Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

WaterProblem

Water: তীব্র গরমে জল সংকট, কুয়ো সংস্কারের দাবিতে ভোট বয়কটের ডাক স্থানীয়দের

কল আছে জল নেই। সরকারি কুয়ো থাকা সত্ত্বেও নিয়মিত সংস্কারের অভাব। ফলে শুকিয়ে গেছে কুঁয়োর জল। দুর্গাপুরের (Durgapur) রঘুনাথপুর ধোবিঘাটসহ বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ব্যাপক জলের সমস্যায় (Water Problem)জেরবার স্থানীয়রা। অভিযোগ, বারংবার প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও সুরাহা মেলেনি। এছাড়াও নির্বাচনের আগে গ্রামবাসীদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে যে ভোট দিলেই মিলবে সমস্ত প্রতিশুতির বাস্তব রুপায়ন। কার্যত এখন এক অথৈই জলে পড়ে রয়েছে দুর্গারের অঞ্চলের মানুষজন। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁরা নিজেরা ট্যাকের পয়সা খরচা করে কুয়ো ঠিক করেছিলেন। এখানকার অধিকাংশ মানুষ দৈনন্দিন শ্রমিক। তাই এখন কুয়ো ঠিক করতে না পেরে সেই কুয়ো শুকিয়ে পড়ে রয়েছে। কয়েক হাজার মানুষ বসবাস করেন এই অঞ্চলগুলিতে। কিন্তু জলের ভরসা বলতে ব্যাক্তিগত উদ্যোগে তৈরী হওয়া কিছু কুয়ো আর সামনে থাকা টাউনশিপ এলাকা। কখনও কখনও কিনেও খেতে হয় জল। তীব্র গরমে পুকুরও গেছে শুকিয়ে। সব মিলিয়ে এক অসহনীয়  যন্ত্রণার মুখে দুর্গাপুরের রঘুনাথপুর ধোবিঘাট এলাকার একাংশ মানুষজন। অভিযোগ, ভোটের সময় নেতারা এসে সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেয় কিন্তু ভোট মিটতেই সব শেষ। তাঁদের একটাই দাবি অবিলম্বে তাঁদেরকে জল দিতে হবে নয়তো আগামী দিনের যে নির্বাচন রয়েছে সেখানে তাঁরা অংশগ্রহন করবে না। 

11 months ago
Water: পানীয় জলের দাবিতে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ মহিলাদের, পুলিসের সহায়তায় ওঠে অবরোধ

তীব্র গরমে দীর্ঘদিন ধরে পানীয় জল সংকট এলাকায় (Waterproblem)। পানীয় জলের দাবিতে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালো (Demonstration) বাঁকুড়া (Bankura) জেলার বড়জোড়া ব্লকের অন্তর্গত খাঁড়ারী গ্রাম পঞ্চায়েতের নিরীশা গ্রামের মহিলারা। ফুলবেড়িয়া থেকে রামহরিপুর রাজ্য সড়কে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। অভিযোগ, পানীয় জলের সমস্যার কথা প্রশাসনকে বারংবার জানানো হলেও এখনও পর্যন্ত কোনো সুব্যবস্থা করে দেওয়া হয়নি প্রশাসনের তরফে। 

শনিবার, সকাল থেকে গ্রামের মহিলারা দলবদ্ধ ভাবে মেটিয়া পাড়ার মোড় দীর্ঘক্ষণ পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। এর পর রাজ্য সড়কের মাঝে কলসি বালতি রেখে ও বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে। যতক্ষণ না পর্যন্ত সরকারি আধিকারিকরা এসে পানীয় জলের সুবিধা করে দিচ্ছে ততক্ষণ অবরোধ থেকে উঠবে না এমনটাই দাবি করেন ওই মহিলারা। পাশাপাশি আগামী পঞ্চায়েত ভোট বয়কট করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে তাঁরা। দীর্ঘক্ষণ ধরে পথ অবরোধ থাকার ফলে ভোগান্তির শিকার হয় বহু মানুষ।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় বড়জোড়া থানার পুলিস। বিক্ষোভকারী মহিলাদের সাথে কথা বলেন তাঁদের অভিযোগের কথা শুনে ব্লক অফিসে জানানোর পর সরকারি অফিসার আসে ঘটনাস্থলে। এর পরে পুলিস ও সরকারি আধিকারিকরা বোঝানোর পরে পথ অবরোধ থেকে বিক্ষোভকারীরা উঠে যান। বড়জোড়া থানার পুলিসের তৎপরতায় যানবাহন চলাচল ফের স্বাভাবিক হয়। নিরীশা গ্রামের পাশাপাশি আরও বেশ কিছু গ্রাম রয়েছে যেখানে পানীয় জলের কারণে ভুগছে গ্রামবাসীরা। এখন দেখার বিষয় গ্রামের মানুষ প্রশাসনের কাছ থেকে কত শীঘ্রই পানীয় জলের সুবিধা পায়। সেই দিকেই তাকিয়ে গ্রামবাসীরা।

12 months ago
Water: তীব্র দাবদাহের মধ্যে পানীয় জলের সংকটে দুর্গাপুরবাসী

চলছে তীব্র দাবদাহ। এই দাবদাহে যখন জলের ব্যাপক সংকট (Waterproblem) চলছে, ঠিক তখনই সরকারি স্তরে উদাসীনতার ছবি ধরা পড়ল দুর্গাপুরের (Durgapur) ডিভিসি মোড়ের কাছে। দেখা গিয়েছে, জলের পাইপ লাইন ফেটে জল বেড়িয়ে যাচ্ছে। বেশ কয়েক দিন ধরে জলের এই অবস্থা। 

গরমের তীব্র তাপপ্রবাহে হাঁসফাঁস করছেন সাধারণ মানুষ। পাল্লা দিয়ে যেমন বাড়ছে লোডশেডিং, ঠিক তেমনি ব্যাপক জল সংকট শুরু হয়েছে দুর্গাপুর শহরের বেশ কিছু প্রান্তে। এই গরমে জলের ব্যাপক সংকটে দুর্গাপুরের ডিভিসি মোড়ের কাছে জলের পাইপ লাইন ফেটে বিপত্তি। এক আধ দিন নয় টানা তিন দিন ধরে জলের পাইপ লাইন ফেটে জল বেড়িয়ে যাচ্ছে। জাতীয় সড়ক সার্ভিস রোড পর্যন্ত সেই জল পৌঁছে যাচ্ছে। জাতীয় সড়কের সার্ভিস রোড সংলগ্ন ডিভিসি মোড় রোটারির কাছে দাঁড়িয়ে পড়েছে সেই জল। জলের ব্যাপক অপচয় নিয়ে সরব হয়েছে সাধারণ মানুষ। যখন মানুষ জল কিনে খাচ্ছে, ব্যাপক সংকট চলছে জলের, ঠিক তখনই সরকারি বাবুদের উদাসীনতায় জলের ব্যাপক অপচয় হচ্ছে ঠিক শহরের বুকে। 

দুর্গাপুর নগর নিগমের জল দফতরের আধিকারিকরা বলছেন, পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ বন্টন নিগমের দায়সারা মনোভাবে এই বিপত্তি ঘটেছে। জলের পাইপ লাইন ঘেঁষে বিদ্যুতের কেবিল নিয়ে যাওয়া হয়েছে আর এতে পাইপ লাইন সংস্কার করতে গিয়ে বিপদের আশংকাতে কাজ করতে পারছে না দুর্গাপুর নগর নিগম। দুর্গাপুর শহরের বুকে জলের এই ব্যাপক অপচয়ে, আর সরকারি স্তরে উদাসীনতায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। 

12 months ago


Water: পানীয় জলের সংকট যেন বেড়েই চলেছে, গ্রীষ্মের শুরুতে হাঁসফাঁস অবস্থা

প্রখর গরমে পানীয় জলের সংকটে (Water Problem) জর্জরিত বাঁকুড়া (Bankura) জেলার একাধিক এলাকা। বেশ কয়েক দিন ধরেই পানীয় জলের সমস্যায় বিভিন্ন জায়গায় পথ অবরোধ বা বিক্ষোভ দেখিয়ে মানুষজন সরব হচ্ছে। বাঁকুড়া দু'নম্বর ব্লকের বাকীসেতরা গ্রাম দীর্ঘদিন ধরে পানীয় জলের সমস্যায় রয়েছে। এলাকায় পানীয় জলের কল থাকলেও নিত্যদিন জলের দেখা মেলে না। ফলে সমস্যা সমাধানে এলাকায় নলকূপ থাকলেও তা গ্রামে পর্যাপ্ত পরিমানে নেই। তাই বাধ্য হয়েই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করল গ্রামেরই মানুষজন, কারণ এই তীব্র তাপ থেকে বাঁচতে মানুষের বাঁচার জন্য যে জল প্রয়োজন, সেই জল টুকুও পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে না। 

স্থানীয়দের অভিযোগ, সরকার থেকে বাড়ি বাড়ি কল দেওয়া হলেও সেই কল থেকে জল পড়ে না। এই তীব্র গরমে জলের সংকটে ভুগছে বাঁকুড়ার এলাকাবাসীরা। প্রায় এক মাস ধরে খারাপ হয়ে রয়েছে পানীয় জলের কল। যার কারণে গ্রাম থেকে অনেকটা দূরে গিয়ে জল আনতে যেতে হয়। প্রশাসন শুধুই প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছে।

পাশাপাশি, ইংরেজবাজার পৌরসভা তিন নম্বর ওয়ার্ডের বিস্তীর্ণ এলাকায় পরিশ্রুত জলের সমস্যা। বিশেষ করে তীব্র গরমে দক্ষিণ কৃষ্ণপল্লী এলাকায় চলছে তীব্র জল সংকট। চরম নাজেহাল সাধারণ মানুষ। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। মালদার ইংলিশ বাজার পৌরসভা তিন নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ কৃষ্ণ পল্লী এলাকা। দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় জল সমস্যা রয়েছে। তীব্র গরমে তা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন এলাকার কাউন্সিলর মনীষা সাহা। দ্রুত সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী।


12 months ago
Road: বেহাল রাস্তা সারাইয়ের অর্থ বরাদ্দ হলেও হচ্ছে না কাজ!'শুধু প্রতিশ্রুতি', বলছেন স্থানীয়রা

ফের রাস্তা ও পানীয় জলের (Road Water Problem) অভাবে ভুগছে সাধারণ মানুষ। ভোট আসে ভোট যায় তবে রাস্তা সংস্করণের প্রতিশ্রুতি আর পূরণ হয় না। এমনকি ৪৩ ডিগ্রি তাপমাত্রাতেও পানীয় জলের অভাবে হাহাকার গোটা এলাকায়। এই দুই অসুবিধা নিয়ে হয়রান হাওড়া (Howrah) ডোমজুড় বিধানসভা কেন্দ্রের দাসী এলাকার বাসিন্দাদের। 

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রায়ই এই রাস্তার উপর দিয়ে যাতায়াত করার সময় সমস্যায় পড়তে হয়। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তার উপর উঠে আসে নোংরা জল। তবে এই পরিস্থিতিতেও প্রশাসনের তরফ থেকে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এমনকি এই রাস্তা সংস্করণের জন্য টাকাও বরাদ্দ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সেই টাকায় রাস্তা সংস্করণ করা হচ্ছে না, এমনটাই দাবি স্থানীয়দের। স্থানীয়রা আরও দাবি করেন, এই এলাকায় কোনও উন্নয়ন করা হয়নি। কলেও জল থাকা সত্ত্বেও তা থেকে এক ফোঁটাও জল পড়ে না। তাহলে ঠিক কবে মিলবে সুবিচার, তার আশায় দিন গুনছে এলাকার প্রতি মানুষ।  

12 months ago


Water: লক্ষ টাকা ব্যয়ে বসানো এসি জলাধার বিকল! তীব্র পানীয় জল সংকট হাসপাতালে

প্রচন্ড দাবদহে হুগলীর পুরশুড়া ব্লক প্রাথমিক হাসপাতাল কল আছে জল নেই। হাসপাতালে প্রায় ৭ লক্ষ টাকা ব্যায়ে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত পরিশ্রুত পানীয় জলাধার বসানো হয়েছিল। দীর্ঘদিন বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে এই জলাধার। কল থেকে জল পড়ছে না। ফলে জল সংকটে ভুগছেন হাসপাতালের রোগীরা। প্রয়োজন মতো জল না পেয়ে জল কিনে খেতে হচ্ছে। এমনকি রোগীর আত্মীয়স্বজন থেকে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারা নানা সমস্য়ায় পড়ছেন। ফলে ক্ষোভে ফুঁসছে সকলে।

অভিযোগ, বারবার প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে জল সংকটের কথা জানানো হলেও কোনও লাভই হয়নি। এই তীব্র গরমের মধ্য়ে একপ্রকার বাধ্য় হয়ে সেখানে রোগীরা এবং রোগীর আত্মীয়স্বজনরা রয়েছেন। স্থানীয় সূ্ত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৮ সাল এই শীততাপ নিয়ন্ত্রিত পরিশ্রুত পানীয় জলাধার বসানো হয়েছিল। তার ঠিক তিন মাস পর থেকেই খারাপ অবস্থায় পড়ে রয়েছে কলটি। তাঁদের আবেদন, প্রশাসন যেন অবিলম্বে এই জলাধার সারাইয়ের ব্য়বস্থা গ্রহণ করে। 

12 months ago
Water: প্রবল গরমে জলের সংকটে বাঁকুড়াবাসী, কাঠফাটা রোদে জল আনতে যেতে হয় বহু দূরে

কল আছে জল নেই। প্রখর গরমে জল সংকটে (Water problem) ভুগছেন বাঁকুড়া (Bankura) এক নম্বর ব্লকের রুমারডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দারা। এখন বাঁকুড়ার তাপমাত্রার পারদ প্রায় ৪৪ ডিগ্রি ছুঁই ছুঁই। অভিযোগ, বারংবার পঞ্চায়েতে জানানো হলেও কোনও সুরাহা মেলেনি বলে দাবি জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা।

বেশ কয়েকটি পরিবারের বসবাস রয়েছে এই গ্রামে। এই গ্রামের বাড়ি বাড়ি কল থাকলেও জল কিন্তু নেই। পাঁচ ছয় দিন পর পর কলে আসে জল। এমনকি আধঘণ্টার বেশি জল পাওয়া যায় না। ফলে দূরদূরান্তু থেকে পানীয় জল আনতে হয়। কাঠফাটা রোদের মধ্য়েও এক-দুই কিমি পথ অতিক্রম করে জল আনতে হয়। গোটা এলাকায় একটি টিউবওয়েল রয়েছে, সেটিও আবার খারাপ। যার কারণে প্রখর গরমের মধ্য়ে একেবারে নাজেহাল অবস্থা গ্রামবাসীদের। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই জলের সমস্যায় ভুগছেন। চার-পাঁচ দিন পর পর কলে জল আসে। এলাকার মানুষকে জল আনতে যেতে হয় কয়েক কিলোমিটার দূরে। বার বার ব্লক প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি। গ্রামবাসীদের একটাই দাবি, জলের ব্য়বস্থা করে দেওয়া হোক।

one year ago
Water:গরমে তীব্র জল সংকট, নিচে নামছে জলস্তর! পানীয়ের দাবিতে পথ অবরোধ বাঁকুড়ার গ্রামে

কল আছে জল নেই, গরমে জলের (Water problem) জন্য হা করে গোটা গ্রাম। তাই জলের দাবীতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ (Agitation) গ্রামবাসীদের। এমনকি পানীয় জল সরবরাহের দাবীতে রাস্তায় নেমে পথ অবরোধ করলেন গ্রামের মহিলারাও। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার (Bankura) বড়জোড়া ব্লকের হাট আশুড়িয়া গ্রামের রুইদাস পাড়ার। 

গরম যতই বাড়ছে ততই নামছে ভূগর্ভস্থ জলস্তর। শুকিয়ে গিয়েছে কুয়োও। এমনকি বিকল হয়ে পড়ছে নলকূপ। জানা গিয়েছে, মাস সাতেক আগে গ্রামের জল সঙ্কট মেটানোর জন্য বাড়িতে বাড়িতে নলবাহিত পানীয় জলের কল বসানো হয়। কিন্তু সেই কল দিয়ে এক ফোঁটা জল পড়েনা। গরম বাড়তেই ওই গ্রামে ক্রমশ তীব্র হচ্ছে জল সঙ্কট। সামান্য জলের জন্য শুরু হয়েছে হাহাকার।   

স্থানীয়দের দাবী, এই পরিস্থিতিতে পুকুরের জল খেয়েই দিন কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন স্থানীয়রা। তাই অবিলম্বে গ্রামের জল সঙ্কটের সমস্যার সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। আর সেই দাবিতেই সোমবার সকাল থেকে বড়জোড়া সোনামুখী রাস্তায় হাট আশুড়িয়া মোড় অবরোধ করে প্রবল বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন স্থানীয়রা।

one year ago


Water: বাঁকুড়া-হুগলি পানীয় জলের হাহাকার, কল থাকলেও জল নেই

কল আছে জল নেই (Water Problem)। জলের আশায় দিন গুনছে সাধারণ মানুষ। তাই বাঁকুড়ার জগদীশপুরার গ্রামবাসীরা সেই অভিযোগ নিয়েই মঙ্গলবার খাদ্য প্রতিমন্ত্রীর গাড়ি আটকে বিক্ষোভ (Agitation) দেখান। এমনকি মন্ত্রীর কাছে এলাকাবাসীরা সব সমস্যার কথা তুলে ধরেন। খাদ্য প্রতিমন্ত্রীও এই সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন, দাবি গ্রামবাসীদের। 

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রায় তিন বছর ধরে এই সজল ধারা প্রকল্পে জলের কলগুলি বসানো হয়েছিল। তবে আজও বন্ধ জলের পরিষেবা। গ্রামের মহিলারা প্রায় দেড় কিলোমিটার হেঁটে পাশের গ্রাম থেকে পানীয় জল নিয়ে আসেন। তাদের দাবি, বারবার প্রশাসনকে লিখিত দরখাস্ত দিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি।   

এই বিষয়ে বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বিপদতারণ সেন বলেন, 'পুরো জঙ্গল মহলেই এই জলের সমস্যা রয়েছে। পানীয় জলের সমস্যাটা দীর্ঘদিনের সমস্যা। কেন্দ্র সরকার এই সমস্যা মেটানোর জন্য পানীয় জলের ব্যবস্থা করেছেন। কিন্তু সেই কাজ এত ঢিলে গতিতে চলছে, এত দেরি হচ্ছে, যার ফলে মানুষ জল পাচ্ছে না। প্রায় এক থেকে দেড় বছর আগে এই জলের কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু এখানে তৃণমূল কংগ্রেসের ভাগাভাগির কারণে কাজে এত দেরি হচ্ছে। পঞ্চায়েতে যিনি আছেন তিনি ঠিক মতো কাজটা করছেন না।'    

অভিযোগ একেবারেই অস্বীকার করলেন তৃণমূল জেলা পরিষদের সদস্য গণেশ ডাঙা। তিনি বলেন, 'মাসে একবার করে গ্রামের জলের কলগুলি সারানো হয়। জলের স্তর একটু নীচু হওয়ায় পানীয় জলের সমস্যা শুরু হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে তা আবার সারানো হবে।' 

ঠিক একই সমস্যার ছবি উঠে আসছে হুগলির চাঁপাডাঙ্গা কলেজপাড়া এলাকা থেকে। ওই এলাকায় প্রায় ১০০টি পরিবারের বসবাস। তারপরেও জলের সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে তাঁদের। কল থাকলেও জল পাচ্ছে না তাঁরা। বারবার প্রশাসনের দারস্থ হলেও কোনও সুরাহা মেলেনি। 

one year ago
Water: তীব্র জল সংকটে গ্রাম, পানীয় জলের জন্য ভরসা দেড় কিমি দূরের পাড়া

রাস্তা-ব্রিজের সঙ্গেই এবার জল সংকট (Water Problem)। মন্দিরবাজার ব্লকের কেচারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রামভদ্রপুর গ্রামের মাঝেরপাড়া (Majherpara) এলাকায় দীর্ঘদিন জল সংকটে ভুগছেন এলাকাবাসী। এই এলাকার মানুষদের সবচেয়ে বড় সমস্যা পানীয় জল। এলাকায় কল না থাকায় পানীয় জল আনতে যেতে হয় প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে উত্তরপাড়া এবং দক্ষিণপাড়ায়। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ভোট আসলেই জনপ্রতিনিধিরা জলের কল বসানোর প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি আজও বাস্তবায়িত করতে পারেনি কেউ। 

স্থানীয়দের আরও অভিযোগ, রামভদ্রপুর অবৈতনিক বিদ্যালয়ে রয়েছে একটিমাত্র ডিপ টিউব কল। কিন্তু আয়রনের জন্য সেই জলও খাওয়া যায় না। আবার কখনও এই কলে উঠে আসছে ঘোলা-নোংরা জল। যা কোনওভাবেই খাওয়ার উপযুক্ত নয়। শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা, সবদিনই উত্তর এবং দক্ষিণ পাড়ার পানীয় কলের উপরে নির্ভর করতে হয় এই মাঝেরপাড়ার ১০০-১৫০ পরিবারকে। 

তাঁদের দাবি, এত দূর থেকে জল আনতে বড় সমস্যায় পড়তে হয়। অনেক সময় পুকুরের জলই তাঁদের ব্যবহারের অন্যতম মাধ্যম হয়ে ওঠে। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে পুকুরের জলের স্তর কমে যাওয়ার ফলে প্রতিনিয়ত সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় মাঝেরপাড়ার মানুষদের। দাবি, পঞ্চায়েত ভোটের আগেই যেন তারা জল পরিষেবা পায়।

যদিও এই বিষয়ে বিরোধীদের দাবি, জল নিয়ে রাজনীতি করছে শাসক দল। ভোট আসলেই বলে কল পাইয়ে দেবে। আর ভোটে জেতার পর খোঁজ মেলে না এই সমস্ত জনপ্রতিনিধিদের। তাই এবার কল নিয়ে তারা আন্দোলনে নামবে গ্রামবাসীদের নিয়ে। এই ইস্যুকে হাতিয়ার করে এবার ভোট লড়বে বিজেপিও। 

বিরোধীদের এই কথায় তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি বিশ্বনাথ হালদার জানান, 'জল নিয়ে রাজনীতি করা যায় না। তৃণমূল কেচারপুরে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় আছে। তাহলে কি কেচারপুরের কলের জল বিরোধীরা খায় না?' তিনি আরও বলেন, 'ইতিমধ্যেই কলের টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এমনকি পঞ্চায়েত ভোটের আগেই কাজ শুরু হবে।' 

one year ago


Beldanga: নেই পানীয় জলের ব্যবস্থা! বাধ্য হয়েই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ১৫০ জনের বসবাস

ফের জল (water) না পাওয়ার অভিযোগ। ঘটনাস্থল মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বেলডাঙা পুরসভার ১৩ নং ওয়ার্ড। বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘ সাত বছর ধরে তাঁর পুরসভার কোনও সুবিধা পাচ্ছেন না। এখন এমন অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে যে ওই অঞ্চলে বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠেছে। এলাকার লোকেরা সেখানে বাড়ি ঘর ছেড়ে, অন্যত্র বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে হচ্ছে। যাদের ক্ষমতা নেই তাঁরা বাধ্য হয়ে এই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কষ্ট করে বসবাস করছেন। সব মিলিয়ে চরম সমস্যায় এখন বেলডাঙাবাসী (Beldanga)।

স্থানীয়দের আরও অভিযোগ, বিশেষত জল নিকাশী ব্যবস্থা ও মাত্র ১৫০ মিটার রাস্তার অভাবেই এই পরিস্থিতি। প্রায় ১৫০ জন লোকের বসবাস এই এলাকায়। পানীয় জলের দিক থেকে দেখতে গেলে ১৩ এবং ১৪ নং ওয়ার্ডের জলে আর্সেনিকের মাত্রা বেশি থাকায় পানের অযোগ্য। ভোটের আগে অনেক প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও ভোট মিটে গেলে আর কোনও কাজ হয়নি। আরও অভিযোগ, এই এলাকাতে বেলডাঙা পুরসভা পক্ষ থেকে অনেকেরই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়িতে নির্মাণ হয়েছে। কিন্তু বাড়ি তৈরির পর তাতে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বদলে পুরসভার উদ্যেগে নির্মিত বাড়ি লেখা রয়েছে। এলাকার উন্নতির জন্য বেলডাঙা পুরসভাকে বারংবার জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। এমনকি পুর ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রী ফিরাদ হাকিমের কাছেও এই বিষয়ে নিয়ে চিঠি করেছেন স্থানীয়রা। তাতেও কোনও সুরাহা হয়নি। হচ্ছে, হবে এই বলেই দিনের পর দিন চলে যাচ্ছে কাজের কাজ ক্ছুই হচ্ছে না বলে দাবি এলাকাবাসীদের।

2 years ago
Durgapur: জল সরবরাহের পাম্পিং মেশিন অচল, ভোগান্তিতে সরকারি কলনির কয়েক হাজার মানুষ

মানধাত্তা আমলের হয়ে গিয়েছে পানীয় জল সরবরাহের পাম্পিং মেশিন (Pumping machine)। যার জেরে মাঝে মাঝেই সেই মেশিন বিকল হয়ে পড়ে। আর এর সরাসরি প্রভাব পড়ে আবাসিকদের মধ্যে। ঘটনাস্থল দুর্গাপুরের (Durgapur) কোকওভেন থানার অন্তর্গত সগরভাঙা হাউসিং কলোনির।

জানা যায়, সরকারি এই কলনিতে বেশ কয়েক হাজার মানুষ বসবাস করেন। যা শাসকের অধীনেই, কিন্তু সরকারি এই আবাসনের একাংশতে এমন বেহাল অবস্থাতে পানীয় জলের সংকট শুরু হয়েছে। মাঝে মাঝে জোড়াতাপ্পি দিয়ে কাজ করে দেওয়া হয়। বিকল পাম্পিং মেশিনকে সচল করে দেওয়া হয়। কিন্তু কিছুদিন কাটতে না কাটতেই সেই একই অবস্থা।

সগরভাঙা হাউসিং কলোনির এল ব্লক, পি ব্লক, কুরআন ব্লকের আবাসিকদের অবস্থা সবচেয়ে শোচনীয়। মাঝে সগরভাঙা কলনিতে থাকা সরকারি এক দফতরে বিক্ষোভও দেখিয়েছেন এই তিনটি ব্লকের আবাসিকরা। এরপর কাজ হয়েছিল, কিন্তু আবার যেই কে সেই। এই সমস্যার জেরে এক দুদিন জল থাকেনা এই তিন ব্লকের আবাসিকদের ঘরে। ফলে চরম সমস্যায় পড়ে যান আবাসিকরা। হয় দূরের রাস্তার কল নচেৎ কিনে আনা ছাড়া আর কোনও বিকল্প রাস্তা খোলা থাকেনা বলে আবাসিকদের অভিযোগ। তীব্র পানীয় জল সমস্যায় জর্জরিত এখানকার আবাসিকরা এখন এই জল যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পেতে চাইছে। কিন্তু মুক্তি কি মিলবে? উত্তরটা এখনই না, আর যদিও বা যন্ত্রনা মুক্তি মেলে সেটা অনেকটা সময় সাপেক্ষ। আবাসিকদের প্রশ্ন কেন?

সরকারি হাউসিং দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ডিপিএল থেকে আসা জল পাম্পিং করে পাইপ লাইনের মাধ্যমে রিজার্ভর থেকে কলোনির সব আবাসনে সরবরাহ করা হয়। এখন সেই পাম্পিং মেশিন পুরোনো হয়ে গিয়েছে। যা ব্যবহারের অযোগ্য। এবার মানধাত্তা আমলের এই মেশিনকে মেরামতি করে কোনওরকমে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার কোনওরকম একটা চেষ্টা চলছে। এখনই যদি এই দীর্ঘদিনর পাম্পিং মেশিন পরিবর্তন না করা যায় তাহলে ধীরে ধীরে এগুলির অবস্থা আরও খারাপ হবে। উর্ধ্বতন আধিকারিকদের জানানো হয়েছে কিন্তু আর্থিক সংকট এই সমস্যার সমাধানের ক্ষেত্রে একটা অন্তরায় তৈরি করছে।

কবে মিলবে এই জল যন্ত্রণা থেকে মুক্তি? সেটাই বড় প্রশ্ন এখন আবাসিকদের মনে। 

2 years ago