে রয়েছে, তাকে ধরতে এফআইআর দায়ের করল দিল্লি পুলিস।
দিল্লি পুলিস সূত্রে খবর, যে অ্যাকাউন্ট থেকে রশ্মিকার ডিপফেক ভিডিও শেয়ার করা হয়েছিল, সেই অ্যাকাউন্টের গুরুত্বপূর্ণ নথির জন্য দিল্লি পুলিস এবার মেটাকে চিঠি দিয়েছে। শহরের পুলিস ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত একটি এফআইআর দায়ের করার একদিন পরে এই পদক্ষেপটি নেওয়া হয়েছিল। ভিডিও নিয়ে দিল্লির মহিলা কমিশন নোটিস পাঠানোর পরই এফআইআর জারি করেছে দিল্লি পুলিস। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৬৫, ৪৬৯ ধারায় এবং তথ্যপ্রযুক্তি সংক্রান্ত আইনের ৬৬সি ও ৬৬ই ধারায় জারি করা হয়েছে অভিযোগ। কড়া পদক্ষেপ নেওয়াও হয়েছে সরকারের তরফে। কিন্তু এত কিছুই মধ্যেই রশ্মিকার আরও এক ডিপফেক ভিডিও ভাইরাল। ফলে দিল্লি পুলিসের হাতে আসল অপরাধী ধরা পড়বে কিনা সেটাই এখন দেখার।
ফের ভূমিকম্প রাজধানী দিল্লিতে। এই নিয়ে এক সপ্তাহে তৃতীয়বার কম্পনে কেঁপে উঠল দিল্লি। সূত্রের খবর, শনিবার দুপুর ৩টে ৩৬ মিনিটে কম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ২.৬।
Earthquake of Magnitude:2.6, Occurred on 11-11-2023, 15:36:53 IST, Lat: 28.80 & Long: 77.20, Depth: 10 Km ,Location: North District,Delhi, India for more information Download the BhooKamp App https://t.co/dvjcyAga1g @ndmaindia @Indiametdept @KirenRijiju @Dr_Mishra1966 @Ravi_MoES pic.twitter.com/kGgNJu2c07
— National Center for Seismology (@NCS_Earthquake) November 11, 2023
ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল উত্তর দিল্লির ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। কম্পন অনুভূত হয়েছে উত্তর দিল্লি থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে বুরারিতে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর মেলেনি। ভূমিকম্পের প্রভাবে কোনও ক্ষতি হয়নি বলেই খবর।
তবে ঠিক একদিন আগেই জোরালো কম্পনে কেঁপে উঠেছিল দিল্লি। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫.৬। এই নিয়ে এক সপ্তাহে তিনবার কেঁপে উঠল রাজধানী।
এ যেন আশীর্বাদের বৃষ্টি। দূষণের কালো চাদরে ঢেকেছিল দিল্লি।শুক্রবার সাতসকালে হালকা বৃষ্টিতে ভিজল রাজধানী। আর তাতেই সামান্য উন্নতি হল আবহাওয়ার। দিওয়ালির আগে যা দিল্লিবাসীর জন্য বিরাট স্বস্তির খবর।
গত কয়েক সপ্তাহ যাবৎ দিল্লির আকাশে বাতাসে রীতিমতো বিষ ছড়িয়ে পড়েছে। বাতাসের গুণগত মান কখনও থাকছে ৪৫০ তো, কখনও আরও খারাপ হয়ে ৫০০ মাত্রায়। এই অবস্থায় রুষ্ট প্রকৃতিকে ‘শান্ত’ করতে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর চিন্তাভাবনা শুরু করে দিয়েছিল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকার। পরিস্থিতি একই থাকলে আগামী ২০-২১ নভেম্বরের মধ্যে কৃত্রিম বৃষ্টিপাতের পরিকল্পনা ছিল। তবে সেটার প্রয়োজন অনেকটাই কমিয়ে দিল শুক্রবারের অকাল বৃষ্টি।
এদিন সকালে রাজধানীতে হালকা বৃষ্টিপাত হওয়ায় ঘন কুয়াশার যে চাঁদর রাজধানীর আকাশ-বাতাস ঢেকে ফেলেছিল, সেটা অনেকাংশে মিলিয়ে গিয়েছে। এদিন সকালে রাজধানীর বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বাতাসের গুণগত মান ৪০০-র আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে। আবহাওয়া দপ্তর বলছে, শুক্রবার দিনভর আরও বৃষ্টি হবে। যার ফলে আবহাওয়ার আরও উন্নতি হতে পারে। যা দিল্লিবাসীর জন্য বড়সড় স্বস্তির খবর। দিওয়ালির আগে আবহাওয়া খানিকটা পরিষ্কার হলে, নিশ্চিন্তে আলোর উৎসবে মাতোয়ারা হতে পারবে রাজধানী।
'টাকা নিয়ে প্রশ্ন' কাণ্ডে যখন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে (Mahua Moitra) নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে, সে সময় তাঁর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ দায়ের করলেন তাঁর প্রাক্তন ঘনিষ্ঠ বন্ধু জয় অনন্ত দেহদ্রাই। ফলে জয় অনন্ত সরাসরি ছুটলেন পুলিস থানায়। অভিযোগ, মহুয়া জোর করে তাঁর বাড়িতে ঢুকছে, যাকে এককথায় 'অনুপ্রবেশ' বলে। তাঁকে ভয় দেখানোর উদ্দেশ্য নিয়েই মহুয়ার অনুপ্রবেশ, এমনটাই অভিযোগ জয় অনন্তের।
তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগে লেখা রয়েছে, '৫ নভেম্বর সকাল ১১ টার দিকে ও ৬ নভেম্বর সকাল ৯ টার দিকে বিনা অনুমতিতেই আমার বাড়িতে আসেন। এভানে না জানিয়ে আমার বাড়িতে আসা দেখে মনে হচ্ছে, তিনি আমার নামে কোনও ভুয়ো প্রতারণামূলক অভিযোগ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।' ফলে তিনি পুলিসের কাছে এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করার আর্জি জানিয়েছেন। তাঁর দাবি, মহুয়া তাঁকে ভয় দেখানোর উদ্দেশ্য নিয়েই এমনটাই করছেন। জয়ের আরও সংযোজন, 'মহুয়া মৈত্রের প্রতারণামূলক ও মিথ্যে অভিযোগ সম্পর্কে আমি আগেই দিল্লির পুলিস কমিশনারকে জানিয়েছি। আর তাঁর বারবার আসা উদ্বেগজনক।'
দূষণে জেরবার রাজধানী দিল্লি। বিপজ্জনক এই পরিস্থিতিতে মাত্রাছাড়া দূষণ রুখতে সোমবার দুপুরে উচ্চপর্যায়ের জরুরি বৈঠক ডাকেন দিল্লির (Delhi) মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, আবারও ফেরানো হবে জোড়-বিজোড় নম্বর-প্লেটের গাড়ির বিধিনিষেধ। তবে তা লাগু হবে দীপাবলির পর থেকে। পাশাপাশি চলতি সপ্তাহ থেকেই সব স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের কথাও জানালেন দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই। যদিও রবিবারই টুইট করে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত দিল্লির সমস্ত প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছিলেন দিল্লির শিক্ষামন্ত্রী।
বৈঠকের পর গোপাল রাই জানান, দূষণ পরিস্থিতির কারণে নভেম্বরের ১০ তারিখ সব স্কুল বন্ধ রাখা হবে। বোর্ড পরীক্ষার কারণে কেবল দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস নেওয়া হবে স্কুলগুলিতে। অন্যদিকে ফেরানো হচ্ছে জোড়-বিজোড় নম্বর-প্লেটের গাড়ির বিধি। দিল্লি সরকারের দাবি, রাস্তাায় গাড়ির সংখ্যা কমলে দূষণ অনেকটাই কমানো যাবে। দিওয়ালির পর ১৩-২০ নভেম্বর অবধি এই বিধিনিষেধ চালু হবে। পরিস্থিতির উপর নজর রেখে এই বিধিনিষেধের সময়সীমা বাড়ানো হতে পারে।
পাশাপাশি দিল্লির সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি কার্যালয়ে ৫০ শতাংশ কর্মীকে ওয়াক ফ্রম হোমেরে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সমস্ত নির্মাণ কার্য ও ধ্বংসকার্য বন্ধ রাখার কথা আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল। সপ্তাহ খানিক ধরে চলা ধোঁয়াশার জেরে রাজধানীতে ভিন রাজ্যের ডিজেল চালিত গাড়ি ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। এছাড়াও BS3 পেট্রল এবং BS4 ডিজেল গাড়ির নিষেধাজ্ঞা আগের মতোই থাকছে।