ডাক্তারকে (Doctor) অনেকেই বলে থাকেন 'ভগবানের দূত’। তাঁর হাতেই জন্ম, মৃত্যুও তাঁরই হাতে। সম্প্রতি চিকিৎসকদের গাফিলতির একাধিক খবর উঠে এসেছে। ডাক্তারদের উপর ভরসাটা উঠেই যাচ্ছিল রোগীদের (Patient)। তবে এখনও চিকিৎসকদের মধ্যে কর্তব্যবোধ বেঁচে রয়েছে। তারই প্রমাণ দিলেন বেঙ্গালুরুর (Bangalore) মণিপাল হাসপাতালে (Manipal Hospital) কর্মরত চিকিৎসক ডাঃ গোবিন্দ নন্দকুমার (Govinda Nandakumar)।
টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছিল বেঙ্গালুরুর একাধিক জায়গা। এর ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়। হাসপাতালে যাওয়ার সময় ডাঃ গোবিন্দের গাড়ি সরজাপুর-মারাঠাহাল্লি রাস্তায় আটকে পড়ে। এদিকে, হাসপাতালে গিয়ে রোগীদের গলব্লাডার অস্ত্রোপচার করার কথা তাঁর। রোগীরা অপেক্ষায়, তাই দেরি হয়ে যাবে ভেবে গাড়ি ছেড়ে নেমে পড়েন তিনি। তিন কিলোমিটার রাস্তা প্রায় ৪৫ মিনিটে দৌড়ে হাসপাতাল পৌঁছন তিনি। যা শুনে স্তম্ভিত সকলে।
ওই চিকিৎসক বলেছেন, তিনি সময় নষ্ট করতে চাননি। রোগীরা তাঁর জন্য অপেক্ষা করে রয়েছেন। এদিকে বৃষ্টির জল জমে কয়েক কিলোমিটার রাস্তা জ্যাম হয়ে গিয়েছিল। সেকারণে তিনি দৌড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। জানা গিয়েছে, গত ১৮ বছর ধরে একাধিক জটিল অস্ত্রোপচার করেছেন নন্দকুমার। ডাক্তার হিসেবে যথেষ্ট নামডাক রয়েছে তাঁর। এই কীর্তিতে সকলে বিস্মিত।
চারিদিকে ধর্ষণ (Rape), খুন (Murder), যৌন নিগ্রহ (Sexual abuse) একাধিক নৃশংসতার খবর প্রতিনিয়ত উঠে আসে। এরই মধ্যে এখনও মানবতা জিইয়ে। তারই এক নিদর্শন মিলল মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) নীমচ জেলার স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে।
টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন গোটা এলাকা। বুকসমান বৃষ্টির জলস্তর। এ অবস্থায় শুরু হয় প্রসব যন্ত্রণা। তড়িঘড়ি ফোন করা হয় অ্যাম্বুল্যান্সে। কিন্তু এত জল পেরিয়ে অ্যাম্বুল্যান্সের চাকা গড়ানো কার্যত দুষ্কর হয়ে উঠেছিল। স্বাভাবিকভাবেই আসতে দেরি হয় অ্যাম্বুল্যান্সের। তখনই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় স্থানীয় প্রশাসন। জেসিবি এনে প্রসূতিকে সময় মতো হাসপাতালে পৌঁছে দেয় তারা।
মহিলার বাড়ির লোক আতঙ্কিত হয়ে বিধায়ক এবং পুলিসের কাছে সাহায্যের আর্তি জানান। বিধায়কের নির্দেশে পুলিস এবং স্থানীয় প্রশাসন তৎক্ষণাৎ একটি জেসিবির ব্যবস্থা করে। গ্রাম থেকে মহিলাকে নিরাপদে হাসপাতালে পৌঁছে দেয় তারা। প্রশাসনের এই মানবিক উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন সকল গ্রামবাসী।