পাচারের আগেই উদ্ধার বিপুল পরিমাণ টাকা সহ নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ। ঘটনায় আটক দুই অভিযুক্ত। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতা পুলিসের এসটিএফ এবং নারকটিক্স বিভাগের কাছে। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা হল আশরাফুল এবং প্রজাপতি নামে দুই ব্যক্তি। যদিও পরে আশরাফুলকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
পুলিস সূত্রে খবর, গতকাল অর্থাৎ শনিবার সকাল ১০ টা নাগাদ এসটিএফ এবং নারকটিক্স বিভাগের যৌথ বাহিনীর কাছে নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে ৭৬ এ এপিসি রোডে অভিযান চালায়। তারপর সেখানের একটি ঘর থেকে ১০০ ইমেল করে ৩৬০০ বোতল নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ উদ্ধার হয়। সকালে-সন্ধ্য়া প্রচুর পরিমাণে বাক্স বাইরে থেকে আসত বলে জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।
এরপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর ৩৬০০ টি নিষিদ্ধ কাফ সিরাপের বোতল উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়। পাশের আরও একটি ঘরে তল্লাশি চালিয়ে সেখান থেকে ৪২ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা উদ্ধার করে পুলিস। সম্পূর্ণ ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে এসটিএফ এবং লালবাজারের নারকটিক্স বিভাগ
বিএসএফ এর গুলিতে মৃত্যু হল এক বাংলাদেশি পাচারকারীর। বুধবার নদিয়ার ভীমপুর থানার অন্তর্গত রাঙিয়া পোতা ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ঘটনাটি ঘটেছে। এখনও মৃতের পরিচয় পাওয়া যায়নি। বয়স আনুমানিক ৪০ বছর। বিএসএফ মৃতদেহটি কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে, চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
সূত্রের খবর, বুধবার মাঝরাতে একদল বাংলাদেশি ভারতের ভীমপুর থানার রানিয়াপোতা বি ও পি অধীনস্থ এলাকা দিয়ে প্রবেশ করতে যাচ্ছিল। তখন ওই এলাকায় কর্মরত এক বিএসএফ কর্মী বাধা দিতে গেলে তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ চালাতে যায়। এরপর ওই বিএসএফ কর্মী গুলি চালাতে শুরু করে। সেই সময় পালাতে গিয়ে বিএসএফের গুলিতে জখম হয় একজন।
এরপর আরও বিএসএফ কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে ওই এলাকার তল্লাশি চালায়। তখন সেই সময় একটি ঝোপের মধ্যে ওই ব্যক্তিকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। সেখান থেকে তাঁকে উদ্ধার করে বিএসএফ কর্মীরা এবং তল্লাশি চালাতের উদ্ধার হয় এক বস্তা নিষিদ্ধ কাশির সিরাপ। তারপর মৃতদেহ পুলিসমর্গে নিয়ে যাওয়া হয় ময়নাতদন্তের জন্য। বিএসএফের পক্ষ থেকে ভীমপুর থানায় সীমান্ত দিয়ে নিষিদ্ধ মাদক পাচারকারী হিসেবে একটি মামলা রজু করা হয়। ওই ব্যক্তির পরিচয় কী এবং নিষিদ্ধ সিরাপ পাচারচক্রে আর কারা কারা ছিল সমস্তটা জানার চেষ্টা করছে ভীমপুর থানা পুলিস।
নিষিদ্ধ (Banned) কাফ সিরাপ (Cough Syrup) সহ ১ ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার (Arrest) করল পুলিস। গোপালনগর থানা এলাকার ঘটনা (Police)। সূত্রের খবর, উত্তর ২৪ পরগনা (North 24 Prganas) গোপালনগর থানার পুলিশ বৈরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতর সনেকপুর চোঙ্গরদা বিল এলাকার ঘটনা। ধৃতকে শনিবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিস সূত্রে খবর, ধৃতর নাম পরিতোষ দে। উত্তর ২৪ পরগনা গোপালনগর থানার পুলিস বৈরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতর সনেকপুর চোঙ্গরদা বিল এলাকা থেকে চলতি মাসের গত ৯ তারিখে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিস জানিয়েছে, প্রথমে ধৃতর কাছ থেকে উদ্ধার হয় ৩০০ বোতল নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ। তবে অনেক জিজ্ঞাসাবাদের পর আরও ৫ হাজার বোতল নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ উদ্ধার করেছে পুলিস। পুলিস সূত্রে খবর, মোট ৫০০ বোতল নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধার হওয়া কাফ সিরাপের আনুমানিক বাজার মূল্য ১২ লক্ষ টাকা।
এই বিষয়ে বনগাঁ পুলিস জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার সজল কান্তি বিশ্বাস শনিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান, গোপালনগর থানার ওসির নেতৃত্বে এই বিপুল পরিমাণ কাফ সিরাপ উদ্ধার হয়েছে। গ্রেফতার হওয়া কাফ সিরাপ ব্যবসায়ী আন্তর্জাতিক পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ফের বড় সাফল্য বিএসএফের (BSF)। সীমান্তে (North 24 Parganas) চার কেজি গাঁজা (Weed) ও নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ (Banned Cough Syrup) উদ্ধার করল বিএসএফ। উদ্ধার হওয়া গাঁজা ও কাফ সিরাপের বাজারমূল্য প্রায় ২ লক্ষ টাকা। তবে এই ঘটনায় পলাতক পাচারকারী। উদ্ধার হওয়া গাঁজা ও কাফ সিরাপ তেঁতুলিয়া শুল্ক দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। বসিরহাটের স্বরূপনগর থানার বালতি-নিত্যানন্দকাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ভারত-বাংলাদেশ আমুদিয়া সীমান্তের ঘটনা।
জানা গিয়েছে, বসিরহাটের স্বরূপনগর থানার বালতি-নিত্যানন্দকাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ভারত-বাংলাদেশ আমুদিয়া সীমান্ত দিয়ে চার কেজি গাঁজা ও ৯৫ বোতল নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ ফেন্সিডিল বাংলাদেশে পাচারের চেষ্টা করছিল পাচারকারীরা। সেই সময়ই সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানদের নজরে আসে এই কর্মকাণ্ডটি। তবে কর্তব্যরত বিএসএফ জওয়ানদের দেখে গাঁজা ও কাফ সিরাপ রেখেই পালিয়ে যায় পাচারকারীরা।
বাংলাদেশে নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ (Cough syrup) পাচারের চেষ্টা। ডাক বিভাগের চিঠির বস্তায় করে পাচারের (Sumggling) ছক পিওনের। তবে বিএসএফের (BSF) তৎপরতার শ্রীঘরে পোস্ট অফিসের পিওন। বসিরহাটের স্বরূপনগর থানার (Swarupnagar Police) ভারত-বাংলাদেশ হাকিমপুর সীমান্তের ঘটনা। ঘটনায় চিঠির বস্তা থেকে উদ্ধার হয় প্রায় ৩৮ বোতল নিষিদ্ধ কাপ সিরাপ ফেনসিডিল। অভিযুক্তকে আটক করে স্বরূপনগর থানার পুলিসের হাতে তুলে দিয়েছে বিএসএফ কর্মীরা। জানা গিয়েছে, ধৃত ওই পাচারকারীর নাম তালাক মাহমুদ। তিনি স্বরূপনগরেরই দত্তপাড়ার বাসিন্দা।
জানা গিয়েছে, হাকিমপুর পোস্ট অফিসের পিওন তালাক মাহমুদ শনিবার পোস্ট অফিস থেকে চিঠির বস্তা নিয়ে বেরিয়েছিল বাড়ি বাড়ি চিঠি পৌঁছে দেওয়ার জন্য। মোটরবাইকে করে হাকিমপুর সীমান্তে আসতেই তাঁর গতিবিধিতে বিএসএফের ১১২ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের জওয়ানদের সন্দেহ হয়। তাঁকে আটকে ধরে জেরা করে তল্লাশি চালাতেই ওই চিঠির বস্তা থেকে উদ্ধার হয় প্রায় ৩৮ বোতল নিষিদ্ধ কাপ সিরাপ ফেনসিডিল।
বিএসএফ-এর প্রাথমিক অনুমান, বাংলাদেশে পাচার করার উদ্দেশে ওই কাফ সিরাপগুলি বস্তাবন্দি করে নিয়ে যাচ্ছিল ওই পিওন। ধৃত পাচারকারীকে শনিবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে। এমনকি এই ঘটনার পিছনে আরও বড়সড় কোনও পাচার চক্র আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে স্বরূপনগর থানার পুলিস ও বিএসএফ জওয়ানরা।