
দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় (Delhi Liquor Policy) গ্রেফতার করা হয়েছে আপ সাংসদ সঞ্জয় সিং-কে (Sanjay Singh)। গতকাল অর্থাৎ বুধবার দিনভর সঞ্জয় সিং-এর বাড়ি তল্লাশি চালায় ইডি আধিকারিকরা (Enforcement Directorate)। প্রায় ১০ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর ইডির হাতে গ্রেফতার হয় রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিং। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার তাঁকে ৫ দিনের জন্য ইডি হেফাজতে পাঠানো হল।
দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় এর আগে গ্রেফতার হয়েছেন দিল্লির প্রাক্তন মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন ও দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। এর পর বুধবার গ্রেফতার হয়েছেন আপ সাংসদ সঞ্জয় সিং। বৃহস্পতিবার তাঁকে ৫ দিনের জন্য ইডি হেফাজতে পাঠানো হল। ১০ অক্টোবর পর্যন্ত তাঁকে ইডি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট।
অন্যদিকে এদিন ডিডিইউ মার্গে আপ অফিসের কাছে কেন্দ্রীয় দিল্লিতে বিক্ষোভ করার সময় ১০০ জনেরও বেশি আপ কর্মীকে দিল্লি পুলিস আটক করেছিল। তারা সরকার বিরোধী স্লোগান দেয় এবং সিংয়ের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করে। বুধবার সঞ্জয় সিংকে গ্রেফতারের পর ভারতের বিভিন্ন জায়গায় আপ কর্মীরা বিক্ষোভ করছে।
দিল্লিতে পুলিশি হেনস্থার প্রতিবাদ। পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করে দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছেন, বুধবার দিল্লি থেকে কলকাতা ফিরবেন। বৃহস্পতিবার এক লক্ষ কর্মী-সমর্থক নিয়ে 'রাজভবন চলো'-এর অভিযান করবে তৃণমূল।
এবার সেই কর্মসূচির প্রস্তুতির পালা শুরু হয়ে গিয়েছে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তৃণমূল দেশের দুই শহরে পরপর সমাবেশ করেনি তৃণমূল। তাই এই কর্মসূচি সফল করতে তৃণমূলের বিভিন্ন শাখা সংগঠন ও জেলা নেতৃত্বকে নির্দেশ দিয়েছে তৃণমূল। নির্দেশ পাওয়া মাত্রই জেলায় জেলায় কর্মসূচির প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। দলের ছাত্র সংগঠন টিএমসিপি-ও এই কর্মসূচির প্রস্তুতি শুরু করেছে। জানিয়েছেন, ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য।
বুধবার সকাল পর্যন্ত তৃণমূলের বহু নেতাই দিল্লি থেকে কলকাতা ফিরতে পারেননি। অভিষেকের নির্দেশের পরই কাজ শুরু হয়ে যায়।
দিল্লির আবগারি মামলায় (Delhi Liquor Policy) এবারে ইডির নজরে আরও এক আম আদমি পার্টির (AAP) সদস্য সঞ্জয় সিং (Sanjay Singh)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি বুধবার সকাল থেকেই আপ সাংসদ সঞ্জয় সিং-এর বাড়িতে তল্লাশি শুরু করেছে। সূত্রের খবর, এদিন সকাল ৭ টা নাগাদ সঞ্জয় সিং-এর বাড়িতে হানা দেয় ইডি আধিকারিকরা। সেই থেকে এখনও তল্লাশি চলছে বলে খবর।
#WATCH | Visuals from outside AAP Rajya Sabha MP Sanjay Singh's residence
— ANI (@ANI) October 4, 2023
ED raids underway at the residence of AAP Rajya Sabha MP Sanjay Singh pic.twitter.com/k6FRDjY12S
আবগারি দুর্নীতি মামলা ঘিরে অস্বস্তিতে রয়েছে আপ। ইতিমধ্যে এই মামলায় অভিযুক্ত হিসাবে গ্রেফতার হয়েছেন দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। এমনকি জেরার মুখে পড়তে হয়েছিল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকেও। আর এবারে ইডির নজরে সঞ্জয় সিং। অভিযোগ উঠেছে, দিল্লিতে আবগারি নীতিতে পরিবর্তন এনে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি করেছে কেজরিওয়াল সরকার। বেআইনি ভাবে একাধিক ব্যক্তিকে আবগারি লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। এবং তাঁদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা তুলেছে আম আদমি পার্টি। এমনই অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এর পর থেকেই আপের একের পর এক মন্ত্রী এবং সাংসদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে ইডি, সিবিআই।
সূত্রের খবর, আবগারি নীতি দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত ব্যবসায়ী দীনেশ অরোরার অভিযোগ, সিসোদিয়ার সঙ্গে তাঁর আলাপ করিয়ে দিয়েছিলেন সঞ্জয় সিং। দীনেশ অরোরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই এই বিষয়ে জানা যায়। পরে আবগারি নীতি দুর্নীতি মামলায় যে চার্জশিট পেশ করা হয়েছিল, তাতে সঞ্জয় সিংয়ের নাম রয়েছে। ফলে এবারে সঞ্জয় সিং-এর বাড়িতে হানা দিয়েছে ইডি।
মণি ভট্টাচার্য: দুটি লড়াই-ই সমগোত্রীয়, দুটিই অধিকারের দাবিতে। একটি, রাজ্যে যোগ্যতার ভিত্তিতে সরকারি চাকরির দাবিতে, অন্যটি বাংলার বকেয়া আদায়ের দাবিতে। আর এই দুই লড়াইকেই এখন একই দাঁড়িপাল্লায় মাপছে বাংলার জনসাধারণের একাংশ। একদিকে বাংলায় দিনের পর দিন অধিকারের দাবিতে পুলিশের লাঠির বাড়ি জুটেছে চাকরিপ্রার্থীদের। অন্যদিকে, সোমবার ও মঙ্গলবারে দিল্লিতে তৃণমূলের আন্দোলনের চিত্রটিও যেন কিছুটা একইরকম। কখনও খেলেন পুলিশের তাড়া, কিংবা কখনও অভিষেক সহ সমস্ত সাংসদদের টেনে-হিঁচড়ে, চ্যাংদোলা করে তোলা হয় প্রিজন ভ্যানে। ঠিক যেমনটা চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে করা হয় এ রাজ্যে। দিল্লির পুলিশ যেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলকে মনে করিয়ে দিলেন, 'প্রত্যেক ক্রিয়ার একটি সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে।'
হ্যাঁ, একদিকে নিয়োগ দুর্নীতি জর্জরিত রাজ্য, ঠিক তখনও রাস্তায় বসে কাতরাচ্ছে যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা। তখনও হুশ ফেরে না প্রশাসনের। চ্যাংদোলা করে, কখনও আন্দোলনকারীদের কামড়ে, কখনও রাত বাড়লেই মহিলা-পুরুষ নির্বিশেষে লাঠিচার্জ, সে এক নির্মম অত্যাচার। এই ঘটনা লিখতে গেলেই মনে পড়ে যায়, ক্যা-এনআরসি আন্দোলন চলাকালীন কবি আমির আজিজের লেখা কবিতার দুটি লাইন। 'রাত্রি হলে অধিকার দাবিতে গুলি আর লাঠির বাড়ি, যাদের গায়ে আঘাত তাদেরকেই বলা বদমাইশের ধারি,' আন্দোলন ও প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও লাইন দুটি আজ বড়ই প্রাসঙ্গিক। এভাবেই প্রত্যেকবার বঞ্চনা ও লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। কেউ কখনও তাঁদের কথা শোনেইনি। বরং রাজনীতির আঙিনা বাঁচাতে প্রতিশ্রুতি জুটেছে তাঁদের। ঠিক তেমনই তৃণমূল দিল্লির রাজপথে ধরণা-প্রতিবাদ কর্মসূচি গ্রহণ করলেও কেউই শুনলো না তাঁদের কথা, প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও দেখা মিলল না কেন্দীয় মন্ত্রীর। বরং চ্যাংদোলা করে তোলা হল প্রিজন ভ্যানে।
আবাস যোজনা ও ১০০ দিনের কাজে বকেয়ার দাবি তুলে দিল্লির রাজপথে কর্মসূচি গ্রহণ করে তৃণমূল। চলতি সপ্তাহেই সোমবার অর্থাৎ তৃণমূলের আন্দোলনের প্রথম দিনই কেন্দ্রীয় গ্রাম উন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিং জানিয়েছিলেন, ৫৪ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল আবাস যোজনা খাতে। সেই টাকার হিসাব তৃণমূল দেখাতে পারছেনা। ফলে গিরিরাজ সিংয়ের অভিযোগ সেখানেও টাকার নয়-ছয় হয়েছে। পাশাপাশি জবকার্ডের ক্ষেত্রে ২৫ লক্ষ জবকার্ড ভুয়ো বলে দাবি করেন তিনি।
কেন্দীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে কৃষি ভবনে ধরনা দিলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অন্যান্য সাংদেরও জোরপূর্বক প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। মোটের উপর প্রথম বারের জন্য প্রিজন ভ্যানে ওঠার অভিজ্ঞতা হলো তৃণমূল সেকেন্ড ইন কমান্ডের। এরই প্রতিবাদের সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি দাবি করেন, '৩রা অক্টোবর দেশের জন্য কালো দিন।' প্রশ্ন উঠছে, জোর করে, টেনে-হিঁচড়ে, কামড়ে, লাঠির বাড়ি মেরে বাংলায় প্রতিনিয়ত চাকরিপ্রার্থীদের মারধর করা হয়। ওদের আন্দোলনও তো অধিকারের দাবিতে। ওদের ক্ষেত্রে তবে আপনাকে সরব হতে দেখা যায় না কেন? নাকি আপনি কেবল আপনার সাংসদদের মুখ্যমন্ত্রী! রাজ্যের যোগ্য চাকরিপ্রার্থী কিংবা সমস্ত আপামর জন সাধারণের মুখ্যমন্ত্রী নয়?
দিল্লির যন্তর মন্তরের মঞ্চে মঙ্গলবারও অবস্থান তৃণমূল কংগ্রেসের। সোমবার তৃণমূলের কর্মসূচিতে বারবার বাধা দিয়েছে দিল্লি পুলিস। এদিনও তৃণমূল কর্মীরা রান্নার গ্যাসের দাম, পেট্রোলের দাম, কেন্দ্রের প্রকল্পের টাকা নিয়ে বঞ্চনা-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে প্ল্যাকার্ড ও পোস্টার হাতে যন্তর মন্তরে আসেন।
মঙ্গলবার দুপুর ১টা থেকে যন্তর-মন্তরে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে তৃণমূল। এক্স প্ল্যাটফর্মে তৃণমূল কংগ্রেস লেখে, "সুবিচারের দাবিতে গর্জন করছে বাংলা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ধর্না শুরু হয়েছে। বাংলার মানুষকে অধিকারের দাবিতে লড়াই করার থেকে কেউ আটকাতে পারবে না।"
বাংলার জব কার্ড হোল্ডারদের ১০০ দিনের কাজের টাকা, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিবাদে, একাধিক আর্থিক দাবি নিয়ে রাজধানীর যন্তর মন্তরে এই কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল। এই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে 'মিশন দিল্লি'।
এক সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের ভিত্তিতে সিপিএম-এর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির বাড়িতে পৌঁছল দিল্লি পুলিস। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকাল থেকেই তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
মঙ্গলবার দিল্লির বহু জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে দিল্লি পুলিসের তরফে। সেই সূত্রেই, এদিন ইয়েচুরির বাড়িতে পৌঁছে যায় দিল্লি পুলিসের একটি টিম। সিপিএম নেতা জানিয়েছেন, তাঁর বাড়িতে থাকেন এমন এক কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিস। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তাঁর ল্যাপটপ ও মোবাইল। এই ঘটনার প্রতিবাদ করে ইয়েচুরি জানিয়েছেন, সংবাদমাধ্যমের মুখ বন্ধ করে দিতেই এই ধরনের তল্লাশি চালানো হচ্ছে। কী কারণে এই তল্লাশি, তা স্পষ্টভাবে জানানোর দাবি জানিয়েছেন সিপিএম নেতা।
ভূমিকম্পে (Earthquake) কেঁপে উঠল রাজধানী দিল্লি (Delhi)। সোমবারই উত্তরবঙ্গে কম্পন অনুভূত হয়। আর এর পর আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার কম্পন অনুভূত হল দিল্লি সহ উত্তর ভারতের একাধিক রাজ্যে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬.২। প্রায় ৪০ সেকেন্ড ধরে কম্পন অনুভূত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ফলে এর তীব্রতাও বেশি ছিল। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে রাজধানী দিল্লিতে।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার দুপুর ২টো ২৫ মিনিটে প্রথম কম্পন অনুভূত হয় নেপালে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৬। দ্বিতীয় ভূমিকম্প হয় মঙ্গলবার দুপুর ২টো ৫১ মিনিটে। রিখটার স্কেলে তার মাত্রা ছিল ৬.২। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, ভূমিকম্পের উৎস্থল নেপালের ভাতেখোলা থেকে ২ কিলোমিটার দূরে, মাটির পাঁচ কিলোমিটার কিলোমিটার গভীরে।
দিল্লিবাসীর পাশাপাশি কম্পন অনুভব করেন নয়ডা, ফরিদাবাদ, গুরুগ্রাম, গাজিয়াবাদের বাসিন্দারা। উত্তরাখণ্ডের কিছু অংশেও কম্পন অনুভূত হয়। ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে। যেখানে দেখা গিয়েছে, বহুতল থেকে মানুষ আতঙ্কে রাস্তায় নেমে আসেন। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি।
পার্থ ভৌমিক (সেচমন্ত্রী: প.ব.সরকার ): রাজ্যের প্রাপ্য অর্থ এবং ১০০ দিনের কাজের পাওনার জন্যই আমাদের দিল্লি যাত্রা। দীর্ঘদিন ধরে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের কাছে দরবার করেছেন, নিজে ব্যক্তিগত ভাবে গিয়েছেন। অনুরোধের পরেও রাজ্যের গরিব ১০০ দিনের কর্মীরা যখন তাদের প্রাপ্ত টাকা পায়নি তখনই আমাদের দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক করেছিলেন একেবারে সদলে দিল্লিতে গিয়ে অবস্থান আন্দোলন করবেন। সেই মোতাবেক তিনি বেশ কয়েক মাস আগে জানিয়ে দিয়েছিলেন আমরা তৃণমূলের সর্বস্তরের নেতা কর্মীরা ২ অক্টোবর, মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিনে দিল্লিতে প্রতিবাদ আন্দোলন করবো এবং শুরুটাই হবে গান্ধীঘাট থেকে।
তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় দেখুন, হঠাৎ শেষ মুহূর্তে ৩ তারিখেই কোর্টের নির্দেশে ডেকে পাঠালো কেন্দ্রীয় এজেন্সি। অভিষেক পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছিলেন যে তিনি অপারগ। এরপর আমাদের ভাড়া করা ট্রেন বাতিল করে দেওয়া হলো। বাধ্য হয়েই আমরা বাসের ব্যবস্থা করলাম। আমরা তো ঠিকই করেছিলাম সবাই একসাথে যাবো কিন্তু সিকিউরিটি থেকে এবারে নিষেধ করা হলো। কাজেই অসহায় মানুষগুলিকে বাসে করে দিল্লিতে পাঠাতে হলো। ৪২ ঘণ্টার বাস জার্নি যে অতি কঠিন বিষয় তা আর বলার অবকাশ রাখে না। এর মধ্যে ঝাড়খন্ড এবং বিহারের প্রশাসন যথেষ্ট সহযোগিতা করেছেন, কিন্তু বাধা এলো যোগীর রাজ্যে। শেষ পর্যন্ত ২ অক্টোবর ভোররাতে যখন সবাই দিল্লিতে গিয়ে পৌছালো তখন তাঁদের শরীরে আর কিছুই নেই কিন্তু কেউ তাতে দমে যায়নি।
২ অক্টোবর দুপুরে আমরা গান্ধী স্মৃতিতে পুষ্পাঞ্জলি দিয়ে প্রতিবাদ শুরু করলে দিল্লি পুলিস এসে প্রবল বাধা দেওয়া শুরু করলো। এই পুলিস কিন্তু অমিত শাহের অধীনস্ত। এই বাধা শেষ পর্যন্ত ধাক্কাধাক্কিতে পরিণত হয়। আহত হয় আমাদের কর্মী নেতারা। মোবাইল হারায় কয়েকজন, সুজিত বোসতো যতটাই হারিয়ে ফেললেন ধাক্কায় এবং চোটে। অভিষেকের দিকেও ধেয়ে আসছিলো প্রশাসন। প্রতিবাদের প্রাথমিক কাজ সেরে আমরা ফিরে আসি।
মঙ্গলবার আমাদের সাধারণ সম্পাদক ঠিক করেন যে, এই আহত এবং বিধ্বস্ত মানুষদের আর কষ্ট না দিয়ে তাদের ফেরত পাঠাতে হবে। সেই মোতাবেক যন্তরমন্তরে জমায়েতের পরে তাদের আমরা কলকাতাগামী বাসে তুলে দিয়ে আমরা বিভিন্ন পদে থাকা নেতামন্ত্রীরা মিছিল করে কৃষি ভবনের দিকে যাবো, তাতে আমাদের উপর হামলা হলে হবে। আন্দোলন তো শুরু, এর শেষ দেখতে চাই, জানিয়েছেন অভিষেক। এখন অভিষেক দেশের সমস্ত মিডিয়ার কাছে 'জাতীয় নেতার' উপাধিটা পেয়ে গেলেন, সরকার ও বিরোধী ঐক্যও তাই বলছে।
মঙ্গলবার দিল্লিতে ফের তৃণমূলের ধরনা কর্মসূচি। তবে সেখানে কিছুটা রদবদল ঘটেছে। সকালের পরিবর্তে দুপুরে যন্তর মন্তরের সামনে ধরনা হবে। একইসঙ্গে এদিন, কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী নিরঞ্জন জ্যোতির সঙ্গে কথা বলবেন সাংসদরা।
সোমবার সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনে দলীয় বৈঠকের পর অভিষেক সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, মঙ্গলবার দুপুর ১টা থেকে যন্তর মন্তরে ধরনা কর্মসূচি। সেখানে থাকবেন ১০০ দিনের ‘জব কার্ড হোল্ডার’রা । সঙ্গে থাকবেন তৃণমূলের সাংসদ, মন্ত্রী, বিধায়ক, জেলা পরিষদের সভাধিপতি, সহ-সভাধিপতি, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিরা। এরপর সন্ধে নাগাদ কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। সেখানে রাজ্যের দাবিদাওয়া জানাতে যাবেন তাঁরা। অভিষেক স্পষ্ট জানিয়েছেন, তাঁদের প্রশ্নের যদি যথাযথ উত্তর না দেওয়া হয়, তাহলে পরবর্তী পদক্ষেপ ঘোষনা করবেন তাঁরা।
রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর জন্মবার্ষিকী দিনই ধরনা শুরু করেছে বাংলার শাসক দল। রাজ্যের বকেয়ার পরিসংখ্যান দিয়ে আনা হয় পোস্টার। যদিও এই মঞ্চে কোনও রাজনৈতির স্লোগান দেওয়া যাবে না বলেও সাফ জানিয়ে দেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে দিল্লিতে (Delhi) তৃণমূল (TMC)। মোদী সরকারকে নিশানা করে একাধিক অভিযোগ এনেছে। সোমবার রাজঘাটে ধরনায় বসলেও কিছুক্ষণ পরই সেখান থেকে উঠিয়ে দেয় দিল্লি পুলিস (Delhi Police)। আর এবারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ্যে আনলেন আগামীকালের কর্মসূচি। এছাড়াও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুঁশিয়ারি, মঙ্গলবার দুপুরে যন্তর-মন্তরে প্রতিবাদ সভায় যোগ দেবেন সাধারণ মানুষ, জব কার্ড হোল্ডাররা। দিল্লি পুলিস তাঁদের গায়ে হাত দিলে ছেড়ে দেওয়া হবে না।
সূত্রের খবর, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনে বৈঠকের পড়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় জানিয়েছেন, 'কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রথমে আমাদের সঙ্গে দুপুর ১২টায় দেখা করার কথা জানিয়েছিলেন। পরে ই-মেল করে জানানো হয়, দুপুরে তাঁর সময় হবে না, সন্ধ্যায় দেখা করবেন। তাই দুপুর ১টা থেকে আমরা যন্তর-মন্তরে সভা করব। বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাধারণ মানুষেরা এসেছেন, এই সভায় যোগ দেবেন। তাদের গায়ে দিল্লি পুলিস হাত দিলে পরিণতি ভয়ঙ্কর হবে।'
তিনি আরও জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী তাঁদের সাক্ষাতের সময় দিয়েছেন। সন্ধ্যা ৬টায় কৃষি ভবনে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী নিরঞ্জন জ্যোতির সঙ্গে দেখা করতে যাবে তৃণমূলের এক প্রতিনিধি দল। আগামীকাল তাঁদের প্রতিনিধি দল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে রাজ্যের দাবি জানাতে যাবে। যদি তাঁরা তাঁদের প্রশ্নের জবাব সঠিক ভাবে না পায়, তা হলে মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বেরিয়েই পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলে জানিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে রাজঘাটে প্রায় ঘন্টা দেড়েক প্রতিবাদ কর্মসূচি চলে। হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। অভিযোগ ঠিক সে সময় দিল্লী পুলিশে তরফ থেকে এই ধরণা কর্মসূচি উঠিয়ে নিতে বলা হয়। এরপর হঠাৎই সংসদ এবং তৃণমূল কর্মীদের দিকে লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করতে শুরু করেন দিল্লির পুলিশ এবং সিআরপিএফ জওয়ানরা। এরপরেই তৃণমূলের সঙ্গে অর্থাৎ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বচসা বেঁধে যায় দিল্লি পুলিশের। এরপরই রাজঘাটে ধরনা-অবস্থান থেকে উঠেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সরাসরি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার তিনি বলেন, "শান্তি-সাধনা, কৃচ্ছ সাধনা, জাতির জনকের সংগ্রামের প্রতীক হল রাজঘাট। ২০২১ সাল থেকে ১৫,২০০ কোটি টাকা বাংলার পাওনা রয়েছে। জোর করে টাকা আটকে রেখেছে বিজেপি সরকার। এই বকেয়ার দাবিতে আমরা এই রাজঘাট থেকে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ শুরু করছি।" রাজঘাটে ২ ঘণ্টা শান্তিপূর্ণ অবস্থান করার সময় নেওয়া হয়েছিল জানিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'আমরা রাজঘাটে ১টায় আসি। তাঁকে পুষ্প দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে ১.১০ মিনিট থেকে শান্তিপূর্ণ অবস্থান করি। কিন্তু, ১০ মিনিট অন্তর পুলিশ, সিআরপিএফ, সিআইএসএফ জওয়ানরা এসে মহিলাদের অবস্থান থেকে তোলার চেষ্টা করে, তাদের সঙ্গে ধ্বস্তাধস্তি হয়।'
এপ্রসঙ্গে কেন্দ্রের প্রতি সুর চড়িয়ে অভিষেক বলেন, “গান্ধীজি কারও পৈতৃক সম্পত্তি নয়, সরকারের কেনা সম্পত্তি নয়। গান্ধীজি গোটা দেশের গর্ব। তাঁকে স্মরণ করার সকলের সমান অধিকার আছে। সকলের এই রাজঘাটে এসে বসা, গান্ধীজিকে স্মরণ করা, তাঁর পথকে পাথেয় করে অনুপ্রাণিত হওয়ার অধিকার আছে। আমরাও এসেছি তাঁকে পাথেয় করে আন্দোলন তীব্রতর করার। আমরা কেউ শ্লোগান দিইনি। টাকা ছাড়তে হবে পোস্টার নিয়ে কর্মসূচি করেছি। শান্তিপূর্ণ অবস্থান করেছি। তারপরেও অনেক চেষ্টা করেছে আমাদের আটকানোর, আমরা ২ ঘণ্টা অবস্থান করব বলেছিলাম, তাই করেছি।
কেন্দ্রীয় বিরুদ্ধে ১০০দিনের কাজ এবং আবাস যোজনার টাকা আটকে রাখার অভিযোগ তুলে দিল্লির রাজপথে প্রতিবাদ কর্মসূচি গ্রহণ করে তৃণমূল। আজ অর্থাৎ সোমবার এই কর্মসূচির প্রথম দিনে রাজঘাটে প্রায় ঘন্টা দেড়েক এই প্রতিবাদ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। অভিযোগ ঠিক সে সময় দিল্লি পুলিসের তরফ থেকে এই ধরনা কর্মসূচি উঠিয়ে নিতে বলা হয়। এরপর হঠাৎই সাংসদ এবং তৃণমূল কর্মীদের দিকে লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করতে শুরু করেন দিল্লির পুলিস এবং সিআরপিএফ জওয়ানরা। এরপরেই তৃণমূলের সঙ্গে অর্থাৎ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বচসা বেঁধে যায় দিল্লি পুলিসের। এরপরই ফাঁকা হয়ে যায় তৃণমূলের ধরনা অঞ্চল অর্থাৎ রাজঘাট।
সূত্রের খবর, প্রায় ঘণ্টা দেড়েক ধরনা চলার পর তৃণমূল সাংসদদের উঠে যাওয়ার নির্দেশ দেয় দিল্লি পুুলিস। ৫ মিনিট সময় দেওয়া হয় তাদের। হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় পাঁচ মিনিটের মধ্যে রাজঘাট খালি না করলে, জোর করে বের করে দেওয়া হবে। সেই নির্দেশ মেনেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূল সাংসদরা রাজঘাট থেকে বেরিয়ে এলেও, অভিযোগ হঠাৎ লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করতে শুরু করে সিয়ারপিএফ ও দিল্লি পুলিস।
রাজঘাট থেকে চুরি শান্তনু সেনের মোবাইল ফোন। সোমবার এই অভিযোগ জানিয়ে নিজেই তার সোশ্যাল মাধ্যমে পোস্ট করেন তিনি। সূত্রের খবর, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে সোমবার এবং মঙ্গলবার দুদিনই দিল্লিতে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে শামিল হোন তিনি। অভিযোগ, সোমবার রাজঘাটে প্রতিবাদ কর্মসূচিতেই তার মোবাইল ফোনটি পকেটমারি হয়। এরপরেই তিনি তার সোশ্যাল মাধ্যমে অর্থাৎ ফেসবুকে একটি পোস্ট করে এ ঘটনা জানান। ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, রাজঘাট থেকেই তার বিদেশি কোম্পানির মোবাইলটি পকেটমারি হয়। এরপর অবশ্য সিএন ডিজিটাল এর পক্ষ থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
'কেন্দ্রীয় বঞ্চনা'র অভিযোগে দিল্লির যন্তর মন্তরে (Jantar Mantar) ধরনা দিতে চেয়েছিল রাজ্যের তৃণমূল সরকার। ধরনার জন্য লিখিত আবেদনও দেওয়া হয়েছিল দিল্লি পুলিসের কাছে। শেষ পর্যন্ত তৃণমূলের ধরনার জন্য অনুমতি দেয়নি দিল্লি পুলিস। কিন্তু সেই জায়গাতেই ২০০৯-এর প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীদের আধ ঘণ্টা ধরনা করার ক্ষেত্রে সায় দিয়েছে দিল্লি পুলিস। ফলে সোমবার যন্তর মন্তরে ধরনায় বসেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার ২০০৯ সালের প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা।
কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বাংলার প্রতি বঞ্চনার অভিযোগে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে দিল্লিতে রাজঘাটে আন্দোলনে বসেছে তৃণমূল। ফলে তৃণমূল সাংসদ-বিধায়করা যখন দিল্লির রাজঘাটে ধরনা-বিক্ষোভে সামিল হয়েছে, সেসময় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নিয়োগে বঞ্চনার অভিযোগে মোদী সরকারের দ্বারস্থ হয়ে দিল্লির যন্তর মন্তরে ধরনায় বসেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার ২০০৯ সালের প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁরা এদিন হাতে পোস্টার নিয়ে বিক্ষোভ দেখান। তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁরা ১৪ বছরের বঞ্চনার কথা বলতে এসেছেন দিল্লিতে।
চাকরিপ্রার্থীরা আরও জানিয়েছেন, তাঁরা চাকরির দাবিতে এখানে ধরনায় বসেছেন। বাংলায় একাধিক জায়গায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে দেখা করতে গেলেও তাঁদের লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, গ্রেফতার করা হয়েছে। ফলে তাঁরা এবারে দিল্লি এসেছেন। এমনকি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে যেখানে ধরনায় বসবেন, সেখানেই তাঁরা বিক্ষোভ দেখাবেন বলে জানিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর কাছে লিখিত ভাবে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হবে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।
জঙ্গি (Terrorists) দমনে বড় সাফল্য পেল দিল্লির পুলিস (Delhi Police)। গত মাসেই এনআইএ-এর তরফে জানানো হয়েছিল, দিল্লির বুকে ঘুরে বেড়াচ্ছে তিন আইএস (ISIS) জঙ্গি। তাদের মধ্যেই এক সন্দেহভাজন জঙ্গিকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিসের স্পেশাল সেল। সোমবার সকালে দিল্লি পুলিসের স্পেশাল সেল এনআইএ-এর তালিকাভুক্ত 'মোস্ট ওয়ান্টেড' সন্ত্রাসবাদী শাহনওয়াজ ওরফে শৈফি উজ্জমাকে গ্রেফতার করল। এই শাহনওয়াজের মাথার দাম তিন লক্ষ টাকা ঘোষণা করেছিল এনআইএ। এছাড়াও আরও তিন জন সন্দেহভাজন জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে স্পেশাল সেল।
এনআইএ সূত্রে খবর, বেশ কয়েকদিন ধরেই এই মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গিদের খোঁজার জন্য দিল্লি জুড়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছিল। অবশেষে তাদের মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিসের স্পেশাল সেল। জানা গিয়েছে, উত্তর ভারতে এক বড়সড় সন্ত্রাসবাদী হামলার ছক কষেছিল তারা। কিন্তু সেই ছক বানচাল করেই তাকে গ্রেফতার করতে সফল হয়েছে দিল্লি পুলিস। বর্তমানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, সন্দেহভাজন আইএস জঙ্গি শাহনওয়াজ পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। পরে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আইএসআইএস-এর সঙ্গে যুক্ত হয়।। জানা গিয়েছে, শাহনওয়াজ 'পুনে আইসিস মডিউল' কেসের সঙ্গেও জড়িত ছিল। সেসময় তাকে পুনে পুলিস গ্রেফতার করলেও পরে পালিয়ে গিয়ে দিল্লিতে আশ্রয় নেয়। এর পর আজ দিল্লির গোপন ডেরা থেকেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। যা বড়সড় সাফল্য বলেই মনে করা হচ্ছে।