নিজের বাড়ি থেকেই গলাকাটা দেহ উদ্ধার এক তৃণমূল সদস্যের। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলার চন্দ্রকোনা ১ নম্বর ব্লকের পুড়শুড়ি গ্রামে। অভিযোগ, তাঁকে খুন করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে চন্দ্রকোনা থানার (Chandrakona Police) পুলিস। পুলিস দেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। তবে এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। জানা গিয়েছে, মৃত ওই ব্যক্তির নাম বটকৃষ্ণ পাল (৫৫)। তিনি পুড়শুড়ি গ্রামেরই বাসিন্দা। পেশায় তিনি একজন কৃষক। শনিবার সকাল ১০টা নাগাদ তাঁর বাড়ি থেকেই তাঁর রক্তাক্ত গলাকাটা মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে।
জানা গিয়েছে, বটকৃষ্ণবাবু তাঁর পুরানো মাটির বাড়ির থেকে কিছুটা দূরে একটি নতুন পাকা বাড়ি করেছেন। আর সেই পাকা বাড়িতে রাতে একাই থাকতেন তিনি। সবসময়ই তিনি নিজের চাষবাস আর বাড়ি নিয়েই থাকতেন। শনিবার সকালে বটকৃষ্ণবাবুর স্ত্রী অনেক ডাকাডাকি করার পর দরজা খুলে তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। পরক্ষণেই তিনি এই ঘটনার কথা এলাকাবাসীদের জানান। স্থানীয়দের দাবি, বটকৃষ্ণবাবুকে খুন করা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই এই পুরো ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে চন্দ্রকোনা থানার পুলিস। তবে কী কারণে এমন ঘটনা ঘটল তা এখনও জানা যায়নি।
ছাত্রের অভাবে বন্ধের মুখে বেলপাহাড়ির একটি পুরনো হাইস্কুল। প্রায় ৫৫ বছরেরও বেশি পুরনো এই স্কুল। মাত্র ৬ জন পড়ুয়া ও পাঁচজন শিক্ষককে নিয়ে বর্তমানে চলছে স্কুল। বেলপাহাড়ি ব্লকের কদোপুড়া এলাকায় ১৯৬৯ সালে কদোপুড়া বিদ্যালয় স্থাপিত হয়৷ বিদ্যালয়ের পাশাপাশি এখানে হস্টেলের ব্যবস্থাও আছে। হস্টেলের সুবিধা থাকার কারণে এই স্কুল বাঁকুড়া, পুরুলিয়া-সহ পাশের জেলা থেকেও ছাত্ররা পড়াশোনার জন্য আসতো কদোপুড়া বিদ্যালয়ে৷ এই বিদ্যালয়ে একসময় ১২০০-১৫০০ ছাত্র ছাত্রী পড়াশুনা করলেও বর্তমানে মাত্র পাঁচজন ছাত্র রয়েছে। তাও তারা স্কুলে আসে না। তাই স্কুল প্রায়দিনই বন্ধই থাকে৷ স্কুল বন্ধ থাকলে কী হবে, স্কুলে পাঁচজন শিক্ষক রয়েছেন।
একজন শিক্ষক এসে স্কুলটি খোলেন এবং কিছুক্ষণ বাদে আবার চলে যান। অন্য শিক্ষকের থেকে জানা যায়, স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাসে দু-একদিন বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া আসেন না। প্রধান শিক্ষকের কথা মতো স্কুল হস্টেল বন্ধ করে দেওয়ায় আজ স্কুলের এই অবনতি।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, লকডাউনের আগে এই স্কুলে হস্টেল থাকার জন্য অল্প সংখ্যক ছাত্র থাকতো। কিন্তু বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের নির্দেশ তা বন্ধ হয়ে যাওয়ার জন্য সেই ছাত্ররা আজ আর নেই৷ লকডাউনের সময় সেই যে স্কুল বন্ধ হয়েছে আর তারপর থেকে স্কুলে ক্লাস হয় না। চেয়ার টেবিলে উইপোকা ধরেছে। আবর্জনায় ভর্তি হচ্ছে স্কুল চত্বর এলাকা। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবী, স্কুল চত্বরের পরিবেশটা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে রাখলে আবারও আগের মতো পঠন-পাঠন শুরু হতে পারে বলে ধারণা। কিন্তু এদিকে বিদ্যলেয়ের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নতুন ভবনের টাকা দেওয়া হয়েছে। ২২ লক্ষ টাকায় নতুন বিল্ডিংও হয়েছে। কিন্তু স্কুল আর হয় না। ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলে আর আসে না। কবে পুনরায় স্কুল সেই আগের মহিমায় ফিরবে তার দিকে তাকিয়ে অনেকেই।
ভুয়ো আয়কর দফতরের আধিকারিক (Fake IT Officer) সেজে পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরায় ডাকাতি (Debra Dacoity)। ডেবরা ব্লকের বালিচক এলাকার কার্তিক পাত্র নামে এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে লক্ষাধিক টাকা ও সোনার গহনা নিয়ে চম্পট দিয়েছিল অভিযুক্তরা। গত বছর মার্চের এই ঘটনা। অবশেষে অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে চলতি বছর এই ডাকাতির ঘটনার প্রধান পাণ্ডাকে ভিন রাজ্য থেকে গ্রেফতার করেছে ডেবরা থানার পুলিস।
জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম শরৎ পাণ্ডে। মধ্যপ্রদেশের রিওয়া জেলার গুড় থানার বাগমোড়ার ওই যুবককে গ্রেফতার করে ডেবরায় আনা হয়েছে। ডেবরা থানার পিএসআইয়ের নেতৃত্বে মধ্যপ্রদেশের গিয়ে ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইতিমধ্যে অভিযুক্তকে মেদিনীপুর আদালতে তোলা হয়েছে। তাঁর টি-আই প্যারেড করা হবে।
প্রায়ই হাতির তাণ্ডব (Elephant Attack) তটস্থ উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গের একাধিক ব্লকের মানুষ। কিন্তু এবার নিজেদের মধ্যেই দক্ষ যজ্ঞ বাঁধালো দুই দাঁতাল। ঘটনাস্থল পশ্চিম মেদিনীপুরের (West Midnapur) কলাইকুণ্ডা রেঞ্জ। এক ভাইরাল ভিডিওয় (Viral Video) দেখা গিয়েছে, দুটি হাতি একে অপরকে শুঁড়ে জড়িয়ে যুদ্ধে নেমেছে। দুই হাতির মধ্যে কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জায়গা ছাড়তে নারাজ। কারণ হেরে গেলেই তো প্রেস্টিজ পানচার। তাই গায়ের জোড়ে চলছে দুই দাঁতালের লড়াই। আর সম্পূর্ণ এই ঘটনা সামনে দাড়িয়ে তামাশা দেখছে মাঝে থাকা এক হাতি। কারণ তিনিই তো প্রতিযোগিতা শুরু করেছেন। তাই সব দেখেও চুপ থাকাটাই স্বাভাবিক। ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুরের কলাইকুন্ডা রেঞ্জের এই মুহূর্তে বাঁশপতরী জঙ্গলে। আর এই জঙ্গলেই রয়েছে একাধিক হাতি। এলাকাবাসীরা আতঙ্কিত থাকলেও হাতির লড়াই দেখতে ভিড় জমিয়েছেন ছোট থেকে বড় অনেকেই।
এদিকে, সম্প্রতি ঝাড়গ্রাম ডিএফও অফিসের সামনে লোকালয়ে হাতি ঢুকে পড়ায় আতঙ্ক ছড়িয়েছিল এলাকায়। এই ঘটনায় আহত এক ব্যক্তি। এই ঘটনাস্থল থেকে মাত্র এক কিমি দূরে অবস্থিত ঝাড়গ্রাম জেলার ডিএফও অফিস। এত কাছেই হাতির তাণ্ডব, অথচ বন দফতরের কোনও হেলদোল না থাকার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন এলাকাবাসী।
সন্দেহের জেরে স্ত্রীকে খুন (murder) করলেন স্বামী। মর্মান্তিক এই ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলা (Pingla) থানার নয়াগ্রামের। এই খবর জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। স্থানীয়রা জানান, স্ত্রীকে নিয়ে সন্দেহ দীর্ঘদিনের। গ্রামবাসীরা বহুবার একত্রিত হয়ে তাঁদের অশান্তির মীমাংসাও করেছেন। কিন্তু এই সন্দেহের জেরে এমন নির্মম কাণ্ড ঘটে যাবে, তা ভাবতেও পারছেন না। অভিযুক্ত স্বামী শক্তিপদ দাস ও মৃতা স্ত্রী বুল্টি দাস (৩৬)। বুধবার রাতে ঘটনার খবর পেয়েই পৌঁছয় পিংলা থানার পুলিস (police)। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার (arrest) করে পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক (Extramarital affairs) নিয়ে স্বামী ও স্ত্রী দুজনেই সন্দেহ করতেন। যা নিয়ে নিত্যদিন লেগে থাকত পারিবারিক অশান্তি, ঝামেলা। বহুবার গ্রামের সবাই এসে দুজনকেই বুঝিয়ে গিয়েছে। তবে লাভ হয়নি। দুদিন পর থেকেই ফের ঝামেলা, অশান্তি লেগে থাকত তাঁদের। বুধবার সন্ধ্যায় সেই অশান্তি চরমে পৌঁছয়। স্বামী বাড়িতে ফিরলে তাঁর রাগ চরমে ওঠে। কাঠ দিয়ে স্ত্রীকে আঘাত করেন স্বামী। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় স্ত্রীর।
এরপর তড়িঘড়ি পিংলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করে পুলিস। বৃহস্পতিবার অভিযুক্তকে আদালতে তোলে পুলিস। তবে কেন ঘটালো এই ঘটনা তার তদন্তের জন্য অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে চেয়েছে পিংলা থানার পুলিস।
জগদ্ধাত্রী পুজোর (Jagaddhatri Puja) ভাসান ঘিরে চরম উন্মাদনা। রাস্তা ছাড়তে বলায় এক মোটর বাইক চালককে মারধরের অভিযোগ উঠল পুজো কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে। এখানেই শেষ নয়, এমনকি মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটালের (Ghatal) কুশপাতা সারাদা পল্লীতে। আহত অবস্থায় ঘাটাল হাসপাতালে (hospital) চিকিৎসাধীন আহত (injured) ওই বাইক চালক।
জানা যায়, আহত ঘাটালের গোবিন্দপুরের বাসিন্দা নিতাই মণ্ডল। নিতাই ও তাঁর পরিবারের অভিযোগ, মোটর বাইকে করে তাঁরা বাড়ি ফিরছিলেন বৃহস্পতিবার রাত দশটা নাগাদ। সেই সময় ঘাটাল শহর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের একটি জগদ্ধাত্রী পুজার ভাসানের অনুষ্ঠান চলছিল। এমন সময় বেশ কয়েকজন যুবক নাচানাচি করছিলেন ওই এলাকার ঢালাই রাস্তার উপর। আর তখনই রাস্তা ছাড়তে বলেন মোটরবাইক চালক নিতাই। তাঁর এই কথা ঘিরেই চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
নিতাই বাবুকে বেধড়ক মারধর করে ওই যুবকেরা বলে অভিযোগ। এমনকি মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় নিতাইয়ের। এরপর পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা দ্রুত নিতাইকে নিয়ে যায় চিকিৎসার জন্য ঘাটাল হাসপাতালে। বিসর্জনে এমন ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ঘাটাল থানার পুলিস। আহতের পরিবারের দাবি, দোষীদের দ্রুত শাস্তি দেওয়া হোক। ঘটনার তদন্তে পুলিস।
পশ্চিম মেদিনীপুরের (West Midnapur) বেলদায় প্রাতঃভ্রমণে বেড়িয়ে 'চোর' স্লোগান শুনলেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতির উদ্দেশে তৃণমূল (TMC) কর্মী- সমর্থকদের তরফে ধেয়ে আসে গো-ব্যাক স্লোগান। তবে সাতসকালে তৃণমূল কর্মীদের এই আচরণে একটুও বিচলিত হননি দিলীপ ঘোষ। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই এবং মুখে হাসি রেখে তিনি পাল্টা বলেন, 'বুকে পা দেব। সব চোরগুলো আমাদের সামনে। সব ভিতরে যাবে।' বিজেপি নেতা বলেন, 'দেখুন পঞ্চায়েতের টাকা কারা খেয়েছে দেখে নিন।'
পাল্টা তৃণমূলের তরফে অভিযোগ, 'মুল্যবৃদ্ধি কার স্বার্থে জবাব দিন। গো ব্যাক, একশো দিনের কাজের টাকা আটকে রেখেছে, কৃষকদের মারছে।' তাঁদের অভিযোগ, 'সাংসদ হিসেবে দিলীপ ঘোষকে চার বছর দেখা যায়নি। এখন ভোট এসেছে আবার এসেছেন। উনি বসন্তের কোকিল?'
এই ঘটনায় বেলদা এলাকায় সাময়িক উত্তেজনা তৈরি হলে বেলদা থানার বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সাময়িক ভাবে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা বিজেপি সাংসদকে ঘেরাও করে রাখলেও পরে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি।