না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন 'সিআইডি' (CID) খ্যাত অভিনেতা দিনেশ ফড়নিশ (Dinesh Phadnis)। বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। কিন্তু আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন 'সিআইডি'-এর 'ইন্সপেক্টর ফ্রেডরিকস'। জানা গিয়েছে, 'লিভার ফেলিওর'-এর ফলে মুম্বইয়ের এক হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর।
জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এর পরই তাঁকে মুম্বইয়ের এক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু মঙ্গলবার সকালেই জানা গেল, কিডন ফেলিওর হয়ে তাঁর মৃ্ত্যু হয়েছে। এদিন দিনেশের সিআইডি সহ-অভিনেতা দয়ানন্দ শেঠি, যিনি শোতে দয়ার চরিত্রে অভিনয় করেছেন, তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। দয়া বলেন, 'রাত ১২.০৮ মিনিটে দিনেশ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।'
অভিনেতাকে শনিবার মধ্যরাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ায় মুম্বইয়ের তুঙ্গা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু এর পরই জানা গিয়েছিল, তাঁর মাল্টি ওরগ্যান ফেলিওর হয়েছে। তবে তাঁর চিকিৎসা চলাকালীন সবাই আশাবাদী ছিলেন যে, তিনি ফের ফিরে এসে সবার মুখে হাসি ফোটাবেন। কিন্তু তা আর হল না। চিরঘুমের দেশে পাড়ি দিলেন তিনি। 'সিআইডি'-তে অভিনয় করে মানুষের মন জয় করে নিয়েছিলেন তিনি। জানা গিয়েছে, তাঁর শেষকৃত্য মুম্বইয়েই হবে। তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ তাঁর সহ অভিনেতারা।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে। সেই সংক্রান্ত একটি তালিকা তৈরি করে ইতিমধ্যে নবান্নে জমা করেছে রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতর। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী চেয়ার, টেবিলের পাশাপাশি একাধিক স্কুলের ওয়াশ বেসিনও উধাও হয়ে গেছে।
যে কোনও নির্বাচনের পর স্কুল ও কলেজের কোনও ক্ষয়ক্ষতি হলে তা দ্রুত ক্ষতিপূরণ দেয় নির্বাচন কমিশন। একই ভাবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ক্ষতিক্ষতির বিষয়ে জানাতে জেলাগুলিকে এবিষয়ে নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তারপরেই শিক্ষা দফতর একটি রিপোর্ট তৈরি করে নবান্নে পাঠিয়েছে।
ওই রিপোর্ট অনুযায়ী সবথেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলায়। একাধিক স্কুলের ফ্যান, লাইট, ইলেকট্রিক তারের কেসিং উধাও হয়ে গিয়েছে। এছাড়াও বাথরুমের প্যান, ওয়াশ বেসিন, মগ, হাইবেঞ্চ, লো বেঞ্চ নিয়ে চম্পট দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। স্কুল শিক্ষা দফতর জানিয়েছে পঞ্চায়েত ভোটের জেরে মোট ৩৬ লাখ ৫৭ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। তা দ্রুত মেটাতে নবান্নকে অনুরোধ করা হয়েছে।
একটা দুর্ঘটনা, তাতে রেলের ক্ষতি কত ? শুক্রবারের ঘটনার হিসাব-নিকেশ কষতে বসে রেল কর্তারা জানিয়েছেন, আপাতত ২৪ কোটি টাকার ধাক্কা খেয়েছে ভারতীয় রেল। ওড়িশায় বালেশ্বরে করমণ্ডল দুর্ঘটনায় এটা প্রাথমিক রিপোর্ট বলেই দাবি করা হয়েছে। দিন যত বাড়বে, খরচ আরও বাড়তে পারে বলেই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত আধুনিক কোচ সম্বলিত দুই সুপারফার্স্ট ট্রেন। তার সঙ্গে রয়েছে মালগাড়ি। দুটি ট্রেনের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১৬ কোটি টাকা। সঙ্গে আরও সাড়ে তিন কোটি টাকার বেশি ধাক্কা লেগেছে মালগাড়ির ক্ষেত্রে।
এদিকে, রবিবার রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের আশা প্রকাশ করে দাবি করেছেন, আগামী বুধবার থেকে বালেশ্বরের উপর দিয়ে যেতে পারবে কলকাতায় থেকে দক্ষিণ ভারত ও পুরীগামী ট্রেন। শনিবারই এই ঘটনার জন্য সিগন্যালিং ব্যবস্থাকেই প্রাথমিক রিপোর্টে দায়ী করেছিল রেল। রবিবার কার্যত তাতেই সিলমোহর বসালেন রেলমন্ত্রী। দাবি করলেন করমণ্ডল দুর্ঘটনার মূল কারণ, এবং এর পিছনে কারা, তাদের চিহ্নিত করাা গিয়েছে। তবে, এর থেকে বেশি আর কিছুই বলতে চাননি তিনি। তবে জানিয়েছেন, রিপোর্ট খুব দ্রুতই পেশ করা হবে। এদিনও বেশ কয়েকটি দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল করেছে দক্ষিণ-পূর্ব রেল।
রবিবার সকালেই এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দক্ষিণ-পূর্ব রেল দাবি করে খুব তাড়াতাড়ি হলেও মঙ্গলবারের আগে লাইন মেরামতির কাজ শেষ হবে না। তাও তারা চেষ্টা করছে দ্রুত এই কাজ শেষ করতে। বেলায় ফের ঘটনাস্থলে যান রেলমন্ত্রী। গোটা এলাকা ঘুরে তিনি জানান, সবকিছু ঠিক থাকলে বুধবার সকাল থেকে পরিষেবা স্বাভাবিক হতে পারে। কারণ, দিনরাত এক করে রেলের এক হাজারের বেশি শ্রমিক লাইন মেরামতির কাজ করেছেন।