
দেড় দশক পরেও তাঁর কাছে উত্তেজনার সংজ্ঞা এক। এখনও তিনি বড় ম্যাচে শেষ পর্যন্ত দিতে চান। চান উত্তেজনাকে ভীষণ ভাবে উপভোগ করতে। এশিয়া কাপ খেলতে যাওয়ার আগে এই দাবি ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক বিরাট কোহলির।
সামনে এশিয়া কাপ, তারপর ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ। আর এই দুটি টুর্নামেন্টেই ভারতীয় ক্রিকেটের ভরসার নাম বিরাট কোহলি। বেঙ্গালুরুতে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বিরাট জানিয়েছেন, এখনও তিনি শিখর ছুঁতে চান। তাই নতুন কিছু করবেন বলেই মাঠে নামেন।
২০১১ সালে মহেন্দ্র সিং ধোনির বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় দলের তিনি সদস্য। ২০১৯ সালে তাঁর নেতৃত্বে ইংল্যান্ডের মাটিতে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গিয়েছিল ভারত। চার বছর পর আবার একটা বিশ্বকাপ। কোহলি জানিয়েছেন, তিনি শুধু একা নন, এবার গোটা দল চেগে আছে এই কাপ জয়ের জন্য। তবে তার আগে টার্গেট এশিয়া কাপ।
বিশ্বকাপে ভারতীয় ব্যাটিংয়ে চার নম্বরে কে ? যুবরাজ সিংয়ের পর এই জায়গায় আর কোনও স্পেশালিস্ট নেই। দিন কয়েক আগেই নিজেই এই ইস্যুকে উসকে দিয়েছিলেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। যা নিয়ে বিস্তর আলোচনাও চলছে। রবি শাস্ত্রী থেকে সুনীল গাভাসকর, প্রায় সবাই এই ব্যাপারে নিজের মতামত দিয়েছেন।
এবার ভারতীয় ব্যাটিং অর্ডারে চার নম্বর নিয়ে নিজের মতামত দিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন অধিনায়ক অ্যাব্রাহাম ডেভিলিয়ার্স। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে এবিডি জানিয়েছেন, এই ভারতীয় দলে চার নম্বরে ব্যাট করতে পারেন, একজনই। তিনি বিরাট কোহলি। আইপিএলে বেঙ্গালুরুর একদা সতীর্থ উপর বিরাট ভরসাই দেখাচ্ছেন ডেভিলিয়ার্স।
এবিডির মতে, ভারতের পিচে কোহলিকে একটু নিচের দিকে রাখলেও কোনও ক্ষতি হবে না। বরং বিরাট রয়ে গেলে, শেষের দিকে ভারতের রান তুলতে অনেকটাই সুবিধা হবে। গত কয়েকদিন আগেই ভারতের মাটিতে এই বিশ্বকাপ কোহলির হবে বলেই বাজি ধরেছিলেন তিনি। এবার বিরাটকে চার নম্বরে পাঠাতেও অনুরোধ করলেন।
বিরাট কোহলির (Virat Kohli) ওপর কার্যত ক্ষুব্ধ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (Indian cricketer)। এর নেপথ্যে রয়েছে, তারকা ক্রিকেটারের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ইয়ো-ইয়ো টেস্টের ফলপ্রকাশের সিদ্ধান্ত। ভক্তদের জন্য বিরাট এই টেস্টের যে ফলপ্রকাশ করেছিলেন তা একেবারেই ভালভাবে নেয়নি বিসিসিআই (BCCI)। বিরাটকে সতর্ক করেছে বিসিসিআই। শুধু তাঁকেই নয়, এমন ভুল যেন আর কোনও ক্রিকেটার কখনওই না করেন, সে বিষয়ে দলের সঙ্গে যুক্ত সবার কাছে কড়া বার্তা পাঠিয়েছে বোর্ড।
উল্লেখ্য, এতদিন পর্যন্ত ইয়ো-ইয়ো টেস্টের সেরা পারফরম্যান্স ছিল ১৬। করেছিলেন বিরাট কোহলিই। এবার নিজের সেই পুরনো রেকর্ডই ভেঙে দিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার ১৭.২ ইয়ো-ইয়ো টেস্ট পূর্ণ করলেন বিরাট। যা শুধু ভারতের নয়, আন্তর্জাতিক মঞ্চেও একটি বিশেষ রেকর্ড।
বিদেশে বিরাট কোহলি'র ক্রমাগত ব্যাডপ্যাচ নিয়ে ফের প্রশ্ন করা হল রোহিত শর্মাকে। এই বিষয়ে প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক এবং তাঁর ফর্ম নিয়ে বিস্তারিত বললেন 'হিটম্যান'। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, বিদেশে টেস্টে ৫ বছর ধরে বিরাট কোহলির ব্যাটে যে শতরানের খরা, তা নিয়ে তিনি কী মনে করেন।
তিনি উত্তরে জানান, 'আমি বহুবার এই প্রশ্নের জবাব দিয়েছি। কে কত রান করেছে, কে কত উইকেট নিয়েছে, এইসব বিষয়ে মানুষ বাইরে বসে কিছু না জেনেই কথা বলতে আরম্ভ করে। দলের ভিতরের কথা ভিতরেই থাকে। আমরা বাইরে থেকে আসা কথায় কান দিই না। আমরা কেমনভাবে ম্যাচ বা সিরিজ জিততে পারি, শুধু তাই নিয়েই আমাদের আগ্রহ। এটা আমি আগেও বলেছি, ভবিষ্যতেও একই কথা বলব।'
উল্লেখ্য, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে দুর্দান্ত শতরানের 'পুরস্কার' পেলেন রোহিত শর্মা। এক লাফে বিশ্ব ক্রিকেটে আইসিসি-র টেস্ট ব্যাটারদের তালিকায় নবম স্থানে উঠে এলেন তিনি।
বিরাট কোহলির (Virat Kohli) সাম্প্রতিক প্রাপ্তি, ওয়েস্ট ইন্ডিজের (West Indies) বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ম্যাচে ১২১ রান। দর্শকেরা বিরাটের এই দুর্দান্ত ফল স্বাগত জানিয়েছেন। পছন্দের ক্রিকেটারকে নিয়েও নিজেদের আনন্দ প্রকাশ করেছিলেন সকলে। তবে বিরাটের সবচেয়ে বড় প্রশংসক তাঁর ঘরণী, অনুষ্কা শর্মা। বিরাটের বেশিরভাগ ম্যাচই অভিনেত্রী স্টেডিয়ামে বসে দেখেন। কিন্তু এই ম্যাচে অনুষ্কা উপস্থিত ছিলেন না সশরীরে। তাই টিভিতে বসেই দেখেছেন ম্যাচ। কোহলির ম্যাচে ভালো ফলের উচ্ছ্বাসও তিনি ভাগ করে নিলেন সকলের সঙ্গে।
সামাজিক মাধ্যমের স্টোরিতে অনুষ্কা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচের বিরুদ্ধে খেলা বিরাটের একটি ছবি আপলোড করেছেন। দেখা গিয়েছে, ক্যামেরার সামনে এক হাতে ব্যাট ও এক হাতে হেলমেট নিয়ে দাঁড়িয়ে বিরাট। এই ছবি সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে একটি লাল হৃদয় পোস্ট করেছেন অনুষ্কা। তিনি যে বিরাটের এই জয়ে বাকরুদ্ধ তা বোঝা গিয়েছে স্পষ্টতই।
অনুষ্কা এবং বিরাট যে একে অপরের পরিপূরক হয়ে উঠেছেন, সেই সাক্ষ্য দর্শক প্রায়শই পেয়ে থাকেন। শুধুমাত্র যে অনুষ্কা জনসমক্ষে বিরাটের প্রশংসা করে থাকেন, তা কিন্তু নয়। বিরাটও সুযোগ পেলেই জীবনসঙ্গীর প্রশংসক হয়ে ওঠেন। সম্প্রতি ক্রিকেট তারকা এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, 'বিগত দুই বছরে আমাদের জীবনে অনেক কিছু বদলে গিয়েছে। আমাদের মেয়ে এসেছে, ও (অনুষ্কা) মা হিসেবে যে আত্মত্যাগ করেছে তা বিরাট। ওকে দেখে আমি বুঝতে পারি, আমি যা কিছুকে সমস্যা বলে মনে করতাম, তা কিছুই না।'
ত্রিনিদাদে ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যে শুরু হতে চলেছে দ্বিতীয় টেস্ট। শুরু হওয়ার আগেই এই টেস্ট নিয়ে দুই দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে উৎসাহ তুঙ্গে। ক্রিকেট ঐতিহাসিকদের কাছেও এই ম্যাচের গুরুত্ব অন্যরকম। ত্রিনিদাদের এই টেস্টই ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যে শততম টেস্ট হতে চলেছে। শুধু তাই নয়, সব ধরনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মিলিয়ে নিজের ৫০০-তম ম্যাচও খেলতে চলেছেন ভারতীয় তারকা বিরাট কোহলি।
ত্রিনিদাদে ইতিহাসের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তা স্বীকার করে নিয়ে টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক রোহিত শর্মা বলেন, দুর্দান্ত একটি টেস্টে হতে চলেছে। অন্যদিকে, বিশেষজ্ঞদের মতে, এই টেস্টের আগে স্পষ্ট ফেভারিট টিম ইন্ডিয়া। এই টেস্ট জিতলে ২-০ জয় নিশ্চিত হবে চলতি সিরিজে।
উল্লেখ্য, ভারতের পরবর্তী টেস্ট সিরিজ ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে হবে দক্ষিণ আফ্রিকাতে। শ্রেয়স আইয়ার দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে খেলবেন বলেই খবর। যার ফলে অজিঙ্ক রাহানের লড়াই কঠিন হতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহালমহল।
অতীতে ভারতের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার সিরিজ শুরুর আগে তৈরি হতো অশান্তির বাতাবরণ। কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতি বেশ কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া নিয়ে মুখ খুলে একথায় বললেন বিরাট কোহলি।
একটি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কোহলি বলেছেন, আগে ভারত-অস্ট্রেলিয়ার সিরিজের আগে অশান্তির আবহ থাকলেও এখন তা ধীরে ধীরে সমীহে পরিণত হয়েছে। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, "প্রতিপক্ষ যে সমীহ করে সেটা আমরা দেখেই বুঝতে পারি।"
একইসঙ্গে কোহলির বক্তব্য়, আগে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ভারতের ম্য়াচ থাকলেই তা চিন্তার বিষয় হয়ে উঠত। কিন্তু সেই পরিস্থিতি থেকে বর্তমানে অনেকটাই স্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার হায়রাবাদের (SRH) রাজীব গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে প্রতিপক্ষ সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বোলারদের নিয়ে কার্যত খেলা করলেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। ৮টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৩৫ বলে অর্ধশতরান পূর্ণ করেন। ১২টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৬২ বলে শতরানের গণ্ডি টপকে যান। দীর্ঘ চার বছর পরে আইপিএলে (IPL) সেঞ্চুরি করলেন কোহলি। এর আগে আইপিএলে তাঁর ব্যাট থেকে শেষ শতরান এসেছিল ২০১৯ সালে। আইপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ শতরানকারী হলেন কোহলি। মোট ৬টি শতরান করেছেন বিরাট। আইপিএলে সমসংখ্যক শতরান করেছেন তাঁর এক সময়ের সতীর্থ ক্রিস গেইলও।
৫টি শতরান করে দ্বিতীয় স্থানে জস বাটলার। ম্যাচে হেনরিক ক্লাসেনের শতরানে ভর করে ১৮৬ করে হায়দরাবাদ। রান তাড়া করতে নেমে ১৭২ রানের পার্টনারশিপ করেন কোহলি ও দুপ্লেসি। ৭১ রান করেন ডুপ্লেসি। ৮ উইকেটে ম্যাচ জেতে আরসিবি। উল্লেখ্য এই জয়ের ফলে আইপিএলের পয়েন্ট তালিকায় আরসিবি পাঁচ নম্বর থেকে উঠে এল চারে। তাদের প্লে-অফ খেলা নিশ্চিত। চার থেকে নেমে গেল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। চলতি আইপিএলে প্লে-অফের আশা শেষ হয়ে গেল কলকাতা নাইট রাইডার্সের।
১৪ মে, রবিবার মাতৃদিবস (Mothers Day)। যিনি জন্ম দিয়েছেন, উষ্ণতা দিয়েছেন, হাঁটতে শিখিয়েছেন, সমস্ত বিপন্নতা থেকে রক্ষা করেছেন, করে চলেছেন আজ তাঁর দিন। তাই এই বিশেষ দিনে আবেগী হয়েছে নেট দুনিয়া। অনেকেই নিজের মায়ের সঙ্গে, কেউ বা শাশুড়ি মায়ের সঙ্গে, আবার অনেকে সন্তানকে পেয়ে মাতৃত্ব যাপনের ছবি দিয়েছেন সামাজিক মাধ্যমে। সেই তালিকা থেকে বাদ যাননি তারকারা। স্পোর্টস তারকা বিরাটও (Virat Kohli) এই বিশেষ দিনটিতে শুভেচ্ছা জানাতে ভোলেননি, নিজের মা-স্ত্রী এবং শাশুড়ি মা'কে।
নিজের ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট থেকে তিনটি ছবি পোস্ট করেছেন বিরাট। প্রথম ছবিতে দেখা গিয়েছে অনুষ্কা এবং তাঁদের কন্যা সন্তান ভামিকার না দেখা একটি ছবি। কোনও একটি খোলা জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন অনুষ্কা, কোলে ছোট্ট ভামিকাকে আগলে রয়েছেন এক হাতে।
বিরাটের শেয়ার করা পরের ছবিতে এক ফ্রেমে বিরাটের মা সরোজ কোহলি এবং তাঁর শাশুড়ি মা অসীমা শর্মার ছবি। পারিবারিক অনুষ্ঠানে একফ্রেমে ধরা দিয়েছেন দুই বেয়ান, মুখে ঝলমলে হাসি। তাঁরা যখন একসঙ্গে নাচ করতে ব্যস্ত, তখনই মুহূর্তবন্দী হয়েছে ফ্রেমটি।
তিন নম্বর ছবিটিতে দুটি ছবির কোলাজ। একদিকে নিজের মায়ের সঙ্গে বিরাট, অন্যদিকে অনুষ্কার সঙ্গে তাঁর মা। নিজের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা গুরুত্বপূর্ণ তিন মা'কে মাতৃ দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে লিখেছেন, 'হ্যাপি মাদার্স ডে'।
দিল্লিতে (Delhi) দুই ঝামেলারই মীমাংসা হয়ে গেল। অবসান হলো দুজনেরই দ্বন্দ্বের। প্রথমত বিরাট কোহলির (Virat Kohli) সঙ্গে দাদা অর্থাৎ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sourav Ganguly) দ্বন্ধ। মাঠেই সল্টের সঙ্গে সিরাজের। দিল্লিতে ফিল সল্টের ঝড় দেখেছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। একের পর এক বল উড়ে গেছে বাউন্ডারির বাইরে। কিন্তু সেই ম্যাচেও বিতর্ক তৈরি হয়। ম্যাচের মধ্যেই মহম্মদ সিরাজের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন এই ব্রিটিশ তারকা। তবে সেই তিক্ততা ম্যাচ শেষে কোথাও যেন উবে গেল। দেখা গেল সৌজন্যের ছবি! একে অপরকে জড়িয়ে ধরলেন।
দ্বিতীয় ইনিংসের পঞ্চম ওভারে মহম্মদ সিরাজের প্রথম ৩টি বলে ২টি ছক্কা ও ১টি চার মারেন ফিল সল্ট। পরের বলেও ব্যাট চালিয়েছিলেন দিল্লি ব্যাটার। যদিও বল ব্যাটে লাগেনি। অনেকটা দূর দিয়ে বোলিং করেন সিরাজ। তারপরে দেখা যায় কোহলিদের দলের বোলার সিরাজ কার্যত ব্যাটিং ক্রিজে পৌঁছে গিয়ে আঙুল তুলে সল্টের দিকে কী বলছেন। বোঝাই গিয়েছে তিনি মেজাজ হারিয়েছেন। অবশ্য কোনো প্রতিক্রিয়া দেননি সল্ট। তবে হাসিমুখে সিরাজকে তিনিও অম্লমধুর কিছু বলেছেন। যদিও এ ঝামেলা মাঠেই শেষ। ম্যাচ শেষ হতেই সব রাগ গলে জল। সল্ট ও সিরাজ একে অপরকে জড়িয়ে ধরেন। সিরাজ নিজে থেকে এগিয়ে গিয়ে সল্টকে জয়ের জন্য অভিনন্দন জানান এবং আলিঙ্গন করেন। ঝামেলা সেখানেই শেষ।
ওদিকে সৌরভের সঙ্গে বিরাটের অন্তর্দ্বন্দ্ব তো ছিলই, দু’জনের মধ্যে সংঘাত লেগে গিয়েছিল। একে অপরের সঙ্গে হাত মেলাননি। সেই ছবি পালটে গেল শনিবার রাতে কোটলার মাঠে। সৌরভ এগিয়ে এসে কথা বলেন কোহলির সঙ্গে। তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ৫৫ রানের ইনিংসের জন্য। পাশাপাশি সাত হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন কোহলি। সৌরভ আদৌ কথা বলেন কিনা সেই নিয়ে আগ্রহ ছিল। কিন্তু খেলা শেষে মহারাজ এগিয়ে গিয়ে বিরাটের পিঠে হাত রাখেন। মুছে যায় দুরত্ব।
গৌতম গম্ভীর ও বিরাট কোহলি (Virat Kohli) এই দুইয়ের বিতর্ক এখন সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ২২ গজে বিরাটের আগ্রাসন এর আগেও দেখা গিয়েছে। কিন্তু এবারে তা যেন এক অন্য মাত্রায় পৌঁছে গিয়েছে। গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে তুমুল বিতর্কের পরই বিরাটকে অনুষ্কার সঙ্গে দেখা যায় ধর্মীয় স্থানে। তখন নেট দুনিয়ায় এমনও শোনা যাচ্ছিল যে, 'মাথা ঠান্ডা রাখতেই কী তবে ভগবানের দুয়ারে বিরাট!' তবে এবারে বিরাটকে দেখা গেল স্ত্রী অনুষ্কার সঙ্গে নৈশভোজে যেতে। ছবিও শেয়ার করেছেন বিরাট। কিন্তু এতেও ফের প্রশ্ন নেটিজেনদের, 'বিরাটকে গম্ভীর কেন দেখাচ্ছে?'
প্রায় সারাক্ষণই বিরাটকে খোশমেজাজেই দেখা যায়। আবার তাঁর পাশে স্ত্রী ও কন্যা থাকলে তো কোনও কথাই নেই। খুশি তখন তাঁর মুখেই ফুটে ওঠে। রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়েছেন তিনি আবার বাহুডোর রয়েছেন অনুষ্কাও, তবুও বিরাটের মুখে যেন নেই তাঁর সেই উজ্জ্বল হাসি। একান্তে স্ত্রীর সঙ্গে সময় কাটাতে গিয়েও মনে যেন নেই কোনও খুশি। কেমন যেন একটা চিন্তিত দেখাচ্ছে তাঁকে। এমনটাই মন্তব্য নেটিজেনদের।
বিরাটের এমন 'চিন্তিত' মুখ দেখেই নেটিজেনরা মজা করেই মন্তব্য করেছেন, 'বিরাট আপনি আরেকটু হাসতেই পারতেন, নয়তো আপনাকে সবাই বলবে বিরাট এত গম্ভীর কেন?' কেউ আবার লিখেছেন, 'তাঁকে ১ কোটি জরিমানা দিতে হবে তো কী হয়েছে, ছবি শেয়ার করে ৭ কোটি উপার্জন করে নিলেন।'
বিরাট কোহলি (Virat Kohli) এবং গৌতম গম্ভীরের (Gautam Gambhir) সম্পর্ক বারবার আইপিএলের ময়দান উত্তপ্ত করছে। চলতি আইপিএল সিজনে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে লখনউ সুপার জায়ান্টস ম্যাচ জেতার পরই গম্ভীর মুখে আঙুল দিয়ে চুপ করার ইশারা করেছিলেন বিরাটের দিকে তাকিয়ে। কিন্তু বিরাট কি চুপ করে থাকার মানুষ! গত সোমবার একানা স্টেডিয়ামে প্রথম থেকেই আগ্রাসী ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল বিরাটকে। ম্যাচের মাঝেই বিরাট এবং গম্ভীর একে অপরকে রক্তচক্ষু দেখান। অন্যদিকে নবীন-উল-হকের সঙ্গেও বিবাদে জড়িয়ে পড়েন বিরাট। এই নিয়ে বিতর্ক চলছেই। এরই মাঝে এই বিষয়ে মুখ খুললেন ভারতীয় ক্রিকেটের প্রাক্তন কোচ রবি শাস্ত্রী (Ravi Shastri)।
প্রতিক্রিয়া দিয়ে রবি শাস্ত্রী বললেন, 'তাঁরা যথেষ্ট ক্রিকেট খেলেছেন। গৌতম দুই বার বিশ্বকাপ জিতেছেন। অন্যদিকে বিরাট একজন আইকন। দু'জনেই দিল্লি থেকে এসেছেন। আমার মনে হয়, সবচেয়ে ভালো হবে যদি দু'জন মুখোমুখি বসে বিষয়টি মিটিয়ে নেন। খুব তাড়াতড়ি তাঁদের রাগ কমে গেলে বুঝতে পারবেন, আরও ভালো করে বিষয়টি তাঁরা মিটিয়ে নিতে পারতেন।'
অন্যদিকে, মাঠের মাঝেই খেলোয়াড়দের এই আচরণ মেনে নিতে নারাজ আইপিএল কর্তৃপক্ষ। বিরাট-গম্ভীর এবং নবীনকে এই বিষয়ে শাস্তিও ঘোষণা করা হয়েছে। বিরাট এবং গম্ভীরকে ম্যাচ ফি-র পুরো টাকা জরিমানা দিতে নির্দেশ দিয়েছে আইপিএল কর্তৃপক্ষ এবং নবীনকে তাঁর ম্যাচ ফি-র ৫০% জরিমানা দিতে হবে।
সালটা ২০০৯। ডিসেম্বরের কোনও এক দুপুরে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে (EDEN) এক দিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ খেলতে নেমেছিল ভারতীয় (India) দল। বিপক্ষে ছিল শ্রীলঙ্কা (Srilanka)।
ম্যাচটি অনেক ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থকই মনে রেখে দিয়েছেন। শুধু ভারত সেই ম্যাচে জিতেছিল বলেই নয়, ম্যাচে দুই ক্রিকেটারের মধ্যে অনবদ্য বোঝাপড়া এবং ক্রিকেটীয় পেশাদারিত্বের সাক্ষী থেকেছিল ইডেন।
সেই দুই ক্রিকেটারের নাম বিরাট কোহলি (Virat Kohli) এবং গৌতম গম্ভীর (Goutam Gambhir)। দু’জনেই শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ইডেনের সেই ম্যাচে শতরান করেছিলেন। ২১ বছরের উঠতি তারকা বিরাটের ব্যাট থেকে সেটাই ছিল একদিনের ম্যাচের প্রথম শতরান।
বিরাট সেদিন ১১৪ বলে ১০৭ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেছিলেন। আর গম্ভীরের ব্যাট থেকে এসেছিল ১৫০ রান। তাঁদের ২২৪ রানের যুগলবন্দির উপর ভর করেই শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে হেসেখেলে জয় এসেছিল।
সেই ম্যাচে বিরাট এবং গম্ভীরের বন্ধুত্বের প্রমাণ পাওয়া যায়। ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হলেও পুরস্কারটি বিরাটের হাতে তুলে দিয়েছিলেন গম্ভীর। বিরাটের প্রথম শতরানটি স্মরণীয় করে রাখার জন্যই সিনিয়র হিসাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। দিল্লির দুই ক্রিকেটারের মধ্যে এই বন্ধুত্ব চোখ ভরে দেখেছিল ইডেন।
পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ ২০১৩ সালের। ঘটনাস্থল এ বার এম চিন্নস্বামী স্টেডিয়াম, বেঙ্গালুরু। আইপিএলের একটি ম্যাচে মুখোমুখি হয় রয়াল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর (আরসিবি) এবং কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর)। সেই ম্যাচে জন্ম নেয় ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম তিক্ত দ্বন্দ্ব। চার বছর আগের বন্ধুত্ব বদলে যায় ‘শত্রুতা’য়।
বেঙ্গালুরুর ওই ম্যাচে গম্ভীরের অধিনায়কত্বে খেলতে নেমেছিল কেকেআর। ম্যাচটি জিতেছিল বিরাটের আরসিবি। বিরাট সেই ম্যাচে ৩৫ রান করে আউট হন। লক্ষ্মীপতি বালাজির বলে বিরাটের উইকেট পড়তেই উল্লাসে ফেটে পড়তে দেখা যায় গম্ভীরকে
গম্ভীর এবং কোহলি, দু’জনেই আগ্রাসী খেলোয়াড়। কিন্তু সে দিন বাইশ গজের আগ্রাসন যেন মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছিল। কোহলি আউট হয়ে ফেরার সময় গম্ভীর সম্ভবত কোনও মন্তব্য করেছিলেন। দেখা যায়, কোহলি রাগে গজগজ করতে করতে এগিয়ে যাচ্ছেন কেকেআরের খেলোয়াড়দের দিকে। চলছে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়।
অন্য খেলোয়াড় এবং মাঠে উপস্থিত আম্পায়ারদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি কোনও রকমে সামাল দেওয়া গিয়েছিল। কিন্তু বিরাট এবং গম্ভীরের সম্পর্কে যে তিক্ততার ছাপ সে দিন চোখে পড়েছিল, তা ভুলতে পারেননি সমর্থকেরা।
বিরাট বা গম্ভীর, মুখে দু’জনেই এই দ্বন্দ্বকে মাঠের মধ্যে ফেলে আসার কথা বলেছেন বার বার। ব্যক্তিগত সম্পর্কে এর কোনও প্রভাব পড়েনি বলেও জানান তাঁরা। কিন্তু আইপিএলের মঞ্চে ক্রমেই তিক্ত থেকে তিক্ততর হয়েছে দুই দিল্লি তারকার সম্পর্ক।
২০১৬ সালে কেকেআর বনাম আরসিবির আরও এক ম্যাচে কোহলি, গম্ভীরের তিক্ততার পরিচয় পাওয়া গিয়েছিল। সে দিনও হেরে গিয়েছিল কলকাতা। ১৮৩ রান তাড়া করেও জয় আসেনি। তবে তাতে গম্ভীরের আগ্রাসনে খামতি ছিল না।
ম্যাচের শুরু থেকেই কলকাতার অধিনায়কের আগ্রাসী মনোভাবের পরিচয় পাওয়া যাচ্ছিল। ১৯তম ওভারে, ব্যাঙ্গালোরের জয় যখন প্রায় নিশ্চিত, একটি রান নেন কোহলি। রান নিয়ে তিনি নন-স্ট্রাইকার এন্ডে দাঁড়িয়ে থাকাকালীন সে দিকে বল ছোড়েন গম্ভীর। দেখে মনে হয়েছিল, যেন কোহলিকে লক্ষ্য করেই বলটি ছুড়ে মারা হয়েছে।
এই ঘটনার পর মাঠে ফের আবহাওয়া উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দুই তারকার মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। পরিস্থিতি সামাল দেন আম্পায়ার। অপ্রীতিকর আচরণের জন্য গম্ভীরকে সমালোচনা এবং শাস্তির মুখে পড়তে হয়েছিল।
সময় বদলেছে। বিরাট এখন আর আরসিবির অধিনায়ক নন। গম্ভীরও নেই কেকেআরে। তিনি এখন লখনউয়ের মেন্টর। পরিস্থিতি বদলে গেলেও বিরাট-গম্ভীরের তিক্ততায় বিরাম নেই আজও। সোমবার লখনউয়ের ঘরের মাঠে দুই তারকার ঝামেলা প্রকাশ্যে দেখা গেল আবার।
ম্যাচটি জিতেছে আরসিবি। মাত্র ১২৬ রান করেও কোহলিরা লখনউকে জিততে দেননি। ১০৮ রানে শেষ হয়ে যায় লোকেশ রাহুলদের ইনিংস। খেলা শেষে দুই দলের খেলোয়াড়েরা হাত মেলানোর সময় বচসায় জড়িয়ে পড়েন কোহলি
ম্যাচ চলাকালীন লখনউয়ের এক একটি উইকেট পড়তেই স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছিলেন বিরাট। কখনও গ্যালারিতে বসে থাকা স্ত্রী অনুষ্কার দিকে ছুড়ে দিচ্ছিলেন চুম্বন, কখনও আবার মাঠের বাইরে বসে থাকা লখনউয়ের খেলোয়াড়দের দিকে তাকিয়ে মুখে আঙুল দিয়ে চুপ করিয়ে দেওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন।
আফগানিস্তানের ক্রিকেটার নবীন উল হক আউট হওয়ার সময়ও উত্তেজিত হয়ে উল্লাস করেন কোহলি। টুপি খুলে মাটিতে ছুড়ে ফেলেন। সেটা হয়তো ভাল ভাবে নেননি নবীন। তাই হাত মেলানোর সময় কোহলিকে কিছু বলতে দেখা যায় তাঁকে।
বুধবার দুপুর নাগাদ পছন্দের দম্পতির ঝলক পেল নেট দুনিয়া। নিজের সামাজিক মাধ্যমে একটি ছবি শেয়ার করেছেন ভারতীয় ক্রিকেটার বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। ছবিতে দেখা গিয়েছে, পাশের সিটে বসে রয়েছেন অনুষ্কা (Anushka Sharma)। পাশে বসে সেলফি নিয়েছেন বিরাট কোহলি। যেহেতু গাড়িতে বসেই ছবি তুলেছেন বিরাট, তাই এই ছবিকে সেলফি না বলে কারফি বললেও বোধহয় খুব একটা ভুল হবে না।
বিরাট ও অনুষ্কা চললেন কোথায়? সামাজিক মাধ্যমে ছবি পোস্ট করে বিরাট লিখেছেন, 'আউট এন্ড এবাউট ইন দিল্লি'। অর্থাৎ দূরে কোথাও না, একান্ত সময় কাটাতে দিল্লীর রাস্তাতেই ঘুরছিলেন দু'জনে। বিরাট পরেছিলেন একটি ছাই রঙের টিশার্ট। অন্যদিকে অনুষ্কা পরেছিলেন কালো ক্যাজুয়াল জ্যাকেট এবং মাথায় টুপি। দু'জনের মুখেই দেখা গিয়েছে লাখ টাকার হাসি।
বিরাট এবং অনুষ্কার প্রেম চলাকালীন সামাজিক মাধ্যমের কুমন্তব্যের শিকার হয়েছিলেন। কিন্তু সব খারাপ মন্তব্য তুড়িতে উড়িয়ে বিয়ে করেন দু'জনে। তারকা দম্পতির কন্যা সন্তান ভামিকাও নেটিজেনদের আকর্ষণের মধ্যবিন্দু। কয়েক দিন আগেই অনুষ্কার জন্মদিনে একগুচ্ছ না দেখা ছবি পোস্ট করেছিলেন বিরাট। এবার একান্তে কাটানো সময়ের ঝলক দিলেন ভক্তদের।
মহেন্দ্র সিং ধোনির জন্য বদলে গিয়েছিল ইডেনের রং। কেকেআরের সোনালি-বেগুনি নয়, ক্রিকেটের নন্দনকানন মুড়ে গিয়েছিল হলুদে। সোম-সন্ধেয় খানিকটা তেমনই ছবি ধরা পড়ে লখনউয়ে। কেএল রাহুলদের (KL Rahul) ঘরের মাঠে থেকে থেকেই ‘কোহলি… কোহলি’ চিৎকার। গ্যালারির অনেকটা অংশ দখল করেছিলেন আরসিবি (RCB) সমর্থকরা। আর তাঁদের সামনেই ২২ গজের দখল নেন আরসিবি বোলাররা। সিরাজ, কর্ণ শর্মাদের দাপুটে বোলিংয়েই জয়ে ফিরলেন বিরাট কোহলিরা (Virat Kohli)। কিন্তু শুধু হার নয়, উলটো দিকের শিবিরে চিন্তা বাড়ল অধিনায়ক রাহুলকে নিয়েও।
ম্যাচের শুরুর দিকেই চোট পেয়ে ফিজিওদের কাঁধে ভর দিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় রাহুলের। আরসিবির ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ফিল্ডিংয়ের সময় ডু প্লেসির বাউন্ডারি আটকাতে গিয়েই চোট পান রাহুল। থাই মাসলে চোট পেয়ে একেবারে মাঠে শুয়েই পড়েন তিনি। মাঠ ছাড়ার সময়ও তাঁর চোখে-মুখে স্পষ্ট যন্ত্রণার ছাপ। গ্যালারিতে উদ্বিগ্ন দেখায় স্ত্রী আথিয়া শেট্টিকেও। চিন্তার ভাঁজ পড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজির কর্ণধার সঞ্জীব গোয়েঙ্কার কপালেও। রাহুল মাঠ ছাড়ায় ক্রুণাল পাণ্ডিয়ার নেতৃত্বে খেলে দল। যদিও প্রবল ইচ্ছাশক্তিতে ভর করে শেষ উইকেটে ব্যাট হাতে মাঠেও নামেন রাহুল। যদিও তিন বল খেলে খাতা খোলার আগেই শেষ হয় ম্যাচ। তাঁর চোট কতখানি গুরুতর, তা এখনও স্পষ্ট করে জানানো হয়নি
লখনউয়ের আউটফিল্ড এমনিতেই তুলনামূলক স্লো। তার উপর আরসিবি ইনিংসের মাঝে এক পশলা বৃষ্টিও হয়। আবার ওপেনিংয়ে নেই রাহুলও। ফলে ব্য়াঙ্গালোর স্কোরবোর্ডে বিরাট রান তুলতে না পারলেও লখনউর কাছে সব মিলিয়ে টার্গেটে পৌঁছনোর কাজটা কঠিন হয়ে পড়ে। হ্যাজলউড, ম্যাক্সওয়েলদের সুইংয়ে ক্রিজে দাঁড়াতে পারেননি ক্রুণাল, দীপক হুডা, স্টয়নিসরা।
লখনউ হারলেও রবি বিষ্ণোইয়ের দুরন্ত বোলিংয়ের প্রশংসা করতেই হয়। কোহলি এবং ম্যাক্সওয়েলের (৪) মূল্যবান উইকেট তুলে নিয়ে আরসিবিকে জোর ধাক্কা দেন তিনি। কার্যত একাই লড়াই চালান অধিনায়ক ডু প্লেসি। তবে মিডল অর্ডারের লাগাতার ব্যর্থতার দুশ্চিন্তা এই জয়ের পরও কাটল না আরসিবির।