Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

coronachina

Covid: করোনা নিয়ে চিন্তা নয়,আমরা প্রস্তুত আছি, আবেদন দমকল মন্ত্রীর

সুজিত বসু (দমকলমন্ত্রী, পশ্চিমবঙ্গ সরকার): 

১৯১৯ থেকে ২১ অবধি বিশ্বে স্প্যানিশ ফ্লু-এর উৎপাত ছিল। শুনেছি কয়েক লক্ষ মানুষ ভারতেই মারা গিয়েছিলো। তখন বিজ্ঞান এতো উন্নত ছিল না। এরপর ধীরে ধীরে চলে যায় ওই সংক্রমণ। কিন্তু শুনেছি পরবর্তীতে এই ভাইরাস চরিত্র পরিবর্তন করে টাইফয়েড বা সমতুল্য রোগে পরিণত হয়েছিল। আর আজ সেই সংক্রমণ যদি থেকেও থাকে তবে সাধারণ জ্বরে পরিণত হয়েছে।

চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিশেষজ্ঞরা বলতে পারবেন সঠিক। করোনা ভাইরাস কিন্তু যখন চিনে এলো প্রথমে অন্যদেশে সেই খবর চেপে যাওয়া হয়েছিল বলে খবর। কিন্তু ধীরে সেই ভাইরাস লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণ নিয়েছে। আক্রান্ত হয়েছিল কয়েক কোটি মানুষ। আজ আধুনিক বিজ্ঞানের যুগে কল্পনা করা যায় না। সম্প্রতি সমস্ত বিদেশি চ্যানেলের দিকে লক্ষ্য করে দেখলাম ফের নাকি নতুন রূপে এই ভাইরাস এসেছে যার নাম বিএফ-৭। তৎপরতা শুরু হয়েছে শীত প্রধান দেশে।

আমাদের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই স্বাস্থ্য দফতর দেখছেন দীর্ঘদিন ধরে। তিনি তো জানিয়েছেন যে আগেই আতঙ্কের কিছু নেই। কিছু হলে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর প্রস্তুত আছে। কিন্তু আমাদেরও দায়িত্ব আছে। সরকার নজরে রাখছে সমস্ত পরিস্থিতি।চিন্তা করবেন না।

গতবারের করোনা আবহে আমার দায়িত্ব অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিলো। আমি নিজে দু-দুবার কোভিডে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। আমার বিধাননগর এলাকাতে খুবই সতর্কতার সাথে কাজ করতে হয়েছে। কসমোপলিটন এলাকা। এলাকায় উচ্চবিত্ত মানুষ যেমন আছে তেমন খেতে খাওয়া মানুষের সংখ্যাও কম নয়। ফলে দায়িত্ব ছিল অনেক। আমরা এলাকায় এলাকায় চাল ডাল সবজি ডিম্ মানুষের বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছি। 

৯ মাস ভিআইপি রোডে অভাবী মানুষের দু'বেলা খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছি। যাদের বাড়িতে বাজার করার লোক নেই, তিনি যিনিই হন বাড়িতে রান্না করা খাবার পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। দিয়েছি ড্ৰাই ফুডের প্যাকেট। আক্রান্ত রোগীদের যথাযোগ্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। একটা কমিটি গড়েছিলাম 'স্পর্শ', যারা কাজ করেছে। প্রতিটি পুজো কমিটির মাধ্যমে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া এলাকার বেশির ভাগ মানুষকে ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য আবেদনে তারা সাড়া দিয়েছেন।

এরপরেও করোনার প্রভাব ছিল। তবে নিশ্চিত শক্তিহীন। তাই ফের বলতে চাই, ভয় পাবেন না আমরা দায়িত্বে আছি সারা বাংলায়। তবে সতর্ক থাকতে হবে।রাজ্য প্রশাসন থেকে যে ঘোষণা হবে তা পালন করতে হবে। শুনছি এখনই কেন্দ্রীয় স্তরে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। জানিনা এতো তাড়াহুড়ো কেন? তাই আতঙ্কে থাকবেন না আমরা আছি। (অনুলিখন: প্রসূন গুপ্ত)

one year ago