ফের সংবাদ শিরোনামে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। যাদবপুরে বাম বাধায় আটকে গেল রাম কর্মসূচি। অশান্তির গুঞ্জন ছিলই। সে কথা মাথায় রেখে রবিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছিল। কিন্তু রামমন্দির উদ্বোধনের দিন অশান্তি আটকানো গেল না যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন শুরুর খানিকটা আগেই তপ্ত হয়ে ওঠে যাদবপুর ক্যাম্পাস।
রামমন্দির উদ্বোধনের লাইভ স্ট্রিমিং করার জন্য প্রোজেক্টর-সহ অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করছিল অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের সমর্থকেরা। অভিযোগ, সেই সময় অতিবাম সংগঠনের ছাত্রছাত্রীরা তাদের বাধা দেয়। স্লোগান, পাল্টা স্লোগানে ক্যাম্পাসে তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়। হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন দু'পক্ষের সমর্থকেরা। চলে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ও। ABVP শিবিরের দাবি, বামেরা তাদের উপর হামলাও চালিয়েছে।
যাদবপুরের ঘটনায় ইতিমধ্যেই আহত হয়েছেন বিশ্ব বিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য অমিতাভ দত্ত। সূত্রের খবর, মারমুখী ছাত্রদের মধ্যে পড়ে আহত হন তিনি। এছাড়াও ABVP সূত্রে খবর, তাঁদের ৮ জন সদস্য আহত হয়েছেন। অন্যদিকে DSF, SFI সহ অন্যান্য বাম সংগঠনের ৪ জন সদস্য আহত। খবর পেয়ে অধ্যাপকদের অনেকে পৌঁছে যান ৩ নম্বর গেটের সামনে। পরিস্থিতি সামাল দিতে গেট বন্ধ করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তার পরেও চাপা উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে।
রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় (RBU Jorasanko Campus) জোড়াসাঁকো ক্যাম্পাসের মধ্যে গড়ে ওঠা তৃণমূল শিক্ষাবন্ধু সেলের অফিস ভাঙার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। রবীন্দ্রনাথের বাড়িতে পার্টি অফিস ভাঙার নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতির প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চের (Calcutta High Court)। বিশ্ববিদ্যালয় অংশের নির্মাণও ভাঙতে হবে। ওই অংশের নির্মাণ পুনরায় আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব হেরিটেজ বিভাগের (heritage Department)। পুনরুদ্ধারের পর হেরিটেজ বিল্ডিং বলে আলাদা করে চিহ্নিত করতে হবে দফতরকে। এই নির্দেশের জেরে কার্যত অস্বস্তি তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC)।
সোমবার শুনানিতে আদালতের প্রশ্ন, 'হেরিটেজ বিল্ডিং না হলেও কি যে কেউ গিয়ে যেকোনও জায়গায় পার্টি অফিস বানিয়ে ফেলতে পারে?' তিন সপ্তাহের মধ্যে পুরসভাকে পদক্ষেপের নির্দেশ, ১৯ ডিসেম্বর পরবর্তী শুনানি ডিভিশন বেঞ্চে। এদিকে, রবীন্দ্র ভারতীর হেরিটেজ বিল্ডিং ভাঙার কথা মেনে নিল পুরসভা ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আর রাজ্য জানালো অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের নামে হেরিটেজ বিল্ডিং ভাঙার অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়েছে। আর অভিযুক্তরা শুনানিতে হাজির হয়ে জানালো, তৃণমূল শিক্ষা বন্ধু সমিতির তরফে ওই ঘরগুলি তাদের দলীয় অফিস ছিল। পুরসভা ও হেরিটেজ সংরক্ষণ কমিটিকে নির্দেশ, যদি দখলদাররা ওই ঘর দখল করে থাকে, তাহলে আগে বেআইনি দখল উচ্ছেদ করতে হবে। সবপক্ষকে যোগাযোগ রেখে বেআইনি দখলদার উচ্ছেদ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি রক্ষা করতে হবে। তারপরে ওই হেরিটেজের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ সংস্কার করার কাজ করতে হবে।
তিন সপ্তাহের মধ্যে এই দখল উচ্ছেদ করতে হবে। ১৯ ডিসেম্বর পরবর্তী শুনানির আগে হলফনামা দিয়ে পুরসভার জানাতে হবে। কোর্ট নির্দেশের পরেই সিল করে দেওয়া হয় ঘরগুলো। এমনটাই বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর।