Breaking News
Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?      Sarabjit Singh: ভারতীয় বন্দি সরবজিৎ সিং-এর হত্যাকারী সরফরাজকে গুলি করে খুন লাহোরে      BJP: ইস্তেহার প্রকাশ বিজেপির, 'এক দেশ এবং এক ভোট' লাগু করার প্রতিশ্রুতি      Fire: দমদমে ঝুপড়িতে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড, ঘটনাস্থলে দমকলের একাধিক ইঞ্জিন      Bengaluru Blast: বেঙ্গালুরু ক্যাফে বিস্ফোরণকাণ্ডে কাঁথি থেকে দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করল এনআইএ      Sheikh Shahjahan: 'সিবিআই হলে ভালই হবে', হঠাৎ ভোলবদল শেখ শাহজাহানের      CBI: সন্দেশখালিকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের...     

Vote

Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার

প্রথম দফায় শুরু ভোট পর্ব। তার মধ্য়েই উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছে কোচবিহার। শুক্রবার সকালে ভোট প্রক্রিয়া চলাকালীন ১২ জনকে ভোট দেওয়া থেকে বঞ্চিত করা হয়। ভোটার তালিকায় তাঁদের মৃত বলে উল্লেখ করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ধূপগুড়ির ঝাড়আলতা অঞ্চলের উত্তর কাঠুলিয়া গ্রামের ৬০ নম্বর বুথে। 

অভিযোগ, ধূপগুড়ির ওই বুথে ভোট দিতে গেলে ভোট কর্মীরা জানান, ভোটার তালিকায় মৃত বলে নাম রয়েছে। তাই তাঁরা ভোট দিতে পারবেন না। ভোট দিতে এসে মোট ১২ জন জলজ্য়ান্ত মানুষকে মৃত বলে জানানো হয়েছে বলে অভিযোগ। 

পাশাপাশি ভোট দিতে পারলেন না ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধা। জানা গিয়েছে, সরকারি কাগজে তিনি মৃত। সমস্তরকম সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকেও বঞ্চিত ধূপগুড়ির সাত নম্বর ওয়ার্ডের বৃদ্ধা বাসন্তী দাস। এদিন সকালে বৈরাতীগুড়ি হাইস্কুলে ভোট দিতে গেলে তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে তিনি কারণ জানতে গেলে তাঁকে জানানো হয় কাগজ-কলমে তিনি মৃত। জেলাশাসক দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাঁকে মৃত বলে জানানো হয় বলে অভিযোগ।

13 hours ago
Jalpaiguri: ভোট শুরু হতেই খারাপ ইভিএম মেশিন! বুথের সামনে ভোটারদের লম্বা লাইন জলপাইগুড়িতে

শুরু হয়ে গেল প্রথম দফার লোকসভা নির্বাচন। তৃণমূল ও বিজপির সংঘর্ষ নিয়ে উত্তেজনা ছবি দেখা গিয়েছে জলপাইগুড়ির একাধিক জায়গাতে। এদিন, শুক্রবার সকাল থেকেই ভোট দেওয়ার জন্য় লাইন পড়ে গিয়েছে জলপাইগুড়ির বুথে বুথে। লোকসভা নির্বাচনী উপলক্ষ্য়ে জালপাইগুড়ির কোথায়, কেমন পরিস্থিতি জানুন...

ভোট শুরু হতে না হতেই বিকল ইভিএম মেশিন। ইতিমধ্য়ে জলপাইগুড়ির তিন নম্বর ওয়ার্ডের জলপাইগুড়ি জেলা স্কুলের ১৭/৯৩ নম্বর বুথে শুরু হয়েছে ভোট দান প্রক্রিয়া। তার মধ্য়েই হঠাৎ বিকল হয়ে পড়ে ইভিএম মেশিন। ইভিএম বিকল হয়ে যাওয়ায় বুথের সামনে পড়ে যায় ভোটারদের লম্বা লাইন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ভিএসটি অফিসাররা এসে ইভিএমটি ঠিক করেন। তারপর আবার ভোট দান প্রক্রিয়া শুরু হয়।

জলপাইগুড়ির রাষ্ট্রীয় বালিকা বিদ্যালয়ের বুথে তৃণমূল নেতার অবস্থান ঘিরে উত্তেজনা। এই স্কুলে চারটি ভোট গ্রহণ কেন্দ্র রয়েছে ১৭/ ১০৬, ১৭/১০৭, ১৭/১০৮, ১৭/১০৯। এদিন ভোট চলাকালীন সেখানে আসেন বিজেপি প্রার্থী জয়ন্ত রায়। আগে থেকেই সেখানে ছিলেন তৃণমূল নেতা তথা জলপাইগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায়। জয়ন্ত বাবুর অভিযোগ, সৈকত চট্টোপাধ্যায় নির্বাচনী বিধি ভেঙ্গে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের ৫০ মিটারের মধ্যে দাঁড়িয়ে রয়েছেন এবং ভোটারদের প্রভাবিত করছেন। বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানান প্রার্থী জয়ন্ত রায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিস এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা চলে আসেন এবং স্কুল চত্বর থেকে সৈকত চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়ে দেন। যদিও সৈকতের দাবি, তিনি কোনও নিয়মভঙ্গ করেননি, ভোট দিতে এসেছিলেন তিনি।

অন্য়দিকে ভোট দিতে পারলেন না ষাটোর্ধ্ব। জানা গিয়েছে, সরকারি কাগজে তিনি মৃত। সমস্তরকম সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকেও বঞ্চিত ধূপগুড়ির সাত নম্বর ওয়ার্ডের বৃদ্ধা বাসন্তী দাস। এদিন সকালে বৈরাতীগুড়ি হাইস্কুলে ভোট দিতে গেলে তাঁকে ভোট না দিতে দিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে তিনি কারন জানতে গেলে তাঁকে জানানো হয় কাগজ-কলমে তিনি মৃত। জেলাশাসক দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাঁকে মৃত বলে জানানো হয় বলে অভিযোগ। 

15 hours ago
TMC: 'ভোটে দাঁড়ানোর ইচ্ছে ছিল', টিকিট না পেয়ে এবার অসন্তোষ প্রকাশ করলেন মৌসম নূর

লোকসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে তৃণমূলে অভিমানী মুখের সংখ্যা যেন তত বাড়ছে। এবার মালদহ উত্তর থেকে টিকিট না পেয়ে মুখ খুললেন রাজ্যসভার সাংসদ মৌসম বেনজির নূর। দলের সিদ্ধান্তে তিনি সংবাদ মাধ্যমের সামনে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

১০ মার্চ ব্রিগেডে দলের জনগর্জন সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, সবাইকে টিকিট দেওয়া গেল না। তারপরেই বিজেপিতে ফিরেছেন অর্জুন সিং, ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই স্বপন ওরফে বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়ও। প্রকাশ্যে মুখ খুলেছেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সুনীল মণ্ডলরা। সেই তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন মৌসম বেনজির নূর।

সাংবাদিক বৈঠকে মৌসম বলেছেন, তিনি মালদহের দুই বারের সাংসদ। দলের জেলা সভাপতি। আগেরবার হেরে গিয়েছিলেন। একই পরিবার থেকে দুই দলের দুই প্রার্থী থাকার কারণে ভোট ভাগ হয়েছিল। তারপরেও এবার ভেবেছিলেন টিকিট পাবেন এবং জেতার ব্যাপারে একশো শতাংশ নিশ্চিত ছিলেন। বিজেপিকে হারানোর আশা তৈরি হয়েছিল বলেও জানিয়েছেন মৌসম। যাইহোক দলনেত্রী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে উপযুক্ত বলে মনে করেছেন, তাই টিকিট দিয়েছেন। তাঁকে সমর্থন করার কথাও সংবাদ মাধ্যমের সামনে জানিয়েছেন রাজ্যসভার বর্তমান সাংসদ।

মৌসম যে অভিমানী তাঁর বক্তব্য থেকে তা স্পষ্ট। যদিও তিনি সরাসরি দল বা দলনেত্রীর বিরুদ্ধে মুখ খোলেননি। তাঁর কথায়, দল যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা তিনি অনুগত সৈনিক হিসেবে মেনে নিচ্ছেন। যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা নিশ্চয়ই ভেবে নেওয়া হয়েছে।

4 weeks ago


Modi: লোকসভা ভোটের দামামা বাজিয়ে রাজ্য়ে প্রধানমন্ত্রী, বাংলায় প্রার্থী ঘোষণা বিজেপির? জল্পনা

রাজ্যে লোকসভা ভোটের দামামা বাজিয়ে আজ, শুক্রবার থেকেই প্রচারে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিন বছর বাদে বঙ্গ সফরে প্রধানমন্ত্রী। এদিন আরামবাগের সভাস্থল থেকে একাধিক সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধনের পাশাপাশি সভায় বক্তব্য় রাখবেন প্রধানমন্ত্রী। আগামীকাল কৃষ্ণনগরে সভা করবেন তিনি। তারপরে আবার ৮ তারিখে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতে সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী, এমনটাই সূত্রের খবর।

অন্ডালের কাজী নজরুল ইসলাম বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রী নামেন সকাল ১০.২০ মিনিটে। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে বিজেপি নেতাদের পাশাপাশি বিমানবন্দরে হাজির হন রাজ্যের আইন মন্ত্রী মলয় ঘটক। এখনও ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করেনি নির্বাচন কমিশন। কিন্তু তার আগেই বিজেপি ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত লোকসভা ভোটে আরামবাগে ভাল ফল করেছিল বিজেপি। মাত্র ১২ ভোটে হারতে হয়েছিল গেরুয়া শিবিরকে। সেকারণে আরামবাগে এবার ঘর গোছাতে তৈরি বিজেপি। আগামীকাল, শনিবার আবার কৃষ্ণনগরে সভা করবেন তিনি। কৃষ্ণনগর কেন্দ্রটিও বেশ গুরুত্বপূর্ণ বিজেপির কাছে। এই কেন্দ্রে গতবার ভাল ভোট পেয়েছিল বিজেপি। সেকারণে এবার আগে থেকেই মোদীর সভা করে ভোট ব্যাঙ্ক সুরক্ষিত করে রাখতে চাইছে গেরুয়া শিবির। আজ রাজভবনে রাত্রিবাস করবেন প্রধানমন্ত্রী নরন্দ্র মোদী। এই প্রথম প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর রাজভবনে রাত্রিবাস করবেন তিনি। সেখান থেকে আগামীকাল সকালে তিনি চলে যাবেন কৃষ্ণনগরে সভা করতে। সেখান থেকে বিহারের গয়ায় কপ্টারে উড়ে যাবেন তিনি। মোদীর পর পর দুটি সভা ঘিরে বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ।

আজ আরামবাগের সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদী সন্দেশখালি নিয়ে কোনও বার্তা দেন কিনা সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে রাজনৈতিক মহল। এদিকে আজই আবার রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ১০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসতে চলেছে রাজ্যে। কলকাতায় বেথুন স্কুলে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।

2 months ago
Election Commission: মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে নির্ঘণ্ট ঘোষণা! মাস ঘুরলেই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী

বেজে গিয়েছে লোকসভা ভোটের বাদ্যি। তবে নির্ঘন্ট প্রকাশের সম্ভাবনা মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে। জাতীয় নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, তামিলনাড়ু, জম্মু-কাশ্মীর এবং উত্তর প্রদেশের প্রাক নির্বাচনী প্রস্তুতি খতিয়ে দেখার পর দিল্লি ফিরে সবদিক বিচার করেই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করবে কমিশন। ৩ থেকে ৫ মার্চ বঙ্গ সফরে ফুলবেঞ্চ।  দেশের সব প্রান্তের পরিস্থিতি তাঁরা খতিয়ে দেখেছেন। স্বীকৃত আটটি রাজনৈতিক দল সহ প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবে নির্বাচন কমিশন।তবে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে এবার আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকেই বিশেষভাবে কাজে লাগাতে চাইছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের এক কর্তার বক্তব্য অনুযায়ী আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কে কাজে লাগালে একেবারেই মসৃণ ভাবে পরিচালনা করা যাবে লোকসভা নির্বাচন।

ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল, পশ্চিমবঙ্গের সামগ্রিক পরিস্থিতি অনুযায়ী নির্ঘণ্ট প্রকাশের অনেক আগেই এই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হবে। সেই মোতাবেক ১লা মার্চ ১০০ কোম্পানি এবং ৭ই মার্চ ৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় মানুষের মধ্যে একদিকে ভয় কাটানো, সাহস যোগানো, থেকে শুরু করে এলাকায় রুট মার্চ করার পাশাপাশি এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনার কাজ করবে বাহিনী। ইতিমধ্যেই বাজারে নির্ঘন্ট প্রকাশ নিয়ে অনেক ভূয়ো খবর ছড়িয়েছে।

জাতীয় নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক-এর দফতর থেকে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে জানানো হয়েছে যা সম্পূর্ণ মিথ্যে।খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ থেকে সব রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরা সকলেই এখন তাকিয়ে আছেন দেশের জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দিকে। আর সবকিছুর জল্পনার অবসান ঘটিয়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশন আগামী ১৩ ই মার্চের পর নির্ঘণ্ট ও প্রকাশ করবে বলে জানিয়েছে। এখন দেখার বিষয় একটাই অবাধ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করাতে জাতীয় নির্বাচন কমিশন কী  ভূমিকা পালন করে এবং কতটা তৎপর হয়।

2 months ago


Sandeshkhali: ভোটের আগে উত্তপ্ত সন্দেশখালি, বিশেষ নজর নির্বাচন কমিশনের

লোকসভা নির্বাচনের আগে উত্তপ্ত সন্দেশখালি। মাছের ভেড়ি নষ্ট, জমি দখল, নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, মাঠ দখল, হাজার হাজার গাছ কেটে সাফ করার মতো একাধিক অভিযোগ রয়েছে শেখ শাহজাহান ও তাঁর দুই অনুগামী উত্তম সর্দার ও শিবু হাজরার বিরুদ্ধে। প্রতিদিনই জনরোষ প্রকাশ্যে আসছে। এর মধ্যেই  সন্দেশখালিতে বিশেষ নজর রাখছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন, এমনটাই জানা গিয়েছে।

সন্দেশখালির বিষয়ে নজর দিয়েই নতুন করে স্পর্শকাতর বুথ তৈরীর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে পাঠানো চিঠিতে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা রয়েছে, ২০১৯ এবং ২১ এর নির্বাচনের সময় ছাড়াও বিগত কিছুদিন রাজ্যের যে যে জায়গাগুলিতে বিচ্ছিন্ন সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটেছে সেই জায়গাগুলিকে পর্যবেক্ষণ করে যেন তালিকা তৈরি করা হয়। আর এখানেই কমিশন সূত্রে খবর, নতুন স্পর্শকাতর তালিকায় সন্দেশখালীর বুথ গুলোকে রাখার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ৪ মার্চ রাজ্যে আসছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। তার আগেই সম্পূর্ণ স্পর্শকাতর বুথের তালিকা তলব কমিশনের।

সূত্রের খবর, সন্দেশখালির ঘটনায় প্রতিদিনের রিপোর্ট চাইছে কমিশন। অন্যান্য জেলারও সার্বিক রিপোর্ট তলব সিইও দফতরের। সন্দেশখালিকাণ্ড নিয়ে একাধিক জেলায় অশান্তির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। এই প্রেক্ষাপটে কলকাতা ও দুই ২৪ পরগনার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বিশেষ নজর কমিশনের, এমনটাই খবর। ২৮ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করবেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। সব মিলিয়ে নির্বাচনের আগে কমিশনের নজরে উত্তপ্ত সন্দেশখালি তা বলাই যায়।

2 months ago
Vote: প্রকাশ্যে ২০২৪-এর ভোটার তালিকা, রাজ্যে বাড়লো মহিলা ভোটারের সংখ্যা

রাজ্যে বাড়লো মহিলা ভোটারের সংখ্যা। সোমবার প্রকাশ্যে এল ২০২৪ সালের ভোটার তালিকা। বর্তমানে রাজ্যের মোট ভোটারের সংখ্যা দাঁড়ালো ৭,৫৮,৩৭,৭৭৮ জন। যার মধ্যে নতুন ভোটারের সংখ্যা ১১,৩৩,৯৩৬ জন। এছাড়াও ১৮ থেকে ১৯ বছরের ভোটারের সংখ্যা হলো ১৫,৩১,৯২৩ জন। নতুন ভোটারের মধ্যে ৫,৬৩,৫২১ জন পুরুষ এবং ৫,৭০,৩৪১ জন মহিলা ও ৭৪ জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার। পাশাপাশি এই মুহূর্তে রাজ্যে মোট পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৩,৮৫,৩০,৯৮১ জনন। মহিলা ভোটারের সংখ্যা ৩,৭৩,০৪,৯৬০ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারের সংখ্যা ১৮৩৭ জন।

এবারের ভোটার তালিকা থেকে মৃত ভোটারের সংখ্যার উপর প্রথম থেকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল, তাই মৃত ভোটারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫,৪৭,৭৫৭ জন। সবমিলিয়ে ২০২৪ সালে ৪,৫১,৭০৬ জন ভোটার বাড়লো এই রাজ্যে। তবে লক্ষণীয় বিষয় একটাই, এই প্রথমবার রাজ্যে পুরুষ ভোটারের তুলনায় বাড়লো মহিলা ভোটারের সংখ্যা। প্রতিবছর ভোটার তালিকা প্রকাশ পায় ৫ই জানুয়ারি। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের কাছে বিভিন্ন অভিযোগ জমা পড়ার পর নিখুঁতভাবে প্রকাশ করার ক্ষেত্রে আরও সময় দরকার। সে কারণেই ২০২৪ সালে ভোটার তালিকা প্রকাশ পেল ২২শে জানুয়ারি। নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, চলতি বছরের এই ভোটার তালিকা একশো শতাংশই নির্ভুল।

3 months ago
Bengal: বাংলার ছয় আসনে রাজ্যসভার ভোট! লোকসভার সঙ্গেই কি ভোট?

রাজ্যের ৫টি আসনে রাজ্যসভা নির্বাচন, লোকসভা ভোটের আগেই কি এই পাঁচ আসনে ভোট, এই প্রশ্ন উঠছে। কারণ ২রা এপ্রিল বাংলার পাঁচ রাজ্যসভা আসনে নির্বাচিত সাংসদদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। অতএব তার আগেই ভোট করাতে হবে এই পাঁচ আসনে, এমনটাই নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর। সম্ভবত মার্চে কিংবা এপ্রিলে এই পাঁচ আসনে রাজ্যসভা ভোটের সম্ভাবনা। জানা গিয়েছে, তৃণমূলের চার সাংসদ নাদিমূল হক, আবীররঞ্জন বিশ্বাস, শুভাশিস চক্রবর্তী এবং শান্তনু সেনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২ এপ্রিল। এঁদের সঙ্গেই বাংলা থেকে নির্বাচিত কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ অভিষেক মনু সিংভিরও মেয়াদ শেষ চলতি বছর এপ্রিলে।

এবার রাজ্যসভার এই পাঁচ আসনে ভোট করাবে নির্বাচন কমিশন। গতবার তৃণমূলের সমর্থনে অভিষেক মনু সিংভিকে রাজ্যসভায় পাঠাতে পেরেছিল কংগ্রেস। কিন্তু এবার কংগ্রেসের এই আসন ধরে রাখার ক্ষমতা নেই। ফলে বিজেপির দিকেই পঞ্চম আসন যাওয়ার সম্ভাবনা। তবে, শাসক দলের যে চার জনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে এবার, তাঁরাই কি এবার প্রার্থী? এই প্রশ্নের জবাব দেবেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এমনটাই তৃণমূল সূত্রে খবর। এই মুহূর্তে রাজ্য বিধানসভায় তৃণমূলের বিধায়ক সংখ্যা ধরলে চার আসনে শাসক দলের জয় নিশ্চিত। বিজেপির বিধায়ক সংখ্যার নিরিখে পঞ্চম আসনে ভোটাভুটি ছাড়া তাদেরও জয় নিশ্চিত। এখন দেখার পাঁচ আসনে ভোটগ্রহণের দিনক্ষণ ঘোষণা কবে।

3 months ago


Bangladesh: মডেল এপার বাংলার ভঙ্গিতেই ভোট বাংলাদেশে

প্রসূন গুপ্ত: তিনটি স্থান আছে বাঙালিদের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা এবং ওপার বাংলা অর্থাৎ বাংলাদেশ। ৩৪ বছরের বাম শাসনে দেখেছি, নিয়মিত হারে ফলস ভোট ও বুথ দখলের ট্রেডিশন নানান ভোটে, ত্রিপুরাতেও একই ঘটনা। যদিও তৃণমূল জমানায় যত অভিযোগ সবই পঞ্চায়েত বা পুর ভোটে। সাধারণ নির্বাচন বা বিধানসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করেছে নির্বাচন কমিশনার। ত্রিপুরাতে তো বাম থেকে আজকের জমানাতে সমস্ত ভোটে বিরোধীদের অভিযোগ বুথ দখল বা জাল ভোট দেওয়ার। বাংলাদেশ কিন্তু ২০২৪-এর সাধারণ নির্বাচনে এই বাতাবরণটি ধরে রাখলো। মূলত অভিযোগ শাসক আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধেই।

সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টে অবধি ভোট হলো ৩০০ আসনে। বাংলাদেশে ৩৫০টি সংসদীয় আসন কিন্তু ভোট হয় ৩০০ আসনে, বাকি ৫০ আসন অনেকটা আমাদের দেশের মতো বিধান পরিষদীয় পদ্ধতিতে ভোট হয়।

ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ ন্যাশনাল পার্টি বা বিএনপি ভোট বয়কট করেছে। বয়কট করেছে প্রধান বাম দলগুলি যদিও বামপন্থী একটি দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটে আছে। এ ছাড়া অনেকগুলি ইসলামিক দল ও নিরপেক্ষ দল ভোটে অংশ নিয়েছে। শোনা গিয়েছিলো যে জাল ভোট বা গাজোয়ারী করে ভোট করতে পারে হাসিনার দল। পারদপক্ষে সেটাই হয়েছে তবে বেশ বুদ্ধি খাটিয়ে! ওখানকার টিভি চ্যানেলগুলির বক্তব্য জাল ভোট ফেলা হয়েছে এবং বহু বুথে এজেন্ট বসতেই দেওয়া হয়নি। খালেদা জিয়া অবিশ্যি শনিবার এবং রবিবার প্রতিবাদ স্বরূপ হরতালের ডাক দিয়েছেন। কোথাও কোথাও সারা ফেলেছে কিন্তু ভোটটি হয়েছে। এখনও পর্যন্ত খবর যা ৪০/৫০ শতাংশ ভোট বড়োজোর পড়তে পারে।

এই ভোটার আগে আমেরিকা সহ ন্যাটো গোষ্ঠী অবাধ নির্বাচন করার হুমকি দিয়েছিলো হাসিনা সরকারকে। বাস্তবে, প্রশাসন থেকে নির্বাচন কমিশন হাসিনার কথায় এখনও চলে কাজেই এমন দাবি হাস্যকর দাবি খালেদার। ভোট শেষ হতেই প্রতিটি বুথে গণনা শুরু হয়েছে। ওখানে ব্যালটে ভোট হয় সুতরাং সময় লাগবে। মঙ্গলবারের আগেই চিত্র পরিষ্কার হবে বলেই ধারণা।

3 months ago
Sheikh Hasina: হাসিনা কি ক্ষমতায় ফিরবে?

প্রসূন গুপ্তঃ মাঝে আর একটি দিন, তারপরেই বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন। ৫ বছর আগে হলে নিশ্চিন্তে বলা যেত শেখ হাসিনা তাঁর সংগঠন দিয়ে ভোটে জিতে আসবে। আজ কিন্তু সেরকমটি বলা যাচ্ছে না। বাঙালি অধুষ্যিত তিন জায়গায় ভোট নিয়ে অশান্তির ঘটনা নতুন কিছু নয়। প্রশাসন যার জয় তার, এমন বাক্যটিই চলে আসছে। আমাদের এই বাংলায় ভোটে বুথ দখল থেকে ভোট কেন্দ্রের হুজ্জুতির শুরু কিন্তু ১৯৮২ তে বাম জমানা থেকেই। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েও রাখা যায়নি।

২০০৬ বাম ২৩৫ টি আসন পায়, কেন্দ্রীয় বাহিনীও ছিল কিন্তু তারই মধ্যে সিপিএমের ক্যাডার বাহিনী ভোট করেছিল নিজেদের প্রয়াসে। কেন্দ্রে তখন বাম সমর্থিত সরকার কাজেই দেখেও না দেখার কাজ চালিয়ে গিয়েছিলো পুলিশ। পরবর্তীতে তৃণমূলের রেকর্ডও ওই প্রকার। যদিও লোকসভা বা বিধানসভা ভোটে গন্ডগোল হলেও বুথ দখল হয় নি। একই ফর্মুলা প্রয়োগ হয়েছে দিনের পর দিন ত্রিপুরাতে বাম নেতৃত্বে। বর্তমান সরকার বিজেপির। তারাও ওই একই খেলা শিখেছে প্রথম দিন থেকেই। বিগত পঞ্চায়েত ভোটে ৯৫ শতাংশ বুথ দখল করে রেকর্ড করেছিল তারা বলে দাবি বিরোধীদের। তৃতীয় বাংলা মানে বাংলাদেশ। গত দুটি সাধারণ নির্বাচনে কি ভাবে ভয় দেখিয়ে ভোটে জিততে হয় তা দেখিয়ে দিয়েছিলো আওয়ামী লীগ বা নৌকা বাহিনী। একই চিত্র তিন বাংলাতে।

এবারে সাধারণ নির্বাচন রবিবার অর্থাৎ আর দুটি দিন বাদেই। এবারেও একই ফর্মুলাতে হাসিনা বাহিনী কিন্তু সমস্যা বা চাপে রয়েছে তারা। ইতিমধ্যে আমেরিকা সহ ন্যাটো দেশগুলি হুমকি দিয়েছে আসন্ন নির্বাচন যদি অবাধ না হয় তবে গুরুতর ব্যবস্থা নেবে তারা। মিডিয়াও সুর পাল্টিয়েছে। তবে হাসিনা পাশে পাচ্ছে চীনকে কিন্তু ভারত এখনও চুপ ভোটার বিষয়ে। বাস্তব সত্যি হচ্ছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি বা খালেদা জিয়ার দল সরাসরি ভোটে নেই কিন্তু তৃণমূল বাংলাদেশ ন্যাশনাল পার্টি নাম দিয়ে জামাতের সহযোগিতায় ভোটে দাঁড়াচ্ছে। ৩৫০ আসনের সংসদে ৩০০ আসনে ভোট তাতে আওয়ামী ৬টি দলের সঙ্গে জোট বেঁধে ভোটে এসেছে। এছাড়াও গোড়া ইসলামিক দল রয়েছে প্রায় ৮/৯টি। সব মিলিয়ে ২৮টি দল ভোট লড়ছে। ওদের ওখানে সব দলেরই সমর্থক আছে তাই তুড়ি মেরে বলা যাবে না যে আওয়ামী লীগ ফের আসছে। ভারতীয়রা কিন্তু হাসিনার জয় চায়। তাই ভোটের অশান্তি নিয়ে ভারতের কোনও মন্তব্য নেই। যা শেষ খবর, হাসিনা কিন্তু এবারেও বেপরোয়া। ইসলামিক দেশ হলেও এই হাসিনার আমলে দুর্গাপূজো থেকে দোল উৎসব কিন্তু দারুন ভাবেই উৎযাপিত হয়। তাই সংখ্যালঘু (হিন্দু) স্বার্থে ভারত হাসিনার জয় চায়।

4 months ago


Narendra Modi: পরিবারতন্ত্র বাদ দিয়েই আগামীতে মোদী

প্রসূন গুপ্তঃ ২০১৪ তে বিজেপি তথা নরেন্দ্র মোদীর স্লোগানই ছিল রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্র বন্ধ করতে হবে। জিতেও ওই একই বক্তব্যে অটল ছিলেন তিনি। একই সাথে আরও একটি বিষয়ে মোদীর বার্তা কড়া ছিল, ৭৫ বছর বয়স হলে আর সাংগঠনিক বা প্রশাসনিক রাজনীতিতে থাকা চলবে না। এই ফর্মুলাতে বিদায় নিতে হয়েছিল বিজেপির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা লালকৃষ্ণ আডবানীকে। একই ভাবে অনেককেই চলে যেতে হয়েছিল 'মার্গ দর্শনে' অর্থাৎ বাড়ির অন্দরে মোটামুটি।

মোদী প্রথম থেকেই আক্রমণাত্বক ছিলেন নেহেরু-গান্ধী পরিবারের প্রতি। আজ তিনি অনেকটাই এই বিষয়ে সার্থক। সোনিয়া রাহুল বা প্রিয়াঙ্কা রাজনীতিতে থাকলেও, তাঁদের ভূমিকা ভারতীয় রাজনীতিতে নেহাতই নগণ্য| মোদী জানেন তাঁর দলে এমন অনেকেই আছেন এখনও যাঁদের পরিবারের অনেকেই প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে আছেন। শোনা যাচ্ছে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে এখানেও তিনি 'ছাঁটাই পর্ব' রাখবেন। রাজনাথ সিং থেকে শুরু করে অনেকের পুত্র,কন্যা বা স্ত্রীরা রাজনীতিতে আছেন, তাঁদের ভবিষ্যত কি খুব দ্রুতই বোঝা যাবে। একই পরিবারভুক্ত দুই ব্যক্তি একই হাউসে তিনি রাখতে নারাজ। একই সাথে দীর্ঘদিন মুখ্যমন্ত্রীর পদে কেউ থাকবে না, তা তো এবারের তিন রাজ্যের নির্বাচনের পরেই প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। বিদায় নিতে হয়েছে শিবরাজ সিং চৌহানের মতো জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রীকেও। তাঁকেও এক প্রকার মার্গ দর্শনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।

ভারতীয় রাজনীতিতে 'সিন্ধিয়া' পরিবারেরও একটি ভূমিকা রয়েছে বা ছিল। গোয়ালিয়রের প্রয়াত মহারাজ পত্নী বিজয়রাজে সিন্ধিয়া আরএসএসের কাজের সঙ্গে জড়িয়ে যান। শোনা যায় ইন্দিরা গান্ধী যখন রাজপরিবারের ভূমিকা বাতিল করে দেন তারপর থেকেই বিজয়রাজে সক্রিয় ভাবে রাজনীতিতে চলে আসেন। ভোটেও দাঁড়ান প্রথমে জনসংঘের হয়ে, পরে বিজেপির হয়েও। রাজরানী ছিলেন বিজয়রাজে। অটলবিহারি বাজপেয়ীর খুবই ঘনিষ্ঠ ছিলেন বলে শোনা যায়। বিজয়রাজের পুত্র প্রথমে গেরুয়া পতাকার দিকে গেলেও পরে মায়ের সঙ্গে প্রবল সংঘাতে আলাদা হয়ে যান। রাজবাড়ীর এক প্রান্তে থাকতেন তিনি। পরে ইন্দিরার হাত ধরে কংগ্রেসে যোগ দেন এবং রাজীব গান্ধীর আমলে তাঁর মন্ত্রী হওয়া ছাড়াও আরও দায়িত্ব বাড়ে। মাধব রাওয়ের অসময়ে মৃত্যু হলে পুত্র জ্যোতিরাদিত্য কংগ্রেসে যোগ দেন এবং রাহুল গান্ধীর ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েন। মনমোহন সিংয়ের মন্ত্রিসভায় ১০ বছর মন্ত্রীও ছিলেন। অন্যদিকে মাধব রাওয়ের বোনেরা বিজেপিতে যোগ দেন। ইতিমধ্যে বিজয়রাজের মৃত্যু হয়েছে।

জ্যোতিরাদিত্যর ইচ্ছা ছিল মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার কিন্তু ২০১৮-র বিধানসভার নির্বাচনে কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর রাহুল, কমলনাথকে মুখ্যমন্ত্রী করলে কয়েকমাস বাদে দল ভেঙে জ্যোতিরাদিত্য বিজেপিতে যোগ দেন এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হন। অন্যদিকে আদবানি ঘনিষ্ঠ বসুন্ধরা রাজে দুবার রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। এবারের ভোটের পরে জ্যোতিরাদিত্যর ইচ্ছা ছিল মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার এবং তাঁর পিসি বসুন্ধরার ইচ্ছা ছিল রাজস্থানের মুখমন্ত্রীত্ব। কোনোটাই হলো না, স্রেফ মোদীর ইচ্ছায় বলেই গুঞ্জন। আগামীতে জ্যোতিরাদিত্যকে লড়াই করে জিতে আসতে হবে এবং মন্ত্রী করা হবে কিনা নির্ভর করবে ফের জয় এবং মোদীর ইচ্ছার উপরেই নতুবা সিন্ধিয়া পরিবারকেও মার্গ দর্শনে পাঠিয়ে দেওয়া হতে পারে।

4 months ago
Voter list: প্রকাশিত নয়া খসড়া ভোটার তালিকা, ভোটার বাড়ল কত জানেন!

২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি ইতিমধ্য়ে শুরু হয়ে গেছে। বুধবার প্রকাশিত হল খসড়া ভোটার তালিকা। তার আগে গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার ভোটকর্মীদের সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব। তিনি তিনি জানিয়েছেন, দিনে দিনে বুথের সংখ্য়া বাড়ছে। রাজ্য়ে নয়া ভোটার তালিকা অনুসারে ভোটার বেড়ে গিয়েছে এক লক্ষ ৭৭ হাজার ৬৯৫ জন। আর ভোটার তালিকায় নয়া ভোটার সংযোজন হয়েছে ৫ লক্ষ ৫৮ হাজার ৮২১ জন। পাশাপাশি নয়া তালিকাতে ভোটারদের সংখ্য়া বাদ পড়েছে তিন লক্ষ ৮১ হাজার ১২৬ জন।

এদিন থেকে শুরু হল ভোটের তালিকা সংশোধন ও সংযোজনের কাজ। আগামী ৯ ই ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে নয়া ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ। এরপর ২০২৪ সালের ৫ ই জানুয়ারি সেই ভোটের তালিকা প্রকাশিত হবে।

6 months ago
Loksabha: লোকসভা নির্বাচনের আগে 'এক দেশ, এক ভোট' নীতি! প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি কোবিন্দের নেতৃত্বে কমিটি

লোকসভা নির্বাচনের সাত মাস আগে ফের 'এক দেশ এক ভোট' নীতি নিয়ে তৎপর কেন্দ্র। নীতি কার্যকর করার জন্য আইন কমিশনের সঙ্গে কেন্দ্রের কয়েক দফা আলোচনাও হয়েছে বলে খবর। সেই আলোচনার ভিত্তিতেই একটি কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্র। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, ওই কমিটিকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।

লোকসভা ভোটের সঙ্গে সব রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন হলে, খরচ অনেকটাই কমবে। একই ভোটার তালিকায় দুটি নির্বাচন হওয়ায় সরকারি কর্মীদের তালিকা তৈরির চাপ কমবে। ভোটের আদর্শ আচরণবিধির জন্য সরকারের কাজ আটকে থাকবে না।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হয়েই এক দেশ, এক নির্বাচন নীতি নেওয়ার কথা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জানানো হয়, লোকসভা নির্বাচনের পাশাপাশি বিধানসভা নির্বাচন হলে, আসন সমঝোতা করা সহজ হবে। বিরোধীদের একাংশের আশঙ্কা, পরবর্তী পর্যায়ে এই নীতিতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনগুলিকে ক্ষমতাহীন করে পঞ্চায়েত ও পুরসভা ভোটকেও অন্তর্গত করা হবে।

8 months ago


Vote: ভোট বয়কট করা বুথে ভোট পড়েছে ৯৫ শতাংশ, পুলিসের কাছে রিপোর্ট তলব জাস্টিস সিনহার

ভোটাররা ভোট বয়কট করেছিলেন। কিন্তু তারপরেও ভোট পড়েছে ৯৫ শতাংশ! এমনটাই ঘটেছে রাজারহাট (Rajarhat) এলাকার জাঙ্গা হাতিয়াড়া দু’নম্বর পঞ্চায়েতের একটি বুথে। কিন্তু, কীভাবে তা সম্ভব? সেই 'রহস্য' সমাধানের দায়িত্বভার পুলিসকে দিল কলকাতা হাইকোর্ট।

সম্প্রতি, জাঙ্গা হাতিয়াড়া দু’নম্বর পঞ্চায়েতের আবদুল কালাম কলেজের একটি বুথে ভোট বয়কটের পরেও ৯৫ শতাংশ ভোট কীভাবে পড়ল, সেই প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়। সেই মামলার শুনানিতেই, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশ, কীভাবে এত ভোট পড়ল, তা অনুসন্ধান করে দেখবেন রাজ্য পুলিসের ডিজি এবং আইজি। আগামী ৩ অগাস্ট সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট আদালতে জমা দিতে হবে। সেইসঙ্গে, রাজারহাটের বিডিওকে তলব করেছেন বিচারপতি।

ভোটের দিনই জ্যাঙ্গা হাতিয়ারা দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত আরও একটি এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছিল । সেখানে আবার ভোট বয়কটের দাবি জানিয়েছিলেন ভোটকর্মীরা। দুই নম্বর পঞ্চায়েতের যাত্রাগাছি বিবেকানন্দ পল্লী ১২ নম্বর সুসংগত শিশু বিকাশ কেন্দ্রের ২৭১ ও ২৭২ নম্বর বুথে তৃণমূলের সঙ্গে বচসায় জড়িয়েছিল সিপিআইএম ও বিজেপি । বুথে ব্যাপক ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ব্যালাট বক্স এবং ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের অভিযোগ ওঠে। এই পরিস্থিতিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন ভোটকর্মীরা। সেইসময় ভোট করাতে রাজি হননি তাঁরা।

9 months ago
Bomb: ভোটগণনার দিনেও বোমা উদ্ধার ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য় তুফানগঞ্জে

ভোট (Vote) গণনার দিনেও উদ্ধার (rescue) তাজা বোমা (bomb)। মঙ্গলবার, কোচবিহারের তুফানগঞ্জ ১ নম্বর ব্লকের চিলাখানা বাজার থেকে বোমাটি উদ্ধার হয়েছে। বোমা উদ্ধার ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা বাজার চত্বরে। 

উল্লেখ্য়ভাবে বিজেপি নাটাবাড়ি বিধানসভা ৩ নং মণ্ডল সভাপতি চিরঞ্জিত দাস বলেন, চিলাখানার মানুষ শান্তি প্রিয় ও গণতন্ত্র প্রিয় মানুষ। ২০১৮ সালের মতো ২০২৩ সালেও সাধারণ মানুষের কাছ থেকে মানুষের ভোটার অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তারপরে চিলাখানার বেশ কিছু জায়গায় সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ গড়ে তুলেছে। সেই কারণেই বাজার গরম করার জন্য এই সমস্ত ঘটনা ঘটাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস।

এছাড়াও ভোটগণনা কেন্দ্র থেকে দুই কিলোমিটার অদূরে ছড়িয়েছে বোমাতঙ্ক। চাঁচলের কলি গ্রামে মহারাজ তলায় একটি পোলট্রি ফার্মের পিছন থেকে দুটি ব্যাগকে বোমা উদ্ধার হয়েছে। ঘটনাস্থলে ছিল সিভিক ভলেন্টিয়াররা। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌছয় চাঁচল থানার পুলিস বা বম্ব স্কোয়াড। বোমা উদ্ধারে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে সাধারণ মানুষ।

9 months ago