চিকিৎসক (Doctors) ঈশ্বরের সমান, এমনটা সবসময় বলতে শোনা যায়। এবারে তার এক প্রমাণও পাওয়া গেল হাতে-নাতে। মাঝ আকাশে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে দু'বছরের একরত্তি। আর বিমানের (Flight) মধ্যে উপস্থিত কিছু চিকিৎসকের দল কিছুক্ষণের মধ্যেই সুস্থ করে তুলল তাকে। এই খবর ইতিমধ্যেই নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে তাঁদের সাহসিকতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ সারা দেশবাসী। জানা গিয়েছে, রবিবার বেঙ্গালুরু থেকে দিল্লি যাচ্ছিল ভিস্তারা বিমান (Vistara Flight) সংস্থার একটি বিমান। তখনই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে এক দুই বছরের শিশুকন্যা। তার নাড়ি স্পন্দন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ও হাত-ঠোটও নীল হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তখনই মাঝ আকাশে জরুরি অস্ত্রোপচার করে তাকে নতুন করে জীবন পাইয়ে দেয় চিকিৎসকের দল।
সূত্রের খবর, বেঙ্গালুরু থেকে দিল্লিগামী বিমানটিতে এক শিশু হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে অবিলম্বে বিমানটির নাগপুরে জরুরি অবতরণ করা হয়। কিন্তু তাতে অনেকটা সময় লাগলে চিকিৎসকরা মাঝ আকাশেই তার চিকিৎসা শুরু করেন। শিশুটিকে বাঁচাতে অপারেশন থিয়েটারের বাইরে ইন্টারকার্ডিয়াক রিপেয়ার অস্ত্রোপচার করা হয়। তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে গলায় ফুটো করে আইভি ক্যানুলা বসান। কৃত্রিমভাবে শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যবস্থা করা হয়, যাকে চিকিৎসকের পরিভাষায় অরোফারিনজিয়াল এয়ারওয়ে বলা হয়।
এখানেই শেষ নয়, শিশুটি ফের একবার হৃদরোগে আক্রান্ত হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে যায়। এরপর প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে অটোমেটেড এক্সটার্নাল ডেফাইব্রিলেটর দিয়ে বিদ্যুতের শক দিয়ে শিশুটির হৃৎপিন্ড সচল রাখা হয়। এরপর শিশুটি স্থিতিশীল হয়। পরে নাগপুরে বিমানটি জরুরি অবতরণ করলে, শিশুটিকে পিডিয়াট্রিশিয়ানের হাতে তুলে দেওয়া হয় পরবর্তী চিকিৎসার জন্য।
উল্লেখ্য, বেঙ্গালুরু-দিল্লি বিমানে উপস্থিত ছিলেন এক চিকিৎসকের দল। তাঁরা ইন্ডিয়ান সোসাইটি ফর ভাস্কুলার অ্যান্ড ইন্টারভেনশনাল রেডিওলজি-র কনফারেন্স থেকে ফিরছিলেন। চিকিৎসকদের মধ্যে পাঁচজন ছিলেন অ্যানথেসিস্ট ও কার্ডিয়াক রেডিওলজিস্ট। তবে চিকিৎসকরা যেভাবে একরত্তির জীবন ফিরিয়ে দিয়েছে, তা সত্যিই মিরাকলের থেকে কম কিছু নয়।
দিল্লি-পুণে বিমানে বোমা হামলার (Bomb Threat) হুমকি। এই খবর বিমানযাত্রীদের কানে যেতেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে বিমানযাত্রীদের মধ্যে। সূত্রের খবর, শুক্রবার সাত-সকালে ভিস্তারা বিমান (Vistara Flight) সংস্থার বিমানে বোমা রয়েছে বলে হুমকি ফোন আসে। জানা গিয়েছে, বিমানটি দিল্লি থেকে পুণে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই এমন খবর আসায় বিমানটি সেই সময়ের জন্য বাতিল করা হয়। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে দিল্লি বিমানবন্দরে (Delhi Airport)। এরপর যাত্রীদের নিরাপদে বিমান থেকে নামিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে খবর।
সূত্রের খবর, আজ অর্থাৎ ১৮ অগাস্ট সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ জিমএমআর কল সেন্টারে ফোন আসে। ফোন করে বলা হয় যে, 'দিল্লি থেকে পুণে যাওয়ার বিমানে বোমা রাখা রয়েছে'। অন্যদিকে আগে থেকেই যাত্রীরা নিজেদের সিটে বসে গিয়েছিলেন। কিন্তু বোমার ব্যাপারে জানতেই তৎক্ষণাৎ যাত্রীদের বিমান থেকে বের করে আনা হয় ও তাঁদের ফের দিল্লির বিমানবন্দরে নিরাপদে নিয়ে আসা হয়।
বিমান সংস্থার তরফে এক বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, 'আমরা নিশ্চিত করছি যে, ইউকে৯৭১ নম্বর বিমানটি দিল্লি থেকে পুণে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নিরাপত্তা খতিয়ে দেখার জন্য বিমানের উড়ানে কিছুক্ষণের জন্য দেরী হতে পারে। আমারা খুব শীঘ্রই পরিস্থিতি ঠিক করার ব্যবস্থা নিচ্ছি।' সূত্রের খবর, বিমানযাত্রী ও তাঁদের ব্যাগ সহ নিরাপদে সরিয়ে আনা হয়েছে ও বিমানে আদৌ কিছু রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলেই যাত্রা শুরু করবে বিমানটি।