সাত সকালে জঙ্গল থেকে উদ্ধার হল দুই নাবালিকার ঝুলন্ত মৃতদেহ। ঘটনায় চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা চন্দ্রকোনার ধামকুড়িয়ায়। জানা গিয়েছে, মৃত দুই নাবালিকার মধ্য়ে একজন স্থানীয় এলাকার বাসিন্দা। যার নাম সুমি মুরমু (১৮)। আর একজনের পরিচয় এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে চন্দ্রকোনা থানার পুলিস এসে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন সকালে জঙ্গলের পাশের রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় নজরে আসে ওই দুই নাবালিকার মৃতদেহ। তারপরেই খবর দেওয়া হয় থানায়। মৃতদেহ দুটির চারপাশে ছড়িয়ে রয়েছে ভাঙ্গা মোবাইলের টুকরো, একটি ছুরি, চুড়িদারের একটি ওড়নার মধ্যে দুইজনে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছে।
ওই দুই নাবালিকাকে ঝুলতে দেখে স্থানীয়দের অনুমান তারা আত্মহত্য়া করেনি। তাদেরকে কেউ মেরে এভাবে ঝুলিয়ে দিয়েছে। কিন্তু কে বা কারা... কী কারণে এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
চুরির অভিনব কায়দা। ভুয়ো পুলিসের পরিচয় দিয়ে সোনার দোকানে হানা। সোনার দোকান থেকে সোনার জিনিস নিয়ে পালাল এক ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুরে। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ সোমবার সন্ধ্য়ায় দাসপুর বাজারে অবস্থিত একটি সোনার দোকানে ভুয়ো পুলিসি পরিচয়ে হাজির হয়েছিলেন এক ব্য়ক্তি। সোনার দোকানে ঢুকে অভিযুক্ত ওই ব্য়ক্তি জানায় তাকে নাকি থানা থেকে বড়বাবু উপহার হিসেবে সোনার জিনিস কিনতে পাঠিয়েছে। এই কথা শুনে দোকান মালিক ওই ব্যক্তিকে দুটি সোনার আংটি দেয় আর সেই আংটি নিয়ে চম্পট দেয় সেই ব্যক্তি এমনটাই অভিযোগ দোকান মালিকের।
এই বিষয়ে ঘাটাল মহকুমা পুলিস আধিকারিককে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, দোকানের মালিক নিজের বিশ্বাসে স্বর্ণ দিয়েছেন। সোনার দোকানে গিয়ে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার পর জানতে পেরেছেন কোনও পুলিস দোকানে যায়নি। উনি যাকে স্বর্ণ দিয়েছেন সে পুলিসের কেউ নয়। তবু পুরো বিষয়টা তদন্ত করে দেখছেন।
পণ চেয়ে না পাওয়ায় গৃহবধূ খুনের অভিযোগ উঠেছে শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। ঘটনায় গ্রেফতার এক অভিযুক্ত। অভিযোগ, মেয়ের বাপের বাড়ি থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা চেয়েছিল শ্বশুরবাড়ির লোক। আর তা নিয়েই নিত্যদিন অশান্তি হত। চাঞ্চল্য়কর ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুরে।
জানা গিয়েছে, বছর চারেক আগে দাসপুরের ডিহিপলশা এলাকার বাসিন্দা সুদীপা খামরুই (দাস) এর সঙ্গে কেলেগোদা এলাকার বাসিন্দা নির্মল দাসের বিয়ে হয়। সুদীপার বাপের বাড়ির অভিযোগ, মেয়ের শ্বশুরবাড়ি থেকে বারংবার টাকা চাওয়া হত। যা নিয়ে বিয়ের পর থেকে সংসারে অশান্তি লেগেই থাকত। এই নিয়ে দুই পরিবারের তরফে মিটিং করে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করা হয়। তার মধ্য়েই হঠাৎ সুদীপার শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁর বাপের বাড়িতে খবর দেয় তাঁদের মেয়ের শরীর অসুস্থ।
এরপর তড়িঘড়ি সুদীপার বাপের বাড়ির সদস্যরা সোনাখালী গ্রামীণ হাসপাতালে গিয়ে দেখেন সাদা কাপড়ে ঢাকা অবস্থায় মেঝেতে শুয়ে রয়েছে তাঁদের মেয়ে। এই বিষয়ে দাসপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সুদীপার বাপের বাড়ির লোকজন। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে দাসপুর থানার পুলিস গ্রেফতার করে সুদীপার শ্বশুর গোবিন্দ দাসকে। আর কারা কারা এই মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত রয়েছে সেদিকে নজর রাখছেন পুলিস।
প্রেমের টানের প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গেল মেধাবী মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। কিন্তু পালিয়ে গিয়েও শেষ রক্ষা হলো না। ওই মাধ্য়মিক পরীক্ষার্থীকে খুঁজে বের করে পরীক্ষার জন্য় ফর্ম ফিলাপ করালো স্কুল কর্তৃপক্ষ। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল থানার রথীপুর বড়দা বাণীপীঠ হাইস্কুলে।
জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগে ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী দাসপুরের এক নাবালক প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যায়। ২০২৪ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষা। তার আগে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় চিন্তিত হয়ে পড়ে ওই নাবালিকার পরিবারের সদস্যরা। এরপর ওই নাবালিকার পরিবারের সদস্যরা দ্বারস্থ হয় ঘাটাল থানায়। ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে ২০২৪ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার ফর্ম ফিলাপ।
অন্যদিকে স্কুলের মেধাবী ছাত্রী মাধ্যমিক পরীক্ষার ফর্ম ফিলাপ না করায় সন্দেহ হয় স্কুল শিক্ষকদের। তারপর তাঁরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারে নাবালিকা মেধাবী ছাত্রীর কর্মকাণ্ড। তারপরই রথিপুর বড়দা বাণীপীঠ স্কুল কর্তৃপক্ষ, চাইল্ড লাইন ও ঘাটাল থানার সহযোগিতায় ওই মেধাবী মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে উদ্ধার করে। তারপর তাঁকে নিয়ে এসে মাধ্যমিকের ফর্ম ফিলাপ করায়। পলাতক নাবালিকা মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর প্রেমিক।
চিকিৎসার গাফিলতিতে এক শিশুর মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য় ছড়াল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। বিনা চিকিৎসায় ওই শিশুর মৃত্যু হয় বলে পরিবারের অভিযোগ। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকালে ক্ষোভে ফেটে পড়েন ওই শিশুর আত্মীয় পরিজনেরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ডেবরা থানার পুলিস। ঘটনার জেরে পুলিসকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান ওই শিশুটির বাড়ির লোকজন।
জানা গিয়েছে, ডেবরা ব্লকের ৬ নম্বর জলিমান্দা অঞ্চলের ঘোষক্ষীরা এলাকার বাসিন্দা রতন মণ্ডলের সাড়ে তিন বছরের ছেলে বুধবার রাতে হঠাৎই অসুস্থ বোধ করে। এরপর তাঁকে ডেবরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরিবারের অভিযোগ, হাসাপাতালে ছেলেকে ভর্তি করার পর চিকিৎসকেরা চিকিৎসাও করতে আসেনি। শুধুমাত্র চিকিৎসার অভাবে এই মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ।
তারপর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উত্তেজনা ছড়ায় হাসপাতালের ভিতরে। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন মৃত ওই শিশুর আত্মীয় পরিজন। হাসপাতালের ওয়ার্ডের ভিতরে চলে দফায় দফায় বিক্ষোভ। এমনকি ডাক্তারের চেম্বারের দরজা ধাক্কা দিয়ে ঢোকার চেষ্টা করে মৃত শিশুটির পরিবারের লোকজন। শিশুটির পরিবারের বিক্ষোভের জেরে হাসপাতাল চত্বরেও ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এখন দেখার বিষয় প্রশাসন এই বিষয়ে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
বেহালায় পথ দুর্ঘটনায় ছোট্ট সৌরনীলের মর্মান্তিক মৃত্যুর রেশ এখনও কাটেনি। ওই ঘটনার পর থেকেই প্রশ্নের মুখে ট্রাফিক ব্যবস্থার বেহাল অবস্থা। ছোট্ট সৌরনীলের মৃত্যুতে যে টনক নড়েনি, তার আরও একবার প্রমাণ মিলল পশ্চিম মেদিনীপুরে। ফের পথ দুর্ঘটনার কবলে স্কুল পড়ুয়া ও তার মা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। প্রতিবাদে মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন উদয়পল্লী-কুইকোটা রাস্তা অবরোধ করেন এলাকাবাসীরা। ভাঙচুরও করা হয় ঘাতক গাড়িটিকে।
জানা গিয়েছে, রাস্তা পারাপারের সময় মা ও ছেলেকে পিছন থেকে সজোরে ধাক্কা মারে একটি লরি। একরত্তি স্কুল পড়ুয়া কোনওক্রমে প্রাণে বেঁচে গেলেও গুরুতর জখম হয়েছেন মহিলা। ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়েও কোনও সুব্যবস্থা করতে পারেনি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
পথ দুর্ঘটনার পাশাপাশি বেহাল রাস্তা ঘিরেও সরব হয়েছেন এলাকাবাসী। অভিযোগ, একাধিক অবরোধ-বিক্ষোভ করেও কোনও সংস্কার হয়নি রাস্তার। পাশাপাশি, স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েও হয়নি সমস্যার সমাধান।
এর আগেও একাধিকবার দুর্ঘটনা ঘটেছে এই রাস্তায়। তারপরও টনক নড়েনি প্রশাসনের। ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে কোতোয়ালি থানার বিশাল পুলিস বাহিনী। এ রাজ্যে একাধিকবার পথ দুর্ঘটনার খবর সামনে এসেছে। তারপরও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি, প্রশাসনের তরফে। তবে কি সাধারণ মানুষের প্রাণের দাম নেই প্রশাসনের কাছে? উঠছে প্রশ্ন।
স্ত্রীকে শ্লীলতাহানির (molestation) হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত (Attack) স্বামী। গুরুতর জখম অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে নিয়ে আসা হল মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। ঘটনাটি ঘটেছে আনন্দপুর (Anandapur) থানার অন্তর্গত বনকাটা এলাকায়। যদিও এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি আনন্দপুর থানায়।
আহত ব্যক্তি জানান, শনিবার বিকেলে ডাক্তার দেখিয়ে বাড়ি ফেরার পথে পুকুরে স্নান করতে নেমেছিলেন তিনি। সে সময় রাস্তার ধারে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী। অভিযোগ, তখনই কিছু দুষ্কৃতী স্ত্রীয়ের উপর হামলা করে। পাশাপাশি শ্লীলতাহানিরও চেষ্টা করে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি ছুটে প্রতিবাদ করতে যান। আর সেই সময়ই তাঁকে বেধড়ক মারধর করে, এমনকি ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে দুষ্কৃতীরা, এমনটাই অভিযোগ।
সূ্ত্রের খবর, এই ঘটনার পরেই রক্তাক্ত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় কেশপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। তবে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার জেরে পরে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। যদিও এই ঘটনায় আহত ওই স্বামীর দাবি, অভিযুক্ত দুষ্কৃতীরা এলাকারই বাসিন্দা।
চিকিৎসককে বেধড়ক মারধর (Doctor Beaten) করে বান্ধবীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর (West Medinipur) শহর সংলগ্ন ফুলপাহাড়ি ড্যামে। এই ঘটনার পরেই খবর দেওয়া হয় গুড়গুড়িপাল থানায়। পুলিস (Police) প্রায় চার ঘণ্টা ধরে অভিযান চালিয়ে সুস্থ অবস্থাতেই উদ্ধার করে ওই তরুণীকে। পাশাপাশি আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই চিকিৎসককে ভর্তি করা হয়েছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
সূত্রের খবর, শুক্রবার বিকেলে মেদিনীপুর হোমিওপ্যাথি মেডিক্যাল কলেজের হাউস স্টাফ চিকিৎসক তাঁর বান্ধবীকে নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন ফুলপাহাড়ি ড্যামে। হঠাৎ সন্ধ্যেবেলা মুখে গামছা বেঁধে দুই ব্যক্তি মোটরবাইকে করে হাজির হয় তাঁদের সামনে। দুষ্কৃতীরা চিকিৎসকের কাছ থেকে মোবাইল ও টাকা কেড়ে নিয়ে। এরপরেই চিকিত্সককে বেধড়ক মারধর করতে শুরু করে। এরপর তাঁর বান্ধবাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। এরপর চিকিত্সকের চিত্কার শুনে গ্রামবাসীরা ছুটে আসে এবং গুড়গুড়িপাল থানায় খবর দেন।
স্থানীয়দের দাবি, তড়িঘড়ি পুলিস ঘটনার তদন্তে নামেন। ঘটনাস্থলে যান জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার সহ একাধিক ডিএসপি পদমর্যাদার আধিকারিকরা। এমনকি মেদিনীপুর পুলিস লাইন থেকেও নিয়ে আসা হয় বিশাল বাহিনী। পুলিস আশেপাশের প্রতিটা গ্রামে ওই তরুণীর খোঁজ চালায়। প্রায় চার ঘণ্টা পর পার্শ্ববর্তী গ্রামের একটি বাড়ি থেকে ওই তরুণীকে উদ্ধার করে পুলিস। শুধুমাত্র চিকিত্সকের সঙ্গে ব্যক্তিগত কোনও আক্রোশ নাকি দুষ্কৃতীতাণ্ডব চালানোয় উদ্দেশ্য ছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
উল্লেখ্য এলাকাবাসীদের আরও দাবি, রাত বাড়লেই ফুলপাহাড়ি ড্যামে বাড়ছে দুষ্কৃতীদের আনাগোনা। বাড়ছে অসামাজিক কাজকর্মও। তাই অবিলম্বে ওই এলাকায় পুলিসি নজরদারি বাড়ানোর দাবি তুলছেন এলাকাবাসীরা।
বস্তা বন্দি এক অজ্ঞাত পরিচয় মহিলার মৃতদেহ (Death Body) উদ্ধার (Recovery) হয়েছে। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর (West Medinipur) জেলার খড়গপুর লোকাল থানার অন্তর্গত সাঁকোয়া এলাকায়। এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে খড়গপুর লোকাল থানার পুলিস (Police)। পুলিস ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়। মৃতের নাম পরিচয় এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
স্থানীয় সূ্ত্রের খবর, শনিবার সকালে এলাকার লোকেরা সকালের কাজকর্ম সারার জন্য মাঠে যায়। তখনই ধানক্ষেতে থাকা একটি গাছের নীচে বস্তাবন্দি থাকা এক মৃতদেহর পা দেখতে পায়। তারপরে ওই বস্তা খুলতেই দেখা যায় ওই মহিলার মৃতদেহটি। এই ঘটনার পরেই খবর দেওয়া হয় খড়গপুর লোকাল থানায়। তারপরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস। স্থানীয়দের দাবি, ওই মহিলাকে অন্য জায়গায় খুন করার পর বস্তাবন্দি করে এই গাছের নীচে ফেলে গিয়েছে অভিযুক্তরা, এমনটাই দাবি স্থানীয়দের।
প়ঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat elections) একদিন আগে ফের উত্তপ্ত সবং। বিজেপি সমর্থিত নির্দল প্রার্থীর স্বামীকে বেধড়ক মারধর করে হাত-পা ভেঙে দেওয়া অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর (West Medinipur) জেলার সবং থানার ১২ নং বুড়াল অঞ্চলের কেরুর এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে সবং থানার বিশাল পুলিস (police) বাহিনী। এই ঘটনায় ব্য়াপক চাঞ্চল্য় ও আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
উত্তর বুথের বিজেপি সমর্থিত নির্দল প্রার্থী সোনালী সিং ঘোড়াই জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাত ১১টা নাগাদ কোলাঘাট থেকে তাঁর স্বামী অরুণ ঘোড়াই গাড়ি নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় কেরুর এলাকায় তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি তপন হাজরার নেতৃত্বে থাকা তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হাতে বোমা, বন্দুক, লাঠি, রড, নিয়ে তাঁর স্বামীর পথ আটকায়। তার পর তাঁকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয় এবং তাঁর হাত-পা ভেঙে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে এই ঘটনার খবর পেয়ে তাঁকে উদ্ধার করে সবং গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে বলে জানা গিয়েছে।
ইতিমধ্যে এই ঘটনার পর কেরুর এলাকা থমথম রয়েছে। এই ঘটনায় সবং থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস আধিকারিকরা। অন্যদিকে অঞ্চল সভাপতি তপন হাজরা এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, 'আমাদের কোনও সমর্থক মেরেছে বলে আমার জানা নেই।' এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে বলে তিনি জানিয়েছেন।
নেই পরিষ্কার পানীয় জলের ব্যবস্থা, নেই বিদ্যুৎ সংযোগ। ভেঙে পড়ছে বাড়ির ছাউনিও, ঠিক এমনই বেহাল দশা অঙ্গনওয়াড়ি (ICDS) কেন্দ্রের। তবে সেদিকে নজর নেই প্রশাসনের। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলার দাসপুর ১ নম্বর ব্লকের ডিহিতেতুয়া ১১১ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের। এই ঘটনায় জনসাধারণের সঙ্গে একমত আইসিডিএস সেন্টারের কর্মীরাও। রাজ্যে একাধিকবার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খাবারে টিকটিকি, আরশোলা, সাপ পাওয়া যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। তারই মাঝে একটি বেহাল অঙ্গনওয়ড়ি কেন্দ্রের ছবি ধরা পরল।
স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, যেকোনও সময় ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা। তবে একাধিকবার প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও সুরাহা মেলেনি। তাঁদের দাবি, দাসপুর ১ নম্বর ব্লকের ডিহিতেতুয়া ১১১ নম্বর আইসিডিএস সেন্টারে ১২০ জন পড়ুয়া রয়েছে। এলাকার গর্ভবতী মহিলাদের কাছেও খাবার যায় এই সেন্টার থেকে।
স্থানীয়দের আরও অভিযোগ, বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকাই প্রচন্ড গরমের মধ্যে বাচ্চাদেরকে পড়াশোনা করতে হয়। তার মধ্যে পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই, সেন্টারের ছাউনিরও অবস্থা ভগ্নপ্রায়। যেকোনও সময় ঘটতে পারে বড়সড় দুর্ঘটনা। তাই চরম আতঙ্কে রয়েছেন এলাকার মানুষ সহ আইসিডিএস সেন্টারের কর্মীরাও।
তবে এই ঘটনায় ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস বলেন, সেন্টারটির ঠিক কী অবস্থা তা দফতরের আধিকারিকদের কাছে জানা হয়েছে। দ্রুত কীভাবে পরিকাঠামো উন্নয়ন করা যায় তাঁর ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।
ফের রাজ্যে শুটআউটের (shootout) ঘটনা! ঘটনাস্থল পশ্চিম মেদিনীপুর (West Medinipur) শহর। রবিবার রাতেই চলে গুলি, অভিযোগ এরকমই। একদিকে যখন বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলার উন্মাদনা চরমে, ঠিক তখনই মেদিনীপুর শহরের মিত্র কম্পাউন্ড এলাকায় শূণ্যে গুলি চালিয়ে এক ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা ছিনতাই করে নিয়ে পালিয়ে যায় তিন দুষ্কৃতী। এমন ঘটনা জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্ক ছড়ায় এলাকাবাসীদের মধ্যে।
বিভিন্ন মুরগির দোকানের টাকা কালেকশন করেন রাজীব দাস। এই রাজীব দাসের অভিযোগ, বিভিন্ন দোকানের টাকা কালেকশন করে রবিবার রাতে তিনি যখন বাড়ি ফিরছিলেন। ঠিক তখনই শহরের মিত্র কম্পাউন্ডের কাছে পিছন দিক থেকে তিন দুষ্কৃতী এসে তাঁকে প্রথমে মারধর করে। তারপরও সে যখন টাকার ব্যাগ ছাড়তে না চান, তখনই শূন্যে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা।
ঘটনার খবর কোতোয়ালি থানায় দেওয়া হলে তড়িঘড়ি পুলিস (police) এসে পৌঁছয় এলাকায়। পরবর্তীতে থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন রাজীব দাস। লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পরে পুরো ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে কোতোয়ালি থানার পুলিস। তবে মাঝরাতে এমন ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এলাকাবাসীদের নিরাপত্তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।
সাত সকালেই আবর্জনা (garbage) ফেলাকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা। পুলিসের (police) সামনেই এলাকাবাসীদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়ালেন ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলরও। ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুর (West Medinipur) শহরের সিপাইবাজার এলাকার।
জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগেই সিপাই বাজার এলাকায় থাকা একটি ভ্যাট ভেঙে দেন স্থানীয় এক বাসিন্দা। তারপর থেকেই আবর্জনা ফেলতে অসুবিধে হয় এলাকাবাসীদের। বাধ্য হয়েই এলাকায় নতুন ভ্যাটের দাবিতে রবিবার বিক্ষোভে সামিল হন এলাকাবাসীরা। বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কোতোয়ালি থানার পুলিস। ঘটনাস্থলটি পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সীমানায় হওয়ায় খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন এলাকার প্রাক্তন কাউন্সিলর শ্যামল ভকতও। এরপরই পুলিসের সামনে প্রথমে এলাকাবাসীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন, পরে তা হাতাহাতিতেও পৌঁছয়। কোনওক্রমে প্রাক্তন কাউন্সিলরকে সরিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয় কোতোয়ালি থানার পুলিস।
তবে ঘটনার পর এলাকাবাসীদের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়। আশ্বাস পেয়ে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি। কিন্তু এলাকায় এখনও পর্যন্ত মোতায়েন রয়েছে পুলিসবাহিনী। এদিকে, এই বিষয়ে ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে রাজি হননি প্রাক্তন কাউন্সিলর।
ফের পশ্চিম মেদিনীপুর (West Medinipur) জেলায় নাবালিকাকে যৌননিগ্রহের (Sexual abuse) অভিযোগ। গড়বেতা থানা এলাকায় নাবালিকাকে যৌননিগ্রহের অভিযোগ মদ্যপ যুবকদের বিরুদ্ধে। অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার (Arrest) করা হয়ছে ৫ জনকে।
মাসখানেক আগেই ডেবরায় নাবালিকাকে যৌননিগ্রহের ঘটনা ঘটেছিল। এরপর একই অভিযোগ ওঠে আনন্দপুর থানা এলাকাতেও। এবার ফের যৌননিগ্রহের অভিযোগ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গড়বেতা থানা (Garbeta police station) এলাকায়। বৃহস্পতিবার রাতে মাঠে শৌচকর্ম করতে গিয়েছিল ১৩ বছরের ওই নির্যাতিতা নাবালিকা। সে সময় মাঠের মধ্যেই তাঁকে নিগ্রহ করা হয় বলে অভিযোগ।
শুক্রবার সকালে ওই নাবালিকা অসুস্থবোধ করলে পরিবারের সদস্যদের কাছে গোটা বিষয়টি জানায় সে। শুক্রবার দুপুরে তাঁকে ভর্তি করা হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। এরপর থেকে এখনও মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মাতৃমা ভবনে চিকিৎসাধীন ওই নাবালিকা।
অপরদিকে, বাড়ির মেয়ের মুখে গোটা ঘটনা শুনে শুক্রবার বিকেলে গড়বেতা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার পরিবারের লোকেরা। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ৫ জনকে শনিবার গ্রেফতার করে গড়বেতা থানার পুলিস।
জানা গিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে একজন নাবালক। শনিবার বিকেলে ধৃতদের মধ্যে ৪ জনকে পেশ করা হয় মেদিনীপুর আদালতে। একজন নাবালক হওয়ার কারণে তাকে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের সামনে পেশ করা হয়। ধৃতদের প্রত্যেককেই ৫ দিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দেয় মেদিনীপুর আদালত।
বৃষ্টির ফলে শিলাবতী নদীতে (Silabati river) বেড়েছে জল, আর এর ফলে নদী বাঁধে দেখা দিয়েছে ধস। আর এই ধসের ফলে তীব্র আতঙ্কে এলাকাবাসী। জানা যায়, দাসপুর (Daspur) এক নম্বর ব্লকের সীতাকুণ্ড গ্রামে শিলাবতী নদীর পাড়ে দেখা দিয়েছে এই ধস। এলাকার মানুষদের দাবি, এই নদীর (river) পাড় বেশ কয়েক বছর ধরেই বেহাল পরিস্থিতিতে রয়েছে। কারণ, পুরো বালি দিয়ে তৈরি এই বাঁধ। যেকোনও মুহূর্তে বাঁধ ভেঙে যেতে পারে, এরজন্য একাধিকবার প্রশাসনের আধিকারিকদের জানানোও হয়েছিল। কিন্তু অভিযোগ, প্রশাসনের কেউ এই বিষয়ে কর্ণপাত করেনি।
অবশেষে রবিবার সকাল থেকে শিলাবতী নদীর জল বাড়তে শুরু করলে, দুপুর থেকে সীতাকুণ্ড এলাকায় দেখা দিয়েছে প্রবল ধস। আর সেই ধসের কথা জানতে পেরে সেচ দফতরে আধিকারিক থেকে শুরু করে দাসপুর থানার পুলিস (police) ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছয়। তবে সেখানে গেলে তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভে সরব সীতাকুণ্ড হয় গ্রামবাসী। গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই বাঁধ ভেঙে গেলে দাসপুর ১ ও ২ নম্বর ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হবে। শুধু তাই নয়, বাঁধ লাগোয়া রয়েছে একাধিক বসত বাড়ি। সেগুলিও তলিয়ে যাবে ধসে। তাঁদের মূলত অভিযোগ, বেশ কয়েক বছর ধরেই প্রশাসনের আধিকারিকদের এই বিষয়টি জানানো হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা এই বিষয়ে কোনও কর্ণপাত করেনি। বর্তমানে ভয়াবহ পরিস্থিতি ধারণ করতেই প্রশাসনের আধিকারিকরা এসেছে। তাঁদের আর্জি, দ্রুত ব্যবস্থা যেন নেয় প্রশাসন।