
বিপদের মুখে জোশীমঠ (Joshimath)! চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে উত্তরাখণ্ডের জোশীমঠের ভূমিধসের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। জানা গিয়েছিল, ডুবতে শুরু করেছে জোশীমঠ। আর এবারে এই দেবভূমিকে 'নো নিউ কনস্ট্রাকশন জোন' হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। আরও জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই প্রায় ৩.৪ ফুট বসে গিয়েছে জোশীমঠের কিছু এলাকা। প্রায় ১.৪ ফুট সরেও গিয়েছে। সম্প্রতি হায়দরাবাদের ন্যাশনাল জিয়োফিজিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট (NGRI)-এর সমীক্ষা রিপোর্টে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।
এনজিআরআই-এর তরফে একটি রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। সেই ৪৩ পাতার রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, জোশীমঠের সুনীল,মনোহর বাগ এবং সিংধর এলাকা প্রায় ৪৫ সেন্টিমিটার (১.৪ ফুট) পর্যন্ত সরে গিয়েছে। আবার সুনীল ও সিংধর এলাকা ১১০ সেন্টিমিটার (৩.৪ ফুট) বসে গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই জোশীমঠ ভূমিধসের কবলে পড়ে। বহু বাড়িতে ফাটল ধরে। শুধু বাড়িতে নয়, ধসে যায় রাস্তা। মাঝখান থেকে চওড়া হয় ফাটল। ফলে আলোচনা শুরু হয় 'তলিয়ে যাচ্ছে জোশীমঠ'। এরপর ৮টি জাতীয় সংস্থা জোশীমঠের বিপর্যয়ের কারণ খোঁজার পর একটি ১৩০ পাতার রিপোর্ট দেয়। সেখানেই জোশীমঠকে 'উচ্চ-মাত্রার ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা' ও 'নো নিউকনস্ট্রাকশন জোন' বলে ঘোষণা করা হয়।
দেবভূমিতে ফের বিপত্তি! কেদারনাথে ফের ঘটে গেল দুর্ঘটনা, যার ভিডিও দেখে রীতিমতো গা শিউরে উঠছে নেটিজেনদের। রবিবার সকালে কেদারনাথ মন্দিরের (Kedarnath Temple) পেছনের অংশে তুষারধস (Avalanche) নামে। তবে সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত তুষারধসের ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর নেই। তবে, সাতসকালে তুষারধসের জেরে এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। সেই ভয়াবহ তুষারধসের ঘটনা বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। যদিও এই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি সিএন ডিজিটাল।
সূত্রের খবর, রবিবার সকাল সাড়ে ৭ টা নাগাদ কেদারনাথ মন্দিরের পিছনে সুমেরু পর্বতে তুষারধস নামে। মন্দিরে ঠিক পিছনেই সুমেরু পর্বত, সেখানেই তুষারধস নামে। আচমকা বিকট শব্দে পাহাড়ের গা বেয়ে ধোঁয়ার মতো নেমে আসে সাদা বরফ। সেই দৃশ্য দেখে অনেকেই তা ক্যামেরাবন্দি করেছেন। তবে প্রশাসন সূত্রে খবর, তুষারধসের ফলে কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এমনকি কোনও নদীর জলস্তরও বৃদ্ধি পায়নি। কেদারনাথের পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
প্রবল বর্ষণের (Heavy Rainfall) ফলে ভূমিধস (Landslide), হড়পা বান, বন্যায় বিপর্যস্ত হিমাচল প্রদেশ (Himachal Pradesh) ও উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand)। এতদিন হিমাচল প্রদেশে প্রকৃতির তাণ্ডবলীলা চলেছে, আর এবারে উত্তরাখণ্ডেও নেমে চলেছে একের পর এক ধস। উত্তরাখণ্ডে তুলনামূলকভাবে কম ছিল মৃতের সংখ্যা। এরপরই প্রকাশ্যে এসেছে, সোমবার রাতেই ফের উত্তরাখণ্ডে নতুন করে ধস নেমেছে। যার ফলে এক চার মাসের শিশু, দুই মহিলা সহ মোট ৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, সোমবার উত্তরাখণ্ডের তেহরি জেলার চাম্বা জেলায় ধস নামে। ফলে ধ্বংসাবশেষের নীচে চাপা পড়ে যায় এক চার মাসের শিশু, দুই মহিলা সহ মোট ৪ জন। তাঁদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধ্বংসাবশেষের নীচে আর কেউ চাপা পড়ে গিয়েছে কিনা, তার জন্য এখনও উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে। কিছু গাড়িও এই ধ্বংসাবশেষের নীচে চাপা পড়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও নতুন করে ধস নামার ফলে ফের বন্ধ হয়ে গিয়েছে তেহরি-চাম্বা মোটর রোড। সেখানে এই দুর্ঘটনার পরই রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
এছাড়াও সোমবারই মৌসম ভবন থেকে উত্তরাখণ্ডের পাঁচটি জেলায় কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ২২ অগাস্ট থেকে ২৪ অগাস্ট পর্যন্ত উত্তরাখণ্ডের দেরাদুন, নৈনিতাল, চাম্পাওয়াত, বাগেশ্বর, পাওরিতে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
সিমলার (Shimala) শিবমন্দিরের পর এবারে ভেঙে পড়ল দেরাদুনের তপকেশ্বর শিবমন্দির (Tapkeshwar Temple)। কিছুদিন আগেই হিমাচল প্রদেশের সিমলার শিবমন্দির ধসের ফলে ভেঙে পড়ে। মন্দিরের ধ্বংসস্তূপের নীচে পড়ে যায় একাধিক পুণ্যার্থী। এখনও সেখানে অনেকে চাপা পড়ে রয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের ধসের ফলে ভেঙে পড়ল তপকেশ্বর মন্দিরের কিছু অংশ। কিন্তু এবারে কোনও পুণ্যার্থী ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়েননি বলে সূত্রের খবর। ফলে এখন পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
প্রবল বর্ষণ, ভূমিধস, হড়পা বান, বন্যায় বিপর্যস্ত হিমাচলপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ড। এই দুই রাজ্যে অনবরত বৃষ্টি হয়েই চলেছে। দুই রাজ্যে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৮৮। এরপর আজ অর্থাৎ সোমবার ভেঙে পড়ল দেরাদুনের তপকেশ্বর মহাদেব মন্দিরের কিছু অংশ। জানা গিয়েছে, শ্রাবণ মাসের শিবের পুজোর জন্য পুণ্যার্থীরা মন্দিরে জড়ো হয়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎ ধসে পড়ে মন্দিরের কিছু অংশ। মন্দিরের ঢোকার রাস্তায় ভেঙে পড়েছে গাছ। ফলে ঢোকার রাস্তাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তবে এই ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর নেই বলে জানানো হয়েছে।
তবে আগামী দু'দিন উত্তরাখণ্ডের পাঁচ জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। দেরাদুন, পাওরি, নৈনিতাল, চম্পাওয়াত, বাগেশ্বরে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন। ফলে এই জেলাগুলোতে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ল একটি যাত্রী বোঝাই বাস (Bus)। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে সাত জনের এবং গুরুতর জখম আরও ২৭ জন। রবিবার বিকেল ৪ টে নাগাদ উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীতে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি ৫০ মিটার গভীর খাদে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। তড়িঘড়ি শুরু হয়েছিল উদ্ধারকাজ। আটকে থাকা সকলকে দ্রুত উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি চলছে মৃতদেহ শনাক্তকরণের কাজ। এই বাস দুর্ঘটনায় উদ্ধারকাজে যোগ দিয়েছিল রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, গঙ্গোত্রী থেকে উত্তরকাশীর উদ্দেশ্যে গুজরাতের তীর্থযাত্রীদের নিয়ে যাচ্ছিল বাসটি। মোট ৩৫ জন যাত্রী ছিল ওই বাসে। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর আধিকারিক ললিতা নেগি বলেছেন, ‘আমাদের দল উদ্ধারকাজে যোগ দিয়ে এখনও পর্যন্ত আহত ২৭ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে।’ বর্তমানে আহত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি।
এ যেন প্রকৃতির তাণ্ডবলীলা শেষ হওয়ার নামই নিচ্ছে না! মেঘভাঙা বৃষ্টি, ভূমিধস (LandSlide), হড়পা বানে (Flash Flood) একদিকে বিধ্বস্ত হিমাচল প্রদেশ (Himachal Pradesh) ও উত্তরাখণ্ড (Uttrakhand)। অন্যদিকে বৃষ্টি থামার নামই নিচ্ছে না উত্তর ভারতের রাজ্যগুলোতে। মৌসম ভবন থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ২২ অগাস্ট থেকে ২৪ অগাস্ট পর্যন্ত হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে ভারী থেকে প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে উত্তরাখণ্ডের একাধিক জেলা ও পুরো হিমাচল প্রদেশ জুড়ে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আজ অর্থাৎ ২১ অগাস্টও এই রাজ্যগুলোতে হালকা বৃষ্টি হবে বলে জানানো হয়েছে। ফলে সোমবারের জন্য রাজ্যগুলোতে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
বর্ষার আগমণ হতেই উত্তর ভারতের রাজ্যগুলোতে অনবরত বৃষ্টি হয়েই চলেছে। ফলে নদ-নদীর জল ফুলে ফেঁপে উঠছে। একাধিক জায়গায় ধস নেমেছ। ধসের নীচে চাপা পড়ে রয়েছে একাধিক মানুষ। হড়পা বানে ভেসে গিয়েছে একাধিক মানুষ। এভাবে উত্তরাখণ্ড ও হিমাচলপ্রদেশে মোট প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৮৮ জন। এখনও উদ্ধাকাজ চলছে বলে জানা গিয়েছে।
কিন্তু মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে সূত্রের খবর। মৌসম ভবন থেকে জানানো হয়েছে, ২২ অগাস্ট থেকে ২৪ অগাস্ট পর্যন্ত হিমাচলপ্রদেশে ভারী বৃষ্টিপাত হবে। তবে কিছু জায়গায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ২৬ অগাস্ট পর্যন্ত চাম্বা ও মান্ডি জেলায় হড়পা বানের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে। তাই তাই পুরো রাজ্য জুড়ে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
আবার উত্তরাখণ্ডের দেরাদুন, পাওরি, নৈনিতাল, চম্পাওয়াত, বাগেশ্বরে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন। ফলে আগামী দু'দিন এই রাজ্যের এই জেলাগুলোতে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
মুষলধারে বৃষ্টি (Heavy Rainfall), সঙ্গে ভূমিধসে (Landslide) বিধ্বস্ত হিমাচল প্রদেশ (Himachal Pradesh) ও উত্তরাখণ্ড (Uttarakhnd)। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডের মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮১ জনে। এককথায় ভয়াবহ পরিস্থিতি উত্তর ভারতের রাজ্যগুলোতে। মৃতের সংখ্যা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। আহত শতাধিক। জারি রয়েছে উদ্ধারকাজ। মৌসম ভবন থেকে জানানো হয়েছে, আগামী কয়েকদিন উত্তরাখণ্ড ও হিমাচল প্রদেশে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে, বৃষ্টিতে হড়পা বান নেমেছে পঞ্জাবেও।
সূত্রের খবর, হিমাচল প্রদেশে বিভিন্ন স্থানে বহু বাড়ি ধসে পড়েছে। ধ্বংসস্তূপ থেকে আহতদের উদ্ধার এবং মৃতদেহ বের করার জন্য অভিযান চলছে। বুধবার রাত পর্যন্ত হিমাচল প্রদেশে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭১-এ। ১৩ জন এখনও নিখোঁজ। গত রবিবার থেকে মোট ৫৭ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে হিমাচল প্রদেশে উদ্ধারকাজে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী নামানো হয়েছে। বায়ুসেনার হেলিকপ্টারের মাধ্যমেও জলমগ্ন এলাকা থেকে উদ্ধারকাজ করছে সেনাবাহিনী।
উত্তরাখণ্ডেও একই পরিস্থিতি। সেই রাজ্যে মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০-এ। উত্তরাখণ্ডের লছমন ঝুলার একটি রিসর্টের ধ্বংসাবশেষ থেকে এক দম্পতি এবং তাঁদের ছেলে সহ চারটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার ভারী বৃষ্টির পরে ভেঙে পড়ে রিসর্টটি। এই চারটি মৃতদেহ উদ্ধারের পর উত্তরাখণ্ডে বৃষ্টি সংক্রান্ত ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ জনে। ধসের জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে একাধিক রাস্তা।
অন্যদিকে পঞ্জাবেও হড়পা বান নেমেছে। জানা গিয়েছে, পং এবং ভাকরা বাঁধ থেকে অতিরিক্ত জল ছাড়ার কারণে হোসিয়ারপুর, গুরুদাসপুর এবং রূপনগর জেলার অনেক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। যার কারণে পঞ্জাব নতুন করে বন্যার সম্মুখীন হচ্ছে। এই পরিস্থিতি দেখে নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য সরকার। পরিস্থিতির উপর নিবিড় নজর রাখছে এবং বন্যা কবলিত এলাকায় ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযান চলছে।
মেঘভাঙা বৃষ্টি, ভূমিধসে (Landslide) বিপর্যস্ত হিমালয়ের দুই রাজ্যের জনজীবন। দিনের পর দিন হিমাচলপ্রদেশ (HimachalPradesh), উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand) মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সূত্রের খবর, ১৩ অগাস্ট থেকে আজ অর্থাৎ বুধবার পর্যন্ত হিমাচলপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৬ জন। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ছিল ৬৩ জন। বেশিরভাগ মৃত্যুই হয়েছে হিমাচলপ্রদেশে। প্রায় ৬০ জন মানুষের প্রাণ গিয়েছে এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে। রাজ্যের এমন পরিস্থিতিতে হিমাচলপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সেখানকার সমস্ত স্কুল, কলেজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
১৩ অগাস্ট থেকে অনবরত বৃষ্টি হয়েই চলেছে উত্তরাখণ্ড ও হিমাচলপ্রদেশে। প্রবল বর্ষণের ফলে জলের তোড়ে ভেসে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে কিছুজনের। আবার কেউ কেউ প্রাণ হারিয়েছেন ভূমিধসে চাপা পড়ে। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ হিমাচলপ্রদেশের সিমলার কৃষ্ণনগর এলাকায় ধসের কারণে ভেঙে পড়ে চারটি বাড়ি। ধ্বংসাবশেষের তলায় চাপা পড়ে মারা যান দু’জন। আশঙ্কা করা হচ্ছে এখনও অন্তত পাঁচ থেকে দশ জন আটকে রয়েছেন। অন্যদিকে সোমবার সিমলার শিবমন্দির ভেঙে পড়ার পর সেখানকার ধ্বংসস্তূপ থেকেও একজনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এখনও উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে।
অন্যদিকে উত্তরাখণ্ডেও একই অবস্থা। তবে এই রাজ্যে মৃতের সংখ্যা হিমাচলপ্রদেশের তুলনায় কম। গত সোমবার থেকে টানা বৃষ্টি পড়ায় নদ-নদীর জল বিপদসীমার বাইরে অতিক্রম করেছে। ফলে জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছেন ৪জন। এরপর খবরে এসেছে, পরে আরও দু'জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সাতজন এখনও নিখোঁজ। ১৯ অগাস্ট পর্যন্ত উত্তরাখণ্ডের একাধিক জায়াগায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
ফের কেদারনাথের যাত্রাপথে (Kedarnath Yatra) বড়সড় দুর্ঘটনা (Accident)। কেদারনাথ যাওয়ার রাস্তায় ধস (Labdslide) নেমে গাড়ি চাপা পড়ে মৃত্যু হল পাঁচ তীর্থযাত্রীর। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতে উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) রুদ্রপ্রয়াগে ধস নামে। ধসের ফলে চাপা পড়ে যায় তীর্থযাত্রীদের গাড়ি। আর সেখানেই চাপা পড়ে মৃত্যু হয় পাঁচজন তীর্থযাত্রীর। আর আজ, শনিবার এই খবর প্রকাশ্যে এসেছে।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতে রুদ্রপ্রয়াগের কাছে গুপ্তকাশী-গৌরীকুণ্ড মহাসড়কের কাছে তারসালি এলাকায় ধস নামে। এর জেরে রাস্তার উপর ধ্বংসস্তুপ তৈরি হয়। প্রায় ৬০ মিটার এলাকা বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিল। পাঁচ তীর্থযাত্রী বোঝাই গাড়িটি যখন কেদারনাথ থেকে সোনপ্রয়াগের দিকে যাচ্ছিল, তখনই পাহাড় থেকে একটি পাথর এসে তীর্থযাত্রীদের গাড়ির উপর পড়ে। আর তার জেরেই মৃত্যু হয় পাঁচজনের।
জানা গিয়েছে, মৃতদের মধ্যে তিনজন গুজরাতের বাসিন্দা ও দু'জন হরিদ্বারে বাসিন্দা। সূত্রের খবর, এই দুর্ঘটনার পরই সেখানে পৌঁছয় রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। এরপর উদ্ধারকাজ শুরু হওয়ার পরে ধ্বংসস্তূপ থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। উত্তরাখণ্ড পুলিস ইতিমধ্যে মৃতদের নামও প্রকাশ্যে এনেছে।
জানা গিয়েছে, মৃত জিগার আর মোদী, মহেশ দেশাই এবং পারিক দিব্যাংশ গুজরাতের বাসিন্দা। মৃত মিন্টু কুমার এবং মণীশ কুমার হরিদ্বারের বাসিন্দা। ধস ও দুর্ঘটনার পরে গুপ্তকাশী-গৌরীকুণ্ড সড়কপথ দীর্ঘক্ষণ বন্ধ রাখা হয়। পরে ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে খুলে দেওয়া হয় রাস্তা।
ফের দেবভূমি উত্তরাখণ্ডে বিপর্যয়। মঙ্গলবার মেঘভাঙা বৃষ্টিতে একাধিক জায়গায় ধস নেমেছে। ৫৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে ধস নামায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সিদ্দিবালি মন্দির যাওয়ার রাস্তা। এরজন্য থমকে গিয়েছে নৈনিতালের ট্রাফিক পরিষেবা।
কাঠগোদাম এলাকায় ভারী বর্ষণে ভেঙে পড়েছে ২টি বাড়ি। বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে গোটা এলাকায়। কাঠগোদাম এবং দৌগাড্ডা যাওয়ার পথে থমকে গিয়েছে একাধিক যান চলাচল। লাগাতার বর্ষণ শুরু হয়েছে মঙ্গলবার থেকে। এখনও কালো মেঘে ঢেকে রয়েছে গোটা আকাশ।
বিপর্যয় যেন পিছু চাড়ছে না উত্তরাখণ্ডের। কয়েকদিন আগেই বর্ষণের কোপে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি হয়েছিল উত্তরাখণ্ডের। ফের বড় বিপর্যয় নেমে এসেছে। মঙ্গলবার থেকে আবারও উত্তরাখণ্ডের কাঠগোদাম এলাকায় প্রবল বর্ষণ শুরু হয়েছে। মেঘভাঙা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত বিভিন্ন এলাকা। জায়গায় জায়গায় ধস। প্রকৃতির কোপে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সেখানে। কয়েকদিন আগে হিমাচল প্রদেশে ভয়াবহ বর্ষণে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তার রেশ এসে পড়েছিল উত্তরাখণ্ডেও। মেঘভাঙা বৃষ্টিতে কেদারনাথের একাংশ ভেসে গিয়েছিল। তারপরেও একাধিক বিপর্যয় এসেছে উত্তরাখণ্ডে। এবার আবারও সেই মেঘভাঙা বৃষ্টির কোপ উত্তরাখণ্ডের রাজ্যে। কাঠগোদাম যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। যার জেরে কোনও গাড়ি চলাচল করতে পারছে নামানুষ পায়ে হেঁটে সেখানে যাতায়াত করছেন।
ফের উত্তরাখণ্ডে ভারী বৃষ্টির জেরে নামল ধস। যার জেরে বন্ধ হয়ে গেল বদ্রীনাথ ও যমুনোত্রী জাতীয় সড়ক। আটকে পড়েছেন বহু পুণ্যার্থী। বন্ধ রয়েছে যান চলাচলও। দ্রুত সেই রাস্তা সাফ করার কাজ চলছে। এর আগেও উত্তরখণ্ডে ভারী বৃষ্টির জেরে একাধিকবার ধস নেমেছিল বদ্রীনাথে।
চামোলি জেলার পুলিস প্রশাসন সূত্রে খবর, বদ্রীনাথ জাতীয় সড়কে নন্দপ্রয়াগ এবং পুরসারির মাঝে ধস নেমেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, পাহাড়ের একটি বিশাল অংশ রাস্তার উপর ভেঙে পড়েছে। একেবারে পাথরে ঢেকেছে জাতীয় সড়ক। যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সিএন পোর্টাল।
Uttarakhand | Road near Nandaprayag and Pursari, on the Badrinath National Highway, blocked due to debris: Chamoli Police
— ANI UP/Uttarakhand (@ANINewsUP) July 25, 2023
(Video source - Chamoli Police Uttarakhand's twitter account) pic.twitter.com/CuaRBENKCS
টানা দু'সপ্তাহ ধরে উত্তরাখণ্ডে চলছে ভারী বৃষ্টি। এর আগেও বদ্রীনাথ জাতীয় সড়কে এই মরসুমে একাধিক বার ধস নেমেছে। যার জেরে ব্যাহত হয়েছে বদ্রীনাথ যাত্রাও। আবার ধস নামায় এই পুণ্যযাত্রায় প্রভাব পড়েছে। অন্য দিকে, যমুনোত্রী জাতীয় সড়কও ধসের কারণে বেহাল। চার দিন বন্ধ হয়ে পড়ে এই জাতীয় সড়ক। টানা বৃষ্টির জেরে রাজ্য জুড়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক-সহ তিনশোরও বেশি রাস্তা বন্ধ। ধস সরিয়ে রাস্তা পরিষ্কার করা হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু লাগাতার বৃষ্টির কারণে বার বার ধস নামছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। যার জেরে সাধারণ যাত্রী এবং পুণ্যার্থীরা বিভিন্ন জায়গায় আটকে পড়ছেন।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আপাতত বেশ কিছুদিন চলবে ভারী বৃষ্টি। পর্যটকদের ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সতর্কবার্তা দিয়েছে।
উত্তর ও পশ্চিম-ভারতে গত দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলছে বৃষ্টির দাপট। একই ছবি পশ্চিম ভারতেও। নাগাড়ে বৃষ্টিতে নাজেহাল দিল্লি (Delhi), পঞ্জাব, হরিয়ানার বাসিন্দারা। রাজধানীতে বেড়েছে যমুনার জলস্তর। কোথাও কোথাও তৈরি হয়েছে বন্য়া পরিস্থিতি। বৃষ্টিতে ভাসছে মহারাষ্ট্র, গুজরাত, রাজস্থানও। অন্যদিকে হিমাচল প্রদেশ (Himachal Pradesh), উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) ছবিটা আরও ভয়ঙ্কর। বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। হিমাচলে দুর্যোগের বলি ৭ জন। গত ২৪ জুন থেকেই দুর্যোগ চলছে হিমাচলে। সরকারি হিসেবে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১৫৪। ক্ষতি হয়েছে ৫,০৭৭ কোটি টাকার।
এদিকে শনিবার ৮ ঘণ্টায় ২১৯ মিলিমিটারেরও বেশি বৃষ্টি হয়েছে গুজরাতে। হড়পা বান এবং বর্ষার জলে ডুবে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রকাশ্যে এসেছে আহমেদাবাদ বিমানবন্দরের ছবি। প্রশাসন সূত্রে খবর, সৌরাষ্ট্র এলাকায় একটানা বৃষ্টিতে বিপদসীমার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে একাধিক নদী। নিচু এলাকাগুলি সেই জলে ভেসে গিয়েছে। প্লাবিত শহরাঞ্চলের অধিকাংশ রাস্তাঘাটও। প্লাবিত জুনাগড় শহরের ভিডিও সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand) আটকে পড়েছেন বহু পর্যটক। গত কয়েকদিন ধরেই উত্তরাখণ্ডে ক্রমাগত বৃষ্টি হয়ে চলেছে। তবে শুক্রবার সকালে এই বৃষ্টির পরিমাণ আরও বেড়ে যায় পিথোরাগড়ের ধরচুলা এলাকার চল গ্রামে। যার ফলে একটি সেতুও ভেঙে গিয়েছে। পিথোরাগড় পুলিসের তরফে সেই সেতু ভাঙার ভিডিওটি (Video) সমজমাধ্যমে (Viral) প্রকাশ করা হয়েছে। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, সেতুটি পুরোপুরি ভেঙে গিয়েছে। ওই এলাকা দিয়ে পারাপার করা সম্ভব হচ্ছে না। এমনকি সেতুর ধ্বংসাবশেষগুলি সরিয়ে এলাকা সাফ করার কাজে লেগেছেন খোদ স্থানীয়রাই।
#मौसम_अलर्ट, #जनपद_पिथौरागढ़_पुलिस#UttarakhandPolice #pithoragarhpoliceuttarakhand #मौसम_अलर्ट @DIGKUMAUN @MyPithoragarh @CityPithoragarh @uksdrf pic.twitter.com/pIQ5XMUAZu
— Pithoragarh Police Uttarakhand (@PithoragarhPol) July 7, 2023
ওই সেতুটি ভাঙার পর কার্যত চল গ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। চল গ্রামের সঙ্গে সংযোগের একমাত্র মাধ্যম ছিল ওই সেতুই। কিন্তু তাও ভেঙেচুড়ে শেষ হয়ে গিয়েছে। ফলে ওই গ্রামে পৌঁছতে পারছেন না কেউই। তবে ইতিমধ্যেই মৌসম ভবন থেকে আগামী পাঁচ দিন ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়ে সতর্কতা জারি করেছে।
সেলফি (Selfie) তুলতে এতটাই মগ্ন হয়ে পড়ে যে, সামনে থেকে যে ট্রেন আসছে, সেটাই দেখতে পায়নি দু'ভাই। ফলে এই পরিস্থিতিতে রেলে কাটা পড়ল তারা। জানা গিয়েছে, রেলব্রিজে উঠে সেলফি তুলছিল দুজনে। আর পাশ থেকেই দ্রুতগতিতে ছুটে আসছিল শতাব্দী এক্সপ্রেস। আর এরপরেই ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। শনিবার সন্ধ্যার ঘটনাটি উত্তরাখন্ডের হরিদ্বারের।
জানা গিয়েছে, মৃত দুই ভাইয়ের নাম সিদ্ধার্থ সাইনি (১৯) ও শিবম সাইনি (১৬)। পুলিস সূত্রে খবর, শনিবার সন্ধ্যায় হরিদ্বারের দোসনি রেলসেতুতে উঠে সেলফি তুলছিল দুজনে। আর সেসময় সেখানে দিয়ে ছুটে চলে যায় দিল্লি-দেরাদুন শতাব্দী এক্সপ্রেস। কিন্তু তারা সেলফি তুলতে এতটাই মগ্ন হয়ে পড়েছিল যে, তারা ট্রেনের আওয়াজই শুনতেই পারেনি। ফলে মুহূর্তের মধ্যে দুই ভাইয়ের দেহ ছিন্ন-ভিন্ন হয়ে গেল। এরপর ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে মৃতদের দেহ। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, তাঁদের পরিবারের এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানের জন্যই তাঁরা হরিদ্বারে এসেছিলেন। কিন্তু এই অনুষ্ঠানে এসেই মর্মান্তিক মৃত্যু হল দুই ভাইয়ের। একই পরিবারের দুই ছেলের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে সাইনি পরিবারে।
দেশজুড়ে প্রবেশ করেছে বর্ষা (Monsoon)। শনিবার থেকে দেশের একাধিক রাজ্যে ভারী বৃষ্টির প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। উত্তরাখণ্ডেও (Uttarakhand) প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছে। রুদ্রপ্রয়াগ (Rudraprayag) জেলাতেও তুমুল বর্ষণ। এহেন পরিস্থিততে কেদারনাথ যাত্রা পরবর্তী নির্দেশ পর্যন্ত বাতিল করে দেওয়া হল। অনবরত বৃষ্টির ফলেই স্থগিত রাখা হল কেদারনাথ যাত্রা (Kedarnath Yatra)।
শনিবার রাত থেকে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে উত্তরাখণ্ডের সোনপ্রয়াগ সহ রুদ্রপ্রয়াগ জেলার বিভিন্ন জায়গায়। এদিকে কেদারনাথ, বদ্রীনাথ সহ চার ধাম যাত্রা চলছে। তাই ঝুঁকি এড়াতে কেদারনাথ যাত্রা স্থগিত করে দিল উত্তরাখণ্ড প্রশাসন। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই যাত্রা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। রুদ্রপ্রয়াগের জেলাশাসক ময়ূর দীক্ষিত রবিবার এই ঘোষণা করেছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, ভারী বৃষ্টির কারণে আপাতত স্থগিত তীর্থযাত্রা। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই সিদ্ধান্ত।
জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর আধিকারিক নন্দন সিং রাজওয়ার জানিয়েছেন, সে রাজ্যে ভারী বর্ষণের জেরে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কন্ট্রোল রুমে যান মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামি। কেদারনাথ সহ চারধাম যাত্রার পুণ্যার্থীদের সম্পর্কেও খোঁজ-খবর নেন মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি।