ক্য়ানিংয়ে কুকুরের কামড়ে আহত পথ চলতি চারজন। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ক্যানিং থানার তালদি গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজাপুর গ্রামে। বর্তমানে ওই আহত চারজন ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহতরা হলেন কৃষ্ণপদ বৈদ্য, প্রশান্ত কুমার মণ্ডল, সোমনাথ নাইয়া ও বসন্ত মণ্ডল। এই ঘটনার থেকে রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়।
জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে আচমকা একটি কুকুর হানা দেয় পথ চলতি ও দোকানে দাঁড়িয়ে থাকা এমনকি বাড়ির ভিতরে থাকা মানুষজনদের উপর। একসঙ্গে চারজনকে কামড়ে দেয় ওই কুকুরটি। আহত একজন জানিয়েছেন, রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় আচমকা একটি কুকুর ছুটে এসে কামড়ে দেয়। অনুমান করা হচ্ছে ওই কুকুর রাস্তার কুকুর কিংবা পাগলা কুকুর নয়। কোনো বাড়ির পোষ্য় হতে পারে। কারণ ওই কুকুরটির গলায় একটি শিকল দেখতে পাওয়া যায়। কুকুরটি কামড় দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে একটি বাড়িতে ঢুকে গিয়েছিল। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই চারজনকে উদ্ধার করে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়।
পুজোর আর মাত্র ১০ দিন বাকি, অনেকেরই শপিং কমপ্লিট, আবার কারোর এখনও কিছুই হয়তো কেনা হয়নি। তবে পুজোয় জামা-কাপড় কেনা হলেও যতক্ষণ ড্রেসের সঙ্গে ম্যাচ করে জুতো না কেনা হয়, ততক্ষণ যেন শপিং সম্পূর্ণ হয় না। কিন্তু নতুন জুতো (Shoe) মানেই তো, পায়ে ফোসকা (Shoe Bite)। ফলে পুজোর আনন্দের যেন 'পথের কাঁটা' হয়ে দাঁড়ায় এই নতুন জুতোই। কিন্তু আর চিন্তা নেই, এবারে কিছু ঘরোয়া উপায়েই মিলবে এর সুরাহা।
নতুন জুতো পরার আগেই আপনি যদি জুতোতে খানিকটা নারকেল তেল লাগিয়ে রাখেন, তাহলে জুতোর চামড়া নরম হয়ে যায়। ফলে পায়ে ফোসকা পরার আশঙ্কা কমে যায়।
এছাড়াও নতুন জুতো পরার আগের দিন সারা রাত তার ভিতরে পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে রাখতে পারেন। এতেই জুতোর চামড়া নরম হয়ে যায়।
যদি ফোসকা পড়েও যায় তবে অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে রাখতে পারেন। এতে পায়ের ফোসকা খুব তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যাবে।
পায়ের ফোসকা জায়গায় নারকেল তেলও লাগাতে পারেন। এটি জ্বালাভাব কমাতে দারুণ কার্যকর৷
এছাড়াও ফোসকা জায়গায় মধু দিতে পারেন। এতে জ্বালাভাব কমে, তাড়াতাড়ি ক্ষত সারে, দ্রুত দাগও মিলিয়ে যায়।
আবারও চিকিৎসার অভাবে সাপের কামড়ে মৃত্যু হল এক যুবকের। জানা গিয়েছে, নদীয়ার গাংনাপুর থানার অন্তর্গত রানাঘাট ২ নম্বর ব্লকের দেবগ্রাম পঞ্চায়েতের কোড়াবাড়ি বিলপাড়া এলাকার বাসিন্দা বছর ১৮-র ওই যুবক। নাম সায়ন দাস। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
পরিবারের সদস্যরা জানান, বাড়িতে ঘুমন্ত অবস্থায় সাপে কামড়ায় সায়ন দাসকে। ঘটনার পরেই পরিবারের লোকজনকে জানালে তড়িঘড়ি তাঁকে প্রথমে চাকদহ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। দীর্ঘক্ষণ ধরে বিনা চিকিৎসায় হাসপাতালে আটকে রাখার অভিযোগ পরিবারের। এরপর হাসপাতালের তরফ থেকে জানানো হয় চাকদহ হাসপাতালে এন্টিভেনাম বা এভিএস নেই। হাসপাতালের তরফ থেকে অযথা সময় নষ্ট করার অভিযোগ তোলে পরিবার। এরপর হাসপাতাল থেকে স্থানান্তরিত করা হয় কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে। কল্যাণী জে এন এম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে রাস্তাতেই মৃত্যু ঘটে সায়ন দাসের।
সায়ন রানাঘাট কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। জেলার গ্রামীণ হাসপাতালে এন্টিভেনাম বা এবিএস না থাকায় একটি ছাত্রের মৃত্যুতে আবারো প্রশ্ন উঠছে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নিয়ে। গ্রাম অঞ্চলের মানুষের বড় আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সাপের কামড়। সাপের কামড়ে সঠিক চিকিৎসা পেতেই গ্রামের মানুষ ছুটে আসেন গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে। বর্তমান পরিস্থিতিতে চাকদাহের স্টেট জেনারেল হাসপাতালের মত একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অ্যান্টি ভেনাম বা এভিএস না থাকাই আবারও প্রশ্নের মুখে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। আর যার কারণেই মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়তে হলো দ্বিতীয় বর্ষের এক কলেজ ছাত্রকে। ছেলেকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছে গোটা পরিবার।
আবারও চিকিৎসা পরিষেবার অভাবে সাপের কামড়ে মৃত্যু হল এক যুবকের। ঘটনাটি ঘটেছে গাংনাপুর থানার রানাঘাট ২ নাম্বার ব্লকের দেবগ্রাম পঞ্চায়েতের কোড়াবাড়ি বিলপাড়া এলাকায়। জানা গিয়েছে মৃত যুবকের নাম, সায়ন দাস (১৮)। দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। এই ঘটনাকে ঘিরে রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ বাড়িতে ঘুমন্ত অবস্থায় সাপে কামড়ায় সায়ন দাসকে। এরপর পরিবারের লোকজনকে জানালে তড়িঘড়ি তাঁকে প্রথমে চাকদহ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। দীর্ঘক্ষণ ধরে হাসপাতালে আটকে রাখার পর হাসপাতালের তরফ থেকে জানানো হয় চাকদহ হাসপাতালে এন্টিভেনাম বা এভিএস নেই। অযথা এই সময় নষ্ট করার অভিযোগ ওঠে হাসপাতালের বিরুদ্ধে পরিবারের।
এরপর চাকদহ হাসপাতাল থেকে স্থানান্তরিত করা হয় কল্যাণী জি.এন.এম হাসপাতালে। কল্যাণী জি.এন.এম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে রাস্তাতেই মৃত্যু ঘটে সায়ন দাস নামে ওই যুবকের। জেলার গ্রামীণ হাসপাতালে এন্টিভেনাম বা এভিএস না থাকায় একটি ছাত্রের মৃত্যুতে আবারো প্রশ্ন উঠছে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নিয়ে।
গ্রামাঞ্চলের মানুষের বড় আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সাপের কামড়। সাপের কামড়ে সঠিক চিকিৎসা পেতেই গ্রামের মানুষ ছুটে আসেন গ্রামীন স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে। আর সেখানে এসে যদি যথাযথ চিকিৎসা না পাওয়া যায় তবে কি হবে সাধারণ মাানুষের..?
বর্তমান পরিস্থিতিতে চাকদহের স্টেট জেনারেল হাসপাতালের মত একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অ্যান্টিভেনাম বা এভিএস না থাকায় আবারও প্রশ্নের মুখে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। আর যার কারণেই অকালে মৃত্য়ুবরণ করতে হল দ্বিতীয় বর্ষের এক কলেজ ছাত্রের। একমাত্র পুত্রকে হারিয়ে পুত্রশোকে গোটা পরিবার।
এবার পথ কুকুরদের জন্য (Dog) আতঙ্ক ছড়াল হুগলির (Hooghly) আরামবাগে। বুধবার, আরামবাগ থানার সামনে এক মহিলা পুলিস কর্মী সহ সাত জনকে একটি কুকুর কামড় (Bite) দেয়। কুকুরের কামড়ে আহতদের চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে আরামবাগ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। যার জেরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে হঠাৎ করেই একটি কুকুর আরামবাগ থানার সামনে ঘোরাঘুরি করতে থাকে। সেই সময় রাস্তার পথ চলতি মানুষ ও থানার পুলিস কর্মীদের দেখে তেড়ে যায় কুকুরটি। বেশ কয়েকজনকে কামড়ও বসিয়ে দেয় ওই কুকুরটি। কুকুরের কামড়ে জখম হয় সাত জন। তাঁদের মধ্যে একজন মহিলা পুলিস কর্মীও রয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই পুলিসকর্মী থানা থেকে বাইরে বেরিয়ে ছিলেন। তখনই ওই কুকুরটি দেখে ছুটে গিয়ে কামড় দেয় ওই মহিলা পুলিস কর্মীকে। পাশাপাশি রাস্তার পথ চলতি মানুষদের দেখে ছুটে যায় কুকুরটি। কামড় দেয় আরও ছয় জন পথ চলতি মানুষকেও।
কুকুরের কামড় থেকে বাঁচতে এখন রাস্তায় লাঠি হাতে বেরোতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। যদিও ওই কুকুরটিকে ধরতে পারেনি কেউ। বর্তমানে কুকুরের কামড়ে জখমরা আরামবাগ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
এক চমকে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে রাজস্থানের (Rajastha) মেহরানগড়ে (Mehrangarh)। এক ব্যক্তিকে সাপ (Snake) কামড়ানোর পর ফের তাঁকে খেতে হল একই প্রজাতির সাপের কামড়। প্রথমবার কামড় খেয়ে বেঁচে গেলেও দ্বিতীয়বার রক্ষা পেলেন না তিনি। দ্বিতীয়বার সাপের কামড়ে প্রাণ হারান সেই ব্যক্তি। এমনটা হয়তো এর আগে দেখা যায়নি। ফলে এটি একেবারেই অবাক করা ঘটনা।
সূত্রের খবর, রাজস্থানের ৪৪ বছর বয়সী জাসাব খানকে ২০ জুন একটি সাপ কামড়েছিল। তারপর তাঁকে দ্রুত পোখরানের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনকই ছিল। কিন্তু চার দিন চিকিৎসার পর তিনি সুস্থ হন ও বাড়িতে ফিরে আসেন। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। প্রথমবার সাপ কামড়ানোর ৫ দিনের মধ্যে একই প্রজাতির সাপ সেই ব্যক্তিকে দ্বিতীয়বার কামড়ায়। প্রথমবার সাপটি জাসাবের বাঁ পায়ে কামড়েছিল ও দ্বিতীয়বার ডান পায়ে। জানা গিয়েছে, যে প্রজাতির সাপ তাঁকে কামড়েছিল, সেটি সেখানে 'বান্দি' নামে পরিচিত।
জাসাবের মৃত্যু নিয়ে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, প্রথমবার সাপের কামড়ে বেঁচে গেলেও তিনি পুরোপুরি সুস্থ হননি। ফলে দ্বিতীয়বার ফের সাপ কামড়াতেই তখন তাঁর শরীর সাপের বিষ আর সহ্য করতে পারেনি। যার ফলে মৃত্যু হয় তাঁর। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ভানিয়ানা পুলিস।
বিষধর সাপের কামড়ে (Snake Bite) গুরুতর অসুস্থ হলেন এক গৃহবধূ। বধূকে আনা হয়েছে মালদা (Malda) মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। পাশাপাশি সাপটিকেও কলসিতে বন্ধ করে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (Hospital) নিয়ে আসা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে মালদা জেলার মোথাবাড়ি থানার হামিদপুর চর এলাকায়। সাপটিকে ঘিরে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে। জানা গিয়েছে, অসুস্থ ওই গৃহবধূর বয়স ১৯ বছর। ওই মহিলার স্বামী নয়ণ মণ্ডল।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, অন্যদিনের মতোই বাড়ির কাজ করছিলেন ওই গৃহবধূ। কাজ করার সময়ই গৃহবধূর ডান পায়ে চন্দ্রবোড়া নামক একটি বিষধর সাপ কামড় দেয়। গৃহবধূর চিৎকারে পরিবারের বাকি সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। ঘটনাস্থলে এসে সাপটিকে দেখতে পায় তাঁরা। তারপরেই সাপটিকে কোনওক্রমে ধরে কলসির ভিতরে বন্ধ করে রাখা হয়। পরে ওই গৃহবধূর সঙ্গেই সাপটিকে নিয়ে আসা হয় মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
বর্তমানে গৃহবধূ মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন, বলে পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে।
ফের কুকুরের হামলায় (Dog Attack) মৃত্যু (Death) হল ন’বছরের এক শিশুর। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) মহারাজগঞ্জে। একটি মাঠ থেকে শিশুটির ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়েছে। বাড়ি থেকে ২০০ মিটার দূরে দেহটি উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে হাজির হয়েছিল পুলিস (Police)। ওই শিশুর দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিস। জানা গিয়েছে, মৃত শিশুটির নাম আদর্শ শর্মা। মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন ছিল আদর্শ। আরও জানা যায়, দু’দিন আগেই ছত্তীসগঢ়ে কুকুরের হামলায় মৃত্যু হয়েছিল পাঁচ বছরের এক শিশুর। সেই ঘটনারই আবার পুনরাবৃত্তি ঘটল।
পুলিস সূত্রে খবর, ওই শিশুটি সোমবার সন্ধ্যা থেকেই নিখোঁজ ছিল। বাড়ি থেকে রাস্তায় বেরোতেই শিশুটিকে ঘিরে ধরেছিল এক দল কুকুর। তারপরই তাকে টানতে টানতে নিয়ে যায়। তারপরে একটি মাঠের মধ্যে থেকে শিশুটির দেহ উদ্ধার হয়। মহারাজগঞ্জের ডেপুটি পুলিস সুপার অনুজ সিং জানিয়েছেন, শিশুটির সারা শরীরে কামড়ের দাগ ছিল। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই পুরো ঘটনার তদন্ত করছে পুলিস।
বাবার (Father) কাছে তাঁর মেয়ে (Daughter) সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। মেয়ের জন্য বাবা নিজের প্রাণ দিতেও দ্বিতীয়বার ভাবেন না। আর তা আরেকবার প্রমাণ করে দিল সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) ভাইরাল (Viral) হওয়া একটি খবর। দু’বছরের শিশুকন্যাকে বিষধর সাপের ছোবল থেকে বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়লেন বাবা। সাপের ছোবল গিয়ে লেগেছে তাঁর হাতে। যদিও ছোবল তেমন জোরদার ছিল না। তাই অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেলেন বাবা।
ঘটনাটি ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ায়। বর্তমানে বাবা মেয়ের এই কাহিনি ঘুরপাক খাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন পেজে। সকলেই মেয়ের প্রতি বাবার ভালোবাসার প্রশংসা করেছেন। নেটপাটায় বেশ চর্চায় রয়েছে ঘটনাটি। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতেই জানা গিয়েছে, অ্যাডিলেডের বাসিন্দা জেক কুম্বে ঘটনার দিন সপরিবার ঘুরতে বেরিয়েছিলেন। বাড়ি ফেরার পর গ্যারাজের দরজা খোলা আছে দেখে তাঁর সন্দেহ হয়। গিয়ে দেখেন, এক বিষাক্ত ইস্টার্ন ব্রাউন সাপ ফণা তুলে বসে। তার ঠিক মুখোমুখি জেকের ২ বছরের শিশুকন্যা অ্যালবা।
এদিক-ওদিক কিছু না ভেবে মেয়েকা বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তখনই সাপটি ছোবল মারতে যাচ্ছিল মেয়েকে। সেই ছোবল তাঁর হাতে লাগে। এক রাত হাসপাতালে ছিলেন। তবে বর্তমানে তিনি সুস্থ রয়েছেন।
পাগল কুকুরের (Stray Dog) আতঙ্কে ঘুম উড়েছে এলাকাবাসীর। বাচ্চা থেকে বুড়ো কেউ রেহাই পাচ্ছেন না। ইতিমধ্য়ে ওই কুকুরের কামড়ে জখম কমবেশি ৭০ জন। বর্তমানে পরিস্থিতি এমন যে, বাড়ি থেকে বের হতেই ভয় পাচ্ছেন লোকজন। সেই ‘পাগলা’ কুকুরের হদিশে পথে নেমেছে পুলিস বাহিনী। শহরের বিভিন্ন জায়গায় রাতে মোতায়েন করা হচ্ছে অতিরিক্ত পুলিস। কুকুরের তাণ্ডব থেকে রক্ষা করার জন্যই এই পদক্ষেপ। সবমিলিয়ে, আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে বিহারের (Bihar) আরা শহরে।
পুলিস সূত্রে খবর, শিবগঞ্জ, শীতলাতলা, মহাদেব রোড এবং সদর হাসপাতাল এলাকায় ৭০ জনকে কামড়েছে সেই কুকুর। কামড় বসিয়ে ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায় কুকুরটি। তারপর থেকেই আর তার খোঁজ নেই। অন্য কোথাও গিয়ে এই কাণ্ড করছে কিনা, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিস। পাশাপাশি বন দফতরের কর্মী থেকে শুরু করে পুলিস বাহিনী নেমেছে কুকুরটি ধরতে। কিন্তু শুক্রবারও সন্ধান মেলেনি।
কিন্তু আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। সাধারণ মানুষের ভয় দূর করতে গোটা এলাকায় টহল দিচ্ছে পুলিস। জানা গিয়েছে, বন দফতরের কর্মীরা খাঁচা নিয়ে প্রস্তুত। কিন্তু কুকুরের দেখা নেই।
পথকুকুরদের হামলায় অতিষ্ঠ কয়েকজন নানাভাবে বিহিত চান। পথকুকুরদের কামড়ানোর ঘটনা নিয়ে মামলাও কম হয়নি। একাধিক জায়গায় মালিককে কড়া জরিমানার মুখে পড়তে হয়েছে। এবার ফের কেরলে পথকুকুরের আক্রমণে আহত হলেন ৭ জন। আহতদের মধ্যে রয়েছে ১২ বছরের এক কিশোরী। ঘটনাটি ঘটেছে নতুন বছরের শুরুতে রবিবার কোল্লামে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সেখানকার এক মন্দিরের সামনে কুকুরদের আক্রমণের মুখে পড়েন ৭ জন। ৩১ শে ডিসেম্বর ও ১লা জানুয়ারি এই দু’দিন কোল্লামের শ্রীধর্ম শাস্তা মন্দিরে ভক্তদের ঢল নেমেছিল। পুলিস জানিয়েছে, রবিবার বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ মন্দিরের সামনে ওই পুণ্যার্থীদের উপর চড়াও হয় কুকুরটি। ওই ৭ জন ভক্ত অন্য রাজ্যের বাসিন্দা। ১২ বছরের কিশোরী-সহ বাকি ভক্তদের কুলাথুপুজা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয়। মেয়েটির নাম অভিরামি। আহতদের মধ্যে দুজনের আঘাত গুরুতর। তাঁদের পুনালুর তালুক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, মন্দিরে পুজো দিতে যাওয়া ভক্তদের দিকে যখন কুকুরটি ছুটে যায়। তখন নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিসকর্মীরা পুণ্যার্থীদের বাঁচাতে ছুটে যান। উল্টে তাঁদের দিকেও তাড়া করে পথকুকুর।
বড়দিনের (Christmas Day) আনন্দে মেতে উঠেছিল গোটা আমেরিকাবাসী (America)। প্রায় সকলের ঘরে ঘরে বেজে উঠেছিল ক্রিসমাসের গান। তার মধ্যেই সতর্কবার্তা দিল ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস (NSW)। তাপমাত্রা ক্রমশ কমছে আমেরিকায়। সপ্তাহ শেষে আরও নামতে চলেছে তাপমাত্রার পারদ। এমনকি বরফঝড়ের সম্ভাবনার কথাও বলেছে ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস।
উল্লেখ্য, দেশের কিছু অংশে তাপমাত্রা -৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তারও নিচে নামতে পারে। তাপমাত্রার রেকর্ড পতন হবে আমেরিকা-মেক্সিকো সীমান্ত, ফ্লোরিডায়। ইতিমধ্যে দুর্যোগ পরিস্থিতির কারণে কয়েক হাজার বিমান বাতিল করা হয়েছে। আবহাওয়াবিদদের মতে, সপ্তাহান্তে আমেরিকাবাসীকে সব থেকে বিপাকে ফেলবে ফ্রস্টবাইট।
ডেস মোয়ানস, আইওয়া শহরে একপ্রকার অসম্ভব হয়ে পড়বে বাড়ির বাইরে বেরোনো। এতটা তাপমাত্রার পতনের কারণে রক্ত চলাচল কমে যেতে পারে। বিশেষত নাক, গাল, পা এবং হাতের আঙুলে। এরফলে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার আমেরিকায় শৈত্যঝড় ‘বম্ব সাইক্লোন’-এ পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে তীব্র বেগে ঠান্ডা হাওয়া বইবে। ইতিমধ্যে মিনিয়াপোলিস, শিকাগো, কানসাস সিটি, সেন্ট লুই, ইন্ডিয়ানাপোলিস, ক্লিভল্যান্ড, ডেট্রয়েটে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তার মধ্যে মিনিয়াপোলিস, শিকাগো এবং উত্তর ও পশ্চিম মিশিগানে তুষারঝড়ের পূর্বাভাসও রয়েছে। ঘণ্টায় ঝড়ের গতি হতে পারে প্রায় ৫৭ কিলোমিটার।
এ যুগেও কুসংস্কার (superstition)? এখনও বিশ্বাস ঝাড়ফুকে? হ্যাঁ, এখনও কুসংস্কারে ভরা মানুষের মন। সাপের (snake) কামড়ে রোগীর হাসপাতালে (hospital) মৃত্যুর পর নিয়ে যাওয়া হয় ওঝার কাছে। আর সেই মৃতদেহ ফেলে রেখেই চলে ছাত্রের ঝাড়ফুঁক। মালদহ (Maldah) থানার চর কাদিরপুরে নালাগোলা রাজ্য সড়কের ধারে চলেছে ঝাড়ফুঁক।
জানা গিয়েছে, প্রথমে সাপে কামড়ানো রোগীকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানেই রোগীর মৃত্যু হয়, এরপর হাসপাতাল থেকে বাড়িতে এনে চলে ঝাড়ফুঁক। স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত ছাত্রের নাম মিঠুন মণ্ডল। রবিবার তাকে সাপে কামড়ায়। এরপর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তবে এরপরই এক অভূত কাণ্ড। পরিবারের সদস্যরা হাসপাতাল থেকে বাড়িতে এসে ওঝা এবং গুনিন ডাকে। এরপরই চলে মৃতদেহ ফেলে রেখে ঝাড়ফুঁক। খবর পেয়ে মালদহ থানার পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পুলিস মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।