হাতে আর মাত্র এক দিন। সোমবার থেকেই শুরু হতে চলেছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। আর এই অধিবেশনে যে মহুয়া মৈত্রের ইস্যু মূল কেন্দ্রবিন্দু হতে পারে, তা কিছুটা আন্দাজ করাই যাচ্ছে। সোমবারের এই অধিবেশনের আগেই নিয়মমাফিক সর্বদল বৈঠকে করলেন সংসদ বিষয়কমন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী। এই সর্বদল বৈঠক থেকেই মহুয়া মৈত্রের সাসপেনশন নিয়ে সংসদে আলোচনা চাইল তৃণমূল।
টাকা নিয়ে সংসদে প্রশ্ন করা ইস্যুতে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা। ফলে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের সাসপেনশন নিয়ে সংসদে আলোচনা চাইল তৃণমূল কংগ্রেস। মহুয়া মৈত্রর সাসপেনশন সম্পর্কিত এথিক্স কমিটির রিপোর্ট কীভাবে প্রকাশ্য মিডিয়ায় চলে এল, এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন সর্বদলীয় বৈঠকে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ডেরেক ও'ব্রায়েন এই বক্তব্য পেশ করেন।
জানা গিয়েছে, ৪ তারিখ অর্থাৎ সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে প্রথম দিনই এথিক্স কমিটির রিপোর্ট লোকসভায় পেশ করতে পারেন স্পিকার ওম বিরলা। ফলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ৪ ডিসেম্বরই লোকসভায় নির্ধারিত হতে পারে মহুয়া মৈত্রর সাংসদ পদের ভাগ্য।
আগামী ৪ সেপ্টেম্বর বিধানসভায় পেশ হতে পারে ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’-এর প্রস্তাব। ওই দিনই ঠিক হয়ে যেতে পারে রাজ্য সঙ্গীতও। আগামী মঙ্গলবার নবান্নে এক সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সম্প্রতি বিধানসভার বৈঠকে ১ বৈশাখ ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ হিসেবে পালন করার সুপারিশ করা হয়। সেই সুপারিশে চূড়ান্ত অনুমোদন দেবেন মুখ্যমন্ত্রী, তা-ও সিদ্ধান্ত হয়। আর সেই অনুমোদন পাওয়ার পরেই সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছেন মমতা। ওই দিনই ঠিক হয়ে যেতে পারে রাজ্য সঙ্গীত।
তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়াও এই বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ পেয়েছে বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএম-সহ বামফ্রন্টের শরিক দলগুলিও। সেখানেই পশ্চিমবঙ্গ দিবস কবে, তা ঠিক করা হবে। ৪ সেপ্টেম্বর বিধানসভায় বাদল অধিবেশন শেষ হচ্ছে। অধিবেশনের শেষ দিনেই এ বিষয়টি চূড়ান্ত করে ফেলতে চাইছে রাজ্য সরকার।