সুড়ঙ্গ তাঁদের জীবনকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল। টানা ১৭ দিন জীবনের এক অন্য লড়াইয়ের যোদ্ধা তাঁরা। কিন্তু সুযোগ পেলে আবার তাঁরা সুড়ঙ্গে ফিরবেন। কাজ করবেন উন্নয়নের জন্য। উত্তরকাশী থেকে তাঁদের গ্রাম হুগলির পুড়শুরায় ফিরে একথা জানালেন বাংলার দুই শ্রমিক শৌভিক পাখিরা ও জয়দেব প্রামাণিক। তাঁদের বরণ করল গোটা গ্রাম।
কালীপুজোর দুপুরে উত্তরকাশীর ওই সুড়ঙ্গে কাজ করতে গিয়ে বাকিদের সঙ্গে আটকে গিয়েছিলেন শৌভিক ও জয়দেব। এরপর ১৭ দিনের কাহিনি সবার জানা। দুই ছেলের ঘরের ফেরায় অপেক্ষায় ছিল পুড়শুরা। ঘরের ছেলেরা ঘরে ফিরতে এখন স্বস্তি। স্থানীয় তোকিপুর স্টেশনেই তাঁদের স্বাগত জানাতে হাজির হয় গোটা গ্রাম। মালা পরিয়ে চলে বরণের পালা।
শৌভিকের মা লক্ষ্মী পাখিরা জানিয়েছেন, খুব সাধারণ খাবার খেতে ভালবাসে ছেলে। সেটাই তিনি রান্না করেছেন। ১৭ দিন চোখের পাতা এক করতে পারেননি তিনি। অবশেষে এখন স্বস্তি। তাঁদের ছেলে গ্রামের গর্ব। কিন্তু আবার সুড়ঙ্গে পাঠাতে মায়ের মন কাঁপছে।
রাত সাতটা পঞ্চাশ থেকে রাত সাড়ে আটটার কিছু পর, অপারেশন হল সাকসেসফুল। ইঁদুরের মতো গর্ত খুঁড়ে ১২ জনের দল উত্তরকাশীতে সুড়ঙ্গমুক্ত করেন বাংলার তিন-সহ ৪১ জন শ্রমিককে। এই চ্যালেঞ্জিং অপারেশনের দলপতি ছিলেন ওয়াকিল হাসান। তাঁর লিডারশিপেই আলো দেখতে পায় ওই ৪১ জন শ্রমিক।
কার্যত এই ‘অসাধ্য সাধন’ করে, যখন সংবাদ মাধ্যমে ওয়াকিল সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন, তাঁর কণ্ঠস্বরে যুদ্ধজয়ের উচ্ছ্বাস। তিনি জানান, মানুষ বাঁচানোর কাজ তাঁরা এই প্রথম করলেন। দেশের জন্য কিছু করতে পেরে তাঁরা গর্বিত। ওয়াকিল জানান, এই কাজ কতটা কঠিন ছিল। ছোট জায়গার মধ্যে কেটে কেটে এগিয়ে যাওয়া ছিল বেশ চ্যালেঞ্জিং। সব শেষে, তাঁর আশ্বাস ভালভাবেই সব শেষ হয়েছে।
ঠিকাদারি সংস্থায় মাটির তলায় জলের লাইন, কেবল লাইন বসানোর কাজ করেন দিল্লির বাসিন্দা ওয়াকিল। কিন্তু উত্তরকাশীর ‘যুদ্ধ জয়ের’ পর ভারতের পতাকা হাতে, গোটা দেশের ‘হিরো’ তিনিই।
১৭ দিনের অভিযানে মিলল সাফল্য। সুড়ঙ্গের অন্ধকার থেকে মুক্তির পথে উত্তরকাশির শ্রমিকরা। উত্তরকাশির সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গে আটকে পড়া ৪১ জন শ্রমিকের মধ্যে ১ম শ্রমিককে নিয়ে বাইরে এলেন উদ্ধারকারীর। স্বস্তিতে শ্রমিক ও তাঁদের পরিবারের। পাইপের মাধ্যমেই বের করা হচ্ছে শ্রমিকদের। জানা গিয়েছে, এনডিআরএফ ও এসডিআরএফ টিম সুড়ঙ্গের ভিতরে যায়। সুরক্ষিতভাবে বাইরে নিয়ে আসা হয়েছে প্রথম শ্রমিককে।
সূত্রের খবর, শ্রমিকদের বার করার জন্য অ্যাম্বুলেন্সের স্ট্রেচারকেই ট্রলি হিসাবে ব্যবহার করেছেন উদ্ধারকারীরা।ট্রলি সমেত একজন এনডিআরএফ-এর জওয়ান শ্রমিক উদ্ধারে যান। সেই ট্রলিতেই শ্রমিককে শুয়ে বাইরে বের করে আনেন। প্রতি শ্রমিককে সুড়ঙ্গ থেকে বের করতে ৩ থেকে ৪ মিনিট সময় লাগবে বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, ২ থেকে ৩ ঘণ্টা সময় লাগবে সব শ্রমিককে উদ্ধার করতে। বাকি ৪০ জন শ্রমিকও সুরক্ষিত রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। আজকেই সবাইকে উদ্ধার করা হবে বলে জানিয়েছে উদ্ধারকারী দল।
উত্তর কাশীর সুড়ঙ্গ থেকে শ্রমিকদের উদ্ধারে কী ফের শাবল, গাঁইতি, কোদালে ফিরছে প্রশাসন। কারণ, এই উদ্ধারে গত কয়েকবার বারবার ধাক্কা খেয়েছে অত্যাধুনিক যন্ত্র। তাই নতুন করে ভিতরে আটকে থাকা শ্রমিকদের উদ্ধারে এমনটাই ইঙ্গিত উত্তরাখণ্ড সরকার। যদি উদ্ধার কাজে প্রাচীন পন্থায় ফিরতে হয়, তাহলে বিশেষজ্ঞদের দাবি, এর জেরে উদ্ধার আরও দেরি হতে পারে।
গত বাহাত্তর ঘণ্টায় বারবার থমকে গিয়েছে উত্তর কাশীর সুড়ঙ্গে শ্রমিকদের উদ্ধারের কাজ। ইতিমধ্যে ৫৭ মিটার পথ খুঁড়ে ফেলা সম্ভব হয়েছে। বাকি রয়েছে এখনও কয়েক মিটার। সেই কাজ করতে গিয়েই বারবার হোঁচট খেতে হচ্ছে।
সূত্রের খবর, শুক্রবার রাতে অগার যন্ত্রে যান্ত্রিক ত্রুটিোর কারণে কাজ বন্ধ করতে হয়। যন্ত্রটি যে উঁচু জায়গার উপর রেখে খননের কাজ চালানো হচ্ছিল, সেই জায়গাটিতেও নাকি আবার ফাটল দেখা দিয়েছে। গত ১২ নভেম্বর উত্তরকাশী জেলার ব্রহ্মতাল-যমুনোত্রী জাতীয় সড়কের উপর সিল্কিয়ারা এবং ডন্ডালহগাঁওের মধ্যে নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গের একাংশ ধসে পড়ে। সুড়ঙ্গটি সাড়ে আট মিটার উঁচু এবং প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার দীর্ঘ। কিন্তু কখন ওই ৪১ কর্মীকে উদ্ধার করা যাবে? সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নয় প্রশাসন।
সময় আর কাটছে না। অন্ধকার সুড়ঙ্গে আলোর মুখ দেখার অপেক্ষায় ৪১ জন শ্রমিক। কিন্তু, শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েও বারবার উদ্ধারকাজে বাধা আসছে। কতক্ষণ সময় লাগবে, তা নিশ্চিতভাবে বলতে পারছে না প্রশাসন। এই পরিস্থিতিতে শ্রমিকরা যাতে মনোবল না হারিয়ে ফেলেন, তার জন্য নতুন পরিকল্পনা করেছেন উদ্ধারকারীরা। আটকে পড়া শ্রমিকদের কাছে এবার লুডো, দাবা, চেস বোর্ড পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।
মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা: রোহিত গন্ডওয়াল পিটিআই-কে জানান, তাঁরা আমরা লুডো, দাবা এবং তাস পাঠানোর পরিকল্পনা করছেন শ্রমিকদের কাছে, যাতে তাঁদের মানসিক চাপ থেকে মুক্তি দেওয়া যায়। ৪১ জন শ্রমিকের প্রত্যেকেই ভাল আছেন। কিন্তু, মানসিকভাবে তাঁদের সুস্থ থাকতে হবে। তাঁর আরও দাবি, আটকে পড়া শ্রমিকরা তাঁদের জানিয়েছেন, মানসিক চাপ কমানোর জন্য তাঁরা চোর পুলিশ খেলে, যোগব্যায়াম করেন, শরীর চর্চা করেন। উল্লেখ্য, চিকিৎসকদের একটি দল প্রতিদিন শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁদের স্বাস্থ্য ও মানসিক অবস্থা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
প্রায় ১২ দিন ধরে সুড়ঙ্গের মধ্যে আটকে রয়েছেন ৪১ জন শ্রমিক। উত্তরকাশীতে ভেঙে পড়া সুড়ঙ্গ থেকে শ্রমিকদের বার করে আনতে বারবার বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে উদ্ধারকারীদের। সুড়ঙ্গের মাটি কাটার যন্ত্রে সমস্যা হওয়ায় বৃহস্পতিবার রাতেই শ্রমিকদের থেকে কয়েক মিটার দূরত্বেই থমকে যায় উদ্ধারকাজ। সুড়ঙ্গের কাছেই তৈরি করা মুখ্যমন্ত্রীর অস্থায়ী দফতরে সারা রাত কাটিয়েছেন পুষ্কর সিংহ ধামী
উত্তরাখণ্ডের সিল্কারার সুড়ঙ্গে আটকে পড়া ৪১ জন শ্রমিক আর কিছুক্ষণের মধ্যেই সূর্যের আলো দেখতে পারেন বলে আশা করছেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। তাঁরা জানিয়েছেন, উদ্ধারকার্য প্রায় শেষের মুখে। সেই সঙ্গেই টানেলের সামনেই আনা হয়েছে এম্বুলেন্স, ব্যাবস্থা করা হয়েছে অস্থায়ী হাসপাতালের।
জোজিলা সুড়ঙ্গের প্রোজেক্ট হেড এবং উদ্ধারকারী দলের সদস্য হরপাল সিং জানিয়েছেন, আশা করা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবার দুপুরের মধ্যে সুড়ঙ্গে আটক শ্রমিকদের বের করে আনা সম্ভব হবে।
আমেরিকায় তৈরি অত্যাধুনিক খননযন্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে উদ্ধারকাজে। অক্সিজেন মাস্ক পরে পাইপের মাধ্যমে সুড়ঙ্গে ঢুকেছেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যেরা। ঘটনাস্থলে রয়েছে ২০টি অ্যাম্বুল্যান্স। শ্রমিকরা বেরিয়ে এলেই তাঁদের পাঠানো হবে হাসপাতালে।
দিনের পর দিন উত্তর কাশীর সুড়ঙ্গের মধ্যে অন্যদের সঙ্গে আটকে রয়েছেন বাংলার শ্রমিক জয়দেব। বহু চেষ্টার পর উদ্ধারকারীদের মাধ্যমে পরিবারের কাছে একটি বার্তা পাঠাতে পেরেছেন তিনি৷ কী সেই বার্তা? জয়দেব বলেছেন, "মা, টেনশন কোরোনি৷ আমি ঠিক আছি। ঠিক সময়ে খেয়ে নেবে। বাবাকেও ঠিক সময়ে খেয়ে নিতে বলবে।"
জয়দেবের সঙ্গেই টানা ১০ দিন উত্তর কাশীর সিল্কারা সুড়ঙ্গে আটকে রয়েছেন একদল শ্রমিক। একটি ৬ ইঞ্চির পাইপলাইনের মাধ্যমে উদ্ধারকারী দল মঙ্গলবার আটকে থাকা শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পেরেছে। জয়দেব ওই পাইপের মাধ্যমে তাঁর সুপারভাইজারের সঙ্গে কথা বলেছেন৷ তিনি বলেন, তাঁর কথা রেকর্ড করা হোক। কারণ তিনি তাঁর মায়ের কাছল একটি বার্তা পাঠাতে চান। এরপরেই তিনি রেকর্ড করে তাঁর মর্মস্পর্শী বার্তা।
অন্য শ্রমিকরাও পাইপলাইনের মাধ্যমে তাঁদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন। ভয়াবহ অবস্থার মধ্যেও তাঁরা বার বার পরিজনদের বলেছেন শান্ত থাকতে। বলেছেন, তাঁরা যেন ভয় না পান, উদ্বিগ্ন না হন।
উদ্ধারকারীরা একটি ক্যামেরার মাধ্যমে সুড়ঙ্গের ভিতরটা দেখতে পারছেন। তাঁরা জানিয়েছেন সেখানে নড়াচড়া করার জায়গা রয়েছে। আটকে পড়া শ্রমিকদের ক্যামেরার লেন্স পরিস্কার করতে বলা হচ্ছে৷ জল এবং হাওয়ার মাধ্যমে পাইপলাইন সাফ করা হচ্ছে।
অবশেষে কিছুটা স্বস্তি! উত্তরকাশীর (Uttarkashi) নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গে আটকে পড়া ৪১ জন শ্রমিকের ছবি-ভিডিও এবারে প্রকাশ্যে এল। সুড়ঙ্গে আটকে পড়ার ১০ দিনের মাথায় অর্থাৎ মঙ্গলবার শ্রমিকদের মুখ দেখা গেল। সেই ছবিগুলো এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। আবার প্রধানমন্ত্রী মোদীও এই বিষয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন ও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে রীতিমত যোগাযোগ রাখছেন তিনি।
১২ নভেম্বর ভোরে ধস নামে উত্তরাখণ্ডের সিল্কিয়ারায় নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গে, আর সেখানেই আটকে পড়েছিলেন ৪১ জন শ্রমিক। ৯ দিন পর, অবশেষে গরম খাবার পান আটকে পড়া শ্রমিকরা। সোমবার, একটি ৬ ইঞ্চি প্রশস্ত পাইপ ধ্বংসস্তূপের মধ্য দিয়ে প্রবেশ করাতে সফল হয়েছেন উদ্ধারকারীরা। এর কিছুক্ষণ পরই, ওই পাইপ দিয়ে বোতলে করে গরম খাবার পাঠানো হয়েছে। ওই পাইপের মধ্যেই পাঠানো হয়েছিল একটি ক্যামেরা। আর সেই ক্যামেরার সাহায্য়েই প্রথমবার আটকে পড়া শ্রমিকদের ছবি-ভিডিও প্রকাশ্যে এল। তাঁদের প্রত্যেকের মাথায় দেখা যাচ্ছে, হলুদ রংয়ের হেলমেট। একে অপরের সঙ্গে কথা বলছেন। ফলে মনে করা হচ্ছে, তাঁরা এখনও পর্যন্ত সুস্থই রয়েছেন। তবে তাঁদের সুড়ঙ্গ থেকে বের করার জন্য জোরকদমে চলেছে উদ্ধারকাজ।
VIDEO | First visuals of workers stuck inside the collapsed Silkyara tunnel in #Uttarkashi, Uttarakhand.
— Press Trust of India (@PTI_News) November 21, 2023
Rescuers on Monday pushed a six-inch-wide pipeline through the rubble of the collapsed tunnel allowing supply of larger quantities of food and live visuals of the 41 workers… pic.twitter.com/mAFYO1oZwv
দীপাবলির সকালে উত্তর কাশীর কাছে একটি নির্মীয়মান টানেলে ভয়াবহ ধস নামে। কমপক্ষে ৪০ জন শ্রমিক আটকে পড়েন টানেলে।শুরু হয় উদ্ধারকাজ। ছয় দিন পেরিয়ে গেলেও ওই টানলের মধ্যেই রয়েছেন শ্রমিকরা। উদ্ধারকারীরা সামনের দিক থেকে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়েও বারবার ব্যর্থ হচ্ছেন। এবার উপরের দিক থেকে খননকার্য চালিয়ে সুড়ঙ্গে প্রবেশের পরিকল্পনা করছেন উদ্ধারকারী। দিল্লি থেকে বিশেষ অত্যাধুনিক মেশিন আনা হয়। কিন্তু তাতে সমস্যা দেখা দিলে বিদেশি একটি যন্ত্রের মাধ্যমে খননের কাজ চলছিল। ইন্দোর থেকেও একটি যন্ত্র আনার কাজ চলছে। সেটি এসে পৌঁছলে শুরু হবে মাটি খোঁড়ার কাজ।
জানা গিয়েছে, সুড়ঙ্গের ৬০ মিটার দীর্ঘ ধ্বংসস্তূপের পিছনে আটকে রয়েছেন শ্রমিকরা। পাইপের মাধ্যমে খাবার, অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে। শুক্রবার দুপুর ২.৪৫ নাগাদ সুড়ঙ্গ খুঁড়ে পঞ্চম পাইপটি ঢোকানোর সময় বিপদ ঘটে। সুড়ঙ্গ ভাঙার তীব্র শব্দ কানে আসে উদ্ধারকারীদের। তৎক্ষণাৎ উদ্ধারকাজ থামিয়ে দেওয়া হয়।
সূত্রের খবর, রবিবার ভোর চারটে নাগাদ আচমকা উত্তর কাশীর কাছে একটি নির্মীয়মান সুড়ঙ্গে হঠাৎ ধস নামে। ফলে সেই ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আটকে পড়েন ৪০ জন শ্রমিক। রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী থেকে শুরু করে এনডিএ এবং পুলিসও উদ্ধারকাজ শুরু করে। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি জানিয়েছেন, উদ্ধারকাজ কেমন চলছে তা নিয়ে প্রতিনিয়ত ঘটনাস্থলে থাকা আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। কোনও রকম সাবধানতা না নিয়েই সেখানে কাজ চলছিল কিনা সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, উত্তর কাশীর এসপি অর্পণ যদুবংশী জানান, যমুনোত্রী ন্যাশনাল হাইওয়েতে, সিল্কিয়ারা থেকে ডান্ডালগাঁও পর্যন্ত সুড়ঙ্গটি তৈরি করা হচ্ছিল। দর্শনার্থীরা যাতে সারা বছরই চারধামে যেতে পারেন, তাই সুড়ঙ্গ তৈরির কাজ চলছিল। এই রাস্তা তৈরি হলে উত্তরকাশী থেকে যমুনোত্রী ধাম যাওয়ার পথ অন্তত ২৬ কিলোমিটার কমে যাবে। ওই টানেলের শুরুর প্রায় ২০০ মিটার দূরে টানেলটি ভেঙে গিয়েছে।
উৎসবের মরশুমে উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand) বড় বিপর্যয়। দীপাবলির সকালে উত্তর কাশীর কাছে একটি নির্মীয়মান টানেলে ধস নামে। কমপক্ষে ৪০ জন শ্রমিক তার মধ্যে আটকে রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। তবে এখনও কোনও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামিও। তিনি জানান, সেখানে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে এনডিআরএফ ও এসডিআরএফ।
সূত্রের খবর, রবিবার ভোর চারটে নাগাদ আচমকা উত্তর কাশীর কাছে একটি নির্মীয়মান সুড়ঙ্গে হঠাৎ ধস নামে। ফলে সেই ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আটকে কমপক্ষে ৪০ জন শ্রমিক। রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দল উদ্ধারকাজ শুরু করেছে। এসডিআরএফের ডিরেক্টর জানিয়েছেন উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। তারপরে উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল এবং পুলিস। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি জানিয়েছেন উদ্ধারকাজ কেমন চলছে তা নিয়ে প্রতিনিয়ত ঘটনাস্থলে থাকা আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। কোনও রকম সাবধানতা না নিয়েই সেখানে কাজ চলছিল কিনা সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, উত্তর কাশীর এসপি অর্পণ যদুবংশী জানান, যমুনোত্রী ন্যাশনাল হাইওয়েতে, সিল্কিয়ারা থেকে ডান্ডালগাঁও পর্যন্ত সুড়ঙ্গটি তৈরি করা হচ্ছিল। দর্শনার্থীরা যাতে সারা বছরই চারধামে যেতে পারেন, তাই সুড়ঙ্গ তৈরির কাজ চলছিল। এই রাস্তা তৈরি হলে উত্তরকাশী থেকে যমুনোত্রী ধাম যাওয়ার পথ অন্তত ২৬ কিলোমিটার কমে যাবে। ওই টানেলের শুরুর প্রায় ২০০ মিটার দূরে টানেলটি ভেঙে গিয়েছে।
দিনের আলোয় প্রকাশ্যে ডাকাতি (Robbery)। দিল্লির (Delhi) এই ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার। বন্দুক ধরে নগদ ২ লক্ষ টাকা চুরি করে চম্পট দিল চার দুষ্কৃতি। সেই দৃশ্যই আবার ধরা পড়েছে সিসিটিভি ক্যামেরায়। দেখা গিয়েছে, নয়া দিল্লির প্রগতি ময়দান টানেলের ব্যস্ত রাস্তায় একের পর এক গাড়ি চলছে। কিন্তু হঠাৎ দুটি বাইক একটি সাদা ক্য়াবের সামনে দাঁড়িয়ে গাড়িতে থাকা যুবকদের উপর বন্দুক ধরে তাঁদের হাত থেকে একটি ব্যাগ কেড়ে নিয়েই পালিয়ে যায় দুষ্কৃতিরা। কীভাবে দিনের আলোতেও এমন ঘটনা ঘটছে, ফলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
#WATCH | A delivery agent and his associate were robbed at gunpoint of Rs 1.5 to Rs 2 lakh cash by a group of unknown assailants inside the Pragati Maidan Tunnel on June 24. Police registered a case and efforts are being made to apprehend the criminals: Delhi Police
— ANI (@ANI) June 26, 2023
(CCTV… pic.twitter.com/WchQo2lXSj
সূত্রে খবর, শনিবার দিনের বেলায় একটি সাদা রংয়ের ক্যাবে করে এক সংস্থার ডেলিভারি বয় ও তাঁর সহযোগী ২ লক্ষ টাকা নিয়ে যাচ্ছিলেন। সেসময়েই দুটো বাইকে করে এসে চারজন দুষ্কৃতি বন্দুক দেখিয়ে তাঁদের থেকে টাকার ব্যাগটা কেড়ে নেয়। এরপরেই সেখান থেকে পালিয়ে যায় তারা। তখনও রাস্তা দিয়ে গাড়ি চলাচল করছিল। কিন্তু কেউ সাহায্য করতে এগিয়ে আসেননি।
নয়া দিল্লির ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিস প্রণব তয়াল জানিয়েছেন, ক্যাবে ওমিয়া এন্টারপ্রাইজের ডেলিভারি এজেন্ট পাটেল সজন কুমার ও তাঁর সহযোগী জিগর পাটেল ছিলেন। তাঁরা একজনকে টাকার ব্যাগটি দিতে গুরুগ্রাম যাচ্ছিলেন। পরে সজন কুমার তিলক মার্গ পুলিস স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করেছেন। দুষ্কৃতিদের ধরতে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিস।
বউবাজার সুড়ঙ্গ (Tunnel Disaster) বিপর্যয়ের পর্যালোচনা বৈঠক শনিবার বিকেলে হয়েছে নবান্নে (Nabanna)। প্রথমে এই বৈঠক কলকাতা পুরসভায় আয়োজনের কথা থাকলেও পরে স্থান বদলিয়েছে। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, মেয়র, মেট্রো কর্তৃপক্ষ (KMRCL) এবং রেল বোর্ডের সদস্যরা। এই বৈঠকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর নির্দেশেই বৈঠক শেষে বউবাজার ছোটেন মেয়র, সিপি, মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিব। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী এই পরিস্থিতির জন্য খুব উদ্বিগ্ন। তিনি বারবার স্থানীয়দের খোঁজ খবর নিয়েছেন। পাশাপাশি মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দেন সবপক্ষকে নিয়ে একতা হাইপাওয়ার বৈঠক করে এই সমস্যার সমাধান বের করতে। সেই মোতাবেক মেট্রো, কন্ট্রাক্টর, পুরসভা, রাজ্য প্রশাসন, কলকাতা পুলিস সবপক্ষকে নিয়ে মুখ্যসচিব বৈঠক করেন।'
তিনি জানান, এই বৈঠকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা ছিলেন। ভার্চুয়ালি ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীও। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন এই এলাকায় অবিলম্বে একতা ক্যাম্প খাঁটিয়ে কোথায় কী সমস্যা হচ্ছে স্থানীয়দের সেটা দেখা। সেই ক্যাম্পে থাকবেন কাউন্সিলর, লোকাল থানার ওসি। পাশাপাশি KMRCL এই ধরনের কাজে আবার হাত দিলে আমাদের অন্তত আগাম জানাতেই হবে। বাড়িতে ফাটল এবং ভেঙে যাওয়ার পর মানুষকে বের না করে আগেভাগে বাসিন্দাদের স্থানান্তরিত করব।
তিনি বলেন, 'দুর্গা পিতুরি লেনে প্রায় ৭১টি বাড়ি ভেঙে পুনর্নির্মাণ করা হবে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেই কাজ সম্পন্ন করবে KMRCL। এখান থেকে যারা বেড়িয়ে গিয়েছেন তাঁদের ৫ লক্ষ টাকা পাবেন। বিশেষ করে যারা ৩০ দিনের বেশি বাড়ির বাইরে থাকবেন তাঁরা ৫ লক্ষ টাকা আর একমাসের কম যারা বাড়ির বাইরে থাকবেন, তাঁদের ১ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ পাবেন। যারা দোকান মালিক প্রতি ১০০ বর্গফুট বিচারে তাঁরা ক্ষতিপূরণ পাবেন।'