
আমির খান ও কিরণ রাওয়ের বিবাহ বিচ্ছেদের পর থেকেই আমির খান ও তাঁর হাঁটুর বয়সী ফতেমা সানা শেখের বিয়ে নিয়ে বিশাল চর্চায় মুখরিত সকলে। অনেকেই বলছেন, দুজনের বিয়ে নাকি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এই বিষয়ে আমির বা ফতেমা দুজনেই মুখে কুলুপ এঁটেছেন। যার ফলে সংবাদ মাধ্যম থেকে শুরু করে বলিউডের আনাচে কানাচে কান পাতলে আমিরের তৃতীয় বিয়ে হয়ে গেছে বলে শোনা গেলেও এই কথার সত্যতা যাচাই করার উপায় নেই কারও কাছে। তবে সাদা পাঞ্জাবি ও চোস্ত পরিহিত আমির খানের সঙ্গে সাদা শাড়িতে ফতেমা সানা শেখের যে ছবিটি তাঁদের বিয়ের ছবি হিসেবে সোশাল মিডিয়াতে দেখা যাচ্ছে, সেটা নাকি ফেক। আসল ছবিটি আমির ও কিরণের ছিল।
মুখে কুলুপ এঁটে আমির খান তাঁর তৃতীয় বিয়ে নিয়ে সবাইকে ধাঁধায় রেখে দিয়েছেন। অনেকেই অবশ্য বলছেন, আমির খান প্রযোজিত লাল সিং চাড্ডা ছবিটি মুক্তি পাবার পরেই নাকি আমির তাঁর তৃতীয় বিয়ের কথা ঘোষণা করবেন। এই মুহূর্তে লাল সিং চাড্ডার মুক্তি নিয়ে খুব ব্যস্ত আমির।
আমজনতার মতো আমির খানের ভাই অভিনেতা ও প্রযোজক ফায়জল খানও এই বিষয়ে ধাঁধায় রয়েছেন। আমিরের তৃতীয় বিয়ে প্রসঙ্গে ফায়জল খানকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি জানিয়েছেন, বিয়ে তো দূরস্থান, তাঁর ভাইয়ের সাথে যে কিরণের বিচ্ছেদ হয়েছে, তাই তিনি জানতেন না। সাংবদিকরা ফোন মারফত তাঁর কাছে মতামত জানতে চাইলে তিনি এই বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হন। আমিরের তৃতীয় বিয়ে প্রসঙ্গে রসিক ফায়জল সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তিনি লোকমুখে ও সংবাদ মাধ্যমে এ বিষয়ে জেনেছেন। তবে আমির যদি ফতেমা সানা শেখকে বিয়ে করেও থাকে, সে সম্পর্কে তিনি একেবারেই অবগত নন। কারণ আমির এ বিষয়ে তাঁকে কিছুই জানাননি।
ফায়জল আরও বলেন, তিনি কয়েকদিন ধরেই এই বিষয় খুব চর্চা হতে দেখছেন। তিনি বলেন, বলিউডে এখন অল্পবয়সী নায়করা তাঁদের চেয়ে বড় বয়সের মহিলাদের বিয়ে করতে উদ্যত হচ্ছেন। আবার আমিরভাই তার চেয়ে অনেক ছোট বয়সের মেয়ের সঙ্গে প্রেম-বিবাহে জড়াতে চলেছে বলে তিনি খবর পাচ্ছেন। যদিও এই খবরের সত্যতা সম্পর্কে তিনি একেবারেই অবগত নন।
সুরসিক ফায়জল মজা করে বলেছেন, যদিও এসব খবরে তিনি নিজে বুঝে উঠতে পারছেন না কী করবেন। তবে আমির তাঁর তৃতীয় বিয়ের কথা সংবাদ মাধ্যমের কাছে নিজ মুখে প্রকাশ করার পরে ফায়জল এই বিষয়ে তাঁর মতামত অবশ্যই জানাবেন বলে কথা দিয়েছেন।
এখন দেখার, কবে আমির খান সব ধোঁয়াশা কাটিয়ে তাঁর সঙ্গে ফতেমা সানা শেখের বিয়ের কথা প্রকাশ করেন।
কেরিয়ারের প্রথম দিকে অজয় দেবগনকে বলিউডের প্রথাগত নায়কদের দলে ফেলা না হলেও পরবর্তীকালে পরিশ্রম, অধ্যাবসায় ও প্রতিভাগুণে বলিউডের একজন সফল নায়ক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন। অজয়ের সাবলীল অভিনয় যেমন সকলে পছন্দ করেন, একইভাবে অজয়ের সুঠাম চেহারা, ফিটনেস ও অনবদ্য অ্য়াকশন স্কিলের জন্য যুব সম্প্রদায়ের দর্শকদের কাছে তাঁর একটা আলাদা আকর্ষণ রয়েছে। অজয় নিজের ফিটনেস ও খাওয়াদাওয়ার বিষয়ে অত্যন্ত সজাগ। তাই পঞ্চাশোর্ধ বয়সেও তিনি সমান আকর্ষণীয়। এর জন্য অবশ্য অজয়কে কড়া অনুশাসনের মধ্যে থাকতে হয়।