
প্রায় তিনবছর সারা বিশ্বজুড়ে করোনা (Covid 19) দাপট চালানোর পর অবশেষে এক স্বস্তির খবর দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (World Health Organisation)। চলতি মাসেই জানিয়ে দিয়েছিল যে, কোভিড অতিমারী আর 'আপৎকালীন স্বাস্থ্য বিপর্যয়' বা 'গ্লোবাল হেলথ এমার্জেন্সি' নয়। কিন্তু এই স্বস্তি আর বেশিদিন রইল না। এরপরই হু-এর তরফে আরও এক আতঙ্কের খবর দেওয়া হল। ঘোষণা করা হয়েছে, করোনার থেকে আরও মারাত্মক অতিমারী আসতে চলেছে বিশ্বে। আর সেই রোগের নাম হতে চলেছে 'ডিজিজ এক্স' (Disease X)। ডিজিজ এক্স এমনই এক রোগ যা করোনার থেকে ভয়াবহ হতে পারে। আর যা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে যেতে পারে। তবে প্রশ্ন উঠছে, কী এই 'ডিজিজ এক্স'?
হু-এর তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, ডিজিজ এক্স এমন একটি রোগ যা সারা বিশ্বে খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে। আর এই রোগ কোনও এক প্য়াথোজেনের ফলে সৃষ্টি হতে পারে। এমন এক প্যাথোজেন যা এখনও মানুষের কাছে অজানা। ডিজিজ এক্স এই নামটি প্রথম ২০১৮ সালে ব্যবহার করা হয়েছিল।
সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে, করোনার পর কোন কোন রোগ বিশ্বে অতিমারী আনতে হতে পারে। এই রোগগুলো হল- ইবোলা, মারবার্গ ভাইরাস, লাসা ফিভার, সারস, নিপা, জিকা ভাইরাস ও ডিজিজ এক্স। আর এই ডিজিজ এক্স নিয়েই সম্প্রতি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে 'হু'। আর এর ফলেই সাধারণ মানুষের মধ্যে নতুন করে আতঙ্কের সৃষ্টি হচ্ছে।
করোনার (CoronaVirus) কথা এখনও সবার স্মৃতিতে রয়েছে। এই ভাইরাসের ফলে প্রায় দু'বছর পুরো বিশ্বের মানুষদের ভুগতে হয়েছে। তবে এখন এই ভাইরাসের প্রকোপ তেমন নেই। ফলে অনেকটা স্বস্তিতে বিশ্ববাসী। কিন্তু এর মধ্যেই ফের এক আতঙ্কের খবর দিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) প্রধান টেড্রস অ্যাডানম গেব্রিয়েসাস (Tedros Adhanom Ghebreyesus)। তিনি জানিয়েছেন, পরবর্তীতে এমন মহামারীও আসতে চলেছে যা করোনার থেকে অনেক মারাত্মক হবে। তাই তিনি এই বিষয়ে এই বিশ্ববাসীকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
মঙ্গলবার ৭৬তম বিশ্ব স্বাস্থ্য সমাবেশে রিপোর্ট পেশ করার সময় 'হু' প্রধান টেড্রস অ্যাডানম গেব্রিয়েসাস বলেন, 'বিশ্ব স্বাস্থ্যের হুমকি হিসেবে কোভিড ১৯ শেষ নয়। আরও অন্য একটি ভ্যারিয়েন্টের ফলে হঠাৎ করে রোগ বাড়তে চলেছে ।' শুধু তাই নয় আরেকটি ভাইরাস উদ্ভূত হওয়ার ফলে মৃত্যুর সম্ভাবনা বেড়ে গিয়েছে বলে জানান তিনি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর সতর্ক করে বলেন, 'যখন পরবর্তী মহামারী আসবে, তার মোকাবিলা করার জন্য আমাদের সম্মিলিতভাবে এবং যথাযথভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে।'
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে চিনে প্রথম করোনা রোগীর সন্ধান মেলে। ২০২০ সালের মার্চের মধ্যেই বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। এই মারণ ভাইরাসের ফলে বিশ্বজুড়ে চলতে থাকে মৃত্যু মিছিল। সংক্রমণ রুখতে বিশ্বজুড়ে দফায়-দফায় হয় লকডাউন। আর এবারে আরও এক দুঃসংবাদ দিল হু। ফলে পরবর্তীতে কোনও ভাইরাস এলে তা অতিমারীতে যাতে পরিণত না হতে পারে, সেদিকেই বিশেষ নজর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
চিনি (Sugar) শরীরের পক্ষে খুবই ক্ষতিকারক। চিনির ফলে শরীরে বাসা বাঁধে একাধিক ব্যাধি। চিনি বেশি মাত্রায় খাওয়া হলে শরীরে ওবেসিটি, ডায়াবেটিস, কার্ডিওভাসকুলারের মতো রোগ দেখা যায়। এগুলো প্রায় সবারই জানা। কিন্তু চিনি ছাড়া চলাও মুশকিল। ফলে অনেকেই চিনির বিকল্প হিসাবে বাজারচলতি ব্র্যান্ডের বড়ি বা পাউডার খান। এতে মনে করছেন যে চিনি ছাড়াই মিষ্টি খেতে পারছেন আপনি? কিন্তু তা একেবারেই ভুল। 'হু' (WHO) বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এতে শরীরে উপরকার তো হয়ই না, বরং এগুলোর থেকে শরীরে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা ওজন কমাতে চান বা ডায়াবেটিসের রোগী, তাঁরা নন-সুগার সুইটেনার খান চিনির বিকল্পে। কিন্তু এগুলো উল্টে শরীরের অনেক বিপদ ডেকে আনে। মঙ্গলবার 'হু' তার নয়া নির্দেশিকায় স্পষ্ট জানিয়েছে, এই সব এনএসএস ব্যবহারে উপকার তো হয়ই না, উল্টে ডায়াবেটিস টাইপ ২, হৃদরোগ, কার্ডিওভাসকুলারের মতো রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এমনকী, ক্যান্সারের আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়। আবার এগুলো ওজন কমাতেও সাহায্য করে না। এই এনএসএসগুলোতে অ্যাসপার্টেম, নিওটেম, স্যাকারিন, স্টিভিয়া, সুক্রালোজ, সাইক্ল্যামেটসের মতো কিছু ক্ষতিকারক উপাদান রয়েছে, যা শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করে। ফলে চিনির বদলে এইসব এনএসএস শরীরের কোনও উপকার করে না। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, চিনির বিকল্প ব্যবহার করতে চাইলে গুড় ব্যবহার করতে পারেন।
খাবার খাওয়ার সময় পাতে একটু নুন (Salt) থাকা চাই, নুন না হলে যেন তেমন স্বাদ আসে না, তাই তো! তবে জানেন কি বেশি মাত্রায় নুন খেলে কী কী সমস্যা হতে পারে? তবে জেনে নিন। নুন অর্থাৎ সোডিয়ামের পরিমাণ বেশি নেওয়া হয়ে গেলে শরীরে অনেক রোগের সৃষ্টি করে, এমনকি নুন বেশি খেলে অকালপ্রয়াণও হতে পারে। এমনটাই এক নতুন সমীক্ষায় জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। তাই হু-এর তরফে বিশেষ করে জানানো হয়েছে যে, যাঁদের নুন বেশি খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে, তাঁরা যেন এখন থেকেই কমাতে শুরু করেন। কারণ বেশি নুন খাওয়া অকালপ্রয়াণের এক অন্যতম প্রধান কারণ।
সোডিয়াম শরীরের জন্য উপকারী একটি উপাদান। কাঁচা নুনে সোডিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকে। কিন্তু নুন খাওয়া যখন অত্যধিক হয়ে যায়, তখন এই সোডিয়াম প্রথমে রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়। এরই পাশাপাশি হার্টের অসুখ ও স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। আর এর ফলে প্রাণ যাওয়ারও আশঙ্কা বেড়ে যায়। এছাড়াও শরীরে সোডিয়ামের পরিমাণ বেশী হলে গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সার, ওবেসিটি, কিডনিজনিত সমস্যা, অস্টিওপোরোসিসের মত রোগ দেখা দিতে পারে।
হু-এর গ্লোবাল রিপোর্টে বলা হয়েছে, যদি বিশ্বে নুন খাওয়ার পরিমাণ কিছুটা কমিয়ে দেওয়া যায়, তবে ২০৩০ সালের বিশ্বে প্রায় ৭০ লক্ষ মানুষের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হবে। তাই হু থেকে বলা হয়েছে, দিনে ৫ গ্রামেরও কম বা ১ টিস্পুন নুন খাওয়া উচিত।
করোনার (Covid19) গ্রাফ ফের ঊর্ধ্বমুখী। নতুন করে আতঙ্কের সৃষ্টি করছে করোনা ভাইরাস। শুক্রবারই রিপোর্টের ভিত্তিতে তথ্য এসেছিল যে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩হাজার ৯৫ জন। চলতি বছরে এটিই দৈনিক সংক্রমণের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ। আর পরের দিন শনিবার জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ২ হাজার ৯৯৪ জন। এর ফলে সক্রিয় আক্রান্তর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৬ হাজার ৩৫৪-এ। দৈনিক সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি মৃতের সংখ্যাও বাড়তে শুরু করেছে। তবে নতুন করে কোভিড আক্রান্ত বৃদ্ধির কী কারণ, এই নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু (WHO)।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ভারতে বর্তমান সংক্রমণ বৃদ্ধির পিছনে রয়েছে ওমিক্রনের XBB.1.16 ভ্যারিয়েন্ট। হু-র তরফে বলা হয়েছে, ২২টি দেশ থেকে ওমিক্রনের XBB.1.16 ভ্যারিয়েন্টের প্রায় ৮০০ জিনোম সিকোয়েন্সিং করা হয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই ভারতের। সেখানে দেখা গিয়েছে, XBB.1.16 ভ্যারিয়েন্ট অন্যগুলির থেকে এগিয়ে রয়েছে। হু-র তরফে বলা হয়েছে, XBB.1.16 ভ্যারিয়েন্টের সঙ্গে XBB.1.5 ভ্যারিয়েন্ট-এর অনেকাংশে মিল রয়েছে। ওমিক্রনের এই ভ্যারিয়েন্ট আগেরটির থেকেও দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে বলে জানিয়েছে হু।
তবে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, দৈনিক সংক্রমণের হার বাড়লেও তেমন ভয়ের কোনও কারণ নেই। ফের সতর্ক হলেই বা করোনার একাধিক নির্দেশিকা মেনে চললেই আক্রান্ত হওয়ার থেকে দূরে থাকতে পারবেন। ফের মাস্ক পরা, বারবার হাত ধোয়া, জনবহুল জায়গা এড়িয়ে চলা, এসব মেনে চললেই করোনার সংক্রমণ কমতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
এখনও পুরোপুরি বিদায় নেয়নি করোনাভাইরাস (Coronavirus)। কোভিড সংক্রমণ, অতিমারির ভয়াবহতার স্মৃতি মানুষের মনে রয়েছে। তার মধ্যেই ‘মারবার্গ’ ভাইরাস নিয়ে সতর্কতা জারি করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। এই ভাইরাস সংক্রমণে মৃত্যুও হতে পারে বলে জানিয়েছে। এর আগেও করোনার মাঝে এই প্রাণঘাতী ভাইরাস মারবার্গ (Marburg) দাপট চালিয়েছিল। আফ্রিকার (Africa) বহু দেশ করোনা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করছে। তার মাঝে এই নয়া বিপত্তি। মধ্য আফ্রিকার দেশগুলিতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস। যার কারণে প্রাণ গিয়েছে ৯ জনের।
২০১৪ সালে ইবোলার দাপটের কথা মনে পড়ে? যার কারণে পশ্চিম আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশে প্রায় ১১ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। বলা হচ্ছে মারবার্গ ভাইরাস ইবোলার মতোই মারাত্মক রক্তক্ষরণজনিত জ্বর তৈরি করে। গত বছরের পর আবার এই ভাইরাস মাথাচাড়া দিয়ে উঠতেই আশঙ্কায় রয়েছে বিশেষজ্ঞ মহল।
আশঙ্কার বিষয় হল, এই সংক্রমণ যদি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে তাহলে ভবিষ্যতে বড়সড় বিপদ অপেক্ষা করছে। এখনো পর্যন্ত এই ভাইরাসের কোন টিকা আবিষ্কার হয়নি। এটি ইবোলার থেকেও দ্রুত সংক্রমণ ছড়াতে সক্ষম।
ওমিক্রনের নতুন উপরূপ উদ্বেগের কারণ হতে চলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার। কারণ চিনের করোনা পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হতে চলেছে! এমন আশঙ্কার কথা শোনাচ্ছে এক গবেষণা সংস্থা। ইংরাজি নতুন বছরে সে দেশে সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। এমনকি দৈনিক মৃত্যুও চিন্তার কারণ হতে পারে শি জিংপিং সরকারের।
লন্ডনের এক গবেষণা সংস্থার দাবি, জানুয়ারির শেষ দিকে চিনে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ছুঁতে পারে ২৫ হাজার। ২৩ জানুয়ারি করোনায় মৃত্যুর হার শিখর ছুঁতে পারে।
এদিকে, করোনার নতুন উপরূপে হু হু করে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে চিনে। কোভিড তথ্য যাতে শি জিনপিংয়ের সরকার প্রকাশ করে, আশাপ্রকাশ করেছিলেন হু প্রধান টেড্রস গেব্রিয়েসাস। কিন্তু কোভিড তথ্য প্রকাশ বন্ধ করেছে বেজিং। এ নিয়ে শুক্রবার উদ্বেগ প্রকাশ করেন হু প্রধান।
ইতিমধ্যে চিনফেরত যাত্রীদের উপর বিধিনিষেধ জারি করেছে আমেরিকা, দক্ষিণ কোরিয়া-সহ বিভিন্ন দেশ। চিনফেরত যাত্রীদের উপর এই নিষেধাজ্ঞা স্বাভাবিক বলেই মন্তব্য করেছেন হু প্রধানের।
গত প্রায় ৩ বছর করোনা অতিমারি (Covid Pandemic) নিয়ে জেরবার গোটা বিশ্ব। ২০১৯ সালের পর থেকে মানুষ যতবার ভেবেছেন করোনা অতিমারির আতঙ্ক শেষ, ততবার নতুন রূপ ধারণ করে ফিরে এসেছে করোনা ভাইরাস (Corona Virus)। তবে এর শেষ কোথায়? কবে আবার স্বাধীনভাবে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ঘুরতে পারবে সাধারণ মানুষ? কবেই বা কাটবে এই মহামারির (Coronavirus) আতঙ্ক? এই প্রশ্ন প্রায় অনেকদিন ধরে ঘুরপাক খাচ্ছে মানুষের মনে।
এবার করোনা অতিমারি নিয়ে আশার আলো জাগালেন WHO-এর প্র্রধান টেড্রস অ্যাডানম গেব্রিয়েসাস। এই করোনা আতঙ্ক না কি এবার সত্যিই শেষ হতে চলেছে? তিনি বললেন, গোটা বিশ্বে উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গিয়েছে করোনা মহামারীর দাপট। এটি অত্যন্ত ভালো লক্ষণ। এবার এই অধ্যায়ের শেষ হতে চলেছে বলেই মনে করছেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত বছর হু- এর প্রধান বিজ্ঞানী জানিয়েছিলেন যে, ২০২২ সালেই নাকি শেষ হতে চলছে করোনা মহামারী। এরপর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে পারবে মানুষ। পাশাপাশি এও বলেছেন, যদি মানুষ ফের অসতর্ক হয়ে যান, তাহলে ফের ভয়াবহ হতে পারে। যদিও এখন ভাইরাসের ক্ষমতা কিছুটা খর্ব হয়েছে। এখনই এই ভাইরাসের থেকে চিরতরে মুক্তি মিলবে না।
বিশ্বের ৭৫টি দেশে ১৮ হাজারের বেশি মানুষ এই মুহূর্তে মাঙ্কিপক্সে (Monkeypox) আক্রান্ত। এই ভাইরাস নিয়ে 'রেড অ্যালার্ট' (Red Alert) জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। এই পরিস্থিতিতে সামনে এসেছিল একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য। সমপ্রেমী পুরুষ যাঁরা একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে সঙ্গমে লিপ্ত হয়েছেন তাঁদের মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি। তবে সম্প্রতি মাঙ্কিপক্স আক্রান্তের উপর গবেষণায় দেখা গিয়েছে, দিল্লিতে (Delhi) যে পাঁচজন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের মধ্যে তিনজন সমকামী বা উভকামী নয়। তাঁরা নিজেদের বিষমকামী বলে দাবিও করেন। বাকি দুজনের আক্রান্ত হওয়ার পিছনে কোনও যৌন সংযোগ নেই। এমনকি বিদেশ ভ্রমণের কোনও ইতিহাস নেই।
এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে আসার কারণে সংক্রমিত হয়ে থাকতে পারেন ওই দু’জন। আইসিএমআর, পুণের মৌলনা আজাদ মেডিক্যাল কলেজ এবং এমস-এর বিশেষজ্ঞরা এই গবেষণাটি করে।
উল্লেখ্য,সংক্রমণের কারণ আলাদা হলেও সকলের উপসর্গ একই। মাথা ব্যথা, গায়ে ফোস্কার মতো ফুসকুড়ি, জ্বর, মাথাধরা সবটাই দেখা যাচ্ছে। সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বাতাসেও অর্থাৎ নিঃশ্বাসের মধ্যেও এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে এই ভাইরাস করোনার মতো অধিক সংক্রামক নয়, জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
গরু পাচার কাণ্ডে একের পর এক তথ্য উঠে আসছে সিবিআইয়ের হাতে। এবার বোলপুর শহরে আরও একটি বাড়ির হদিশ পাওয়া গেল। যে বাড়িটি অনুব্রত মণ্ডলের আত্মীয়র বলে সূত্র মারফত জানা গেছে। বোলপুর পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের রতনপল্লি এলাকায় এই বাড়িটি করেছেন অনুব্রতর ভাগ্নে রজত মণ্ডল। বছর দুই আগে এই বাড়িটি করা হয়। আগে এখানে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অধীনে বাচ্চাদের জন্য একটি স্কুল চলত। সেই স্কুলকে এই জায়গা থেকে সরিয়ে বাড়িটি করেছেন অনুব্রতর ভাগ্নে বলে সূত্রের দাবি। এই বাড়ির পিছনে অনুব্রত বিনিয়োগ রয়েছে বলে জানতে পেরেছে সিবিআই।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সাল থেকে বেড়ে চলা অনুব্রত মণ্ডলের একাধিক সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রত মণ্ডল ছাড়াও তাঁর যারা আত্মীয় রয়েছেন তাদের ওপরেও নজর রাখা হচ্ছে। একইসঙ্গে ৮টি ব্যাঙ্কের ১৮টি অ্যাকাউন্টের ডিটেইলস চেয়ে পাঠানো হয়েছে। বোলপুরের একাধিক ব্যাঙ্কের থেকে ডিটেলসও চেয়ে পাঠানো হয়েছে সিবিআইয়ের তরফে।
এই মুহূর্তে তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) সাংগঠনিক দায়িত্ব অভিষেকের (Abhishek) কাঁধে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সাংসদ ছাড়াও সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদকও বটে। তাঁর নেতৃত্ব হয়তো মেনেও নিচ্ছেন দলের ছোটবড় নেতারা। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে এঁরা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Bandyopadhyay) অস্বীকার করছেন। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, যেখানে মমতাই দলের মুখ এবং সারা বাংলায় তিনি ভোটের প্রার্থী বলে দাবি করেন, সেখানে নতুন মুখের আবির্ভাব?
দক্ষিণ কলকাতায় খোদ মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনেই বড় বড় হোর্ডিং (Hoarding) অভিষেকের ছবি সমৃদ্ধ। যেখানে ক্যাপশন আছে "আগামী ৬ মাসের মধ্যে সামনে আসবে নতুন তৃণমূল"। এছাড়াও হোর্ডিংয়ে আছে "ঠিক যেমন মানুষ চায়"। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় এই যে, সম্প্রতি দলের জেলা শহর ইত্যাদির নেতৃত্বে পরিবর্তন হয়েছে। বেশ কয়েকজন নতুন মন্ত্রী হয়েছেন, যাঁরা নাকি অভিষেক ঘনিষ্ঠ।
অন্যদিকে, বিরোধীরা বিশেষ করে সিপিএম-কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এটি ব্র্যান্ড শিন্ডে। অর্থাৎ যেভাবে শিবসেনা ভাঙিয়ে ক্ষমতা দখল করেছে এনডিএ, তেমনটাই নাকি হতে চলেছে বাংলায়, অভিষেক হয়তো নতুন মুখ। এ কথাকে আমল দেওয়া হয়নি তৃণমূলের পক্ষ থেকে। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, হোর্ডিংয়ে যা লেখা আছে তা তো অভিষেক সরাসরি বলেইছেন। এতে দলে বিভেদের কী আছে?
তবুও প্রশ্ন উঠছে অনেক। প্রথমত, ২১ জুলাইয়ের আগে দলের কর্মীদের জানানো হয়েছিল, নিজের ছবি দিয়ে আত্মপ্রচার করা চলবে না। অভিষেক নিজে বিভিন্ন সভায় বলেছেন, দলের একজনই নেত্রী, বাকি সবাই কর্মী। এরপরেও ব্যতিক্রমী ওই হোর্ডিং এল কীভাবে? জানা গেল, 'আশ্রিতা' এবং 'কলরব' নামক দুটি সংস্থা এই হোর্ডিং লাগিয়েছে। যদিও দুটি সংস্থার সঙ্গে তৃণমূলের যোগ নেই, কিন্তু ওই সংস্থার মধ্যে যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা ঘোরতর তৃণমূলী।
এবার খেলা দিবসের পর নতুন খেলা কোনদিকে যায়, সেটাই দেখার।
সব কিছু ঠিকঠাকই ছিল। শ্রাবণ মাসের শেষ সোমবার পুরনো বাড়ির ছাদে হোমযজ্ঞ করে নতুন বাড়িতে (New House) 'গৃহপ্রবেশ' করার কথা ছিল। কিন্তু এই মুহূর্তে সিবিআই হেফাজতে অনুব্রত মণ্ডল। ফলে তাঁর অনুপস্থিতে কি আদৌ হবে ওই হোমযজ্ঞ, উঠছে প্রশ্ন। অনুব্রতর বাড়ির ছাদের দিকে তাকালে দেখা যাবে, সেখানে বিশাল প্যান্ডেল (Pandel)। কিন্তু প্যান্ডেল কেন? কোনও কি অনুষ্ঠান (Ceremony) হয়ে গিয়েছে? না, উত্তরটা দিলেন তাঁরই এক প্রতিবেশী। তিনি বললেন, ওখানেই হোম-যজ্ঞ হওয়ার কথা ছিল। পাশেই নতুন বাড়ির জন্য গৃহপ্রবেশ উপলক্ষ্যে ছাদেই হোম-যজ্ঞ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তখন কে জানত, তার ঠিক তিনদিন আগে এমন বিপর্যয় নেমে আসবে। ফলে গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠান যে আপাতত স্থগিত হয়ে যাবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
বিরোধীরা এই সুযোগকে লুফে নিয়েছে। অনুব্রত মণ্ডল একটা কেন, অনেক বাড়িরই মালিক হতে পারে। আর পাপ করে তা থেকে মুক্তির জন্যই তিনি বরাবর হোমযজ্ঞে বিশ্বাসী, কটাক্ষ জেলার বিজেপি নেতার।
দেশ থেকে এখনও করোনা(corona) নির্মূল হয় নি। তারমধ্যেই মাঙ্কিপক্সে (monkeypox)আক্রান্তের খবর মিলছে ভারতে। মাঙ্কিপক্স নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য (World Health Organisation)সংস্থা জরুরি অবস্থা (global emergency)ঘোষণা করেছে । এবার সংক্রমণ রুখতে যৌন সম্পর্ক নিয়েও সতর্ক করা হল হু-র তরফে। হু প্রধান জানান, এখনও অবধি বিশ্বের ৭৮টি দেশে প্রায় ১৮ হাজারেরও বেশি মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। এরমধ্যে ৭০ শতাংশ আক্রান্তই ইউরোপ ও ২৫ শতাংশ আমেরিকার বাসিন্দা। গত মে মাস থেকে ছড়িয়ে পড়া এই সংক্রমণে এখনও অবধি পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
কীভাবে সংক্রমণ রোখা যায়, তার সবথেকে সহজ উপায় হিসাবে হু প্রধান টেড্রোস আধানম গ্রেবেয়াসিস ভাইরাসের সংস্পর্শ এড়িয়ে যাওয়ারই পরামর্শ দিয়েছেন। পাশাপাশি হু-র তরফে সতর্ক করে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ঘনঘন যৌনসঙ্গী না বদলানোর। বুধবারই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়, যৌন সংস্পর্শের মাধ্যমে মাঙ্কিপক্স ছড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রে সবথেকে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন সমকামী পুরুষরাই, যারা পুরুষদের সঙ্গেই যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হন।
সম্প্রতি নিউ ইংল্যন্ড জার্নাল অব মেডিসিনে একটি গবেষণাপত্রে জানানো হয়েছে, আক্রান্তদের মধ্যে ৯৮ শতাংশই পুরুষ, যারা অন্য কোনও পুরুষসঙ্গীর সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হন। বিশেষজ্ঞদের মতে, ফোস্কার মতো শরীরে যে ব়্যাশ ওঠে, তা মূলত অতি ঘনিষ্ঠ বা যৌন সম্পর্কের কারণেই এক দেহ থেকে অন্য দেহে সংক্রমিত হয়। তবে এখনও অবধি মাঙ্কিপক্সকে যৌন সংস্পর্শের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া সংক্রমণ বা সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ইনফেকশনের অ্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।
মাঙ্কিপক্স নিয়ে দেশ-বিদেশে হইচই পড়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই কেরল থেকে তিনটি কেস ধরা পড়েছে। এবার চতুর্থ কেস ধরা পড়ল দিল্লিতে। একজন ৩১ বছর বয়স্ক ব্যক্তি মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর। দিল্লিতে মাঙ্কিপক্সের এটি প্রথম কেস। প্রাথমিক খোঁজখবর করে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির বিদেশ ভ্রমণের কোনও ইতিহাস নেই। তবে একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি কিছুদিন আগে হিমাচলপ্রদেশে একটি পার্টিতে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
এই খবরটি প্রকাশ্যে এসেছে তিনদিন পরে। কারণ, হাসপাতাল সূত্রে খবর, ওই আক্রান্ত ব্যক্তি আগেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাঁর নমুনাও পরীক্ষার জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিতে।
তবে দেশের বিভিন্ন অংশ থেকে যে খবর পাওয়া যাচ্ছে, তাতে ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ছে এই রোগ। বিশেষত, মুম্বইয়ে সংক্রমণের আতঙ্ক সবচেয়ে বেশি। সেখানে প্রতি সপ্তাহে দু-তিনটি করে নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছিল। সম্প্রতি সেই হার বেড়েছে। এখন তা দিনে দু-তিনটিতে পৌঁছে গিয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা যা জানিয়েছেন, সেই অনুযায়ী, মাঙ্কিপক্স কিছুটা স্মলপক্সের মতোই। তবে এটা ততটা মারাত্মক নয়। এটি মূলত আক্রান্ত পশুর শরীর থেকে মানবদেহে সংক্রমিত হয়ে থাকে। তবে এক মানবদেহ থেকে অন্য দেহে সংক্রমণের ঘটনাও ঘটে থাকে।
সারা বিশ্বের পরিসংখ্যান বলছে, এখনও পর্যন্ত ৭৫টি দেশে ১৬ হাজারেরও বেশি মাঙ্কিপক্সের কেস ধরা পড়েছে। আফ্রিকায় ৫ জনের মৃত্যুও হয়েছে। ইতিমধ্যেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একে পাবলিক হেল্থ ইমার্জেন্সি ঘোষণা করেছে। অর্থাত্, এই মুহূর্তে একে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে তারা। দেশেও প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই মাঙ্কিপক্সের পরীক্ষার জন্যই ১৬ টি ল্যাবরেটরি রাখা হয়েছে, যার মধ্যে দুটি শুধুমাত্র কেরলেই।
৭ মে যুক্তরাজ্যে প্রথম মাঙ্কিপক্সের কেস সামনে আসার পর থেকে দ্রুত বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। হু-এর কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, এটি সরাসরি যৌনবাহিত সংক্রমণ নয়, তবে আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে সঙ্গম করলে যে কেউ সংক্রমিত হতে পারেন। আর সেই কথাকে সত্যি বলে গবেষণায় জানাল হু।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মাঙ্কিপক্সের শতকরা পঁচানব্বই শতাংশ যৌন কার্যকলাপের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিনে প্রকাশিত হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই গবেষণাটি।
লন্ডনের কুইন মেরি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের নেতৃত্বে এই গবেষণা চলছিল। ২৭ এপ্রিল থেকে ২৪ জুন, ২০২২-এর মধ্যে ১৬ টি দেশে ৫২৮ টি নিশ্চিত সংক্রমণের উপর নজর রেখেছিলেন বিশেষজ্ঞরা।
গবেষক জন থর্নহিল একটি বিবৃতিতে বলেছেন,"এটি জোর দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ যে মাঙ্কিপক্স একটি যৌনবাহিত রোগ নয়। এটি যেকোনো ধরনের শারীরিক সঙ্গমের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়। প্রধানত, একচেটিয়াভাবে নয়, পুরুষদের সঙ্গে পুরুষের যৌন সম্পর্কের ফলে এ লক্ষণ বেশি দেখা গিয়েছে।"
গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, সামগ্রিকভাবে, ৯৮ শতাংশ সংক্রমিত মানুষ সমকামী বা উভকামী পুরুষ। ৪১শতাংশের এইচআইভি ছিল এবং গড় বয়স ছিল ৩৮।
উল্লেখ্য, হু-র দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হলে তা শরীরে ২-৪ সপ্তাহ মতো থাকে। বাচ্চা, গর্ভবতী মহিলা, কম রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষদের ক্ষেত্রে তা বিপজ্জনক হতে পারে। ৬-১৩ দিন পর্যন্ত এর ভাইরাস শরীরে সুপ্ত অবস্থায় থাকতে পারে। কখনও কখনও এই সময়টা ৫ থেকে ২১ দিন পর্যন্তও হয়। প্রথমে হালকা জ্বর, মাথা ব্যথা, পেশি, পিঠে ব্যথা, ক্লান্তি ভাব এবং শরীরে বিভিন্ন অংশ ফুলে ওঠে, ত্বকে ব়্যাশ বেরতে থাকে। মাঙ্কিপক্সের সঙ্গে স্মল পক্সের একটা যোগাযোগ রয়েছে। যদিও স্মল পক্স দুনিয়া থেকে ১৯৮০ সালে বিদায় নিয়েছে। ফের ফিরে আসায় চিন্তিত। তবে মাঙ্কিপক্সে মৃত্যুর হার অনেক কম।