কৈখালিতে মধ্যবয়স্ক মহিলার রহস্যজনক মৃত্যু। ফ্ল্যাটের বাথরুম থেকে উদ্ধার নগ্ন রক্তাক্ত দেহ। ঘটনাস্থলে এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ। মৃত ওই মহিলার নাম রানী সুরানা। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সকালে। ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে দেহটি।
জানা গিয়েছে, কৈখালির সংহতি পার্ক এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে বুধবার সকালে রক্ত বেরোতে দেখা যায়। ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে স্থানীয়দের মধ্যে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ। ফ্ল্যাটের দরজা খুলে ভিতরে যান পুলিশ আধিকারিকরা। বাথরুম থেকে উদ্ধার হয় হাতের শিরা কাটা নগ্ন ওই মহিলার দেহ।
বাড়ির মালিক রিশা রায় জানান, মঙ্গলবার রাতে হাত কাটা অবস্থায় ওই মহিলা তাঁদের ফ্ল্যাটে গিয়েছিলেন। কিন্তু ঘটনাটি বুঝতে পারেননি তিনি। মৃত্যুর কারণ খুঁজতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
প্রায় একদিন নিখোঁজ থাকার পর কলকাতার এক সরকারি হাসাপাতালে (Kolkata Hospital) উদ্ধার প্রসূতির দেহ। মৃত আশিরা বিবির (Woman Mysterious Death) হাত বাঁধা ছিল এবং দেহের একাধিক অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, তাঁকে খুন করেছে হাসপাতালের কর্মীরা। এই বিষয়ে বেনিয়াপুকুর থানায় (Kolkata police) অভিযোগ দায়েরের পর দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে।
কিন্তু কেন এই খুনের অভিযোগ? পরিবার সূত্রে দাবি, বুধবার সন্দেশখালির সন্তানসম্ভবা আশিরা বিবিকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার তিনি সন্তান প্রসব করেন। আর রবিবার দুপুর থেকেই কোনও খোঁজ নেই মহিলার। হাসপাতাল কর্মীদের জিজ্ঞাসা করা হলে, তাঁদের জবাব রোগী নিজে থেকেই চলে গিয়েছে। পরিবারের লোকজন যেন আশিরা বিবির জিনিসপত্র নিয়ে যান। কিন্তু হাসপাতাল কর্মীদের এই কথায় সন্দেহ হওয়ায়, পরিবার নিজেই খোঁজাখুঁজি শুরু করে হাসপাতাল চত্বরে।
ব্যর্থ হয় জানানো হয় হাসপাতালের পুলিস আউটপোস্ট। প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর প্রসূতি বিভাগের পিছনে পিছমোড়া করে বাঁধা অবস্থায় আবর্জনার মধ্যে মুখ থুবড়ে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় ওই প্রসূতিকে। এদিকে, এই ঘটনার জয়ন হাসপাতাল কর্মীদের কাঠগড়ায় তুলেছে পরিবার। পাশাপাশি এদিন যখন সংবাদ মাধ্যম পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে যায়, তখন এক রহস্যজনক ব্যক্তির আবির্ভাব ঘটে। পরিবারের এক সদস্যকে রীতিমতো ধমকে চমকে পুলিস আউটপোস্টের ভিতর নিয়ে যায়। সংবাদ মাধ্যম তাঁর পরিচয় জানতে চাইলে নিজেকে মৃতার ভাই বলে পরিচয় দেন ওই রহস্যজনক ব্যক্তি।