দীপাবলির সকালে উত্তর কাশীর কাছে একটি নির্মীয়মান টানেলে ভয়াবহ ধস নামে। কমপক্ষে ৪০ জন শ্রমিক আটকে পড়েন টানেলে।শুরু হয় উদ্ধারকাজ। ছয় দিন পেরিয়ে গেলেও ওই টানলের মধ্যেই রয়েছেন শ্রমিকরা। উদ্ধারকারীরা সামনের দিক থেকে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়েও বারবার ব্যর্থ হচ্ছেন। এবার উপরের দিক থেকে খননকার্য চালিয়ে সুড়ঙ্গে প্রবেশের পরিকল্পনা করছেন উদ্ধারকারী। দিল্লি থেকে বিশেষ অত্যাধুনিক মেশিন আনা হয়। কিন্তু তাতে সমস্যা দেখা দিলে বিদেশি একটি যন্ত্রের মাধ্যমে খননের কাজ চলছিল। ইন্দোর থেকেও একটি যন্ত্র আনার কাজ চলছে। সেটি এসে পৌঁছলে শুরু হবে মাটি খোঁড়ার কাজ।
জানা গিয়েছে, সুড়ঙ্গের ৬০ মিটার দীর্ঘ ধ্বংসস্তূপের পিছনে আটকে রয়েছেন শ্রমিকরা। পাইপের মাধ্যমে খাবার, অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে। শুক্রবার দুপুর ২.৪৫ নাগাদ সুড়ঙ্গ খুঁড়ে পঞ্চম পাইপটি ঢোকানোর সময় বিপদ ঘটে। সুড়ঙ্গ ভাঙার তীব্র শব্দ কানে আসে উদ্ধারকারীদের। তৎক্ষণাৎ উদ্ধারকাজ থামিয়ে দেওয়া হয়।
সূত্রের খবর, রবিবার ভোর চারটে নাগাদ আচমকা উত্তর কাশীর কাছে একটি নির্মীয়মান সুড়ঙ্গে হঠাৎ ধস নামে। ফলে সেই ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আটকে পড়েন ৪০ জন শ্রমিক। রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী থেকে শুরু করে এনডিএ এবং পুলিসও উদ্ধারকাজ শুরু করে। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি জানিয়েছেন, উদ্ধারকাজ কেমন চলছে তা নিয়ে প্রতিনিয়ত ঘটনাস্থলে থাকা আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। কোনও রকম সাবধানতা না নিয়েই সেখানে কাজ চলছিল কিনা সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, উত্তর কাশীর এসপি অর্পণ যদুবংশী জানান, যমুনোত্রী ন্যাশনাল হাইওয়েতে, সিল্কিয়ারা থেকে ডান্ডালগাঁও পর্যন্ত সুড়ঙ্গটি তৈরি করা হচ্ছিল। দর্শনার্থীরা যাতে সারা বছরই চারধামে যেতে পারেন, তাই সুড়ঙ্গ তৈরির কাজ চলছিল। এই রাস্তা তৈরি হলে উত্তরকাশী থেকে যমুনোত্রী ধাম যাওয়ার পথ অন্তত ২৬ কিলোমিটার কমে যাবে। ওই টানেলের শুরুর প্রায় ২০০ মিটার দূরে টানেলটি ভেঙে গিয়েছে।
দীপাবলির শুভক্ষণে একটি মর্মান্তিক টানেল দুর্ঘটনা উত্তরাখণ্ডে।উত্তরকাশী যমুনোত্রী জাতীয় সড়কের সুড়ঙ্গে দুর্ঘটনার জেরে টানেলের ভিতরে আটকে পড়েছেন প্রায় ৪০ জন শ্রমিক। রবিবার ভোর ৫.০৭ মিনিটে ভূমিধসের কারণে টানেলের একটি অংশ ধসে পড়ে। উদ্বেগের বিষয়, টানেলের ভিতরে আটকে পড়া শ্রমিকদের জীবন-মৃত্যুর লড়াই চলছে ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে। আটকে পড়া বেশিরভাগ মানুষই ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, ওড়িশা, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ প্রভৃতি রাজ্যের বাসিন্দা। টানেল দুর্ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই হাই অ্যালার্ট জারি করেছে জেলা প্রশাসন।
জানা গিয়েছে, টানেল ডুবে যাওয়ায় ৪০ জন শ্রমিক সুড়ঙ্গের ১৫০ মিটার ভিতরে আটকা পড়ে। এই নির্মাণ কাজ ২০২৩ সালের মধ্যে প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু নতুন লক্ষ্য ছিল ২০২৪ সালের মার্চের মধ্যে টানেল নির্মাণকার্য শেষ করতে হবে। দুর্ঘটনার পরে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে SDRF, NDRF, ITBP সহ ফায়ার সার্ভিসের দলগুলিও ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছে। পাইপের ভিতরে খাদ্য সামগ্রী, অক্সিজেন পাঠানো হচ্ছে। টানেলের ভিতরে অতিরিক্ত ধ্বংসাবশেষ থাকায় কোম্পানির প্রকল্প ব্যবস্থাপক নিউ তেহরি থেকে ড্রিল মেশিন আনা হয়েছে।ড্রিল মেশিনের সাহায্যে পুরো ধ্বংসাবশেষ সরানোর কাজ চলছে। টানেলের ভিতরে আটকে পড়া শ্রমিকদের সঙ্গে এখনও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
উৎসবের মরশুমে উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand) বড় বিপর্যয়। দীপাবলির সকালে উত্তর কাশীর কাছে একটি নির্মীয়মান টানেলে ধস নামে। কমপক্ষে ৪০ জন শ্রমিক তার মধ্যে আটকে রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। তবে এখনও কোনও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামিও। তিনি জানান, সেখানে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে এনডিআরএফ ও এসডিআরএফ।
সূত্রের খবর, রবিবার ভোর চারটে নাগাদ আচমকা উত্তর কাশীর কাছে একটি নির্মীয়মান সুড়ঙ্গে হঠাৎ ধস নামে। ফলে সেই ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আটকে কমপক্ষে ৪০ জন শ্রমিক। রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দল উদ্ধারকাজ শুরু করেছে। এসডিআরএফের ডিরেক্টর জানিয়েছেন উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। তারপরে উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল এবং পুলিস। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি জানিয়েছেন উদ্ধারকাজ কেমন চলছে তা নিয়ে প্রতিনিয়ত ঘটনাস্থলে থাকা আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। কোনও রকম সাবধানতা না নিয়েই সেখানে কাজ চলছিল কিনা সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, উত্তর কাশীর এসপি অর্পণ যদুবংশী জানান, যমুনোত্রী ন্যাশনাল হাইওয়েতে, সিল্কিয়ারা থেকে ডান্ডালগাঁও পর্যন্ত সুড়ঙ্গটি তৈরি করা হচ্ছিল। দর্শনার্থীরা যাতে সারা বছরই চারধামে যেতে পারেন, তাই সুড়ঙ্গ তৈরির কাজ চলছিল। এই রাস্তা তৈরি হলে উত্তরকাশী থেকে যমুনোত্রী ধাম যাওয়ার পথ অন্তত ২৬ কিলোমিটার কমে যাবে। ওই টানেলের শুরুর প্রায় ২০০ মিটার দূরে টানেলটি ভেঙে গিয়েছে।
একগুচ্ছ প্রকল্প নিয়ে উত্তরাখণ্ড (Uttarakhnad) সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। সেখানে গিয়ে তিনি শিব-পার্বতীর আরাধনায় মগ্ন ছিলেন। এদিন উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড়ে পার্বতী কুণ্ডে পুজো দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আদি-কৈলাশের কাছে মাথা নত করে আশীর্বাদ কামনা করেন তিনি। তাঁকে এদিন এক বিশেষ ধরণের স্থানীয় পোশাকে দেখা যায় তাঁকে। মাথায় সাদা পাগড়ি এবং পরনে সাদা ঝুলওয়ালা বিশেষ বস্ত্র ছিল তাঁর।
সূত্রের খবর, উত্তরাখণ্ডে ৪২০০ কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই উদ্দেশেই দেবভূমিতে এসেছেন তিনি। কিন্তু তাঁর কর্মসূচির মাঝেই এদিন তিনি প্রথমে শিব-পার্বতীর আশীর্বাদ নিতে পৌঁছে যান পিথোরাগড়ে। সেখানে পার্বতী কুণ্ডের ধারে শিব-পার্বতী মন্দিরে আরতি করেন প্রধানমন্ত্রী। শঙ্খ, ঘণ্টা এবং ডুগডুগি বাজিয়ে পূজা-অর্চনা করতে দেখা যায় তাঁকে। এছাড়াও আদি কৈলাসের সামনে বসে তাঁকে আরাধনা করতে দেখা গিয়েছে। এর পর তিনি স্থানীয় বাসিন্দা ও ভারতীয় সেনাবাহিনী, আইটিবিপি জওয়ানদের সঙ্গেও দেখা করেন। তাঁর সেই ছবিগুলো এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।
#WATCH | Uttarakhand: Prime Minister Narendra Modi interacts with the locals in Gunji village. pic.twitter.com/UhTfcTehkX
— ANI (@ANI) October 12, 2023
প্রধানমন্ত্রী নিজের এক্স অ্যাকাউন্টে লেখেন, 'দেবভূমি উত্তরাখণ্ডের প্রতিটি মানুষের উন্নয়নের জন্য আমাদের সরকার দায়বদ্ধ। উন্নয়নের কাজে আরও গতি আনতেই আমি পিথোরাগড়ে বেশ কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করব।'
বিপদের মুখে জোশীমঠ (Joshimath)! চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে উত্তরাখণ্ডের জোশীমঠের ভূমিধসের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। জানা গিয়েছিল, ডুবতে শুরু করেছে জোশীমঠ। আর এবারে এই দেবভূমিকে 'নো নিউ কনস্ট্রাকশন জোন' হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। আরও জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই প্রায় ৩.৪ ফুট বসে গিয়েছে জোশীমঠের কিছু এলাকা। প্রায় ১.৪ ফুট সরেও গিয়েছে। সম্প্রতি হায়দরাবাদের ন্যাশনাল জিয়োফিজিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট (NGRI)-এর সমীক্ষা রিপোর্টে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।
এনজিআরআই-এর তরফে একটি রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। সেই ৪৩ পাতার রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, জোশীমঠের সুনীল,মনোহর বাগ এবং সিংধর এলাকা প্রায় ৪৫ সেন্টিমিটার (১.৪ ফুট) পর্যন্ত সরে গিয়েছে। আবার সুনীল ও সিংধর এলাকা ১১০ সেন্টিমিটার (৩.৪ ফুট) বসে গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই জোশীমঠ ভূমিধসের কবলে পড়ে। বহু বাড়িতে ফাটল ধরে। শুধু বাড়িতে নয়, ধসে যায় রাস্তা। মাঝখান থেকে চওড়া হয় ফাটল। ফলে আলোচনা শুরু হয় 'তলিয়ে যাচ্ছে জোশীমঠ'। এরপর ৮টি জাতীয় সংস্থা জোশীমঠের বিপর্যয়ের কারণ খোঁজার পর একটি ১৩০ পাতার রিপোর্ট দেয়। সেখানেই জোশীমঠকে 'উচ্চ-মাত্রার ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা' ও 'নো নিউকনস্ট্রাকশন জোন' বলে ঘোষণা করা হয়।
দেবভূমিতে ফের বিপত্তি! কেদারনাথে ফের ঘটে গেল দুর্ঘটনা, যার ভিডিও দেখে রীতিমতো গা শিউরে উঠছে নেটিজেনদের। রবিবার সকালে কেদারনাথ মন্দিরের (Kedarnath Temple) পেছনের অংশে তুষারধস (Avalanche) নামে। তবে সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত তুষারধসের ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর নেই। তবে, সাতসকালে তুষারধসের জেরে এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। সেই ভয়াবহ তুষারধসের ঘটনা বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। যদিও এই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি সিএন ডিজিটাল।
সূত্রের খবর, রবিবার সকাল সাড়ে ৭ টা নাগাদ কেদারনাথ মন্দিরের পিছনে সুমেরু পর্বতে তুষারধস নামে। মন্দিরে ঠিক পিছনেই সুমেরু পর্বত, সেখানেই তুষারধস নামে। আচমকা বিকট শব্দে পাহাড়ের গা বেয়ে ধোঁয়ার মতো নেমে আসে সাদা বরফ। সেই দৃশ্য দেখে অনেকেই তা ক্যামেরাবন্দি করেছেন। তবে প্রশাসন সূত্রে খবর, তুষারধসের ফলে কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এমনকি কোনও নদীর জলস্তরও বৃদ্ধি পায়নি। কেদারনাথের পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
প্রবল বর্ষণের (Heavy Rainfall) ফলে ভূমিধস (Landslide), হড়পা বান, বন্যায় বিপর্যস্ত হিমাচল প্রদেশ (Himachal Pradesh) ও উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand)। এতদিন হিমাচল প্রদেশে প্রকৃতির তাণ্ডবলীলা চলেছে, আর এবারে উত্তরাখণ্ডেও নেমে চলেছে একের পর এক ধস। উত্তরাখণ্ডে তুলনামূলকভাবে কম ছিল মৃতের সংখ্যা। এরপরই প্রকাশ্যে এসেছে, সোমবার রাতেই ফের উত্তরাখণ্ডে নতুন করে ধস নেমেছে। যার ফলে এক চার মাসের শিশু, দুই মহিলা সহ মোট ৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, সোমবার উত্তরাখণ্ডের তেহরি জেলার চাম্বা জেলায় ধস নামে। ফলে ধ্বংসাবশেষের নীচে চাপা পড়ে যায় এক চার মাসের শিশু, দুই মহিলা সহ মোট ৪ জন। তাঁদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধ্বংসাবশেষের নীচে আর কেউ চাপা পড়ে গিয়েছে কিনা, তার জন্য এখনও উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে। কিছু গাড়িও এই ধ্বংসাবশেষের নীচে চাপা পড়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও নতুন করে ধস নামার ফলে ফের বন্ধ হয়ে গিয়েছে তেহরি-চাম্বা মোটর রোড। সেখানে এই দুর্ঘটনার পরই রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
এছাড়াও সোমবারই মৌসম ভবন থেকে উত্তরাখণ্ডের পাঁচটি জেলায় কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ২২ অগাস্ট থেকে ২৪ অগাস্ট পর্যন্ত উত্তরাখণ্ডের দেরাদুন, নৈনিতাল, চাম্পাওয়াত, বাগেশ্বর, পাওরিতে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
সিমলার (Shimala) শিবমন্দিরের পর এবারে ভেঙে পড়ল দেরাদুনের তপকেশ্বর শিবমন্দির (Tapkeshwar Temple)। কিছুদিন আগেই হিমাচল প্রদেশের সিমলার শিবমন্দির ধসের ফলে ভেঙে পড়ে। মন্দিরের ধ্বংসস্তূপের নীচে পড়ে যায় একাধিক পুণ্যার্থী। এখনও সেখানে অনেকে চাপা পড়ে রয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের ধসের ফলে ভেঙে পড়ল তপকেশ্বর মন্দিরের কিছু অংশ। কিন্তু এবারে কোনও পুণ্যার্থী ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়েননি বলে সূত্রের খবর। ফলে এখন পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
প্রবল বর্ষণ, ভূমিধস, হড়পা বান, বন্যায় বিপর্যস্ত হিমাচলপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ড। এই দুই রাজ্যে অনবরত বৃষ্টি হয়েই চলেছে। দুই রাজ্যে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৮৮। এরপর আজ অর্থাৎ সোমবার ভেঙে পড়ল দেরাদুনের তপকেশ্বর মহাদেব মন্দিরের কিছু অংশ। জানা গিয়েছে, শ্রাবণ মাসের শিবের পুজোর জন্য পুণ্যার্থীরা মন্দিরে জড়ো হয়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎ ধসে পড়ে মন্দিরের কিছু অংশ। মন্দিরের ঢোকার রাস্তায় ভেঙে পড়েছে গাছ। ফলে ঢোকার রাস্তাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তবে এই ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর নেই বলে জানানো হয়েছে।
তবে আগামী দু'দিন উত্তরাখণ্ডের পাঁচ জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। দেরাদুন, পাওরি, নৈনিতাল, চম্পাওয়াত, বাগেশ্বরে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন। ফলে এই জেলাগুলোতে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ল একটি যাত্রী বোঝাই বাস (Bus)। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে সাত জনের এবং গুরুতর জখম আরও ২৭ জন। রবিবার বিকেল ৪ টে নাগাদ উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীতে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি ৫০ মিটার গভীর খাদে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। তড়িঘড়ি শুরু হয়েছিল উদ্ধারকাজ। আটকে থাকা সকলকে দ্রুত উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি চলছে মৃতদেহ শনাক্তকরণের কাজ। এই বাস দুর্ঘটনায় উদ্ধারকাজে যোগ দিয়েছিল রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, গঙ্গোত্রী থেকে উত্তরকাশীর উদ্দেশ্যে গুজরাতের তীর্থযাত্রীদের নিয়ে যাচ্ছিল বাসটি। মোট ৩৫ জন যাত্রী ছিল ওই বাসে। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর আধিকারিক ললিতা নেগি বলেছেন, ‘আমাদের দল উদ্ধারকাজে যোগ দিয়ে এখনও পর্যন্ত আহত ২৭ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে।’ বর্তমানে আহত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি।
এ যেন প্রকৃতির তাণ্ডবলীলা শেষ হওয়ার নামই নিচ্ছে না! মেঘভাঙা বৃষ্টি, ভূমিধস (LandSlide), হড়পা বানে (Flash Flood) একদিকে বিধ্বস্ত হিমাচল প্রদেশ (Himachal Pradesh) ও উত্তরাখণ্ড (Uttrakhand)। অন্যদিকে বৃষ্টি থামার নামই নিচ্ছে না উত্তর ভারতের রাজ্যগুলোতে। মৌসম ভবন থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ২২ অগাস্ট থেকে ২৪ অগাস্ট পর্যন্ত হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে ভারী থেকে প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে উত্তরাখণ্ডের একাধিক জেলা ও পুরো হিমাচল প্রদেশ জুড়ে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আজ অর্থাৎ ২১ অগাস্টও এই রাজ্যগুলোতে হালকা বৃষ্টি হবে বলে জানানো হয়েছে। ফলে সোমবারের জন্য রাজ্যগুলোতে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
বর্ষার আগমণ হতেই উত্তর ভারতের রাজ্যগুলোতে অনবরত বৃষ্টি হয়েই চলেছে। ফলে নদ-নদীর জল ফুলে ফেঁপে উঠছে। একাধিক জায়গায় ধস নেমেছ। ধসের নীচে চাপা পড়ে রয়েছে একাধিক মানুষ। হড়পা বানে ভেসে গিয়েছে একাধিক মানুষ। এভাবে উত্তরাখণ্ড ও হিমাচলপ্রদেশে মোট প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৮৮ জন। এখনও উদ্ধাকাজ চলছে বলে জানা গিয়েছে।
কিন্তু মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে সূত্রের খবর। মৌসম ভবন থেকে জানানো হয়েছে, ২২ অগাস্ট থেকে ২৪ অগাস্ট পর্যন্ত হিমাচলপ্রদেশে ভারী বৃষ্টিপাত হবে। তবে কিছু জায়গায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ২৬ অগাস্ট পর্যন্ত চাম্বা ও মান্ডি জেলায় হড়পা বানের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে। তাই তাই পুরো রাজ্য জুড়ে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
আবার উত্তরাখণ্ডের দেরাদুন, পাওরি, নৈনিতাল, চম্পাওয়াত, বাগেশ্বরে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন। ফলে আগামী দু'দিন এই রাজ্যের এই জেলাগুলোতে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
মুষলধারে বৃষ্টি (Heavy Rainfall), সঙ্গে ভূমিধসে (Landslide) বিধ্বস্ত হিমাচল প্রদেশ (Himachal Pradesh) ও উত্তরাখণ্ড (Uttarakhnd)। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডের মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮১ জনে। এককথায় ভয়াবহ পরিস্থিতি উত্তর ভারতের রাজ্যগুলোতে। মৃতের সংখ্যা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। আহত শতাধিক। জারি রয়েছে উদ্ধারকাজ। মৌসম ভবন থেকে জানানো হয়েছে, আগামী কয়েকদিন উত্তরাখণ্ড ও হিমাচল প্রদেশে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে, বৃষ্টিতে হড়পা বান নেমেছে পঞ্জাবেও।
সূত্রের খবর, হিমাচল প্রদেশে বিভিন্ন স্থানে বহু বাড়ি ধসে পড়েছে। ধ্বংসস্তূপ থেকে আহতদের উদ্ধার এবং মৃতদেহ বের করার জন্য অভিযান চলছে। বুধবার রাত পর্যন্ত হিমাচল প্রদেশে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭১-এ। ১৩ জন এখনও নিখোঁজ। গত রবিবার থেকে মোট ৫৭ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে হিমাচল প্রদেশে উদ্ধারকাজে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী নামানো হয়েছে। বায়ুসেনার হেলিকপ্টারের মাধ্যমেও জলমগ্ন এলাকা থেকে উদ্ধারকাজ করছে সেনাবাহিনী।
উত্তরাখণ্ডেও একই পরিস্থিতি। সেই রাজ্যে মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০-এ। উত্তরাখণ্ডের লছমন ঝুলার একটি রিসর্টের ধ্বংসাবশেষ থেকে এক দম্পতি এবং তাঁদের ছেলে সহ চারটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার ভারী বৃষ্টির পরে ভেঙে পড়ে রিসর্টটি। এই চারটি মৃতদেহ উদ্ধারের পর উত্তরাখণ্ডে বৃষ্টি সংক্রান্ত ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ জনে। ধসের জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে একাধিক রাস্তা।
অন্যদিকে পঞ্জাবেও হড়পা বান নেমেছে। জানা গিয়েছে, পং এবং ভাকরা বাঁধ থেকে অতিরিক্ত জল ছাড়ার কারণে হোসিয়ারপুর, গুরুদাসপুর এবং রূপনগর জেলার অনেক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। যার কারণে পঞ্জাব নতুন করে বন্যার সম্মুখীন হচ্ছে। এই পরিস্থিতি দেখে নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য সরকার। পরিস্থিতির উপর নিবিড় নজর রাখছে এবং বন্যা কবলিত এলাকায় ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযান চলছে।
মেঘভাঙা বৃষ্টি, ভূমিধসে (Landslide) বিপর্যস্ত হিমালয়ের দুই রাজ্যের জনজীবন। দিনের পর দিন হিমাচলপ্রদেশ (HimachalPradesh), উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand) মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সূত্রের খবর, ১৩ অগাস্ট থেকে আজ অর্থাৎ বুধবার পর্যন্ত হিমাচলপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৬ জন। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ছিল ৬৩ জন। বেশিরভাগ মৃত্যুই হয়েছে হিমাচলপ্রদেশে। প্রায় ৬০ জন মানুষের প্রাণ গিয়েছে এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে। রাজ্যের এমন পরিস্থিতিতে হিমাচলপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সেখানকার সমস্ত স্কুল, কলেজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
১৩ অগাস্ট থেকে অনবরত বৃষ্টি হয়েই চলেছে উত্তরাখণ্ড ও হিমাচলপ্রদেশে। প্রবল বর্ষণের ফলে জলের তোড়ে ভেসে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে কিছুজনের। আবার কেউ কেউ প্রাণ হারিয়েছেন ভূমিধসে চাপা পড়ে। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ হিমাচলপ্রদেশের সিমলার কৃষ্ণনগর এলাকায় ধসের কারণে ভেঙে পড়ে চারটি বাড়ি। ধ্বংসাবশেষের তলায় চাপা পড়ে মারা যান দু’জন। আশঙ্কা করা হচ্ছে এখনও অন্তত পাঁচ থেকে দশ জন আটকে রয়েছেন। অন্যদিকে সোমবার সিমলার শিবমন্দির ভেঙে পড়ার পর সেখানকার ধ্বংসস্তূপ থেকেও একজনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এখনও উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে।
অন্যদিকে উত্তরাখণ্ডেও একই অবস্থা। তবে এই রাজ্যে মৃতের সংখ্যা হিমাচলপ্রদেশের তুলনায় কম। গত সোমবার থেকে টানা বৃষ্টি পড়ায় নদ-নদীর জল বিপদসীমার বাইরে অতিক্রম করেছে। ফলে জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছেন ৪জন। এরপর খবরে এসেছে, পরে আরও দু'জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সাতজন এখনও নিখোঁজ। ১৯ অগাস্ট পর্যন্ত উত্তরাখণ্ডের একাধিক জায়াগায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
ফের কেদারনাথের যাত্রাপথে (Kedarnath Yatra) বড়সড় দুর্ঘটনা (Accident)। কেদারনাথ যাওয়ার রাস্তায় ধস (Labdslide) নেমে গাড়ি চাপা পড়ে মৃত্যু হল পাঁচ তীর্থযাত্রীর। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতে উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) রুদ্রপ্রয়াগে ধস নামে। ধসের ফলে চাপা পড়ে যায় তীর্থযাত্রীদের গাড়ি। আর সেখানেই চাপা পড়ে মৃত্যু হয় পাঁচজন তীর্থযাত্রীর। আর আজ, শনিবার এই খবর প্রকাশ্যে এসেছে।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতে রুদ্রপ্রয়াগের কাছে গুপ্তকাশী-গৌরীকুণ্ড মহাসড়কের কাছে তারসালি এলাকায় ধস নামে। এর জেরে রাস্তার উপর ধ্বংসস্তুপ তৈরি হয়। প্রায় ৬০ মিটার এলাকা বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিল। পাঁচ তীর্থযাত্রী বোঝাই গাড়িটি যখন কেদারনাথ থেকে সোনপ্রয়াগের দিকে যাচ্ছিল, তখনই পাহাড় থেকে একটি পাথর এসে তীর্থযাত্রীদের গাড়ির উপর পড়ে। আর তার জেরেই মৃত্যু হয় পাঁচজনের।
জানা গিয়েছে, মৃতদের মধ্যে তিনজন গুজরাতের বাসিন্দা ও দু'জন হরিদ্বারে বাসিন্দা। সূত্রের খবর, এই দুর্ঘটনার পরই সেখানে পৌঁছয় রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। এরপর উদ্ধারকাজ শুরু হওয়ার পরে ধ্বংসস্তূপ থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। উত্তরাখণ্ড পুলিস ইতিমধ্যে মৃতদের নামও প্রকাশ্যে এনেছে।
জানা গিয়েছে, মৃত জিগার আর মোদী, মহেশ দেশাই এবং পারিক দিব্যাংশ গুজরাতের বাসিন্দা। মৃত মিন্টু কুমার এবং মণীশ কুমার হরিদ্বারের বাসিন্দা। ধস ও দুর্ঘটনার পরে গুপ্তকাশী-গৌরীকুণ্ড সড়কপথ দীর্ঘক্ষণ বন্ধ রাখা হয়। পরে ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে খুলে দেওয়া হয় রাস্তা।
ফের দেবভূমি উত্তরাখণ্ডে বিপর্যয়। মঙ্গলবার মেঘভাঙা বৃষ্টিতে একাধিক জায়গায় ধস নেমেছে। ৫৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে ধস নামায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সিদ্দিবালি মন্দির যাওয়ার রাস্তা। এরজন্য থমকে গিয়েছে নৈনিতালের ট্রাফিক পরিষেবা।
কাঠগোদাম এলাকায় ভারী বর্ষণে ভেঙে পড়েছে ২টি বাড়ি। বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে গোটা এলাকায়। কাঠগোদাম এবং দৌগাড্ডা যাওয়ার পথে থমকে গিয়েছে একাধিক যান চলাচল। লাগাতার বর্ষণ শুরু হয়েছে মঙ্গলবার থেকে। এখনও কালো মেঘে ঢেকে রয়েছে গোটা আকাশ।
বিপর্যয় যেন পিছু চাড়ছে না উত্তরাখণ্ডের। কয়েকদিন আগেই বর্ষণের কোপে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি হয়েছিল উত্তরাখণ্ডের। ফের বড় বিপর্যয় নেমে এসেছে। মঙ্গলবার থেকে আবারও উত্তরাখণ্ডের কাঠগোদাম এলাকায় প্রবল বর্ষণ শুরু হয়েছে। মেঘভাঙা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত বিভিন্ন এলাকা। জায়গায় জায়গায় ধস। প্রকৃতির কোপে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সেখানে। কয়েকদিন আগে হিমাচল প্রদেশে ভয়াবহ বর্ষণে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তার রেশ এসে পড়েছিল উত্তরাখণ্ডেও। মেঘভাঙা বৃষ্টিতে কেদারনাথের একাংশ ভেসে গিয়েছিল। তারপরেও একাধিক বিপর্যয় এসেছে উত্তরাখণ্ডে। এবার আবারও সেই মেঘভাঙা বৃষ্টির কোপ উত্তরাখণ্ডের রাজ্যে। কাঠগোদাম যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। যার জেরে কোনও গাড়ি চলাচল করতে পারছে নামানুষ পায়ে হেঁটে সেখানে যাতায়াত করছেন।
ফের উত্তরাখণ্ডে ভারী বৃষ্টির জেরে নামল ধস। যার জেরে বন্ধ হয়ে গেল বদ্রীনাথ ও যমুনোত্রী জাতীয় সড়ক। আটকে পড়েছেন বহু পুণ্যার্থী। বন্ধ রয়েছে যান চলাচলও। দ্রুত সেই রাস্তা সাফ করার কাজ চলছে। এর আগেও উত্তরখণ্ডে ভারী বৃষ্টির জেরে একাধিকবার ধস নেমেছিল বদ্রীনাথে।
চামোলি জেলার পুলিস প্রশাসন সূত্রে খবর, বদ্রীনাথ জাতীয় সড়কে নন্দপ্রয়াগ এবং পুরসারির মাঝে ধস নেমেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, পাহাড়ের একটি বিশাল অংশ রাস্তার উপর ভেঙে পড়েছে। একেবারে পাথরে ঢেকেছে জাতীয় সড়ক। যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সিএন পোর্টাল।
Uttarakhand | Road near Nandaprayag and Pursari, on the Badrinath National Highway, blocked due to debris: Chamoli Police
— ANI UP/Uttarakhand (@ANINewsUP) July 25, 2023
(Video source - Chamoli Police Uttarakhand's twitter account) pic.twitter.com/CuaRBENKCS
টানা দু'সপ্তাহ ধরে উত্তরাখণ্ডে চলছে ভারী বৃষ্টি। এর আগেও বদ্রীনাথ জাতীয় সড়কে এই মরসুমে একাধিক বার ধস নেমেছে। যার জেরে ব্যাহত হয়েছে বদ্রীনাথ যাত্রাও। আবার ধস নামায় এই পুণ্যযাত্রায় প্রভাব পড়েছে। অন্য দিকে, যমুনোত্রী জাতীয় সড়কও ধসের কারণে বেহাল। চার দিন বন্ধ হয়ে পড়ে এই জাতীয় সড়ক। টানা বৃষ্টির জেরে রাজ্য জুড়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক-সহ তিনশোরও বেশি রাস্তা বন্ধ। ধস সরিয়ে রাস্তা পরিষ্কার করা হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু লাগাতার বৃষ্টির কারণে বার বার ধস নামছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। যার জেরে সাধারণ যাত্রী এবং পুণ্যার্থীরা বিভিন্ন জায়গায় আটকে পড়ছেন।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আপাতত বেশ কিছুদিন চলবে ভারী বৃষ্টি। পর্যটকদের ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সতর্কবার্তা দিয়েছে।