
প্রতিবেশীর হাতে খুনের অভিযোগ একই পরিবারে দুই জনের। জানা গিয়েছে, প্রতিবেশীর ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মৃত্য়ু হয়েছে ওই দু'জনের। অভিযোগ ঘটনায় আহত আরও এক মহিলা। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত পিন্টু রুইদাস নামের ওই প্রতিবেশী। রবিবার রাতে এই ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার নতুনচটি এলাকায়। বর্তমানে গুরুতর জখম অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে আহত ওই মহিলা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছ, বাঁকুড়া নতুনচটি এলাকায় অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মথুর মোহন দত্তের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জায়গা সংক্রান্ত বিবাদ চলছিল প্রতিবেশী পিন্টু রুইদাসের। রবিবার সন্ধ্যায় সেই ঝামেলা বিশাল আকার নেয়। অভিযোগ, ঝামেলা চলাকালীন পিন্টু রুইদাস নামে ওই প্রতিবেশী ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে অবসরপ্রাপ্ত ওই শিক্ষকের পরিবারের সদস্য়ের উপর। এরপর খবর পেয়ে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় মথুর বাবু ও তাঁর স্ত্রী ও ছেলেকে উদ্ধার করে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করে।
এরপর বাঁকুড়া মেডিক্যালে চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যু হল মথুর মোহন দত্ত ও তাঁর ছেলে শ্রীধর দত্তের। গুরুতর জখম অবস্থায় এখনও চিকিৎসাধীন মৃত মথুর বাবুর স্ত্রী। জমি সংক্রান্ত বিবাদ নাকি অন্য় কোনও কারণ রয়েছে এর পিছনে তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিস।
পাড়ার মধ্য়ে অবস্থিত মদের কাউন্টার। আর সেই মদ খেয়ে এক ব্য়ক্তির মৃত্য়ুর অভিযোগ উঠেছে। রবিবার সকালে এই খবর চাউর হতেই এলাকাবাসী এবং মহিলারা একজোট হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে মদের কাউন্টারের সামনে। ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার অন্তর্গত দেপাড়ায়। এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য় কৃষ্ণনগর শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে পাঠায়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে এই মদের কাউন্টারের জন্য এলাকায় দুষ্কৃতীমূলক কার্যকলাপ বেড়ে চলেছে। এবং এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্ট হচ্ছে। অভিযোগ, এর আগেও এই এলাকায় ওই মদের কাউন্টারের মদ খেয়ে মৃত্যু হয়েছে বেশ কয়েকজনের।
পাশাপাশি এলাকার মহিলারা মদের কাউন্টার বন্ধ করার দাবি জানিয়ে মদের কাউন্টারের সামনে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। এরপর ঘটনাস্থলে কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার পুলিস গিয়ে অবরোধ তোলে এবং ঘটনার সামাল দেয়। মদ খেয়ে মৃত্য়ু নাকি অন্য় কোনও কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
ফের জাতীয় সড়কে ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। বেপরোয়া লরির ধাক্কায় মৃত্য়ু হল এক যুবকের। সেই সঙ্গে আহত আরও দুই যুবক। রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের জাতীয় সড়কে। জানা গিয়েছে, মৃত ওই যুবকের নাম আদিল মমিন (১৮)। বাড়ি উত্তর দারিয়াপুর মোমিন পাড়ায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে কালিয়াচক থানার পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য় পাঠায়।
প্রত্য়ক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এদিন সকালে জাতীয় সড়কের ওপর একটি বাস দাঁড়িয়ে ছিল। সেই সময় পিছন দিক থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দ্রুত গতিতে একটি আলু বোঝাই লরি এসে ধাক্কা মারে ওই বাসটিকে। বাসটিকে ধাক্কা মারার পর বাসের সঙ্গে লরিটিও পাশের গর্তে পড়ে যায়। আর সেই সময় প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিল আদিল মমিন। তখনই লরির ধাক্কা লেগে ঘটনাস্থলে মৃত্য়ু হয় তাঁর।
এরপর স্থানীয়রা ছুটে এসে আহত ওই দুই যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। বর্তমানে জখম ওই দুই যুবক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
চিকিৎসার গাফিলতিতে প্রসূতি মৃত্য়ুর অভিযোগ। ঘটনাকে ঘিরে নার্সিংহোমের চত্বরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে মৃতের আত্মীয়স্বজন। বুধবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙ্গা থানার অন্তর্গত মছলন্দপুরে একটি নার্সিংহোমে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছড়িয়েছে ব্য়পক উত্তেজনা। জানা গিয়েছে, মৃত প্রসূতির নাম মোমিনা বিবি। বাড়ি স্বরূপনগর থানার উত্তর কাজদহ এলাকায়। এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গোবরডাঙা থানার বিশাল পুলিস বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে আনুমানিক ৯:৩০ টা নাগাদ নার্সিংহোমে ভর্তি হন ওই গর্ভবতী মহিলা। এরপর বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ একটি শিশু কন্যার জন্ম দেন তিনি। তারপরে ওই মহিলার অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁর বাড়ির লোকেরা নার্সিংহোমের কর্তৃপক্ষকে জানায়। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানানো হলেও নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসকরা এবং নার্সেরা কোনোভাবেই কথা শোনে না বলে অভিযোগ মৃতের পরিবারের তরফ থেকে। এরপর বুধবার সন্ধ্যায় ওই গর্ভবতী মহিলার মৃত্যু হয় কিন্তু নার্সিংহোমের তরফ থেকে সেই মৃত্যুর খবর দেওয়া না বলে অভিযোগ পরিবারের।
সাতসকালে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা। গাড়ির ধাক্কায় মৃত্য়ু হল এক স্কুটি চালকের। ঘটনার পর থেকে পলাতক ঘাতক গাড়ি সহ গাড়ি চালক। বৃহস্পতিবার সকালে এই মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে মহেশতলা সম্প্রীতি উড়ালপুলে। পুলিশ সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত মৃত ব্য়ক্তির পরিচয় জানা যায়নি। তবে ইতিমধ্য়ে ঘাতক গাড়ি ও গাড়ি চালকের খোঁজ তল্লাশি শুরু করেছে পুলিস।
প্রত্য়ক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এদিন সকালে উড়ালপুলের উপরে বাটা মোড়ের দিক থেকে কলকাতা যাওয়ার পথে পুরোনো ডাকঘরের কাছে ওই ব্য়ক্তির স্কুটির টায়ার ফেটে যায়। এরপর ওই স্কুটি চালক তাঁর স্কুটি টিকে নিয়ে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলতে থাকে। ঠিক সেই সময় কলকাতার দিক থেকে আসা দ্রুতগামী একটি গাড়ি ধাক্কা মারে ওই স্কুটি চালককে। গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়ে রক্তাক্ত অবস্থাতে ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়ে ওই স্কুটি চালক।
এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে মহেশতলা থানা ও ট্রাফিক গার্ডের পুলিস যায়। তারপর ওই স্কুটি চালকের মৃতদেহটি উদ্ধার করে বেহালার বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
জাতীয় সড়কে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা। মোটরভ্য়ানের সঙ্গে ডাম্পারের সংঘর্ষে মৃত্যু হল চার জনের। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের হুগলির গুড়াপ থানার কংসারিপুর মোড়ে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতরা হলেন জীবনদীপ বাউল দাস (২৬), মঙ্গলদীপ বাউল দাস (৩২), বিশ্বজিৎ রায় (৩৫) এবং দিবাকর সিং (২২)। তাঁদের প্রত্যেকের বাড়ি হুগলির গুড়াপ থানার সিয়াপুর গ্রামে।
জানা গিয়েছে, এদিন সকালে ওই চারজন মিলে মোটরভ্য়ানে করে কাজে বেরিয়েছিলেন। সেই সময় দ্রুতগামী একটি ডাম্পার সজোরে এসে ধাক্কা মারে তাঁদের ভ্য়ানটিকে। দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয় ওই চারজন। এরপর গুরুতর জখম অবস্থায় ওই চারজনকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিস এসে মৃতদেহগুলির ময়নাতদন্তের জন্য় বর্ধমান মেডিকেল কলেজের পুলিস মর্গে পাঠিয়ে দেয়।
হাসপাতালে রোগীর অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল হুগলির গৌরহাটি ইএসআই হাসপাতালে। হাসপাতালের গাফিলতির কারণেই রোগী মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার সকালে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিক্ষোভ দেখান মৃতের আত্মীয়স্বজন। এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ভদ্রেশ্বর চন্দননগর থানার পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুঁচুড়া সদর হাসপাতালে পাঠায়। ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্ত করা হবে বলে পুলিস সূত্রে খবর।
জানা গিয়েছে, মৃতের নাম রবীন সিং (১৯)। বাড়ি ভদ্রেশ্বর বাবুবাজার এলাকায়। পেটে সংক্রমন হওয়ায় গত ১২ নভেম্বর ভর্তি হয় গৌরহাটি ই এস আই হাসপাতালে। এরপর গৌরহাটি থেকে বজবজ জগন্নাথ মেমোরিয়াল হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁকে। তারপর ১৯ তারিখ সেখানেই অস্ত্রোপচার হয়। অবজারভেশনের জন্য আবার গতকাল অর্থাৎ সোমবার রাত আটটা নাগাদ গৌরহাটিতে ভর্তি করানো হয় তাঁকে। এরপর রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ ওই যুবকের পরিবারকে ফোন করে জানানো হয় তাঁর অবস্থা খারাপ। হাসপাতালে এলে জানানো হয় আত্মহত্যা করেছে রবীন।
হাসপাতালের এইচ ডি ইউ-২ বেডে ভর্তি ছিলেন ওই যুবক। সেই বেডের পর্দা টাঙানোর অ্যালুমিয়ান বারে গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস দেন বলে দাবি কর্তব্যরত নার্স ও হাসপাতাল কর্মীদের। পরিবারের অভিযোগ, রোগীর জন্য আয়া রাখা ছিল, তা সত্ত্বেও কিভাবে এমন ঘটনা ঘটল..? এমনকি এইচ ডি ইউ এর ভিতর যেখানে স্পেশাল কেয়ার থাকে সেখানে একজন রোগী কি করে আত্মহত্যা করল তা নিয়ে হাসপাতালের নজরদারির উপর উঠছে নানা প্রশ্ন।হাসপাতালের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগের ভিত্তিতে গোটা ঘটনার তদন্তের দাবি মৃতের পরিবারের।
উত্তরবঙ্গে ফের ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হাতির। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলের ভিতর ওয়েস্ট রাজাভাতখাওয়া রেঞ্জে একই সঙ্গে মৃত্যু হল তিনটি হাতির। সোমবার সকালে আলিপুরদুয়ার থেকে শিলিগুড়িগামী একটি পার্সেল ট্রেনের সামনে আচমকা চলে আসে হাতির দলটি। রাজাভাতখাওয়া ও কালচিনি রেলস্টেশনের মাঝে প্রাণ গেল তাদের।
সোমবার সকালে আলিপুরদুয়ার থেকে শিলিগুড়ির একটি মালগাড়ি যাচ্ছিল। সেই সময় শাবককে সঙ্গে নিয়ে একটি পূর্ণবয়স্ক ও একটি মাঝবয়সী হাতি রেললাইন পারাপার করছিল। মালগাড়ির ধাক্কায় ছিটকে পড়ে তিনটি হাতি। খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছন রেল এবং বনদফতর ও রেলের উচ্চ আধিকারিকরা। তিনটি হাতির দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। এই ঘটনার জেরে বেশ কিছুক্ষণ রেল চলাচল ব্যাহত হয়।
ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিস। এভাবে ট্রেনের ধাক্কায় বারংবার হাতি মৃত্যুর ঘটনায় চিন্তিত বনদফতর। রেলের তরফে নয়া প্রযুক্তি প্রয়োগ করে হাতি মৃত্যু আটকানোর চেষ্টা করা হয়েছে। রেললাইনের পাশে ইনট্রুশন ডিটেকশন সিস্টেম লাগানোর ব্যবস্থা করা হয়। এটি মূলত এক ধরনের থার্মাল ডিভাইস। রেললাইনের কাছাকাছি কোনও হাতি এলে তার শরীরের তাপমাত্রা সেন্স করবে এই ডিভাইস। তখনই গাড়ির চালক সতর্ক হয়ে যাবেন। হাতি কাছাকাছি থাকলে ৩০ ফুটের মধ্যে এই ডিভাইস কাজ করে। এই ডিভাইসের জন্য নিকটবর্তী স্টেশনে অ্যালার্ম বেজে উঠবে। এক্ষেত্রে কেন মালগাড়ির চালক আগে থেকে বুঝতে পারলেন না তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। মালগাড়ির চালক মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
শহরের বুকে ফের প্রকাশ্যে খুন। রাজ্যজুড়ে একের পর এক খুন। শনিবার চিংড়িঘাটার খুনের পর এবারে খুন এক বৃদ্ধ। জানা গিয়েছে, এক বৃদ্ধকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল তাঁরই আত্মীয়ের বিরুদ্ধে। সোমবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার তাড়দহ কাপাসহাটি এলাকায়। পুলিস জানিয়েছে, মৃত ওই ব্যক্তির নাম ভোলা শেখ (৬৭)। তাঁর বাড়ি ওই এলাকায়। এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়নি। রাজ্যজুড়ে খুনের ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রশ্ন উঠছে নিরাপত্তা নিয়ে।
জানা গিয়েছে, ভোরবেলা নামাজ পড়ে বাজারে চা খেতে যাওয়ার সময় ভোলা শেখকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। অভিযোগ তাঁরই আত্মীয়ের বিরুদ্ধে। পুলিস সূত্রে খবর, অভিযুক্ত সম্পর্কে মৃতের ভাগ্নি জামাই জাকির শেখ। ঘটনার পর থেকেই পলাতক সে। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই এলাকার বাসিন্দা ভোলা শেখ প্রতিদিনের ন্যায় এদিন ভোরবেলা নামাজ পড়ে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন বাজারে চা খেতে যাওয়ার জন্য। অভিযোগ, সেই সময় তাঁরই ভাগ্নি জামাই ধারালো অস্ত্র দিয়ে রাস্তায় ফেলে কুপিয়ে খুন করে তাঁকে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিস জানতে পেরেছে ভোলা শেখের সঙ্গে জাকির শেখের পারিবারিক বিবাদ রয়েছে। সেই আক্রোশের কারণেই খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান।
সাতসকালে গতির বলি এক বাইক আরোহী। অভিযোগ, মর্মান্তিক এই পথ দুর্ঘটনায় বাইক আরোহীকে প্রায় ১৫০ মিটার হিঁচড়ে নিয়ে গেল লরি। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর থানার মাজুরিয়া মোড় সংলগ্ন এলাকায় ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে। পুলিস সূত্রে খবর, মৃতের নাম সঞ্জীব কর। বয়স আনুমানিক ৪৬ বছর।
মৃতের আত্মীয়রা জানিয়েছেন, বিষ্ণুপুর থানার ফুলবনি এলাকার বাসিন্দা সঞ্জীব কর সোমবার ভোরে মোটরবাইকে করে ইসকন মন্দিরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বিষ্ণুপুর যাচ্ছিলেন।বাঁকাদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের মাজুরিয়া মোড় সংলগ্ন এলাকায় বিষ্ণুপুর থেকে গরবেতার দিকে যাওয়া একটি চৌদ্দ চাকার লরি দ্রুত গতিতে এসে ধাক্কা মারে বাইকটিতে।বাইকে থাকা দ্বিতীয় ব্যক্তি ছিটকে পড়ে ফুটপাতে এবং বাইক ও বাইক চালককে লরিটি সামনের চাকায় হিঁচড়ে নিয়ে যায় প্রায় দেড়শ মিটার। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সঞ্জীবের। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিষ্ণুপুর থানার পুলিস। মৃত ব্যক্তিকে আনা হয় বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য। ঘাতক লরিটিকে আটক করেছে পুলিস।
আবারও ভিন রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে মৃত্যু হল এক পরিযায়ী শ্রমিকের। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরের কোম্পানিছাড় এলাকায়। জানা গিয়েছে, মৃত শ্রমিকের নাম সঞ্জয় মাইতি।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার বাড়ি থেকে অসমের করিমগঞ্জে বোরিং-এর কাজে গিয়েছিলেন সঞ্জয় মাইতি। বৃহস্পতিবার কাজ শেষ করে তার পাশেই বিকেলে তাবু টাঙিয়ে রাতে ছিলেন তিনি। তারপর রাস্তার পাশ দিয়ে একটি সিমেন্টভর্তি ট্রাক যাওয়ার পথে হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওই তাবুর ওপরে গিয়ে পড়ে। গুরুতর জখম অবস্থায় ওই শ্রমিককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
রবিবার ওই পরিযায়ী শ্রমিকের মৃতদেহ তাঁর বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবকের পরিবারে একমাত্র রোজগেরে সদস্য ছিলেন ওই শ্রমিক। এই মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়।
উল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদে কয়েকদিন আগেই দিল্লিতে কাজ করতে গিয়ে মৃত্যু হয় এক পরিযায়ী শ্রমিকের। মাস চারেক আগে বাড়ি থেকে দিল্লীতে রাজমিস্ত্রির কাজ করতে যান সফিকুল নামের ওই শ্রমিক। সেখানে কাজ করতে গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হয় তাঁর। একের পর এক পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যুতে স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়াচ্ছে।
বেপরোয়া বালি বোঝাই লরির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক স্কুটার আরোহীর। ঘটনার পর থেকে পলাতক ঘাতক গাড়ির চালক। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ থানার চাঁদা পাঁচ মাইল এলাকায়। পুলিস সূত্রে খবর মৃত স্কুটার চালকের নাম গোপাল বিশ্বাস (৩০)। মৃত গোপাল বিশ্বাস বাগদা থানার বেয়ারা এলাকার বাসিন্দা। গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে গাড়াপোতার দিক থেকে বনগাঁর দিকে যাচ্ছিল ওই স্কুটার আরোহী। সেই সময় পাঁচ মাইল এলাকায় বনগাঁর দিক থেকে আসা বালি বোঝাই লরি তাঁকে ধাক্কা মারে। লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় তাঁর। এরপর স্থানীয়রা এসে দেখে স্কুটারের পাশে মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে ওই যুবক। খবর দেওয়া হয় বনগাঁ থানার পুলিসকে। দুর্ঘটনার পর কিছুসময়ের জন্য যানচলাচল বন্ধ থাকলেও পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে বনগাঁ থানার পুলিস যাওয়ার পর পরিস্থিতি আবার স্বাভাবিক হয়। পুলিস মৃতদেহটিকে উদ্ধার করে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। ইতিমধ্যে ঘাতক গাড়িটিকে আটক করেছে বনগাঁ থানার পুলিস এবং অভিযুক্ত লরি চালকের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিস।
পরিকল্পনা ছিল পাকা বাড়ি তৈরী করার। কিন্তু তার আগেই ধসে পড়ল মাটির দোতলা বাড়ি। আর সেই মাটির বাড়ির দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হল এক মহিলার। ঘটনায় আহত আরও দুইজন মহিলা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে খন্ডঘোষের পূর্বচক গ্রামে। জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার নাম জুলেখা বেগমকে (৩০)। বর্তমানে আহত ওই দুজন মহিলা বর্ধমান হাসপাতালে জরুরী বিভাগে চিকিৎসাধীন। তবে তাঁদের দুজনের অবস্থা এখন স্থিতিশীল বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, খণ্ডঘোষের পূর্বাচক গ্রামের শেখ হাবিবুর ইসলামের দোতলা বাড়ির নীচের তলার ঘরের মেঝে পাকা করার কাজ চলছিল। সেই জন্য বাড়ির চারদিকে মাটি খোঁড়া হয়েছিল। তাই ঘরের দোতলা থেকে আসবাবপত্র নামাতে গিয়েছিলেন ওই বাড়ির চারজন মহিলা। সেই সময় হঠাৎ দেওয়াল থেকে ঝুরঝুর করে মাটি পড়তে দেখে তাঁরা তড়িঘড়ি সিঁড়ি দিয়ে নামছিলেন। আর তখনই সিঁড়ি সমেত মাটির বাড়ির একাংশ চাপা পড়ে যান তিন মহিলা।একজন কোনওরকমে পালিয়ে যেতে পারলেও বাকি তিনজন পালাতে না পেরে আটকে পড়ে।
এরপর খবর পেয়ে পুলিস ও স্থানীয়রা গিয়ে তড়িঘড়ি ওই তিনজন মহিলাকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। তারপর হাসপাতালের চিকিৎসক ওই তিনজন মহিলার মধ্যে একজনকে মৃত বলে জানায়। এই ঘটনাকে ঘিরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যুর ঘটনার পর কেটে গিয়েছে তিন মাস। মেলেনি কোনো সুবিচার। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে আলাদা করে তদন্ত করা হলেও এখনও পর্যন্ত হয়নি কোনও সমাধান। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় ১২ জন পড়ুয়া এবং প্রাক্তনী জেলে থাকলেও রহস্য অধরাই থেকে গিয়েছে। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফেও দোষীদের বিরুদ্ধে কোনোরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। একাধিক বার বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসি বৈঠক হলেও সেখানে এই ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার কোনও উল্লেখ নেই। এই নিয়েই ফের সোচ্চার হয়েছেন সেখানকার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমন কল্যাণ লাহিড়ী।
এর আগেও তিনি অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে চিঠি লিখেছেন। সেখানেও তিনি সুবিচার চেয়ে এমন দীর্ঘসূত্রীতার কারণ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি সেখানে দোষীদের আড়াল কেন করা হচ্ছে- এ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। কিন্তু তার কোনও সদুত্তর আসেনি বলেই দাবি করেছেন ইমন কল্যাণ লাহিড়ী। আর ঠিক এই কারণেই সুবিচারের আশায় বসেছেন অনশনে। প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্ববিদ্যালয় এর ভূমিকা নিয়ে। বৃহস্পতিবার ফের রেজিস্ট্রার-এর কাছে ডেপুটেশন দিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের একাংশ। শুক্রবার রয়েছে ইসি বৈঠক। তার আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল প্রশাসনিক ভবনে এক অধ্যাপকের এরকম একটি গুরুতর বিষয়ে অনশনে বসা খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকেই। ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক অফিসারকে নিয়ে উঠেছিল প্রশ্ন । প্রশ্ন উঠেছিল ডিন অফ স্টুডেন্টস এর ভূমিকা নিয়েও । তিন মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পরও ন্যায় বিচার না মেলায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে ফের উঠছে প্রশ্ন।
অন্যদিকে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্যের দাবি, দোষী সাব্যস্ত হওয়া সেই ১২ জনের সঙ্গে কথা বলা যায়নি, আদালতে আমরা আবেদন করব যাতে তাদের সঙ্গেও কথা বলা যায়। একটা শাস্তি তাদের দেওয়া হয়েছে। যত দিন আদালত তাদের নির্দোষ না বলবে, তারা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবে না। অন্যদিকে অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি ও স্কোয়াড সহ অভ্যন্তরীণ যে অন্তঃকমিটি তদন্ত করছিল, তাঁদের ঘাড়েই দায় ঠেললেন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ । এর আগেও না কি তদন্ত কমিটির রিপোর্টে সন্তুষ্ট হতে পারেননি উপাচার্য। তবে অধ্যাপক ইমন কল্যাণ লাহিড়ী জানিয়েছেন, যতদিন না ন্যায়বিচার মিলবে ততদিন তিনি অনশন করে যাবেন। তাঁর সঙ্গে যোগ দিয়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েরই পড়ুয়া এবং অধ্যাপকের একাংশ। ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় কেটে গেছে তিন মাস। আর কত মাস পরে এই রহস্যমৃত্যুর সমাধান হয় বা আদৌ হয় কি না, সেটাই দেখার।
গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক যুবকের। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জ শহরের শিলিগুড়ি মোর সংলগ্ন ৩৪ নং জাতীয় সড়কের উপরে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম জিৎ রায়। বাড়ি রায়গঞ্জের রায়পুর এলাকায়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের অনুমান, ছেলেটি আত্মহত্যা করেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, অনেকক্ষণ থেকেই ছেলেটি বিভিন্ন চলন্ত গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করছিলেন। সেই সময় তাঁর বন্ধুরা বার বার করে তাঁকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু শেষমেশ সে আচমকাই একটি চলন্ত গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে পড়ে। তারপর গাড়ির ধাক্কায় ছিটকে গিয়ে পড়ে ওই যুবক। যার জেরে ঘটনাস্থলে মৃত্য়ু হয় তাঁর। এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়।
যদিও কী কারণে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল ওই যুবক তা এখনও স্পষ্ট নয়। আত্মহত্য়া নাকি এর নেপথ্য়ে অন্য় কোনও কারণ তা জানতে ইতিমধ্য়ে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।