Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

breakfast

Breakfast: ব্রেকফাস্ট করার সময় নেই? সাবধান, শরীরে এই বিপদগুলো ডেকে আনছেন না তো

সকালে অফিসে যাওয়ার তাড়াহুড়ো, ব্যস্ততা, কাজের চাপ ইত্যাদির মাঝে ব্রেকফাস্ট বা জলখাবার খাওয়া হয় না। অনেকে আবার ইচ্ছে করেও স্কিপ করে যান ব্রেকফাস্ট। আর এভাবে এক-দু'দিন না, দিনের পর দিন অনিয়ম চললে আপনার অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। জানেন কি, এতে শরীরের কী কী ক্ষতি হতে পারে! তাই সময় থাকতেই সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞদের মতে, কোনও মতেই বাদ দেওয়া উচিত নয় সকালের খাবার বা ব্রেকফাস্ট (Breakfast)।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছে, ব্রেকফাস্ট না করলে ওজন বাড়তে থাকে। কাজে উৎসাহ থাকে না। সারাদিন ক্লান্তি থাকে শরীরে। এছাড়াও বিপাক ঠিকমতো হয় না, ডায়াবিটিসের আশঙ্কাও বহুগুণ বেড়ে যায়। যাঁরা হার্টের রোগী অর্থাৎ যাঁদের হৃদরোগ রয়েছে, তাঁরা সকালের জলখাবার না খেলে তাঁদের হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের প্রবণতা বেড়ে যায়। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যাও দেখা যায়। সকালে জলখাবার না খেয়ে দীর্ঘক্ষণ খালি পেটে থাকলে, মাথা ব্যথা শুরু হয়ে যায়। যাঁদের মাইগ্রেনের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের আরও বেশি কষ্ট হয়। এছাড়াও শরীরে ভিটামিন, প্রোটিনের অভাব দেখা দেয়। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, সুস্থ থাকতে হলে কখনই স্কিপ করা উচিত নয় জলখাবার।

7 months ago
Luchi: 'লুচি তুমি চিন্তনে মননে, বাজিমাত হয় তোমার স্মরনে'

সৌমেন সুর: প্রথমে লুচি শব্দটি কোথা থেকে এসেছে সে সম্পর্কে একটু ব্যাখ্যা করি। লুচি শব্দটি এসেছে সংস্কৃত রুচিক থেকে, যার অর্থ খেতে ভালো। লুচির সঙ্গে বাঙালির প্রাণের যোগ অস্বীকার করা যায় না।

ঠাকুরবাড়ির দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেন, 'আমার লুচি ঘিয়ে না ভেজে জলে ভেজে দাও।' লুচির স্বাদ যেন অমৃত সমান। রবীন্দ্রনাথ পেনেটির বাগানে লুচি খেয়ে আমাদের জানান, 'সকালবেলায় এখো গুড় দিয়ে যে বাসি লুচি খাইতাম, নিশ্চয়ই স্বর্গলোকে ইন্দ্র যে অমৃত খাইয়া থাকেন, তাহার সঙ্গে তার স্বাদের বিশেষ কিছু পার্থক্য নাই।' লুচির কদর সর্বত্র।

লুচি খেতে ভালোবাসে না, এমন মানুষ খুব কমই মেলে। পিকনিকে লুচি, শিকারে লুচি, বিয়েবাড়িতে সকালে হাজিরা দিতে পারলে লুচি মাস্ট। একটা জায়গায় লুচির বর্ণনা করা হয়েছে শুনলে জিভে জল আসতে বাধ্য। 'ঘিয়ে ভাজা তপ্ত লুচি, দুচারি আদার কুচি/ কচুরি তাহাতে খান দুই। /ছোঁকা আর শাক ভাজা মতিচুর বোঁদে গজা/ফলারের যোগার বড়ই।'

লুচি একই সঙ্গে সাত্ত্বিক ও রাজসিক। মানে কোন ব্রতে উপবাসভঙ্গে যেমন লুচি, তেমনি লুচি দিয়ে কষা মাংস লা জবাব। লুচি নিছক একটি রসনা বিলাস নয়, লুচি দিয়ে চিহ্নিত করা যায়, বাঙালি সমাজের শ্রেণীবিন্যাস, হদিশ পাওয়া যায় অনেক জটিল কূটনীতির।

তবে ইদানিং একদিকে কোলেস্টেরল, অন্যদিকে চাওমিন, পাস্তা পিজ্জার ধাক্কায় হিন্দু কী মুসলমান, সব বাঙালিই দেখছি আজকাল বেলুচিস্তানের বাসিন্দা হয়ে পড়েছেন। আর বাংলা সাহিত্য তাই বোধহয় কনটেন্টে না হোক খাবার দাবারের বর্ণনায় এখন সত্যি সত্যিই আন্তর্জাতিক, লুচি সেখানে ব্রাত্য।

one year ago
Soup: ঠাণ্ডার দিনে বাড়িতে বানান সুস্বাদু টমেটো স্যুপ, অতিথি আপ্যায়নে নতুন পদ

শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়: শীতের সন্ধ্যাবেলা গরম গরম টমেটো স্যুপ বানিয়ে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বসে জমিয়ে কড়া করে স্যাকা পাউরুটি সহযোগে খাবার মজাই আলাদা।

টমেটো স্যুপ তৈরির পদ্ধতি --- সসপ্যান আঁচে বসিয়ে এক টেবিল চামচ সাদা তেল ও এক টেবিল চামচ মাখন গরম করে একটা দারচিনির স্টিক, দুটো ছোট এলাচ, চারটে লবঙ্গ ফোরন দিন। এবার দেড় টেবিল চামচ রসুন কিমা দিয়ে নেড়ে একটু ভাজুন। এক টেবিল চামচ থেতো করা আদা দিয়ে নেড়ে ভাজুন। পাঁচশো গ্রাম টমেটো কুচি ও তিনটে কাচা লঙ্কা কুচি দিয়ে নেড়ে মেশান। এবার সস প্যানের ঢাকনা বন্ধ করে কিছুক্ষণ রান্না করুন। 

টমেটোর জল ছাড়লে ও টমেটো গলে গেলে ঢাকনা খুলে ওর মধ্যে এক টেবিল চামচ কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো দিয়ে নেড়ে মেশান। আঁচ বন্ধ করে ঠাণ্ডা করুন। ঠাণ্ডা হয়ে গেলে মিক্সিতে দিয়ে এক কাপ জল দিয়ে একটা পেস্ট তৈরি করুন। এবার এই পেস্টটা ছাকনিতে ছেকে নিয়ে আলাদা করে রাখুন। একটা ফ্রাইং প্যান বা কড়া আঁচে বসিয়ে দেড় টেবিল চামচ মাখন গরম করে ছেকে নেওয়া টমেটোর পেস্টটা ওর মধ্যে দিয়ে এক টেবিল চামচ তাওয়ায় শেকা ধনে ও জিরের গুঁড়ো, এক চা চামচ কালো গোল মরিচের গুঁড়ো দিয়ে নেড়ে মেশান। এবার ওর মধ্যে এক চা চামচ চিনি ও আন্দাজমতো নুন দিয়ে নেড়ে মেশান।

ফুটে উঠলে এক টেবিল চামচ কর্নফ্লাওয়ার জলে গুলে ওর মধ্যে দিয়ে খুব ভাল করে নেড়ে মেশান। ছোট এক মুঠো ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে দিয়ে নেড়ে মেশান। চেখে দেখুন, হয়ে গেলে আঁচ বন্ধ করে দিন। নামিয়ে স্যুপ বোলের মধ্যে গরম গরম টমেটো স্যুপ ঢেলে কড়া করে শেকা পাউরুটি সহযোগে পরিবেশন করুন।

one year ago


Paneer: প্রাতঃরাশে নিরামিষ খুঁজছেন, বাড়িতে বানান সুস্বাদু পনির পরোটা

শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়: রবিবার বা ছুটির দিনে সকালের প্রাতরাশে বা বিকেলের জলখাবারে বাড়িতে বানাতে পারেন সুস্বাদু পনির পরোটা। নিজের হাতে তৈরি করে বাড়ির সবাইকে ও বন্ধুবান্ধবকে খাইয়ে খুশি করতে পারেন। পনির পরোটা তৈরির পদ্ধতি--- পাঁচশো গ্রাম আটা আন্দাজতো জল ও নুন দিয়ে ঠেসে নরম করে মেখে নিন। মাখা আটার তালটা  পরিস্কার ভেজা ন্যাকরা জড়িয়ে আধঘণ্টা রেখে দিন। একটা পাত্রে আড়াইশো গ্রাম পনির নিয়ে ওর মধ্যে আটটা কাচা লঙ্কা কুচি, দেড় চা চামচ গরম মশলার গুঁড়ো, আন্দাজমতো নুন, দেড় টেবিল চামচ আনারদানা, দুই চা চামচ চাটমশলা, দেড় আটি ধনেপাতা কুচি দিয়ে হাতের সাহায্যে চটকে ভাল করে মেখে একটা মিশ্রণ তৈরি করুন। পনিরের পুর বা মিশ্রণ তৈরি হয়ে গেল।


এবার আধ ঘণ্টা বাদে মাখা আটার তাল থেকে বারোটা লেচি কেটে হাতের সাহায্যে গোল করে নিন। এবার গোল লেচিগুলোর মধ্যে গরম করে তার মধ্যে পনিরের পুর সমান ভাগে ভাগ করে করে প্রতিটা লেচির মধ্যে ভরে লেচিগুলো হাতের সাহায্যে পাকিয়ে গোল গোল বলের মত করুন। এবার চাকি-বেলুনের মাধ্যমে পুরভর্তি গোল-গোল পরোটা বেলুন।  তাওয়া আঁচে বসিয়ে আন্দাজমতো দেশী ঘি দিয়ে গরম করে পরোটাগুলো উল্টেপাল্টে দুই পিঠ মুচমুচে করে ভাজুন। মাঝে মাঝে উপর থেকে পরোটার উপরে ঘি ছড়িয়ে দেবেন।হয়ে গেলে ভাজা পরোটাগুলো টক দই ও মিক্সড আচার সহযোগে গরম গরম পরিবেশন করুন।

2 years ago