
প্রসূন গুপ্তঃ খুবই দ্রুততার সঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটার দিন ধার্য হয়ে গেলো। সমস্ত ঘটনাটাই নাটকীয় ভাবেই হলো বলেই ধারণা বিশেষজ্ঞ মহলের। সাধারণত এপ্রিলের শেষে বা মে মাসে পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত নির্বাচনগুলি হয়ে থাকে। পঞ্চায়েত ভোটও ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু হচ্ছে হবে নাকি জল মাপছে তৃণমূল, ইত্যাদি জল্পনা ছিল। একই সঙ্গে এমন কথাও শোনা গিয়েছিলো যে তৃণমূলের অবস্থা এখন সুবিধার নয়, কাজেই পুজোর পরে ভোট হতে পারে। সি এন পোর্টালে কিন্তু বহুদিন আগেই জানানো হয়েছিল ভোট হবে জুলাইতে। তেমনটিই হতে চলেছে।
নাটকীয় বলা হচ্ছে এই কারণে যে, সৌরভ দাস কর্মক্ষেত্র থেকে বিদায় নেওয়ার পরেই জল্পনা চলছিল কে হবেন নতুন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপাল আনন্দ বোসের কাছে নাম পাঠিয়েছিলেন প্রাক্তন প্রধান সচিব রাজীব সিনহার নাম কিন্তু বোস আরও নাম পাঠাতে বলেন। সেই মোতাবেক নাম পাঠানো হয় অমিতরঞ্জন বর্মনের যিনি প্রাক্তন অতিরিক্ত মুখ্যসচিব দফতরের অফিসার। কিন্তু হঠাৎই চমক দিয়ে রাজ্যপাল রাজীব সিনহাকেই বেছে নেন। বুধবার চূড়ান্ত হয়ে যায় তাঁর নাম এবং বুধবারেই রাজীব দায়িত্ব নেন।
পরদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার জানা গেলো ভোটার দিন ধার্য করা হলো ৮ জুলাই। রাজীব আর দেরি করেন নি। কাজেই বৃহস্পতিবার থেকেই মিটিং মিছিল রাত দশটা থেকে পরদিন সকল আটটা অবধি বন্ধ। নমিনেশন জমা দিতে হবে ৯ জুন থেকে ১৫ জুন অবধি। ভোটার পর সম্ভবত ১১ জুলাই গণনা হবে বলেই খবর। এই একদিনেই সমস্ত ভোটের প্রতিবাদ ইতিমধ্যে শুরু হয় গিয়েছে। কিন্তু বাস্তব এটাই এক মাসের মধ্যে এত হাজার হাজার প্রার্থী বাছাই করা বিজেপি থেকে কংগ্রেসের পক্ষে যথেষ্ট চাপের। তৃণমূলের সেই সমস্যা নেই। দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় গত এক মাসের উপর রাজ্যের গ্রামে গ্রামে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। এবারে বিরোধীরা কি করে সেটাই দেখার।
এক মাসের মধ্যেই কি রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election)! এই আশঙ্কাই দেখা দিচ্ছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার এবং রাজ্যের বৈঠকে। সূত্রের খবর, আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার সময় সেই সংক্রান্ত বিষয়ে সাংবাদিক বৈঠক করতে চলেছেন রাজ্যে নির্বাচন কমিশন।
রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে বিতর্ক রয়েছেই। দীর্ঘ কয়েক মাস ধরেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। এরই মধ্যে ২৮ শে মে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় একটা বড় প্রশ্নের মুখে পড়েছিলে পঞ্চায়েত ভোট। এছাড়া বিরোধী দলনেতার আদালতে মামলা তো ছিলই। এরই মধ্যে গতকাল অর্থাৎ বুধবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পদে বসেন রাজীব সিনহা। নির্বাচন কমিশনার পদে বসার পরই তিনি বলেছিলেন, রাজ্যই জানাবে পঞ্চায়েত নির্বাচন কবে। সেইমতো আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাজ্যের সঙ্গে একটি বৈঠকে বসে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এরপরেই এক মাসের মধ্যেই পঞ্চায়েত ভোট সম্ভব কিনা বা হবে কিনা তা নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এই সংক্রান্ত বিষয়ে আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন করবেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। এখন দেখার রাজ্য এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে আগামীতে পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে কোন সুরাহা হয় কিনা। যদিও এই পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার দাবি করেন, রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট হলে তবেই পঞ্চায়েত ভোট সমর্থন করব।
তীব্র দাবদাহে (Heatwave) পুড়ছে বঙ্গবাসী। বৃষ্টির দেখা নেই। গরমে নাজেহাল অবস্থা কলকাতা (Kolkata) সহ দক্ষিণবঙ্গের মানুষের। দক্ষিণবঙ্গে এখনও কয়েকদিন তাপপ্রবাহের সতর্কতা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
চলতি মাসের 8 জুন কেরলে বর্ষা প্রবেশ করেছে। তবে বাংলায় বর্ষা আসার সময় চলে এলেও এখনও অবধি বর্ষা প্রবেশ করে নি। বাঁকুড়া জেলায় গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রয়েছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে। সঙ্গে রয়েছে বাতাসে অস্বাভাবিক আর্দ্রতা। আর এই দুটি কারণে কার্যত হাঁসফাঁস করছে বাঁকুড়া জেলার মানুষ। তবে এই মুহূর্তে বৃষ্টির কোনওরকম সম্ভাবনা নেই। আর্দ্রতাজনিত আবহাওয়া বজায় থাকবে। আপাতত এই অস্বস্তিকর গরম থেকে রেহাই নেই বলে জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা।
আদিবাসী সংগঠনের ডাকা ১২ ঘণ্টা বাংলা বনধের প্রভাব জেলায় জেলায়। এদিন, বনধ সফল করতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সকাল থেকেই রাস্তায় নেমেছে আদিবাসী সংগঠন। জায়গায় জায়গায় চলছে রাস্তা অবরোধ। যান চলাচল প্রায় স্তব্ধ। দোকানপাটও বন্ধ। ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম বর্ধমান, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া...সব জায়গাতেই একই ছবি।
ঝাড়গাম জেলা তথা গোটা জঙ্গলমহল এলাকায় বনধের আংশিক প্রভাব পড়েছে। বাস, যানবাহন সেভাবে চলছে না। তবে জরুরি পরিষেবায় কেবল ছাড় দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, পশ্চিম বর্ধমান জেলার কাঁকসা পানাগড় ইলামবাজার রাজ্য সড়ক অবরোধ করে দেন আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষেরা। অন্যদিকে, কাটোয়া শহরের প্রবেশ মুখেই জাজিগ্রামে আদিবাসী সংগঠন রাস্তা অবরোধ করে।
স্বাধীন ও স্বচ্ছভাবে সি আর আই রিপোর্ট প্রকাশের দাবিতে আজ ১২ ঘণ্টার 'বাংলা বনধ'-এর ডাক দিয়েছে 'ইউনাইটেড ফোরাম অব অল আদিবাসী অর্গানাইজেশনস ওয়েস্ট বেঙ্গল'। তাঁদের দাবি, রাজ্য সরকার ভোট হিসেব মাথায় রেখে অ-আদিবাসী কুড়মি, মাহাতো সমাজকে আদিবাসী করার উদ্দেশ্যে সি.আর.আই রিপোর্ট সংশোধনের চেষ্টা চালাচ্ছে। এরই প্রতিবাদে আজ এই বনধ। রেল এবং জরুরি পরিষেবাকে বনধের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (PM Narendra Modi) বাংলার উচ্চমানের আম (Mango) উপহার পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। এই প্রথম নয়, প্রত্যেক বছর গরমকালে বাংলা থেকে আমের ডালি উপহার যায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে। রাজনৈতিক মতপার্থক্য বা আক্রমণ-প্রতি আক্রমণ যতই থাকুক, আম পাঠানোর সৌজন্যতা বছরের পর বছর ধরে চলছে। এবারও ব্যতিক্রম নয়। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী ছাড়া রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়কেও আম পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
সূত্রের খবর, একটি বাক্সে সাজিয়ে আমগুলি পাঠানো হয়েছে। সেখানে বিভিন্ন জাতের আম রয়েছে। জানা গিয়েছে, বাক্সে সাজিয়ে পাঠানো হয়েছে হিমসাগর, ফজলি, ল্যাংড়া এবং লক্ষ্মণভোগ জাতের আম। খুব শীঘ্রই দিল্লিতে পৌঁছবে সেই বাক্সভর্তি আম।
উল্লেখ্য, গতবছরও জুন মাসে আমের মরশুমে এমন বিভিন্ন জাতের আমের ডালি উপহার হিসেবে দিল্লিতে পাঠিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারও সেই সৌজন্যে কোনও খামতি থাকল না।
তীব্র গরমে নাজেহাল অবস্থা রাজ্যবাসীর। আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিকর পরিস্থিতি বজায় থাকবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। পাশাপাশি রাজ্যের আট জেলায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আর সাত জেলায় তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে বলে খবর মৌসম ভবন সূত্রে।
সোমবার সকালে দেওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী, বুধবার সকালের মধ্যে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারের কোনও কোনও জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। বাকি তিন জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। এই দুদিন উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহ জেলার কোনও কোনও জায়গায় তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। যে কারণে আবহাওয়া দফতরের তরফে অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। এছাড়া আগামী দিন কয়েকে দিনের তাপমাত্রার বিশেষ কোনও পরিবর্তন হবে না বলেও জানানো হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে।
সোমবার সকালে দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোনও কোনও জায়গায় বজ্রপাত-সহ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা। এদিন পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। যে কারণে অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরের কোনও কোনও জায়গায় বজ্রপাত-সহ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এর সঙ্গে হাওড়া, হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়ায় তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা। আপাতত দিনের তাপমাত্রার পরিবর্তন হবে না।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, কলকাতা-সহ আশপাশের এলাকায় আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকার সম্ভাবনা। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে যথাক্রমে ৩৮ ও ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। সোমবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি। রবিবার এই তাপমাত্রা ছিল ২৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৮৮ শতাংশ। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বনিম্ন ৫১ শতাংশ।
অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় (Anindya Chattopadhyay) পরিচালিত ওপেন টি বায়োস্কোপ (Open Tee Bioscope) সময়ের দলিল। মুক্তি পেয়েছিল ২০১৫ সালে। সেই থেকে উত্তরণ এক ঝাঁক নতুন তারকার। ঋদ্ধি সেন, ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়, সুরঙ্গনা বন্দ্যোপাধ্যায় যে লম্বা রেসের ঘোড়া, সেই কদর বোধহয় অনিন্দ্য বুঝেছিলেন। উত্তর কলকাতার গলিতে বেড়ে ওঠা মধ্যবিত্ত বন্ধুত্বর গল্প। বয়ঃসন্ধিতে মন নাড়া দিয়ে ওঠা নির্ভেজাল প্রেমের গল্প নিপুণ হাতে বুনেছিলেন অনিন্দ্য। তাই তো ওপেন টি বায়োস্কোপ অনেকে মনে যত্নে সাজিয়ে রেখেছেন।
সিনেমার অন্যতম অভিনেতা ঋদ্ধি এবং সুরঙ্গনার বন্ধুত্ব শুরু হয়েছিল 'ওপেন টি বায়োস্কোপের' সেট থেকেই। রিল লাইফের প্রেম রিয়েল লাইফেও গড়িয়েছে। ঋদ্ধি একাধিকবার বলেছেন, ওই সিনেমাই তাঁদের সম্পর্কের, তাঁদের কেরিয়ারের অন্যতম বুনিয়াদ। এবার সেই সিনেমা নিয়েই নতুন খবর শোনালেন তারকারা। টেলিভিশনের পর্দায় সিনেমাটি দেখা গেলেও এতদিন কোনও ওটিটি প্ল্যাটফর্মে দেখা যেত না। এবার ওটিটি-প্রেমীদের জন্য সুখবর।
সিনেমার কলাকুশলীরা জানিয়েছেন ওপেন টি বায়োস্কোপ দেখা যাবে ওটিটির পর্দায়। শনিবার অর্থাৎ ৩ মে থেকে সিনেমাটি দেখা যাচ্ছে ওটিটিতে। আবারও সিনেমার নস্টালজিয়ায় ভাসতে চলেছে দর্শকেরা। আরও একবার দর্শকেরা ফিরে যাবেন ছোটবেলায়। আবারও বন্ধুদের বলবেন, 'বন্ধু চল, বলটা দে।' বন্ধুর টিমে বন্ধুর পাশে থাকার আশ্বাস দেবেন আবারও দর্শকেরা।
সৌমেন সুর: এক সময় বাংলার গ্রামাঞ্চলে প্রায় প্রত্যেকের ঘরে ঘরে তাঁতের মেশিন থাকতো। এই মেশিনে যারা মসলিন বোনায় রপ্ত থাকতো, তাদের মূল্য ছিল ধরাছোঁয়ার বাইরে। সেইসময় ভারতে ইংরেজ শাসন। ইংরেজরা বাংলার মসলিন দেখে একেবারে ফিদা। মসলিনের প্রতি তারা ভীষণভাবে আকৃষ্ট হয়। অবশেষে নৃশংস ইস্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীর লোকজন বাংলার যত মসলিন শাড়ি শিল্পের শিল্পী আছে, তাদেরকে খুঁজে বার করে। অকারনে চলে তাদের ওপর অকথ্য অত্যাচার। কারোর আঙুল কেটে দেয়, কাউকে মাথা নেড়া করে গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে ঘোরায়। অর্ন্তনিহিত উদ্দেশ্য হলো, ইংল্যাণ্ডের কাপড় ভারতে আসবে এবং একচেটিয়া ব্যবসা করবে। তারা কখনই বাংলার গৌবর মসলিন শিল্পকে ভারত তথা বিদেশে ব্যবসা করতে দেবে না।
অবর্ণনীয় বর্বরতায় খুব কম সময়ের মধ্যে হারিয়ে যায় ভারতের গৌরবময় অনন্য মসলিন শিল্প। তবে অত্যাচার থেমে থাকেনি। সাহেবরা তাঁতিদের খুঁজে বার করে, তাদের বন্দী করে কোথায় যে নিয়ে যায়, তার কোনো হদিশ পাওয়া যায় না। পাশাপাশি মসলিন তৈরির জন্য যে কার্পাস তুলো এবং বীজ, আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় ইংরেজ শাসক। এসব দেখে তাঁতিরা নিজেদের প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে শিল্প সৃষ্টির পথ থেকে সরে দাঁড়ায়। উত্তরপুরুষরা এসব দেখে উত্সাহ হারিয়ে ফেলেন। আস্তে আস্তে এভাবেই সাহেবদের অমানবিক অত্যাচারে একদিন বাংলা ও বাঙালির গৌরবময় মসলিন শিল্প হারিয়ে যায়।
বাংলা তথা ভারতে মসলিন নিয়ে যে গৌরব, তার প্রারম্ভিক ব্যবহার শুরু হয়েছিল পাঁচ হাজার বছরের আগে মহেঞ্জদারো এবং হরপ্পার নাগরিক জীবনে। পুরাতত্ত্ববিদ রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় এর আসল উত্সটি তুলে ধরেন। বাংলার নবাব মুর্শিদকুলি খাঁ সম্রাট ঔরঙ্গজেবকে তুষ্ট করার জন্য মাঝে মাঝে দিল্লীর প্রাসাদে পাঠাতেন বাংলার বিখ্যাত ঢাকাই মসলিন। যাই হোক এই মসলিন শিল্প প্রথমে ছিল মূল্যবান কিন্তু তত্কালীন ইংরেজ শাসক, এর সম্পূর্ণ ধ্বংসে ব্যপ্ত থেকে এই শিল্পকে শুন্য করে দেয়। বাংলার বহু শিল্পী প্রাণ হারান। বহু ঘটনা ধামাচাপা পড়ে যায়। আমার মতে, শিল্প ধ্বংস করতে পারো, শিল্পীকে নয়। কত মারবে তোমরা, আবার জন্মাবে--রক্তবীজের মতো। তথ্যঋণ--শেখর সেনগুপ্ত।
বেড়ে চলেছে তাপমাত্রার (Temperature) পারদ। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, তাপমাত্রা আরও তিন থেকে পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে চলেছে। পূর্বাভাসে তাপপ্রবাহের সতর্কতাও জারি করা হয়েছে। এমনকি তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি পর্যন্ত ছাড়াতে পারে। তীব্র গরমে নাজেহাল (Weather) অবস্থা রাজ্যবাসীর। বৃষ্টির অপেক্ষায় শহর কলকাতা (Kokata)। যদিও আপাতত ভারী বৃষ্টির (Rain) কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছেন হাওয়া অফিস।
মৌসম ভবন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, আগামী ৭ জুন পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলাতে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। শুক্রবার তাপপ্রবাহজনিত পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে পশ্চিম বর্ধমান, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কোনও কোনও জায়গায়।এছাড়া বাকি জেলাগুলিতে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বজায় থাকবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
তবে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় বেশ কয়েকটি জেলাতে বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানানো হয়েছে। শনি ও রবিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূল এলাকাতে সামান্য বৃষ্টি হতে পারে। যদিও এতে আবহাওয়ার কোনও পরিবর্তন হবে না। অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলাতে বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দার্জিলিং এবং কালিম্পং এর কোনও কোনও জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টি হতে পারে। বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে। বাকি পাঁচ জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকার সম্ভাবনা। আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে এর পরে তাপমাত্রার তেমন কোনও পরিবর্তন হবে না বলে জানানো হয়েছে।
দুর্গম পথ, প্রতি পদে মৃত্যু, আমৃত্যু যুদ্ধ পেরিয়ে অবশেষে স্বস্তি। ঘরে ফিরছেন পর্বতারোহী (Mountaineer) পিয়ালী বসাক (Piyali Basak)। বৃহস্পতিবার বিকেলে কাঠমান্ডু থেকে কলকাতা পৌঁছনোর কথা ছিল পিয়ালীর। কিন্তু কিছু নথি খুঁজে না পাওয়াতে এদিন সে তাঁর বিমানটি সময় মতো ধরতে পারেননি। বৃহস্পতিবার বিকেলে সিএন ডিজিটালকে পর্বতারোহী পিয়ালী বসাক জানান, তিনি বৃহস্পতিবার ফিরতে পারবেন না। বৃহস্পতিবারের বদলে তিনি শুক্রবার ফিরছেন।
মাকালু জয়ের পর পর প্রথমে নিখোঁজ হলেও পরে উদ্ধার করা হয় পিয়ালীকে। তারপর কাঠমান্ডুর হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন দীর্ঘ দিন। তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগে ছিল গোটা রাজ্য।
গত মাসে অক্সিজেন ছাড়া মাকালু অভিযান শুরু করেন পিয়ালী। সফলভাবে শৃঙ্গজয়ের পরে নেমে আসার পথে সমস্যার শুরু, প্রথমে নিখোঁজ ছিলেন। পরে তাঁকে হেলিকপ্টারে উদ্ধার করে কাঠমাণ্ডু নিয়ে আসা হয়। পিয়ালীর দু'পায়েই প্রবল ফ্রস্টবাইট হয়েছিল, করে নিউমোনিয়াতেও আক্রান্ত হয়েছিলেন পিয়ালী। আপাতত, তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ। বাংলার গর্ব পিয়ালীর ঘরে ফেরার অপেক্ষায় গোটা রাজ্যবাসী।
গত বছর এভারেস্ট জয়ের পর এ'বছর পিয়ালী প্রথমে অন্নপূর্ণা, তারপর মাকালু জয় করেন।
গরমে নাজেহাল অবস্থা রাজ্যবাসীর (Bengal)। সপ্তাহের শুরু থেকেই ৩-৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা (Temperature) বেড়েছে রাজ্যের একাধিক জেলায়। এবার চলতি সপ্তাহে তাপপ্রবাহের (Weather) সতর্কতা জারি করল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। কবে কোন জেলায় তাপপ্রবাহ, তাও আগাম জানিয়ে দিয়েছে হাওয়া অফিস।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, বুধবারই বঙ্গের একাধিক জায়গার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার করেছে। এর মধ্যে রয়েছে বাঁকুড়া, মালদহ এবং শিলিগুড়ি। এছাড়াও বহমরপুর, হাওড়া, শ্রীনিকেতনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি পেরিয়েছে। এদিন-সহ আরও তিনদিন ওই তাপমাত্রা আরও তিনদিন বাড়তে পারে। বৃহস্পতিবার দার্জিলিং এবং কালিম্পং-এর কোনও কোনও জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টি হতে পারে। বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে। শুক্রবার সকালের মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোনও কোনও জায়গায় বজ্রপাত-সহ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা। এই সময় বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে।
দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আরও বাড়বে তাপমাত্রা। এমনই অস্বস্তিকর আবহাওয়া বজায় থাকবে আপাতত বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। ২ জুন পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদের কোনও কোনও জায়গায় তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। ৩ জুন উল্লিখিত জেলাগুলি ছাড়াও ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান এবং নদিয়া জেলার কোনও কোনও জায়গায় তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে।
মৌসম ভবন আরও জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতা-সহ আশপাশের এলাকায় আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে যথাক্রমে ৩৮ ও ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সামান্য কিছুটা কমেছে। ২৮.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। বুধবার এই তাপমাত্রা ছিল ২৯.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তীব্র গরমে নাজেহাল অবস্থা রাজ্যবাসীর। বুধবার সকালেও একই পরিস্থিতি শহর কলকাতায় (Kolkata)। জেরবার দশা শহরবাসীর। একাধিক জেলায় জুনের প্রথমেই তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া (Weather) দফতর। তবে খানিকটা স্বস্তির খবর শোনালেন আবহাওয়াবিদরা। আবারও বঙ্গে বৃষ্টির (Rain) পূর্বাভাস রয়েছে। বিশেষ করে পশ্চিমাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, জুনের প্রথম সপ্তাহে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছোঁবে দক্ষিণবঙ্গে। পাশাপাশি তাপমাত্রা চড়বে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও। উত্তরবঙ্গের নীচের দিকে জেলা গুলিতে তাপপ্রবাহের মত পরিস্থিতি তৈরি হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আগামী কয়েকদিনে ২ থেকে ৩ ডিগ্রি করে চড়বে তাপমাত্রা।
জুনের প্রথম থেকেই তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং পশ্চিম বর্ধমানে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। শুক্রবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহ চলবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। আবার তাপপ্রবাহের মাঝেই বেশ কয়েকটি জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বুধবার এবং বহস্পতিবার বিকেলের দিকে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে।
আবার উত্তরবঙ্গেও তাপমাত্রা চড়বে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। ২ থেকে তিন ডিগ্রি চড়বে তাপমাত্রা বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। মালদহ এবং উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তবে উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি এই পাঁচ জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল হাওয়া অফিস।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, কলকাতাতেও বৃদ্ধি পাবে তাপমাত্রা। আগামী দিন কয়েকের মধ্যে তাপমাত্রা বাড়বে ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যদিও তাপপ্রবাহের সতর্কতা না জারি হয়নি কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলাতে। আপাতত বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই রোদের দাপট। বেলা বাড়তেই আরও বাড়বে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। আলিপুর আবহাওয়া (Weather) দফতর জানিয়েছে, উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টির (Rain) পূর্বাভাস রয়েছে। তবে জুনের শুরু থেকেই ফের একবার তীব্র গরমের মধ্যে পড়তে চলেছেন রাজ্যবাসী।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, বুধ ও বৃহস্পতিবার নাগাদ কলকাতার তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রিতে পৌঁছে যাওয়ার সম্ভাবনা। অন্যদিকে পশ্চিমের জেলাগুলি, যেমন বাঁকুড়া, পুরুলিয়া এবং পশ্চিম বর্ধমানের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পেরিয়ে যেতে পারে। তবে আবহাওয়া দফতরের তরফে এখনই তাপপ্রবাহের কোনও সতর্কবার্তা দেওয়া হয়নি। বুধবার সকালের মধ্যে দার্জিলিং এবং কালিম্পং-এর কোনও কোনও জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টি হতে পারে। বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে।
মৌসম ভবন আরও জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলার কোনও কোনও জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টি হতে পারে। বাকি তিন জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। আপাতত কয়েকদিন তাপমাত্রা ঊর্ধ্বমুখী থাকবে বলে জানানো হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে। বুধবার সকালের মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূমের কোনও কোনও জায়গায় বজ্রপাত-সহ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা। এই সময় বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে।
সোমবার সকাল থেকেই শহর কলকাতার (Kolkata) আকাশ পরিষ্কার। কোথাও কোথাও মেঘের আনাগোনা। তবে আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এই মুহূর্তে তাপপ্রবাহের কোনও সম্ভাবনা নেই। যদিও আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিকর আবহাওয়া (Weather) বজায় থাকবে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। পাশাপাশি এই মুহূর্তে বৃষ্টিপাতের (Rain) কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়ে দিয়েছে মৌসম ভবন।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। যেমন, দক্ষিণবঙ্গের পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি আগামী পাঁচ দিন তাপমাত্রা বাড়ার পূর্বাভাস রয়েছে।
উল্লেখ্য, জানা গিয়েছে, রাজ্যে বর্ষার প্রবেশ যে সময় ঘটে, সেসময় আসার সম্ভাবনা থাকছে। কলকাতার ক্ষেত্রে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিকর আবহাওয়া থাকবে। এছাড়া মাঝে মধ্যে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকছে।
ফের বেড়েছে গরমের দাপট। তবে কিছুটা স্বস্তির খবর শোনাল আলিপুর আবহাওয়া (Weather) দফতর। রবিবার ও সোমবার দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলাতে হালকা ঝোড়ো হওয়া সহ বৃষ্টিপাতের (Rain) পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন। যদিও সোমবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা (Temperature) বাড়বে এবং এর প্রভাব জুন মাসের প্রথম দিক অবধি থাকবে বলে খবর।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, দক্ষিণবঙ্গের কিছু কিছু জেলায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত চড়বে। কলকাতায় ৩৮ থেকে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা ছুঁতে পারে। তবে শুষ্ক আবহাওয়া বজায় থাকবে। কিন্তু রবিবার সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত থাকতে পারে।
জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ জুড়েই এই গরমের দাপট থাকবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। পশ্চিমাঞ্চলের জেলা বিশেষ করে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর , পশ্চিম বর্ধমান জেলায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছুঁতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য জেলার তাপমাত্রাও চড়বে। তবে আপাতত তাপপ্রবাহের কোনও সতর্কতা জারি করা হয়নি।
তবে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টি চলবে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলায় ভারী থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। কালিম্পং এবং আলিপুরদুয়ার জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।