Breaking News
Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?      Sarabjit Singh: ভারতীয় বন্দি সরবজিৎ সিং-এর হত্যাকারী সরফরাজকে গুলি করে খুন লাহোরে      BJP: ইস্তেহার প্রকাশ বিজেপির, 'এক দেশ এবং এক ভোট' লাগু করার প্রতিশ্রুতি      Fire: দমদমে ঝুপড়িতে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড, ঘটনাস্থলে দমকলের একাধিক ইঞ্জিন      Bengaluru Blast: বেঙ্গালুরু ক্যাফে বিস্ফোরণকাণ্ডে কাঁথি থেকে দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করল এনআইএ      Sheikh Shahjahan: 'সিবিআই হলে ভালই হবে', হঠাৎ ভোলবদল শেখ শাহজাহানের      CBI: সন্দেশখালিকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের...     

cinema

Cinema: শকুন্তলম ছবিতে সামান্থার সঙ্গে যিশু সেনগুপ্ত, দেবরাজ ইন্দ্রর লুক দেখুন

কালিদাসের ‘অভিজ্ঞান শকুন্তলম’কে অবলম্বনে তৈরি চিত্রনাট্য। এই ছবির মুখ্য চরিত্রে রয়েছে সামান্থা রুথ প্রভু ও দেব মোহন। বিখ্যাত দক্ষিণী(South) পরিচালক গুণশেখরের পৌরাণিক ছবি ‘শকুন্তলম’। ‘শকুন্তলম’ ছবির মাধ্যমে আবার রুপোলি পর্দায় দেখা যাবে সামান্থা রুথ প্রভুকে। ইন্দ্রের চরিত্রে দেখা যাবে যিশু সেনগুপ্তকে। দীর্ঘ অসুস্থতা কাটিয়ে বড় পর্দায় আসছেন এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী। একেবারে রাজকীয় বেশে দেখা মিলল অভিনেত্রীর।

জানা যায়, এই ছবির জন্য প্রায় ১৪ কোটি টাকার গয়না দিয়ে সাজানো হয় সামান্থাকে। এই ছবির পোশাক (Dress) ও অলঙ্কার (Jewellery) সজ্জার দায়িত্ব নিয়েছেন খ্যাতনামী পোশাকশিল্পী নীতা লুল্লা। মুক্তির আগেই রীতিমতো চর্চায় এই ছবি। 

এই ছবির হাত ধরেই সেলুলয়েডে পা রেখেছে আল্লুর পরিবারের খুদে সদস্য মানে আল্লু অর্জুনেরর ছেলে অরহার। ১৪ এপ্রিল মুক্তি পেতে চলেছে এই ছবি। 


one year ago
Pathan: শহরজোড়া পাঠানের মুক্তিতে নাকি হল পাচ্ছে না বাংলা ছবি, দায় কার

প্রসূন গুপ্ত: শাহরুখ খানের (Shahrukh Khan) পাঠান কি সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাণিজ্যিক ছবি, প্রশ্ন মুখে মুখে। কী এমন ঘটনার উপর দাঁড়িয়ে পাঠান যে, সিনেমাপ্রেমীরা উন্মাদ হয়ে গিয়েছে ছবির (Pathan) একটা টিকিট জোগাড় করতে? এমন কী হলো যে প্রথম দিনেই ১০০ কোটির বেশি বাণিজ্য (Box Office collection) করলো পাঠান। এরকম হাজারো প্রশ্ন কর্পোরেট অফিস থেকে চায়ের দোকানে। এই কলকাতায় ৫০-৬০-র দশকে ৪ বছর অশোক কুমারের 'কিসমত' ছবিটি ধর্মতলার রক্সি সিনেমায় চলেছিল। দুর্দান্ত হিট হিসাবে মোটেই নয় আসলে রক্সি হাউস বিক্রি হয়ে যাচ্ছিলো তাই জোর করে সিনেমাটি চালানো হয়েছিল।

এরপর বিগ হিট 'শোলে'। জ্যোতিতে কয়েক বছর চলেছিল, অবশ্যই সুপারহিট ছবি হিসাবে। এরপর মুম্বইয়ের মারাঠা মন্দিরে 'দিলওয়ালে দুলহনিয়া যে জায়েঙ্গে' ছবিটি ২৫ বছর ধরে শ্রেফ নুন শোয়ে চলেছে। পাঠান কি এদের থেকেও বড় হিট ছবি? ওভাবে আজকের সিনেমাকে বিচার করা যাবে না।

আজকের দিনে ভারতে সিনেমা হাউসের ৯০ শতাংশ উঠে গিয়েছে। এখন ছবি চলে মাল্টিপ্লেক্সে। এই মাল্টিপ্লেক্সগুলিতে অনেকগুলি স্ক্রিন বা আলাদা হল আছে। এখানে নিয়ম কানুনের বালাই নেই। ৫-৬টি শো হয় একেকটা স্ক্রিনে। যদি বিক্রির বহর কম থাকে তবে অনায়াসেই কাঙ্খিত সিনেমা পাল্টিয়ে অন্য ছবি দেখানো যেতেই পারে। ওই যুগে টিকিটের দাম ছিল ৯০ পয়সা থেকে বড় জোর ৫ টাকা। হয়তো ভাববেন তক্ষকের আমল আর আজকের আমলে মস্ত তফাত।

কিন্তু তাই বলে ৫০০ বা ১০০০ টাকার টিকিট? তুলনায় হয় না। যার পোষাবে দেখবে, না পোষালে দেখো না। কিন্তু যেভাবেই হোক দেখছেই। একটি ছবির পিছনে ১৫০-২০০ কোটি টাকা ন্যূনতম খরচ। ছবি এই স্ক্রিনগুলিতে সারা ভারতে রিলিজ করলে দু'সপ্তাহের মধ্যে টাকা উঠে লাভের মুখ দেখে ডিস্ট্রিবিউটররা। পাঠান ছবিও তাই।

এমনভাবে বিভিন্ন শহরে স্ক্রিন নিয়ে নেওয়া হয়েছে, যে কয়েকশো কোটি টাকা লাভ করবে সিনেমাওয়ালারা এই ছবি থেকে। তার অর্থ এই নয় যে শোলে বা ডিডিএলজি-র থেকে জনমানসে হিট ছবি। পাশাপাশি বাংলা ছবি ওই স্ক্রিন পাচ্ছে না বলে জনতার সেন্টিমেন্ট আদায় করতে চাইছে। কিন্তু হিন্দি বা বাংলা সব ছবিই ব্যবসা করতে নেমেছে, এখানে সেন্টিমেন্টের কোনও মূল্য নেই। মানুষ বিপুল পয়সা খরচ করে সিনেমা দেখতে যাচ্ছে তাই নিজের পছন্দই বেছে নেবে।

one year ago
Bangla: বাংলা ও বিশ্বে সত্যজিৎ চর্চা (শেষ পর্ব)

সৌমেন সুর: সত্যজিৎ-এর তিন প্রজন্মের সম্পাদনায় ছোটদের মাসিক পত্রিকা 'সন্দেশ' বাংলা পত্রিকা জগতে একটা উল্লেখযোগ্য স্থান করে নিয়েছে। ১৯১৩ সালে পিতামহ উপেন্দ্র কিশোর রায় 

ছোটদের এই অসাধারন পত্রিকা নিজ উদ্যোগে সম্পাদনা ও প্রকাশনা শুরু করেছিলেন। উল্লেখ্য, ১৯৬০ সাল থেকে আমৃত্যু সত্যজিৎ সম্পাদনা করে গিয়েছেন 'সন্দেশ' পত্রিকা। চলচ্চিত্রের পাশাপাশি লেখালেখির প্রতিও ছিল তাঁর প্রগাঢ় ভালোবাসা। আমরা প্রিয় সত্যজিৎ রায়ের কাছ থেকে ৬০টি গ্রন্থ পেয়েছি। এছাড়া একাধিক গ্রন্থও তিনি আমাদের হাতে তুলে দিয়েছেন।

পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা ও মহকুমা শহরে সত্যজিতের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপনে তাঁর আবক্ষ মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে। আবার বেশকিছু পুরসভা সত্যজিৎ রায়ের নামে রাখা হয়েছে রাস্তার নাম। এ প্রসঙ্গে শান্তিপুর, রিষড়া, বিষ্ণুপুর প্রভৃতি পুরসভার নাম উল্লেখযোগ্য। দক্ষিণ ২৪ পরগনার একদা গ্রাম বোড়ালে রাখা হয়েছে সত্যজিৎ-র আবক্ষ মূর্তি। যেখানে পথের পাঁচালী ছবির শুটিং হয়েছিল।

প্রায় তিন দশকের পরিচালনা জীবনে তিনি আমাদের উপহার দিয়েছেন ২৮টি কাহিনীচিত্র, ৫টি তথ্যচিত্র ও ৩টি দূরদর্শন চিত্র। দেশ-বিদেশের সব ধরনের চলচ্চিত্রের সম্মানই তাঁকে ভূষিত করা হয়েছে বিভিন্ন সময়ে। 'দাদা সাহেব ফালকে' থেকে 'ভারতরত্ন' সম্মান এবং দেশ বিদেশের বহু বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্মানিক ডি.লিট. উপাধি, বিশ্বভারতীর 'দেশিকোত্তম সম্মান', 'গোল্ডেন লায়ন অব সেন্টমার্ক' পুরস্কার ও 'ম্যাগসেসাই' পুরস্কার তিনি লাভ করেন।

১৯৭৮ সালে ফ্রান্সের সর্বোচ্চ সম্মান 'লিজিয়ন অব অনার' সম্মানে ভূষিত হন সত্যজিৎ রায়। ১৯৯২ সালে 'লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্টে' এর জন্য বিশেষ অস্কার পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন তিনি। সত্যজিৎ রায় সমগ্র মানুষের কাছে গর্ব, অহংকার। বাংলার তথা বাঙালির কাছে তিনি চিরকাল অমর হয়েই থাকবেন।    

one year ago


Satyajit Ray: বাংলা ও বিশ্বে সত্যজিৎ চর্চা (প্রথম পর্ব)

সৌমেন সুর: বাংলা ও বাঙালির আত্মার আত্মীয় সত্যজিৎ রায়। দেখতে দেখতে তাঁর প্রয়াণের তিন দশক পেরিয়ে এলাম, মজার কথা আজও সাহিত্য সংস্কৃতির যে কোনও প্রসঙ্গ থেকে সত্যজিৎকে মানসিকভাবে এক মুহুর্তের জন্য ছাড়তে চাই না। তাঁর বর্ণময় কর্মকাণ্ডে আমাদের প্রাপ্তির ভাণ্ডারটি বেশ বড়ই। চলচ্চিত্র নির্মাণ থেকে অথবা অসাধারণ সব সাহিত্য সৃষ্টির পাশাপাশি বাণিজ্যিক চিত্রকলা, ছোটদের পত্রিকা সম্পাদনা কিংবা অনবদ্য সুর সৃষ্টি এবং চমৎকার প্রচ্ছদ পরিকল্পনা, এই সবকিছুই এক গভীর মননের পরিচায়ক।

আজ তাঁর প্রয়াণের ৩০ বছর অতিক্রান্ত, কিন্তু যে মানুষটি সারাজীবন আমাদের বহু কিছু দিয়ে গিয়েছেন, কিন্তু আমরা তাঁর স্মৃতিতে কতটা কি করতে পেরেছি। কলকাতার বাইপাসে বাঘা যতীনের কাছে ভারত সরকারের তথ্য মন্ত্রকের অধীন, ফিল্ম ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট 'সত্যজিৎ রায়ের' নামে করা হয়েছে।

চলচ্চিত্র সংক্রান্ত এই শিক্ষাকেন্দ্রের নাম যথাযোগ্য ব্যক্তির নামে হওয়ায় সর্বভারতীয় স্তরে এটা অবশ্যই একটি উল্লেখযোগ্য শ্রদ্ধার্ঘ্য। বিশিষ্ট সত্যজিৎপ্রেমী, সরকারি আধিকারিক প্রয়াত প্রবোধ মৈত্র, বহু পরিশ্রম করে নন্দনে দীর্ঘসময় ধরে গড়ে তুলেছিলেন 'সত্যজিৎ আর্কাইভ'। সত্যজিৎ রায় সম্পর্কিত নানা তথ্য, তাঁর সম্পর্কিত বই, তাঁর লেখা বই, চিত্রনাট্য, কিছু মূল পান্ডুলিপি, সত্যজিতের তৈরি সিনেমার মূল প্রিন্ট এবং সত্যজিৎ রায় সম্পর্কিত দেশ বিদেশের নানা আলোচনাপত্র। পত্রিকার কাটিং ইত্যাদি সবকিছুই সযত্নে রক্ষিত এই আর্কাইভে।

one year ago
Oscar: অস্কারের জন্য বাছাই ৩০১টি ছবির তালিকায় 'দা কাশ্মীর ফাইল', তালিকায় আর কারা?

অস্কারের (Oscar Award 2023) জন্য বাছাই ৩০১টি ছবির মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে বহুচর্চিত 'দা কাশ্মীর ফাইলস।' অস্কার কমিটি প্রাথমিক বাছাই পর্বের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। সেই তালিকায় রয়েছে বিবেক অগ্নিহোত্রী পরিচালিত ভারতীয় ছবি 'দা কাশ্মীর ফাইলস (The Kashmir Files)।' এই সুখবর দিয়েছেন খোদ বিবেক (Vivek Agnihotri)। পাশাপাশি এই ছবির কলাকুশলীকে টুইটে জানান বিজেপি সাংসদ এবং রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

এ প্রসঙ্গে চলতি বছরের ২৩ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে অকাডেমি অ্যাওয়ার্ড। ২৪ জানুয়ারি মুক্তি পাবে চূড়ান্ত পুরস্কার মনোনয়নের তালিকা। তার আগে যে যে ছবি চূড়ান্তভাবে মনোনয়ন পাওয়ার যোগ্য, তাদের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে অ্যাকাডেমি কমিটি। ৩০১টি ছবির এই তালিকায় ‘দা কাশ্মীর ফাইল্‌স’ ছাড়াও নাম রয়েছে দক্ষিণের সুপারহিট ছবি এসএস রাজামৌলির ‘আরআরআর’, আলিয়া ভাটের ‘গাঙ্গুবাঈ কাথিয়াওয়াড়ি’, সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত কন্নড় ছবি ‘কান্তারা’ এবং প্যান নলিনের ছবি ‘চেলো শো’। এদের মধ্যে প্যান নলিনের ‘চেলো শো’ ভারতের তরফে অস্কারের সরকারি এন্ট্রি। রাজামৌলির ‘আরআরআর’-এর ‘নাটু নাটু’ গানটি মনোনীত হয়েছে অস্কারের সেরা গানের বিভাগে।

one year ago


Priyanka: লস আ্যঞ্জেলসের বাড়িতেই ভারতীয় ছবি প্রদর্শন প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার

দেশের ছবি প্রচারের ক্ষেত্রে নিজের বাড়িকেই প্রেক্ষাগৃহে পরিণত করলেন 'দেশি গার্ল' প্রিয়াঙ্কা চোপড়া (Priyanka Chopra)। গুজরাটের (Gujarat) এক গ্রামে থাকা ৯-বছর বয়সী একটি বালকের জীবনসংগ্রাম নিয়ে নলীন কুমার পান্ড্যর ছবি 'চেঁলো শো' ঠাঁই পেয়েছে অভিনেত্রীর লস আ্যঞ্জেলসের বাড়িতে।

গত বছর মুক্তি পেয়েছিল এই ছবি। সিনেমার প্রতি অগাধ ভালোবাসা, ভালোবাসা থেকে স্বপ্নপূরণের ইচ্ছা। এই নিয়েই ছবির প্লট সাজিয়েছেন নলীন কুমার পান্ড্য ওরফে প্যান নলীন। 'চেলো শো'-র ঝুলিতে রয়েছে দর্শক থেকে সমালোচকদেকর প্রশংসা তাতে আবার জুড়েছে অস্কারে সেরা আন্তর্জাতিক ছবির মনোনয়ন। সেই আনন্দেই নিজের বাড়িতে এই ছবি প্রদর্শনের ভাবনা প্রিয়াঙ্কার।'চেলো শো'-র শিশু অভিনেতা ভাবিন রাবরিকে দেখা যায় ছবি প্রদর্শনি অনুষ্ঠানের একাধিক ছবিতে। গুজরাটি সাবেকি পোশাকে দেখা গিয়েছে খুদে আর্টিস্টকে। নিজের বাড়িতে ছবি প্রদর্শনের দিন প্রিয়াঙ্কা উপস্থিত ছিলেন কালো পোশাকে।

ছবি প্রদর্শনের পর খুদে আর্টিস্টকে প্রিয়াঙ্কা প্রশ্ন করেছিলেন এই ছবি প্রস্তুতির জন্য কোন ছবি দেখেছিল সে? ভাবিনের উত্তর 'আমির খানের দঙ্গল'।

প্রসঙ্গত হলিউডে নিজের নামে শিলমোহর বসানোর পর 'দেশি গার্লকে' আবার ভারতীয় ছবিতে দেখা যাবে। ফারহান আখতারের 'জি লে জারা' ছবিতে  আলিয়া ভাট ও ক্যাটরিনা কাইফের সঙ্গে দেখা যাবে জোনাস পত্নীকে।

one year ago
Sonam: হাতে কাজ নেই সোনম কাপুরের, বিক্রি করলেন সাধে ফ্ল্যাট! দাম পেলেন কত?

২০২২-এ সোনমের (Sonam Kapoor) কোলে এসেছে বায়ু। মাতৃত্ব জীবন পুরোদমে উপভোগ করছেন অনিল-কন্যা। কোনওরকম নতুন প্রজেক্টে দেখা যাবে না তাঁকে। শোনা গিয়েছে, সম্প্রতি কোনও কাজ তাঁর হাতে নেই। তার মধ্যে উঠে এসেছে আরও একটি খবর, সোনম বিক্রি করেছেন তাঁর বিলাসবহুল একটি ফ্ল্যাট। যদিও বলিউড (Bollywood) তারকাদের ফ্ল্যাট কেনা-বেচা এখন আর নতুন কোন খবর নয়। প্রায় সময়ই অনেক তারকা যেমন নতুন ফ্ল্যাট কিনে থাকেন, তেমনি পুরোনো ফ্ল্যাটও বিক্রি করেন। মুম্বইয়ের বান্দ্রায় সিগনেচার আইল্যান্ড নামের বহুতলের ৩ তলায় ছিল সোনমের এই ফ্ল্যাট। বিক্রয়মূল্য ৩২.৫ কোটিতে।

ভারতের রিয়েল এস্টেট ভিত্তিক ওয়েবসাইট স্কয়ার ফিট ডটকম এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ৩২.৫ কোটিতে সোনমের থেকে ফ্ল্যাটটি কিনেছেন এসএমএফ ইনফ্রাস্ট্রাকচার নামে একটি কোম্পানি। গত ২৯ ডিসেম্বর এ ফ্ল্যাটের রেজিস্ট্রি হয়েছে। সম্পত্তিটি কেনার জন্য ১.৯৫ কোটির অগ্রিম দেন ক্রেতা।

মুম্বই শহরে একাধিক সম্পত্তির মালিকানা নিয়ে রাখেন তাঁরা। সুযোগ মতো সেগুলি বিক্রি করেন কিংবা ভাড়া দেন। এ বাড়ির নতুন ক্রেতা এই বিল্ডিংয়ে ৪টি গাড়ি পার্ক করার সুবিধা পাবেন। রয়েছে আরও নানা সুবিধা।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে সোনম কাপুর ৫৩৩৫ বর্গ ফুটের এই ফ্ল্যাটটি কেনেন প্রায় ১৫ কোটি টাকায়। বিক্রির সময় দ্বিগুণেরও বেশি দামে এই সম্পত্তি বিক্রি করলেন অভিনেত্রী।

one year ago
Bag: সিনেমা হলে ব্যাগ খুইয়ে দিকভ্রান্ত তরুণী, অ্যাপের সাহায্যে ব্যাগ ফেরালো সোনারপুর থানা

অনলাইন বুকিং অ্যাপের (Online Booking Apps) সাহায্যে মাল্টিপ্লেক্সে হারিয়ে যাওয়া ব্যাগ উদ্ধার সোনারপুর থানার পুলিসের (Sonarpur Police)। সোনরপুরের তরুণী সায়ন্তনী মিত্র নরেন্দ্রপুরের এক শপিং মলে সিনেমা দেখতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ভুল করে সিনেমা শেষে সিটেই ব্যাগ ফেলে (Bag Lost) আসেন তিনি। নীচে নেমে তাঁর ব্যাগের কথা মনে পড়লেও ফের উঠে গিয়ে দেখেন ব্যাগ নেই। তাৎপর্যপূর্ণভাবে সেই ব্যাগে ওই তরুণী এবং তাঁর মায়ের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ছিল। তাই এহেন জরুরি নথি সমৃদ্ধ ব্যাগ খোওয়া যাওয়ায় উদভ্রান্ত হয়ে পড়েন সায়ন্তনী।

হারানো ব্যাগের সন্ধান পেতে প্রথমে নরেন্দ্রপুর থানা পরে সোনারপুর থানার দারস্থ হয়েছিলেন তিনি। জানা গিয়েছে, সিনেমা হলে সায়ন্তনীর আশপাশে যারা ছিলেন, তাঁরা সকলেই একটি অনলাইন অ্যাপের সাহায্যে টিকিট বুক করেছিলেন। সেই অ্যাপের সাহায্য নিয়েই পুলিস তদন্তে নেমে জানতে পারেন তরুণীর পাশে বসা এক মহিলা ওই ব্যাগ নিয়ে চলে গিয়েছেন। তাঁর বাড়ি আবার গড়িয়াতে। তাঁকে চিহ্নিত করে এবং যোগাযোগ করে খোয়া যাওয়া ব্যাগ উদ্ধার করে সোনারপুর থানার পুলিস।

এই প্রসঙ্গে ব্যাগ ফিরে পেয়ে আপ্লুত সেই তরুণী জানান, 'শুক্রবার বিকেলে নরেন্দ্রপুরের একটি মাল্টিপ্লেক্সে সিনেমা দেখে ব্যাগ রেখে বেড়িয়ে আসি। নিচে নেমে আমার ব্যাগের কথা মনে পড়ে। আবার হলে ফিরে কর্তব্যরত কর্মীদের ব্যাগ হারানোর কথা বললে, ওরা খুঁজে দেওয়ার যথাসাধ্য চেষ্টা করেন। এই ব্যাগে প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ নথি ছিল। ব্যাগ খুঁজে পেতে আমি নরেন্দ্রপুর থানার দ্বারস্থ হই। ওরা আমাকে সোনারপুর থানায় পাঠায়। ওখানকার অর্ঘ্যবাবু ব্যাগ ফিরে পেতে আমাকে সাহায্য করে। আমি ব্যাগ খুঁজে পাবো এই আশা করিনি। কিন্তু এক সপ্তাহের মধ্যে যেভাবে ভালো কাজ করে মিরাকেল ঘটিয়েছে সোনারপুর থানা, আমি কৃতজ্ঞ।'

one year ago


Politics: অভিনেতা থেকে নেতা বা জন প্রতিনিধি, সাধারণের স্বার্থে কতটা গ্রহণযোগ্য

প্রসূন গুপ্ত: সিনেমা জগৎ বা ক্রীড়া জগতের কেউ রাজনীতিতে আসতে পারবেন না, এমন কোনও আইন নেই। বরং যারা ভোটদাতা তাদের অবশ্যই রাজনীতির মঞ্চে তথা ভোটের লড়াইতে আসার অধিকার আছে। ইন্দিরা যুগ থেকে এযাবৎকাল সেই প্রথা চলে আসছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, যারা পাবলিক ফিগার বা পরিচিত মুখ, তাঁরা কতটা নিজের ইচ্ছায় রাজনীতিতে আসছেন। একবারে স্বাধীনতার পর থেকে খুব একটা সেলিব্রিটিরা রাজনীতিতে আসতেন না। যদিও বিজ্ঞানী বা স্বনামধন্য চিকিৎসক অথবা আইনজীবীরা এসেছেন, যাঁরা অনেকেই তার আগে রাজনীতির সঙ্গে কোনই যোগাযোগ রাখেননি।

ইন্দিরার আমলে রাজ্যসভায় কংগ্রেসের সাংসদ হয়েছিলেন প্রয়াত অভিনেত্রী নার্গিস দত্ত। এরপর সুনীল দত্তকেও আমরা মুম্বইয়ের এক লোকসভা কেন্দ্র থেকে ভোটে জিতে সাংসদ তিনি এক সময়ে কেন্দ্রের ক্যাবিনেট মন্ত্রী হন। এরই মাঝে অমিতাভ বচ্চন, রাজেশ খান্না, শত্রুঘ্ন সিনহা, বিনোদ খান্না, গোবিন্দা, হেমা মালিনী, জয়াপ্রদা, জয়া বচ্চনরাও  রাজনীতিতে এসেছেন। শত্রুঘ্ন সিনহা এবং সুনীল দত্ত ব্যতীত উপরে উল্লিখিত কাউকে সক্রিয়ভাবে রাজনীতি করতে দেখা যায়নি। শত্রুঘ্ন অবশ্য বাজপেয়ীর মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন, বর্তমানে তৃণমূল দলের লোকসভার সদস্য। বাংলা থেকে কয়েক ঝাঁক অভিনেতা-অভিনেত্রী দিল্লি রাজনীতি অথবা রাজ্য রাজনীতিতে এসেছিলেন বা আছেন। বাম আমলে অনিল চট্টোপাধ্যায় বিধানসভার সদস্য হয়েছিলেন। মমতা সরকারে বাবুল সুপ্রিয় বা মনোজ তিওয়ারি বর্তমান মন্ত্রিসভায় আছেন, তেমন লোকসভা বা রাজ্যসভা অথবা বিধানসভায় তৃণমূল বা বিজেপির অসংখ্য সিনেমা জগতের মানুষ রয়েছেন।

এদের কাজ কী? নিশ্চিত জন প্রতিনিধি হিসেবে এলাকা বা রাজ্যের হয়ে কাজ করা। কিন্তু এখানেই বিতর্কের সৃষ্টি, পূর্ণ সময়ের রাজনীতিবিদ না হলে এলাকার কাজ করবেন কী করে? সিনেমার আকর্ষণ মারাত্মক। এই জগৎ থেকে বিকাশ রায় ছাড়া কেউই বিদায় নেয়নি। অর্থাৎ অনেকেরই রাজনীতি দ্বিতীয় প্রেমে পরিণত হয়েছে। বেচারা এলাকার মানুষ, সেলিব্রেটি দেখে কি আর চিরকাল পেট ভরে। সর্বোচ্চ নেতারা জানেন কি?   

one year ago
Congress: কর্মসূচিতে ছবির গান ব্যবহারে কপিরাইট লঙ্ঘনের দায়, কংগ্রেসের ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ

নিজেদের দলীয় কর্মসূচিতে দক্ষিণী সিনেমার (South Cinema) গান ব্যবহারে অভিযুক্ত কংগ্রেস। আর কপিরাইট লঙ্ঘনের দায়ে শতাব্দী প্রাচীন দলের ট্যুইটার অ্যকাউন্ট (Twitter Account) সাময়িক বন্ধের নির্দেশ বেঙ্গালুরু একটি কোর্টের। একটি সংস্থার অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার এই নির্দেশ দিয়েছে আদালত। শুধু কংগ্রেসের (Congress) ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট নয় দলের ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র টুইটার হ্যান্ডলও বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। দেশের শতাব্দী প্রাচীন দলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমা ‘কেজিএফ-টু’র একটি গান বিনা অনুমতিতে ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। কন্নড় এই সিনেমার একটি গান ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ কর্মসূচিতে ব্যবহার করেছে বলেই অভিযোগ।

কিছুদিন আগে সিনেমার সঙ্গীত নির্মাতা সংস্থার জনৈক নবীন কুমার এই মর্মে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। মূলত দলের তিন নেতার বিরুদ্ধে কপিরাইট লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলা হয়। যাদের মধ্যে রাহুল গান্ধীর নামও আছে। অভিযোগ, গত মাসে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ যখন কর্নাটক থেকে তেলঙ্গানার উদ্দেশে যাচ্ছিল, তখন গানটি ব্যবহার করা হয়।

one year ago


Cinema: সিনেমার জন্ম ও টকি সিনেমার আবির্ভাব (শেষ পর্ব)

সৌমেন সুর: নিউ থিয়েটার্সকে প্রথম ভারতজোড়া খ্যাতি ও সাফল্য এনে দিয়েছিলেন দেবকী কুমার বসু। তাঁর তৈরি 'চণ্ডীদাস' ও 'পুরান ভগৎ' (হিন্দি) ছবি দুটি সে সময় যথেষ্ট জনপ্রিয় হয়েছিল। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকের যথাযথ ব্যবহার ছবিতে এক নতুন মাত্রা এনে দেয়, সেটা দেবকী বসুর 'বিদ্যাপতি' প্রমাণ করে। তাঁর সিনেমাগুলিতে সংগীত পরিচালক রাইচাঁদ বড়ালের সুর এবং কৃষ্ণচন্দ্র দে'র গাওয়া গানগুলি যথেষ্ট জনপ্রিয় ছিল।

সবাক যুগে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শরৎচন্দ্র, বঙ্কিমচন্দ্রের কাহিনী অবলম্বনে বহু সিনেমা তৈরী হয়। ১৯৩৫ সালে শরৎচন্দ্রের 'দেবদাস' গল্পটি প্রমথেশ বড়ুয়াকে খ্যাতি এনে দেয়। সিনেমায় উক্ত গল্পটির নায়ক দেবদাসের ব্যর্থ প্রেম ও মর্মান্তিক মৃত্যু, বাঙালির মধ্যবিত্ত মনকে বিষাদে ভরিয়ে দেয়। ছবিটি সুপারহিট হয়, এরপর প্রমথেশ বাবু 'মুক্তি' ছবি তৈরি করেন। এখানে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ছবির নায়িকা কানন দেবী। তাঁর অসামান্য অভিনয়, গান ও সৌন্দর্য তামাম সিনেমাপ্রেমী মানুষকে আকর্ষিত করে।

'পরিচয়' ও 'শেষ উত্তর' ছবিতে পর পর দুবার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার পান তিনি। সিনেমায় সামাজিক, পারিবারিক ও রোম্যান্টিক বিষয়কে কেন্দ্র করে বাণিজ্যসফল ছবি বানিয়ে তিনি এক নতুন ধারা প্রবর্তন করেন বাংলা সিনেমা শিল্পে। প্রমথেশ বড়ুয়ার কৃতিত্বের কথা স্বীকার করে ঋত্বিক ঘটক কোনও এক সাক্ষাৎকারে বলেন 'সেই বন্ধ জানালার যুগে এই লোকটা কিছু একটা করার চেষ্টা করেছে।' ভারতে প্রমথেশ বড়ুয়া প্রথম সাবজেক্টিভ ক্যামেরার ব্যবহার করেন। এদিকে বাংলাজুড়ে ব্রিটিশ বিরোধী তীব্র আন্দোলন এবং শেষমেষ হাজার হাজার মানুষ গৃহছাড়া, দেশছাড়া, ভাগ্য বিড়ম্বিত উদ্বাস্তু মানুষের হাহাকার, খণ্ডিত স্বাধীনতা, বাংলা সিনেমার বদল ঘটালো।

এমন কয়েকটি ছবি তৈরি হল যা বাস্তববাদী এবং  শিল্পধর্মী। সেই সময়কার বামপন্থী আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী খাজা আহমেদ আব্বাস, বিমল রায়, শম্ভু মিত্র, ঋত্বিক ঘটক, বলরাজ সাহানি প্রমুখের ভূমিকায় বাংলা সিনেমায় মেলোড্রামাটিক, সামাজিক সেন্টিমেন্টাল প্লটের বদলে এল বাস্তবধর্মী জীবন আলেখ্য। বিমল রায় নির্দেশিত 'দো বিঘা জমিন', (রবি ঠাকুরের 'দুই বিঘা জমি' অবলম্বনে) সারা ভারতকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। পরবর্তীতে দেশভাগ, যুদ্ধ, প্রভৃতি কারণে বাংলা সিনেমার বাজার ছোট হয়ে আসে। অনেক ষ্টুডিও বন্ধ হয়ে যায়। সিনেমা শিল্পে অব্যবস্থা ও বিশৃঙ্খলার ফলে কলকাতার গুরুত্ব কমে যায়।

তবে সিনেমা শিল্পে বাংলার অবদান সৃজনশিল্পে বরাবর উচ্চস্থানে ছিল, আজও তাই বহন করে।

2 years ago
Cinema: সিনেমার জন্ম ও টকি সিনেমার আবির্ভাব (২য় পর্ব)

সৌমেন সুর: ১৯৪৮ সালের ডিসেম্বর মাসে ম্যাডানের উদ্যোগে এলফিন স্টোন পিকচার প্যালেসে হলিউডের ইউনিভার্সাল কোম্পানির 'মেলোডি অফ লাভ' দেখানো হয়।  এটাই ভারতে প্রদর্শিত প্রথম সবাক ছবি। এই সবাক ছবিটি সিনেমার বদল ঘটায়। কারণ সাউন্ড এসে যাওয়ায় পুরোনো যন্ত্রপাতি সব অকেজো হয়ে যায়। নতুন যন্ত্র, নতুন sound proof ষ্টুডিও এবং দক্ষ কলাকুশলীর প্রয়োজন হয়। তখন থেকেই চলচ্চিত্র, শিল্প হিসেবে প্রাতিষ্ঠানিক রূপের চেহারা নেয়।

১৯৩১ সালের ১১ই এপ্রিল ম্যাডানের প্রযোজনায় প্রথম বাংলা সবাক ছবি 'জামাইষষ্ঠী' মুক্তি পায় এবং একই বছরে প্রথম হিন্দি সবাক ছবি 'আলম আরা' বোম্বেতে প্রদর্শিত হয়। সিনেমাকে আরও স্বাভাবিক, প্রাণবন্ত ও জীবনের কাছাকাছি আনার কাজটা শুরু করেছিলেন বিদেশ থেকে লেখাপড়া শিখে আসা ইঞ্জিনিয়র বি. এন সরকার ও তাঁর নিউ থিয়েটার্স। তিনি বিদেশ থেকে শিখে আসা জ্ঞান ও প্রযুক্তিকে কাজে লাগালেন, আবার আমেরিকা থেকে দক্ষ কারিগর এনে প্রশিক্ষণের বন্দোবস্ত করেন। এদিকে ম্যাডান কোম্পানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাংলা ছবিতে আর তেমন কোনও প্রভাব পড়েনি। বরং বাংলা ছবি পরবর্তী কয়েক দশকে, নিউ থিয়েটারর্সর প্রভাবে সুদূরপ্রসারী হয়। এছাড়া আরও কয়েকটা ছোটোখাটো কোম্পানি গড়ে ওঠে তখন - রাধা ফিল্মস, ভারতলক্ষী পিকচার্স, কালী ফিল্ম ইত্যাদি। এদিকে বি. এন সরকার নিউ থিয়েটার্সে ধীরে ধীরে কিছু দক্ষ ও গুণী মানুষজনকে হাজির করলেন। 

যেমন পরিচালনার জন্য আনলেন দেবকী কুমার বসু, প্রমথেশ বড়ুয়া, আরও কয়েকজন জ্ঞানী মানুষকে। ক্যামেরায় নীতিন বসু, শব্দ যন্ত্রে মুকুল বসু- এঁরা দুজনেই সত্যজিৎ রায়ের কাকা, অভিনয়ে কানন দেবী, প্রমথেশ বড়ুয়া, ডি. জি, পাহাড়ি সান্যাল, ছবি বিশ্বাস, কে. এল. সায়গল, প্রমুখ। সংগীতে পঙ্কজ মল্লিক, এস. ডি. বর্মন, কৃষ্ণচন্দ্র দে, কমল দাশগুপ্ত এবং প্রথিতযশা বাংলা সাহিত্যের কবি লেখকদেরও সিনেমা নির্মাণের কাজে নিযুক্ত করেন। ১৯৩২ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁরই লেখা 'নটীর পূজা' চলচ্চিত্রায়িত করেন।

(চলবে)        

2 years ago
Cinema: সিনেমার জন্ম ও টকি সিনেমার আবির্ভাব (প্রথম পর্ব)

সৌমেন সুর: দুই ভাই- অগাস্তে ও লুই লুমিয়ের, যাঁরা পরে লুমিয়ের ব্রাদার্স নামে পরিচিত। ওরা বিখ্যাত হন এই কারণে যে, তাঁরাই প্রথম সিনেমা বা চলচ্চিত্র তৈরির কাজটি করেন। সিনেমা বলতে তখন Film Strip বা ছোট টুকরো ঘটনা বোঝাত। যেমন ট্রেন এসে স্টেশনে থামছে বা ঘোড়া দৌড়চ্ছে কিংবা দৈনন্দিন জীবনের কোনও ঘটনাবলীর টুকরো দৃশ্য। এসব দৃশ্য এতটাই আটপৌরে ছিল যে লুই ভেবেছিলেন 'The Cinema is an invention without a future.' তবে তাঁর সমস্ত ভাবনা নস্যাৎ করে একশো বছরের মধ্যে সিনেমা, পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় শিল্প হয়ে উঠেছে। বিশ্ব সিনেমার ইতিহাসে প্রথম নির্মিত চলচ্চিত্র 'The Arrival of a Train.' নির্মাতা এই লুমিয়ের ব্রাদার্স।

ফ্রান্সের সর্বপ্রথম সিনেমা প্রদর্শনীর মাস ছয়েক পর ১৮৯৬ সালের ৭ই জুলাই লুমিয়েরদের প্রতিনিধি 'মরিস সেসটিয়ার' বোম্বাইয়ের ওয়াটসন হোটেলে ছবির প্রদর্শনী করেন। সেই থেকে ভারতে নির্বাক চলচ্চিত্রের যাত্রা শুরু হল। ওই বছরের ডিসেম্বরে ভারতের তৎকালীন রাজধানী কলকাতায় সিনেমা প্রদর্শিত হয়। তারপর ইংরেজ সাহেবদের সঙ্গে এখানকার থিয়েটার মালিকদের সঙ্গে একটা বোঝাপড়া হয়, থিয়েটার দেখানোর আগে বা পরে, এরকম স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি দেখানোর জন্য। প্রথমদিকে বিদেশী কোম্পানির হাত ধরেই এভাবে বাংলায় বায়স্কোপের প্রবেশ।

১৮৯৮ সালে হীরালাল সেন ও তাঁর ভাই মতিলাল সেন 'রয়্যাল বায়োস্কোপ' কোম্পানি তৈরি করেন। তাঁরা বিদেশ থেকে ছবি প্রদর্শনের জন্য নানা যন্ত্রপাতি কেনেন। ১৯০২ সালে কলকাতায় প্রথম মুভি ক্যামেরা আসে। হীরালাল সেন কলকাতার নাট্যমঞ্চ থেকে নাটকের নির্দিষ্ট কিছু দৃশ্যাবলী বেছে ক্যামেরাবন্দী করলেন। সেই সময়ের মঞ্চ নাটকের সফল নাটক 'আলিবাবা', 'সীতারাম', 'ভ্রমর' থেকে বিভিন্ন টুকরো দৃশ্য নিয়ে একটি ছায়াছবি তৈরি করলেন। যা ক্লাসিক থিয়েটারে দেখানো হয়েছিল। এছাড়া তিনি দুটি তথ্যচিত্র তৈরি করেছিলেন। একটি 'দিল্লি দরবার', অন্যটি 'বঙ্গভঙ্গ ও স্বদেশী আন্দোলন'। পরবর্তীকালে তিনি বাংলার বিভিন্ন জায়গায় বায়োস্কোপ দেখাতে শুরু করেন।

১৯১৩ সালে তাঁর সঙ্গে ভাই মতিলালের ঝগড়া হওয়ায় 'রয়্যাল বায়োস্কোপ কোম্পানি' বন্ধ হয়ে যায়। যাই হোক, বাংলা তথা ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে হীরালাল সেন প্রথম চলচ্চিত্রকার হিসেবে মানুষের কাছে পরিচিত হয়ে থাকবেন।

(চলবে)         

2 years ago


Indian Cinema: মুক্তি পেল ব্রহ্মাস্ত্র পার্ট ওয়ান শিবা, বক্স অফিসের ভাগ্যে কী?

দর্শকপ্রিয় দুই জুটি রণবীর ( RANBIR ) ও দীপিকা (DIPIKA) আবার আসতে চলেছেন নতুনভাবে। না, এবার আর প্রেমিকা নয়, দীপিকাকে দেখা যাবে একদম নতুন চরিত্রে। শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে অয়ন মুখোপাধ্যায়ের ( AYAN MUKHERJEE ) ছবি 'ব্রহ্মাস্ত্র:পার্ট ওয়ান শিবা' । ৪১০ কোটি বাজেটের এই ছবি তৈরি করতে সময় লেগেছে প্রায় ছ'বছর। চমৎকার 'ভিএফএক্স' সঙ্গে 'রণলিয়া' ফ্যাক্টর থাকা সত্ত্বেও বক্স অফিসের ভাগ্যে কী রয়েছে, তা বোঝা যাবে আর কিছু দিন পর। তবে মুক্তির ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতে বলি পাড়ায় নতুন গুঞ্জন। 'ব্রহ্মাস্ত্র'র ( Brahmastra -II ) দ্বিতীয় কিস্তিতে দেখা যেতে পারে দীপিকা পাড়ুকোনকে, এ কথা অনেক দিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল।

করণ জোহার প্রযোজিত 'ব্রহ্মাস্ত্র' ভারতীয় পুরাণ ও ইতিহাসের ওপর নির্ভর করে তৈরি হয়েছে। এটি 'অস্ত্রভার্স' ঘরানায় তৈরি প্রথম ছবি। 'অস্ত্র ব্রহ্মাণ্ড'-এর মধ্যে রয়েছে বানরাস্ত্র, নান্দেয়াস্ত্র, প্রভাস্ত্র, জলাস্ত্র, আগ্নেস্ত্র, পবনাস্ত্র, ব্রহ্মাস্ত্র। সেই দুনিয়ার প্রথম পর্ব এই মুক্তি পেল। হিন্দি ছাড়াও তামিল, তেলুগু, কন্নড় ও মালয়লম ভাষায় মুক্তি পেয়েছে এই ছবি। প্রথমভাগ শেষ হওয়ার সময়ই জানিয়ে দেওয়া হয় যে, ছবির গল্প এগোতে থাকবে দ্বিতীয়ভাগেও। শীঘ্রই মুক্তি পাবে 'ব্রহ্মাস্ত্র পার্ট টু- দেব'। জানা যাচ্ছে, 'ব্রহ্মাস্ত্র পার্ট টু'-তে রণবীর কাপুর এবং আলিয়া ভট্টের চরিত্র একইরকম থাকবে। বিভিন্ন সূত্রে খবর, পার্ট টুতে দেখা যেতে পারে রণবীর সিংহ এবং দীপিকা পাড়ুকোনকে। লম্বা চুলের পেশিবহুল এক ব্যক্তিকে দেখা যাবে 'ব্রহ্মাস্ত্র'র দ্বিতীয় ভাগে। কিন্তু কোন অভিনেতাকে দেখা যাবে, সে সম্পর্কে জানা যায়নি এখনও পর্যন্ত। কবেই বা মুক্তি পাবে, সে সম্পর্কেও জানা যায়নি কিছুই।

প্রসঙ্গতই বলা যায় 'ব্রহ্মাস্ত্র' দেখার পর এক নেটনাগরিক সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে লিখছেন, 'অয়ন মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ছবি 'ব্রহ্মাস্ত্র' ভারতীয় ছবিতে ল্যান্ডমার্ক তৈরি করতে পারে। এতে থাকা ভিএফএক্সের মাধ্যমে আপনাকে অন্য একটা জগতে যাবে। চমকদার ক্লাইম্যাক্সের সঙ্গে অসাধারণ প্লট।'আবার কোনও নেট নাগরিক লিখেছেন, 'শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত টান টান উত্তেজনা। আলিয়ার সঙ্গে রণবীর শো স্টিলার। ছবিতে রয়েছে একের পর এক টুইস্ট ।

2 years ago
Ticket: মাত্র ৭৫ টাকায় মাল্টিপ্লেক্সে সিনেমা দেখার সুযোগ, জানুন কবে

জাতীয় চলচ্চিত্র(National cultural day) দিবস উপলক্ষে ঘোষণা করা হয়েছিল, মাত্র ৭৫ টাকায় টিকিট বিক্রি করবে দেশের বহু সিনেমা হল।জলের দামে মিলবে টিকিট এই দিনে।১৬ই সেপ্টেম্বর পালিত হবে ভারতীয় জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস।

মাল্টিপ্লেক্স অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া ওই দিনেই সস্তায় টিকিট অর্থাৎ মাত্র ৭৫ টাকায় দর্শকদের আমন্ত্রন জানাচ্ছেন।এই ওটিটির যুগে যারা হলে এসে সিনেমা দেখতে পছন্দ করেন, কোভিড পরবর্তী সময়ে যদি তারা হলে এসে সিনেমা দেখেন তাই এই ব্যবস্থা।

সেই ক্ষেত্রে দর্শকদের কাছে হল কর্তাদের অনুরোধ এই দিনটিকে সাফল্ করলে তারা উৎসাহিত হবেন।

2 years ago