
ফের সরকারি হাসপাতালে প্রসূতির মৃত্যু ঘিরে উত্তপ্ত। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে হাসপাতালের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নদিয়া কৃষ্ণনগরের শক্তিনগর জেলা হাসপাতাল চত্বরে। জানা গিয়েছে, রবিবার কোতয়ালি কুলগাছির বাসিন্দা বছর ২৩-এর পাপিয়া পারভিন সন্তান প্রসবের জন্য হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপর রবিবারই সন্তানের জন্ম দেন। সোমবার রাত ৮টা নাগাদ শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু হয় তাঁর। অভিযোগ, মৃত্যুর ঠিক ১০ মিনিট আগে পরিবারের কাছে রক্ত জোগাড় করার আবেদন জানায় হাসপাতালের তরফে। কিন্তু শেষ রক্ষা আর হয়নি। অকালেই মৃত্যু হয় পাপিয়ার। পরিবারের দাবি, সময় মত রক্ত কেন দেওয়া হয়িনি পাপিয়াকে? গাফিলতি না করলে হয়তো বাঁচানো যেত সদ্যোজাতের মাকে।
যদিও হাসপাতালের চিকিৎসকদের দাবি। বেশ কিছু জটিলতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন পারভিন। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ছিল না পাপিয়ার। যার জেরে হঠাৎই কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর।
খবর পেয়ে পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় কোতয়ালি থানার পুলিস। পরিবারের তরফে গাফিলতির অভিযোগ আনে হাসপাতাল সুপার ও কর্তব্যরত চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ দায়ের করা কথাও জানানো হয়। প্রশ্ন উঠছে, রোগীর শারীরিক অবস্থার হাল জেনেও কেন দ্রুততার সঙ্গে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ? একের পর এক হাসপাতালের বেহাল অবস্থার ছবি ধরা পড়ছে এরাজ্যে।
গলার নলি কাটা। ঝলসে গিয়েছে মুখ। কাকরোল ক্ষেতের মাঝে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পড়ে রয়েছে বছর কুড়ির এক তরুণী। দেহের পাশে চাপ চাপ রক্ত। শুকিয়ে তা জমাট বেধেছে। সাতসকালে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের (Indo-Bangladesh Border) গোবিন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত গুনরাজপুর গ্রামে তরুণীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ওই তরুণী বাংলাদেশি কিনা, তা নিয়েও ধন্দ রয়েছে। চাষিরা তড়িঘড়ি খবর দেয় স্বরূপনগর থানা পুলিসকে। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিস। যৌন নির্যাতন করা হয়েছে কিনা, তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সকালবেলা স্থানীয় চাষিরা ক্ষেতে কাজ করতে এসেছিলেন। তখন ক্ষেতের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই তরুণীকে পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। প্রত্যক্ষদর্শী এক মহিলা জানিয়েছেন, যুবতীর গলার নলি কাটা ছিল। তাঁর মুখও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মৃতদেহের পাশ থেকে একটি ব্যাগ, একটি ফেশওয়াশের বোতল, পেস্ট, লিপস্টিক পাওয়া গিয়েছে।
ওই তরুণী বাংলাদেশের বাসিন্দাও হতে পারেন বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। এখনও পর্যন্ত তরুণীর পরিচয় জানা যায়নি। তদন্তকারীরা মনে করছেন, প্রমাণ লোপাট করতেই মুখ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে স্বরূপনগর থানার পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালের পুলিস মর্গে পাঠিয়েছে।
রাতের খাবার খাওয়ার পর হাঁটতে বেরিয়ে অপহরণের পর গণধর্ষণের শিকার হলেন এক মহিলা (Woman)! এর পর তাঁকে বিবস্ত্র করে রাস্তায় ছেড়ে দিয়ে চলে যায় দুষ্কৃতিরা। এমনটাই অভিযোগ উঠেছে দুই যুবকের বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের (Rajasthan) ভিলওয়ারায়। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিস (Police)।
সূত্রের খবর, ভিলওয়ারার গঙ্গাপুর এলাকায় শনিবার রাতে খাবার খাওয়ার পর হাঁটতে বেরোন এক মহিলা। কিন্তু বাড়ি থেকে একটু দূরে যেতেই তাঁকে অপহরণ করে ও নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ দুই যুবকের বিরুদ্ধে। এখানেই শেষ নয়, মহিলা অভিযোগ করেছেন, এর পর তাঁর পোশাক নিয়ে সেখান থেকে চম্পট দেয় অভিযুক্তরা। ফলে নগ্ন অবস্থায় তাঁকে রাস্তা দিয়ে যেতে হয়। সে সময় স্থানীয়দের কাছে তিনি সাহায্য চাইলেও তাঁকে পাগল ভেবে কেউ সাহায্য করতে এগিয়ে আসেননি বলে জানিয়েছেন নির্যাতিতা। তার অনেকক্ষণ পরে স্থানীয়রা বিষয়টি বুঝতে পেরে এগিয়ে আসেন কয়েকজন। তার পর তাঁকে কিছু পোশাক দেন। সমস্ত ঘটনা শোনার পর পুলিসকে খবর দেওয়া হয় ও পরে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
পুলিস সূত্রে খবর, জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার বিমল সিং গঙ্গাপুরে পৌঁছে ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন। পুলিস জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে ভাঙা চুড়ি, আপত্তিকর কিছু জিনিস পাওয়া গিয়েছে। এই ঘটনার জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গঙ্গাপুর থানা এলাকা। অতিরিক্ত পুলিস সুপারের অফিসও ঘেরাও করেন স্থানীয়রা। অপরাধীদের শাস্তি দেওয়ার জন্য দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। এর পরই জানা গিয়েছে, নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতেই দুই অভিযুক্ত ছোটু (৪২) ও গিরধারি (৩০) নামের যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিস। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (Narendra Modi) একাধিক বিদেশ থেকে, এমনকি দেশ থেকেও অনেকে বিভিন্ন রকমের উপহার দিয়ে থাকেন। আর এবারে দেশেরই এক মহিলা প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিলেন রাখি (Rakhi)। তবে জানা গিয়েছে, এই রাখির এক বিশেষত্ব রয়েছে। জানা গিয়েছে, এই রাখিটি ফেলে দেওয়া সামগ্রী দিয়ে বানানো হয়েছে। ফলে তিনি আশাবাদীও যে, তাঁর বানানো এই বিশেষ রাখি প্রধানমন্ত্রী রাখি পূর্ণিমার শুভ দিন পরবেন।
দেশে যেমন তাঁর সমালোচক রয়েছেন, তেমনি তাঁর অনুরাগীও অনেক। দেশের একাধিক মহিলা আবার তাঁকে ভাই-দাদার স্থানও দিয়েছেন। এবারে ওড়িশার এক মহিলা তাঁকে দাদা মনে করে রাখী পূর্ণিমার আগেই রাখি পাঠালেন। জানা গিয়েছে, ওড়িশার কেন্দ্রপাড়ার বাসিন্দা হলেন কমলা মহারানা। তিনি ফেলে দেওয়া সামগ্রী দিয়েই বিভিন্ন ধরণের জিনিস বানান ও তিনি এক স্বনির্ভর গোষ্ঠীও চালান। প্রধানমন্ত্রীর ২৫ তম 'মন কি বাত' পর্বে তাঁর নাম নেন প্রধানমন্ত্রী। এরপরই তিনি তাঁর জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা রাখি পাঠালেন প্রধানমন্ত্রীকে।
কমলা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, 'ফেলে দেওয়া জিনিস কুড়িয়ে রাখি বানিয়েছি। ওই রাখিই আমার ভাইয়ের (প্রধানমন্ত্রী) কাছে পাঠিয়েছি। আমার অনেক ভালবাসা পাঠালাম ওনার জন্য। তিনি আরও বলেন, 'মন কী বাত অনুষ্ঠানে আমায় বোন সম্বোধন করেছেন তিনি। তাই এবারে বোনের দায়িত্ব পালন করেছি আমি। আমার বিশ্বাস উনি ওই রাখিটি পরবেন। খুব আনন্দ পাব।'
পাট পচানোর নয়ানজুলি থেকে উদ্ধার অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবতীর মৃতদেহ। শনিবার বসিরহাটের (Basirhat) বাদুড়িয়া থানার অন্তর্গত আটুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলঘরিয়া খোড়গাছি এলাকার ঘটনা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস এসে নয়ানজুলি থেকে ওই যুবতীর মৃতদেহ উদ্ধার করে। এরপর ওই যুবতীর মৃতদেহটিকে ময়না তদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর। অজ্ঞাত পরিচয় ওই যুবতীর মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ব্য়াপক চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
জানা গিয়েছে, এদিন সকালে ওই এলাকার এক চাষী নয়ানজুলিতে একটি মৃতদেহ ভাসতে দেখেন। এরপর তিনি সঙ্গে সঙ্গে গ্রামের লোকজন ডেকে আনেন। ঘটনাস্থল থেকেই খবর দেওয়া হয় বাদুড়িয়া থানায়, এরপর কাটিয়াহাট পুলিস ফাঁড়িতে খবর যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিস।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অনুমান, রাতের অন্ধকারে কেউ বা কারা ওই যুবতিকে মাঠে ফেলে দিয়ে গিয়েছে। তবে কি তাঁকে খুন করা হয়েছে নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে? এই পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস প্রশাসন। তবে এখনও পর্যন্ত ওই যুবতীর কোনও পরিচয় পাওয়া যায়নি। ওই যুবতীর নাম ও পরিচয় জানার চেষ্টা করছে পুলিস।
ইউটিউব (Youtube) দেখে প্রসব করানোর কৌশল শিখেছিলেন এক যুবক। আর সেই কৌশল প্রয়োগ করলেন নিজেরই স্ত্রীর উপর। আর এই কাণ্ড ঘটানোর পরই মর্মান্তিক পরিণতি। ঠিক মত প্রসব করাতে না পেরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয় স্ত্রীর। এমনটাই অভিযোগ সেই যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি তামিলনাড়ুর (Tamilnadu) কৃষ্ণগিরির।
সূত্রের খবর, তামিলনাড়ুর কৃষ্ণগিরির পুলিয়ামপাত্তির বাসিন্দা মাধেশ। তিনি তাঁর স্ত্রী লোগানায়াকির সঙ্গে বসবাস করতেন। এর পর তাঁর স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা হতেই তাঁর প্রসব তিনিই করাবেন, এমনটাই ভেবে রেখেছিলেন। এর পর তিনি তেমনটাই করলেনও। কিন্তু এতেই ঘটল বিপত্তি। জানা গিয়েছে, স্ত্রীর প্রসব করানোর জন্য বাড়িতেই ইউটিউব দেখে তার কৌশল শিখছিলেন। এর পর তাঁর স্ত্রীর যখন প্রসব ব্যথা ওঠে, সেসময় তিনি চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে বাড়িতেই তাঁর স্ত্রীর প্রসব করানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু এতেই মৃত্যু হল তাঁর স্ত্রী লোগানায়াকির।
পুলিস সূত্রে খবর, মাধেশ তাঁর স্ত্রীর প্রসব করাতে গেলে তিনি ভুল করে নাড়ি কাটতেই অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়ে যায়। এর পরই মাধেশ ঘাবড়ে গেলে প্রাইমারি হেলথ সেন্টারে নিয়ে আসেন। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়। তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এর পর প্রাইমারি হেলথ সেন্টারের মেডিক্যাল অফিসার রাথিকা মাধেশের বিরুদ্ধে পুলিস স্টেশনে মামলা দায়ের করেন। ভারতীয় দন্ডবিধির ১৭৪ নম্বর ধারার অধীনে মামলা রুজু করা হয়েছে।
বড় লরির ধাক্কায় মৃত্যু (Death) হল এক বৃদ্ধার। শনিবার সকালে এই ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের ইংলিশ বাজার থানার অন্তর্গত কাগমারি এলাকায়। ঘটনায় আটক করা হয়েছে ঘাতক লরিটিকে। জানা গিয়েছে মৃত বৃ্দ্ধার নাম সরজনী চৌধুরী (৫৫)। বাড়ি ইংলিশ বাজার থানার কাগমারি এলাকাতেই। অভিযোগ, সকাল ৮ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত রাস্তায় নো এন্ট্রি থাকার পরেও বেপরোয়া গতিতে লরি চলে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ইংলিশ বাজার থানার পুলিস এসে মৃত দেহটি উদ্ধার করে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে পূজোর জিনিস কিনতে বাজারে গিয়েছিলেন ওই বৃদ্ধা। এরপর তিনি পায়ে হেঁটে রাস্তা পার হচ্ছিল। ঠিক সেই সময় অপর দিক থেকে কালিয়াচক গামী একটি চোদ্দ চাকার দ্রুতগতিতে থাকা লরি ওই বৃদ্ধাকে ধাক্কা মারে। লরির ধাক্কায় ছিটকে গিয়ে পড়েন তিনি। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় ওই বৃদ্ধার। এরপর এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা বেশ কিছুক্ষণ বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। যদিও পরে ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ইংলিশ বাজার থানার পুলিস এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
চলন্ত ট্রেন (Train) থেকে ধাক্কা মেরে ফেলা দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মুম্বইয়ের (Mumbai) অন্যতম ব্যস্ত স্টেশন দাদর রেলওয়ে স্টেশনে (Dadar Railway Station)। সূত্রের খবর, ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে এক যুবক, এরপর বাধা দিতেই ট্রেন থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয় এক মহিলাকে। আহত অবস্থায় ওই মহিলাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই জিআরপি-তে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এফআইআর দায়েরের আগেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, এক মহিলা উদয়ন এক্সপ্রেসে ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ টার্মিনাস (সিএসএমটি) যাচ্ছিলেন। তিনি বসেছিলেন অসংরক্ষিত মহিলা কামরায়। এরপর সেই কামরাতেই রাত সাড়ে ৮ টা নাগাদ এক ব্যক্তি ওঠে। অভিযোগ, সুযোগ পেতেই সেই মহিলার ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তাকে বাধা দিলে হেনস্থা করে বলেও অভিযোগ করেছেন মহিলা। এরপর তাঁকে চলন্ত ট্রেন থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় অভিযুক্ত। পরে ট্রেন থেকে লাফিয়ে নেমে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত, দাবি মহিলার। এরপরই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অন্যদিকে সোমবার সকালেই তিনি জিআরপি-তে সেই যুবকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে দ্রুত তদন্তে নামে পুলিস। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করা হয়। তারপরেই গ্রেফতার করা হয় তাকে।
যুবতীর মন্ডুহীন দেহ উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বড়ঞায়। ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে মূল অভিযুক্তকে। পুলিস সূত্রে খবর, মৃল অভিযুক্তের নাম উজ্জ্বল কোনায়ক, বাড়ি মল্লিকপুর গ্ৰামে। শনিবার, মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থানার কল্যানপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বিছুর গ্ৰামে এই ভয়ঙ্কর ঘটনাটি ঘটেছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, বছর আঠারোর ওই যুবতীকে ধর্ষণের পর মাথা কেটে খুন করা হয়েছে। তারপর দেহ ফেলে দেওয়া হয় জঙ্গলে। কিন্তু, কোথায় কাটা মাথা ফেলা হয়েছে তাঁর খোঁজ মেলেনি। প্রেম ঘটিত কারণেই এই ঘটনা বলে পুলিস সূত্রে খবর। গোটা ঘটনার তদন্তে বড়ঞা থানার পুলিস।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে বিছুর গ্রামের রাস্তার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় নজরে পড়ে এক যুবতীর অর্ধনগ্ন নিথর দেহ। এরপর স্থানীয়রা সঙ্গে সঙ্গে খবর দেন থানায়। ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে বড়়ঞা থানার পুলিস এসে জলাশয় থেকে উদ্ধার করে ওই যুবতীর মৃতদেহটি। এরপর মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য় কান্দি মহকুমা হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিস। ইতিমধ্যে দেহ থেকে নিখোঁজ মাথাটি খোঁজাখুঁজি করতে শুরু করেছে পুলিস।
তবে এই নৃশংস ঘটনার পিছনে আর কেউ জড়িত ছিল কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিস প্রশাসন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নারী নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন।
বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিন সন্তানের মহিলা তথা পরিচারিকার (Woman) সঙ্গে সহবাস (Harassment)। এমনকি পরে ওই মহিলাকে জোরপূর্বকভাবে গর্ভপাত করানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে এক ব্য়ক্তির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহ (Malda) জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিতোল গ্রামে। এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে ওই মহিলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছেন অভিযুক্ত। এই নিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ব্য়ক্তির নাম তৈমুর রহমান (৮১)। নির্যাতিতা মহিলা ওই ব্য়ক্তির বাড়িতে কাজ করতেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নির্যাতিতা মহিলার স্বামী প্রায় দুই বছর ধরে দিল্লিতে কর্মরত ছিলেন। অভাবের সংসার। দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে তৈমুর রহমানের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করে কোনোরকমে দিন যাপন করতেন ওই মহিলা। আর সেই দারিদ্রতার সুযোগকে হাতিয়ার করে বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি ও টাকার প্রলোভন দেখিয়ে ওই মহিলার সঙ্গে একাধিকবার যৌন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন অভিযুক্ত তৈমুর।
নির্যাতিতার অভিযোগ, বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে তৈমুর রহমান তাঁর সঙ্গে একাধিকবার যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছেন। এর ফলে তিনি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছিলেন। আর সেই কথা জানতে পেরে বিয়ে করার কথা অস্বীকার করছে তৈমুর। পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বার কথা জানতে পেরে তৈমুরের ছেলে ও পুত্রবধূ জোরপূর্বক ভাবে ডাক্তারের কাছে গর্ভপাত করাতে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। তবে চিকিৎসকেরা গর্ভপাত করা যাবেনা বললে, ওই নির্যাতিতাকে তিন দিন ধরে লুকিয়ে রাখে অভিযুক্তর ছেলে ও পুত্রবধূ, এমনই অভিযোগ করেছেন নির্যাতিতা।
সৌমেন সুর: অফিস যাবার তাড়ায় সবেমাত্র খেতে বসেছি এমন সময় একটা মর্মান্তিক খবর পেলাম। পাশের বাড়ির মাসিমার একমাত্র মেয়ের মৃত্যু সংবাদ। মৃত্যুর কারণ পণের বলি। মুহূর্তে আমার চোখের সামনে ভেসে উঠলো- ইতিহাসাশ্রিত কয়েকটা ছবি আর মাসিমার মেয়ের জন্য সমবেদনা। সেই সঙ্গে মন থেকে কে যেন বলে উঠলো, হৃদয়হীন সমাজের এক নির্লজ্জ নারী নির্যাতনের নাম, পণপ্রথা। এই নির্যাতনের নিঃশ্বাসে আজও শোনা যায় বুকফাটা কান্না, আর কবিগুরুর নিরুপমার আর্ত চিৎকার।
বিবাহ নরনারীর এক চিরন্তন মঙ্গল অনুষ্ঠান। সেই মঙ্গল অনুষ্ঠানে এলো নির্মম প্রথাচার। পাত্রের হাতে কন্যাকে দান করে পিতা হয়ে পড়েন সর্বস্বান্ত- বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটা দেখা গেছে। পণপ্রথার নানা রূপ। সমাজ ও ধর্মের ভিত্তিতে তার ভিন্নতা। হিন্দু ধর্মের উচ্চ বর্ণে বর-পণ প্রথা প্রচলিত। সেখানে কন্যাদায়গ্রস্থ পিতা বর পণ দিয়ে দেউলিয়া হয়ে যান। আবার নিম্ন বর্ণে আছে কন্যা পণের চলন। সেখানে কন্যার পিতাকে কন্যাপণ দিয়ে ঘরে আনতে হয় নববধূকে। সমাজের চারিদিকে উড়ে চলেছে প্রগতির নিশান। তবু পণপ্রথা সমাজের কলঙ্ক। এই নির্মম প্রথার পাষাণ ফলকে আছে কত মেয়ের করুণ কাহিনী। আজও শোনা যায়, কত বুক চাপা সকরুণ কান্নার আওয়াজ, কত অশ্রুময়ী নারী দীর্ঘশ্বাস।
নারী আজ অনেক পরিণত। আপন ভাগ্য জয় করবার অধিকার পেয়েছে নারী। জ্ঞান বিজ্ঞানে, শিল্পে, সাহিত্যে, নারীর সর্বত্র জয় জয়কার। তবু পণপ্রথা আজ নারীর লজ্জা। পণপ্রথা আইন করে বদলানো যাবে না। যতক্ষণ না পর্যন্ত দৃষ্টিভঙ্গি সচেতন না হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত নির্যাতন নির্লজ্জের মত প্রকাশ থাকবে। তবে বর্তমানে বেশ কিছু মানুষ পণের বিরুদ্ধে। কিন্তু এদের সংখ্যা অনেক কম। বেশিরভাগই মেয়ে এই প্রথার বলি হচ্ছে। প্রয়োজন আমূল সংস্কারের। আমাদের জন্য অপেক্ষা করে আছে নতুন পৃথিবী, নতুন জীবন। সেখানে থাকবে না নিকৃষ্ট পণের ছোবল। থাকবে মিলিত যুবক-যুবতীর কন্ঠ, "পণ দেবো না, পণ নেবো না।
এক বৃদ্ধাকে ধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। রবিবার, এই ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের সাঁইথিয়া থানার বনগ্রাম গ্রামের মথুরাপুর গ্রামে। পুলিস সূত্রে খবর, মৃতের (Dead) নাম ভাগ্যবতী বাইন। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সাঁইথিয়া থানার পুলিস এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে সিঊরি হাসপাতাল ময়না তদন্তে পাঠায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বৃদ্ধা একাই বাড়িতে থাকতেন। এদিন সকালে প্রতিবেশীরা দেখতে পান প্রায় নগ্ন অবস্থায় মুখে গামছা বাঁধা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। স্থানীয় ও আত্মীয়দের দাবি তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এরপর খবর দেওয়া হয় পুলিসকে। খবর পেয়ে সাঁইথিয়া থানার পুলিস তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে সিঊরি হাসপাতাল ময়না তদন্তে পাঠায়। এই পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সাঁইথিয়া থানার পুলিস। এই ঘটনার নিন্দা করে ঘটনাস্থলে যাচ্ছে বিজেপি জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা।
স্বামী এবং পুত্রদের বিরুদ্ধে পুলিসে মামলা দায়ের প্রতিবাদে ৬০ ফুট উঁচু বিদ্যুতের খুঁটিতে উঠে পড়লেন এক বৃদ্ধা (old woman)। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে হরিয়ানার (Haryana) ফরিদাবাদে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় পুলিস (police) ও দমকল বাহিনী।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২১ মে প্রাক্তন কাউন্সিলর বিজেন্দর শর্মার ভাইদের মারধরের অভিযোগে সতবীর ভাটি এবং তাঁর পুত্রদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা দায়ের করা হয়। এই ঘটনায় অন্য অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হলেও মূল অভিযুক্ত সতবীরকে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করেনি পুলিস। এরপর সোমবার ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ দিল্লি-মুম্বই এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণস্থলের কাছে সেক্টর ২৯ এলাকায় একটি বিদ্যুতের খুঁটিতে উঠে পড়েন সতবীরের স্ত্রী। যদিও ওই খুঁটিতে বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল না।
জানা গিয়েছে, রাস্তা নির্মাণকারী সংস্থার এক নিরাপত্তারক্ষী ওই বৃদ্ধাকে প্রথমে দেখতে পান। তার পরই তিনি সংস্থার সুপারভাইজারকে খবর দেন। পরে খবর দেওয়া হয় পুলিস ও দমকলকে। মাইক নিয়ে মহিলাকে নীচে নামানোর চেষ্টা চালায় পুলিস। এফআইআর থেকে স্বামী এবং পুত্রদের নাম বাদ দিতে হবে, তা না হলে তিনি নামবেন না— এমন দাবিতে অনড় থাকেন ওই বৃদ্ধা। এর পরই দমকলের কর্মীরা নীচে জাল বিছিয়ে দড়ির সাহায্যে প্রায় ২ ঘণ্টা পর ওই বৃদ্ধাকে খুঁটি থেকে নীচে নামান।
প্রত্যেকেরই স্বপ্ন থাকে, নিজের মন পছন্দের চাকরি (Job) করার। তবে কারোর যদি স্বপ্ন থাকে মৎসকন্যা বা মারমেইড (Mermaid) হওয়ার। আশ্চর্য হচ্ছেন তো? তবে এটাই সত্যি। এমন এক তরুণী রয়েছেন যিনি তাঁর শিক্ষকতার চাকরি ছেড়ে মৎসকন্যা হয়েছেন। ঘটনাটি ইটালির (Italy)।
জানা গিয়েছে, ৩৩ বছরের তরুণীর নাম মস গ্রিন (Moss Green)। তিনি এতদিন ইংরেজির শিক্ষিকা ছিলেন। তিনি আগে ইংল্যান্ডেই থাকতেন কিন্তু পরে তাঁর শিক্ষকতার জন্যই তিনি ইটালিতে চলে আসেন। তবে তিনি সেই চাকরিতে তেমন খুশি ছিলেন না। ফলে তিনি এমন কাজ খুঁজছিলেন, যেটা করে তিনি খুশি হবেন। এরপর তিনি এক মৎস্যকন্যা হওয়ার কথা মনস্থির করে নেন। তিনি জানিয়েছেন, একবার তিনি এক 'ম্যাজিক্যাল মারমেন'-কে দেখে এই সিদ্ধান্ত নেন। তারপর থেকেই মসও ঠিক করে নেন, তিনি মৎস্যকন্যাই হবেন। এরপর তিনি মৎস্যকন্যা হয়ে এক চাকরিও পেয়েছেন। ফলে তিনি কৃত্রিম লেজ লাগিয়ে সেজে থাকেন মৎস্যকন্যা।
মস এও জানিয়েছেন যে, তিনি এই কাজ পেয়ে খুব খুশি। এটাই তাঁর জন্য এক্কেবারে উপযুক্ত চাকরি। জানা গিয়েছে, এই চাকরি পাওয়ার পর তাঁকে বিভিন্ন প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়। কীভাবে জলের গভীরে গিয়ে শ্বাসরোধ করে রাখা যায়, কীভাবে জলের গভীরে সাঁতার কাটা যায়, সেসব বিষয়ে তিনি প্রশিক্ষণ নেন। তিনি জানিয়েছেন, তিনি আগের মতো উপার্জন করতে না পারলেও এতেই তিনি খুশি।
ফের মর্মান্তিক দুর্ঘটনা (Accident)। অটো ও লরির রেষারেষির জেরে কাটা পড়ল এক মহিলার (Woman) হাত। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে উলুবেড়িয়া (Uluberia) ওটি রোডের দলুইপাড়ায়। পরিবার সূ্ত্রে খবর, আহত ওই মহিলার নাম রেবা মণ্ডল (৪২)। সিস্টার নিবেদিতায় রান্নার কাজে করতেন তিনি। বাড়ি ইছাপুরে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে উলুবেড়িয়া শ্যামপুর থেকে উলুবেড়িয়া স্টেশন রোডে অটো ধরে যাচ্ছিলেন রেবা মণ্ডল। ওই মহিলার ডান হাতটি অটো থেকে বাইরে বেরিয়ে ছিল। সেই সময় দ্রুত গতিতে আসা একটি লরি ওই অটোকে ধাক্কা মারে। এরফলে রেবা মণ্ডল অটো থেকে পড়ে যান। লরিটি অটোকে অতিক্রম করতে গিয়ে মহিলার হাতের ওপর দিয়ে চলে যায় এবং ডান হাতটি কাটা পড়ে বলে জানিয়েছেন পুলিস আধিকারিক।
পুলিস ও স্থানীয় বাসিন্দারা মহিলাকে উদ্ধার করে উলুবেড়িয়া শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসকরা মহিলার কাটা হাত জোড়া লাগানোর চেষ্টা করছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য় রেবা মণ্ডলকে উলুবেড়িয়া শরৎচন্দ্র মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই অটো ও লরির চালক দু'জনেই পলাতক বলে খবর।