হাওড়ার দাসনগরে এক ব্যক্তির অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য। সোমবার ভোর রাতে দাসনগর থানার অন্তর্গত বিরাজময়ী রোডে রক্তাক্ত অবস্থায় এক ব্যক্তিকে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিস এসে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ইতিমধ্যে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে দাসনগর থানার পুলিস।
জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম রাজকুমার রাম (৫৫)। তিনি দাসনগর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। পেশায় ট্রলি ভ্যান চালক। ক্যাটারিং-এর বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র ভ্যানে চাপিয়ে নিয়ে যেতেন। রবিবার রাতে জন্মদিন উপলক্ষে একটি বাড়িতে অনুষ্ঠান ছিল। অনুষ্ঠানের পর সেখান থেকে বাসনপত্র নিয়ে যাওয়ার জন্য ভ্যান নিয়ে গিয়েছিলেন। তারপর সোমবার ভোর রাতে স্থানীয়দের থেকে তাঁর স্ত্রী খবর পান যে রাজকুমার সিড়ির পাশে পড়ে রয়েছেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন তাঁর স্ত্রী।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে দাসনগর থানার পুলিস। রক্তাক্ত অবস্থায় সেখান থেকে পুলিস উদ্ধার করে হাওড়া হাসপতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরে পুলিস একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। এটি নিছক একটি দুর্ঘটনা নাকি এই মৃত্যুর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিস জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
বৃহস্পতিবার সকালে অস্বাভাবিক মৃত্যু (Unnatural Death) হয় এক যুবকের। পরবর্তীতে ময়না তদন্ত না করিয়েই এবং ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়াই শেষকৃত্য করার তোড়জোড় শুরু হয় বাড়িতে। ঘটনাটি ঘটেছে গাইঘাটা (North 24 Parganas) থানার অন্তর্গত শ্রীপুর এলাকায়। স্থানীয়রা জানান, বাড়িতে অস্বাভাবিক মৃত্যু হওয়ার পরেও, এমনকি ডাক্তারকে (Doctor) সমস্ত ঘটনার কথা বলার পরেও, ডাক্তার তাঁদেরকে মৃতদেহ বাড়ি নিয়ে যেতে বলেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, ডাক্তার ঠিকভাবে ওই যুবকের চিকিৎসাও করেননি।
জানা গিয়েছে, মৃত ওই যুবকের নাম মিশন ঢালী (১৯)। সে তাঁর মামার বাড়িতেই থাকতো দীর্ঘদিন ধরে। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর মামার বাড়ির লোকজন হঠাৎই দেখতে পান সে ঘরের ভিতরে মৃত অবস্থায় রয়েছে। তাঁকে ঘর থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় হাবরা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসকরা ওই যুবককে দেখে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এমনকি ময়নাতদন্ত না করেই তাঁকে বাড়ি নিয়ে যেতে বলেন। তাঁর মামার বাড়ির লোকজন মৃত দেহটি বাড়িতে নিয়ে আসার পর শেষকৃত্য করার জন্য তোড়জোর শুরু করেছিল।
তবে এই বিষয়ে প্রশ্ন উঠছে অস্বাভাবিকভাবে মৃত্যু জেনেও কীভাবে একজন ডাক্তার ময়না তদন্ত ছাড়াই মৃতদেহটিকে বাড়িতে নিয়ে যেতে দেন।
দুদিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর অবশেষে চোখ ও নাকবিহীন দেহ উদ্ধার (deadbody)। নৃশংস এই ঘটনা নদিয়ার (Nadia) হরিণঘাটা থানার নিমতলা রুস্তম নগরের। জানা যায়, বাড়ি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে পাশের এক বাঁশ বাগানের কবরস্থানের পাশ থেকে উদ্ধার হয় ৫৫ বছরের নিখোঁজ এক ব্যক্তির দেহ। মৃত ব্যক্তির নাম শরিফুদ্দিন মণ্ডল। ঘটনার পরই আতঙ্কে রয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, গত শুক্রবার তাঁদের গ্রাম থেকে ফুরফুরা শরীফের উদ্দেশে দুটি গাড়ি বের হয়। পরিবারের সবারই ভেবেছিলেন শরিফুদ্দিনও তাতে সামিল হয়েছেন। কিন্তু শনিবার বিকাল ৩টা নাগাদ পরিবারের সদস্যরা দেখতে পান তাঁদেরই বাবার কবরের পাশে পড়ে আছেন তিনি। তাঁর পাশ থেকে উদ্ধার হয় ধারালো অস্ত্র। তাঁদের অনুমান, শরিফুদ্দিন হয়তো বাঁশ কাটতে এসেছিলেন। কিন্তু সেখানে তিনি কীভাবে মারা গিয়েছেন তা নিয়ে এখনও ধোয়াশায় পরিবার। কে বা কারা করেছে তাও বুঝে উঠতে পারছেন না। কেনই বা হল এমন ঘটনা বুঝতে পারছেন না কেউ।
দেহ উদ্ধারের পরই খবর দেওয়া হয় হরিণঘাটা থানায়। পুলিস (police) ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃত ব্যক্তির দেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসে হরিণঘাটা গ্রামীণ হাসপাতালে (hospital)। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তদন্তে নেমেছে পুলিস।