তাপমাত্রার পারদ যেন বেড়েই চলেছে। আগামী তিনদিনে আরও বৃদ্ধি পেতে চলেছে রাজ্যের তাপমাত্রা। এপ্রিল মাসে স্বস্তি নেই। তীব্র দাবদাহে জ্বলবে দক্ষিণবঙ্গ। বাদ যাবে না উত্তরবঙ্গ। সপ্তাহজুড়ে চলবে তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা। এমনটাই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী তিন দিন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে ২ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দক্ষিণবঙ্গে ২-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়বে তাপমাত্রা। কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই তাপপ্রবাহের কমলা সতর্কবার্তা। বৃহস্পতি ও শুক্রবার চরম তাপপ্রবাহের লাল সতর্কবার্তা থাকবে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম বর্ধমান এবং বাঁকুড়া এই পাঁচ জেলাতে। চরম তাপপ্রবাহের কমলা সতর্কবার্তা বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কিছু অংশে। বেলা বাড়লে জেলাগুলিতে রীতিমতো লু বইবার সম্ভাবনা।
অন্য়দিকে উত্তরবঙ্গের নিচের দিকে জেলাগুলিতেও চলবে তাপপ্রবাহ। এক থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বাড়বে। নিচের দিকে তিন জেলাতে গরম ও অস্বস্তি বাড়বে। মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাতেও থাকবে তাপপ্রবাহ। আগামী শুক্রবার থেকে মালদহ ও দক্ষিণ দিনাজপুরে তাপপ্রবাহের কমলা সতর্কবার্তা। হলুদ সতর্কবার্তা শুধু উত্তর দিনাজপুরে।
বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১° সেলসিয়াস আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৮° সেলসিয়াসের কাছাকাছি। তাপপ্রবাহের সঙ্গে শুকনো গরম ও অস্বস্তি পরিস্থিতি থাকবে। আরও বাড়বে তাপমাত্রা। বেলা বাড়লে মিলবে গরম হাওয়ার দাপট। উইকেন্ডে চরমে উঠবে আবহাওয়া, আশঙ্কা আবহবিদদের।
সোমবার এসএসসির রায় বেরোনোর পর, মঙ্গলবার বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হয় নিয়োগ দুর্নীতি মামলার অভিযুক্তদের জামিন মামলার। শুনানিতে মুখ্য সচিবের ওপর চরম ক্ষোভপ্রকাশ করেন বিচারপতি বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ। ২ বছর আগে তদন্তকারী সংস্থা মুখ্যসচিবের কাছ থেকে অনুমোদন পত্র চেয়েছে। কিন্তু তা জমা তো পড়েনি, এমনকি অনুমোদন পত্র দেওয়া বা না দেওয়ার সিদ্ধান্তও জানানো সম্ভব হয়নি মুখ্যসচিবের।
যদিও শুনানিতে রাজ্যের আইনজীবী কিশোর দত্ত জানান, নির্বাচনের জন্য কমিশনের নিয়মাবলীর মধ্যে বিষয়টি পড়ে যাওয়ায় মুখ্যসচিব অনুমোদন পত্র তৈরি করতে পারেননি। ক্ষুব্ধ বিচারপতি বাগচী জানান, দেড় মাসে মুখ্যসচিবের একটা অনুমোদন পত্র তৈরি করার সময় হচ্ছে না! নির্বাচন কমিশনের নিশ্চই নির্বাচনে নির্দিষ্ট ভূমিকা আছে। তবে আদালত তো নির্বাচন সংক্রান্ত ব্যাপারে কিছু করতে বলছে না। তাহলে সমস্যা কোথায়? বিচারপতির আরও মন্তব্য, রাজ্যের একজন উচ্চপদস্থ অফিসার এভাবে যুক্তি দেখিয়ে নিজের দায় এড়াচ্ছেন? আজ বলছেন নির্বাচন কাল বলবেন অন্য কাজ আছে। ক্রিমিনাল কোর্টের এত সময় কোথায়? সিবিআইয়ের আইনজীবী ধীরাজ ত্রিবেদীও জানান, অনুমোদন পত্র পেলেই আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করবো। নিয়মের বন্ধনে আমাদের হাত বাঁধা। ট্রায়ালও চলছে শ্লথ গতিতে।
দীর্ঘ শুনানির পর বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, মুখ্যসচিব এর হলফনামায় খুশি নয় কলকাতা হাইকোর্ট। মুখ্যসচিবকে অবিলম্বে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আদালত দশদিন সময় দিল। তারপরেও যদি মুখ্য সচিব অনুমোদন পত্র না জমা দেন, সেক্ষেত্রে রুল ইস্যুর হুঁশিয়ারিও দেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চ। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২ মে।
বাড়ির বাইরে বেরোলেই তীব্র গরমে জ্বলে পুড়ে যাচ্ছে গা। ক্রমশ তাপমাত্রা যেন বেড়েই চলছে। সকাল হতেই দেখা মিলছে চাঁদিফাটা রোদ। আগামী বুধবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা। ছয় জেলায় চলবে চরম তাপপ্রবাহ। সেই সঙ্গে বইবে লু। তাই তীব্র তাপপ্রবাহের জেরে লাল সতর্কবার্তা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুুযায়ী, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূমে চরম তাপপ্রবাহের লাল সতর্কবার্তা জারি থাকবে রবিবার পর্যন্ত। ইতিমধ্য়ে ৪০ ডিগ্রি পেরিয়েছে কলকাতার তাপমাত্রা। স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে গিয়েছে। শুষ্ক পশ্চিমী হাওয়ায় গরম বাড়বে পশ্চিমের জেলায়। আগামীকাল, রবিবার আরও বাড়তে পারে তাপমাত্রা। শনিবার গরম ও অস্বস্তিতে কাটবে সারাদিন।
শনিবার কলকাতায় সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যেতে পারে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি বেশি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ২২ থেকে ৮৬ শতাংশ।
আজ থেকে শুরু হয়েছে লোকসভা নির্বাচন। প্রথম দফায় ভোটগ্রহণ চলবে জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে। যদিও দক্ষিণবঙ্গের তুলনায় উত্তরবঙ্গে গরমের মাত্রা অপেক্ষাকৃত কম। উত্তরে সামান্য় বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও দক্ষিণে নেই কোনও বৃষ্টির পূর্বাভাস। তাই দক্ষিণবঙ্গে আপাতত তীব্র দাবদহ সহ অস্বস্তিকর আবহাওয়া বজায় থাকবে।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গে ক্রমশ তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে বাড়বে আরও গরম। আগামী রবিবার পর্যন্ত তীব্র দাবদহে জ্বলবে দক্ষিণবঙ্গ। অন্য়দিকে বৃষ্টিতে ভিজবে উত্তরবঙ্গের উপরের পাঁচ জেলা। ভোটের আবহে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলেও, বৃৃৃষ্টিতে সামান্য় স্বস্তি পাবে মানুষ। তবে বৃষ্টিপাত হলেও এখনই গরমের হাত কিন্তু রেহাই পাবে না উত্তরবঙ্গবাসী। এমনটাই পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহওয়া দফতর। দার্জিলিং ,কালিম্পং ও জলপাইগুড়ি জেলাতে বজবিদ্যুৎসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। পাশাপাশি ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে দমকা ঝোড়ো হাওয়া।
বেঙ্গালুরু ক্যাফে বিস্ফোরণকাণ্ডে এনআইএ-এর হাতে গ্রেফতার দুই অভিযুক্ত। পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের। জানা গিয়েছে, ক্যাফে বিস্ফোরণকাণ্ডে ধৃত মুসাভির হোসেন শাজিব এবং আব্দুল মাথিন তাহা ভুয়ো পরিচয় নিয়ে দীঘায় আত্মগোপন করেছিল। ক্যাফের নিরাপত্তারক্ষাকারী জানান, মালিক গোটা বিষয়টি জানেন। সিসিটিভি ফুটেজও রয়েছে। যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও তথ্য় পাওয়া যায়নি ওই দুই অভিযুক্তের কাছ থেকে।
সূত্রের খবর, ধৃত আব্দুল মাথিন তাহা এবং মুসাভির হোসেন শাজিব দুই অভিযুক্ত ঊষা শাহানুর এবং আনমোল কুলকার্নি নামে আত্মগোপন করেছিল দীঘার একটি হোটেলে। সেখানে থেকে দার্জিলিংয়ে গিয়ে পর্যটক পরিচয়ে আত্মগোপন করেছিল তারা। এরপর দার্জিলিং থেকে কলকাতায় এসে গা ঢাকা দিয়েছিল। কলকাতার লেনিন সরণীর একটি হোটেলে উঠেছিল। কলকাতা থেকে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে আত্মগোপন করছিল। এমনকি ভিন্ন নাম দিয়ে ভুয়ো আধারকার্ড বানিয়েছিলেন তারা।
এরপর পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি থেকে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-র হাতে গ্রেফতার হয় ওই দুই জঙ্গি। হোটেল কর্তৃপক্ষের দাবি, সবরকম নিয়ম তাঁরা মেনেই চলেন। তারপরেও কীভাবে এই দুই জঙ্গি এখানে এসে থাকল সে নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
বেঙ্গালুরু ক্যাফে বিস্ফোরণকাণ্ডের ঘটনায় অভিযুক্ত দুইজনকে গ্রেফতার করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। আব্দুল মাথিন তাহা এবং মুসাভির হোসেন শাজিবকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে দুই সন্দেহভাজনকে। এনআইএ সূ্ত্রের খবর, আইডি বিস্ফোরণ কাণ্ডে ঘনিষ্ঠভাবেই যুক্ত ছিল আব্দুল এবং মুসাভির।
উল্লেখ্য, গত ১ মার্চ বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফেতে যে আইইডি বিস্ফোরণ হয়েছিল, তাতে আহত হয়েছিলেন কমপক্ষে ১০ জন। ৩ মার্চ তদন্তভার গ্রহণ করে এনআইএ। কিন্তু কারা এই আব্দুল মাথিন এবং মুসাভির হোসেন? কীভাবে তারা জড়িয়ে পড়লেন এই কর্মকাণ্ডের সঙ্গে? এইবারই প্রথম নয় এরআগেও এই দুইজনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মের অভিযোগ উঠেছিল। যেহেতু ঘটনাটি আইডি বিস্ফোরণের, ফলে এই ঘটনার সঙ্গে জঙ্গি সংগঠনের যোগ থাকবে সেটাই অনুমান করেছিলেন জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণ কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত মুজ়াম্মিল শরিফকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল।
এনআইএ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত দুইজনের বিরুদ্ধেই ২০২০ সালে সন্ত্রাসের মামলা রয়েছে। মাথিন ও মুসাভির ছন্দনাম নিয়ে আত্মগোপন করেছিল। এই দুই সন্দেহভাজনের হদিশ পেতে পুরস্কারও ঘোষণা করা হয় এনআইএ-র পক্ষ থেকে। শুক্রবার ভোরে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ পুলিসের পাশাপাশি তেলেঙ্গানা, কেরল এবং কর্নাটকের পুলিসও ছিল এই অভিযানে।
প্রস্তুতি তুঙ্গে। বৃহস্পতিবার খুশির ইদ। এদিকে আবহাওয়ার ভাব গতি বোঝা বেশ কঠিন। কখনও চড়া রোদ-গরম, আবার কখনও বৃষ্টি। বুধবার ফের একবার চড়ছে তাপমাত্রার পারদ। তবে ইদের দিন রাজ্যের সমস্ত জেলাতে কমবেশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলাতেই হতে পারে বৃষ্টিপাত।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বুধ ও বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারের কোনও কোনও জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টি হতে পারে। এই সময় উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর ও মালদহ জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। তবে বৃহস্পতিবার এই জেলাগুলিতে ঘন্টায় ৩০-৪০ কিমি বেগে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে। শুক্রবার ও শনিবার দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি ও কালিম্পং-এ হালকা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া এই সময় বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকতে চলেছে বলে পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে আরও খবর, বুধবার উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরের কোনও কোনও জায়গায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে। বৃহস্পতিবারও উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও পশ্চিম বর্ধমানের কোনও কোনও জায়গায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। শুক্রবার ও শনিবার উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরে হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, কলকাতার আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৬ ও ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। বুধবার সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি বেশি। মঙ্গলবার যা ছিল ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৮৪ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৩৫ শতাংশ।
একদিকে যখন শিক্ষামন্ত্রীকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরানোর সুপারিশ করল রাজ্যপাল, অন্যদিকে তখন বিবৃতি-পাল্টা বিবৃতিতে রাজ্য-রাজভবন সংঘাত চরমে। সম্প্রতি গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যকরী উপাচার্য রজত কিশোর দে-কে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেন রাজ্যপাল। যা নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়। মূলত সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে রাজভবন। যেখানে স্পষ্ট বলা হয়, রাজ্য সরকারের উচ্চশিক্ষা দফতরের বেআইনি আদেশে যে সকল উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ স্তব্ধ করে করে রেখেছেন, আচার্য তাঁদের সতর্ক করছেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ‘ক্ষমতা কুক্ষিগত’ করতে চাইছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে সেখানে।
রাজভবনের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, উপাচার্যেরা যে সব নির্দেশ দিয়েছিলেন, আচার্য তা ক্ষমতাবলে রদ করে দিচ্ছেন। এ নিয়ে অবশ্য টুইট কটাক্ষ করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এরপরেই রাজ্যপাল বৃহস্পতিবার রাজ্যকে সুপারিশ করে নির্বাচনী আইন বিধি লঙ্ঘন করার জন্য ব্রাত্য বসুকে যেন শিক্ষামন্ত্রী পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। যদিও তা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি শিক্ষামন্ত্রী।
শিক্ষামন্ত্রী টুইটে কটাক্ষ করে লেখেন, ‘‘আমি রাষ্ট্রপতির কাছে যদি রাজ্যপালকে সরানোর সুপারিশ করতাম, তা হলে সেটা যেমন হাস্যকর হত, এটাও ঠিক তেমনই। আমি কোনও নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করে থাকলে তা কমিশনের নজরে আনার অধিকার রয়েছে রাজনৈতিক দলের। ভারতের সংবিধান অনুযায়ী কোনও রাজ্যের মন্ত্রীর অপসারণ বা নিয়োগের সুপারিশ করতে পারেন একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু রাজ্যপাল এমন অভিযোগ তুলে নিজের সাংবিধানিক পদের অপব্যবহার করছেন। নিজের রাজনৈতিক পরিচয়ও প্রকাশ্যে এনেছেন। নিজের সাংবিধানিক সীমাও লঙ্ঘন করেছেন।’’
তীব্র তাপপ্রবাহে জেরবার আমজনতা। যত বেলা বাড়ছে তত যেন গরম ও অস্বস্তিকর আবহাওয়া অনুভূত হচ্ছে। আবহাওয়া দফতরের তরফে আপাতত শনিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের অন্তত নটি জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে। পাশাপাশি সুখবরও শোনাল মৌসম ভবন। জানা গিয়েছে, দিন কয়েক গরম থাকলেও সপ্তাহান্তে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা গোটা রাজ্যে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার কলকাতা ও আশপাশের এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। অন্যদিকে পশ্চিমের জেলাগুলি যা ছিল ৩৮-৪০ ডিগ্রির মধ্যে। মুর্শিদাবাদের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯ ডিগ্রির আশপাশে।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, বুধবার ও বৃহস্পতিবার দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং ও আলিপুরদুয়ারের কোনও কোনও জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে। শুক্রবার নাগাদ উল্লিখিত জেলাগুলি ছাড়াও কোচবিহার ও উত্তর দিনাজপুরের কোথাও কোথাও হালকা বৃষ্টি হতে পারে। ওইদিন দক্ষিণ দিনাজপুর ও মালদহ জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে বলে পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের।
আবহাওয়া দফতর আরও জানিয়েছে, বুধবার ও বৃহস্পতিবার সাধারণভাবে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকতে চলেছে। শুক্রবার, পাঁচ এপ্রিল দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরের কোনও কোনও জায়গায় হাল্কা বৃষ্টি হতে পারে। ওই দিন বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে বলে পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, কলকাতায় আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকবে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৭ ও ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। বুধবার সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি বেশি। মঙ্গলবার যা ছিল ২৮.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৯১ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৩০ শতাংশ।
সকাল থেকে রৌদ্রজ্জ্বল আকাশ। সঙ্গে ঊর্ধ্বমুখী তাপমাত্রার পারদ। এখনই ৪০ ছুঁইছুঁই। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি। যার জেরে চৈত্র মাসেই তীব্র দাহদহে নাজেহাল হচ্ছে গোটা বাংলা। দিনে দিনে আরও বাড়বে উষ্ণতা। এমনটাই আভাস আবহাওয়া দফতরের।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী কয়েকদিনর মধ্য়েই বইতে পারে লু। আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার থেকে তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা রয়েছে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলায়। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে ইতিমধ্য়ে শুরু হয়েছে তীব্র গরম ও অস্বস্তিকর আবহাওয়া। ক্রমশ আরও বাড়তে তাপমাত্রা। আপাতত দক্ষিণবঙ্গে ক্ষেত্রে কোনও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা না থাকায়, শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে।
অন্য়দিকে এদিন উত্তরবঙ্গে থাকছে বজ্রবিদুৎ সহ বৃষ্টির আশঙ্কা। সেই সঙ্গে বইতে পারে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে দমকা ঝড়ো হাওয়া। এদিন বজ্রবিদুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে কালিম্পং এবং জলপাইগুড়ি জেলায়।
মঙ্গলবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকবে। গতকাল অর্থাৎ সোমবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি।
সকাল থেকেই রোদের দাপট কলকাতা সহ বিভিন্ন জেলায়। তবে বিকেল বা সন্ধের পর বদলাতে পারে আবহাওয়া। তবে দিন ও রাতের তাপমাত্রা বেশ কিছুটা বাড়বে। আগামী দু-তিন দিনে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এদিন ও শুক্রবার বীরভূম ও মুর্শিদাবাদে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে। শনিবার নাগাদ উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, কলকাতা, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ার কোনও কোনও জায়গায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে। শনিবার উল্লিখিত জেলাগুলিতে ঘন্টায় ৩০-৪০ কিমি বেগে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে। রবিবার দক্ষিণবঙ্গের সবকটি জেলারই কোথাও না কোথাও হালকা বৃষ্টি হতে পারে।
অন্যদিকে উওরবঙ্গের ক্ষেত্রে, বৃহস্পতিবার দার্জিলিং, কালিম্পং ও আলিপুরদুয়ারে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। তবে বিক্ষিপ্তভাবে মালদহ ও দিনাজপুরেও বিক্ষিপ্ত ভাবে দু এক জায়গায় বৃষ্টির সম্ভাবনা। বৃষ্টির সঙ্গে হালকা ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে। বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাতের আশঙ্কা।
মৌসম ভবন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতার আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৫ ও ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। বৃহস্পতিবার সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে দুই ডিগ্রি বেশি। বুধবার যা ছিল ২৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৯১ শতাংশ এবং ৫৪ শতাংশ।
বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ। বুধবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বেড়েছে তিন ডিগ্রির বেশি। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় কমবেশি একই পরিস্থিতি। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি ছাড়াও দক্ষিণবঙ্গে বিকেল কিংবা সন্ধের দিকে দমকা হাওয়ার সঙ্গে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। এটাই মার্চ-এপ্রিল মাসের স্বাভাবিক নিয়ম বলেও জানিয়েছেন আবহবিদরা।
এই সপ্তাহের মধ্যে কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যেতে পারে। অন্যদিকে পশ্চিমের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে ৩৮ ডিগ্রি। সপ্তাহের শেষের দিকে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও বীরভূমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছুঁতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বুধবার উত্তরবঙ্গের উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহ জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। এছাড়া উপরের বাকি পাঁচ জেলার কোথাও কোথাও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টি হতে পারে। পরবর্তী ২৪ ঘন্টা অর্থাৎ বৃহস্পতিবারের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলাা হয়েছে, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলার কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া নিচের তিন জেলায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবার ও শনিবারও একই পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে। পাশাপাশি এদিন দক্ষিণবঙ্গের সবকটি জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। বৃহস্পতিবারের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ার কোথাও কোথাও হালকা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে। শুক্রবারেও একই পরিস্থিতি তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, বুধবার কলকাতার আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৫ ও ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। বুধবার সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি বেশি। মঙ্গলবার যা ছিল ২২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৯২ শতাংশ এবং ৫৩ শতাংশ। গত ২৪ ঘন্টায় কলকাতায় বৃষ্টি হয়নি।
প্রসূন গুপ্তঃ ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্যের কিংবা লোকসভা ভোটে প্রচারের নানান রূপ দেখা যায়। পন্ডিত নেহেরু অবিশ্যি এসবে বিশ্বাস করতেন না, কিন্তু ইন্দিরা গান্ধী ভোট প্রচারে গেলে সারা দেশ জুড়ে তাঁকে ঘুরতে হত এবং একেকটি রাজ্যে গেলে পারদপক্ষে সেখানকার পোশাক (অবশ্যই শাড়ি) পড়তে দেখা যেত। রাজীব গান্ধীর প্রচারের সময়ে দেখা যেত নিজেই গাড়ি চালিয়ে এক স্থান থেকে অন্য কেন্দ্রে যেতেন। বাংলাতেও তাই দেখা যেত। জ্যোতি বসু অবিশ্যি কটাক্ষ করে বলতেন যে, পাইলট ছিলেন তাই অভ্যাসটি যায়নি, এখনও দেশটিকে এরোপ্লেন বলে মনে করেন। যাই হোক না কেন রাজীব কিন্তু ওসব পরোয়া করেননি। একই অভ্যাস অবশ্যই নরেন্দ্র মোদীরও রয়েছে। আসলে এঁরা যথেষ্ট সুদর্শন, কাজেই সেগুলো তাঁদের ইউএসপি বলেই ধরে নেওয়া হতো বা হয়।
তবে এই রাজ্যে বিভিন্ন পোশাকের বহর প্রথম দেখা গিয়েছিলো সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায়ের মধ্যে। এরপর কমিউনিস্ট সরকারে পোশাক আশাক ইত্যাদি নেতাদের মধ্যে একেবারেই দেখা যায়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবিশ্যি জেলা ভিত্তিক নানান ব্যবহার করেছেন। জঙ্গলমহলে তাঁর সাঁওতালদের সঙ্গে নাচ বা গানে তাঁকে দেখা গিয়েছে। যদিও ভোটের সময়ে মুখ্যমন্ত্রী একেবারেই ভিন্ন মুডে থাকেন। রাজ্য বিজেপিতে ভিন্ন রূপে নেতাদের দেখা গিয়েছে বিস্তর।
এবারের নির্বাচনে দেখা গেল, দোল উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রচারে সবকটি দলই রং খেলায় মেতেছেন। দক্ষিণ কলকাতা, যাদবপুর থেকে হুগলি বা বীরভূম সহ প্রায় প্রতিটি জায়গায় প্রার্থীরা মেতেছিলেন আনন্দ উৎসবে। বাদ নয় সিপিএম প্রার্থীরাও। আজকের প্রচারে কাঠখোট্টা ভাষণে মানুষ বোধহয় আনন্দ পায় না। এখন জমজমাট ভাষণ দিতে পারে হাতে গোনা কয়েকজন মাত্র। সোশ্যাল নেটের যুগে নতুনত্ব আনতেই আজকের রাজনৈতিক দলে সেলিব্রেটিদের আনাগোনা। তাঁরা কোথাও খাবার পরিবেশন করছেন, কোথাও নিজেরাই খেতে বসেছেন। কোথাও পুজোতে খঞ্জনি বাজাচ্ছেন আবার আসন্ন ঈদ উপলক্ষে হাজিরা দিচ্ছেন ইফতারে। করতেই হবে, ভোট যে বড়োই বালাই।
প্রসূন গুপ্ত : সেই কবেই ২০টি আসন ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব এ রাজ্যের জন্য। ইতিমধ্যে আসানসোল কেন্দ্র থেকে প্রার্থী নিজেকে সরিয়ে নিয়েছে অর্থাৎ এখনও ২৩ আসনে প্রার্থী দেওয়া বাকি। ভোট একেবারে শিয়রে, স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে কবে ঠিক হবে?
ইতিমধ্যেই বিজেপির প্রধান বিরোধী রাজ্য প্রশাসন তৃণমূল কংগ্রেস এবং আরও এক বিরোধী বামেরা কিন্তু প্রতিটি কেন্দ্রে প্রচার শুরু করে দিয়েছে। বিশেষ করে তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল ৪২টি কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণা করে, দেওয়াল লিখে প্রার্থীর প্রচার শুরু করে দিয়েছে। পিছিয়ে নেই বামেরা ব্যতিক্রম বিজেপি এবং কংগ্রেস। যদিও বাংলায় কংগ্রেস দু তিনটি কেন্দ্র ছাড়া কোথাও শক্তিশালী নয়। তাদের নিয়ে বিজেপির চিন্তাও নেই কিন্তু প্রার্থী তো দিতে হবে।
সূত্রের খবর বেশ কয়েকটি আসন নিয়ে জটিলতা দেখা গিয়েছে রাজ্য বিজেপিতে। শোনা যাচ্ছে, মেদিনীপুর কেন্দ্রে দিলীপ ঘোষ কে টিকিট দেওয়া নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। এখানে শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ ভারতী ঘোষকে প্রার্থী করতে চাইছে কেন্দ্রীয় কমিটি। দিলীপবাবু কে দুর্গাপুর-বর্ধমান কেন্দ্রে দাঁড়াতে বলা হয়েছে যা ঘোরতর আপত্তি দিলীপের। সংকট রায়গঞ্জ, দার্জিলিং, আসানসোল, দমদম, বারাসত সহ ১০/১২ টি আসনে প্রার্থী ঠিক করাই যাচ্ছে না। অবিশ্যি উত্তর কলকাতা পাচ্ছেন তাপস রায়, ব্যারাকপুর পেতে চলেছেন অর্জুন সিং।
এই রাজ্য ছাড়াও অনন্য রাজ্যও বেশ সমস্যা প্রার্থী নিয়ে। শনিবার বিকেলে অথবা গভীর রাতে অমিত শাহ্ এবং নাড্ডা তৃতীয় বারের জন্য বৈঠকে বসেন শুভেন্দু ও সুকান্ত মজুমদারের সাথে। আশাকরা যাচ্ছে রবিবারের মধ্যে ঠিক হতে পারে। রাজ্যে মূল সমস্যা গোষ্ঠীদন্দ নিয়ে। প্রার্থী ঠিক হলে দ্বিতীয় সংকটও মেটাতে হবে শাহ্কেই।
২০২২ সালের টেটে ১৫ প্রশ্ন ভুলের মামলায় পর্ষদের কাছে হলফনামা তলব কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার। আদালতের নির্দেশ মত, পরবর্তী শুনানিতে পর্ষদকে দিতে হবে রিপোর্ট। আগামী ২ এপ্রিল মামলার পরবর্তী শুনানি।
চাকুরী প্রার্থীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম এদিন আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ১৫ প্রশ্ন ভুল মামলার প্রশ্নগুলো বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে করা হয়ছে বলে জানিয়েছে পর্ষদ।তাই বিশেষজ্ঞদের মতামত পর্ষদকে দিতে হবে। তা না হলে পর্ষদের যুক্তি গ্রাহ্য হবে না।
পর্ষদের আইনজীবী সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বিশেষজ্ঞদের মতামত প্রকাশ্যে আনতে হলে বিশেষজ্ঞদের নাম প্রকাশ করতে পারবে না পর্ষদ।
বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা জানান, প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞদের নাম প্রকাশ না করেও মতামত দেওয়া যায়। তবে পর্ষদের বক্তব্য জানতে চায় আদালত। টেটে প্রশ্নপত্র ভুলের অভিযোগ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে পরীক্ষার্থীরা। বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার এজলাসে আবেদন করেন ৫০০ পরীক্ষার্থী। ২০২২ সালের টেটের প্রশ্নপত্রে ১৫ টি প্রশ্ন ভুল ছিল বলে, অভিযোগ পরীক্ষার্থীদের। যার ফলে বিভ্রান্তি ছড়ায়। প্রশ্ন ভুল নিয়ে পর্ষদকে স্থায়ী সমাধান বের করতে হবে বলে নির্দেশ দেন বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা।
তিনি আরও জানিয়েছিলেন, যদি পর্যদ কোনও সমাধান সূত্র বের করাতে না পারে তাহলে হাইকোর্টই এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে। অবশ্য এই প্রথম নয় আর আগেও হাইকোর্টে টেটের প্রশ্ন ভুলের মামলায় নিজেদের ভুলের কথা স্বীকার করেছিল পর্ষদ। এখন দেখার বিশেষজ্ঞদের মতামত আদালতে দেওয়ার ক্ষেত্রে পর্ষদ কী পদক্ষেপ গ্রহণ করে।