পারিবারিক বিবাদের জেরে পিটিয়ে খুনের (murder) অভিযোগ। ঘটনাটি বজবজ (Budge Budge) পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের। মর্মান্তিক এই ঘটনার পরই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়, শোকাহত পরিবার। প্রায় এক সপ্তাহ লড়াইয়ের পর মৃত্যু (death) হয় আক্রান্ত ব্যক্তির।
জানা গিয়েছে, মৃতের নাম আশফাক আলম, বয়স ৪৭। ওই ওয়ার্ডের কয়লা সড়ক ছোট মসজিদ এলাকার বাসিন্দা তিনি। পরিবার সূত্রে খবর, মৃত আশফাকের ভাইঝি শ্বশুরবাড়িতে অশান্তি করে বাপের বাড়ি চলে আসে। এরপর গত রবিবার রাতে আশফাক তাঁর ভাইঝির শ্বশুরবাড়িতে মধ্যস্থতা করতে যান। আর সেখানেই ঘটে এই অঘটন। অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির লোকজন আসফাককে বেধড়ক মারধর করে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে এনআরএস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে এক সপ্তাহ মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন তিনি। তবে শেষরক্ষা হল না শনিবার ভোরে হাসপাতালেই তিনি মারা যান।
ঘটনার পরই আশফাকের পরিবারের লোকজন বজবজ থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করে। পুলিস (police) সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই অভিযোগের ভিত্তিতে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিকে, মারধরের ঘটনা অভিযুক্ত পরিবার স্বীকার করে নিয়েছে। তাঁরা বলেন, রবিবার রাতে মারধর করা হয়েছে আশফাককে। পাল্টা তাঁদের অভিযোগ, আশফাকের ভাইঝির অবৈধ সম্পর্ক ছিল। তার কারণেই সাংসারিক ঝামেলার সূত্রপাত। কোন পক্ষ ঠিক, জানতে তদন্ত শুরু করেছে বজবজ থানার পুলিস।
একাদশীর সকালে চেতলা (South Kolkata Incident) এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে পেশায় গাড়ি চালক এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুনের (beaten to death) অভিযোগ। পরিবারের অভিযোগ ছিনতাইয়ের লক্ষে এই খুন। তবে আরও একটি সূত্র বলছে পুরনো বিবাদকে কেন্দ্র করে ঝামেলা। আর তাতেই বিশ্বজিৎ চৌধুরী নামে এক ব্যক্তিকে রাস্তায় ফেলে পেটানো হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার পর থেকে এসএসকেএম-এ চিকিৎসাধীন ছিলেন বিশ্বজিৎবাবু। বৃহস্পতিবার ভোরে তাঁর মৃত্যুর খবর পায় পরিবার।
এই ঘটনায় পুলিসের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগে সরব মৃতের পরিবার। তাঁদের দাবি, রক্তাক্ত অবস্থায় পুলিস বিশ্বজিৎ চৌধুরীকে পড়ে থাকতে দেখেও হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে উলটে পরিবারকে খবর দেয়। পরিবার গিয়ে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করে। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিসের দাবি, ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে খুনের চেষ্টার ধারায় মামলা রুজু করে সৌরভ দাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিন আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হলে খুনের চেষ্টার ধারা বদলে খুনের ধারা দেওয়া হয়েছে। সৌরভের সঙ্গে মৃত ব্যক্তির কোনও সম্পর্ক নেই। এই দাবি ক্যামেরার সামনে করেছেন বিশ্বজিৎবাবুর স্ত্রী।
তিনি নির্বিবাদী লোক ছিলেন। প্রতিদিন সকালেই চা খেতে বেরোতেন। ঘটনার দিনেও বেড়িয়েছিলেন। ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে এই হামলা। কারণ পরে ওর থেকে কোনও টাকার ব্যাগ আমরা পায়নি। জানা গিয়েছে, এই হামলার ঘটনা ধরা পড়েছে স্থানীয় এক আবাসনের সিসি ক্যামেরায়। সেই ফুটেজ দেখে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে পুলিস। এদিকে, চেতলার যে এলাকায় এই ঘটনা, সেখান থেকে এক কিমির মধ্যে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বাড়ি। কিন্তু রাস্তায় নেই কোনও সিসিটিভি ক্যামেরা। এর আগেও এই এলাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ স্থানীয়দের।
গোরু চোর সন্দেহে এক সন্দেহভাজনকে পিটিয়ে খুনের ঘটনা জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) রাজগঞ্জের বড়ুয়াপাড়া এলাকায়। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার গভীর রাতে কয়েকজন চোর এলাকার বেশ কয়েকটি বাড়িতে হানা দিয়েছিল। একটি বাড়ি থেকে তিনটি গোরু (Cow Smuggling) বের করে নিয়ে যাওয়ার সময় টের পেয়ে যান গৃহকর্তা-সহ স্থানীয়রা। তাঁরা ওই চোরদের পিছনে ধাওয়া করে একজনকে ধরে ফেলেন। সেই সন্দেহভাজনকে বেধড়ক মারধর (beaten to death) করা হলে তার ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়।
বুধবার সকালে পুলিস রক্তাক্ত অবস্থায় মৃত সালাম মহুমের দেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিস জানতে পেরেছে, বাংলাদেশের পঞ্চগড়ের কাহারপাড়ার বাসিন্দা সালাম। পাশাপাশি এই গণপিটুনি ঘটনার তদন্তে নেমে রাজগঞ্জ থানার পুলিশ নৃপতি রায়-সহ তিনজনকে এদিন সকালেই আটক করে। এই আটকের খবর পেয়ে রাজগঞ্জ থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয়রা। নৃপতি রায়-সহ তিনজনকে ছেড়ে দিতে হবে এই দাবিতেই চলে বিক্ষোভ।
বিক্ষুব্ধদের একটি অংশ থানায় ঢুকে আটকদের পুলিশের হাত থেকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। পুলিস বলপ্রয়োগ করে তাঁদের থানার বাইরে বের করে দেয়। এরপর থানার সামনেই চলে জমায়েত করে বিক্ষোভ। এদিকে, বিক্ষোভের খবর পেয়ে জেলা পুলিসের কর্তা-সহ স্থানীয় বিধায়ক খগেশ্বর রায় ঘটনাস্থলে পৌঁছন। তিনি মধ্যস্থতা করে উরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। ইতিমধ্যে আটক ব্যক্তিরা অসুস্থ হয়ে পড়ায়, তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয় চিকিৎসার জন্য। এই অসুস্থতার খবরে আরও উত্তেজনা বাড়ে।
অসুস্থরা রাতে চিকিৎসাধীন থাকবেন, বৃহস্পতিবার সকালে অবস্থান বুঝে ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন। বিধায়কের এই আশ্বাসবাণীতে ওঠে অবরোধ। স্থানীয়দের দাবি, আরও টহলদারি বাড়াক বিএসএফ, পুলিস। বিজেপির অভিযোগ, 'শাসক দলের মদতে এভাবে গোরু পাচার চলছে।'