
বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে মুখোমুখি জেরা করতে সোমবার তাঁর বাংলোয় গেল শান্তিনিকেতন থানার ওসি সহ পুলিস কর্মীরা। উপাচার্য থাকাকালীন নানা ইস্যুতে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। সম্প্রতি শান্তিনিকেতন থানায় তাঁর বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ জমা পড়েছে। জানা গিয়েছে, গোটা জিজ্ঞাসাবাদ পর্বের ভিডিও রেকর্ডিং হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশেই এই পদক্ষেপ নিল বীরভূম জেলা পুলিস।
উল্লেখ্য, সোমবার শান্তিনিকেতন থানার ওসি ও পুলিস আধিকারিকরা বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাংলো ‘পূর্বিতা’য় পৌঁছন। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, পাঁচটি মামলার মধ্যে তিনটি মামলায় আজ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আগামী ২২ তারিখ বাকি দুটি মামলায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। পাঁচটি মামলায় তদন্তের জন্য শান্তিনিকেতন থানার পুলিস নোটিস ধরিয়েছিল। কিন্তু প্রাক্তন উপাচার্য সেই হাজিরা এড়িয়ে যান। উপরন্তু এফআইআর খারিজের আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। সেই মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চে স্বস্তিও পান। আদালতের নির্দেশে বলা হয়েছিল, তাঁকে আপাতত গ্রেফতার করা যাবেনা। সেই নির্দেশের পর আজ ফের জেরার মুখে বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্য।
উল্লেখ্য, শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সম্পত্তিতে স্বয়ং রবীন্দ্রনাথকে অবমাননা করে ফলক বসানো থেকে শুরু করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে কটূক্তির জেরে অভিযোগ দায়ের হয়। বাঙালি কাঁকড়ার জাত-সহ দুর্গাপুজো প্রসঙ্গেও স্পর্শকাতর মন্তব্য করেছিলেন বিদ্যুৎ।
শিক্ষা সম্মেলন হয়ে গেল। কিন্তু অভিযোগ ডাকা হল না রাজ্যপাল নিযুক্ত উপাচার্যদের। তবে রাজ্যের নিযুক্ত রেজিস্ট্রারদের এই সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। এই সম্মেলনে রাজ্যপাল নিযুক্ত উপাচার্যদের না ডাকার কারণ হিসাবে রাজ্যে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, রাজ্যপাল নিযুক্ত উপাচার্যরা অনুপ্রবেশকারীদের মতো।
এই সম্মেলনে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে ফের উল্লেখ করেন শিক্ষামন্ত্রী। সাফ জানান, সিভি আনন্দ বোস নিযুক্ত উপাচার্যদের বেআইনি ভাবে নিয়োগ করা হয়েছে বলেই জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।
নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে কলকাতায় বসতে চলেছে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। তার আগে একটি বণিকসভার সহায়তায় শুক্রবার একটি শিক্ষা সম্মেলনের আয়োজন করেছিল শিক্ষা দফতর। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল দেশ-বিদেশের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে।
আচার্য তথা রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে মানহানির নোটিস। প্রাক্তন উপাচার্যদের তরফে চার পাতার এই নোটিস পাঠানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, রাজ্যপালের কোনও এক বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই নোটিস পাঠানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, আচার্য ক্ষমা না চাইলে মামলার পথে হাঁটার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রাক্তন উপাচার্যরা।
বৃহস্পতিবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেন প্রাক্তন উপাচার্যরা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ওমপ্রকাশ মিশ্র, দেবনারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়রা, আশুতোষ ঘোষেরা। তাঁদের অভিযোগ, বাংলার শিক্ষাকে ধ্বংস করছেন রাজ্যপাল আইন মেনে কিছুই করছেন না। প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলুন। তাঁদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো আনা হয়েছে, তারই প্রতিবাদ স্বরূপ মানহানির নোটিস পাঠানো হয়েছে তাঁকে।
সম্প্রতি,রাজ্যপাল জানিয়েছিলেন, সরকার মনোনীত উপাচার্যদের নিয়োগ করা যায়নি, কারণ তাঁরা কেউ দুর্নীতিগ্রস্থ, কেউ রাজনীতির খেলা খেলেছেন, কেউ আবার ছাত্রীদের হেনস্থা করেছেন। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয় রাজনৈতিক মহলে।
উপাচার্যহীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে আচার্য অর্থাৎ রাজ্যপালই উপাচার্য এই ঘোষণার পর বিতর্ক শুরু হয়েছে সব মহলেই। যা নিয়ে এবার রাজ্য রাজ্যপাল সংঘাত এবার তুঙ্গে। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে আবারও আইনি পদক্ষেপের পথে রাজ্য। কোন আইনের বলে আচার্য উপাচার্যের পদ সামলাতে পারেন? সেই প্রশ্ন তুললেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। আইনি পথে যাওয়ার হুঁশিয়ারি তিনি আগেই দিয়ে রেখেছিলেন। এবার রাজ্য যে সেই পথেই হাঁটছে, তা তিনি শুক্রবার স্পষ্ট করে দিলেন। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “আমি সুপ্রিম কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। যিনি আচার্য, তিনিই আবার উপাচার্য। কোন আইনের বলে এটা করলেন, আমার মাথায় ঢুকছে না। আমরা আইনি পদক্ষেপ করব বলে ভাবছি।”
রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির প্রশাসনিক স্তরে যে টানাপোড়েন চলছে, তার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ছে শিক্ষাঙ্গনে। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার সময়ে রাজভবন থেকে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। সেখানে বলা হয়, রাজ্যে বর্তমানে ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নেই। রাজ্যের যে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নেই, সেখানে আচার্য তথা রাজ্যপাল তাঁর নিজ ক্ষমতাবলে অন্তবর্তীকালীন উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করবেন। যাতে বিভিন্ন শংসাপত্র, নথি ও অন্যান্য সুবিধা পেতে ছাত্রছাত্রীদের কোনও সমস্যা না হয়। সেই বিজ্ঞপ্তিতে এটাও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়, ছাত্রছাত্রীরা চাইলে রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে পারেন।
বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, এই বিজ্ঞপ্তি একেবারে সরাসরিই রাজ্য শিক্ষা দফতরকে চ্যালেঞ্জ করছে। তারপরই শিক্ষা দফতরের তরফে আইনি পদক্ষেপ করার কথা ভাবে। শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, রাজ্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে।
উপাচার্যহীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলি নিয়ে এবার বড় ঘোষণা রাজ্যপালের। রাজভবন সূত্রে জানানো হয়েছে উপাচার্যহীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ভিসির দায়িত্ব পালন করবেন রাজ্যপাল। পড়ুয়াদের সমস্যার কথা মাথায় রেখে রাজ্যপালের এই সিদ্ধান্ত বলে রাজভবনের তরফে জানানো হয়েছে। যে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্য নেই সেইগুলিতে পড়ুয়াদের সার্টিফিকেট বা অন্য তথ্যাদি পেতে যাতে অসুবিধা মুখে পড়তে হচ্ছে। এবার সেই সমস্যা এড়াতেই আচার্যই সেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানা যাচ্ছে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্কও শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে।
প্রসঙ্গত, ক্ষমতাবলে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসই রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য। সম্প্রতি একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য-রাজপাল সংঘাত ক্রমশ চওড়া হয়েছে। রাজ্যপালের অনেক সিদ্ধান্তে খুশি হয়নি রাজ্য সরকার। মাঠে নেমে তোপ দেগেছেন খোদ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সুর চড়িয়েছিলেন ওমপ্রকাশ মিশ্র, গৌতম পালের মতো শিক্ষাবিদেরা। অন্যদিকে ছেড়ে কথা বলেননি রাজ্যপালও। বিতর্কের মধ্যেই রাশ রেখেছেন নিজের হাতেই। চাপানউতর চলছিলই, তারমধ্যেই জানা গেল সমস্ত উপাচার্যহীন রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ভিসির দায়িত্ব সামলাবেন খোদ রাজ্যপাল। যা নিয়ে নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়েছে শিক্ষামহলে।
অন্যদিকে এদিনই আবার ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইউনিভার্সিটির নতুন উপাচার্য নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোস। নতুন উপচার্য হয়েছেন রাজকুমার কোঠারি। অন্যদিকে ছাত্রমৃত্যু নিয়ে বিতর্কের মধ্যে কয়েকদিন আগে যাদবপুরের অধ্যাপক বুদ্ধদেব সাউকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ করেন রাজ্যপাল।
ফের উত্তপ্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। এবার অস্থায়ী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে ঘেরাও করে রাখার অভিযোগ উঠল পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে। পড়ুয়াদের অভিযোগ, তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি হননি। তাই তাঁরা উপাচার্যের পথ আটকান। যদিও কিছুক্ষণ পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। পড়ুয়াদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন বুদ্ধদেব সাউ।
জানা গিয়েছে, যাদবপুরের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউয়ের সঙ্গে সিসিটিভি-সহ একাধিক ইস্যুতে কথা বলতে চান একাধিক ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা। পড়ুয়াদের দাবি, উপাচার্য আলোচনায় বসার জন্য সোমবার সময় দেবেন বলে আশ্বাস দেন তাঁদের।
কিন্তু, পড়ুয়াদের অভিযোগ, আলোচনা না করেই এদিন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন বুদ্ধদেববাবু। সেইসময় তাঁকে আটকে দেন পড়ুয়ারা। ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। উপাচার্যের দাবি, তিনি সময় দেওয়ার বিষয়ে কোনও কথা দেননি। যদিও, বেশিক্ষণ চলেনি এই ঘেরাও-বিক্ষোভ। উপাচার্য বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হন। শেষে আলোচনায় বসেন তাঁরা।
সম্প্রতি প্রথম বর্ষের এক পড়ুয়ার মৃত্যুর জেরে প্রশ্নের মুখে পড়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা। প্রশাসনিক চাপে যা নতুন করে সাজাতে এখন ব্যস্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই অবস্থায় এবার ক্যাম্পাসের মধ্যে মাদক ঠেকাতে নতুন ভাবনার কথা জানালেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ।
তাঁর দাবি, যাদবপুরের মূল গেটে বসানো হবে এমন এক প্রযুক্তি, যাতে চট করে মাদক নিয়ে ঢোকা আটকানো যাবে। তিনি জানিয়েছেন, ভারতের মাদক বিরোধী আইন মেনেই এই ব্যাপারে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মূলত দেশের বিমানবন্দর গুলিতে যে যন্ত্রের সাহায্য নেওয়া হয়, সেই ধরণের যন্ত্র যাদবপুরে বসানোর ভাবনা করেছেন অস্থায়ী উপাচার্য।
গত ৯ অগাস্টের ঘটনার পর যাদবপুর ক্যাম্পাস নিয়ে বিস্তর অভিযোগ উঠছে। অভিযোগ উঠেছে, ক্যাম্পাসের মধ্যে মাদক সেবনের। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেনমঞ্জু বসু জানিয়েছিলেন, আর কোনও ভাবেই মদ ও মাদক নিয়ে ক্যাম্পাসে আসা যাবে না। ধরা পড়লে কড়া সাজা দেওয়া হবে।
দায়িত্ব পাওয়ার পরেই রবিবার সকালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছলেন অস্থায়ী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। একাধিক বিষয় খতিয়ে দেখেন তিনি। পাশাপাশি আগামী দিনে পড়ুয়াদের নিরাপত্তা যাতে আরও মজবুত করা হয় তার জন্যও একাধিক পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানালেন।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে উপাচার্য জানান, আলাদা করে সিসিটিভি নিয়ে ভেবে লাভ নেই। বদলে অন্য কোথায় দুর্বলতা রয়েছে সেবিষয়গুলি খুঁটিয়ে দেখবেন তিনি।
তাঁর কথায় একাধিক জায়গায় উন্নতি করার পরিসর থাকে। তাই সব বিষয়গুলি খুঁটিয়ে দেখতে হবে। পড়ুয়াদের ক্ষেত্রেও আগামী দিনে যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেবিষয়গুলিও দেখার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
যাদবপুর নিয়ে প্রায় ১০দিন ধরে জলঘোলা চলছে। ছাত্র মৃত্যর ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এখনও পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার মধ্যে বেশ কয়েকজন প্রাক্তন পড়ুয়াও রয়েছেন। এই ঘটনার পর শনিবার রাতে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করেন রাজ্যপাল। বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্কের অধ্যাপক বুদ্ধদেব সাউকে ওই পদে বসানো হয়েছে।
মিথ্যা অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়কে কালিমালিপ্ত করা হচ্ছে। এই দাবি তুলে ফের অনশনে বসলেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। সোমবার সকাল থেকে সঙ্গীত ভবনের মূল মঞ্চে ধরনা শুরু করেন তিনি। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ভবনের মূল দরজা। সোমবার বিকাল পর্যন্ত তিনি অনশন চালাবেন বলে জানা গিয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভি বি কনফেশন নামে একটি পেজ রয়েছে। সেখানে অজ্ঞাতপরিচয় এক মহিলা পড়ুয়া অভিযোগ করেছেন, তাঁকে একাধিকবার শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। যার জন্য শিক্ষকদের একাংশ দায়ি। এই পোস্টের পরেই তোলপাড় শুরু হয় বিশ্বভারতীর অন্দরে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর দাবি, শিক্ষকদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। বিশ্বভারতীকে কালিমালিপ্ত করতেই এই কাজ করা। আর তার প্রতিবাদেই ধরনা ও অনশন শুরু করেছেন তিনি।
এদিকে গত কয়েকদিন ধরেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের এক পড়ুয়ার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তোলপাড় শুরু হয়। অভিযোগ তাঁকে, শারিরীক, মানসিক ও যৌন নির্যাতন করা হয়েছিল। এবং যত দিন যাচ্ছে ততই বিষয়টি আরও জটিল হয়ে উঠছে। ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এবার বিশ্বভারতীতে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া নির্যাতনের যে অভিযোগ উঠেছে তাতে নতুন করে জলঘোলা তৈরি হয়েছে।
রাজ্যপালের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক রয়েছেই, যে বিতর্ক গড়িয়েছে আদালত অবধি। যদিও সেক্ষেত্রে আদালত রাজ্যপালের নিয়োগের পক্ষেই রায় দিয়েছিল। এরই মধ্যে ফের উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বদল। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য হিসেবে নিযুক্ত হলেন রথীন বন্দ্যোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, মাস দেড়েক আগেই ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন সঞ্চারী মুখোপাধ্যায়। কিন্তু, তাঁকে সরিয়ে সোমবার দুপুরে জরুরি তলবে উপাচার্য পদে রথীনকে নিযুক্ত করলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত চরমে। তারই মাঝে নয়া উপাচার্য নিয়োগকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে জোর সমালোচনা শুরু হয়েছে।
উপাচার্য হিসেবে যোগ দেওয়ার পর রথীন জানিয়েছেন, অতীতের বিষয় নিয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চান না। যে দায়িত্বভার তাঁকে দেওয়া হয়েছে,তা সুষ্ঠু ভাবে পালনের চেষ্টা করবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখার চেষ্টাই করে যাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের (North Bengal University) প্রাক্তন অন্তর্বর্তী উপাচার্য (Vice Chancellor) ওমপ্রকাশ মিশ্রর (OM Prakash Mishra)বিরুদ্ধে তদন্ত করার নির্দেশ দিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। শিক্ষা দুর্নীতি মামলায় সুবীরেশ ভট্টাচার্য গ্রেফতার হওয়ার পর উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য হয়েছিলেন ওমপ্রকাশ মিশ্র।তাঁরপর থেকেই বেশ কিছু অভিযোগ উঠছিল তাঁর বিরুদ্ধে। সম্প্রতি ওই অভিযোগ রাজ্যপালের কাছে পৌঁছেছে।
সূত্রের খবর, ওমপ্রকাশ মিশ্রের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, নৈতিক অধঃপতন, বেনিয়ম, অশোভন আচরণ করার অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রীতি রাজ্যপাল শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতি বিষয়ে কঠোর হতে চেয়েছেন বলে রাজনৈতিক মহলের মত। সেজন্যই তিনি নির্দেশিকা জারি করে গোটা রাজ্যের ১২ টি বিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ করেন। এমনকি উপাচার্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত সাপ্তাহিক বা মাসিক আয় ও ব্যায়ের রিপোর্ট আচার্য অর্থাৎ রাজ্যপালকে দিতে হবে বলে নির্দেশিকা জারি করেন। সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ সফরে রয়েছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। সেখান থেকেই ওমপ্রকাশ মিশ্রের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
জানা গিয়েছে, ওমপ্রকাশ মিশ্রের বিরুদ্ধে তদন্ত করবেন বর্তমান অন্তর্বর্তী উপাচার্য। কয়েকদিন আগেই বর্তমান উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যপাল।
শিক্ষামন্ত্রীর (Education Minister) সঙ্গে আলোচনা না করে নিযুক্ত হওয়া ১৪ জন উপাচার্যের (Vice Chancellor) বেতন-ভাতা বন্ধের নির্দেশ দিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কাছে ১৪ জন 'অবৈধ' উপাচার্যের বেতন বন্ধের নির্দেশ পৌঁছেছে।
রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর থেকে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারদের কাছে নির্দেশ পৌঁছেছে, ওই সব অস্থায়ী উপাচার্যের নিয়োগ বেআইনি। তাই তাঁরা বেতন ও ভাতা পাবেন না। দু’দফায় এ ভাবে ১৪ জন অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।
শিক্ষামন্ত্রী আগেই জানিয়েছিলেন, উচ্চশিক্ষা দফতরের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই রাজ্যপাল যাঁদের অস্থায়ী উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ করেছেন, রাজ্য সরকার তাঁদের স্বীকৃতি দিচ্ছে না। উচ্চশিক্ষা দফতরের চিঠিতে জানানো হয়েছে, রাজ্যপালের এ ভাবে সরাসরি উপাচার্য নিয়োগের কোনও এক্তিয়ার নেই। তাঁদের জন্য বরাদ্দ বেতন এবং ভাতাও মঞ্জুর করছে না রাজ্য সরকার। রাজ্যপালের অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে মামলাও হয়েছে।
রাজ্যের ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য (Vice Chancellor) নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল (Governor) সিভি আনন্দ বোস (CV Anand Bose)। আর তা রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা না করেই। তারপরে টুইট করে নিয়োগ হওয়া উপাচার্যদের পদদ্যাগ করতে বলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বৃহস্পতিবার টুইট করে তিনি রাজ্যপালের এই নিয়োগ বেআইনি বলেও দাবি করেন।
আপাতত টুইট থেকেই স্পষ্ট, রাজ্যপালের এই সিদ্ধান্তের সরাসরি বিরোধিতা করছে রাজ্য। রাজভবনের সঙ্গে নবান্নের সংঘাত যে আরও একধাপ এগিয়ে গেল, তা বলাই যায়। বৃহস্পতিবারই ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করেন রাজ্যপাল। শিক্ষা দফতরকে অন্ধকারে রেখেই সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ব্রাত্য বসু।
শিক্ষামন্ত্রী টুইটে দাবি করেছেন, উপাচার্য নিয়োগের বিষয়টি সংবাদমাধ্যম থেকে জানতে পেরেছেন তিনি। শিক্ষা দফতরের সঙ্গে যে কোনও আলোচনা না করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সে কথাও স্পষ্ট করেছেন তিনি। শিক্ষামন্ত্রীর অভিযোগ, বর্তমানে রাজ্যে উপাচার্য নিয়োগের যে নিয়ম আছে, এই নিয়োগ তার পরিপন্থী ও বেআইনি। এই নিয়োগের বিষয়ে ভবিষ্যতে শিক্ষা দফতর কী পদক্ষেপ করবে, তা নিয়ে আইনজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন ব্রাত্য।
একইসঙ্গে যে সব অধ্যাপকদের এদিন উপাচার্য পদে নিয়োগ করা হয়েছে, তাঁদের সেই নিয়োগ প্রত্যাখান করার অনুরোধ জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি লিখেছেন, “উচ্চশিক্ষা বিভাগের তরফ থেকে সসম্মান অনুরোধ থাকবে, তাঁরা যেন এই নিয়োগ প্রত্যাখ্যান করেন।”
সাপ্তাহিক কাজের হিসাব না পাওয়ায় কড়া পদক্ষেপ রাজভবনের (Raj Bhavan)। রাজ্য ছয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে শো-কজ করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (Cv Anand Bose)।
মঙ্গলবার রাজভবনের চিঠি যায় বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রতিষ্ঠানের আচার্য হিসাবে ওই চিঠি পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল বোস। চিঠিতে বলা হয়েছে, গত ১৩ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে সাপ্তাহিক কাজের একটি রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ আরও সহজ করা এবং ছাত্রছাত্রীদের বৃহত্তর স্বার্থেই এই রিপোর্ট তলব। কিন্তু তেমন কোনও হিসাব রাজ্যপালকে পাঠাননি উপাচার্য। কেন আচার্যের নির্দেশ মানা হল না, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সেই কারণ জানাতে বলেছে রাজভবন।
রাজভবন সূত্রে খবর, মঙ্গলবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়-সহ মোট ৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যেরা রাজ্যপালের এই শো-কজ চিঠি পেয়েছেন। চিঠিতে তাঁদের রিপোর্ট না পাঠানোর কারণ ব্যাখ্যা করতে বলা হয়েছে। সূত্রের খবর, আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় এই চিঠি পেতে পারে।
অপসারিত কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের (University) উপাচার্য (Vice Chancellor) সাধন চক্রবর্তী। তাঁকে সরিয়ে দিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য (Chancellor) সিভি আনন্দ বোস। বেশ কয়েকদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে আন্দোলন চালাচ্ছেন পড়ুয়াদের বড় অংশ, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীরা। উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তাঁর পদত্যাগের দাবি করেছিলেন আন্দোলনকারীরা। সেই দাবি মেনেই শনিবার উপাচার্যের পদ থেকে সাধনকে সরিয়ে দিলেন আচার্য। বিশ্ববিদ্যালেয়র রেজিস্ট্রারের তরফে ই-মেল মারফত সাধনকে এই বিষয়ে জানানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে, শনিবার কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য সহ আন্দোলনকারীদের কথোপকথনের জন্য ডেকেছিলেন রাজ্যপাল। কিন্তু উপাচার্য আসেননি। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ সব শুনে উপাচার্যকে অপরসারণের সিদ্ধান্ত নেন সিভি আনন্দ বোস। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ ছিল, বিশ্ববিদ্যালয়কে দুর্নীতির আখড়াতে পরিণত করেছেন উপাচার্য। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নির্মাণ কাজের জন্য বহু মূল্যবান গাছ কেটে বিক্রি করা হয়েছে। মোট প্রায় প্রায় ২৬ লক্ষ টাকার আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ ছিল সাধনের বিরুদ্ধে। এসবের বিরুদ্ধে ১৪ মার্চ থেকে সাধনের পদত্যাগের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে ধরনা অবস্থানে বসেন শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী ও ছাত্রছাত্রীদের বড় অংশ। রেজিস্ট্রারও সরব হওয়ায় তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে রেজিস্ট্রার চন্দন কোনারকে সেই পদে বহাল করা হয়।
বেশ কয়েকবার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলেও পারেননি উপাচার্য। পরে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। সেই মামলায় হাইকোর্ট প্রশাসনিক ভবনের ৫০ মিটারের বাইরে পদ্ধতি মেনে আন্দোলন করার নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি বলা হয়, তাঁরা কোনও আধিকারিকদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।