লরির ধাক্কায় মৃত্য়ু হল পাঁচ বছরের শিশুর। ঘটনার পর থেকে পলাতক ঘাতক লরির চালক। রবিবার দুপুরে ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের সুতি থানার আহিরণ ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায়। জানা গিয়েছে, মৃত শিশুটির নাম সাহিদ শেখ। বাড়ি সুতি থানার ডাঙাপাড়া এলাকায়।
জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে আহিরণ ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় সাহিদের বাবা ও মা মাঠে কাজ করছিলেন। আর সেই সময় জাতীয় সড়কের উপর তাঁদের পাঁচ বছরের ছেলে দাঁড়িয়েছিল। হঠাৎ একটি দ্রুতগামী লরি এসে ওই শিশুটিকে ধাক্কা মেরে চলে যায়। তারপর তড়িঘড়ি ওই শিশুটিকে উদ্ধার করে জঙ্গিপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। শিশু মৃত্য়ু ঘটনা শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়।
বাড়ি সন্দেশখালি। মাথায় সন্ত্রাসের ছাদ। আতঙ্কের তাড়ায় বদলেছে ভিটে। অনিশ্চিত বেঁচে থাকার ভবিষ্যৎ। সন্তানদের সুরক্ষা দিতে সন্দেশখালি থেকে সন্তানদের পাঠানো হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদলে। নাটশাল রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমই আপাতত ঠাঁই সন্দেশখালি ছাড়া ছোট্ট ছোট্ট মুখগুলোর। আর পড়াশুনো স্থানীয় নাটশাল হাইস্কুলে।
আন্দোলন, বিক্ষোভের মধ্যদিয়ে কাটছে সময়। অশান্তিকর পরিবেশ গড়ে উঠেছে গোটা সন্দেশখালি জুড়ে। অশান্তির আঁচ যাতে বাচ্চাদের মধ্যে না পড়ে তার জন্য এলাকার বহু মানুষ বাচ্চাদের রুপনারায়ন নদী পার করিয়ে পাঠিয়ে দিচ্ছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদলে। মহিষাদল ব্লকের নাটশাল-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে রয়েছে রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম। সম্প্রতি সেই আশ্রমে সন্দেশখালির বেশ কয়েকজন বাচ্চা আবাসিক হিসাবে এসেছে। তারা নাটশাল রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম থেকে স্থানীয় নাটশাল হাইস্কুলে পড়াশোনা করছে। বাড়ি ছেড়ে এখানে পড়াশোনা করলেও এলাকার অশান্তি ও পরিবারের লোকজনদের কথা ভেবে খুব চিন্তায় ও ভয়ে রয়েছে তারা।
নাটশাল রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের সভাপতি শুভজিৎ মাইতি জানান, 'উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের শাখা রয়েছে। তাদের মারফত কয়েকজন আশ্রমে আবাসিক হিসাবে আবেদন করে পরিকাঠামো অনুসারে আমরা ৯ জনকে রাখতে পেরেছি। তাঁরা আবাসিক হিসাবে থাকবে এবং পাশে নাটশাল হাইস্কুলে পড়াশোনা করবে। সন্দেশখালির অশান্তির কারনেই এখানে পরিবারের লোক পাঠিয়ে দিয়েছে বলে মনে করছি আমরা। অনেকে আবেদন করেছিলেন কিন্তু সকলকে আমরা নিতে পারিনি।'
নাটশাল হাইস্কুলে প্রধান শিক্ষক বিপ্রনারায়ণ পণ্ডা জানান, 'বর্তমান শিক্ষাবর্ষে পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ৩০ জন টিসি নিয়ে এসে আমাদের স্কুলে ভর্তি হয়েছে, যার মধ্যে ৭ জন সন্দেশখালির। সরকারি নিয়ম রয়েছে টিসি নিয়ে যারা পড়াশোনার জন্য আসবে তাদের স্কুলে ভর্তি করা হবে। তাই আমরা আবেদন অনুসারে ভর্তি করিয়েছি।'
ছাত্ররা জানিয়েছে, ওখানে পড়াশোনা হচ্ছে না। তাই তারা তাদেরকে বাবা-মা এখানে পাঠিয়েছে। এখন দেখার কবে শান্ত হয় সন্দেশখালি। আতঙ্ক কাটিয়ে কবে সন্দেশখালি ফিরবে পড়ুয়ারা। যে রাজ্যে অবাধ বিচরণ করে ক্ষমতাধারীরা, সেখানে খুদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। 'শৈশব ছুটছে বাঁচার আশায়।' জীবনের নিশ্চয়তাটুকু নেই সন্দেশখালিতে? কোন আইনশৃঙ্খলার বড়াই করে শাসক-প্রশাসক? যে নিরাপত্তার বেষ্টনী শৈশবকে নিশ্চিন্তে বেড়ে উঠতে দেয় না!
ভর সন্ধ্যাবেলায় জোর আওয়াজে চলছিল টিভি। তারই মাঝে ঘরে ঢুকে নিঃশব্দে কুপিয়ে খুন আট বছরের শিশুকে। ঘর থেকে উদ্ধার শিশুর রক্তাক্ত মৃতদেহ। গায়ে-হাতে-পায়ে অসংখ্য জখমের দাগ। জানা গিয়েছে, মৃত শিশুটির নাম স্নেহাংশু শর্মা। শুক্রবার সন্ধের ঘটনায় স্তম্ভিত হুগলি কোন্নগরের কানাইপুর আদর্শনগর ইংলিশ রোড এলাকা।
জানা গিয়েছে, স্নেহাংশুর বাবা-মা দুজনেই কর্মরত থাকায় দিনের বেশির ভাগ সময় একলাই কাটে তার। শুক্রবার সন্ধ্যায় নিজের ঘরে পড়াশোনা করছিল চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র স্নেহাংশু। সেই সঙ্গে চলছিল টিভিও। কিছুক্ষণ পর ওই ঘরে ঢুকেই স্নেহাংশুর রক্তাক্ত মৃতদেহ দেখতে পান পরিবারের একজন। এরপর তড়িঘড়ি তাকে হিন্দমোটরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষরক্ষা হয়নি। প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে নিঃশব্দে পরিকল্পনামাফিক ঘটানো হল এই গোটা ঘটনাটি?
আট বছরের শিশুর উপর কীসের বিদ্বেষ? কার জমা ক্ষোভের মাশুল গুনল ছোট্ট শিশুটি? কিন্তু ঠিক কী কারণে হল এই মৃত্যু? পরিবারের দাবি, কিছুদিন আগেই স্কুলের এক ছাত্রের সঙ্গে গণ্ডগোল বেধেছিল স্নেহাংশুর। সেই থেকেই খুন নয়তো? এখানেও, সাইকোপ্যাথ কিলিং এর সম্ভাবনা তীব্র হচ্ছে আরও। এদিকে, শিশু খুনের ঘটনায় এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
এবার সন্দেশখালিতে রাজ্য় শিশু সুরক্ষা কমিশন। শনিবার সকালে সন্দেশখালিতে প্রবেশ করেছেন শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপারসন তুলিকা দাস, উপদেষ্ঠা সুদেষ্ণা রায় সহ ছয় জনের একটি প্রতিনিধি দল। সন্দেশখালি থানার অন্তর্গত খুলনা দ্বীপের সিতুলিয়ায় যাচ্ছে শিশু সুরক্ষা কমিশন। জানা গিয়েছে, এদিন গোটা সন্দেশখালি গ্রাম খতিয়ে দেখবে শিশু সুরক্ষা কমিশন।
সুদেষ্ণা রায় জানিয়েছেন, 'আমরা শুনেছি একটি শিশুকে তাঁর মায়ের কোল থেকে ছিনিয়ে নিয়ে ছুড়ে ফেলা হয়েছে। এখন সেই শিশুটা কেমন আছে এবং গ্রামের অন্যান্য শিশুরা কেমন আছে, সেই সমস্ত খোঁজ খবর নিচ্ছি আমরা। উচ্চমাধ্য়মিক পরীক্ষা চলছে। পরাক্ষার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে কোনওরকম অসুবিধা হচ্ছে কিনা? সেই বিষয়েও খতিয়ে দেখতে চাই।'
সন্দেশখালি ঘটনা ১০ দিন পার। পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় ১৫ টা মামলা রুজু আছে সন্দেশখালি থানায়। সন্দেশখালিতে রাজ্য় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধি দল যাওয়ার পর উঠেছিল মহিলাদের উপর অত্য়াচারের অভিযোগ। তারপরেই শাহজাহান এবং শিবু হাজারার গ্রেফতারির দাবিতে বিক্ষোভে সামিল হয়েছিল গ্রামের মহিলা সদস্য়রা।
অন্য়দিকে চার দিনের পুলিসি হেফাজত শেষ হওয়ার পর শনিবার ফের আদালতে পেশ করা হবে বিকাশ সিংহ ও উত্তম সর্দারকে। গত কয়েকদিনের ঘটনার কথা মাথায় রেখে, এদিন এই দুই নেতার জামিনের বিরোধিতা করার জন্য প্রস্তুত পুলিস।
সন্দেশখালির ঘটনায় উত্তাল গোটা রাজ্য। প্রায় ৯ দিন ধরে খবরের শিরোনামে সন্দেশখালি। এরই মধ্যে গত সোমবার মাটি ধসে চার শিশুর মৃত্য়ু উওর দিনাজপুরের চোপড়ায়। সোমবার থেকে ধর্নায় বসেছে তৃণমূল।
জানা গিয়েছে, বিএসএফ-এর তত্ত্বাবধানে এলাকায় ড্রেনের কাজের জন্য মাটি খোঁড়া হয়েছিল। খোলামুখ ড্রেনে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় ৪ শিশুর। প্রত্যেক শিশুর জন্য ৩ লক্ষ করে টাকা দিয়েছে সরকার। তারপরই বিএসএফ-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে অবস্থান বিক্ষোভে বসে তৃণমূল। অবস্থান বিক্ষোভ চলেছে সোমবার থেকে।
সম্প্রতি সন্দেশখালির মত ঘটনায় তোলপাড় করে ফেলেছে গোটা রাজ্য। মহিলাদের প্রতি তৃণমূল নেতা ও নেতা ঘনিষ্ঠদের বর্বরোচিত আচরণ প্রকাশ্যে আসায় শিউরে উঠেছে নারী সমাজ। সেখানে দাঁড়িয়ে শাসক নেতারা কেউ বলছেন বাইরের লোক এনে ঝামেলা চলছে। কেউ বলছেন কয়েকজন মহিলার জমায়েত। সেখানে চোপড়ার জন্য ধর্না? সন্দেশখালির মত ঘটনা থেকে দৃষ্টি এড়াতে নয়া চাল? যা নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। এই ঘটনায় ১২ জনের একটি তৃণমূল সদস্য় দল রাজ্য়পালের কাছে বিএসএফের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে।
টাকার বিনিময়ে নিজের সন্তানকে বিক্রি করে দিল মা। অর্থাভাবে বাচ্চাকে মানুষ করতে পারবে না তাই অন্য়ের হাতে তুলে দিয়েছে বলে দাবি মা শিবানী সিংয়ের। যদিও স্থানীয়দের অভিযোগ বাচ্চা বিক্রি করা হয়েছে। চাঞ্চল্য়কর ঘটনাটি ঘটেছে মেদনীপুরের ফুলপাহাড়ি এলাকায়।
জানা গিয়েছে, শিবানী সিং ও অমর দাস মাস দেড় দুয়েক আগে সদর ব্লকের ফুলপাহাড়ি এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে আসেন। আর তারপরেই জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে একটি শিশু কন্যার জন্ম দেয়। অভিযোগ, মা শিবানী সিং তার বাচ্চা মানুষ করতে পারবে না বলে তার পরিচিত এক দাদার হাতে নিজের সন্তানকে তুলে দেয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়িতেই ওই কন্যা শিশুটি জন্ম হয়েছিল। এরপর গত দু-তিন দিন ধরেই বাচ্চাটার কোনও খোঁজ খবর পাওয়া যায় না। স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্দেহ হওয়ায় তারা বাচ্চার মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে বাচ্চাটাকে অন্য় একজনকে দেখভালের জন্য় দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনকে সবকিছু জানিয়ে পুরো বিষয়টির তদন্ত চাইছেন স্থানীয়রা। বাচ্চা বিক্রির মত গুরুতর অপরাধ হওয়ার পরেও প্রশাসনের কোনও হুঁশ নেই বলে অভিযোগ। কন্য়া সন্তানের কারণে বাচ্চা বিক্রি নাকি অন্য় কোনও কারণ লুকিয়ে রয়েছে এই ঘটনায়? বাচ্চাটিকে আদৌ উদ্ধার করা যাবে কিনা তা নিয়েও উঠছে একাধিক প্রশ্ন।
সরকারি হাসপাতালে অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা নিয়ে গর্বের অন্ত নেই বর্তমান রাজ্য সরকারের। অথচ এদিকে ফের সরকারি হাসপাতালে অমানবিকতার নজির। অ্যাম্বুল্যান্সের অভাবে মাত্র ৪ মাসের অসুস্থ শিশুকে কোলে নিয়ে বাবা-মাকে বসে থাকতে হল ঘণ্টার পর ঘণ্টা। শনিবার রাতের এমন ছবি উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদ হাসপাতালের সামনের।
শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগছিল ৪ মাসের ছোট্ট শিশু। বাবা-মা নিয়ে যায় হেমতাবাদ হাসপাতালে। বিপদ বাড়ে শিশুকে রায়গঞ্জ হাসপাতালে রেফার করা হলে। অভিযোগ, দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও মেলেনি অ্যাম্বুল্যান্স। বাধ্য হয়ে কোলের শিশুকে নিয়ে বসে থাকতে হয় ঠাণ্ডায়।
সূত্রের খবর, হেমতাবাদ হাসপাতালে অ্যাম্বুল্যান্স ৫ টি। তার মধ্যে সচল ৩ টি। কেন ২ টি অ্যাম্বুল্যান্স চলে না? ৩ টি সচল অ্যাম্বুল্যান্সের পরিষেবাও অমিল কেন? তা নিয়ে সদুত্তর মেলেনি।
টোটোর ধাক্কায় প্রাণ গেল খুদের। শরীরের ওপর দিয়ে চলে যায় টোটো। গুরুতর চোট লাগে মাথায়। ঘটনাস্থলে গিয়ে টোটো চালককে আটক করেছে পুলিস। বুধবার দুর্ঘটনাটি ঘটে নদিয়ার জলকর মথুরাপুর ঘোষপাড়ায়। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতোই ঘুম থেকে উঠে স্কুলে যাওয়ার জন্য তৈরি হয়েছিল বছর ছয়ের রনি ঘোষ। প্রথম শ্রেণির পড়ুয়া সে। কিন্তু কে জানত, খুদের জন্য অপেক্ষা করছে মৃত্যু। রাস্তার পাশে বসে থাকাটাই যেন কাল হল তার। নদিয়ার জলকর মথুরাপুর ঘোষপাড়ায় দ্রুতগতির টোটোর ধাক্কায় অকালে প্রাণ যায় ওই খুদের। শিশুটির শরীরের ওপর দিয়ে চলে যায় টোটোটি এবং উল্টে যায় ঘটনাস্থলে। ঘটনাস্থলেই রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে রনি।
এরপর গুরুতর জখম অবস্থায় রনিকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। অন্যদিকে, ঘটনাস্থলে গিয়ে টোটো চালককে আটক করে ভীমপুর থানার পুলিস। প্রসঙ্গত, গত বছরই বেহালা চৌরাস্তার পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায় বড়িষা হাই স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়া সৌরনীল সরকার। আর কত মৃত্যু হলে গতি কমবে? আর কত প্রাণ ঝরলে সচেতন হবে চালকেরা? উঠছে একাধিক প্রশ্ন
ফের একবার শিরোনামে উত্তরবঙ্গ মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতাল।অভিযোগ, জীবিত সদ্যোজাতকে বদলে মৃত শিশুর দেহ রোগীর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে শিলিগুড়িতে। ইতিমধ্যে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ি শহর লাগোয়া রানাবস্তির বাসিন্দা বেদশ্রুতি দাসের পুত্র সন্তানের জন্ম হয় উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। পরিবারের কথা অনুযায়ী, জন্মের পর থেকেই শিশু স্বাভাবিক ছিল। শ্বাসকষ্টজনিত কারণে ভুগলেও তেমন কোন বিপদের আশঙ্কা ছিল না বলেই জানানো হয়েছিল। এরপর জন্মের দুই দিন কাটতেই ওই শিশুর মৃত্যু হয় বলে জানানো হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষর তরফে।
এরপর ওই সদ্য়োজাতের পরিবারের লোকজন মৃতদেহ দেখে সন্দেহ প্রকাশ করে। তাঁদের অভিযোগ, বাচ্চা বদল করা হয়েছে। এমনই অভিযোগ তুলে ইতিমধ্যে উত্তরবঙ্গ মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতালের সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। দ্বারস্থ হয়েছেন থানায়ও। পরিবারের সদস্যদের দাবি, মৃত শিশুর ডিএনএ পরীক্ষা করা হোক। তাহলেই সবটা স্পষ্ট হবে। মৃত শিশুর মায়ের এখন একটাই আর্তি যে নিজের বাচ্চাকে ফিরে পাওয়া।
একেই কন্যা সন্তান তার ওপর ঠোঁট কাটা। দোষ ছিল শুধু এইটুকুই।ত্রুটিযুক্ত ঠোঁট নিয়ে জন্মানোর কারণে ২ মাসের কন্যা সন্তানকে নদীর জলে ভাসিয়ে দিল এক দম্পতি। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর ঘাটালের রামচক গ্রামে। ঘটনার কয়েকদিন পর বিষয়টি জানাজানি হতেই নিজেদের কুকর্মের কথা স্বীকার করে নেয় ওই শিশু কন্যার বাবা-মা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ঘাটাল থানার পুলিস গিয়ে শিশুকন্যার দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য় নিয়ে যায়।
জানা যায় গত মঙ্গলবার খোকন হাজরা নামে এক ব্যক্তি তাঁর তৃতীয় কন্যা সন্তানকে ঝুমি নদীর জলে ফেলে দেয়। বৃহস্পতিবার আইসিডিএস কর্মীরা শিশুকে টিকাকরণের জন্য বাড়িতে গিয়ে জানতে পারেন গোটা ঘটনা। তৎক্ষণাৎ খবর দেওয়া হয় স্থানীয় পঞ্চাতের প্রধান ও পুলিসকে। ঘাটাল থানার ওসি সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে আটক করে ওই শিশুর বাবা ও মাকে। ঘটনাটি চাউর হতেই শুরু হয় নিন্দার ঝড়।
বেপরোয়া গতির বলি এবারে চার বছরের এক শিশু কন্যা। মঙ্গলবার বাড়ির সামনেই রাস্তার উপর দাঁড়িয়েছিল ফুটফুটে মেয়েটি। আচমকা অনিয়ন্ত্রিত গতিতে ছুটে আসা ১৬ চাকার লরিটি পিষে দিয়ে গেল শিশুটিকে। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের হরিশচন্দ্রপুর থানা এলাকার রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের মারাডাঙি গ্রামে। রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা।
জানা গিয়েছে, মৃত শিশুটির নাম মরিয়ম নেশা (৪)। সাতসকালে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পরেই গ্রামবাসীরা ক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তা ব্যারিকেড দিয়ে অবরোধ করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিস ছুটে আসলে পুলিসকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন এলাকার বাসিন্দারা। স্থানীয়দের অভিযোগ, নিত্যদিন ঝাড়খণ্ড ও বিহার থেকে আসা লরিগুলি বেপরোয়া ভাবে রাজ্যসড়কের উপর দিয়ে যাতায়াত করে। গতির উপর কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকেই না চালকদের। আর তাদের এই বেপোরায় মনোভাবের জন্যই প্রাণ চলে গেল ছোট মরিয়মের।
অজানা গাছের ফল খেয়ে অসুস্থ ১১ জন শিশু। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুর ব্লকের গোকর্ণ গ্রাম পঞ্চায়েতের বলদু গ্রামে। বর্তমানে ওই ১১ জন শিশু গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
জানা গিয়েছে, ওই এগারো জন শিশু খেলতে গিয়ে একটি অজানা গাছের ফল খেয়ে ফেলে। এরপরেই ওই এগারো জন শিশুর পেট খারাপ, বমি ও খুব মাথাব্যথা শুরু হয়। তারপর ওই শিশুদের পরিবারের সদস্যরা টের পেতেই স্থানীয় হরিরামপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করায় ওই ১১ শিশুকে। রবিবার রাত ১২টা নাগাদ শারীরিক পরিস্থিতি অবনতি হলে গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। প্রতিটি শিশুর বয়স আনুমানিক আট থেকে দশের মধ্যে।
শিশুরা জানিয়েছে, খেলতে গিয়ে অজানা এক ফল একসঙ্গে খেয়েছিল তারা। আর তারপর থেকেই শরীর খারাপ হতে থাকে। যদিও শিশুরা এখন ভালো রয়েছে বলে জানিয়েছেন গঙ্গারামপুর হাসপাতাল সুপার বাবু সোনা সাহা।
মর্মান্তিক শিশুমৃত্যুর পর এবার শুরু দায় ঠেলাঠেলি। গত ২৪ ঘণ্টায় মুর্শিদাবাদে সদ্যোজাতের মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১০। ‘রেফার’ নিয়ে দায় ঝাড়তে উঠে পড়ে লেগেছে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতাল। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ বৃহস্পতিবারই জানিয়েছিলেন, দেড় মাসের বেশি সময় ধরে জঙ্গিপুর হাসপাতালে অকেজো স্পেশাল নিউবর্ন কেয়ার ইউনিটস বা এসএনসিইউ। তার জেরে বেড়েছে রেফার। এবার সেই দাবি ওড়ালেন জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার। তাঁর দাবি, তাঁদের হাসপাতাল থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় কোনও শিশু রেফার করা হয়নি। এসএনসিইউও ঠিকই আছে। তবে কিছু কিছু পরিষেবা দিতে পিছপা হতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।
এদিকে মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষের অভিযোগ, দীর্ঘ দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে অকেজো এসএনসিইউ। যার জেরে শেষ মুহূর্তে সংকটজনক অবস্থায় সব শিশুদের রেফার করা হচ্ছে মেডিকেল হাসপাতালে। কার্যত মহকুমা হাসপাতালের পরিকাঠামোগত অবক্ষয়কেই দায়ী করেছেন তিনি।
কখনও শিশুর ওজন, কখনও অপুষ্টিকেই দায়ী করছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এখানে প্রদীপের নীচে গাঢ় অন্ধকার। পরিকাঠামো না থাকায় শেষমেশ রেফার রোগই কাড়ল এত গুলো নবজাতকের প্রাণ?
পর পর ৯ জন সদ্যোজাতর মৃত্যু নিশ্চয়ই খুব ছোটখাটো বিষয় নয়? এদিকে ক্রমশই চলছে দায় ঠেলাঠেলির পর্ব। শুক্রবার হাসপাতালে সদ্যোজাতদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। সরকারি গাফিলতির দিকে আঙুল তুলে মৃত ৯ শিশুর পরিবারকে ক্ষতিপূরণের দাবি জানান তিনি।
রেফার রেফার খেলা এরাজ্যে নতুন কিছু নয়। কিন্তু একই দিনে ১০ জন শিশু মৃত্যুতে, ফের কাঠগড়ায় স্বাস্থ্য দফতর। কখনও গাফিলতি, কখনও পরিকাঠামো। আর স্বজনহারা হচ্ছে এবাংলার জনসাধারণ। এটাই যেন ভবিতব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে এবাংলার।
মর্মান্তিক! গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ শিশুর মৃত্যু মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালের স্পেশাল নিউবর্ন কেয়ার ইউনিটস বা এসএনসিইউ অকেজো হয়ে পড়ায় সেখান থেকে থেকে নবজাতকদের মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজে ট্রান্সফার করা হয়। এসএনসিইউ ওয়ার্ড, নবজাতক বিভাগ, শিশু বিভাগ এবং শিশু সার্জারি বিভাগে ছিল মৃত শিশুরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে জেলাজুড়ে। ইতিমধ্যেই গঠন করা হয়েছে একটি তদন্ত কমিটি। পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের পক্ষ থেকে বিশিষ্ট চিকিৎসকদের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে চিকিৎসার তৎপরতাও শুরু হয়েছে। ভবিষ্যতে যাতে এরকম ঘটনা না ঘটে, সে বিষয়েও কড়া বার্তা জানানো হয়েছে স্বাস্থ্য দফতর থেকে।
বুধবার বেলা ১২ টা থেকে বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টা পর্যন্ত মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে মোট ৯ শিশুর মৃত্যু হয়েছে খবর। অন্যদিকে, চিকিৎসা করতে আসা অবিভাবকদের বক্তব্য মেডিকেল কলেজের মাতৃ মা বিভাগের ভিতরে চিকিৎসার অভাবে অবহেলায় পড়ে রয়েছে বহু প্রসূতি। দুর্যোগের দিনে বা রাতে বাইরে প্রসূতিদের আত্মীয়দের থাকার কোনও ব্যবস্থা নেই। এরকম ভুরি ভুরি অভিযোগ উঠছে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের মাতৃ মায়ের সামনে।
ফের হাসপাতালে শিশু মৃত্যু। হাবরার নার্সিংহোমে শিশু মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪ জন। জানা যায়, নভেম্বর মাসে হাবরার একটি নার্সিংহোমে ৭ জন শিশু সুস্থভাবে জন্মগ্রহণ করে বাড়ি যায়। তারপর বাড়ি যেতেই শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে শিশুগুলি। এরপরেই শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ওই শিশুগুলিকে কলকাতার বি সি রায় শিশু হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। আর সেখানেই মৃত্যু হয় ৩ শিশুর। এবং বাকি শিশুরা চিকিৎসাধীন অবস্থা থাকার পরেও মঙ্গলবার মৃত্যু হয় আরও একটি শিশুর। ঘটনার পরেই স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে নার্সিংহোম বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়ে নোটিশ জারি করা হয়।
কেন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ল শিশুরা? কার গাফিলতিতে চলে গেল প্রাণগুলি? এইভাবে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন নার্সিংহোমের মালিক। ঘটনার পরেই স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে একটি দল নার্সিংহোমে গিয়ে তদন্ত করেছে। আপাতত নার্সিংহোম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তর কথাই জানালেন বারাসাতের এসডিও।
ইতিমধ্যে মৃত শিশুদের পরিবারের পক্ষ থেকে হাবরা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে হাবরা থানার পুলিস। তবে মৃত্যুর সঠিক কারণ কি আদৌ প্রকাশ্যে আসবে? প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে।