ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ বৃদ্ধকে। ঘটনায় গ্রেফতার অভিযুক্ত ব্য়ক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানার ঠাকুরনগর হাজরাতলা এলাকায়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল (৬০)। ধৃতের নাম পরিতোষ দাস।
পুলিস সূত্রে খবর, গতকাল অর্থাৎ সোমবার রাত ১১ নাগাদ অভিযুক্ত পরিতোষ বিশ্বাসের বাড়ি লুকিয়ে ঢোকেন রবীন্দ্রনাথ। অভিযোগ, বাড়ি ঢুকে উঁকি মারছিলেন সে। তখন তাঁকে দেখতে পেয়ে কুড়ুল দিয়ে এলোপাথারি কোপ মারতে শুরু করে পরিতোষ। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন রবীন্দ্রনাথ। তাঁর মাথায় ও মুখে একাধিক কোপের চিহ্ন রয়েছে। খবর পেয়ে পুলিস এসে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
অভিযুক্ত পরিতোষের স্ত্রী কাকলী দাস বলেন, রবীন্দ্রনাথের তাঁর দিকে দীর্ঘদিনের কু'নজর ছিল। যা লক্ষ করেছিল তাঁর স্বামী পরিতোষ। কাকলির দাবি, এরপর রাতে বাড়ি ঢুকে রবীন্দ্রনাথ উঁকি মারতেই তাঁর উপর কুড়ুল নিয়ে হামলা চালায় তাঁর স্বামী পরিতোষ।
পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, পুরোনো শত্রুতার জেরেই খুন করা হয়েছে রবীন্দ্রনাথকে। মৃতের স্ত্রী সবিতা মণ্ডল বলেন, তাঁর স্বামী তাঁদের সঙ্গে থাকতেন না। তবে কী কারণে তাঁকে খুন করা হয়েছে সেই সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না। ইতিমধ্য়ে পুলিস গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
আবারও অবৈধভাবে কয়লা মজুদ রাখার অভিযোগ। সূত্রের খবর, রবিবার গভীর রাতে বীরভূমের লোকপুর থানার পুলিস বিশেষ তল্লাশি অভিযান চালিয়ে নাকড়াকোন্দা পঞ্চায়েত এলাকার ঝাড়খণ্ড সীমান্তবর্তী সগড়ভাঙ্গা জঙ্গলে বস্তা ভর্তি প্রায় ১১ টন মজুদ করা অবৈধ কয়লা উদ্ধার করে। পাশাপাশি পাঁচ কয়লা পাচারকারীকে গ্রেফতার করে পুলিস। আজ, সোমবার আজ ধৃতদের দুবরাজপুর আদালতে তোলা হয়।
জানা গিয়েছে, এদিন গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযানে নামে লোকপুর থানার পুলিস। অভিযুক্তদের নাম, বিজ্ঞান গোপ, গণেশ বাগদী, বিকাশ বাউরি, চন্ডী বাউরি ও রাজু ঘোষ। রাজু ভেলাডিহি গ্রামের বাসিন্দা। বাকিরা ঝাড়খণ্ড রাজ্যের মুড়াবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা।
উল্লেখ্য, বীরভূম জেলার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গিয়েছে কয়লা পাচার। এই কয়লা পাচারের সঙ্গে জড়িয়েছে জেলার দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের নাম। যদিও গোরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হয়ে তিনি এখন তিহার জেলে। কিন্তু তাতেও যে কয়লা পাচারে লাগাম পরানো যায়নি, তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল এই ঘটনা।
ভূপতিনগর বোমা বিস্ফোরণ মামলায় ধৃত মনোব্রত জানা এবং বলাইচরণ মাইতিকে ৩০ শে এপ্রিল পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ NIA-র বিশেষ আদালতের। সন্ত্রাস ছড়ানোর জন্য তাজা বোমা তৈরি ও বিস্ফোরণের ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ ছিল এই দু'জনের বিরুদ্ধে। এই মামলায় বৃহস্পতিবার ধৃত ২ জনকে পেশ করা হয় আদালতে। এরপরেই আদালতের নির্দেশে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ আদালতের।
প্রসঙ্গত, ২০২২-র ডিসেম্বরে পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে এক তৃণমূল নেতার বাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনায় এক তৃণমূল নেতা-সহ মৃত্যু হয় ৩ জনের। মৃত্যু হয়েছিল, তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্না-সহ তাঁর ভাই দেবকুমার মান্না ও বিশ্বজিৎ গায়েনের। ঘটনার পর পোড়া দেহগুলি রাজকুমার মান্নার বাড়ির অনতিদূরে পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল। দানা বেঁধেছিল রহস্য। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু এই ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন। এছাড়াও এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন অনিন্দ্যসুন্দর দাস নামে এক আইনজীবী। ঘটনার ৩ মাস পর ভুপতিনগর কাণ্ডে এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। পরবর্তীতে চলতি মাসেই বিস্ফোরণ কাণ্ডের তদন্তে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে গিয়ে গ্রামবাসীর হাতে আক্রান্ত হয় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। হামলা হয় সিআরপিএফ জওয়ানদের ওপরেও। যদিও শেষমেশ এতকিছুর পরেও শেষরক্ষা হয়নি। গ্রেফতার হয় বিস্ফোরণ কাণ্ডের ২ মূল অভিযুক্ত মনোব্রত জানা এবং বলাইচরণ মাইতি।
রাত পেরোলেই রাজ্যে শুরু প্রথম দফার নির্বাচন। আর এই নির্বাচনী আবহে যেভাবে শাসক ঘনিষ্ট নেতা-কর্মীদের নাম, দুর্নীতি, অপরাধ জগতের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে, তাতে আখেরে মুখ পুড়ছে শাসকদলেরই। মত ওয়াকিবহাল মহলের। যদিও এর প্রভাব ভোটবাক্সে আদৌ পড়বে কিনা বা পড়লেও তা কতটা এখন সেটাই দেখার।
এবার ভুয়ো এনআইএ অফিসার পরিচয়ে গ্রেফতার এক ব্য়ক্তি। লালগোলার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রামনগর এলাকা থেকে লালগোলা থানার পুলিস গ্রেফতার করে ওই ব্য়ক্তিকে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ওই ভুয়ো এনআইএ অফিসারের নাম জাহির আব্বাস। বাড়ি লালগোলার রামনগর এলাকায়। মঙ্গলাবার ধৃতকে পাঁচদিনের পুলিস হেফাজতের আবেদন রেখে লালবাগ আদালতে তোলা হয়।
জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ রাতে লালগোলার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রামনগর এলাকাতে নাকা চেকিং করছিল পুলিস। সেই সময় একটি স্কুটি আরোহীকে দেখে সন্দেহ হয় পুলিসের। ওই ব্যক্তিকে থামিয়ে স্কুটির ডিকির ভিতর তল্লাশি চালাতে গেলে সে নিজেকে এনআইএ অফিসার হিসাবে পরিচয় দেয়। এরপর তার স্কুটির ডিকি থেকে ভুয়ো আইডেন্টিটি কার্ড ও হ্যান্ডকাপ উদ্ধার হয়। ঘটনাস্থল থেকেই গ্রেফতার করা হয় ওই অভিযুক্তকে।
তবে এর পিছনে আরও কেউ যুক্ত রয়েছে কিনা বা কী উদ্দেশ্য়ে ভুয়ো এনআইএ অফিসার পরিচয়পত্র তৈরী করেছে? তা নিয়ে উঠে আসছে একাধিক প্রশ্ন। ইতিমধ্য়ে পুলিস গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
বেঙ্গালুরু ক্যাফে বিস্ফোরণকাণ্ডের ঘটনায় অভিযুক্ত দুইজনকে গ্রেফতার করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। আব্দুল মাথিন তাহা এবং মুসাভির হোসেন শাজিবকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে দুই সন্দেহভাজনকে। এনআইএ সূ্ত্রের খবর, আইডি বিস্ফোরণ কাণ্ডে ঘনিষ্ঠভাবেই যুক্ত ছিল আব্দুল এবং মুসাভির।
উল্লেখ্য, গত ১ মার্চ বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফেতে যে আইইডি বিস্ফোরণ হয়েছিল, তাতে আহত হয়েছিলেন কমপক্ষে ১০ জন। ৩ মার্চ তদন্তভার গ্রহণ করে এনআইএ। কিন্তু কারা এই আব্দুল মাথিন এবং মুসাভির হোসেন? কীভাবে তারা জড়িয়ে পড়লেন এই কর্মকাণ্ডের সঙ্গে? এইবারই প্রথম নয় এরআগেও এই দুইজনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মের অভিযোগ উঠেছিল। যেহেতু ঘটনাটি আইডি বিস্ফোরণের, ফলে এই ঘটনার সঙ্গে জঙ্গি সংগঠনের যোগ থাকবে সেটাই অনুমান করেছিলেন জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণ কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত মুজ়াম্মিল শরিফকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল।
এনআইএ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত দুইজনের বিরুদ্ধেই ২০২০ সালে সন্ত্রাসের মামলা রয়েছে। মাথিন ও মুসাভির ছন্দনাম নিয়ে আত্মগোপন করেছিল। এই দুই সন্দেহভাজনের হদিশ পেতে পুরস্কারও ঘোষণা করা হয় এনআইএ-র পক্ষ থেকে। শুক্রবার ভোরে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ পুলিসের পাশাপাশি তেলেঙ্গানা, কেরল এবং কর্নাটকের পুলিসও ছিল এই অভিযানে।
লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে। সাত দফায় চলবে ভোটগ্রহণ পর্ব। ১৯শে এপ্রিল প্রথম দফার ভোট। সব রাজনৈতিক দলই প্রচারে ব্যস্ত। নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে একাধিক ব্যবস্থা নিচ্ছে। পুলিস প্রশাসনকে সজাগ থাকতে বলছে নির্বাচন কমিশন। এমতাবস্থায় এয়ারপোর্ট সংলগ্ন এলাকা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র সহ এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল বিমানবন্দর থানার পুলিস। বুধবার ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হয় অভিযুক্ত দুষ্কৃতীকে।
পুলিস সূত্রে খবর, মঙ্গলবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিমানবন্দর থানার পুলিস এয়ারপোর্ট সংলগ্ন কৈখালী থেকে এনামুল শেখ নামে এক কুখ্যাত দুষ্কৃতীকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেফতার করে। ওই দুষ্কৃতী আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে কৈখালী অঞ্চলে ঘোরাঘুরি করছিল, এমনটাই খবর পান পুলিস আধিকারিকরা। কোনও অপরাধমূলক উদ্দেশ্যে নিয়েই ধৃত দুষ্কৃতী ওই অঞ্চলে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। সেই খবরই গোপন সূত্র মারফত এসে পৌঁছয় বিমানবন্দর থানার পুলিসের কাছে। এরপরেই অভিযান চালিয়ে এনামুল শেখকে আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেফতার করে বিমানবন্দর থানার পুলিস।
বিমানবন্দর থানা পুলিস সূত্রে আরও খবর, ধৃতের কাছ থেকে একটি ওয়ান শাটার পাইপ গান ও এক রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে। ধৃত দুষ্কৃতী নিউটাউন এলাকায় ঘর ভাড়া নিয়ে থাকত। ধৃতের বিরুদ্ধে একাধিক থানায় অভিযোগ রয়েছে। ধৃতকে আদালতে তুলে ১৪ দিনের পুলিস হেফাজত চেয়ে আবেদন জানানো হয়েছে। তাকে হেফাজতে পেলে তার থেকে জানার চেষ্টা করা হবে সে কোথা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র পেয়েছিল এবং কী ধরনের অপরাধের উদ্দেশ্যে তিনি এয়ারপোর্ট সংলগ্ন কৈখালী অঞ্চলে ঘোরাঘুরি করছিল।
ফের পণের দাবিতে প্রাণ গেল এক গৃহবধূর। পরিকল্পনামাফিক খুনের অভিযোগ মৃতার পরিবারের। ইতিমধ্য়েই পুলিসের হাতে গ্রেফতার হয়েছে অভিযুক্ত স্বামী। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে জিয়াগঞ্জ থানার আমিনা বাজার এলাকায়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত গৃহবধূর নাম রকসেনা খাতুন (১৯)। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে জিয়াগঞ্জ থানার পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়।
মৃতার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বিয়ের পর থেকেই তাঁদের মেয়ের উপর তাঁর স্বামী সহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন নানানভাবে অত্যাচার করত। প্রায়শই জিনিসপত্রের দাবিতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্য়ে ঝামেলা অশান্তি চলত। এরপর গতকাল অর্থাৎ রবিবার ওই গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃতার পরিবারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্য়ে থানায় গিয়ে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে জিয়াগঞ্জ থানার পুলিস মৃতার স্বামী মিসকাতুল ইসলামকে গ্রেফতার করে।
ভূপতিনগরের বিস্ফোরণ মামলায় দুইজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে ওই দুটি মূল ষড়যন্ত্রকারীকে গ্রেফতার করতে গিয়ে অশান্ত পরিবেশ তৈরী হয়। জানা গিয়েছে, ধৃত ওই দু'জন, বলাই চরণ মাইতি এবং মনোব্রত জানা। দুইজনেই স্থানীয় তৃণমূল নেতা। এমনকি সন্ত্রাস ছড়ানোর জন্য বোমা তৈরি ও বিস্ফোরণের ষড়যন্ত্র করেছিল ওই দুই ধৃত।
পূর্ব মেদিনীপুরের নারুয়াবিল্লা গ্রামে রাজকুমার মান্নার বাড়িতে গত ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বিস্ফোরণে তিনজন নিহত হয়। রাজ্য পুলিস প্রাথমিকভাবে বিস্ফোরণে নিহত তিনজনের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করেছিল। পরবর্তীকালে, কলকাতা হাইকোর্টে আইনের প্রাসঙ্গিক ধারাগুলি প্রয়োগ করার এবং মামলাটি NIA-তে স্থানান্তর করার জন্য একটি প্রার্থনা সহ একটি রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছিল। এরপর গত ২০২৩ সালে হাইকোর্টের আদেশ অনুসারে NIA মামলাটি গ্রহণ করে।
বিস্ফোরনকাণ্ডের তদন্ত চলাকালীন এনআইএ এই মামলায় আরও বেশ কয়েকজন অভিযুক্তের ভূমিকা উন্মোচন করেছেন। যার মধ্যে গ্রেফতারকৃত অভিযুক্ত, নরুয়াবিলা গ্রামের মনোব্রত জানা এবং নিনরুয়া আনালবেরিয়ার বলাই চরণ মাইতি। এই দুই ব্যক্তি সক্রিয়ভাবে অপরিশোধিত বোমা তৈরির ষড়যন্ত্রে অংশ নিয়েছিল এবং এর জন্য সমর্থন বাড়িয়েছিল। এনআইএ আধিকারিকরা তা তদন্তে খুঁজে পেয়েছিল, যার ফলে আজকে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়।
আবগারি নীতি মামলায় অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারণের আবেদন খারিজ করে দিল দিল্লি হাইকোর্ট। এর আগেও অবশ্য এইরকম আরেকটি আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছিল দিল্লি হাইকোর্ট। আদালত এদিন বলেছে, এব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার এক্তিয়ার রয়েছে লেফটেন্যান্ট গভফর্নর এবং রাষ্ট্রপতির। এই অবস্থায় আদালত এব্যাপারে আদেশ দিতে পারে না বলে জানিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট।
তবে আদালত এব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছে। তারা বলেছে, কখনও কখনও ব্যক্তি স্বার্থের থেকে জাতীয় স্বার্থ বড়। তবে এই সিদ্ধান্ত অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি কাজ চালিয়ে যাবেন কিনা, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে কেজরিওয়ালকে। দিল্লি হাইকোর্টে এই আবেদনটি দাখিল করেছিলেন সমাজকর্মী ও হিন্দু সেনার জাতীয় সভাপতি বিষ্ণু গুপ্তা। তিনি আবেদনটি প্রত্যাহার করে বিষয়টি লেফটেন্যান্ট গভর্নররের সামনে বিষয়টি রাখবেন বলে জানিয়েছেন।
দিল্লি হাইকোর্ট এর আগে কেজরিওয়ালকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারণ করতে একটি জনস্বার্থ মামলা খারিজ করে দিয়েছিল। এই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন সুরজিৎ সিং যাদব নামে এক ব্যক্তি। এই সপ্তাহের শুরুতে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অজয় রাস্তোগি বলেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে কেজরিওয়ালের পদত্যাগ করা উচিত। কারণ তিনি উঁচু পদে রয়েছেন। তিনি যদি হেফাজতে থাকেন, তাহলে হেফাজতে থাকা ব্যক্তির পক্ষে অফিস চালিয়ে যাওয়া ভাল নয়। এব্যাপারে প্রাক্তন বিচারপতি অজয় রাস্তোগি লালু যাদব এবং হেমন্ত সোরেনের কথা উল্লেখ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, হেফাজতে থাকায়, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কোনও কাগজ নিয়ে যাওয়া যাবে না। তাঁকে দিয়ে স্বাক্ষর করানোও যাবে না।
প্রসঙ্গত, গত ২১ এপ্রিল ইডি গ্রেফতার করে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। সম্প্রতি, আদালত তাঁকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। ইডির অভিযোগ, দিল্লি আবগারি নীতিতে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছিল।
কলকাতার ওয়াটগঞ্জে প্লাস্টিকের ব্যাগে মহিলার ছিন্ন বিচ্ছিন্ন দেহাংশ উদ্ধারের ঘটনায় মৃতার ভাসুরকে গ্রেফতার করল পুলিস। বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টা ৪৫ নাগাদ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার নাম দুর্গা সরখেল। ধৃতের নাম নীলাঞ্জন সরখেল। তবে মৃতার স্বামীর খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি। এদিন ধৃত নীলাঞ্জন সরখেলকে আলিপুর পুলিস আদালতে পেশ করা হয়।
পুলিস সূত্রে খবর, ২০০৭ সালে বিয়ে হয় দুর্গার সঙ্গে ধনী সরখেলের। তাঁদের ১৬ বছরের একটি ছেলেও রয়েছে। দুর্গার স্বামী বেশ কয়েক বছর ধরে রিহ্যাবে থাকেন। গত রবিবার সকালবেলা ফিরে এসে বউকে মারধর করে। দুর্গার দেহ কাটাকাটি এবং প্লাস্টিকে ভরে ফেলে দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ ভূমিকা ছিল তাঁর ভাসুর নীলাঞ্জন সরখেল ও ননদের। আপাতত ননদকে ওয়ার্ডগঞ্জ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বেশ কয়েকদিন ধরে নিখোঁজ ছিল দুর্গা সরখেল। বিভিন্ন খবরের কাগজ এবং সংবাদ মাধ্যমে সেই খবর দেখে দুর্গার সরখেলের বাপের বাড়ির লোকজনেরা যোগাযোগ করেন ওয়েস্ট পোর্ট থানায়।
পুলিসের অনুমান, একাধিক ব্যক্তি এই খুনের সঙ্গে জড়িত রয়েছে। মহিলার বিরুদ্ধে পারিবারিক এবং আর্থিক কিছু বিষয়ে প্রায়শই বিরোধ ছিল। দুর্গার পেটে পাওয়া গিয়েছে অ্যালকোহলের নমুনা। প্রশ্ন উঠছে অ্যালকোহল দিয়ে বেহুশ করে খুনের পরিকল্পনা করেছিল স্বামী? বৃহস্পতিবার দুর্গার মৃতদেহ শনাক্ত করেন বাপের বাড়ির সদস্যরা।
ইতিমধ্যেই শাহজাহানকে শোন এরেস্ট করেছে ইডি। অন্যদিকে ইডির উপর আক্রমণের ঘটনায় হাত গুটিয়ে বসে নেই সিবিআই। একদিকে যখন আর্থিক দুর্নীতি, মাদক যোগ, জমি কেলেঙ্কারি, কিংবা মহিলাদের উপর নির্যাতনের ঘটনায় নাম জড়িয়েছে শাহজাহানের ঠিক তখনই ইডির উপর আক্রমণের ঘটনায় সিবিআইয়ের সক্রিয়তা ঘুম, উড়েছে সন্দেশখালির তৃণমূল নেতার। সিবিআই সূত্রের খবর, ইডির ওপরে হামলার ঘটনার তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে সিবিআই এর পক্ষ থেকে ফের সমন করা হলো একাধিক ব্যক্তিকে। ভিডিও ফুটেজ খতিয়ে দেখে ও একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে একাধিক নতুন নাম খুঁজে পেয়েছে সিবিআই। এবার সেই সমস্ত ব্যক্তিকে ডেকেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সাবাই আধিকারিকেরা। ইডির আধিকারিকদের ওপরে হামলার ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িয়ে রয়েছে এমন বেশ কিছু ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে তাদেরকে সমন করা হয়েছে বলে সিবিআই সূত্র মারফত খবর।
ওদিকে গ্রেফতারির পর ইডির কাছে নত স্বীকার করল শেখ শাহজাহান। সূত্রের খবর, গত পাঁচই জানুয়ারিতে ইডির উপর আক্রমণের ঘটনায় ক্ষমাপ্রার্থী শেখ শাহজাহান। ইডিকে দেওয়া বয়ানে তিনি জানিয়েছেন হঠাৎ করেই ইডির তল্লাশিতে ভয় পেয়েছিলেন তিনি। গ্রেফতারের ভয় পেয়েছিলেন শেখ শাহজাহান। সেক্ষেত্রে তিনি তার অনুগামীদের ফোন করে তাদের সাহায্য নেন।
ইতিমধ্যে জমি দখল মামলায় ইডি হেফাজতে রয়েছেন শেখ শাহজাহান। আগামী ১৩ তারিখ পর্যন্ত তার ঠিকানা সিজিও কমপ্লেক্স। ইডির আধিকারিকরা মনে করছেন কম করে ৫০০ কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতি করেছে শেখ শাহজাহান। শুধুমাত্র জমি দখল নয় একাধিক দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে শাহজাহান। মাত্র কয়েক বছরে বিপুল পরিমান সম্পত্তির উৎস খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে ইডি। সূত্রের খবর, ইডির জেরায় কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি বিষয় স্বীকারোক্তি করলেও সম্পত্তির উৎস কোথায় জানতে চাইলে মুখে কুলুপ শেখ শাহজাহানের।
খড়দহ, টিটাগড় ও সোদপুরে একের পর এক ঘটে যাওয়া দুঃসাহসিক চুরির কিনারা করল পুলিস। গ্রেফতার করা হল তিন দুস্কৃতীকে। পুলিসের জেরায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।
দীর্ঘ বেশ কয়েকদিন ধরে খড়দহ রহড়া থানার অন্তর্গত বিভিন্ন এলাকা, টিটাগর ও সোদপুর ঘোলা এলাকায় বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগে অথবা বাড়িতে ঢুকে ওষুধ জাতীয় কিছু স্প্রে করে মানুষকে অচৈতন্য করে চুরির ঘটনা ঘটছিল। আর সেই চুরির ঘটনার তদন্তে নামে রহড়া থানার পুলিস ও ব্যারাকপুর পুলিস কমিশনারেটের গোয়েন্দা দফতরের আধিকারিকেরা। তদন্তে নেমে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে আশরাফুল নামে এক অভিযুক্তের খোঁজ পায় পুলিস।
অভিযুক্ত আশরাফুলকে জেরা করে পুলিস জানতে পারে, পার্ক সার্কাসের রিয়ান ও রিজা নাম দুই দুষ্কৃতী আশরাফুলকে বাইকে করে খড়দহ রহড়া থানার অন্তর্গত এলাকায় ছেড়ে দিয়ে যেত। এরপর রাতের অন্ধকারে আশরাফুল বিভিন্ন বাড়ির ছাদে উঠে কোথায় কী আছে তা দেখে আসত। তার ঠিক পরের পরের দিন চুরির অপারেশন চালাত। চুরির শেষে স্থানীয় একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকত আশরাফুল। সেই জায়গা থেকে রিয়ান ও রিজা বাইক নিয়ে এসে আশরাফুলকে নিয়ে চলে যেত পার্ক সার্কাসে।
সূত্রের খবর, চুরি যাওয়া সোনার গহনা রিয়ান ও রিজা নামে ওই দুই দুষ্কৃতী রুবি আনন্দপুর এলাকায় মোহিত কুমার নামে এক সোনার দোকানের ব্যবসায়ীকে বিক্রি করত। তারপর সোনার দোকানের মালিককে জেরা করে ও দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে রিয়ান ও রিজা নামের দুষ্কৃতিকে গ্রেফতার করে পুলিস। চুরির ঘটনায় ব্যবহৃত একটি স্কুটিও উদ্ধার করে পুলিস।
গার্ডেনরিচে বেআইনি বহুতল বিপর্যয়কাণ্ডে এবার ধৃত বেড়ে তিন। সোমবার গ্রেফতার করা হল রাজমিস্ত্রি কিংবা শ্রমিক ঠিকাদারকে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম শেখ রিপন। মূলত রাজমিস্ত্রি এবং লেবার কন্ট্রাক্টর হিসেবে কাজ করতেন তিনি। অভিযোগ, গার্ডেনরিচ আবাসন তৈরীর জন্য় নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছিল। আর সেই সমস্ত নিম্নমানের সামগ্রী সরবরাহ করেছিলেন অভিযুক্ত শেখ রিপন।
এর আগে গার্ডেনরিচে বহুতল ভেঙে বিপর্যয়ের ঘটনায় ওই বহুতলের প্রোমোটার মহম্মদ ওয়াসিমকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিস। এরপর যে জমির উপর ওই বহুতলটি তৈরি হচ্ছিল, সেটির মালিক মহম্মজ সরফরাজ ওরফে পাপ্পুকেও গ্রেফতার করা হয়।
সপ্তাহখানেক আগেই কলকাতার গার্ডেনরিচে ভেঙে পড়ে বহুতল। আর তাতে প্রাণ হারায় ১২ জন। ঘর-বাড়ি হারিয়ে সর্বহারা হয়েছেন অনেকে। আর তারপর থেকেই উঠে আসছে শহরে একাধিক বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ। এরপর বেআইনি নির্মাণ নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে কলকাতা পুরসভা।
প্রকাশ্য রাস্তায় খুনের ঘটনায় দিনের পর দিন বাড়াচ্ছে মানুষের আতঙ্ক। এবার ইঁট দিয়ে মাথা থেঁতলে খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে এল খাস শহর কলকাতার বুকে, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে। খুন করা হয় বছর ২৬-এর যুবক, ফুটপাতে বসবাসকারী সঞ্জয় মল্লিককে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত সুমিতকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
অভিযোগ, আমচকা একটি ভারী পাথর দিয়ে সঞ্জয়ের মাথায় আঘাত করে সুমিত। গুরুতর জখম হন সঞ্জয়। ঘুমের মধ্যে লাঘাতার মাথায় আঘাত হওয়ায় তা ভয়ানক রূপ নেয়। তৎক্ষণাৎ স্থানীয় বাসিন্দারা আসেন, সঙ্গে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিসরাও। হাসপাতালে নিয়ে গেলে ওই যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। ঘটনায় আতঙ্কিত অন্যান্য ফুটপাত বাসিন্দারাও।
যদিও পুলিস সূত্রে খবর, রাতেই পুলিসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। সুমিতকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, সুমিত অ্যাপ ক্যাবে করে সেখানে আসে। এসে আঘাত হানে সঞ্জয়ের ওপর। কেন এই খুন? নেপথ্য কাহিনী কী? বের হবে তদন্তে। তবে, কলকাতার মধ্যে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের মতো ব্যস্ততম জায়গায় প্রকাশ্যে এমন খুন, কলকাতাবাসীর নিরাপত্তা, সুরক্ষা নিয়ে ভাবাচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
লোকসভা ভোটের আগে আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেফতার তৃণমূল নেতা। মুর্শিদাবাদ জেলার বড়ঞা ব্লকের সুন্দরপুর এলাকায় পুলিসের জালে ধরা পড়ে ওই নেতা। তল্লাশি চালিয়ে তাঁর বাইকের টুল বক্স থেকে উদ্ধার হয় আগ্নেয়াস্ত্র। জানা গিয়েছে, ধৃত ওই তৃণমূল নেতার নাম রিপন শেখ। আজ, মঙ্গলবার ধৃতকে পাঁচ দিনের পুলিসি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে কান্দি মহকুমা আদালতে পাঠিয়েছে বড়ঞা থানার পুলিস।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ সোমবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হলদিয়া ফরাক্কা রাজ্যসড়কের উপর নাকা চেকিং চালায় বড়ঞা থানার পুলিস। সেই সময় সন্দেহজনক একটি বাইক আটক করে তল্লাশি চালিয়ে টুল বক্স থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এরপর অভিযুক্ত ওই তৃণমূল নেতাকে আটক করে বড়ঞা থানার হেফাজতে রাখেন এবং জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করে। এদিন ধৃতকে কান্দি মহকুমা আদালতে পাঠিয়েছে পুলিস।