Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

UttamKumar

AI: 'বার্বি' উত্তম-সুচিত্রা, 'ওপেনহাইমার' সৌমিত্র, AI-এর সাধুবাদে নেট দুনিয়া

কয়েক দিন আগেই শিল্পী অনিকেত মিত্র স্বর্ণ যুগের তারকাদের মহাভারতের নানা চরিত্রে সাজিয়েছিলেন। সাহায্য নিয়েছিলেন AI অর্থাৎ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের (Artificial Intelligence)। আবারও এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্য নিয়ে স্বর্ণ যুগের অভিনেতারা হয়ে উঠলেন সাম্প্রতিক হলিউড সিনেমার চরিত্রে। বর্তমানে সিনেমা হলগুলিতে দাপিয়ে ব্যবসা করছে দুটি সিনেমা, বার্বি এবং ওপেনহাইমার। এই সিনেমা যদি বাংলাতে হত, কারা অভিনয় করতেন?


আসল 'বার্বি' সিনেমায় মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী মার্গট রবি। ওই সিনেমাতেই 'কেন'এর চরিত্রে অভিনয় করেছেন, রায়ান গসলিং। অন্যদিকে 'ওপেনহাইমার' সিনেমায় নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন কিলিয়ান মরফি। বর্তমানে এই তিনটি চরিত্রেই, বাংলার তিন স্বর্ণ যুগের অভিনেতাদের ছবি ভাইরাল হয়েছে। একটি ছবিতে দেখা গিয়েছে, 'বার্বি'র চরিত্রে সুচিত্রা সেনকে। আরেকটি ছবিতে দেখা গিয়েছে, কেন-এর চরিত্রে উত্তম কুমারকে। 'ওপেনহাইমার'-এর চরিত্রে ভাইরাল হয়েছে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের ছবি।


এই কর্মকাণ্ডের পিছনে রয়েছেন, ঋদ্ধিরাজ পালিত। তাঁর সামাজিক মাধ্যমের পেইজ, 'গ্রাফিক রাজ' থেকে পোস্ট করেছিলেন ছবিগুলি। নেটিজেনরা আপাতত এই ছবি নিজেদের প্রোফাইলে শেয়ার করছেন। সম্মতি জানাচ্ছেন, চরিত্রের এই নির্বাচনকে। যেমন বার্বি ও কেনের চরিত্রে বাংলা সিনেমা জগতের রোম্যান্টিক অভিনেতা অভিনেত্রী উত্তম-সুচিত্রাকে যথার্থ মানিয়েছে। অন্যদিকে ওপেনহাইমারের মতো বুদ্ধিদীপ্ত চরিত্রে যথার্থ মানিয়েছে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে। নেটিজেনরা বলছেন, এমন যদি হত, তাহলে ভালোই হত।


9 months ago
Uttam Kumar: সৃজিতের ছোঁয়ায় জীবন্ত উত্তম কুমার, 'অতি উত্তম'-এর প্রিভিউ মুক্তি

এখনও পর্যন্ত পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের (Srijit Mukherjee) সবচেয়ে বেশি পরিশ্রমের ফসল 'অতি উত্তম'এর ঝলক পাওয়া গেল। আগেই শোনা গিয়েছিল, পরিচালক সিনেমা বানাবেন জীবন্ত উত্তম কুমারকে নিয়ে। কিন্তু যে চলে গিয়েছেন, তাঁকে কীভাবে পর্দায় আনা সম্ভব? তবে সম্ভব হল, সৃজিতের পরিশ্রমে ও প্রযুক্তির আশীর্বাদে। ২৪ জুলাই মহানায়ক উত্তম কুমারের (Uttam Kumar) প্রয়াণ দিবস গিয়েছে। সেই উপলক্ষে সিনেমার প্রিভিউ মুক্তি পেয়েছে সামাজিক মাধ্যমে।

৫১ সেকেন্ডের ওই প্রিভিউতে দেখা গিয়েছে অভিনেতা অনিন্দ্য সেনগুপ্ত, অভিনেত্রী রোশনি ভট্টাচার্য, অভিনেতা গৌরব চট্টোপাধ্যায় এবং ছবির মূল আকর্ষণ উত্তম কুমারকে। প্রসঙ্গত মহানায়ক সম্পর্কে গৌরব চট্টোপাধ্যায়ের দাদু। এই প্রথম একই পর্দায় দেখা যাবে দাদু ও নাতিকে। প্রিভিউতে উত্তম কুমারের মুখে কয়েকটি সংলাপ শুনেই দর্শকদের সিনেমাটি দেখার প্রতীক্ষা বেড়েছে।

এই ছবি তৈরী করা সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের জন্য কিন্তু বেশ কঠিন ছিল। উত্তম কুমারের প্রায় ৬২টি সিনেমা দেখেছেন পরিচালক। সিনেমার চিত্রনাট্য লিখতেও সময় লেগেছে ৩ বছর। বিভিন্ন সিনেমা থেকে টুকরো টুকরো উত্তম কুমারকে নিয়ে তৈরী হয়েছে 'অতি উত্তম'।

9 months ago
Uttam Kumar: উত্তম কুমার আজও বেঁচে আছেন-কিছু কথা আর ফিরে দেখা

সৌমেন সুর: যার সম্বন্ধে লিখতে বসেছি তিনি বাংলার মানুষের একমাত্র ম্যাটিনী-আইডল। ব্যাপারটা নিয়ে ভাবছেন বুঝি? না ভাবনার কিছু নেই। ম্যাটিনী আইডল বাংলা সিনেমা জগতে একজনই, সে উত্তম কুমার। কেন উত্তম কুমার? অন্যদেরই বা মানুষ মনে রাখেন না কেন!  সিনেমার জগতে মহানায়ক তিনি উত্তম কুমার। তিনি 'নায়ক' ছবি করেছেন, আবার 'অমানুষ' করেছেন। দুটো ছবি আকাশ পাতাল তফাৎ। অথচ উত্তম কুমারের বিচরণ সর্বত্র। 'নায়ক' এর মত ছবিতে সুপার্ব অভিনয়। উত্তম কুমার আবার অমানুষ ছবিতেও অনবদ্য। আসলে মহানায়ককে বিচার করা বড় দুষ্কর। বাংলা ছবিতে এমন এমন কিছু চরিত্র করেছেন যা আলোচনার ঊর্ধ্বে। তিনি এক কথায় সিনেমা জগতে সব্যসাচী ছিলেন, গান গাইতে পারতেন, সুর দিতে পারতেন, ছবি প্রযোজনা করেছেন, এমনকি পরিচালনা পর্যন্ত করেছেন। এরপরেও তো আছে অভিনয়। আজ ৪৩ বছর হয়ে গেল উত্তম কুমার আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। এত বছর বাদেও তিনি সমান জনপ্রিয়। 'নায়ক' ছবিতে ওই অসম্ভব সুন্দর সংলাপ ডেলিভারি আজও বহু মানুষের মুখে মুখে, 'I will go to the top, The top, The top'। ৪৩ বছর পেরিয়েও মুছে যাননি মহানায়ক। সোশ্যাল মিডিয়ায় বাণিজ্যকারি সংস্থা ছবি প্রদর্শন করেন সেই উত্তম কুমাররেরই। এতেই বোঝা যায়, জনপ্রিয়তা এতটুকু ভাটা পড়েননি। তাঁর ক্রেজ তাঁর ইমেজ, আজও আমরা সিনেমার অভিনয় সম্পর্কে আলোচনা করতে গেলে উত্তম কুমারের প্রসঙ্গ চলে আসে। বেশ কিছু ছবির মহানায়কের অনবদ্য অভিনয় বাংলার মানুষ আজও ভুলতে পারেনি। হয়তো ছবি বিশ্বাসকে মানুষ ভুলে যেতে পারেন, কিন্তু উত্তম কুমার বাংলার মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন আরও অনেক অনেক দিন।

অভিনয় পর্ব ছাড়া দান ধ্যান কর্মে ছিলেন মানুষের মনের মনিকোঠায়। অবশ্য এই পর্বটি ছিল অত্যন্ত গোপন অবস্থায়, কেউ জানতে পারতেন না, একমাত্র গ্রহীতা ছাড়া। যুগে যুগে অবতার যেমনই মাটিতে নামেন তার কর্ম মানুষের কাছে ফলপ্রসূ করতে। তেমনই উত্তম কুমার বাংলার মাটিতে জন্ম নিয়ে তার কর্মের শিষ্টতা দেখে আজও মানুষ তাকে ভুলতে পারেননি। তিনি যে কত বড় মানুষ ছিলেন তার প্রমাণ পাওয়া যায়, তার মহাপ্রস্থানের পথের সময় চাক্ষুষ কয়েক লক্ষ মানুষের সমাগম হয়েছিল, মহানায়ককে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে। উত্তম কুমার একবারই জন্ম নেয়, এবার হয়ত তাকে পাবো, অন্য নামে অন্য কোনও খানে, তবে বাংলার মানুষের কাছে উত্তম কুমার ছিলেন, আছেন, থাকবেনও।

9 months ago


Mahanayak: শ্রাবন্তী-সায়ন্তিকা-শুভশ্রীদের মহানায়ক সম্মান দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

২৪ জুলাই মহানায়ক উত্তম কুমারের প্রয়াণ দিবস ছিল। সেই উপলক্ষে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) উদ্যোগে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল 'ধন ধান্য' স্টেডিয়ামে। সেখানেই মহানায়কের চরণ স্পর্শ করে তাঁর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। প্রত্যেক বছর এমন দিনে সিনেমা জগতের জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বদের পুরস্কার প্রদান করে থাকেন মুখ্যমন্ত্রী। এই বছরও সেই রীতির অন্যথা হল না।

অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্য, সোহিনী সরকার, চিত্র পরিচালক হরনাথ চক্রবর্তীকে এই বছর 'বিশেষ চলচ্চিত্র' সম্মানে ভূষিত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। 'মহানায়ক' সম্মান পেয়েছেন, অভিনেত্রী কোয়েল মল্লিক, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় এবং অঙ্কুশ হাজরা। সকলকেই গলায় উত্তরীয় পরিয়ে হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বিশেষ পুরস্কার।

যদিও মহানায়ক সম্মান যে অভিনেতা অভিনেত্রীদের হাতে উঠেছেন, তা নিয়ে আপত্তি জানাচ্ছেন নেটিজেনরা। সামাজিক মাধ্যমে এই নিয়ে বিস্তর লেখালেখি চলছে। এর আগে অভিনেতা দেবকে 'মহানায়ক' সম্মান দেওয়া নিয়েও কম সমালোচনা হয়নি। এই বছর সেই তালিকা বাড়ল।


9 months ago
Dev: উত্তম কুমারের 'নায়ক'-এর রিমেকে দেব! টলি পাড়ায় কানাঘুঁষো

সত্যজিৎ রায়ের পরিচালনায় উত্তম কুমার (Uttam Kumar) যতগুলি সিনেমা করেছেন, তার মধ্যে বহু দর্শকদের চিরকালের পছন্দের ছবি 'নায়ক' (Nayak)। মহানায়ক বলতে যে কয়েকটি সংলাপ মনে পড়ে, তার মধ্যে উপরের দিকে থাকে নায়ক সিনেমায় টেবিল চাপড়ে বলা, 'এই উইল গো টু দ্যা টপ, দ্যা টপ, দ্যা টপ'। এই ছবির কোনও তুলনা হয় না, কিন্তু রিমেক হয় কী? অন্তত তেমনই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে টলি পাড়ায় কান পাতলে। অভিনেতা দেব (Dev) না কি নায়ক সিনেমাকে সম্মান জানাতে সেই সিনেমারই রিমেক তৈরির পরিকল্পনা করছেন।

এই সিনেমার পরিচালনা করবেন নাকি রামকমল মুখোপাধ্যায়। যিনি এই মুহূর্তে ব্যস্ত রয়েছেন 'বিনোদিনী' ছবির পোস্ট প্রোডাকশন নিয়ে। পরিচালক নাকি ইতিমধ্যেই নায়ক নিয়ে বেশ পড়াশোনা করে ফেলেছেন।  তাঁর স্টাডি দেখে নাকি রীতিমতো খুশি দেব। এমনকি সত্যজিৎ রায়ের উত্তরাধিকারী, তাঁর ছেলে সন্দীপ রায়ের সঙ্গে নাকি এই নিয়ে আলোচনাও করছেন অভিনেতা। সত্যজিৎ পুত্রের অনুমতি পেলেই নাকি সিনেমার কাজ আরও এগোবে।

ছবিটি সম্ভবত প্রযোজনা করবেন দেব নিজেই। মূল চরিত্রেও নাকি তিনিই থাকবেন। সেক্ষেত্রে নায়ক অরিন্দম গাঙ্গুলি অর্থাৎ উত্তম কুমারের চরিত্রেই কী অভিনয় করবেন তিনি? এই মুহূর্তে দেবের হাতে পরপর বেশ কিছু কাজ। তাঁর অভিনীত বাঘাযতীন আসছে পুজোয়, ব্যোমকেশ ও দুর্গরহস্যের কাজ শেষ হয়েছে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে পোস্ট প্রোডাকশন। এরপর অভিনেতা শারীরিকভাবে তৈরী হচ্ছেন 'প্রধান' সিনেমার জন্য। তাই নায়ক আদৌ হচ্ছে কি না, এই নিয়ে কোনও স্পষ্ট উত্তর মেলেনি।


10 months ago


Satyajit: সত্যজিতের প্রয়াণ দিবস, ফিরে দেখা মানিকবাবুর কাজ

প্রসূন গুপ্তঃ আজ বিশ্ববরেণ্য পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের প্রয়াণ দিবস। উপেন্দ্র কিশোরের নাতি ও সুকুমার রায়ের পুত্র কিন্তু তাঁর বংশের শৈল্পিক ঘরানাকে ধরে রেখেছিলেন প্রবল ভাবে। বলা যায়, বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ছিলেন সত্যজিৎ। সিনেমা পরিচালনা সঙ্গে চিত্রনাট্য, সংলাপ, সঙ্গীত ইত্যাদি সবটাই নিজেই করতেন, এমনকি ক্যামেরাম্যান থাকলেও নিজেই ছবি তুলতেন। পথের পাঁচালি নিশ্চিত ভারতীয় চলচিত্রে এক বিপ্লব। ভারতীয়রা সিনেমা দেখতে বসে যেমন ভাবতে শিখলো তেমনই রবীন্দ্রনাথের পরে কলাশিল্পে আরও একটি নাম বিশ্বের বাজারে চলে আসলো। সত্যজিতের লেখার হাতও ছিল চমৎকার।

ছোট গল্প থেকে ফেলুদা বা প্রফেসর শঙ্কু তরুণ সমাজকে নতুনভাবে বইমুখী করেছিল। সত্যজিৎ সারা জীবনে যত ছবি তৈরি করেছেন তার একেকটি একেক মহলে সেরা মনে হয়েছে। প্রয়াত সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ছিলেন সত্যজিতের প্রিয় অভিনেতা। তিনি বলতেন, কোনও নির্দিষ্ট ছবি দিয়ে মানিকদাকে বিচার করা যাবে না। উত্তমকুমারের নায়ক বাদ দিয়েও চিড়িয়াখানা ছবি অসামান্য। চিড়িয়াখানা ছবির জন্য উত্তম রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পেয়েছিলেন।

তবুও সমালোচনা থাকে। সত্যজিৎ অসুস্থ হওয়ার পরে ইনডোর গল্প বেছে স্টুডিও ইনডোরে স্যুটিং করে ঘরে বাইরে, গণশত্রু, শাখা-প্রশাখা ছবি করে কিন্তু বিশেষজ্ঞ মহলে সমালোচনা কুড়িয়েছিলেন কিন্তু মৃত্যু আগে যেন ঝলসে উঠে আগন্তুক ছবি বানালেন এবং টিপিকাল সত্যজিতে ফিরে এসেছিলেন। তারপরেই চির বিদায়।

one year ago
Puja: সেলিব্রেটিদের লক্ষ্মীপুজো!

দুর্গা নিরঞ্জনের পরপরই দ্রুত চলে আসে লক্ষ্মীপুজো। অবশ্য এই পুজো মোটেই সার্বজনীন পুজো প্যান্ডেলের উৎসব নয়। বরং একেবারেই ঘরের অন্দরের নিয়ম মেনে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো হয়ে থাকে। যদিও সারা ভারত সহ এ বাংলাতেও দীপাবলিতে লক্ষ্মীপুজো হয়। কেউ কেউ বলে থাকে যে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো সাধারণত ওপার বাংলার বাঙালিরা করে থাকেন। এবং এ দেশীরা লক্ষ্মীপুজো করে অমাবস্যার দিন অর্থাৎ কালীপুজোর দিন। সর্বদা এই তথ্য ঠিক নয়।

উত্তমকুমার থেকে আজকের শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোই করেছেন বা করেন। যাঁরা দুজনই 'ঘটি' বা এদেশীয়। কলকাতার আদি দুর্গাপুজো যাঁরা করেন যুগ যুগ ধরে, যেমন সাবর্ণ রায়চৌধুরীদের পুজো, তাঁদেরও লক্ষ্মীপুজো হয় এই কোজাগরীর নিয়ম মেনেই।

বেশ কয়েক বছর ধরে এই কোজাগরী পুজো মানুষ দেখছে টেলিভিশনে, যেখানে দেখানো হচ্ছে সেলিব্রেটিদের বাড়ি। কাজেই উৎসাহ কম পরেনি এই পুজোতে। এই পুজো প্রথম টিভির পর্দায় আসে সাংসদ তথা তৃণমূলের পার্লামেন্টের নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি নিয়ে। সুদীপবাবু এবং তাঁর বিধায়ক স্ত্রী নয়না খুবই নিষ্ঠাভরে তাঁদের মধ্যে কলকাতার বাড়িতে করে থাকেন। এ ছাড়াও তৃণমূলের বিভিন্ন নেতাদের বাড়িতে পূজো হয়। শোভনদেবের কথা আগেই উল্লেখ করেছি। তাঁর বাড়ির পুজোর পুরোহিত তিনি নিজেই।সাধন পাণ্ডেদের বাড়ির পুজো অবশ্যি একটু অন্য ধরনের। তাঁরা ধামা পুজো করে থাকেন। অর্থাৎ দেবীর ধামা। এ বছর সাধনবাবু প্রয়াত হওয়াতে পুজো করছেন না তাঁর স্ত্রী কন্যা। অরূপ রায় থেকে অরূপ বিশ্বাস ইত্যাদির বাড়িতে পুজো হয়ে থাকে।

অন্যদিকে, বিজেপি নেতাদের বাড়িতেও লক্ষ্মীপুজো হয়। রাহুল সিনহা থেকে লকেট চট্টোপাধ্যায়, সভাপতি সুকান্ত মজুমদার প্রত্যেকেই পুজো করে থাকেন। বামেরা পুজোআর্চাতে বিশ্বাসী না হলেও কারুর কারুর বাড়িতে পুজোর আয়োজন হয়। যথা শিলিগুড়িতে অনেকদিন ধরে প্রবীণ সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্যর বাড়িতে তাঁর স্ত্রী লক্ষ্মীপুজো করতেন। কিন্তু অশোকবাবুর স্ত্রীর প্রয়াণে পুজো বন্ধই হয়ে গিয়েছে। একই সঠিক সিনেমা ও টিভি শিল্পীদের অনেকের বাড়িতে লক্ষ্মীপুজো হয়ে থাকে। তবে এঁদের আবার পুজোর থেকে নিজেদের ও পুজোর প্রচারের দিকেই নজর বেশি। লক্ষ্মীমাতা বাণিজ্যের দেবী তাই প্রচার করতেই ব্যস্ত অনেকেই।

2 years ago
Mahanayak: ম্যাটিনি আইডল উত্তমের লিপে হেমন্ত, শ্যামল, কিশোর কুমারের কণ্ঠ, কালজয়ী বাঙালির কাছে

প্রসূন গুপ্ত: তিনি বেঁচে থাকলে আজ ৯৬-এ পা দিতেন। কিন্তু বাঙালির ম্যাটিনি আইডল উত্তমকুমার আজ ইতিহাস। আজকের প্রজন্মের কতজন জানেন যে ৫০ থেকে ৭০-এর দশক অবধি উত্তমকুমার মানে বাঙালির অরিন্দম, সব্যসাচী, অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি, কৃষ্ণেন্দু। তৎকালীন মহিলারা মহানায়কের একটু ছোঁয়া পেতে পাগল ছিলেন। তাঁরা চাইতেন, মনের মানুষটিও যেন উত্তম কুমারের মতো হয়। তাঁকে যেন অনায়াসেই বলতে পারি, ও যেন আমাকে টাচ না করে। সে সময়ে আট-আশি সব প্রজন্মের মহিলার কাছে উত্তম মানেই 'কে প্রথম কাছে এসেছে...।' এহেন উত্তমের জীবনের বহু ঘটনা রয়েছে যা অনেকটাই তাঁর প্রয়াণ বা জন্মদিবসে চর্চিত।

উত্তম কুমার নিজে খুব ভালো গান গাইতে পারতেন। কিন্তু কোনওদিনও নিজে সিনেমায় গান করেননি। তবে সুর দিয়েছেন। ফলে উত্তমের লিপে যেকোনও গান গ্রহণযোগ্য হতো, হিট করতো। উত্তমের কণ্ঠস্বরের সঙ্গে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের কণ্ঠ একদম হুবহু মিলে যেত। পরবর্তীতে মান্না দে গাইতেন, যা আধুনিক উত্তমের সঙ্গে ম্যাচ করে যেত। শ্যামল মিত্র উত্তমের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন, তিনিও উত্তমের গান গেয়েছেন। শ্যামল মিত্রের কণ্ঠ আর উত্তম কুমারের লিপে কালজয়ী 'আমি চেয়ে চেয়ে দেখি সারদিন' আজও বাঙালির নস্টালজিয়া। এ ছাড়া মানবেন্দ্র বা সতীনাথ মুখোপাধ্যায়ও গান করেছেন উত্তমের লিপে।

এবার রইলো বাকি কিশোরকুমার। কিশোর প্রধানত বলিউডি শিল্পী ছিলেন। ১৯৬৯-এ 'রাজকুমারী' বলে একটি ছবিতে মুম্বই থেকে রাহুল দেব বর্মনকে সুর করতে নিয়ে আসা হয়েছিল। রাহুল বাংলার শিল্পীদের সঙ্গে খুব একটা ঘনিষ্ঠ ছিলেন না। রাহুলের প্রিয় শিল্পী ছিলেন কিশোর, ফলে রাজকুমারীর সমস্ত গান যা উত্তমের লিপে ছিল তা কিশোরকে দিয়ে গাওয়ালেন। ছবিটি হিট করেনি, তবে গানগুলি কিন্তু খুবই হিট করেছিল। তাহলেও বাংলার পত্রপত্রিকা চূড়ান্ত সমালোচনা করলো, ছবিতে কেন উত্তমের সঙ্গে মিসফিট কিশোরকে গান করানো হলো। এরপর আর কেউ চট করে কিশোরকে দিয়ে উত্তমের গান করাননি।  এরপরই আসলো চমক। ১৯৭৫-এ মুম্বইয়ের শক্তি সামন্ত দো-ভাষী 'অমানুষ' করবেন ঠিক করলেন। সেই মতো উত্তম এবং শর্মিলাকে নেওয়া হলো। সুরকার হিসাবে নেওয়া হলো উত্তমের বন্ধু শ্যামল মিত্রকে। শক্তিবাবু শ্যামলবাবুকে পরিষ্কার জানালেন হিন্দি ভার্সনে কিশোরকে দরকার। শ্যামল জানালেন সমস্ত গানই কিশোর গাইবে দুটি ভাষাতে।

কিশোরের সঙ্গে শ্যামলবাবু বসলেন এবং রাজকুমারী ছবির ফ্লপের কথা বললেন। কিশোর জানালেন চিন্তা নেই, এবার আর তা হবে না। তারপর কিশোর একেবারে উত্তমের কণ্ঠস্বর নকল করে সমস্ত গান গাইলেন। গান এবং ছবি সুপারডুপার হিট। অবশ্য এই ছবিতে উত্তমের অবদানও কম নয়। তিনিও একেবারে দেহাতি ঢঙে পুরো ছবিতে গলার কাজ করেছিলেন। এরপর বাকি উত্তম-কিশোর জুটি তো ইতিহাস।

2 years ago


Food: রাজ কাপুর-উত্তম কুমাররা খাদ্যরসিক ছিলেন, কবজি ডুবিয়ে খেতেন এবং খাওয়াতেন

প্রসূন গুপ্ত: এক সময়ে শোনা যেত উত্তমকুমার খুব খাদ্যরসিক ছিলেন। খুব যে একটা পেটভরে খেতেন এমন নয়, কিন্তু নানা স্বাদের খাওয়ার অল্প অল্প করে খেতেন। তাঁর স্টুডিওর খাবারের প্রতি খুব একটা ঝোঁক ছিল না। স্টুডিওতে শুটিংয়ের ফাঁকে বারবার ভাঁড়ের চা খেতেন। মহানায়কের দুপুরের খাবার আসতো তাঁর ময়রা স্ট্রিটের বাড়ি থেকে। নিজে হাতে রান্না করে ডেচকি ভরে খাবার পাঠাতেন সুপ্রিয়া দেবী। কোনও দিন ইলিশ মাছ, কখনও চিংড়ি, কখনও চিকেনের পাতলা ঝাল ঝোল। উত্তমবাবু একা খেতেন না, অন্য শিল্পীদের সঙ্গে ভাগ করে খেতে ভালোবাসতেন। সুপ্রিয়া দেবী যেহেতু পূর্ববঙ্গের মেয়ে ছিলেন, তাই তাঁর হাতের বাঙাল রান্নার উপর ঝোঁক ছিল উত্তমের।

এ ছাড়া প্রায় রাতে জমিয়ে ডিনার চলতো বিদেশী স্কচ সহযোগে। বিকেলের দিকে শুটিংয়ের পরে তিনি কখনও ভবানীপুরের বাড়িতে গেলে স্থানীয় এক তেলেভাজার দোকান থেকে তেলেভাজা আসতো। মুড়ি লঙ্কা ও চা সহযোগে তাই জমিয়ে খেতেন। কিন্তু আজকের দিন উত্তমকুমারের নয়, রাজ কাপুরদেরও নয়।

রাজ কাপুরদের ট্র্যাডিশন ছিল মাসের ৩০দিন ৩০ রকমের ডিশের। সেই প্রথা আজ তাঁর নাতি-নাতনি রণবীর, করিশ্মা বা করিনা, কেউ মানেন না। আজকাল অভিনেতারা শরীর সচেতন। বহু অভিনেতা আছেন যাঁরা মদ সিগারেট কিছুই খান না। যেমন অক্ষয় কুমার শুধু ফলের রস ও একটি টোস্ট খেয়ে কাজে বেরিয়ে যান। দুপুরে সামান্য সেদ্ধ চিকেন এবং ফল। রাতের খাবার যে ভাবেই হোক ৮টার মধ্যে সেরে ফেলবেনই আর সাড়ে ৮টার মধ্যে ঘুম। ডিনারে সেদ্ধ সবুজ সবজি, একটি রুটি, কখনও আবার চিকেন রোস্ট।

শাহরুখ খানের পছন্দ আবার রোস্ট করা মাংসের দিকে, কিন্তু মোটেই ভাজাভুজি নয়। আজকের নায়ক নায়িকারা ভাজাভুজি একেবারেই খান না। কেউ কেউ খিচুড়ি খেতে ভালোবাসেন। গ্রিল্ড ফিশারের প্রতি আকর্ষণ অনেকের আছে। রানী মুখার্জি তো জানিয়েছেন তাঁর প্রিয় খাদ্য মাছের ঝোল। দক্ষিণ ভারতীয় শিল্পীরা কিন্তু ভাত বা চাল-ডাল সহযোগে খেয়ে থাকেন রসম টক দই। আসলে কোটি কোটি টাকার মালিক চলচিত্রশিল্পীরা খাওয়া নিয়ে সময় নষ্ট করতে চান না।

2 years ago