রাস্তার বেহাল দশা। প্রতিনিয়ত ঘটছে পথ দুর্ঘটনা। ভোগান্তির মুখে এলাকাবাসী। তবে এই ঘটনার কথা বারবার প্রশাসনকে জানিয়েও মিলছে না সুরাহা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা বিধানসভার অন্তর্গত মসজিদবাটি গ্রাম পঞ্চায়েত নীলকন্ঠ মোড় থেকে বড় কাছড়ি মন্দির পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশা। পথশ্রী প্রকল্পের উদ্বোধন হলেও রাস্তা সংস্কারের দিকেই তাকিয়ে গ্রামবাসীরা। জানা গিয়েছে, প্রায় ৩ বছর ধরেই রাস্তাটি এমন জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে। এমনকি সামনেই বড়োকাছারির মন্দির এখন পশ্চিমবঙ্গের দর্শনীয় স্থান হয়ে পড়েছে। এমনকি চৈত্রে ২৭-৩০ তারিখ পর্যন্ত লক্ষাধিক সমাগম হয় এই রাস্তার উপর দিয়েই।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এই রাস্তার উপর দিয়ে যাতায়াত করতে সমস্যায় পড়তে হয়। কেন্দ্র সরকারের গ্রাম সড়ক যোজনা প্রকল্পের সময়ই এই রাস্তাটি করা হয়েছিল। কিন্তু তারপর থেকে এই রাস্তাটি কেন সংস্করণ করা হচ্ছে না তা জানা নেই। তবে তাঁদের দাবি, রাজ্য সরকারের পথশ্রী প্রকল্পের আওতায় রাস্তাটি যাতে তাড়াতাড়ি আনা হয়।
অনুমতি ছাড়া পঞ্চায়েতের লক্ষ লক্ষ টাকার গাছ কেটে (Wood Smuggling) নেওয়ার অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে খোদ পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগের (Arambag) সালেপুর ২ অঞ্চলে। ঘটনাস্থলে আরামবাগ থানার পুলিস। এমনকি এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে নানা রাজনৈতিক বিতর্ক। জানা গিয়েছে, সালেপুরের বসন্তবাটি পশ্চিমপাড়া এলাকায় পঞ্চায়েত প্রধান সঞ্জিত অধিকারী। বেশ কয়েকদিন আগেই পঞ্চায়েতের তরফে গাছ কাটার নির্দেশ দেন তিনি। এমনকি শুরু হয়ে যায় সেই গাছ কাটার কাজও। তবে সেই গাছ কাটার জন্য বন দফতরের অনুমতি নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এমনকি স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যকেও এবিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। পাশাপাশি এই বিষয়ে বিজেপির পক্ষ থেকেও অভিযোগ করা হয়েছে।
যদিও সালেপুর ২ নং পঞ্চায়েত প্রধান সঞ্জিত অধিকারী এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন। তিনি জানান, ওই এলাকায় পিএইচই প্রকল্পের পাইপ লাইন করার জন্য গাছ কাটা হচ্ছে। পিএইচই-র পক্ষ থেকে বেশ তাড়াও ছিল। তাই লিখিত অনুমতি না পেলেও বিষয়টি মৌখিকভাবে বন দফতরকে জানানো হয়েছে।
কল আছে কিন্তু কলে জল নেই। প্রায় দু'বছর আগে এসেছিল পানীয় জলের (Drinking Water) লাইন। কিন্তু দুর্ভাগ্য এখনও সেই কলের লাইনে জল আসেনি। বাঁকুড়া (Bankura Village) দু'নম্বর ব্লকের জুনবেদিয়া গ্রাম, যে গ্রামে লকডাউনের আগে পানীয় জলের লাইন আসে। সেই লাইনে এখনও পর্যন্ত একফোঁটা জলের দেখা পায়নি গোটা গ্রামবাসী। গ্রামবাসীদের ভরসা মাত্র একটি টিউবওয়েল। দাবি, পানীয় জলের জন্য গাড়ির তেল পুড়িয়ে প্রতিদিন দেড় কিলোমিটার দূরে যেতে হয়। গরমের প্রবল তাপ-উত্তাপ মাথায় করে এপ্রকার বাধ্য হয়ে যেতে হয় খাবার জল আনতে।
অভিযোগ, 'বহুবার প্রশাসনকে দরখাস্ত দেওয়া হলেও তারা এই ব্যাপারে কোনওরকম ব্যবস্থা নেয়নি। গ্রামের প্রতি ঘরে কলের লাইন থাকা সত্ত্বেও সেই লাইনে জলের কোনও ব্যবস্থা নেই। এছাড়াও গ্রামে একটা পুকুর পর্যন্ত নেই। বাড়ির মহিলা সদস্যদের স্নান করতে দূর-দূরান্তে যেতে হয়। পানীয় জলের সংঙ্কটে ভুগছে বাঁকুড়ার এই গ্রাম।' গ্রামবাসীদের একটাই দাবি, পানীয় জলের ব্যবস্থা না করলে তারা ভোট বয়কট করবে। সামনেই পঞ্চায়েত ভোট তার আগেই বাঁকুড়ায় জলের সমস্যা। এবার দেখার প্রশাসন এব্যাপারে কী ব্যবস্থা নেয়।
বসিরহাট সীমান্তে ১২টি সোনার বিস্কুট (Gold Sumggling) উদ্ধার। উদ্ধার করেছে বিএসএফ-র ১১২ নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ানরা(BSF)। ১ কিলো ৪০০ গ্রামের ওই সোনার বিস্কুটের বাজারমূল্য ৮৭ লক্ষ টাকা। বসিরহাটের (Bsirhat) স্বরূপনগর থানার বিথারি-হাকিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভারত-বাংলাদেশ তারালি সীমান্তের ঘটনা। এই সোনার বিস্কুটগুলি থাইল্যান্ড, মায়ানমার ও বাংলাদেশ হয়ে ভারতে ঢুকেছে। এমনটাই অনুমান সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর। ইতিমধ্যেই পাচারকারীকে আটক করেছে বিএসএফ।
জানা গিয়েছে, পাচারকারীর নাম লতিপ সর্দার। বিথারী-হাকিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোল্লাপাড়া এলাকার বাসিন্দা। সোমবার ভোরে ভারত-বাংলাদেশ তারালি সীমান্তে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করছিল সে। সেই সময় পাচারকারীকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে সন্দেহ হয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানদের। লতিপকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তল্লাশি চালাতেই ১২টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার হয়।
অন্যদিকে অশোকনগর থানার কল্যাণগড় বাজারে এলাকায় সোনার বিস্কুটের খোঁজে কাস্টমসের তল্লাশি। তল্লাশি চালায় এক জমি ব্যবসায়ীর বাড়িতে। প্রায় ৮ থেকে ১০ জনের একটি প্রতিনিধি দল তল্লাশি করতে এসেছিল ওই বাড়িতে। তাঁরা প্রায় দেড় ঘন্টা ধরে তল্লাশি চালায়। তবে কিছু না পেয়ে খালি হাতে ফিরে যায় তাঁরা।
জলই জীবন আর সেই পানীয় জল নিয়ে ভোগান্তিতে (Water Crisis) সাধারণ মানুষ। জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভগৎ সিং কলোনী এলাকার ঘটনা। জলের কল মাত্র দুটো। তার মধ্যে সরু সুতোর মত জল পড়ছে। এলাকার অনেককেই পানীয় জল কিনে খেতে হয়। ফলে পানীয় জল নিয়ে বেশ সমস্যায় পড়েছেন এলাকার মানুষ।
এলাকাবাসীরা জানান, জলপাইগুড়ির পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভগৎ সিং কলোনী এলাকায় প্রায় চারশো পরিবারের বাস। এই গোটা এলাকায় সব মিলিয়ে দুটো জলের কল মাত্র। সেই জলের কল দিয়ে আবার সরু সুতোর মত জল পড়ে। এমনকি প্রায়শই জলের সঙ্গে বেরিয়ে আসে আয়রনের গুঁড়ো। যার জেরে কলের মুখে কাপড় বেঁধে জল নিতে হয়। এমনকি কল দিয়ে জল আসতে পড়ার ফলে ঘন্টাখানেক দাঁড়ালে তবেই বালতি-কলসি ভর্তি করা যায়। এলাকাবাসীরা আরও জানায়, গ্রামের পঞ্চায়েতের কাছে বারবার আবেদন করেও কোনও সুরাহা মেলেনি।
বিজোপি জেলা সম্পাদক শ্যাম প্রসাদ জানান, 'তত্কালীন পৌরসভার চেরম্যান এই দুটো কল করে দিয়েছিল। তাহলে পঞ্চায়েত ওখানে কী কাজ করেছে? গ্রামের চারশো পরিবারের পর্যাপ্ত জলের চাহিদাও মেটাতে পারেন না। শুধু তাই নয়, ওই দুটো জলের কলের রক্ষণাবেক্ষণও করছে না পঞ্চায়েত।' তিনি আরও বলেন, 'পঞ্চায়েত ভোট আসলেই শুধু প্রতিশ্রুতির পর প্রতিশ্রুতির মেলে। কিন্তু পূরণ করা হচ্ছে না কোনও প্রতিশ্রুতিই।'
তবে সিএন-এর ক্যামেরার সামনে তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যা অমিতা মিত্র এক সপ্তাহের মধ্যে জলের কল ঠিক করার আশ্বাস দিয়েছেন।
সাতসকালে বোমা উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য এলাকায়। ঘটনাটি বাসন্তী থানার (Basanti PS) আমঝাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের (Panchayat) নিতাইপাড়ার। অভিযোগ, গভীর রাতে দুষ্কৃতীরা এলাকায় বোমাবাজি করে। বুধবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য তথা শিক্ষক সুনীল নস্করের বাড়ির সামনে রাস্তার উপরে বোমাবাজির দাগ। পড়ে ছিল একটি তাজা বোমাও (Bombing)।
এমনকি ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে কালী মন্দিরের সামনেও বোমাবাজির দাগ এবং সুতুলি পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। এমএসকে শিক্ষাকেন্দ্রের সামনেও বোমার দাগ দেখেন স্থানীয়রা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যথেষ্ট চাঞ্চল্য় এলাকায়। ঘটনার খবর পেয়ে বাসন্তী থানার পুলিস এসে বোমা উদ্ধার করে বম্ব স্কোয়াডে খবর দেয়। তদন্ত শুরু করেছে বাসন্তী থানার পুলিস।
এক স্থানীয় জানান, 'সকালে উঠে বোমা পড়ে থাকতে দেখে প্রশাসনকে জানাই। রাতে বোমাবাজির ঘটনায় যথেষ্ট আতঙ্কে ছিলাম।' স্পষ্টতই পঞ্চায়েত ভোটের আগে এভাবে বোমাবাজির ঘটনায় চাপা আতঙ্কে গ্রাম।
সৌমেন সুর: এখন প্রায় শীতের মাঝামাঝি। গাছে গাছে পাতা ঝরার আগাম ডাক। চারদিকে যেন এক উদাসী রুক্ষতা। রোজ যেমন রাত যায়, দিন আসে আজও তেমনি এসেছে। প্রকৃতির মেজাজ যেন একটু অন্যরকম। আজ ছুটির দিন। চোখে তখনও ঘুমের আবেশ। বেলা কত হয়েছে বোঝার উপায় নেই। দরজা জানলা সব বন্ধ। বিছানায় লেপের উষ্ণতা ছেড়ে উঠে পড়তে কিছুতেই মন চায় না। আরও কিছুক্ষণ শুয়ে থাকার আলসেমি ভর করে আছে। এর মধ্যেই মা দু'বার তাড়া লাগিয়ে চলে গিয়েছেন। ডাক কানে আসলেও, উঠতে মন চায় না। রাস্তায় রিক্সার হর্নের আওয়াজ ভেসে আসে। কিন্তু আলস্য কিছুতেই কাটছে না।
লেপের আরাম ছেড়ে কোনওমতে উঠলাম। লম্বা চাদরটা গায়ে জড়িয়ে জানলা খুলতেই একমুঠো হিমেল হাওয়ায় শরীরটা শিরশির করে উঠলো। বাইরে ঘন কুয়াশায় অস্পষ্ট দূর প্রান্তর। রোদটা কেমন ঝিমঝিমে। শীত বুড়ি আমার শরীর ছুঁয়ে নাচানাচিতে মেতে ওঠে। কলতলায় মুখ ধুতে এলাম। গায়ে ঠাণ্ডার কামড়। কিছুটা দূরে অস্পষ্ট খেজুর গাছে শিউলির হাড়ি নামানো- অদ্ভুত। মা এলেন চায়ের কাপ হাতে নিয়ে। (চলবে)
৮ কিলোমিটার রাস্তা (road), বেহাল দশা। প্রায়দিনই ঘটে চলেছে দুর্ঘটনা (accident)। অভিযোগ, পঞ্চায়েত প্রশাসনকে বলেও হয়নি কোনও কাজ। একাধিকবার বিধায়ক প্রতিশ্রুতি দিলেও রাস্তার অবস্থা এখনও বেহাল। ঘটনাস্থল উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা (Deganga)। কবে মিটবে সমস্যা, কবে মিলবে যাতায়াতের যোগ্য রাস্তা? জানেন না স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানান, দেগঙ্গা ব্লকের কলসুর থেকে বক্সিরহাটি যাওয়ার রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। পিচ, পাথর উঠে রাস্তার কঙ্কালসার অবস্থা। প্রায়দিনই ঘটে চলেছে দুর্ঘটনা। যাতায়াতের সমস্যায় স্কুলপড়ুয়া থেকে নিত্য পথচলতি মানুষ। স্থানীয়দের অভিযোগ, পঞ্চায়েত প্রশাসনকে বলেও হয়নি রাস্তা মেরামতির কোনও কাজ। স্থানীয় বিধায়ক বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও হয়নি রাস্তা মেরামতি।
তবে এবিষয়ে লেগেছে রাজনৈতিক রং। দেগঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি তুষারকান্তি দাস জানান, পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাস্তাটির মেরামতির কাজ শেষ হবে। অন্যদিকে, বেহাল রাস্তা নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্বকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেত্রী দীপিকা চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানান, শাসক দল নিজেদের দুর্নীতি ঢাকতে ব্যস্ত। সাধারণ মানুষের চাহিদা দেখার সুযোগ নেই।
বুধবার সকালেই উত্তপ্ত জয়নগর (Joynagar)। সকালেই বোমাবাজির (bomb) ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। প্রাথমিক সূত্রে খবর, ঘটনায় জখম (injured) হয়েছেন গ্রামেরই বেশ কয়েকজন। আতঙ্কিত (panic) এলাকাবাসী। কিন্তু কেন ঘটল এমন ঘটনা তার তদন্তে পুলিস। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জয়নগর থানা এলাকার উত্তর দুর্গাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আলিপুর-গাজিপাড়ায় বল খেলাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। স্থানীয়দের মতে, গাজি পাড়ার মাঠে খেলার প্যান্ডেল করাকে ঘিরেই এই গণ্ডগোলের সূত্রপাত।
বুধবার সকালে হঠাৎ এলাকায় কয়েকজন দুষ্কৃতী এসে অনবরত বোমাবাজি করতে থাকে। সেই বোমার আঘাতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলের ছুটে আসে জয়নগর থানার বিশাল পুলিসবাহিনী। আহতদের মধ্যে ৭ জনকে চিকিৎসার জন্য জয়নগর ২ নম্বর ব্লকের নিমপীঠ শ্রী রামকৃষ্ণ গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনার পরই আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।
এদিকে, পুলিস ঘটনাস্থল থেকে ১২টি ক্যাসেট বোমা উদ্ধার করেছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় এখনও চাপা উত্তেজনা। ঘটনাস্থল থেকে জয়নগর থানার পুলিস দু'জনকে আটকও করেছে, তদন্তে পুলিস।
উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) দেওরিয়া জেলায় স্টান্ট চলাকালীন দুই বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে কমপক্ষে দু'জন মৃত এবং দু'জন আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সন্ধ্যায়। দুর্ঘটনায় মৃত দুই চালকেরই হেলমেট ছিল না।
গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার সময় বুলেট নিয়ে চালক স্টান্ট করছিলেন। আহত দু'জনই বর্তমানে মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। রামপুর কারখানা এলাকার সাঙ্গারপুর গ্রামের বাসিন্দা ক্ষত্রিয় পাণ্ডে এবং জিতেন্দ্র পাণ্ডে একটি বাইকে করে পান্ডে মোড় থেকে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। অপরদিকে, পোখরভিন্দা ঈশ্বরী প্রসাদ ওই গ্রামের বাসিন্দা শাহজাদ শাহ ও কেয়ামুদ্দিন বুলেট নিয়ে দেওরিয়া যাচ্ছিলেন। তাঁরা যখন হিরান্দাপুরের একটি বাঁক পয়েন্টে পৌঁছয়, তখন তাঁদের বাইক একে অপরের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে পড়ে। যাতে চারজনই গুরুতর আহত হয়।
আহতদের সকলকে গ্রামবাসীরাই জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। বুলেট চালক শাহজাদ (৩৫), এবং বাইক আরোহী ক্ষত্রিয় পান্ডে (৩৬)-কে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে।
গ্রামের প্রধান জানান, দুর্ঘটনার ঠিক আগে কিছু গ্রামবাসী বুলেট আরোহীকে স্টান্ট করতে দেখেছিল। এদিকে, রামপুর কারখানার স্টেশন ইনচার্জ রাজেশ কুমার পান্ডে জানান, মোটরসাইকেল দুটির মুখোমুখি সংঘর্ষে দু'জন নিহত হয়েছেন। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হলেও আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সৌমেন সুর: সংস্কৃতি হল জাতির সামগ্রিক পরিচয়পত্র। যুগ-যুগান্তর ধরে জাতির বিশিষ্ট হওয়ার যে স্বপ্ন-সাধ, যে আধ্যাত্ম আকুতি, নৃত্যে, শিল্পে, সাহিত্যে, সঙ্গীতে, ভাস্কর্যে, স্থাপত্যে, আচার,অনুষ্ঠানে দার্শনিক ভাবনায়, যে সকল গৌরবময় প্রকাশ, তাই তার সংস্কৃতি। সংস্কৃতি জাতির সর্বাঙ্গীণ উন্নতির চরমতম পরিণাম ফল। সত্য, শিব-সুন্দরের আবাহনের মধ্যেই সংস্কৃতির অভিব্যক্তি। প্রথম পর্বের পর...
বাঙালি সংস্কৃতির মধ্যে রয়েছে আত্মীয়করণের দুর্লভ প্রাণশক্তি। অফুরন্ত প্রাণ প্রাচুর্যই তাঁর সংস্কৃতির সৃষ্টি ও বিকাশের মূলে। ইসলামের ভ্রাতৃত্ববোধ গ্রহণেও সে যেমন কুণ্ঠাহীন, তেমনি বৈষ্ণব প্রেম-প্রীতিও তাঁর কাছে এক প্রার্থিত সম্পদ। বাঙালি সম্পত্তির মূলে আছে এক সুগভীর ধর্মবোধ। ধর্মকে আশ্রয় করে তার সংস্কৃতির বিকাশ ও সমৃদ্ধি। লৌকিক-পৌরাণিক যুগলবন্দিতে সেই ধর্মের পূর্ণতা। পারস্পরিক বিরোধে নয়, সমন্বয়ের বিশ্বাসেই গড়ে উঠেছে এক সুবিশাল সংস্কৃতি। বাংলার লোকসাহিত্যে বাঙালি তাঁর মনের দুয়ার খুলে দিয়েছে।
শিবায়ন-মঙ্গল কাব্য, ব্রত, পার্বণ, ছড়া, যাত্রাপালা, কবিগান, বাউল, কীর্তন, ভাটিয়ালি, গাম্ভীরায় বাঙালি নিজেকে উজাড় করে দিয়েছে। এছাড়া বাঙালি সংস্কৃতির অমলিন স্বাক্ষর তার পট অঙ্কনে, গৃহনির্মাণ পদ্ধতিতে, মৃৎশিল্পে, অলঙ্কার শিল্পে, আলপনায়, গৃহসজ্জায়। কৃষ্ণ নগরের মাটির পুতুল, কালীঘাটের পট শিল্প আজও বঙ্গ সংস্কৃতির অনন্য বৈশিষ্টে সমুজ্জ্বল।
অবশেষে বঙ্গ সংস্কৃতির জীবনে এলো চরম সংকট মুহূর্ত। দেশ হল দ্বিখণ্ডিত। সাম্প্রদায়িক বিষ ছেয়ে গেলো তাঁর দীর্ঘকালের সংস্কৃতির উদার আকাশে। বিশ্বাসবোধে লাগলো ভাঙনের আঘাত। বিদেশী সাহিত্য সংস্কৃতি অনুকরণে পথ ধরে এলো মার্কিনী সংস্কৃতি। শুরু হল অপসংস্কৃতির এক নতুন অধ্যায়। দেশ বিভাগের সীমারেখা দিয়ে বঙ্গ সংস্কৃতিকর উজ্জ্বলতর অধ্যায়ের হবে সূচনা। ইতিমধ্যেই সেই সূচনা ছড়িয়ে পড়েছে। নব সৃষ্টির উন্মাদনায় বঙ্গ সংস্কৃতি একদিন চির শিখরে যাবে-- একথা বলাই বাহুল্য।
সৌমেন সুরঃ সংস্কৃতি হল জাতির সামগ্রিক পরিচয়পত্র। যুগ-যুগান্তর ধরে জাতির বিশিষ্ট হওয়ার যে স্বপ্ন-সাধ, যে আধ্যাত্ম আকুতি, নৃত্যে, শিল্পে, সাহিত্যে, সঙ্গীতে, ভাস্কর্যে, স্থাপত্যে, আচার,অনুষ্ঠানে দার্শনিক ভাবনায়, যে সকল গৌরবময় প্রকাশ, তাই তার সংস্কৃতি। সংস্কৃতি জাতির সর্বাঙ্গীণ উন্নতির চরমতম পরিণাম ফল। সত্য, শিব-সুন্দরের আবাহনের মধ্যেই সংস্কৃতির অভিব্যক্তি।
একসময় গ্রাম ছিল বাঙালি সংস্কৃতির প্রাণভূমি। প্রকৃতির প্রসন্নতা ও মহিমা বাংলার সংস্কৃতিকে বিশিষ্ট মর্যাদায় ভূষিত করেছে। দিয়েছে স্বতন্ত্র মানসিকতা। তারপর একদিন তার সংস্কৃতি হল শহরমুখী। এদিকে বাঙালি কাউকে দূরে সরিয়ে দেয়নি। সকলকেই সে নিজে করে গ্রহণ করেছে। দিয়েছে স্বতন্ত্র মর্যাদার সম্মান।
কোনও এক প্রাগৈতিহাসিক কালে অস্ট্রিক গোষ্ঠীর মানুষ এই সংস্কৃতির প্রথম ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করেছিল। তারপর দ্রাবিড় ভোট ব্রহ্মের সংস্কৃতির ঢেউ এসে আছড়ে পড়লো সেই প্রস্থরে। এলো আর্য জাত। মিশ্রণ ঘটলো বিভিন্ন ভাষাভাষীর।
কালক্রমে সকলেই নিজের জাতিত্ব ও সত্ত্বা ভুলে গেলো। সকলে এক নতুন এক সৃষ্ট জাতিতে বিলীন হয়ে গেলো। খ্রিস্টিয় অষ্টম শতাব্দী থেকে বাঙালি সংস্কৃতির সম্ভাব্য সূচনাকাল। এই সময় থেকে শুরু অনার্য সংস্কৃতির রূপান্তর। ব্রাহ্মণ, জৈন, বৌদ্ধ ধর্মের প্রভাব পড়লো। আবির্ভাব ঘটলো ইসলাম সংস্কৃতির। সুফি সম্প্রদায়ের প্রভাবে বাংলার লোক সংস্কৃতি হল পুষ্ট। আজ বাঙালি সংস্কৃতি হিন্দু-মুসলমানের যৌথ সম্পদ। এলো ইংরেজ, বাংলা সংস্কৃতির প্রবাহে উঠলো নতুন ঢেউ।
পানীয় জলের পাইপ লাইন (Water Pipe Line) বসাতে মাটি খুঁড়তেই অবাক কাণ্ড বসিরহাটের গ্রামে। জেসিবিতে উঠে এসেছে শতাব্দী প্রাচীন রুপোর মুদ্রা। জানা গিয়েছে, সেই মুদ্রাগুলোয় ইংল্যান্ডের রানী ভিক্টোরিয়া (Queen Victoria) এডওয়ার্ড সেভেনের প্রতিকৃতি রয়েছে। ঐতিহাসিক এই ঘটনার সাক্ষী থাকতে গোটা গ্রাম ভেঙে পড়ে খনন এলাকায়। অনেকে কুড়িয়ে বাড়িতে নিয়ে আসেন কয়েকটি মুদ্রা (SilverCoin)। তবে কে বা কারা এই মুদ্রা এভাবে মাটি চাপা দিয়ে রেখেছে, খোলসা করতে পারেননি গ্রামবাসীরা।
স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, জেসিবি দিয়ে মাটি কাটার সময় বস্তা সমেত কলসিভর্তি কয়েন উঠে এসেছে। কয়েকটি মুদ্রা গ্রামবাসীরাও নিয়ে গিয়েছে। আমাদের পূর্ব পুরুষদের সম্পত্তি বলেই মনে হচ্ছে। এছাড়া আর কী হবে! অপর এক স্থানীয় জানান, জলের পাইপ বসানোর জন্য মাটি খুঁড়তে খুঁড়তে টাকা পেয়েছে। আমি যতটা শুনেছি একশো-দেড়শো পিস পেয়েছে। আগেকার দিনে লোকে ব্যাঙ্কে টাকা রাখতো না, এভাবেই মাটির ভাঁড়ে টাকা রাখতো। সেই টাকাগুলো কিনা ঠিক বলতে পারব না।
বাদাম ভেবে বিষাক্ত ফল খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ল ৮ জন শিশু। সকলের চিকিৎসা চলছে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। ঘটনা ঘটেছে বাঁকুড়ার ওন্দা থানার রামসাগরের তেঘরিয়া গ্রামে। গ্রামবাসী সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিকেলে স্কুল থেকে ফিরে বাচ্চারা মাঠে খেলতে যায়। খেলার সময় ভ্যারেন্ডা নামক ফল কুড়িয়ে সেই ফলের বীচ বের করে বাদাম ভেবে খেয়ে ফেলে শিশুরা। সন্ধ্যায় গ্রামের বেশ কয়েকজন শিশু বমি,পায়খানা ও পেট ব্যাথার উপসর্গ শুরু হলে শিশুদের নিয়ে যাওয়া হয় প্রথমে রামসাগর প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্রে। সেখান থেকে ওন্দা সুপার স্পেশালিটি তারপর সেখান থেকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জানা গিয়েছে, গ্রামের ৮ জন শিশু এই মুহুর্তে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন। শিশুরা যে ফল খেয়েছিল সেই ফল খেয়ে দেখে অসুস্থ হয়ে পরেন বছর ৪৫-এর এক মহিলা। তিনিও বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গ্রামবাসী সূত্রে জানা গিয়েছে অসুস্থ শিশুদের বয়স ৬ থেকে ১৪ বছরের মধ্যে। পরিবারের লোকজন শিশুরা যে ফল খেয়েছে সেই ফলও চিকিৎসকদের দেখিয়েছেন। প্রত্যেকে আপাতত সুস্থ রয়েছে বলে খবর।
আবারও বাঘের (tiger) আতঙ্ক পাথরপ্রতিমায় (Pathar Pratima)। রাতভর আতঙ্কে (panic) ঘুম উড়ে যায় স্থানীয়দের। প্রাণ যাওয়ার ভয়ে ঘরবন্দী দশা প্রায় সকলেরই। রাতভর ঘুম ভেঙে পাহারারত অবস্থা। শেষমেষ তা হাতেনাতে ধরাও পড়ে। তবে একি কাণ্ড! দিনের আলো পড়তেই চক্ষুচড়কগাছ এলাকাবাসীদের। কী এমন ঘটল?
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার পাথরপ্রতিমার গঙ্গাপুর এলাকায় বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে বাঘের আতঙ্ক ছড়ায়। এলাকার বাসিন্দা উত্তম জানার মুরগি ঘরে হঠাৎ করে দেখা যায় একটি জন্তুকে। মুরগির চিৎকারে ঘুম ভেঙে উঠে পড়েন বাড়ির সদস্যরা। তাঁরা দেখতে পান বিরাট আকৃতির এক জন্তু সেখানে ঘুরছে। রাতের অন্ধকারে চোখ জ্বলজ্বল করছে। ভয়ে, আতঙ্কে চিৎকার-চেঁচামেচি করতে থাকেন তাঁরা।
তাঁদের আওয়াজ শুনে এলাকার লোকজন দৌড়ে আসেন। মূহুর্তের মধ্যেই ঘিরে ফেলে এলাকাটি। এমনকী মুরগির খামারের চতুর্দিকে জাল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়। তবে স্থানীয়দের চিৎকারে এদিকে জন্তুটিও গা ঢাকা দিয়েছে। শেষমেষ খবর যায় বন দফতরে। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি বনদফতরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। এরই মধ্যে ফুটে ওঠে দিনের আলো। আর দিনের আলো ফুটতেই যেন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন সকলেই। আলোতেই বোঝা যায় রাতভর যে জন্তুটি তাঁদের ঘুম উড়িয়েছে তা আসলে বাঘ নয়, বরং একটি আস্ত বাঘরোল।