মাধ্যমিকের সময়সীমা পরিবর্তনের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা কলকাতা হাইকোর্টে। রাজ্যের কাছে জবাব তলব কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর। ছাত্র ছাত্রীদের কথা ভেবে উদ্বিগ্ন বিচারপতি। রাজ্যকে সময় পরিবর্তনের ব্যাপারে মতামত জানানোর নির্দেশ দেন। আগামিকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবারের মধ্যে মামলার শুনানির সম্ভাবনা। রাজ্যকে জানাতে হবে সময় পরিবর্তনের পিছনে কী ভাবনা ছিল তাদের, এমনটাই নির্দেশ বিচারপতির।
মামলাকারী আইনজীবীর দাবি, আগের সময়েই পরীক্ষার নির্দেশ দিক আদালত। মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, নতুন সময়ে পরীক্ষা হলে সমস্যায় পড়বে বহু ছাত্রছাত্রী। বিশেষত গ্রামাঞ্চল, পাহাড় বা সুন্দরবন এলাকার ছাত্রছাত্রীরা সময়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে পারবে না বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হত সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটে, শেষ হত দুপুর ৩টেয়। প্রথম ১৫ মিনিট প্রশ্নপত্র পড়ে দেখার জন্য সময় দেওয়া হত পড়ুয়াদের। এবার সময় এগিয়ে আনা হয়েছে। পর্ষদের নোটিস অনুযায়ী, পরীক্ষা শুরু হবে ৯ টা ৪৫ মিনিটে, শেষ হবে দুপুর ১টায়।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় বদলে চিন্তিত পড়ুয়া মহল থেকে শুরু করে অভিভাবক ও শিক্ষকরাও। সমস্যায় পড়তে পারেন প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের শিক্ষক ও পড়ুয়ারা। মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় ২ ঘণ্টা এগোল মধ্য শিক্ষা পর্ষদ। অন্যদিকে উচ্চ মাধ্য়মিকের সময় এগিয়েছে ২ ঘণ্টা ১৫ মিনিট। বৃহস্পতিবার এমনই নির্দেশিকা জারি করে পরীক্ষা শুরুর নতুন নির্ঘন্ট প্রকাশ করে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।
অভিযোগ, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সময়সূচি পরিবর্তনের ঘটনায় সমস্যায় পড়তে পারেন শিক্ষক ও পড়ুয়া উভয়ই। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে সকালে মিলবে না যাতায়াত পরিষেবা। সেক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে পারেন শিক্ষকরাও।
ওদিকে পরীক্ষার সময়কে এগিয়ে নিয়ে আসার বিরোধিতা করেছে প্রধান শিক্ষকদের সংগঠন। ইতিমধ্যেই তারা পর্ষদকে চিঠি দিয়ে পরীক্ষার সময় বদলের বিষয়টি পুনরায় বিবেচনা করার কথা বলেছে। পাশাপাশি পর্ষদের এই সিদ্ধান্ত তুঘলকি শাসনকেও হার মানাবে বলে কটাক্ষ সংগঠনের সম্পাদক চন্দন কুমার মাইতির। তাঁর দাবি, কোনও ছাত্র যদি ঠিক মত নির্দিষ্ট পরীক্ষা সেন্টারে পৌঁছাতে না পারে তার দায় কি সরকার নেবে? তিনি আরও বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। বলেন, কোনও পড়ুয়া যদি পৌঁছতে না পেরে আত্মহত্যা করে তার দায় সরকারের।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের সময় বদল। পূর্ব সময়সূচী অনুযায়ী মাধ্যমিক পরীক্ষা ২০২৪, শুরু হওয়ার কথা ছিল ১১.৪৫-এ। আর উচ্চমাধ্যমিক ২০২৪, শুরু হওয়ার কথা ছিল ১২টায়। বৃহস্পতিবার উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে এই সময়সূচী বদলের কথা জানানো হয়েছে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফেও আনুষ্ঠানিক ভাবে এ সময় বদলের কথা ঘোষণা করেছে।
আগের সূচী অনুযায়ী, বেলা ১২টা থেকে দুপুর ৩টে ১৫ মিনিট পর্যন্ত উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা হওয়ার কথা। সেখানে এখন নয়া বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বেলা ১২ টার পরিবর্তে সকাল ৯ টা বেজে ৪৫ মিনিটে শুরু হবে পরীক্ষা। শেষ হবে ১ টায়। ভোকেশনালের ক্ষেত্রে সময়সীমা ২ ঘণ্টা। পাশাপাশি মাধ্যমিক পরীক্ষার সময়ও ২ ঘণ্টা এগিয়ে আনা হচ্ছে। সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটের বদলে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হবে ৯টা ৪৫ মিনিটে। চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত।
উল্লেখ্য, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হবে ১৭ ফেব্রুয়ারি। চলবে ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি। চলবে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
ফের একবার শিরোনামে উত্তরবঙ্গ মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতাল।অভিযোগ, জীবিত সদ্যোজাতকে বদলে মৃত শিশুর দেহ রোগীর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে শিলিগুড়িতে। ইতিমধ্যে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ি শহর লাগোয়া রানাবস্তির বাসিন্দা বেদশ্রুতি দাসের পুত্র সন্তানের জন্ম হয় উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। পরিবারের কথা অনুযায়ী, জন্মের পর থেকেই শিশু স্বাভাবিক ছিল। শ্বাসকষ্টজনিত কারণে ভুগলেও তেমন কোন বিপদের আশঙ্কা ছিল না বলেই জানানো হয়েছিল। এরপর জন্মের দুই দিন কাটতেই ওই শিশুর মৃত্যু হয় বলে জানানো হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষর তরফে।
এরপর ওই সদ্য়োজাতের পরিবারের লোকজন মৃতদেহ দেখে সন্দেহ প্রকাশ করে। তাঁদের অভিযোগ, বাচ্চা বদল করা হয়েছে। এমনই অভিযোগ তুলে ইতিমধ্যে উত্তরবঙ্গ মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতালের সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। দ্বারস্থ হয়েছেন থানায়ও। পরিবারের সদস্যদের দাবি, মৃত শিশুর ডিএনএ পরীক্ষা করা হোক। তাহলেই সবটা স্পষ্ট হবে। মৃত শিশুর মায়ের এখন একটাই আর্তি যে নিজের বাচ্চাকে ফিরে পাওয়া।
প্রসূন গুপ্তঃ লোকসভা ভোটের আগে বিভিন্ন রাজ্যে এবং কেন্দ্রেও দলের পদাধিকারদের পরিবর্তনের পথে বিজেপি। একটা সময়ে প্রার্থী তালিকা থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রীর পদে যাঁরা আসবেন তার অনেকটাই নির্ভর করতো সংঘের উপরে। কিন্তু দিন পাল্টিয়ে গিয়েছে কাজেই এখন দলের কে কি করবে সেটাও ঠিক হয় মোদী-অমিত শাহের জুটির উপর বলেই গুঞ্জন। শেষ বিধানসভা নির্বাচনগুলোতে বিজেপির হাল মোটেই আশাব্যাঞ্জক নয়। হিমাচল এবং কর্ণাটক বিধানসভায় যেভাবে বিজেপির পরাজয় হয়েছে তাতে প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছিল যে, সর্বত্র মোদী ম্যাজিক বা মোদীর প্রচার দিয়ে কাজ হওয়া কঠিন। ইতিমধ্যেই নরেন্দ্র মোদী তাঁর সাড়ে নয় বছর ক্ষমতায়, কাজেই রাজনীতির ক্ষেত্রে একটা বিরোধী হাওয়া তৈরি হবেই। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে ওই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিই প্রয়োজন বলেই মনে করে কেন্দ্রীয় বিজেপি। সামনেই বিশ্বকাপ ক্রিকেট ও দীপাবলির পরেই ৫ রাজ্যে নির্বাচন। এই নির্বাচন অনেকটাই লোকসভা ভোটের সেমিফাইনাল বলেই মনে করে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞারা।
বর্তমান অবস্থান এবং দলের অবস্থা বুঝেই ফের প্রার্থী নির্বাচনের দায়িত্ব বিজেপির কোর কমিটি নিজেদের হাতেই নিয়েছে। উত্তর-পূর্ব ভারত নিয়ে যতটা না চিন্তা দলের তার থেকে অনেক বেশি ভাবনা বাকি চার রাজ্য নিয়ে। এর মধ্যে তেলেঙ্গানায় বিজেপির সংগঠন অতি দুর্বল। সেখানে মূল লড়াই টিআরএস, তেলেগু দেশম ও কংগ্রেসের মধ্যে। কাজেই বিজেপি জানে কোনও ভাবেই তারা সেখানে সরকার গড়তে পারবে না। ছত্রিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেসের বাঘেল দেশের অন্যতম কর্মবীর সুতরাং লড়াই কঠিন। মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থান নিয়ে ভাবনা বিজেপির। এর মধ্যে বিভিন্ন জনমত সমীক্ষায় জানা যাচ্ছে, বিজেপির শিবরাজ সিং চৌহান এবারে যাওয়ার পথে। বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটি আপাতত চৌহানকে টিকিট দেবে কিনা ভাবছে। একই সাথে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার এবং সাংসদদের অনেককেই বিধানসভায় দাঁড় করেছে দল। অন্যদিকে রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বাসুন্ধারারাজে সিন্ধিয়া, মোদীর কোনও দিনও প্রিয়পাত্রী নন। সিন্ধিয়াকে এক প্রকার বাদ দেওয়ার পথে বিজেপি। যদিও বসুন্ধরা হুমকি দিয়েছেন তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ না করলে তিনি আলাদা কিছু ভাববেন। এই বিষয়টিকে পাত্তা না দিয়ে নতুন মুখের খোঁজে কেন্দ্রীয় বিজেপি।
সম্প্রতি যাদবপুরের মৃত পড়ুয়ার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আশ্বাস দিয়েছিলেন, নদিয়ার বগুলা গ্রামীণ হাসপাতাল নিহত ছাত্রের নামে করে দেওয়ার। কিন্তু এলাকাবাসীদের বিক্ষোভের জেরে, ধাক্কা খেল সরকারি কাজ।
এদিন নতুন নাম নিয়ে কাজ শুরু করতে গিয়ে স্থানীয়দের বিক্ষোভে, কিছুক্ষণের জন্য থমকে যায় হাসপাতালের কাজ। স্থানীয়দের দাবি, তাদের এই হাসপাতালের নাম বদলে দেওয়া চলবে না। বদলাতে হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম বদলে দেওয়া হোক।
গত সোমবার বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালের নাম বদলের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। মঙ্গলবার সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। সেইমতো বুধবার বগুলা হাসপাতালের নাম পরিবর্তন করার কথা ছিল জেলাশাসকের। তাঁর আসার আগেই হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ভেঙে দেওয়া হয় ফুল দিয়ে সাজানো তোরণ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পরিষেবায় কোনও উন্নতি নেই। শুধু নাম পরিবর্তন করে নাম কেনার চেষ্টা। যদিও এই ঘটনায় নিহত পরিবারের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। স্থানীয়দের দাবি, ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় তাঁরাও সমব্যথি। তাঁদের দাবি, পরিবর্তন করতে হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম বদলে দেওয়া হোক।
ফের সীমান্তের জঙ্গি-সেনার মধ্যে চলছে গুলির (Encounter) লড়াই। সূত্রের খবর, শনিবার সকালে জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu-Kashmir) পুলওয়ামায় (Pulwama) জঙ্গিদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর এনকাউন্টার শুরু হয়। গোটা এলাকা ঘিরে রেখেছে নিরাপত্তাবাহিনী।
জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় জঙ্গিরা লুকিয়ে রয়েছে বলে গোপন সূত্রে খবর পায় পুলিস। সঙ্গে সঙ্গে জঙ্গি দমন অভিযানে নামে সেনাবাহিনী। খবর অনুযায়ী, দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামার মিত্রিগ্রাম এলাকায় অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। এলাকাজুড়ে তল্লাশি শুরু করে।
সেসময় নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় জঙ্গিরা। সঙ্গে সঙ্গে সেনা জওয়ানরাও পাল্টা গুলি চালাতে শুরু করেন। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। সূত্রের খবর, প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়া অবধি গুলির লড়াই চলছে। এর আগেও বহুবার উপত্যকায় সেনা-জঙ্গির এনকাউন্টারের মতো ঘটনা ঘটেছে।
উল্লেখ্য, ওই এলাকায় থাকা বাসিন্দাদের বাড়ি থেকে বেরোতে নিষেধ করেছে প্রশাসন। যতক্ষণ না পুলিস নির্দেশ দেবে ততক্ষণ নিরাপত্তার জন্য বাড়ির মধ্যেই থাকার কথা জানিয়েছে পুলিস।