প্রথম দফায় ভোট মিটতেই উঠে আসছে একাধিক জায়গায় বোমা উদ্ধারের ঘটনা। শনিবার বোমা উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দিনহাটার পুটিমারি এলাকায়। অভিযোগ, গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার রাতভর দিনহাটার বিভিন্ন এলাকায় বোমাবাজি করে তৃণমূল এবং বিজেপি। এরপর এদিন সকালে উদ্ধার হয় দুটি তাজা বোমা। বোমা উদ্ধারের ঘটনায় আতঙ্কে রয়েছে এলাকার মানুষ।
জানা গিয়েছে, এদিন ফনি বর্মন নামে এক ব্যক্তির বাড়ির সামনে থেকে উদ্ধার হয় দুটি তাজা বোমা। ঘুম থেকে ওঠার পর ফনি বাবুর বাড়ির লোকেরা উঠোনে একটি বোমা দেখতে পায়। পরবর্তীতে খোঁজাখুঁজির পর বাড়ির নিকটবর্তী আর এক ঝোপে অপর একটি বোমা তাঁর প্রতিবেশীর নজরে পড়ে। এরপর খবর দেওয়া হয় পুলিসকে। খবর পেয়ে দিনহাটা থানার পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে বোমা দুটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
আর মাত্র কিছুদিন পর লোকসভা নির্বাচন। তার আগে বোমা মেরে কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন স্কুল উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি। স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে মেইল পাঠিয়ে এই হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। যা নিয়ে বোমাতঙ্ক ছড়িয়েছে স্কুলের ছাত্রছাত্রী- অভিভাবকদের মধ্য়ে।
স্কুল কর্তৃপক্ষকে পাঠানো ইমেল-এ লেখা আছে, স্কুলের মধ্য়ে ক্লাসরুমেই রাখা আছে বোমা। আর সেই বোমা ফেটে বিস্ফোরণে উড়বে গোটা স্কুল। কলকাতার অভিনব ভারতী স্কুলের প্রিন্সিপাল শ্রাবণী সামন্ত হুমকি মেইল পাওয়ার বিষয়টি সিএন-এর প্রতিনিধির কাছে স্বীকার করেছেন।
পুলিস সূত্রে খবর, বোমার মেইল জানাজানি হতেই নজরদারি শুরু করেছে পুলিস। ভোটের পরিস্থিতি নজর রাখার সঙ্গে এই মেইলগুলির সত্যতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দেখা গিয়েছে হ্যাপি হট ডগ ১০১ নামের একটি মেইল আইডি থেকে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলকে হুমকি চিঠি পাঠানো হয়েছে। কিন্তু ঠিক কতগুলো স্কুল এই হুমকি চিঠি পেয়েছে, সে বিষয়ে এখনও প্রশাসন স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারেনি।
দুয়ারে কড়া নাড়ছে লোকসভা নির্বাচন। তার আগেই বোমার শব্দে কেঁপে উঠল নদিয়ার চাকদহ। মঙ্গলবার সকালে চাকদহ থানার অন্তর্গত পাজির মোড় লালপুকুর এলাকায় বোমা ফেটে গুরুতর আহত হন এক শ্রমিক। জানা গিয়েছে, আহত ওই শ্রমিকের নাম শ্যামল সরকার (৪৫)। চুয়াডাঙ্গার বাসিন্দা।
জানা গিয়েছে, এদিন চাকদহের পাজির মোড় লালপুরে একটি পুকুরের পাশে নির্মাণ কাজ করতে চার জন শ্রমিক আসেন। বাড়ির কলম করার জন্য় বেশ কিছুটা মাটি খনন করার পর হঠাৎ একটি হলুদ ড্রাম দেখতে পান ওই শ্রমিকেরা। এর মধ্যে শ্যামল সরকার নামের ওই শ্রমিকের কোদালের কোপ পরে বোমা মজুদ করে রাখা ওই ড্রামে। তারপরেই ড্রামে থাকা চার চারটি বোমা ফেটে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। ঘটনায় গুরুতর আহত হন শ্যামল সরকার।
এরপর বোমার শব্দে আশেপাশের বাসিন্দারা ছুটে এসে আহত শ্যামল সরকারকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে নিয়ে যায় চাকদহ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তড়িঘড়ি তাঁকে স্থানান্তর করা হয় কল্যাণী জহরলাল নেহেরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে চাকদহ থানার পুলিস। নির্বাচনের আগে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় আতঙ্কিত গোটা এলাকা।
অন্য়দিকে খড়দহ পুরানী বাজার এলাকায় চলে বোমাবাজি। বোমার আঘাতে উড়েছে বাড়ির চাল। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে যায় খড়দহ থানার পুলিস। লোকসভা নির্বাচনের আগে বোমাবাজির ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পুলিস প্রসাশনের ভূমিকা। গোটা ঘটনার তদন্তে খড়দহ থানার পুলিস।
সামনেই লোকসভা ভোট। তার আগেই রাজ্য়েজুড়ে সন্ধান মিলছে বোমার। এবার বাঁশ বাগান থেকে উদ্ধার বালতি ভর্তি সকেট বোমা। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের রানীনগর থানার ডেপুটি পাড়া মসজিদ সংলগ্ন এলাকায়। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে এক মহিলা তাঁর বাড়ির পাশের বাঁশ বাগানে একটি বালতি দেখতে পায়। বালতিটি দেখা মাত্রই ওই মহিলাটি অনুমান করে যে ওই বালতির ভিতরে বোমা আছে। তারপরেই স্থানীয় সিভিককে খবর দেওয়া হয় এবং সঙ্গে সঙ্গে রানীনগর থানার পুলিস এসে ওই জায়গাটিকে ঘিরে ফেলে।
যদিও স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় ব্যাপক পরিমাণে বোমাবাজি এবং বোমা উদ্ধার হয়েছে। তবে কি লোকসভা নির্বাচনের আগে আবারও রানীনগরের ডেপুটি পাড়া এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি হচ্ছে? সেই কারণেই রানীনগর থানার পুলিসের পক্ষ থেকে পুলিস পিকেট করে পাহারা দিয়ে রাখা হচ্ছে। আজ অর্থাৎ সোমবার বম্ব ডিস্ক জাল টিম এসে বোমা নিষ্ক্রিয় করার কাজ শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে।
শনিবার মাধ্য়মিক পরীক্ষার আগেই উদ্ধার বোমা। উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়ায় সুন্দিয়া হাই স্কুলের কাছেই উদ্ধার হয় হয় পাঁচটি তাজা বোমা। ঘটনায় ভাটপাড়া থানার পুলিস বাপ্পা বড়াল নামে একজনকে আটক করেছে। তবে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় আতঙ্কিত পরীক্ষার্থী থেকে এলাকাবাসীরা।
জানা গিয়েছে, এদিন সকালে স্থানীয়রা পরিত্যক্ত একটি ব্যাগে বোমা দেখতে পায়। তারপর খবর দেয় ভাটপাড়া থানার পুলিসকে। এরপর তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে বোমাগুলি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, যেকোনও টাইমে একটা বড়ো দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। সিসিটিভি ফুটেজে ভয়াবহ সেই ঘটনার ছবি ধরা পড়েছে আমাদের ক্যামেরায়। তবে নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও কী করে মাধ্যমিক পরিক্ষাকেন্দ্র থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরত্বে বোমা রেখেছিল দুস্কৃতীরা। তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
বাঁশবাগান থেকে উদ্ধার তিন ড্রাম তাজা বোমা। শনিবার সকালে আমডাঙা সোনাডাঙ্গা থেকে বোমাগুলি উদ্ধার করেছে আমডাঙা থানার পুলিস। তারপর বোমাগুলিকে নিষ্ক্রিয় করার জন্য খবর দেওয়া হয় বম্ব স্কোয়াডকে। বোমা উদ্ধারের ঘটনায় রীতিমত আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
জানা গিয়েছে, এদিন সকালে মাঠের কাজে গিয়ে এক ব্যক্তি প্রথমে দেখতে পান বাঁশ বাগানের মধ্যে রাখা রয়েছে হলুদ রঙের তিনটি ড্রাম। এরপর সন্দেহের জেরে ড্রামগুলির কাছে গিয়ে তিনি ড্রামের মুখ খুলতে দেখতে পান তিনটি ড্রামের মধ্য়ে রয়েছে তাজা তাজা বোমা। যদিও পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আমডাঙ্গা থানার পুলিস গিয়ে ড্রামগুলিকে ঘিরে রেখেছে। তবে কে বা কারা কী উদ্দেশ্যে ওই ড্রাম ভর্তি বোমা গুলি রেখেছিল তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে আমডাঙা থানার পুলিস।
ফের বাজি বিস্ফোরণ! ফের রক্তাক্ত শৈশব! দক্ষিণ ২৪ পরগনা ডায়মন্ড হারবারের মশাট এলাকায় বাজি বিস্ফোরণে জখম বছর দশেকের এক নাবালক সহ ৩ জন। স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকাল ১১টা নাগাদ এলাকার এক জঙ্গলের মধ্যে বাজিগুলি দেখতে পায় আলমগির শেখ নামে পঞ্চম শ্রেণির ওই পড়ুয়া। বাজি নিয়ে খেলতে গিয়েই ঘটে বিস্ফোরণ।
জানা গিয়েছে, সামনেই সবেবরাত, তার আগে লোকচক্ষুর আড়ালে জঙ্গলের মধ্যে মজুত করে রাখা হয়েছিল কিছু নিষিদ্ধ শব্দবাজি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ডায়মন্ড হারবার থানার পুলিস। নাবালকের হাতে ও পায়ে গুরুতর আঘাত থাকায় তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।
ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। মজুত করে রাখা নিষিদ্ধ বাজি থেকেই বিস্ফোরণ বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিসের। তবে কে বা কারা রেখে গেল নিষিদ্ধ শব্দবাজি? তা জানতে শুরু তদন্ত। এই ঘটনা আরও একবার উস্কে দিল এগরা, নীলগঞ্জের ভয়ানক স্মৃতি। ২০২৩ এর মে মাসে বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে এগরার খাদিকুল। মৃত্যু হয় মূল অভিযুক্ত ভানু বাগ সহ ১০ জনের। তার কিছুদিনের মধ্যেই কেঁপে ওঠে উত্তর ২৪ পরগনার নীলগঞ্জ। একের পর এক বিস্ফোরণের পরেও কেন তৎপর নয় প্রশাসন? তবে কি আজও বাজি কারখানাগুলিতে গোপনে তৈরি হচ্ছে নিষিদ্ধ শব্দবাজি? যার সন্ধান নেই পুলিসের কাছেও ? উঠছে প্রশ্ন।
জমি সংক্রান্ত বিবাদকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ। ঘটনায় আহত দুই মহিলা সহ তিন জন। গুলি ও বোমা মারার অভিযোগে উত্তপ্ত উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া ব্লকের ঘিরনিগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের রাহাদিগজ গ্রাম। আহত তিনজনকে শিলিগুড়ি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে ও হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিসবাহিনী গিয়ে নিয়ন্ত্রণে আনে গোটা পরিস্থিতি।
সূত্রের খবর, ঘিরনিগাঁও গ্রাম পঞ্চয়েতের রাহাদিগজ এলাকায় একটি জমি নিয়ে দীর্ঘদিন বিবাদ হামিদূর রহমানের সঙ্গে তারই আত্মীয় শেখ মজিবুর রহমানের। রবিবার রাহাদিগজ গ্রামে দুই পক্ষের মধ্যে বিবাদ মেটাতে সালিশি সভা হয়। যদিও পুলিসের উপস্থিতিতে এই সালিশি সভা হয়। সভাতে শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হওয়ার পরই দুই পক্ষ বাড়ি ফিরে যায়।
এরপর রাস্তায় দুই পক্ষের মধ্যে বিবাদ বাধে। বিবাদ চলাকালীন দুইপক্ষের মধ্যে শুরু হয় সংঘর্ষ। চলে গুলি, বোমাবাজি এবং মারধরের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। এরপর এলাকা ব্যাপক উত্তেজনা থাকায় বিশাল পুলিসবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে ধরপাকর শুরু করেছে।
স্কুটি করে বোমা নিয়ে যাচ্ছিলেন দুই দুষ্কৃতী। আচমকাই ঘটে যায় বিস্ফোরণ। জখম হয় দুজনেই। ঘটনাস্থল থেকে আহত দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে নলহাটি থানার পুলিস। দুজনেই নলহাটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার বীরভূমের নলহাটি থানার সরধা মোড়ের কাছে। জানা গিয়েছে, ধৃত দুষ্কৃতীরা হলেন রিয়াজ শেখ। বাড়ি রামপুরহাট থানার বড় পাকুরিয়া গ্রামে। অন্যজন রকি শেখ, বাড়ি মারগ্রাম থানার মাড়গ্রামে। স্বাভাবিকভাবেই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।
কী কারণে রকি এবং রিয়াজ স্কুটি করে বোমা নিয়ে যাচ্ছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, মাড়গ্রাম থেকে নলহাটি যাচ্ছিল দুজনে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, ওই এলাকায় সম্ভবত হামলা চালাতে যাচ্ছিল দুজনে। ওই যুবকরা একটু সুস্থ হলে তাদের সঙ্গে কথা বলবে পুলিস। তার পরই সমস্ত তথ্য সামনে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এবার শহরের জাদুঘরে বোমাতঙ্ক ঘিরে চাঞ্চল্য। ইমেইল মারফত বার্তা আসে জাদুঘরে একাধিক বোমা রয়েছে। এরপরেই তৎপর হয় পুলিস এবং বম্ব স্কোয়াড। তড়িঘড়ি বের করে দেওয়া হয় দর্শনার্থীদের।
শুক্রবার সকাল থেকেই শহরের জাদুঘরে বোমাতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। জানা গিয়েছে শুক্রবার ভোরে একটি ইমেলে বোমা থাকার বিষয়টি পাঠানো হয়। ওই ইমেইলে বলা হয়েছে, কলকাতা জাদুঘরে রাখা আছে একাধিক বোমা। ইমেইল এসেছে 'টেরোরাইজার ১১১' নামে, যারা নিজেদের জঙ্গি সংগঠন বলে দাবি করেছে ৷ পাশাপাশি ওই ইমেলে লেখা আছে, তাদের সংগঠনকে প্রচারের আলোয় না আনলে, তারা জাদুঘরে বিস্ফোরণ ঘটাবে।
শুক্রবার সকালে ওই ইমেল বার্তার পরেই তড়িঘড়ি জাদুঘরে উপস্থিত হন বোম্ব স্কোয়াড, ডগ স্কোয়াড সহ পুলিসের একাধিক শীর্ষ আধিকারিকরা। এছাড়াও উপস্থিত হন গোয়েন্দা দফতরের অধিকারিকরাও। বোমা থাকার হুমকি বার্তা আসার পর থেকেই খালি করে দেওয়া হয়েছে ভারতীয় জাদুঘর। পাশাপাশি কয়েক ঘন্টা বন্ধ রাখার বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছে মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও জাদুঘরের ভেতরের প্রতিটি কক্ষে চালানো হচ্ছে তল্লাশি।
তবে আদৌ মিউজিয়ামে বোম্ব রাখা আছে, না কি নিছক আতঙ্ক ছড়ানোর কারণে এই ঘটনা উদ্দেশপ্রণোদিত করা হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। এছাড়া কে বা কারা আসলে এই ইমেইল বার্তা পাঠিয়ে বোমাতঙ্ক তৈরির চেষ্টা করছে সেই বিষয়টিও এই মুহূর্তে স্পষ্ট নয়। তবে জাদুঘরে হুমকি বার্তা আসার পর সমস্ত বিষয় খুঁজে বার করতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
ফের বোমা বিস্ফোরণ। দেগঙ্গার পর এবার কদম্বগাছিতে বোমা বিস্ফোরণে আহত এক যুবক। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার কদম্বগাছিতে। জানা গিয়েছে, আহত যুবকের নাম কারিবুল ইসলাম।
আহত যুবক জানিয়েছে, এদিন সকাল দশটা নাগাদ কারিবুল ইসলাম তাঁর শাশুড়ির সঙ্গে কাঠ কাটতে গিয়েছিলেন। সেই সময় হঠাৎ একটা বিকট শব্দতে কেঁপে ওঠেন তাঁরা। সঙ্গে সঙ্গে গোটা এলাকা ধোঁয়া ধোঁয়া হয়ে যায়। তারপরেই জানা যায় যে ওই কাঠের নিচে বোমা ছিল। আর সেই বোমা ফেটে জখম হয়েছেন কারিবুল ইসলাম। তাঁর হাতে আঘাত লেগেছে বলে জানা যায়। এরপর বোমা বিস্ফোরণের শব্দ শুনে স্থানীয়রা গিয়ে তড়িঘড়ি আহত ওই যুবককে উদ্ধার করে বারাসত জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। এখন সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত রবিবার দেগঙ্গায় বলকে বোমা ভেবে খেলতে গিয়ে বোমা বিস্ফোরণে আহত হয় এক কিশোর। জানা গিয়েছে, তৃণমূল পার্টি অফিসের পিছনে পড়ে ছিল একটি ব্যাগ। আর সেই ব্যাগ খুলতেই বের হয় বোমা। সেই বোমাকে বল ভেবে খেলতে গিয়ে জখম হয় ওই কিশোর। রাজ্যে একাধিকবার বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে মানুষের মধ্য়ে।
এক সপ্তাহে দু'বার। ফরাক্কার পর এবার উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গায় বোমা বিস্ফোরণ। ঘটনায় আহত এক কিশোর। জানা গিয়েছে, তৃণমূল পার্টি অফিসের পিছনে পড়ে ছিল একটি ব্যাগ। সেই ব্যাগ খুলতেই বের হয় বোমা। আর সেই বোমাকে বল ভেবে খেলতে গিয়ে জখম হয় ওই কিশোর। রবিবার সকালে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দেগঙ্গার কলসুরে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, আহত কিশোরের নাম আরমান গাজী (১২)। এদিন সকালে তৃণমূলের পার্টি অফিসের পিছনের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল আরমান। সেই সময় তার নজরে আসে একটি ব্যাগ। সেই ব্যাগ খুলে বোমা হাতে নিয়ে বল ভেবে খেলতে শুরু করে। আর সেই বোমা ফেটেই জখম হয় কিশোর। বোমা বিস্ফোরণের শব্দ পেয়ে স্থানীয়রা ছুটে এসে দেখেন আহত অবস্থায় আরমান মাটিতে পড়ে রয়েছে। এরপর তাকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় বাদুড়িয়া ব্লকের রুদ্রপুর হাসপাতালে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, তৃণমূলের পার্টি অফিসের পিছনের বাগান থেকে আরও তিনটে তাজা বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। তবে রাজ্যে একের পর এক বোমা বিস্ফোরণে শিশুর আহত হওয়ার ঘটনায় বেশ আতঙ্কিত রয়েছেন সাধারণ মানুষ।
রাস্তায় পড়ে ছিল বোমা। বল ভেবে বোমা নিয়ে খেলতে গিয়ে বোমা বিস্ফোরণে আহত তিন শিশু। বুধবার এই ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা ব্লকে শঙ্করপুর হাউসনগরে। তড়িঘড়ি ওই তিন শিশুকে উদ্ধার করে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ফরাক্কা থানার পুলিস।
জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতো এদিন সকালেও ওই তিন শিশু অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে খাবার নেওয়ার জন্য যাচ্ছিল। আর সেই সময় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র সংলগ্ন পুকুর থেকে পাওয়া একটি বোমাকে তারা বল ভেবে খেলতে থাকে। তারপর হঠাৎ সেই বোমা হাত থেকে পড়ে গিয়ে ফেটে যায়।এরফলে জখম হয় তিন শিশু। বোমা ফাটার শব্দ পেয়ে স্থানীয়রা এসে দেখেন ওই তিন শিশু বোমা বিস্ফোরণে জখম হয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
তবে কে বা কারা ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র সংলগ্ন এলাকায় বোমা রেখে গিয়েছিল। আর ঠিক কোন উদ্দেশ্যেই বা রেখে গিয়েছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল প্রথম থেকেই। আমডাঙার প্রধান খুনের তদন্ত এগোলে বোধহয় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তথ্যেও শিলমোহর পড়ার পালা। তবে তার আগে সিএন-র অন্তর্তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। শুধু দলের রেষারেষি নয়, এ যে একেবারে এলাকার দখলের লড়াই। কার দম কত? কার জোর কত? কার দখলে যাবে জমি? ক্ষমতা প্রদর্শনের লড়াইতেই কি বলি আমডাঙার প্রধান?
দুষ্কৃতী-বোমাবাজিতে উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙার প্রধান রূপচাঁদ মণ্ডলের খুনে প্রাইম সাসপেক্টের তালিকায় তৃণমূল নেতা তৈয়ব হোসেন। তদন্তের শুরুতেই খাঁড়া হয় তৃণমূলী গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ত্ব। কিন্তু খুনের মোটিভ কী হতে পারে? সেই কেঁচো খুঁড়তে গিয়েই বেরিয়ে এল কেউটে। উত্তর ২৪ পরগনার বোদাই অঞ্চল, এই এলাকায় প্রভাব তৃণমূল নেতা তৈয়ব হোসেনের। অভিযোগ, তৈয়বকে টপকে বোদাইতেও জমি দখল, বাগান বাড়ির দখল, দালালি শুরু করেছিলেন রূপচাঁদ। গণ্ডগোলের মূলে থাকতে পারে দত্তপুকুরের ১০ বিঘা জমির ওপর অবকাশ বাগানবাড়ি।
কাকের বাসায় কোকিলের মতো জুড়ে বসেন রূপচাঁদ। শুধু অবকাশ বাগান বাড়ি নয়, নীলগঞ্জ-দত্তপুকুর রোডে সন্তোষপুরে সরকারি জমি দখল করে নাকি একটি হোটেল ও কার সার্ভিস সেন্টার তৈরি করেছিলেন আমডাঙার প্রধান।
মাকড়সার জালের মতো তৈয়বের এলাকায় প্রভাব বিস্তার করেন রূপচাঁদ। অভিযোগ, সরকারি জমি দখল করে রূপচাঁদের হোটেল তৈরিতে আপত্তি জানিয়েছিলেন তৈয়ব। কসমস গ্রীন সিটি নামে একটি প্রোজেক্টেও প্রভাব খাটান রূপচাঁদ। বোদাইতে জমি কেনা-বেচার লড়াইয়ে দিনের পর দিন তৈয়ব-রূপচাঁদের সম্পর্ক তিক্ত হতে শুরু করে।
তৈয়বের বোদাইয়ে কেন রূপচাঁদের প্রভাব খাটবে? বিবাদ তুঙ্গে যাওয়ার পর আমডাঙায় বৈঠকও হয়। সেই বৈঠকে তৈয়বের ছেলে ও ভাইয়েরা রূপচাঁদকে মারধর করে বলে অভিযোগ।
পুরনো শত্রুতার জেরেই কি প্রধান খুন? দখলদারির লড়াইটা বাড়তে বাড়তে কতদূর বেড়েছিল? খুনের মূলে বখরার লড়াই? মানুষ মারার মতো প্রতিশোধ স্পৃহা কী জন্মেছিল?
জয়নগরের পর এবার আমডাঙ্গা। তৃণমূল প্রধানকে বোমা মেরে খুনের অভিযোগ উঠল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আমডাঙ্গা কামদেবপুর এলাকার ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, আমডাঙার ওই মৃত পঞ্চায়েত প্রধানের নাম রূপচাঁদ মন্ডল। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তে নেমে এখনও অবধি একজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে, পাশাপাশি আরও দুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে। এ ঘটনায় এখনও অবধি মৃত ওই প্রধানের পরিবারের তরফে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দের দিকেই অভিযোগ তোলা হয়েছে।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কামদেবপুর বাজার এলাকায় রূপচাঁদ মণ্ডলকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। বোমার আঘাতে রূপচাদের দেন হাত উড়ে যায়। এ ঘটনা টের পেতেই তাঁকে উদ্ধার করে বারাসতের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই বৃহস্পতিবার রাতেই মৃত্যু হয় রূপচাঁদের। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। বারাসত পুলিশ জেলা সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, যে ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে তার নাম আনোয়ার হোসেন। কয়েকদিন আগেই জমি কেনাবেচা নিয়ে তৈয়বের সঙ্গে ঝামেলা হয় রূপচাদের। পাশাপাশি আটক তৈয়ব হোসেন ও সাদ্দাম হোসেন। পুলিশ আরও জানিয়েছে, তৈয়ব হোসেনের দুই ছেলে আনোয়ার ও সাদ্দাম। সম্প্রতি জমি কেনাবেচা নিয়ে তৈয়বের সঙ্গে গন্ডগোল রূপচাঁদ মণ্ডলের। যদিও আমডাঙার বিধায়ক রফিকুর রহমান জানিয়েছেন, তৈয়ব অঞ্চলের তৃণমূল নেতা। কিন্তু এই ঘটনায় তৈয়বের নাম আসলেও, সেটা রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই। এখানে রাজনৈতিক কোনো গোষ্ঠী নেই। রূপচাঁদের এর সঙ্গে তৈয়বের কোনো ঝামেলা থাকলে অন্য কোনো কারণে হতে পারে। সেটা ব্যাক্তিগত হতে পারে।
এ ঘটনায় রূপচাদের পরিবার ও স্থানীয়দের তরফে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের দিকেই অভিযোগ তুলেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, যারা খুন করেছে তারা শাসক দলের কর্মী। উনি প্রধান হওয়ায় অনেকে মেনে নিতে পারেন নি। ওদিকে, বেসরকারি হাসপাতাল থেকে পঞ্চায়েত প্রধান রূপচাঁদ মন্ডলের মৃতদেহ বারাসাত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে।