লোকসভা নির্বাচনের আগেই ফের আসানসোলের কুলটিতে চলল গুলি। অফিসে ঢুকে গুলি করা হয় এক ব্য়বসায়ী। গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে মৃত্য়ু হয় তাঁর। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ব্য়ক্তির নাম উমাশঙ্কর চৌহান। সোমবার দুপুরে ঘটনায় চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে আসানসোলের কুলটি থানার চিনাকুড়ি এলাকায়।
জানা গিয়েছে, এদিন বেলা ১২ টা নাগাদ প্রকাশ্য দিবালোকে অফিসে ঢুকে গুলি চালানো হয় ওই ব্য়বসায়ীর উপর। গুলি লাগার সঙ্গে সঙ্গে মৃত্য়ু হয় তাঁর। খবর দেওয়া হয় পুলিসকে। অফিসের কর্মীরা বলেন, এক দুষ্কৃতী এসে উমাশঙ্কর চৌহানকে পরপর কয়েক রাউন্ড গুলি করে খুন করেছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় আসানসোল দুর্গাপুর পুলিস কমিশনারেটের পুলিস আধিকারিকরা। পৌঁছয় গোয়েন্দা বিভাগ।
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রত্যক্ষদর্শীদের আটক করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তবে প্রকাশ্য দিবালোকে দুপুর বারোটা নাগাদ বাজার এলাকায় এমন ঘটনা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। নির্বাচনের আগে এইরকম অস্ত্রের ব্যবহার, গুলি চালানোর ঘটনায় পুলিসি নিষ্ক্রিয়তার দিকে আঙ্গুল তুলছে সাধারণ মানুষেরা।
ভরা বাজারে ব্য়বসায়ীকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। গতকাল, বৃহস্পতিবার রাত দশটা নাগাদ তুফানগঞ্জ-১ নং ব্লকের মারুগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের মারুগঞ্জ বাজারে ঘটনাটি ঘটেছে। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে যায় তুফানগঞ্জ থানার বিশাল পুলিস বাহিনী। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্য়বসায়ীর নাম সজল সাহা (৩৫)। যদিও পুলিস আসার আগেই ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত।
প্রত্য়ক্ষদর্শী সূত্রে খবর, মারুগঞ্জ বাজারের ওপরেই মুদিখানার দোকান ব্য়বসায়ী সজলের। প্রতিদিনের মতোই রাতে কাজ সেরে দোকানের শাটার বন্ধ করছিলেন ওই ব্যবসায়ী। সেই সময় আচমকা এক যুবক ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাঁর মাথায় ও বুকে এলোপাথারি কোপাতে শুরু করে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রক্তাক্ত অবস্থায় দোকানের সামনেই লুটিয়ে পড়েন ওই ব্যবসায়ী। এরপর খবর দেওয়া হয় পুলিসকে।
এরপর রক্তাক্ত অবস্থায় ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্য়ু হয় তাঁর। গোটা ঘটনা ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে অন্যান্য ব্যবসায়ীদের মধ্যে। ইতিমধ্য়ে গোটা ঘটনার তদন্তের পাশাপাশি অভিযুক্তে খোঁজ শুরু করেছে পুলিস।
নিমতায় খুনের ঘটনায় তোলপাড় গোটা শহর কলকাতা। ওষুধ ব্য়বসায়ীকে ঠাণ্ডা মাথায় পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে যেভাবে, তা সিনামার থেকে কম কিছু নয়। এবার সেই খুনের ঘটনায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্য়কর তথ্য়।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যবসায়ীয় নাম ভব্য লাখানিয়া। গত ১০ তারিখ সোমবার তিনি তাঁর ব্যবসায়িক সহযোগী নিমতার বাসিন্দা অনির্বাণ গুপ্তার সঙ্গে দেখা নিমতার প্রবোধ মিত্র লেনের বাড়িতে যান তাঁর প্রাপ্য় ৫০ লক্ষ টাকা বুঝে নিতে। এরপরেই টাকা-পয়সা সংক্রান্ত বিষয়ে দুপক্ষের মধ্যে কথাবার্তা হয়। হঠাৎ তা বচসায় পরিণত হয়। বচসা চলকালীন আচমকা অনির্বাণ ভব্য লাখানিয়ার উপর হামলা চালায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ভব্য লাখানিয়া নামে ওই ব্যবসায়ীর।
এরপর অভিযুক্ত অনির্বাণ গুপ্তা এবং তাঁর সাহায্যকারী সুমন দাসকে সঙ্গে নিয়ে ওই ওষুধ ব্য়বসায়ীর দেহ লুকোনো ব্য়বস্থা শুরু করেন। যদিও খুন করার অভিযোগে পুলিসের হাতে গ্রেফতার অভিযুক্ত অনির্বাণ গুপ্তা ও সুমন দাস। এমনকি খুনের কথা স্বীকারও করে নেয় অভিযুক্ত ব্যবসায়ী। এরপর তাঁর মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ট্রেস করে নিমতার প্রমোদ মিত্র লেনের গিয়ে জলের ট্যাঙ্কের নিচ থেকে ভব্য লাখানিয়ার দেহ উদ্ধার করে পুলিস।
অভিযুক্ত অনির্বাণ গুপ্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা যায়, ব্য়বসায়ী খুনের ঘটনায় মাস্টারমাইন্ড হলেন এই অনির্বাণ। কিন্তু তিনি কোথায় রেখেছে ৫০ লক্ষ টাকা? আর সেই টাকার হদিশ পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বালিগঞ্জ গোয়ান্দা বিভাগ। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ব্য়বসায়ীকে ভুয়ো মেল পাঠিয়ে টাকা নিজের অ্য়াকাউন্টে নিয়েছে অভিযুক্ত। তারমধ্য়ে ২০ লক্ষ টাকা গিয়েছে অনির্বাণ-এর এক বান্ধবীর অ্য়াকাউন্টে। আর ১০ লক্ষ টাকা গিয়েছে অনির্বাণ-এর নিজের অ্য়াকাউন্টে। কিন্তু আর বাকি ২০ লক্ষ টাকা কোথায়? তারই খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিস।
প্রাপ্য লক্ষাধিক টাকা নিতে নিমতায় এসে ব্যবসায়িক সঙ্গীর হাতে খুন ভবানীপুরের বাসিন্দা ভব্য লাখানি। প্রাপ্য নিতে এসে এভাবে মৃত্যু, ভাবতেই পারছে না ব্যবসায়িক মহল। প্রশ্ন উঠছে, ঠাণ্ডা মাথায় এই খুন, তাহলে কি কোনওরকম ভয়ডর নেই অভিযুক্তের মনে। স্পষ্টতই ব্যবসায়ী মহলে আতঙ্ক, আশঙ্কার ছাপ স্পষ্ট! ওয়াকিবহাল মহলে জোর চর্চা, ব্যবসায় আর্থিক লেনদেন ঘিরে বিবাদে নৃশংস হত্যাকাণ্ড! কোথাও কি নিরাপত্তাহীনতা, সুরক্ষিত নয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা?
গত একবছরে রোমহর্ষক ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে এই বাংলায়। একই দিনে পুরুলিয়া এবং নদিয়ায় সোনার দোকানে ডাকাতি। পালানোর সময় পুলিসের উদ্দেশে গুলি চালনার ঘটনাও নদিয়ার ডাকাতির ঘটনায় ধরা পড়েছে সিসি ক্যামেরায়। মালদহে ফিল্মি কায়দায় সোনার দোকানে ডাকাতি, এসব দৃশ্য খুবই পরিচিত এ বাংলায়। গত ১৩ বছর শাসক দলের বিরুদ্ধে তোলাবাজি, সিন্ডিকেট রাজের ভুরি ভুরি অভিযোগ তুলেছে বিরোধী শিবির। যার সাম্প্রতিক সংযোজনে সখেরবাজারে ৩ডি ও ৩ডি/১ বাসের স্টার্টার রুমে তালা লাগানোর ঘটনা। ব্রিগেডের জন্য বাস চেয়ে না পেয়ে বাসস্ট্যান্ডের স্টার্টার রুমের তালা লাগানোর অভিযোগে কাঠগড়ায় খোদ তৃণমূল কাউন্সিলর। ব্যাহত বাস পরিষেবা, বিপাকে পরিবহণ ব্যবসায়ী, বাস শ্রমিকরা। কোথাও কি একটা অদ্ভূত নৈরাজ্য, অরাজকতা, প্রশ্ন তুলছে ওয়াকিবহাল মহল।
ব্যবসায়ীদের ন্যূনতম নিরাপত্তা, সুরক্ষা না থাকলে এত লক্ষ-কোটি খরচ করে বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মলেন আয়োজনের মানে কি, প্রশ্ন তুলছে বিরোধী শিবির। ক্ষুদ্র ব্যবাসীয়রা পড়ে পড়ে মার খাবেন আর বৃহত্ লগ্নিকারীরা কি নিজেদের সুরক্ষিত মনে করবেন এ বাংলায়? এই প্রশ্ন ঘিরে চর্চা তুঙ্গে নাগরিক সমাজে। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, সিন্ডিকেটরাজ, তোলাবাজি বন্ধ করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা না হলে ভব্য লাখানির মতো ঘটনা আরও ঘটবে। ক্রমেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবেন বাংলার ব্যবসায়ীরা। আর ক্রমেই বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি থেকে কয়েক যোজন দূরে সরবে বাংলা।
রেশন বণ্টন দুর্নীতির পরতে পরতে রহস্য। সেই রহস্যের পর্দাফাঁস করতে জোরকদমে তদন্তে নেমেছে ইডি। সূত্রের খবর, প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কালিদাস সাহা নামে এক ব্যক্তি জ্যোতিপ্রিয়র তিনটি কোম্পানিতে ৫০ লক্ষ টাকা ট্রান্সফার করেছিলেন। পাশাপাশি, শহিদুল রহমানের স্বীকারোক্তি থেকে জানা গিয়েছে যে, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক যখন West Bengal Essential Commodities Supply Corporation লিমিটেডের চেয়ারম্যান ছিলেন তখন তাঁকে এই রাইস মিল থেকেই নগদ অর্থ দেওয়া হতো।
উল্লেখ্য, রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় ধৃত বাকিবুর রহমানের সূত্র ধরেই গত অক্টোবর মাসের ২৭ তারিখে জ্যোতিপ্রিয়কে গ্রেফতার করে ইডি। এরপর গত ডিসেম্বর মাসে রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে চার্জশিট পেশ করেছিল ইডি। তাতে তৎকালীন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানকে কাঠগড়ায় তুলেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
এমনকি, এই দুর্নীতিতে মদত দিয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়, চার্জশিটে এমনটাই দাবি করেছিল ইডি। আগামী দিনে এই দুর্নীতির তদন্তে কোনও রাঘব বোয়ালের নাম উঠে আসে কিনা, সেটাই এখন দেখার।
টাকা-পয়সা নিয়ে গণ্ডগোলের জেরে খুন ব্যবসায়ী! ভবানীপুরের ওষুধ ব্যবসায়ীকে খুনের পর দেহ লোপাট করতে জলের ট্যাঙ্কের নিচে দেহ বস্তাবন্দি করে পুঁতে রাখা হয়েছিল। তারপরে সেখানে পাঁচিল তুলে তা প্লাস্টার করে দেয় বলে অভিযোগ। হাড়হিম করা এই ঘটনার সাক্ষী থাকল উত্তর ২৪ পরগনার নিমতা। ইতিমধ্যে ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে দুইজনকে।
পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ব্যবসায়ীয় নাম ভব্য লাখানিয়া। গত ১০ তারিখ তিনি তাঁর ব্যবসায়িক সহযোগী নিমতার বাসিন্দা অনির্বাণ গুপ্তার সঙ্গে দেখা করতে নিমতার প্রবোধ মিত্র লেনের বাড়িতে আসেন। এরপরেই টাকা-পয়সা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে কথাবার্তা হয়। আচমকা তা বচসায় পরিণত হয়। অনির্বাণ ভব্য লাখানিয়ার উপর হামলা চালায়। সেই ঘটনাতেই মৃত্যু হয় ভব্য লাখানিয়া নামে ওই ব্যবসায়ীর। অনির্বাণ গুপ্তা এবং দেহ লোপাটে অনির্বাণকে সাহায্যকারী সুমন দাসকে গ্রেফতার করে পুলিস।
এরপরে ব্যবসায়ীর দেহ লোপাট করতে অনির্বাণ বাড়ির জলের ট্যাঙ্কের নিচে দেহ লুকিয়ে দেয়। তারপরেই সেখানে দেওয়াল তুলে তা প্লাস্টার করে দেয়। এদিকে ভব্য লাখানিয়া বাড়ি না ফেরায় তাঁর পরিবারের তরফ থেকে ভবানীপুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরী করা হয়। পরিবারের তরফে অভিযোগ, ২৯- এ বালিগঞ্জ সার্কুলার রোড থেকে ভব্য লাখানিকে অপহরণ করা হয়। বালিগঞ্জ থানা, অ্যান্টি রাউডি সেকশন ও ডিটেকটিভ ডিপার্টমেন্ট এবং হোমিসাইড শাখার আধিকারিকরা যৌথভাবে তদন্ত শুরু করে এই রহস্যজনক খুনের।
তদন্ত নেমে অনির্বাণ গুপ্তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিস। শেষমেশ খুনের কথা স্বীকার করে নেয় অভিযুক্ত ব্যবসায়ী। এরপরেই তাঁর মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ট্রেস করে নিমতার প্রমোদ মিত্র লেনের ঠিকানা পায়। সেখানে হানা দিয়ে জলের ট্যাঙ্কের নিচ থেকে ভব্য লাখানিয়ার দেহ উদ্ধার করে। পাশাপাশি খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এর পাশাপাশি বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের পাশে ডাম্পিং গ্রাউন্ডের কাছ থেকে রক্ত মাখা জামা সহ বেশ কিছু সামগ্রী উদ্ধার করে। সেগুলো সব ফরেন্সি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি ভব্য লাখানিয়ার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য কামারহাটির সাগর দত্ত হাসপাতালে পাঠানো হয়।
রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে ফের 'অ্যাকশন মোডে' ইডি। শহরের একাধিক জায়গায় সকাল থেকে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছেন তদন্তকারী অফিসাররা। বাগুইআটিতে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে ইডি ঢুকতেই একেবারে বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণের মতো মোবাইল ছুঁড়ে দিলেন পাশের ফ্ল্যাটের ছাদে। পাঁচিল টপকে মোবাইল উদ্ধার করলেন ইডি আধিকারিকরা।
কয়েকমাস আগে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মুর্শিদাবাদের বড়ঞায় বিধায়ক জীবনকৃষ্ণের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে গিয়েছিল ইডি। সেসময় বিধায়ক প্রমাণ লোপাট করতে তাঁর মোবাইলটি বাড়ির পুকুরে জলে ফেলে দিয়েছিলেন। ইডিও নাছোড়, সেই মোবাইলটি পুকুর থেকে খুঁজে বের করে আনে। প্রমাণ লোপাট করতেই বিধায়ক মোবাইলটি জলে ছুঁড়ে ফেলেছিলেন বলে দাবি করেছিল ইডি।
যদিও মোবাইল জলে ফেলেও শেষ রক্ষা হয়নি। ইডির হতে গ্রেফতার হতে জয়েছিল বিধায়ককে। এবার রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে মঙ্গলবার সকাল থেকে শহরের একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযান শুরু করেছেন তদন্তকারীরা। কৈখালির এক অভিজাত আবাসনে তল্লাশি অভিযানে যান ইডি আধিকারিকরা। জানা যাচ্ছে, বাকিবুরের নামে ওই ফ্ল্যাট। কিন্তু বাকিবুর নয়, এই ফ্ল্যাটে থাকেন ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী হানিস তোসিবাল। ইডি ফ্ল্যাটে ঢুকতেই ব্যবসায়ী তাঁর মোবাইল ফোনটি ছুঁড়ে ফেলে দেন। সেই মোবাইলদুটিই উদ্ধার করেছে ইডি। তার একটির ব্যাক কভারে ৫০০ টাকা নোট ছিল বলে জানা গিয়েছে। মোবাইলটি উঁচু থেকে ছুঁড়ে ফেলতেই ব্যাক কভারটি খুলে ৫০০ টাকার নোটটি বেরিয়ে এসেছিল। সেটিও উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছেন তদন্তকারীরা। ব্যবসায়ীর কীর্তি দেখে ইডি দাবি করেছে তথ্য লোপাট করতেই তিনি মোবাইলটি ফেলে দিয়েছেন। কলকাতা শহরের বেশ কয়েকটি জায়গায়ও একযোগে চলছে তল্লাশি।
বাগুইআটি ছাড়াও নিউআলিপুরের একটি বহুতলে এবং সল্টলেকের আইবি ব্লকে চলছে ইডি অভিযান। ইডির ৮ থেকে ১০টি টিম এখন শহরের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে। ৮ নম্বর সদরস্ট্রিটের একটি বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়ের অফিসেও তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে ইডি। এছাড়া পার্কস্ট্রিটেও একটি বাড়িতে চলছে ইডি অভিযান।
বাড়ির সামনে থেকে উধাও ব্যবসায়ীর নাবালিকা কন্যা। অপহরণের অভিযোগ উঠেছে মালদহের ইংরেজবাজারে। ইতিমধ্যে ইংরেজবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়।
জানা গিয়েছে, নিখোঁজ নাবালিকা একটি বেসরকারি স্কুলের ছাত্রী। বাড়ি মালদহের ইংরেজবাজারের উত্তর বালুচরে। ব্য়বসায়ী এই বিষয়ে জানিয়েছেন, সোমবার বিকেলে বাড়ির সামনেই খেলাধুলো করছিল ওই নাবালিকা। কিছুক্ষণ পর বাড়ির সামনে থেকে আচমকাই উধাও হয়ে যায় ওই নাবালিকা। এরপর বাড়ির সবাই উত্তেজিত হয়ে খোঁজাখুজি শুরু করে। কিন্তু অনেক খোঁজাখুজির পরেও পাওয়া যায়নি ওই নাবালিকাকে।
অবশেষে নিখোঁজের অভিযোগে ইংরেজবাজার থানায় মামলা দায়ের করে নাবালিকার পরিবার। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ইংরেজ বাজার থানার পুলিস। মালদহ ইংরেজবাজারে একাধিকবার পড়ুয়া কিংবা নাবালক-নাবালিকা নিখোঁজের ঘটনা সামনে এসেছে। তারপর থেকে কড়া নিরাপত্তায় ঘিরে রাখা হয়েছিল মালদহ ইংরেজবাজারকে। যদিও তারপরেও মেলেনি সুরাহা।
ষাট লক্ষ টাকা মুক্তিপণের দাবিতে ফোন। তা না দিলে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি। অপহরণের ৮ ঘণ্টার মধ্যেই ঝাড়খণ্ড থেকে উদ্ধার অপহৃত ব্যবসায়ী। ঘটনায় গ্রেফতার তিন অপহরণকারী। জানা গিয়েছে, অপহৃত ব্যবসায়ীর নাম বেণীমাধব চট্টোপাধ্যায়। মেমারি শহরের পুরোনো পোস্ট অফিস পাড়ার বাসিন্দা। পেশায় তামাক পাতার ব্যবসায়ী।
পরিবার ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার বিকেল ৪.৩০ টা নাগাদ বাইকে ওই ব্য়বসায়ী মেমারি থেকে ছিনুই-এর দিকে যাচ্ছিলেন। সেই সময় ঝাড়খণ্ডের নম্বর প্লেট লাগানো একটি সাদা রঙের স্করপিও তাঁর পথ আটকায় এবং জোর করে তাঁকে গাড়িতে তুলে নিয়ে চলে যায়। স্থানীয়রা ঘটনার কথা জানতে পেরে খবর দেন ওই ব্য়বসায়ীর পরিবারকে। এরপর ব্য়বসায়ীর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ জানানো হয় মেমারি থানায়।
এরপর ওই ব্য়বসায়ীর বাড়িতে ষাট লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসে। অভিযোগ, মুক্তিপণ না পেলে ব্যবসায়ীকে গুলি করে প্রাণে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয় ফোনে। ফোনের সূত্র ধরে ও বিভিন্ন সূত্র মারফত তদন্ত শুরু করে মেমারি থানার পুলিস। সুতি টোলে গাড়িটির ছবি দেখা যায়। এরপরে মেমারি থানার পুলিস অভিযান চালিয়ে ঝাড়খণ্ডের মালপাহাড়ি এলাকা থেকে উদ্ধার করে অপহৃত ব্যবসায়ীকে এবং গ্রেফতার করা হয় তিনজন অপহরণকারীকে।
তোলাবাজির টাকা না পাওয়ায় ব্যবসায়ীকে ভোজালি দিয়ে কুপিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে দুস্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনায় আক্রান্ত ব্য়বসায়ী। রবিবার এই চাঞ্চল্য়কর ঘটনাটি ঘটেছে ব্যারাকপুর সদর বাজার এলাকায়। বর্তমানে ওই ব্য়বসায়ী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জানা গিয়েছে, গৌরব রায়-এর কাছে মোটা টাকা তোলা চায় সোনু সাউ নামক এক ব্য়ক্তির লোকজন। অভিযোগ, তোলা দিতে অস্বীকার করায় সোনু তার দলবল নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে এবং ভোজালি দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে শুরু করে। এরপর চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে এলে সোনু তার দলবল নিয়ে ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় ব্যারাকপুর থানার পুলিস একজনকে গ্রেফতার করেছে। এছাড়াও এমন ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে ব্যারাকপুর থানা এলাকায়।
ভরদুপুরে শুট আউট। জাতীয় সড়কে বাইক আরোহীকে লক্ষ্য করে চালানো হয় গুলি। ঘটনার পর গুরুতর জখম অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে মালদহের এক বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছে ওই ব্যক্তি। চাঞ্চল্য়কর ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের ইংরেজবাজার থানার সুস্তানি মোড় এলাকার। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গুলিবিদ্ধ ব্যক্তির নাম শফিকুল ইসলাম। বাড়ি মালদহের কালিয়াচক থানার সুজাপুর এলাকায়। পেশায় তিনি প্লাস্টিক ব্যবসায়ী।
ব্যবসায়ীর ভাই জানিয়েছেন, এদিন সকালে বাড়ি থেকে মালদহের দিকে আসছিলেন ওই ব্যবসায়ী। সেই সময় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। গুলির আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে বাইক থেকে রাস্তার পড়ে যান ওই ব্যবসায়ী। এরপর স্থানীয়রা তাঁকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। যদিও গোটা বিষয়টি এখনো স্পষ্ট হয়নি। তবে প্রকাশ্যে গুলির ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।
বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল বন্ধুদের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্য়কর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়ায়। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ব্য়ক্তির নাম বিনয় সরকার। পেশায় একজন গাড়ি ব্য়বসায়ী। অভিযোগ, বন্ধুরা ডেকে নিয়ে যাওয়ার পর খবর আসে তিনি হোটেলে মদ খেয়ে পড়ে আছে। যা নিয়ে শুরু হয়েছে পরিবারের সন্দেহ। ইতিমধ্য়ে চোপড়া থানার পুলিস হোটেলটি সিল করে দেয় এবং হোটেল মালিককে গ্রেফতার করে।
জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার সকাল ১০ টা নাগাদ বিনয় সরকারকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় তাঁর বন্ধুরা। তারপর দুপুর দুটোর পর থেকে তাঁর সঙ্গে মোবাইলে আর যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। এরপর রাত আটটা নাগাদ এক অপরিচিত ব্যক্তি বাড়িতে এসে খবর দেন বিনয় একটি হোটেলে মদ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তড়িঘড়ি বাড়ির লোক সেখানে গিয়ে দেখেন হোটেলের ঘর থেকে বিনয়বাবুকে অসুস্থ অবস্থায় বাইরে বের করা হচ্ছে। এরপর তাঁকে দোলুয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে ইসলামপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা বলেন তাঁর তিন থেকে চার ঘণ্টা আগেই মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে থানায় দ্বারস্থ হয় মৃত ওই ব্য়বসায়ীর পরিবার।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, যারা বিনয়ের সঙ্গে মদ খেয়েছিল তাঁরা কোথায় গিয়েছে? যদি মদ খেয়েই বিনয় অসুস্থ হয় তাহলে তাঁর সঙ্গে যারা ছিল তাঁরা কেন অসুস্থ হয়নি? আর বিনয় অসুস্থ হলে কেন তাঁর বাড়িতে জানানো হয়নি? অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস খোঁজ শুরু করেছে মৃত ওই ব্য়বসায়ীর বন্ধুদের। পরিবারের দাবি যারা দোষী পুলিস যেন তাদেরকে কঠোর শাস্তি দেয়।
ফের রাজ্যে শুটআউট। অতর্কিতে হামলা চলল ব্যবসায়ীর উপর। পর পর গুলি চলায় গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গেল ব্যবসায়ী। গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার সন্ধ্যায় সাতটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার তাহেরপুরে। জানা গিয়েছে, নিহত ব্যবসায়ীর নাম রাজা ভৌমিক। বাদকুল্লার ভাদুড়ি এলাকার বাসিন্দা।
পরিবার সূত্রে খবর, শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়িতেই বসেছিলেন রাজা ভৌমিক ও তাঁর স্ত্রী। এরপর হঠাৎ দরজায় কেউ ধাক্কা মারতে থাকে। দরজা খুলতেই বাড়িতে ঢুকে পড়ে কয়েকজন দুষ্কৃতী। তারপর ব্যবসায়ীর স্ত্রীর মুখ চেপে ধরে মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ধরা হয়। এরপর দুষ্কৃতীরা ব্যবসায়ী রাজা ভৌমিকের দোতলার ঘরে ঢুকে ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে পরপর তিন রাউন্ড গুলি চালায়। ঘটনার পর ওই গুলিবিদ্ধ ব্যবসায়ীকে তাঁর পরিবারের পরিজনরা তড়িঘড়ি নিয়ে বাদকুল্লা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। তবে কি কারণে এই ঘটনা তা এখনও স্পষ্ট নয়।
ব্যবসায়ীর আত্মীয়রা জানান, তিনি একাধিক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বিভিন্ন প্রোডাক্ট মার্কেটিং ও মানি মার্কেটিং ব্যবসাও করতেন বলেও জানাচ্ছেন তাঁর আত্মীয়রা। এমনকি তিনি একটি সংস্থার শেয়ারও কিনে রেখেছিলেন। এছাড়াও তিনি রাখিমাল বা ভুসি মালের ব্যবসা করতেন। কোন মানুষ বিপদে পড়লে তাঁকে আর্থিক সহযোগিতাও করতেন বলেই জানা যাচ্ছে। তবে আচমকা এই ঘটনার পর থেকেই শোকাহত গোটা পরিবার। রাজ্যে একের পর এক গুলির ঘটনা ঘটে যাওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
রাজ্য়ে বারংবার প্রশাসনের বিরুদ্ধে উঠে আসছে প্রশ্ন। জয়নগরের তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনার পর আমডাঙায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের খুন। একের পর এক তৃণমূল নেতার খুনে উত্তপ্ত বাংলা। সেই রেশ কাটতে না কাটতে কোচবিহারের বলরামপুরে খুন ছানা ব্যবসায়ী। বৃহস্পতিবার রাতে ছানা বিক্রি করে বাড়ি ফেরার পথে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে। অভিযোগ, কুপিয়ে খুন করা হয়েছে ওই ছানা ব্য়বসায়ীকে। ঘটনায় পথ অবরোধে বিক্ষোভ স্থানীয়দের। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ব্য়বসায়ীর নাম সুব্রত ঘোষ (৩৫)। বাড়ি দিনহাটার নাজিরহাটে। খুনের ঘটনায় উত্তপ্ত কোচবিহারের দিনহাটা।
নিহতের পরিবার জানিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাতে ছানা বিক্রি করে বাড়ি ফিরছিলেন ওই ব্য়বসায়ী। সেই সময় একদল দুস্কৃতী এসে হামলা চালায় তাঁর ওপর। গুরুতর আহত হয়ে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় তাঁর। তারপর এদিন সকালে স্থানীয়রা ওই ব্য়বসায়ীকে মৃত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখেন বলে জানা গিয়েছে। এরপর খবর দেওয়া হয় তুফানগঞ্জ থানায়। খবর পাওয়া মাত্রই তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে তুফানগঞ্জ থানার পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য় পাঠায়।
এই ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। যদিও এখনও পর্যন্ত এই খুনের ঘটনার কিনারা খুঁজে পায়নি পুলিস। তবে কে কা কী কারণে খুন করা হয়েছে তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
রাতের অন্ধকারে শ্যুট আউটের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল কোচবিহারের (Cooch Behar) খাগড়াবাড়ি সংলগ্ন মহিষবাথান এলাকায়। ১৭ নং জাতীয় সড়কের (National Highway) উপর থেকে উদ্ধার এক জমি ব্যবসায়ীর গুলিবিদ্ধ (shoot out) দেহ। তড়িঘড়ি উদ্ধার করে কোচবিহারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। জাতীয় সড়কের (NH 31) উপর এমন ঘটনায় আতঙ্কিত আশপাশের মানুষজন। সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান কোচবিহারের অতিরিক্ত পুলিস সুপার সহ উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা।
পুলিস সূত্রের খবর, সুশীল চন্দ্র দাস নামের ওই জমি ব্যবসায়ী পুন্ডিবাড়ি থানার অন্তর্গত খারিজা কাকড়িবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, রবিবার রাতে রাজারহাট এলাকা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন ব্যবসায়ী। সেই সময় এই ঘটনাটি ঘটে। জমি বিবাদের জেরেই এই ঘটনা বলে অনুমান তাঁদের।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান কোচবিহারের অতিরিক্ত পুলিস সুপার কুমার সানি রাজ, ডিএসপি হেডকোয়ার্টার চন্দন দাস সহ অন্যান্য উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা। কে বা কারা ওই ব্যবসায়ীকে গুলি করেছে তার তদন্ত শুরু করেছে পুন্ডিবাড়ি থানার পুলিস।