
সৌমেন সুর: ১৮৯৬ সাল। কলকাতার হাতিবাগান অঞ্চলে বাঙালি বাবুদের ভিড়। কি নেই হাতিবাগানে! নাটক, কবিগান, তরজা আরো কত কি! সেই সময় গিরিশচন্দ্র ঘোষ স্টার, তাঁর নাটকের জন্য। শুধু গিরিশচন্দ্র নয়, পাশাপাশি রসরাজ অমৃতলালের নাটক। চারদিকে গুঞ্জন। কোন নাটক কেমন, কাদের অভিনয় ভালো হচ্ছে, এমনি সব আলোচনায় মুখর উত্তর কলকাতা। একদিন স্টার থিয়েটারে স্টিফেন সাহেব এসে হাজির। তার কাঁধে ঢাউস একটা ব্যাগ দেখে কৌতুহল সবার। ওই মত্ত ব্যাগে কি এমন গুপ্তধন লুকিয়ে আছে সেটা দেখতে চাই উৎসুক সবাই। জানা গেল ওই ব্যাগের যন্ত্রে জীবন্ত ছবি ধরা আছে। যা দেখে সবাই অবাক হয়ে যাবে।
শুরু হলো বায়োস্কোপ উত্তরের কলকাতায়। স্টার থিয়েটারে নাটকের ফাঁকে ফাঁকে অনেকদিন ধরে বায়োস্কোপ দেখানো হয়েছিল। কিন্তু প্রচারে যত চমকেই থাকুক না কেন, স্টিফেন সাহেব যে বায়োস্কোপের প্রথম প্রদর্শক, এই প্রমাণ মেলেনি। তবে টিফিনের আগে কলকাতায় ফাদার লাঁফো প্রথম বায়োস্কোপ প্রদর্শন করেন। তিনি অধ্যাপক ছিলেন। সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে পড়াতেন। কয়েকজন ছাত্রকে তিনি দেখিয়েছিলেন প্রথম জীবন্ত ছবি। তার প্রচারের তেমন কিছুই ছিল না। তাই তাঁর আয়োজন প্রসার লাভ করতে পারেনি। তবে জীবন্ত ছবি দেখানোর ব্যাপারে দাবিদার প্রথম তিনিই। অর্থাৎ স্টিফেনের আগে। একদিন স্টিফেন সব সরঞ্জাম নিয়ে ফিরে যান নিজের দেশে। একটা ভরা শূন্যস্থানে হঠাৎ চমক দেখা দিলো। হীরালাল সেন জীবন্ত ছবি নিয়ে চলচ্চিত্র তৈরীর কথা ভাবছেন। কিন্তু ক্যামেরা তেমন কোথায়! একদিন একটা বিজ্ঞাপন হীরালালকে উচ্ছ্বসিত করলো। একটা বিদেশি কোম্পানি বায়োস্কোপ ক্যামেরা বিক্রি করবে। অনেক কষ্টে টাকা-পয়সা জোগাড় করে, বিদেশ থেকে সেই ক্যামেরা নিয়ে এলেন। হীরালালের মনের এই খিদে তৈরি হয়েছিল স্টিফেনের কর্মকান্ড দেখে।
চললো সাধনা। ১৮৯৮ সাল। দেশের সামনে একটা তাৎপর্যময় সময়। হীরালাল ও তার দাদা মতিলাল সেনের উদ্যোগে তৈরি হলো রয়্যাল বায়োস্কোপ কোম্পানি। ১৯০০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে উক্ত ব্যানারে ছবি দেখালেন। ১৯০১ সালের ৯ই ফেব্রুয়ারি প্রথম প্রদর্শিত হয় হীরালাল সেনের ক্যামেরায় বঙ্কিমচন্দ্রের 'সীতারাম' উপন্যাস, এরপর গিরিশচন্দ্রের ' মনের মতন', ক্ষীরোদ প্রসাদের 'আলিবাবা'। সবটাই নির্বাচিত অংশ। ১৯০৪ সালে অনেক মেহনত করার পর হীরালাল সেন দু ঘন্টার একটি কাহিনী চিত্র তৈরি করেন। এরপর ১৯১৭ সালে হীরালাল সেন মারা যান। এর কয়েক মাস আগে দাদা সাহেব ফালকে তৈরি করেন ' সত্যবাদী রাজা হরিশচন্দ্র। এটিই প্রথম ভারতীয় কাহিনীচিত্র। এর পরিবেশক ছিল ম্যাডান কোমকোম্পানি তবে ১৯১৯ সালে তৈরি হয় প্রথম পূর্ণাঙ্গ কাহিনী চিত্র বাংলায় - ' বিল্বমঙ্গল'। এটি নির্বাক কাহিনীচিত্র ছিল। এভাবেই অনেক সাধনার মধ্যে দিয়ে কলকাতায় সিনেমার আবির্ভাবে সূচনা হয়।
সম্প্রতি বাংলাদেশের একটি ছবিতে অভিনয় করার কথা ঘোষণা করেছিলেন অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু শুটিংয়ের মাঝপথে কলকাতা ফিরলেন তিনি। অভিযোগ, শুটিংয়ের মধ্যে তাঁকে হেনস্থা করার। সায়ন্তিকার অভিযোগ, প্রযোজকের অব্যবস্থার জন্য শুরু থেকেই তাঁকে হয়রান হতে হয়েছে।
সায়ন্তিকার শুটিং ছেড়ে কলকাতায় ফেরার কথা প্রথম প্রকাশ করে বাংলাদেশের একটি সংবাদমাধ্যম। তবে শুটিংয়ের মাঝপথে তিনি ফিরে এসেছেন এই খবর উড়িয়ে দিয়েছেন টলিউডের এই অভিনেত্রী। সায়ন্তিকার জানান, মূল সমস্যার পিছনে রয়েছেন প্রয়োজক মণিরুল। কারণ, তাঁর কোনও ব্যবস্থা নেই। এমনকী পরিকল্পনার অভাব রয়েছে বলেও অভিযোগ সায়ন্তিকার।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের খবর, এই সিনেমার কোরিওগ্রাফার মাইকেলের আচরণ ঠিক লাগেনি সায়ন্তিকার। তার জেরেই কলকাতা ফিরে গিয়েছেন তিনি। এই খবর ঠিক বলেই জানিয়েছেন অভিনেত্রী। তবে, পুরো অব্যবস্থার দায় তিনি ঠেলেছেন প্রয়োজকের দিকে।
ভারতীয়দের সুখের জীবনে ২০২০ সালে হামলে পড়েছিল করোনা। চারিদিকে মৃত্যু-হাহাকার, এক বীভৎস উপন্যাস দেখেছে তখন সকলে। দিনের পর দিন ঘরবন্দি হয়ে থাকা অনেকটা খাঁচায় বন্দি হওয়ার অনুভূতি দিয়েছে মানুষকে। করোনার সময়কাল থেকেই তুলে আনা ধারণা দিয়ে এক অন্য স্বাদের সিনেমা তৈরী করেছেন পরিচালক শর্মিষ্ঠা মাইতি ও রাজদীপ পাল। ছবির নাম 'কালকক্ষ' (Kalkokkho)। যা ইদানিং সময়ে চর্চায় উঠে এসেছে দুটি কারণে। প্রথম কারণ, জাতীয় পুরস্কার পাওয়া। দ্বিতীয় কারণ, জাতীয় পুরস্কার পেয়েও সিনেমাহল না পাওয়া।
কালকক্ষ মুক্তি পেয়েছিল ২০২২-এ। সিনেমাহলে গিয়ে মুখ থুবড়ে পড়েছিল সিনেমাটি। তাই হল মালিকরা আর সিনেমাটি প্রদর্শন নাকচ করে দিয়েছিলেন। কালকক্ষর মুকুটে জাতীয় পুরস্কারের পালক যোগ হলেও সিনেমাহল মালিকরা মন পরিবর্তন করলেন না। বেশ কিছুদিন ধরেই সিনেমার পরিচালক ও প্রযোজক সংস্থা সিনেমা হলে শো টাইমের পাওয়ার চেষ্টা করছেন।বাণিজ্যিক সিনেমা ছেড়ে সিনেমা হলের মালিকরা কালকক্ষ সিনেমা প্রদর্শনের সাহস না দেখালেও এগিয়ে এল নন্দন। কম অর্থে দর্শকদের কাছে সিনেমা দেখার সুযোগ করে দিলেন।
৮ সেপ্টেম্বর নন্দনে মুক্তি পাবে 'কালকক্ষ'। বিকেল ৬টা ১৫-এর শোয়ে বৃহস্পতিবার থেকে নন্দন-১ এ দেখা যাবে সিনেমাটি। রাধা সিনেমাহলেও দুপুর ৪টের শো টাইমে দেখা যাবে 'কালকক্ষ'।
বাংলা সিনেমা জগতের পরিচালকেরা ইদানিং পিরিয়ড ড্রামা নিয়ে কাজ করতে চাইছেন। এরকম বেশ কিছু প্রজেক্টের ঘোষণা করেছেন নানা পরিচালকেরা। এই তালিকায় রয়েছে জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত পরিচালক শুভ্রজিৎ মিত্রর ছবি দেবী চৌধুরানী (Devi Chowdhurani)। বেশ কিছুমাস আগেই এই ছবির ঘোষণা করেছিলেন পরিচালক। ছবিতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করবেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করবেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, সব্যসাচী চক্রবর্তী, অর্জুন চক্রবর্তী সহ অন্যান্য অভিনেতারা।
কিন্তু ঘোষণা হয়ে গেলেও ছবির শ্যুটিং শুরু হয়নি এখনও। তাহলে কী কোনও কারণে পিছিয়ে গেল সিনেমার শ্যুটিং। পরিচালক এক সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন। শ্যুটিংয়ের জন্য জায়গা নির্বাচন করা এখন সবচেয়ে কঠিন কাজ। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা উপন্যাস 'দেবী চৌধুরানী' অবলম্বনে তৈরী হবে সিনেমার চিত্রনাট্য। কিন্তু তখনকার সময় আর এখনকার সময় এক নয়, তাই লোকেসান খুঁজতেই বেগ পেতে হচ্ছে পরিচালককে।
বর্তমানে পুরুলিয়া, বীরভূম ও ঝাড়খণ্ড ঘুরে ছবির শ্যুটিংয়ের জন্য উপযুক্ত স্থান খুঁজছেন পরিচালক। গভীর জঙ্গলেই ২৫০ বছর আগের আবহ তুলে ধরতে চাইছেন পরিচালক। কিন্তু ঝুঁকিও আছে অনেক। গহীন জঙ্গলের অধিকাংশ জায়গায় কেউটে-গোখরোর বাস। জঙ্গলের মধ্যে দিয়া যাওয়ার রাস্তা নেই। ফলে শ্যুটিংয়ের অত জিনিসপত্র ও টিম নিয়ে যাওয়া সহজ কাজ হবে না। তাই পরিকল্পনা করেই পা ফেলতে চাইছেন পরিচালক।
আবারও দুর্গাপুজোয় নিজের ছবি নিয়ে ফিরতে চলেছেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় (Srijit Mukherjee)। ২০১৯ সালের দুর্গাপুজোয় শেষবার মুক্তি পেয়েছিল সৃজিত পরিচালিত 'গুমনামী'। তারপর করোনা কাল শুরু হয়। এর মাঝে আর পুজোয় আসেনি সৃজিতের সিনেমা। ২০২৩ এর দুর্গাপুজোয় 'দশম অবতার' (Dasham Avtaar) নিয়ে বড় পর্দায় প্রত্যাবর্তন হতে চলেছে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের। ২০ জুলাই, বৃহস্পতিবার বাগবাজারের বসু বাটিতে হয়ে গেল সিনেমার লোগো লঞ্চ।
তবে তিন বছর পর ছবি নিয়ে পর্দায় আসছেন পরিচালক। তাই তিনি একটু সাবধানী। সৃজিত তাঁর অন্যতম হিট সিনেমা 'বাইশে শ্রাবণের' নস্টালজিয়া ছুঁয়ে দশম অবতারের চিত্রনাট্য সাজিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সিনেমার মোশন লোগো লঞ্চে পরিচালক বলেছেন, 'বাইশে শ্রাবণ যেখানে শেষ হয়েছে, সেখান থেকে শুরু হবে দশম অবতারের গল্প।'
এই ছবিতে থাকবেন বাইশে শ্রাবণের অফিসার প্রবীর রায়চৌধুরী এবং ভিঞ্চি দা সিনেমার অফিসার বিজয় পোদ্দারকে। আজ এই দুই অভিনেতাকে দেখা গিয়েছে মোশন লঞ্চে। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে দেখা গিয়েছিল বাইশে শ্রাবণের প্রবীরের চেহারায়। এদিকে অনির্বাণ ভট্টাচার্যকে দেখা গিয়েছে বিজয় পোদ্দারের রূপেই। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা যীশু সেনগুপ্ত এবং অভিনেত্রী জয়া এহসান।
ছবিতে গানের দায়িত্বে থাকবেন ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত, রূপম ইসলাম এবং অনুপম রায়। বাইশে শ্রাবণের হিট গানগুলির পর এর সিক্যুয়েল দশম অবতারের গান নিয়েও প্রত্যাশা বাড়ল দর্শকদের। ছবির শ্যুটিং হতে চলেছে কলকাতার আনাচে কানাচে। ইতিমধ্যেই পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় রেইকি করে শ্যুটিংয়ের জায়গাও ঠিক করে ফেলেছেন। শুক্রবার, ২১ জুলাই থেকে শুরু হবে সিনেমার শ্যুটিং। সিনেমা দেখতে অপেক্ষা করতে হবে পুজো পর্যন্ত।
টলিউড ধারাবাহিক জগৎ থেকে উত্তরণ হয়েছিল অভিনেতা জীতু কমল (Jeetu Kamal) এবং অভিনেত্রী নবনীতা দাসের (Nabanita Das)। তাঁদের রিল জীবনের রোম্যান্স গড়িয়েছিল রিয়েল লাইফেও। বিয়ে করে সুখে সংসার করছিলেন। তবে সম্প্রতি তাঁদের বিচ্ছেদের আগুন যেন দাবানল ছড়িয়েছে ভক্তদের মনে। এই বিয়েতে আর থাকতে চাইছেন না নবনীতা। তাই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অন্যদিকে অভিনেতা জীতু 'বাচ্চা বৌ' (নবনীতাকে) আগলে যাওয়ার সংকল্প নিয়েছেন।
সুন্দর সম্পর্কে কেন হঠাৎ বিচ্ছেদ এলো, এই নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে বিগত দিনগুলি ধরে। কেউ বলছেন, ছোট পর্দা থেকে জীতুর বড় পর্দায় যাওয়া কাল হয়েছে সম্পর্কের জন্য। আবার অনেকে বলছেন, জীতু জড়িয়ে পড়েছেন তাঁর সিনেমার অভিনেত্রীর সঙ্গে। 'অপরাজিত' সিনেমায় সত্যজিৎ রায়ের চরিত্রে সফল ডেবিউ করে জীতু এবার বেশ কয়েকটি চরিত্রের জন্য তৈরি হচ্ছেন। শ্রাবন্তীর সঙ্গে তাঁর সিনেমা মুক্তি পাবে কিছু দিনে। অন্যদিকে ঋতাভরীর সঙ্গেও নতুন সিনেমায় দেখা যাবে তাঁকে।
নতুন জল্পনা, জীতুকে বড় পর্দায় চ্যালেঞ্জ জানাতে তৈরী হচ্ছেন নবনীতা। মঙ্গলবার রাতে সামাজিক মাধ্যমে প্রযোজক রানা সরকারের সঙ্গে একটি নিজস্বী পোস্ট করেছেন অভিনেত্রী। সেই থেকেই টলি পাড়ায় গুঞ্জন, অভিনেত্রী এবার সিনেমায় আসবেন কী? পরিচালক সামাজিক মাধ্যমকে জানিয়েছেন, তিনি নবনীতাকে নিয়ে ছবি বানাতে চান। নতুন পরিচালকের হাতেই নাকি দায়িত্ব দেবেন। ভালো সিনেমার কাজ পেলে, নবনীতা ধারাবাহিকে অভিনয় করা কমিয়ে দেবেন, বলেও জানিয়েছেন রানা।
২০২৩-এর সবচেয়ে বেশি চর্চিত ও বহু প্রতীক্ষিত ছবি ছিল 'আদিপুরুষ'। এই ছবি প্রেক্ষাগৃহে দেখার জন্য মুখিয়ে বসেছিলেন দেশবাসী। এমনকি বিদেশের দর্শকরাও এই ছবির জন্য উৎসাহী ছিলেন। কিন্তু ১৬ জুন এই ছবি মুক্তি পাওয়ার পর দর্শকদের মন একেবারেই ভেঙে যায়। এমনকি প্রভাসও খুশি করতে পারেননি তাঁর দর্শকদের। ফলে এই ছবি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়তে শুরু করেছে। ব্যবসার ক্ষেত্রে গ্রাফ নিম্নমুখী। ফলে এবারে শোনা গিয়েছে, যে ছবির টিকিটের দাম ছিল ২০০০ টাকা, সেটি এখন নেমে দাঁড়িয়েছে ১১২ টাকায়। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি।
রামায়ণের প্রেক্ষাপটে তৈরি ছবি আদিপুরুষ প্রথম থেকেই বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। এমনকি মুক্তি পাওয়ার পর বিতর্ক আরও জোরালো হয়ে ওঠে। নিম্নমানের ভিএফএক্স থেকে শুরু করে বিকৃত সংলাপ, হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত ইত্যাদির মতো একাধিক অভিযোগ উঠেছে। পরে সংলাপে পরিবর্তন করা হলেও অবশেষে কোনও কিছুই এই ছবির ব্যবসা বৃদ্ধি করতে পারল না। গত বৃশুরু করে বিকৃত সংলাপ, হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত ইত্যাদির মতো একাধিক অভিযোগ উঠেছে। পরে সংলাপে পরিবর্তন করা হলেও অবশেষে কোনও কিছুই এই ছবির ব্যবসা বৃদ্ধি করতে পারল না। গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবারেই টিকিটের দাম কমে হয়েছিল ১৫০ টাকা। এবার এই ছবির টিকিটের দাম সোমবারে এসে ঠেকেছে মাত্র ১১২ টাকায়। টি-সিরিজ থেকে একটি পোষ্ট শেয়ার করা হয়েছে যেখানে লেখা রয়েছে, 'বুক মাই শো-তে এবার থেকে আদিপুরুষের টিকিট কাটা যাবে ১১২ টাকায়।'
সিনেমা (Cinema) নিয়ে বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না বাংলার (West Bengal)। সম্প্রতি সুদীপ্ত সেন (Sudipto Sen) পরিচালিত ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ সিনেমাটি নিয়ে চরম বিতর্কে জড়িয়েছিল রাজ্য। যা দেশের শীর্ষ কোর্টেও পৌঁছায়। ফের একটি সিনেমা নিয়ে বিতর্কে বাংলা। এবার মুক্তি পেল ‘দ্য ডায়রি অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল!’ ছবির ট্রেলার। ট্রেলার মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই ফের মাথাচাড়া দিয়েছে বিতর্ক। বাংলার সম্মান ক্ষুণ্ণ করা হচ্ছে এই অভিযোগে, বাংলার পুলিশের তরফে পরিচালক সানোজ মিশ্রকে পাঠানো হয় আইনি নোটিস।
পরিচালক সানোজ মুম্বইবাসী, মুম্বই পুলিশের হাত দিয়ে তাঁকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের আদলে সাজানো হয়েছে চরিত্র। এনআরসি, ক্যা, প্রসঙ্গও তোলা হয়েছে ট্রেলারে। পরিচালক জানান, ‘তাঁরা কেবল বাস্তব তুলে ধরতে চাইছেন’
অর্জুন চক্রবর্তী: সত্যজিৎ, ঋত্বিক বা মৃণাল সেনের নাম ভারতীয় চলচ্চিত্রে এক লহমায় আলোচিত হয়ে থাকে। তারপর কেউ কেউ দয়া করে বিশিষ্ট পরিচালক তপন সিংহের নাম করে থাকেন। আমি অভিনেতা হিসাবে মনে করি একই পংক্তিতে তপনদার নাম থাকা উচিত। এটা বাস্তব তপনদা সিনেমার বাণিজ্যিক দিকটার কথা মনে রাখতেন। সেটা কি অপরাধ? মানিকদা একসময় বলেছিলেন, ছবি তৈরিই হয় দর্শকদের কথা ভেবেই। মানিকদা বা সত্যজিৎ রায়, তপনদাকে বিশেষ পছন্দ করতেন এবং তপনদার মুখেই শুনেছি, বহু সময়ে তপনদার সঙ্গে মানিকদার ছবি নিয়ে আলোচনা করতেন। তপনদার ছবিতে মানিকদার প্রিয় অভিনেতা অভিনেত্রীকে পাওয়া যেতই। সৌমিত্রদা, রবি ঘোষ, মাধবীদি, লিলি চক্রবর্তী, শর্মিলা ঠাকুর থেকে কে নন। তপনদাও একটা অনিয়মিত গল্পকে অবলম্বন করে অসংখ্য ছবি করেছেন। মানিকদার মতোই তিনি চিত্রনাট্য থেকে গানের সুর বা সংগীতপরিচালনা নিজেই করতেন। অনুপ ঘোষালকে মানিকদা গুপী বাঘাতে নিয়ে এসেছিলেন, তেমনই তপনদার ছবি সাগিনা মাহাতোতে অনুপদার কণ্ঠ এবং দিলীপ কুমারের লিপ ছিল।
তপনদা যে কোনও ছবি করার আগে পরিবেশ পরিস্থিতি নিয়ে অনেক ভাবনা চিন্তা করতেন। বহু ছবিকে আমি ডকুমেন্টরি হিসাবে ধরতে পারি। ধরুন, হুইলচেয়ার। এটিকে কি বলবেন? কিংবা হাটে বাজারে বা সাগিনা মাহাতো? গল্প পরে দেখুন, ক'জন চেষ্টা করবেন এই ঘটনা নিয়ে ছবি বানাতে। তাঁর ৪৮ টি ছবি ৪৮ রকমের ছিল, শুধু দুটি ছবি হিন্দিতেও রিমেক করেছিলেন। অশোক কুমার, দিলীপ কুমার, শত্রুঘ্ন সিনহা থেকে বৈজয়ন্তীমালা, সায়েরাবানুর মতো ব্যস্ততম শিল্পীদের কাজে নিয়েছিলেন। আবার এই বাংলার উত্তম,সৌমিত্র থেকে প্রসেনজিৎ কে নয়। আমার সৌভাগ্য আমি তাঁর ৫টি ছবিতে কাজ করেছি। ৫টি ৫ ধরণের চরিত্র।
তপনদার এটি প্রাক জন্মশতবর্ষ। আগামী বছর ২ অক্টোবর তার শতবর্ষ পূর্ণ হবে। বর্তমানে মিডিয়ার দিকে তাকালে শুধু রাজনীতির কচকচানি। তপনদা মনে রাখবে তো?
'দ্য কেরালা স্টোরি' (The Kerala Story) বাংলায় নিষিদ্ধ হবার পর ওই সিনেমার (Cinema) নির্মাতা সংস্থা ও পরিচালক যে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) যাচ্ছেন সে কথা প্রথম সিএন ডিজিটালেই জানিয়েছিলেন। এবার এই সিনেমার প্রদর্শনীর বন্ধের বিরোধিতা করে কলকাতা হাইকোর্টে জোড়া জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল। ঠিক কোন কারণে এই সিনেমাটি নিষিদ্ধ করা হল বাংলায়, তা জানতে চেয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছে অনিন্দ্য সুন্দর দাস নামে এক ব্যক্তি।
সূত্রের খবর, কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলা দায়ের করার অনুমতি দেয়। মামলাকারী অনিন্দ্য সুন্দর দাসের দাবি, এভাবে নোটিফিকেশন জারি করে সিনেমা বন্ধ করা যায় না। এটা বাকস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বলে মনে করেন তিনি। এছাড়া এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে দেবদত্ত মাঝি নামে এক ব্যক্তি হাইকোর্টে মামলা করেন। তাঁর দাবি এভাবে সিনেমা বন্ধ করা যায় না। এভাবে কন্ঠ রোধ করা যায় না।
গত ৫ই মে দেশের বহু প্রেক্ষাগৃহে সুদীপ্ত সেন পরিচালিত সিনেমা 'দ্যা কেরালা স্টোরি' রিলিজ করে। তাঁর পরেই শুরু হয় বিতর্ক। এর পরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সিনেমাটি বাংলার প্রেক্ষাগৃহে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। যদিও সিনেমা নির্মাতা সুদীপ্ত সেনের দাবি, ৪ দিন বাংলায় ভালো ব্যবসা করেছে 'দ্যা কেরালা স্টোরি।'
সৌমেন সুরঃ পৃথিবী প্রতিনিয়ত বদলাচ্ছে বিশ্বায়নের হাত ধরে। বাংলাও বিশ্বমুখী। বাঙালিই বা থেমে থাকবে কেন? বাঙালির আজ বং-ট্রেন্ডের হাওয়াতো গায়ে লাগবেই। ম্যাটিনী শো'তে হলে বাঙালির ভেসে যাওয়ার দিন শেষ। একথা মেনে নেওয়াই ভালো। বাংলা সিনেমা দেখা মানে পয়সা নষ্ট। একসময় বাংলা সিনেমা দেখার জন্য টিকিট কাটার লম্বা লাইন চোখে পড়তো। সে অনেককাল আগে। এমনও দিন গিয়েছে সিনেমার কনটেন্ট নিয়ে আলোচনায় একেবারে যুদ্ধং দেহি মনোভাব। কিন্তু বর্তমানে শুনশান আবহাওয়া। ইশ, তুই অমুকের ছবি দেখিস! পথে যেতে যেতে এরকম উড়ো কথায় মনে ভয় এসে যায়। ভয় আসে এই অর্থে, বাংলা ছবি দেখে সমাজদূত হওয়ার। আশা জাগানো প্রতিভাবান ফিল্মমেকার ভাল সুযোগের হাতছানিতে অন্যত্র চলে যাচ্ছে। তাহলে দর্শকরাই বা কম কিসে! আমরাও turn back করি।
বর্তমানে প্রায় প্রত্যেকেরই হাতে মোবাইল ফোন। অর্থাৎ পৃথিবীটা তার হাতের মুঠোয়। একটু অন্যভাবে দেখলে দেখা যায়, ওয়ের সিরিজ হোলে মোবাইল হবে উপযোগী। সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা বাঙালির হাতের মুঠোয় পৌছে যাবে সৃষ্টিশীল কাজ ক্ষুদ্র গন্ডী পেরিয়ে। বিপুল সংখ্যক বাঙালির কাছে পৌছে যাবে নানা সৃষ্টি। এই ব্যবস্থাপনায় প্রকাশ হতে থাকবে সৃষ্টিধরের সৃষ্টিশীল কর্ম, যা এক দেশ থেকে অন্য দেশে পৌছে যাবে অত্যন্ত স্মার্ট পরিবেশনে। দূরে থেকেও বাঙালি হারাবে না তার বাংলাকে, তার গৌরবকে। শুরু হোক নতুন স্টাইল, নতুন ভাবনা, নতুন পথ। বস্তাপচা চেনা ছক বদলাবে ওয়ের সিরিজের হাত ধরে। তথ্যঋণ-শুদ্ধশীল বসু
সুশান্ত সিং রাজপুতের (Sushant Singh Rajput) স্মৃতি ও তাঁর অভিনীত প্রত্যেকটি ছবি এখনও সবার মনে অক্ষত। সুশান্তের প্রায় প্রতিটি ছবিই বড় পর্দায় চুটিয়ে ব্যবসা করেছে। তবে একটি বিশেষ ছবি ছিল যা মানুষের মন ছুঁয়ে গিয়েছে। সেই ছবি হলো এমএস ধোনি: দ্য আনটোল্ড স্টোরি (MS Dhoni: The Untold Story)। বক্স অফিসে দারুণ সাড়া ফেলেছিল এই ছবি। একেতেই ধোনির বায়োপিক, তার উপর সুশান্তের দারুণ পারফরম্যান্স। ফলে ধোনি ও সুশান্তের অনুরাগীদের জন্য সুখবর। ফের একবার বড় পর্দায় অর্থাৎ প্রেক্ষাগৃহে দেখা যাবে এমএস ধোনি: দ্য আনটোল্ড স্টোরি। আগামী ১২ মে ফের একবার বড় পর্দায় সুশান্তকে দেখতে পারবেন। এই খবর স্টার স্টুডিওস থেকে শেয়ার করা হয়েছে।
দিনটা ছিল ২০২০ সালের ১৪ জুন। সকলকে কাঁদিয়ে চিরদিনের জন্য সবাইকে ছেড়ে চলে যান সুশান্ত সিং রাজপুত। তিনি যে আত্মহত্যা করেছেন, এটা কেউ বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না। তাঁর মৃত্যুতে পুরো দেশ জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছিল। তবে তিনি সবার মনে এখনও রয়ে গিয়েছেন ও ভবিষ্যতেও থাকবেন। মাহির জীবনের উপর তৈরি করা ছবিতে অভিনয় করে সবার তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। মন ছুঁয়ে গিয়েছিল তাঁর অভিনয়। ফলে তাঁর চলে যাওয়ার পরও যে আবার তাঁকে মাহি রূপে বড় পর্দায় দেখা যাবে তা নিয়ে বেজায় খুশি তাঁর ভক্তরা।
উল্লেখ্য, দেশের অন্যতম বিখ্যাত ক্রিকেটার মহেন্দ্র সিং ধোনির বায়োপিক ২০১৬ সালে প্রথম মুক্তি পেয়েছিল। এবারে চলতি মাসের ১২ তারিখ ভারতীয় প্রেক্ষাগৃহে হিন্দি, তামিল ও তেলেগু ভাষায় আবারও মুক্তি পেতে চলেছে।
টলিউড সিনেমা জগতে এবার আসতে চলেছে নতুন জুটি। একদিকে থাকবেন ঋতাভরী (Ritabhari Chakraborty)। অন্যদিকে অভিনেতা জিতু কমল (jeetu kamal)। এই দুই অভিনেতা-অভিনেত্রীর মধ্যে বেশ মিল রয়েছে। দু'জনের উত্তরণ ছোট পর্দা থেকে। তবে নিজেদের প্রমাণ করে তাঁরা বড় পর্দায় পা রেখেছেন। জিতুকে শেষ দেখা গিয়েছিল, 'অপরাজিত' সিনেমায়। সত্যজিৎ রায়ের চরিত্রে তাঁর অভিনয় মুগ্দ্ধ হয়ে দেখেছে দর্শক। প্রথম ছবিতেই বাজিমাত করেছিলেন জিতু। অন্যদিকে মুক্তির অপেক্ষায় ঋতাভরীর 'ফাটাফাটি'। এবার এই দুই জুটি নতুন গল্প নিয়ে আসতে চলেছে।
ঋতাভরী এবং জিতুকে দেখা যাবে 'আপনজন' ছবিতে। এই ছবি দুই সিঙ্গেল পেরেন্টের গল্প বলবে। ঋতাভরী সিঙ্গেল মাদার অন্যদিকে জিতুও সিঙ্গেল ফাদার। এই দুই চরিত্রের এক হওয়াতেই গল্প পরিপূর্ণতা পাবে? এর আগে 'বাবা ও বেবি' সিনেমাতেও সিঙ্গেল ফাদারের গল্প দেখানো হয়েছিল। আবারও সেই একই গল্প অন্য মোড়কে আসতে চলেছে। চিত্রনাট্যে প্রেমে পড়বে দুই চরিত্র। সন্তানের অভিভাবকত্ব নাকি ভালোবাসা কোনটা বেছে নেবে এই দুই চরিত্র? নাকি সব সামলে একসঙ্গে শুরু করবেন নতুন জীবন?
ঋতাভরী এর আগে 'ফাটাফাটি' সিনেমায় অভিনয় করার জন্য অনেকটা ওজন বাড়িয়েছিলেন। এরপর নতুন চরিত্রের জন্য আবারও ১৭ কেজি ওজন কমিয়েছেন ঋতাভরী। ১৫ মে লন্ডনে শুরু হবে সিনেমার শ্যুটিং। নতুন ছবিতে ঋতাভরী ও জিতুর রসায়ন কতটা জমে তা দেখার জন্য আরেকটু অপেক্ষা করতে হবে।
দক্ষিণী সিনেমার জৌলুস পেরিয়ে সর্বভারতীয় অভিনেত্রী হয়ে উঠেছেন তামান্না ভাটিয়া। তাঁর ভক্তসংখ্যা প্রচুর। অভিনয়ের পাশাপাশি রূপের আগুনেও মুগ্ধ অগুনতি মানুষ। টানটান চেহারায় যে সৌন্দর্যে তাঁকে এতদিন দেখে এসেছে সাধারণ মানুষ, তা গায়েব হয়েছে। স্কিনের স্বাস্থ্য ভেঙে পড়েছে। খসখসে মুখে বেরিয়েছে পিম্পল। সাধারণত এই চেহারায় কোনও অভিনেত্রী সামনে আসতে চান না। কিন্তু তামান্না এলেন। ছড়িয়ে দিলেন বার্তা।
সম্প্রতি নিজের ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট থেকে একটি ভিডিও পোস্ট করেন তামান্না, তিনি বলেন 'কয়েকটা দিন ত্বকের জন্য ভালো হয়, আবার কয়েকটা দিন ভালো হয় না। যেমন আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন। কিন্তু এই দিনগুলোতে নিজেকে বেশি করে ভালোবাসা উচিৎ। আমি ঠিক করেছি, নিজেকে এভাবেই ভালোবাসব।'
এখানেই শেষ করেননি তামান্না, তাঁর ভক্তদের এবং তরুণীদের উদ্দেশে বলেছেন, 'নিজেকে ভালোবাসা উচিৎ।' অভিনেত্রীর ভিডিওতে হৃদয়ের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। তামান্নার মতো অভিনেত্রী নিজের খারাপ চেহারা তুলে ধরেছেন, এই নিয়ে বেশ খুশি নেটিজেনরা। যারা নিজেকে নিয়ে হীনমন্যতায় ভুগছে, তামান্না তাদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে উঠছেন। কমেন্ট বক্সে অনেকে তামান্নার কথায় সম্মতি জানাচ্ছেন। শেয়ার করছেন অভিনেত্রীর বার্তা।
কালিদাসের ‘অভিজ্ঞান শকুন্তলম’কে অবলম্বনে তৈরি চিত্রনাট্য। এই ছবির মুখ্য চরিত্রে রয়েছে সামান্থা রুথ প্রভু ও দেব মোহন। বিখ্যাত দক্ষিণী(South) পরিচালক গুণশেখরের পৌরাণিক ছবি ‘শকুন্তলম’। ‘শকুন্তলম’ ছবির মাধ্যমে আবার রুপোলি পর্দায় দেখা যাবে সামান্থা রুথ প্রভুকে। ইন্দ্রের চরিত্রে দেখা যাবে যিশু সেনগুপ্তকে। দীর্ঘ অসুস্থতা কাটিয়ে বড় পর্দায় আসছেন এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী। একেবারে রাজকীয় বেশে দেখা মিলল অভিনেত্রীর।
জানা যায়, এই ছবির জন্য প্রায় ১৪ কোটি টাকার গয়না দিয়ে সাজানো হয় সামান্থাকে। এই ছবির পোশাক (Dress) ও অলঙ্কার (Jewellery) সজ্জার দায়িত্ব নিয়েছেন খ্যাতনামী পোশাকশিল্পী নীতা লুল্লা। মুক্তির আগেই রীতিমতো চর্চায় এই ছবি।
এই ছবির হাত ধরেই সেলুলয়েডে পা রেখেছে আল্লুর পরিবারের খুদে সদস্য মানে আল্লু অর্জুনেরর ছেলে অরহার। ১৪ এপ্রিল মুক্তি পেতে চলেছে এই ছবি।