ভোটের আগে ফের অশান্তি বাংলায়। এবার বিজেপির উত্তর কলকাতার জেলা সভাপতি তমোঘ্ন ঘোষের আমহার্স্ট স্ট্রিটের বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। হামলার আগে ভেঙে দেওয়া হয়েছে বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরা। অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে হামলার আগে এক ব্যক্তি মুখে গামছা বেঁধে সাইকেলে করে এসে বাঁশ দিয়ে সিসিটিভি ভাঙে।
বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। প্রতিবাদে বুধবার আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার সামনে তমোঘ্ন ঘোষের নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা। পালটা তৃণমূল সমর্থকরা হাজির হন সেখানে। চলে স্লোগান পালটা স্লোগান। সব মিলিয়ে রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পরিস্থিতি। বিক্ষোভ চলাকালীন থানায় এসে হাজির হন কলকাতা উত্তর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়। সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় পুলিসকে। ঘটনার জেরে রাস্তায় ব্যাপক যানজট তৈরি হয়।
অজানা জন্তুর আক্রমণে (Attacked) জখম এক শিশু সহ চার জন গ্রামবাসী। বাঁকুড়ার (Bankura) বেলিয়াতোড় রেঞ্জের কাচ্ছালা ও সামন্তমারা গ্রামের ঘটনা। ঘটনায় আহতদের চারজনকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয় বেলিয়াতোড় প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। সেখানে আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসার পরেই ছেড়ে দেওয়া হয়। চারজন আহতের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনায় জেরে আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়।
জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে গ্রামের রাস্তায় হঠাৎ আক্রমণ চালায় এক বন্য জন্তু। আক্রমণে জখম হয়েছে এক শিশু সহ চারজন গ্রামবাসী। গ্রামবাসীদের দাবি, হায়না জাতীয় কোন জন্তুই এই আক্রমণ চালিয়েছে। তাঁরা আরও জানায়, শনিবার রাতে ঘরের দরজা খুলতেই শিশুটির পায়ে কামড় গিয়ে তাঁকে টেনে নিযে যাওয়ার চেষ্টাও করে জন্তুটি। তখন বাড়ির সদস্যরা বাচ্চাটিকে ছড়াতে গেলে তাঁদের উপরেও হামলা করে জন্তুটি। তবে বনদফতরের তরফে জানানো হয়েছে, ওই জন্তুটি একটি পাগল শিয়াল। পাগল হওয়ার কারণেই জঙ্গল থেকে গ্রামে ঢুকে আক্রমণ চালিয়েছে।
ফের পথকুকুরের (stray dogs) আক্রমণে (attacked) মৃত্যু (Death) পাঁচ বছরের এক শিশু কন্যার (girl)। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) খারগোনে। সোনিয়া নামের ওই কিশোরীকে ঘাড়ে ও শরীরের অন্যান্য অংশে আক্রমণ করে কুকুর। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে মারা যায় সোনিয়া।
বেদিয়া থানার অন্তর্গত বাকাওয়া গ্রামের বাসিন্দা কিশোরী। শুক্রবার বিকেলে পাশের একটি দোকান থেকে মুদি সামগ্রী কিনতে যাওয়ার সময় রাস্তায়র প্রায় ৬টি কুকুরের আক্রমণের শিকার হয় ওই কিশোরী। তার বাবা পেশায় একজন শ্রমিক, কিছু কাজের জন্য বাইরে ছিলেন। তখনই এ ঘটনা ঘটে। কান্না শুনে স্থানীয়রা সাহায্য করতে ছুটে আসেন। এবং কুকুর গুলিকে ভয় দেখিয়ে তাড়িয়ে সোনিয়াকে উদ্ধার করেন।
এরপর স্থানীয়রাই তাকে বেদিয়ার একটি সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে পরে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু আঘাত এতটাই গুরুতর ছিল শেষ রক্ষা হয়নি কিশোরীর।
রাশিয়ার (Russia) সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বন্দুকধারীর হামলা (Gunmen attacked)। নিহত (Death) হয়েছেন ১১ জন এবং আহতের সংখ্যা ১৫। জানা গিয়েছে, শনিবার বেলগোরোড (Belgorod) অঞ্চলে লাইভ-ফায়ার প্রশিক্ষণ অনুশীলনের সময় হামলার ঘটনাটি ঘটে।
রাশিয়ার প্রচিরক্ষা মন্ত্রক একটি বিবৃতি জারি করে বলে," দুই বন্দুকধারী সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের নাগরিক। তারা স্বেচ্ছায় বিশেষ সামরিক অভিযানে (ইউক্রেনের বিরুদ্ধে) অংশ নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিল। ওই দুই সন্ত্রাসী প্রশিক্ষণ চলাকালীন সেনাদের উপর গুলি চালায়। হামলার পর তাদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।"
এটি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের জন্য আরেকটি ধাক্কা বলেই মনে করছেন অনেকে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, দুই হামলাকারী ইউক্রেনের কাছে একটি সামরিক ফায়ারিং রেঞ্জে গুলি চালায়। এর জেরে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৫ জন জখম হয়েছেন। জখম সেনাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ফের পিটবুলের আক্রমণ (pitbull attacked)। এবার পঞ্জাবের (Punjab) গুরুদাসপুরের পাঁচটি গ্রামে (village) মোট ১২ জনকে আক্রমণ করেছে একটি পিটবুল। গুরুতর আহত হয়েছেন সকলে। কুকুরটি টাঙ্গো শাহ গ্রাম থেকে চুহান গ্রাম পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে আক্রমণ করে লোকজনকে। বাধ্য হয়ে শেষে একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আত্মরক্ষার জন্য কুকুরটিকে হত্যা (killed) করেছিলেন।
টঙ্গো শাহ গ্রামের কাছে কুকুরটি প্রথমে দুই শ্রমিককে কামড়ে দেয়। দু’জনেই গলায় শিকল ছুঁড়ে নিজেদের বাঁচাতে সক্ষম হয়। তবে কুকুরটি পালিয়ে গ্রামে ঢুকে পড়ে। ৬০ বছর বয়সী দিলীপ কুমারের বাড়িতে বসে হামলা চালায়। কুমার কুকুরটিকে ঘাড়ে চেপে ধরে থামানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু কুকুরটি তাঁকে কয়েক মিটার টেনে নিয়ে যায়। এরফলে কুমারের প্রচুর রক্তক্ষরণও হয়। দিলীপ কুমারের ভাই রাস্তা থেকে গেটের ভিতরে টেনে নিয়ে প্রাণে বাঁচান তাঁকে।
এরপর পিটবুল বলদেব রাজকে পায়ে আক্রমণ করে। সেখান থেকে পিটবুল দৌড়ে ঘরোটা রোডের দিকে চলে যায় এবং পথে অনেক পশুকে মেরে একটি ইটের ভাটায় পৌঁছয়।
এরপর সে ভাটায় রামনাথ নামে এক নেপালি প্রহরীকে আক্রমণ করে। রামনাথকে দুটি রাস্তার কুকুর বাঁচিয়েছিল। পিটবুলটি দৌড়ে ছানি গ্রামে চলে যায় এবং সেখানে ঘুমন্ত মঙ্গল সিংকে কামড়ে দেয়। ভোর ৫টার দিকে পিটবুল অন্য গ্রামে পৌঁছে মর্নিং ওয়াকারদের ওপর হামলা করে।
পিটবুল চুহান গ্রামের দিকে ছুটে গিয়ে অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য ক্যাপ্টেন শক্তি সিংকে আক্রমণ করেন। তিনি তখন মাঠে হাঁটছিলেন। তাঁর হাতে মারাত্মকভাবে আঘাত করে। শক্তি সিংকে বাঁচাতে গ্রামবাসীরা ছুটে আসেন। এরপর শক্তি বাবু এবং গ্রামবাসীরা মিলে পিটবুলকে মেরে ফেলেন নিজেদের আত্মরক্ষার স্বার্থে।
আহতদের দিনানগর ও গুরুদাসপুর সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সকলেই চিকিৎসাধীন।