Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

WorldCup2022

Messi: বিশ্বকাপ অতীত, এসেছে নতুন বছর! কবে ক্লাব ফুটবলে নামছেন লিওনেল মেসি

প্রসূন গুপ্ত: একটাই স্বপ্ন ছিল আর্জেন্টিনা অধিনায়ক মেসির, কোনও একদিন বিশ্বকাপটি তাঁর হাতে ওঠে। স্বাভাবিক, বিশ্বসেরা তিন খেলোয়াড়ের মধ্যে সদ্য প্রয়াত পেলেকে বলা হয় সম্রাট, মারাদোনাকে রাজপুত্র এবং মেসিকে সুলতান বা রাজা। সমকালীন অনেক খেলোয়াড়ই এই তিন কিংবদন্তির সময়ে ছিলেন। কিন্তু এঁরা বিখ্যাত হয়েছেন একক শক্তিতে বা পায়ের জাদুতে দর্শকের ভোটেই। পেলে একমাত্র ফুটবলার, যিনি তিন-তিনবার বিশ্বকাপ পেয়েছেন।  মারাদোনা ১৯৮৬-তে এবং অবশেষে মেসি খেলোয়াড় জীবনের শেষ প্রান্তে এসে। ২০০৬ থেকে নিয়মিত বিশ্বকাপ খেললেও এতদিন লাগলো কেন মেসির, উঠছে এমন প্রশ্ন। আসলে আর্জেন্টিনার গাঁট জার্মানি দল। ৮৬-র ফাইনাল বাদ দিলে এই জার্মানি কতবার যে আর্জেন্টিনার মুখের গ্রাস কেড়ে নিয়েছে তা নিয়ে রেকর্ড বই ঘাঁটার দরকার নেই।  দুর্ভাগ্যের শিকার হয়েছেন ৯০-এ মারাদোনা, ২০১৪-তে মেসি।

১৯৮৬-র বিশ্বকাপ ফাইনালে নিয়মিত পায়ের জাদু দেখানো মারাদোনাকে বোতলবন্দি করে রেখেছিলো তৎকালীন পশ্চিম জার্মানি। কিন্তু তাঁকে লক্ষ্য রাখতে গিয়ে বাকিদের ঢিলে পরে যাওয়াতে শেষ পর্যন্ত আর্জেন্টিনা জিতেছিল। পরে ৯০-তেও ফাইনালে মারাদোনাকে আটকে দিয়েছিলো এই জার্মানিই। মেসির ২০০৬-০এ তেমন নাম ধাম ছিল না, কিন্তু উঠতি খেলোয়াড় ছিলেন তো বটেই। ২০১০-এ মেসির আর্জেন্টিনাকে জার্মানি কোয়ার্টার ফাইনালে ৪ গোল দিয়ে বিদায় করেছিল। ২০১৪-র ফাইনালে মেসিকে বল নিয়ে ড্রিবলিং বা পাসিং করতেই দেয়নি জার্মান ডিফেন্স। ফাইনালে অতিরিক্ত সময়ের ১১৩ মিনিটের মাথায় গোৎজের গোলে আর্জেন্টিনা ১ গোলে হারে।

এবারে মেসি বলেই দিয়েছিলেন, এটাই তাঁর শেষ বিশ্বকাপ। কাজেই ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের মতোই জানপ্রাণ লড়িয়ে সারা টুর্নামেন্ট খেললেন নেতার মতোই। অবশেষে ঐতিহাসিক ফ্রান্সের সঙ্গে দ্বৈরথে টাই-ব্রেকে জয় পায়ে মেসি বাহিনী।  ট্রফিতে পেলেনই সঙ্গে বিশ্বকাপ ইতিহাসে নামটিও তুলে ফেললেন। সেই রাতে ঘুমের সময়ে নাকি মেসি বিশ্বকাপটি সঙ্গে নিয়ে শুয়েছিলেন।

তাঁর ফেসবুকে সে ছবিই পোস্ট করেছিলেন। এরপর তাঁর ক্লাব ফ্রান্সের পিএসজিতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি বর্তমানে দেশে এবং এই সময়ে আর্জেন্টিনায় গ্রীষ্মকাল। সারা বছর শীতের দেশে থাকা মেসি গরমকাল উপভোগ করছেন স্ত্রী এবং ৩ পুত্রের সঙ্গে। এই ছবিও পোস্ট করেন মেসি দ্য গ্রেট।


one year ago
Argentina: আর্জেন্টিনার বিশ্বজয়, প্রতিজ্ঞা রক্ষা করতে সন্তের সমাধিতে তাপিয়া

বিশ্বকাপ (World Cup 2022) জিতেছে আর্জেন্টিনা (Argentina। ৩৬ বছরের শাপমোচনের পর বাঁধভাঙা উৎসব চলছে। একইসঙ্গে চুঁইয়ে বেরিয়ে আসছে ছোট্ট ছোট্ট নানান গল্প। বিশ্বকাপ ঘরে তুলতে মাঠের প্রস্তুতিতে কোনও ফাঁক রাখেননি কোচ স্কালনি। মাঠের বাইরে নিজেদের মতো করে শপথ নিয়েছিলেন কর্তা আর ফুটবলাররা।

মেসিদের শুভেচ্ছা জানিয়ে মানত করে রেখেছিলেন আর্জেন্টিনা ফুটবল সংস্থার প্রধান ক্লদিও তাপিয়া। সান হুয়ানে জন্ম তাঁর। সন্ত দিফুনতা কোরিয়ার সমাধি রয়েছে সান হুয়ানে। তাপিয়া সন্তের ভক্ত। প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, মেসিরা কাপ জিতলে বিশ্বকাপের ট্রফি নিয়ে সেখানে যাবেন। কাপ এসেছে। মানত পূরণ করতে সমাধি ঘুরে এলেন তাপিয়া। বিশ্বকাপ ট্রফি স্পর্শ করিয়ে নিয়েছেন সমাধিতে।

মিডফিল্ডার পালাসিও-কে নিয়ে গিয়েছিলেন তাপিয়া। বেদিতে ট্রফি স্পর্শ করানোর সময় তাপিয়া বলেছেন, "ভালোবাসা আর আনুগত্য কাজের মাধ্যমেই প্রমাণ করতে হয়।" পরে সান হুয়ানের মেয়রের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তাঁরা। ২০২১-এ কোপা আমেরিকা জেতার পরেও এই বেদিতে এসেছিলেন আর্জেন্টাইন ফুটবল প্রধান। দিফুনতার সমাধিতে যাওয়ার ছবি নিজেই টুইট করে দিয়েছেন তাপিয়া।

one year ago
Messi: স্বপরিবারে বড়দিন উপভোগ করছেন মেসি, দেখে নিন নেটমাধ্যমে ভাইরাল সেই ছবি

মেসির হাতে বিশ্বকাপ (World Cup 2022)। কোটি কোটি ভক্তের হৃদয়ের টাইমলাইনে চিরিকালীন হয়ে থাকবে নীল-সাদার বিশ্বকাপ জয়ের ছবি। আন্দাজ করাই গিয়েছিল বড়দিনের উৎসব এবার বেশ জমিয়ে হবে বুয়েনস এয়ার্সে। রোজারিওর মেসির (Lionel Messi) প্রাসাদে বড়দিনের (Christmas Day) আনন্দ উপভোগ করতে সপরিবারে ছুটে এসেছিলেন লুই সুয়ারেজ (Luis Suarez)। রোজারিওর রাজকুমারের পারিবারিক ছবিও ভাইরাল হতে সময় লাগেনি। ক্রিসমাস পোশাকে বড়দিন উপভোগ করছেন লিও। রয়েছেন তাঁর স্ত্রী আর তিন সন্তান।

মেসি সম্পর্কে বিশ্ব ফুটবলে চেনা তত্ত্ব, যত বড় ফুটবলার, তত বড় মানুষ। বিনয়ী, আদ্যন্ত ফ্যামিলি ম্যান। ছোটবেলার বান্ধবী আন্তনেলা রাকুজ্জকে পরবর্তীকালে বিয়ে করেছেন। ২০০৯ সালে প্রথম তাঁদের সম্পর্ক প্রকাশ্যে আসে। লা লিগায় বার্সা-এসপানিওল ডার্বির পরে নিজেই ঘোষণা করেছিলেন ফুটবল রাজপুত্র। মেসি আর অন্তনেলার তিন সন্তান। থিয়াগো, মাতিও আর সিরো।


সুখের সংসারের ছবি কাতার বিশ্বকাপে দেখেছেন ভক্তেরা। শুধু তাই নয়। মায়ের ছবি নিজের হাতে ট্যাটু করে রেখেছেন মেসি। নিজের বন্ধু বৃত্ত সম্পর্কেও অত্যন্ত সচেতন লিও। উরুগুয়ের মেগাস্টার সুয়ারেজ অন্তরঙ্গ বন্ধু। সুয়ারেজের স্ত্রী সোফিয়া বালবি আবার মেসির স্ত্রীর ব্যবসার অংশীদার।। সেখানেও অটুট বন্ধুত্ব। সবমিলিয়ে মেসির পারিবারিক জীবনের গল্প কম আকর্ষণীয় নয়। বড়দিনে বেঁচে থাকুক পরিবারের গল্প। ঘরে ঘরে পূর্ণতা পাক ভালোবাসা।

one year ago


Messi: বড়দিনের আগে নতুন অতিথিকে নিয়ে সরগরম রোজারিও

রোজারিওর নতুন অতিথি কে জানেন? বড়দিনের আগে নতুন অতিথিকে নিয়ে সরগরম রোজারিও (Rosario)। আর্জেন্টিনায় লিও মেসির (Lionel Messi) জন্ম ওই রোজারিওর পাড়ায়। বিশ্বকাপ (World Cup 2022) জেতার পর দেশে ফিরেছে আর্জেন্টিনা দল। ডি মারিয়া, মার্টিনেজ, আকুনাদের স্বাগত জানাতে প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষ উপস্থিত ছিলেন বুয়েনস এয়ার্স রাজপথে। ভিড়ের চাপে কপ্টারে করে গন্তব্যে নিয়ে যাওয়া হয় ফুটবলারদের।

রোজারিওর কেন্টাকি কান্ট্রি ক্লাবে রয়েছেন মেসি ও পরিবার। বড়দিনে উৎসবের আগেই পরিবার সহ পৌঁছে গিয়েছেন লুই সুয়ারেজ। উরুগুয়ে ফুটবলার একটা সময় বার্সায় খেলতেন। মেসির ঘনিষ্ঠ বন্ধু। দুই পরিবার একসঙ্গে বড়দিন উদযাপন করবে। সবমিলিয়ে সেলিব্রেশন মোডে ঢুকে পড়েছে মেসির আঁতুরঘর।

পাশাপাশি এবার টেনিস তারকা নোভাক জকোভিচের শুভেচ্ছাও পেলেন আর্জেন্টাইন ফুটবলের জাদুকর। সার্বিয়ান টেনিস তারকা ফাইনাল দেখেছেন। বিনয়ী মেসি জুনিয়রদের রোল মডেল। তাই মেসি কাপ জেতায় খুশি জোকার। নিজে সৌজন্য দেখিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন লিও কে।

one year ago
World Cup: ছাব্বিশের বিশ্বকাপ ইউ এস, মেক্সিকো এবং কানাডায়! দেখুন সূচি

প্রসূন গুপ্ত: বিশ্বকাপ শেষ হয়ে যাওয়ার স্বাভাবিকভাবেই ক্রীড়াপ্রেমীদের মন খারাপ। বাঙালিদের বিশেষ করে দুর্গাপুজো আসার আগে বা চলাকালীন আপামর বাঙালি ভুলেই যায় তাদের নিয়মিত জীবনযাত্রা। আবার বিজয়ার মন খারাপ। স্লোগান ছিল আসছে বছর আবার হবে। বিশ্বকাপের আবেগ অনেকটাই তেমনই দুই বাংলার কাছে। এখনও মেসি-এমবাপেদের নিয়ে আলোচনা রয়েছে। কাতার বিশ্বকাপ দেখিয়ে দিয়েছে বিলাসবহুল টুর্নামেন্ট কাকে বলে।

অন্যদিকে আজকের বিশ্বকাপে সেরা বা কমজোরি ইত্যাদি শব্দগুলি বাতিলের খাতায় চলে গিয়েছে। আজকের ফুটবলে সবাই উনিশ-বিশ। অনেকেই দিন গোনা শুরু করেছে আগামী বিশ্বকাপের। আগামী বিশ্বকাপের ৪ বছর দেরি নেই, বরং সাড়ে তিন বছর বাদেই ফের হতে চলেছে। এবারে বহুদূরে ভারত থেকে। উত্তর আমেরিকায়। ইউনাইটেড ২০২৬ নামকরণে হবে বিশ্বকাপ। দায়িত্বে ইউএস, কানাডা, মেক্সিকো।

এই প্রথম তিনটি দেশ দায়িত্ব পাচ্ছে বিশ্বকাপের যা অভিনব। এর আগে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া যৌথ ভাবে ২০০২ এর বিশ্বকাপের আয়োজন করেছিল। খেলায় ৩২টি দল থাকতো, এবার থেকে ৪৮টি দল খেলবে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে ২-৪-৮-১৬-৩২ এই ভাবেই চূড়ান্ত দল ফাইনালে জয়ী জল। ৪৮এ কী ভাবে সম্ভব? তারও সমাধান করেছে ফিফা।

অতিরিক্ত ১২ দলকে নেওয়া হলেও ভাগাভাগি হবে অন্য ভাবে। সাধারণত ৮টি গ্রুপে ভাগ করে প্রতি গ্রুপ থেকে ২টি দলকে নক আউট পর্যায়ে অর্থাৎ প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে উন্নীত করা হতো। এবার ১৬টি গ্রুপ করা হচ্ছে। প্রতি গ্রুপে লীগ পর্যায়ে ৩টি করে দল নিজেদের মধ্যে ২টি করে ম্যাচ খেলবে এবং দুটি দল পরের রাউন্ডে উঠবে নক আউট পর্যায়ে খেলতে। সেখান থেকে যাবে ধাপে ধাপে ফাইনালে। ফিফার মতে এতে প্রথম রাউন্ডে সেরা দলগুলির চাপ কমবে। কিন্তু এতেও প্রতিবাদ উঠেছে। জার্মানির প্রাক্তন কোচ জোয়াকিম লো বলেছেন, আজকের দিনে সেরা কারা? সবাই তো সেরাটা দিতেই বিশ্বকাপে প্রি ওয়ার্ল্ড কাপ খেলে।

যদিও তিনটি দেশে খেলা ধার্য হয়েছে কিন্তু ব-কলমে আমেরিকার হাতেই থাকছে প্রধান খেলাগুলি। ১৬টি মাঠে খেলা হবে, তার মধ্যে আমেরিকাতেই ৬০টি খেলবে। মেক্সিকো- কানাডায় হবে দশটি করে ম্যাচ। ফাইনাল রাউন্ডের প্রায় সব খেলায় থাকবে আমেরিকার হাতে।

one year ago


Di Maria: 'ফাইনালে গোলও করবই', ম্যাচের আগেই স্ত্রীকে মেসেজ ডি মারিয়ার

ফাইনালে (World Cup 2022) তাঁর খেলা নিয়েই আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। চোটের জন্য গ্রুপ লিগের শেষ ম্যাচ খেলতেই পারেননি ডি মারিয়া (Di Maria)। কিন্তু ফ্রান্সের বিরুদ্ধে মেগা ফাইনালে ত্রাতা হয়ে উঠলেন সেই ডি মারিয়া। প্রথম গোলের সময় তিনি পেনাল্টি আদায় করে নিয়েছিলেন। দ্বিতীয় গোলের সময় তিনি নায়ক। দুরন্ত মুভমেন্ট ফিনিশ হয় ডি মারিয়ার বাঁ পায়ে। বিশ্বকাপ জেতার দু'দিন পর সাজঘর থেকে চুঁইয়ে বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

ফাইনালের ২৪ ঘণ্টা আগে এক হোয়াটস আপ বার্তায় স্ত্রী জর্জেলিনাকে সেলিব্রেশনের প্রস্তুতি নিতে বলেন ডি মারিয়া। এমনকি, স্ত্রীকে জানান ফাইনালে তিনি গোল করবেনই।  তিনি গোল করার ব্যাপারে নিশ্চিত। কোপা ফাইনালে গোল ছিল ডি মারিয়ার। আর ওয়েম্বলিতে ফিনালিসিমায় গোল ছিল তাঁর। আর্জেন্টিনা দল দেশে ফেরার পর একান্ত আলাপচারিতার কথা ফাঁস করেছেন ডি মারিয়ার স্ত্রী।

নিজের ওপর কতটা আত্মবিশ্বাস থাকলে এমন ভবিষ্যৎবাণী করা যায়! ডি মারিয়া সেটাই দেখালেন। হয়তো নিজের শেষ বিশ্বকাপ খেললেন এই তারকা। মেগাস্টার লিও মেসির ছায়ায় ঢাকা থেকেছেন দীর্ঘ সময়। কিন্তু নীল-সাদার ইতিহাসে ঝকঝকে রোদ্দুর এনে দেওয়ার অন্যতম কারিগর তিনি, ডি মারিয়া।

one year ago
Bengal: লাঠিবাজি হকি নয়, সব খেলার সেরা বাঙালির তুমি ফুটবল

প্রসূন গুপ্ত: খেলার হচ্ছে কাতারে (Qatar World Cup 2022), একমাত্র মহাদেশ ছাড়া  ভারতের সঙ্গে বিশ্বকাপের সম্পর্কজনিত কোনও কিছুর নামগন্ধ নেই। কিন্তু খেলা পাগল বাঙালি (Bengal means Football) দর্শকের সমর্থন কিন্তু টিভি সম্প্রচারকারীদের দরকার টিআরপি তোলার জন্য।  তবে শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয় সারা ভারত, বাংলাদেশ (India- Bangladesh) পাকিস্তান ইত্যাদি উপমহাদেশে টেলিভিশনের সব থেকে বেশি দর্শক। সুতরাং এ দেশগুলির সুবিধাজনক খেলা দেখার সময় ঠিক করছে ফিফা। এই একটি বিষয়ে ভারত বিশ্বচ্যাম্পিয়ন।

তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি খেলা পাগল দর্শক দুই বাংলাতে। লক্ষ্য করে দেখুন রাশিয়া এবং কাতারে ফাইনাল হয়েছে ভারতীয় সময় রাত ৮.৩০-এ। শহর কলকাতা থেকে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে জায়ান্ট স্ক্রিন লাগিয়ে খেলা দেখা হয়েছে। এই একটি বিষয়ে বৈরিতা নেই তৃণমূল বিজেপি বা সিপিএমে। কাল রাতে সব মিলেমিশে এক হয়ে গিয়েছিলো। তবে সবাই যে আর্জেন্টিনার সমর্থক এমন মোটেই নয়। ব্রাজিল বা জার্মানির সমর্থকরা কাল ফ্রান্সের জন্য গলা ফাটিয়েছে। কারণ লাটিন আমেরিকায় আর্জেন্টিনা আর ব্রাজিল খেলার মাঠে পরম শত্রু , তেমন সমর্থক বিচারে শত্রুতা এদেশেও।

এতদিন বাংলার ব্রাজিল সমর্থকরা দেখাতেন তাঁদের প্রিয় দলের ঝুলিতে পাঁচটি বিশ্বকাপ। ফুটবল বলতে পেলে, রোমারিও, রোনাল্ডো, রিভাল্ডো, রবার্তো কার্লস, কাকা এবং হালফিলের নেইমার। যদিও রবিবারের পর থেকে আর্জেন্টিনা সমর্থকরা বলা শুরু করবে তাঁদের প্রিয় দলের ঝুলিতে তিনটি বিশ্বকাপ। ফুটবল বলতে পাসারেল্লা, মারাদোনা, মেসি, ডি মারিয়া ইত্যাদি ইত্যাদি।

বাংলায় ফুটবলের কিছু পাগলপ্রেমী তো আছেই। বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের সচিব দেব সাহা আর্জেন্টিনার অন্ধ ভক্ত। সন্ধ্যাতেই সোশ্যাল নেটওয়ার্কে ছবি এবং লাইভ করে আর্জেন্টিনার জন্য গলা ফাটিয়েছেন। হুগলির ব্যবসায়ী অমল কুন্ডুর বোনের বিয়ে গেলো, ওসব উৎসব বাদ দিয়ে প্রথম থেকে হৈচৈ আর্জেন্টিনার জন্য।  বারাসতের সূর্যদের পারিবারিক বনভোজন ছিল প্রথম  থেকেই, কতক্ষনে বাড়ি ফিরবে তাঁর জন্য ছটফট করে খেলা শুরুর আগেই বাড়ি ফিরে মেসির জার্সি পরে চিৎকার ইত্যাদি। কাল শহর কলকাতার একাধিক মহল্লায় রাত পর্যন্ত বাজি পুড়েছে। নেপথ্যে ফুটবলের তথাকথিত ঈশ্বর মেসির হাতে কাপ ওঠা।

শিলিগুড়ির তৃণমূল/সিপিএম/ বিজেপির সমর্থকরা এককাট্টা হয়ে আর্জেন্টিনার জন্য গলা ফাঁটিয়েছে এবং সব থেকে গোড়া সমর্থক হিসাবে পত্র পত্রিকায় নাম কুড়িয়েছেন কলকাতার অমিত নাইয়া।  শনিবার থেকে নির্জলা উপোস।  খেলা শেষে দিশাহারা হয়ে পাগলের মতো ভ্যামস ভ্যামস করে চেঁচিয়ে পাড়া মাত করেছে।সোমবার এলাকার বাজারে লোকজনের একটিই কথা, উফ আর খেলা নেই।

আগে থেকেই বহু জায়গায় মাংস/ভাতের আয়োজন করা হয়েছিল। আর্জেন্টিনা ৩ গোল দিয়ে ৩ গোল খাওয়ার পর এদেরই অনেকে বলেছিলো, না জিতলে সব ফেলে দেব। বিরাটির মহারাজ মুখার্জি আবার বাড়িটিকেই নীল/সাদা করে মেসির ঢাউস এক ছবি টাঙিয়ে জয়ের উৎসব পালন করেছেন।

ভারত বিশ্ব ফুটবলের এই প্রতিযোগিতার ধারে কাছে নেই। আগামী ৫০ বছরেও যেতে পারবে কিনা সন্দেহ কিন্তু ফিফা জানে দর্শক তাদের এই ভারতেই নাকি দুই বাংলায়।

one year ago
Final: মেসির হাতেই বিশ্বকাপ, তবু দাগ কাটলো এমবাপে

কাতার বিশ্বকাপ (Qatar World Cup) ফাইনাল রাজ্যের ক্রীড়া ও বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের (Arup Biswas) চোখে। খেলা দেখে কী লিখলেন তিনি..

১৪ ঘন্টা কেটে গিয়েছে, এখনও ফাইনাল (World Cup Final 2022) জ্বরে আচ্ছন্ন সারা পৃথিবীর ফুটবলপ্রেমীরা। কী খেলাটাই দেখলাম রবিবাসরীয় রাতে। এরকম একটা ফাইনাল এর আগে কবে দেখেছি মনে করতে পারছি না। আমি একসময় মোহনবাগান ও ব্রাজিলের প্রচন্ড সমর্থক ছিলাম। কিন্তু মন্ত্রিত্বের দায়িত্বে আসার পর একেবারেই নিরপেক্ষ।

রবিবার রাতে আমার এলাকায় জায়ান্ট স্ক্রিন লাগিয়ে ফাইনালের (Argentina beats France) ব্যবস্থা করেছিলাম। বললে বিশ্বাস করবেন না প্রায় ৫ হাজার মানুষের ভিড় হয়েছিল। নানা পোশাকে, বিশেষ করে নীল-সাদা জার্সিতে এই ঠান্ডায় সব এসে উপস্থিত। একেক সময়ে ভাবি এই খেলা পাগল দর্শকের দেশ ভারত বা বাংলাদেশ, অথচ এখন থেকে কবে যে ফুটবলার উঠবে কে জানে।

অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন বা  এআইএফএফের ভাবনার বিষয়। যাই হোক, এবারে লিখি খেলা কেমন হলো! নিঃসন্দেহে প্রথম অর্দ্ধে অসাধারণ আর্জেন্টিনা। মুহুর্মুহু আক্রমণে কাহিল করে দিয়েছিলো ফ্রান্সকে। মনে হচ্ছিলো ফ্রান্স কি খেলা ছেড়ে দিলো? ডি'মারিয়া বাঁ প্রান্ত থেকে দুজন ফ্রান্স ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বক্সেঢুকেছে , অমনি ফাউল। আর্জেন্টিনার কোচের এবার টুর্নামেন্টে একটা বিশেষ স্ট্রাটেজিই ছিল বক্সে ঢুকে কাটাও, ড্রিবল করো, তোমাকে মারবেই এবং মারলেই পেনাল্টি। লক্ষ্য করে দেখা প্রায় প্রতি ম্যাচে আর্জেন্টিনা পেনাল্টি পেয়েছে এবং গোল করেছে মেসি। দ্বিতীয় গোলটি কয়েক মিনিটের মধ্যে ৫টি টাচ এবং বাঁ প্রান্ত থেকে ডি'মারিয়ার অসাধারণ গোল।

দ্বিতীয়ার্দ্ধে একসময় কোচ ডি'মারিয়াকে কেন তুলে নিলো বুঝলাম না। ও উঠে যাওয়ার পর ফ্রান্সের কোচ একে একে গ্রিসম্যান এবং জিরুডকে তুলে নেওয়ার পর ফ্রান্সের খেলার ঝাঁজ বাড়লো।  এই সময়ে আর্জেন্টিনা কি খেলায় একটু হালকা দিলো। এমবাপেকে অনেকটাই মাঠজুড়ে খেলতে দেখা গেলো।

এরপর বক্সের মধ্যে ধাক্কা এবং পেনাল্টি।  প্রথম গোল এমবাপের। কিছুক্ষণের মধ্যে দ্বিতীয় অসাধারণ মুভে ফের এমবাপেই গোল করলেন। এক্সট্রা টাইম, ফের খেলা ধরলো আর্জেন্টিনা এবং টাচ ফুটবলে ড্রিবল করে গোল পেলেন মেসি কিন্তু ওই কিছুক্ষণ। বক্সে হাতে বল লাগার জন্য ফের পেনাল্টি পেলো ফ্রান্স।

ফের গোল করলেন এমবাপে। শেষ পর্যন্ত টাই ব্রেকারের মাধ্যমে খেলা শেষ হলো। আর্জেন্টিনা টাই ব্রেকে অনেক সপ্রতিভ ছিল।  পরপর ৪টি গোল করলো মেসির দল কিন্তু এখানেই পিছিয়ে ফ্রান্স কারণ গ্রিসম্যান , জিহুর মতো খেলোয়াড় ছিল না যাঁরা পেনাল্টি বিশেষজ্ঞ।

ভালোই হয়েছে,  পেলে , মারাদোনার পর একটি নামই আসে বিশ্ব ফুটবলের সেরাদের মধ্যে তিনি জাদুকর মেসি। তাঁর হাতে কাপটি না উঠলে খারাপ লাগত। তবে মেসি হয়তো বিদায় নিলেন এবং দেখে গেলেন নতুন প্রজন্মের এমবাপে এসে গিয়েছেন আগামীর জন্য।

one year ago


Argentina: ৩৬ বছরের প্রতীক্ষার অবসান, ফ্রান্সকে হারিয়ে ওয়ার্ল্ড কাপ চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা

সাড়ে  তিন দশকের প্রতীক্ষার অবসান। ফ্রান্সকে টাই ব্রেকারে ৪-২ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। দিনের শেষে এই ট্রফি হয়তো বা মারাদোনাকে উৎসর্গ করবেন মেসিরা। কিন্তু বিশ্বকাপ ফুটবলের ইতিহাসের পাতায় এখন পেলে, মারাদোনা, জিদান, রোনাল্ডোর সঙ্গেই মেসির নাম ঢুকে গেল। ২০১৪-তে তীরে এসে তরী ডুবেছিল, কিন্তু 2022 মানেই ভামোস ভামোস আর্জেন্টিনা।

 লুসেইল স্টেডিয়ামে নাটকীয়, রোমহর্ষক ফাইনালে ১২০ মিনিট পর্যন্ত খেলার ফল ৩-৩। পেনাল্টিতে  দুটি গোলের পাশাপাশি ফ্রান্সের তৃতীয় গোলও এমবাপের ঝুলিতে। ১৯৬৬-র পর এই প্রথম কোন ফুটবলার ফাইনালে হ্যাট্রিক করলেন। ব্যস ওইটুকুই,  কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালের প্রথম ৮০ মিনিট দেশর ছেলেদের সঙ্গে দাপট রেখেই খেলেছে আর্জেন্টিনা। প্রথম ৭৫ মিনিট মাঠেই খুঁজে পাওয়া যায়নি এমবাপে, গ্রিজম্যানদের আক্রমণ।

প্রথম অর্ধেই ২-০ গোলে এগিয়ে যায় স্কালোনির দল। ম্যাচের ৬০ মিনিট পর্যন্ত ফ্রান্সের ঝুলিতে না ছিল কর্নার, না অফসাইড। বল পজেশন থেকে শুরু করে গোলমুখী শট এগিয়ে সেই নীল-সাদাই। আর্জেন্টিনার ৩ গোলের পিছনে অবদান মেসি ২ আর ডি মারিয়া ১। মেসির করা দুটি গোলের মধ্যে একটি আবার পেনাল্টি থেকে। কিন্তু ৮০ মিনিটের মাথায় ডি মারিয়াকে স্কালোনি তুলে নিতেই আক্রমণের ধার ভারে এমবাপের।

প্রথম ৯০ মিনিট শেষ হয় ২-২ গোলে। অতিরিক্ত সময় শেষ হয় ৩-৩ গোলে। অবশেষে ম্যাচের ভাগ্য লিখতে হয় পেনাল্টি শুটআউটে। কোয়ার্টার ফাইনালের মতো এই ম্যাচেও নায়ক আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক ই মার্টিনেজ। ফ্রান্সের দ্বিতীয় শট আটকে দিয়ে  চাপে ফেলে দেন এমবাপেদের। এরপর শুধু সময়ের অপেক্ষা, কারণ ফুটবল দেবতা বিশ্ব ফুটবলের এল এম -১০-কে নিরাশ করেনি। 

কাতার বিশ্বকাপ এই নামে খ্যাত হল আমি 'মেসিরই বিশ্বকাপ।' ঠিক যেভাবে ৯৪ রোমারিও, ৯৮ জিদান, ৮৬ মারাদোনা আর ২০২২ মানে লিওনেল মেসি। ৭৮,৮৬,২০২২ বিশ্বকাপের হ্যাটট্রিক এখন মারাদোনার দেশে।

one year ago
World Cup: বিশ্বকাপ ফাইনালের কাউন্টডাউন শুরু! মেসি না এমবাপে, কার হাতে উঠতে চলেছে কাপ?

মুন্নি চৌধুরীঃ বিশ্বকাপ ফাইনালের কাউন্টডাউন শুরু। আজ, রবিবার রাতে লুসেইল স্টেডিয়ামে হবে চলতি বিশ্বকাপের (Qatar World Cup 2022) মেগা ফাইনাল ম্যাচ। মেসি (Lionel Messi) না এমবাপে (Kylian Mbappe)? কাপ উঠবে কার হাতে? বিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন।

হাইভোল্টেজ ম্যাচের আগে নানা ফ্যাক্টর নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণে বসে পড়েছেন বিশেষজ্ঞরা। আর্জেন্টিনা শিবিরে যেমন হঠাৎ উদয় হয়েছেন সেরগিও আগুয়েরো (Sergio Leonel Agüero)। সম্পর্কে দিয়েগো মারাদোনার জামাই। নীল-সাদা জার্সিতে খেলতে খেলতেই হৃদযন্ত্রে সমস্যা ধরা পড়ে তাঁর। খেলা ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। আগুয়েরো ছিলেন লিও মেসির রুম পার্টনার। টিমের সঙ্গে খেলতে গেলে মেসির রুম পার্টনার হতেন তিনি। আগুয়েরো খেলা ছাড়ার পর নতুন কোনও ফুটবলার মেসির রুম পার্টনার হননি।

২০১০, ২০১৪ আর ২০১৮। তিনটে বিশ্বকাপে খেলেছেন তিনি। মেসির সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে সেরগিও-র। ফাইনালের আগে আর্জেন্টিনা শিবির উড়িয়ে নিয়ে এসেছে আগুয়েরোকো। আর্জেন্টিনা অনুশীলনে দেখা গিয়েছে তাঁকে। শুধু তাই নয়। মেসির সঙ্গে রুম ভাগ করে থাকবেন তিনি। সেই নিয়ম আদায় করে নিয়েছে আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশন। লিও মেসিকে তাজা রাখতে, মন ফুরফুরে রাখতে চেষ্টার ত্রুটি নেই। মারাদোনার জামাই কি গুড লাক নিয়ে আসতে পারবেন?

one year ago


Final: অন্তিম লগ্নে কাতার বিশ্বকাপ! সমাপ্তি অনুষ্ঠানে বলিউডের কে কোমর দোলাবেন, জানেন

কাতার বিশ্বকাপ (Qatar World Cup 2022) শেষ হচ্ছে ১৮ ডিসেম্বর, রবিবার। ভারতীয় সময় রাত ৮.৩০টা থেকে শুরু হবে ফাইনাল ম্যাচ, যুযুধান দুই দল ফ্রান্স-আর্জেন্টিনা (France-Argentina)। এই ম্যাচ যত না বিশ্বকাপ ফাইনাল, ততবেশি মেসি বনাম এমবাপে লড়াই। একদিকে, ফ্রান্সের কাছে পরপর দু'বার কাপ জেতার হাতছানি, অন্যদিকে ৩৬ বছর পর কাপ খরা কাটানোর সুযোগ নীল-সাদা ব্রিগেডের। পাশাপাশি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মতো সমাপ্তিও (Closing Ceremony) জমকালো করতে চায় ফিফা(FIFA)।

বিশ্ব ফুটবলের নিয়ামক সংস্থার বিবৃতি, ম্যাচ শুরু কাতারের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায়। অন্তত দেড় ঘণ্টা আগে অর্থাৎ বিকেল নাগাদ সবাইকে আসন গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। সমাপ্তি অনুষ্ঠান এতটাই জমকালো হবে যা সারা জীবন মনে থাকবে।

কারা কারা অংশগ্রহণ করবে, সেই তালিকাও দিয়েছে ফিফা। অডিওয় একটি গানের সংকলন চলবে, সেখানে ভিডিওয় থাকবে এই বিশ্বকাপের স্মরণীয় মুহূর্তগুলির কোলাজ। কাতার বিশ্বকাপের থিম সং ‘হায়া হায়া’ গাইবেন আমেরিকার গায়ক ডেভিডো এবং আইশা। এই অনুষ্ঠানে পারফর্ম করবেন বলিউডের ডান্স ক্যুইন নোরা ফাতেহিও। ‘লাইট দ্য স্কাই’ গানের সঙ্গে নাচবেন তাঁরা। বলিউডে বহু সিনেমায় আইটেম গানের সঙ্গে নাচ করেছেন নোরা।

one year ago
Cup: ধর্ম বর্ণ যার যার বিশ্বকাপ ফুটবল সবার! বিশ্বকাপ মৈত্রী-প্রীতির উৎসব

কাতার বিশ্বকাপ তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শুভাশিস চক্রবর্তীর চোখে। কী লিখছেন তিনি 

এই সেদিন বিশ্বকাপ শুরু হলো আর এর মধ্যেই রবিবার শেষ হবে এই উৎসব। ফের ৪ বছর বাদে আমেরিকা মহাদেশের মার্কিন যুক্তরাজ্য, কানাডা এবং মেক্সিকোতে আয়োজন হবে পরের ফুটবল বিশ্বযুদ্ধ। মনটা খারাপ লাগে, সোমবার থেকে ফের রাতে দ্রুত টিভির সামনে বসার দরকার নেই। কোথাও ফাঁকা লাগবে বারবার। যদিও আমরা রাজনীতির মানুষ এবং আমাদের সারা বছর সংগঠন থেকে জনসেবামূলক কাজেই ব্যস্ত থাকতে হয়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার তৃণমূল দলের সভাপতি হিসাবে অনেক কাজ। সামনে আবার পঞ্চায়েত নির্বাচন, তবুও ব্যস্ততার মধ্যে মনটা উদাস লাগবে বেশ কিছুদিন। ২০২২-র বিশ্বকাপের স্মৃতিতে, খেলা গেলো বটে। সারা বিশ্বের ৩২টি বাছাই করা দল এসে কী খেলাটাই না খেললো।

এক আয়োজক কাতার ছাড়া প্রতিটি দলই তাদের সেরা উপহার দিয়েছে। আসলে ৩২টির মধ্যে ১টি দলই 'সোনার ফিফা কাপ'টি পাবে। বাকিরা ফের প্রস্তুতি নেবে চার বছরের জন্য। দেখুন কে কোন দলের সমর্থক তা নিয়ে তর্কের প্রয়োজন নেই। কেউ ব্রাজিল, কেউ আর্জেন্টিনা বা ফ্রান্স। আবার কেউ আফ্রিকার দামাল ছেলেদের কামাল করা মরক্কোর সমর্থক ছিল, থাকতেই পারে। আমাদের ভারত বিশ্ব ফুটবলে নেই এটা যথেষ্ট ভাবনার। এতো আইএসএল খেলা হচ্ছে তারপরেও খেলোয়াড় উঠে আসছে না কেন? বিশ্বকাপ ফুটবল একটি ধর্ম-বর্ণের ঊর্ধ্বে থাকা একটি উৎসব। লক্ষ্য করে দেখুন একটা সময়ে বর্ণ সংকট মাথাচাড়া দিয়েছিলো বিশ্বের শ্বেতাঙ্গদের দেশে। কিন্তু আজকের ফুটবলের দিকে তাকান।

এখানে বর্ণ মানে না কেউই। ফ্রান্স দলটার মধ্যে ৭-৮টি খেলোয়াড় কৃষ্ণাঙ্গ এবং এদের বেশিরভাগ ইসলাম ধর্মের। একটি গোল হলে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে আনন্দর তুলনা হয় কখনও? মরক্কো তিউনেশিয়া দলটি ইসলাম ধর্মের আফ্রিকা জাত অথচ দিব্বি শ্বেতাঙ্গদের প্রশংসা পেলো তারা। আমরা বলি, ধর্ম যার যার কিন্তু উৎসব সবার। এই বিশ্বকাপ দেখে বলতে হয় "ধর্ম বর্ণ যার যার, কিন্তু ফুটবল সবার।" (অনুলিখন: প্রসূন গুপ্ত)

one year ago
Ronaldo: রোনাল্ডোর সঙ্গে দ্বন্দ্ব না ব্যর্থতা! পর্তুগাল কোচের পদ ছাড়লেন স্যান্টোস, উত্তরসূরি কে?

বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্ন থেকে ছিটকে গিয়েছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো (Cristiano Ronaldo)। মরক্কোর বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনালে শেষ ম্যাচটি খেলেছিল সিআর সেভেন-এর দল। যদিও সেদিন প্রথম একাদশে স্থান পাননি রোনাল্ডো। বিশ্বকাপ (World Cup 2022) অভিযান শেষ হতেই পর্তুগাল কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন ফার্নান্দো স্যান্টোস (Fernando Santos)। সরকারিভাবে এখনও এই খবর ঘোষণা করেনি। তবে পর্তুগিজ ফুটবল সংস্থা সূত্রে এমনটাই খবর পাওয়া যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, নতুন কোচ হওয়ার  দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন হোসে মোরিনহো। আর হোসে ছিটকে গেলে বা বাদ পড়লে পাওলো ফনসেকার দায়িত্বে আসা কার্যত নিশ্চিত। এছাড়া কোচ হওয়ার রেসে আরও অনেকে রয়েছেন। রুই জর্জ, আবেল ফেরেরা, রুই ভিতোরিয়া এবং জর্জ জেসুস রয়েছেন। তবে যত দূর শোনা যাচ্ছে, সকলের প্রথম পছন্দ মোরিনহো। কারণ, তিনি জন্মসূত্রে পর্তুগিজ হওয়ায় বাড়তি সুবিধা রয়েছে। অন্যদিকে, তিনি ক্লাবস্তরে ফুটবল কোচ হিসেবে বেশ জনপ্রিয়। তাঁর সাফল্য সকলের নজর কেড়েছে। আবার রোনাল্ডোর সঙ্গেও ভালো সম্পর্ক বলে শোনা গিয়েছে। যদিও অনেকে মনে করছেন, তিনি ক্লাবস্তর ছেড়ে জাতীয় স্তরের দায়িত্ব নিতে অনীহা প্রকাশ করবেন।

এখন সকলের মনে একটাই প্রশ্ন, তবে কি রোনাল্ডোর সঙ্গে অন্তর্দ্বন্দ্বের জেরে সান্তোসের এই সিদ্ধান্ত? নাকি মরক্কোর বিরুদ্ধে হার মেনে নিতে না পেরে নিজেই পদত্যাগ করলেন? 

one year ago


Final: বিশ্বকাপে ২০০৬ থেকে তিনি বল পায়ে দৌড়চ্ছেন, তাই এবার কাপটা আসুক বিশ্বসেরা মেসির হাতে

কাতার বিশ্বকাপ শিক্ষাবিদ এবং সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য সত্যম রায়চৌধুরীর চোখে

যাবো যাবো করেও এবার বিশ্বকাপে যাওয়া হল না। এর আগে অনেকগুলো বিশ্বকাপের খেলা মাঠে বসে দেখেছি কিন্তু কাতার থেকে পুত্রের কাতর আবেদন ছিল যে, এই অসাধারণ ফুটবল দেখতে অন্তত একবার এসো। আসলে বর্ষশেষে আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং ইনস্টিটিউটগুলিতে সেমিস্টারের পরীক্ষা চলছে, ম্যানেজমেন্টের পরীক্ষাও আছে। এই সময় যাই কী করে? যাই হোক আমার যাওয়া না যাওয়াতে বিশ্ব ফুটবল থেমে থাকবে না। দারুন আকর্ষণীয় ভাবে প্রায় একমাসব্যাপী চলছে বিশ্ব ফুটবলের আসর। আমাদের পরিবারে সকলেই আর্জেন্টিনার ভক্ত। চাই যে, কাপটা এবার অন্তত মেসির হাতে উঠুক। পেলে, মারাদোনার পর সুপারস্টার তো মেসিই। আগের দুজনের হাতে বিশ্বকাপ এসেছিলো কিন্তু মেসি বিশ্বকাপে খেলছেন ২০০৬ থেকে, এখনও কাপ অধরা।

বললাম বটে কিন্তু কাজটা কি এতো সোজা হবে? ফ্রান্স ইউরোপের সেরা দল। প্রতিটি পজিশনে দুর্দান্ত খেলোয়াড়রা দাপটের সঙ্গে খেলছেন। এর উপর জিরুড, এমবাপে, গ্রিজম্যান ত্রয়ীর মুহুর্মুহ আক্রমণ কতটা সামাল দিতে পারবে আর্জেন্টিনা? এই নিয়েও হাজারো প্রশ্ন রয়েছে। আমি রাশিয়া বিশ্বকাপে এমবাপের খেলা দেখেছি। উনি তখন ডিফেন্সে নেমে বল তৈরি করে দৌড়তেন। এবার প্রথম থেকেই তাঁকে বামমুখী আক্রমণ করতে দেখা যাচ্ছে। অন্যদিকে মেসি ডান দিক থেকে আক্রমণ শানান। অর্থাৎ দুই খেলোয়াড়ই এক প্রান্তিক। ফলে কে কাকে কতটা মার্কিং করে সেটাই দেখার। এটা সত্যি বড় খেলোয়াড়দের স্বাভাবিক খেলা খেলতে দেওয়া হয় না। কিন্তু পাশাপাশি অন্য খেলোয়াড়রা সেই সুযোগটা নেন।

এদিকে গ্রিজম্যান যেমন ভয়ঙ্কর পাস দেন তেমন আর্জেন্টিনাতেও আলভারেজ, ডি'মারিয়া আছেন আক্রমণে। আর্জেন্টিনার এবারে বেশ ভালো ডিফেন্স। দুই দলের দুই গোলরক্ষক মার্টিনেজ ও লরিস অসাধারণ, ফলে গোল করাটাও কঠিন। আমার মন বলছে কয়েকটা গোল দু দিক থেকেই হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত টাই ব্রেকে গেলে ভালো খেলার মজাটাই চলে যাবে। টাই ব্রেক অন্তত ফাইনাল চলে না।

আমাদের খুশি করতে পারেনি ১৯৯৪-এ ওভাবে ব্রাজিলকে চ্যাম্পিয়ন হতে কিংবা লাল কার্ড দেখে জিদান বেরিয়ে যাওয়ার পর ইতালিকে জিততে। খেলা হোক আনন্দের, নব্বই মিনিটেই চূড়ান্ত হয়ে যাক কাতার বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়নের নাম।  (অনুলিখন: প্রসূন গুপ্ত)

one year ago
Final: ফ্রান্স ফাইনালে কিন্তু বিশ্বকাপ উঠুক মেসির হাতে, চান সাংসদ প্রসূন

কাতার বিশ্বকাপ অর্জুন পদকপ্রাপ্ত সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোখে। কী লিখছেন তিনি

অসাধারণ খেলেও অভিজ্ঞতার অভাবে ফ্রান্সের স্ট্র্যাটেজির কাছে হার মানলো মরোক্কোর এক ঝাঁক বাচ্চা ছেলের লড়াই। কি খেলাটাই না খেললো! আমার মনে পড়ছে ২০০২-এর দক্ষিণ কোরিয়ার খেলা। অসাধারণ খেলে পর্তুগাল, স্পেন, ইতালির মতো ইউরোপ সেরা দলগুলোকে হারিয়ে শেষ পর্যন্ত জার্মানির পাওয়ার ফুটবলের কাছে হেরে গিয়েছিলো। বুধবার রাতের খেলা শেষে আমার ওই দিনটির কথা মনে পড়ছিলো। মরোক্কোকে কখনোই আমি ধর্তব্যের মধ্যে রাখিনি। কিন্তু যত খেলা এগিয়েছে আমি অবাক হয়ে এই তরুণ ব্রিগেডের খেলা দেখে মুগ্ধ হয়েছি। স্পেন থেকে পর্তুগাল হয়ে একের পর কঠিন বাধা পেরিয়ে তারা সেমিফাইনালে উঠেছিল। কিন্তু তাদের চিরায়ত আলট্রা ডিফেসিভ খেলা ছেড়ে হঠাৎ কেন প্রথম থেকেই আক্রমণে গেল বুঝতে পারলাম না।

ফ্রান্সের কোচ ধুরন্ধর দেশ আগের খেলা দেখে স্ট্র্যাটেজি পাল্টে ফেলেছিলেন। নিজেদের অর্ধে বারবার মরোক্কোকে আহ্বান করেছে ফ্রান্স। কোচ জানতেন, মরোক্কো কাউন্টার আক্রমণে ভয়ঙ্কর। অন্যদিকে এমবাপেকে বাঁদিকে না খেলিয়ে মধ্যভাগ দিয়ে আক্রমণ করানোর চেষ্টায় ছিলেন তিনি। মরোক্কো অবশ্যই এমবাপেকে আটকাতে বাঁ প্রান্তে খেলোয়াড় প্রস্তুত রেখেছিল, কিন্তু পরিবর্তনেই ঘাবড়ে গেল তারা। মরোক্কোর কোচ গ্রিজমান বা জিরুডকে লক্ষ্য করেননি। লেফট ব্যাক হার্নান্দেজ এসে গোল করলেন অনেকটাই এমবাপের গোলমুখী শট ডিফ্লেকট হয়ে বাঁদিকে যাওয়ার জন্য। ওখানে ৫ মিনিটের মধ্যে অসাধারণ বাঁ পায়ের সাইড ভলিতে গোল খেল তারা। এরপর মরোক্কো প্রচুর আক্রমণ করেছে। ইংলিশ লিগের সেরা গোলকিপার লরিস ছিলেন অদম্য, ভাগ্যও সঙ্গে ছিল তাঁর।

দ্বিতীয় গোলটিও এমবাপের গোলমুখী শট ধাক্কা খেয়ে ডান দিকে চলে গেলে মুয়ানি গোল করে যান। এমবাপের খেলা কিন্তু আগামীর সেরার ভবিষ্যৎ। যাই হোক দুই সেরা বিশ্বকাপ প্রাপক দল রবিবারে মুখোমুখি। ধনী দেশ ফ্রান্স কোটি-কোটি টাকা খরচ করে ফুটবলের পিছনে। এমব্যাপে পিএসজি দল ছেড়ে বিদেশে পা রাখতে গিয়েছিলেন, কিন্তু দেশের প্রেসিডেন্টের অনুরোধে ফ্রান্স ছাড়া হননি। এই একই দলে খেলেন লিও মেসি। একটাই তফাৎ খেলার মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে, তিনি বিশ্বসেরা মেসি। দেখো দু ধরণের খেলোয়াড় হয় প্রথমটি রোনাল্ডো, নেইমার বা কিছুটা এমবাপের মতো ইন্ডিভিজুয়াল স্কিলের ফুটবলার, যাঁরা নিজের খেলাটাই খেলেন। অন্যটি টিম প্লেয়ার। এতদিন আর যাই হোক আজকের মেসি কিন্তু টিম লিডার। তিনি শত বাধা পেরিয়ে প্রায় একক প্রয়াসে দলকে ফাইনালে তুলেছেন। এটাই তাঁর শেষ বিশ্বকাপ, তাই সেরা খেলাটি খেলছেন। বিপক্ষের অন্তত ৪ জন খেলোয়াড় তাঁকে জোনাল মার্কিং করছেন, কিন্তু সেই ফাঁক দিয়ে তিনি নিজে ৫টি গোল করেছেন এবং দলের অন্য খেলোয়াড়কে দিয়েও গোল করিয়েছেন। মারাদোনা, জিদানের পর এই একক শক্তিকে দেখছে বিশ্বও, যে দলকে টেনে তুলছেন। আমি তাই চাই দুরন্ত ফাইনাল হোক এবং কাপ উঠুক মেসির হাতে।

পেলে মারাদোনার পর বিশ্বসেরাদের তালিকায় একটাই নাম লিওনেল মেসি। ১৪০ কোটির দেশ ভারতে এখনও পর্যন্ত একটা ফুটবল টিম তৈরি হল না, তাঁর দায় কে নেবে? আমাদের দেশে অনেক ভালো ফুটবলার রয়েছে। তাঁদের ভালো খাবার, ভালো প্রতিনিধিত্ব দিলে একটা সেরা ফুটবল টিম তৈরি করা যেতই। (অনুলিখন: প্রসূন গুপ্ত)

one year ago