Breaking News
Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?      Sarabjit Singh: ভারতীয় বন্দি সরবজিৎ সিং-এর হত্যাকারী সরফরাজকে গুলি করে খুন লাহোরে      BJP: ইস্তেহার প্রকাশ বিজেপির, 'এক দেশ এবং এক ভোট' লাগু করার প্রতিশ্রুতি      Fire: দমদমে ঝুপড়িতে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড, ঘটনাস্থলে দমকলের একাধিক ইঞ্জিন      Bengaluru Blast: বেঙ্গালুরু ক্যাফে বিস্ফোরণকাণ্ডে কাঁথি থেকে দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করল এনআইএ      Sheikh Shahjahan: 'সিবিআই হলে ভালই হবে', হঠাৎ ভোলবদল শেখ শাহজাহানের      CBI: সন্দেশখালিকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের...     

Tripura

Mamata: 'যখন তোমার কেউ ছিল না, তখন ছিলাম আমি', ত্রিপুরায় দাবি মমতার

'ত্রিপুরা আমার ঘর।' ভোট প্রচারে আগরতলা (Agartala) নেমে এই দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। তিনি জানান, 'নিজের ভাষায় কথা বলা, পছন্দসই রান্না খাওয়ার পাশাপাশি বাংলা এবং ত্রিপুরার (Tripura Vote) খাওয়া-দাওয়া এক। ওদের বেশভূষা, চলন-বলন বাংলার মতোই। সবচেয়ে বড় কথা বাংলা ভাষায় কথা বলা যায়।'

তিনি ত্রিপুরাবাসীকে অভিনন্দন জানিয়ে জানান, 'যখন কেউ ছিল না, বিজেপির একতরফা অত্যাচার চলছিল ত্রিপুরায়। আগে যখন কংগ্রেস ক্ষমতায় ছিল, আমি সন্তোষমোহন দেব এবং অন্যরা ত্রিপুরায় ঘুরে ঘুরে কাজ করেছি। ত্রিপুরার সঙ্গে বাংলার কানেকশন ভালো। যখন তোমার কেউ ছিল না, তখন ছিলাম আমি।' 

তৃণমূল নেত্রীর অভিযোগ, 'আগামিকাল আমাদের মিছিল আছে। সেখানে কীভাবে আমাদের উপর অত্যাচার হয়েছে, সে বিষয়ে বলবো। তৃণমূলের সাংসদ, কর্মী-সমর্থকদের উপর আক্রমণ হয়েছে। দোলা সেন, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুস্মিতা দেবের এঁদের গাড়িতেও হামলা হয়েছে।' 

one year ago
Tripura: ভোটমুখী ত্রিপুরায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী! 'বিকাশের পথে রাজ্য', দাবি অমিত শাহর

সোমবার ত্রিপুরার রাজনীতি (Tripura Politics) মেগা ডুয়েটের মুখোমুখি। একইদিনে সে রাজ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। ত্রিপুরা দখলে কোমর বেঁধে নেমেছে ঘাসফুল শিবির (TMC)। পাশাপাশি উত্তর-পূর্বের এই রাজ্য ধরে রাখতে ইতিমধ্যেই রণকৌশল চূড়ান্ত করেছে গেরুয়া শিবির (BJP)। এই পরিবেশে আগামি ১৬ ফেব্রুয়ারির ভোট যুদ্ধের আগে জনতার মন জয়ে প্রচারের ঝড় তুলছে ঘাসফুল, পদ্মফুল দুই শিবিরই।

এদিন খোয়াইয়ের এক জনসভায় দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গত পাঁচ বছরে রাজ্যের উন্নয়নমূলক কর্মসূচির প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। তাঁর দাবি, 'ত্রিপুরায় বিজেপি বিনাশ সরিয়ে বিকাশের পরিবেশ এনেছে। ত্রিপুরা মানে আগে আদিবাসীদের উপর অত্যাচার, বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী, সন্ত্রাসবাদ, মাদক পাচার, মানব পাচার এবং দুর্নীতি। কিন্তু গত পাঁচ বছরে বিপ্লব দেব এবং মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার নেতৃত্বে রাস্তা, ব্রিজ তৈরি হচ্ছে, পানীয় জল সরবরাহ হচ্ছে। বিনিয়োগ আসছে। আদিবাসী মা-বোনেদের স্বনির্ভর করার কাজ চলছে।' 

বিজেপি এসে রাজ্যের একাধিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে শান্তি আলোচনা চালিয়ে বিনাশের জায়গায় বিকাশ স্থাপন করেছে। কম্যুনিস্ট শাসনে ত্রিপুরায় হিংসার বাতাবরণ, বিবাদ ছিল। কিন্তু ত্রিপুরায় এখন বিশ্বাসের বাতাবরণ। এই দাবি এদিন করেছেন দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী।

এদিন তিনি কংগ্রেস এবং বামেদের অপশাসনকে কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি। আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম ত্রিপুরায় শান্তি ফিরবে। সেই পরিবেশ ফিরিয়ে আনা হয়েছে। আগামি ৫ বছরে ত্রিপুরাকে উত্তর-পূর্বের মধ্যে আরও সমৃদ্ধ রাজ্য বানাবে বিজেপি। এই দাবি করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

one year ago
Tripura: ত্রিপুরার ভোট, কে কোথায় দাঁড়িয়ে (পর্ব ৮)

প্রসূন গুপ্ত: ত্রিপুরায় বাঙালি ও উপজাতি রয়েছে, যা এর আগেও বলেছি। কিন্তু সে রাজ্যের বাঙালিদের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের যেমন মিল রয়েছে তেমন অমিলও বিস্তর। মিল রয়েছে সংস্কৃতিতে, পুজো-অর্চনা, শিক্ষাক্ষেত্রে। সেখানেও ঘটা করে পয়লা বৈশাখ থেকে রবীন্দ্র- নজরুল জয়ন্তী যেমন পালিত হয় তেমনই দুর্গাপুজো ওই রাজ্যের প্রধান উৎসব। তারপর কালীপুজো,সরস্বতী পুজো ইত্যাদি নিয়ম করে পালিত হয়ে থাকে। এ রাজ্যে যেমন বইমেলা পালিত হয় তেমন আগরতলা বইমেলাও প্রতিবছর পালিত হয় রাজবাড়ীর সামনের মাঠে।

কিন্তু অমিলও আছে, প্রথমত ভাষাগত। এখানকার বাঙালি বলতেই ওপার বাংলার কুমিল্লা ও নোয়াখালী থেকে আগত উদ্বাস্তু। বাংলাদেশ বা উত্তরবঙ্গের মানুষের ভাষার মতো পূর্ববঙ্গীয় ভাষা এখানে। এখানকার মানুষের খাওয়াদাওয়া একটু ভিন্ন। এখানে ছুটির দিনে জলখাবার থেকে নৈশভোজ অবধি ভাত চলে। তিন বেলায় ভাত, লুচি-পরোটা বা চাউমিন অথবা পাউরুটি যে চলে না, তা নয় কিন্তু এই খাবারের প্রতি ঝোঁক কম। মাছ খেতে ত্রিপুরাবাসী খুব ভালোবাসে কিন্তু মাছ মাংস থেকে তরিতরকারির দাম প্রচণ্ড।

কলকাতার রাস্তায় এখনও ২৫ টাকায় ভাত-ডাল-সবজি পাওয়া যায়। কিন্তু আগরতলার যেকোনও ভাতের হোটেলে সবজি-ডাল-ভাত খেতে ৭৫ টাকা খরচ হয়। মাছ-ভাত ২৫০ থেকে ৭০০ টাকা অবধি দাম ওঠে কাজেই এখানকার মানুষ পারতপক্ষে রাস্তায় বা হোটেলে খেতে চান না।

চাকরি বলতে সরকারি। পশ্চিমবঙ্গে ১২% মানুষ সরকারি চাকরি করে এবং বাকি বেসরকারি। কিন্তু ওই রাজ্যে চাকরি মানেই সরকারি, কিছুটা বেসরকারি। সমস্যা শিল্প-বাণিজ্য নেই, কাজ করবে কোথায়? কিছু সংস্থার শাখা অফিস যা আছে তাতে ক'জনই বা কাজ করে।ব্যবসা বলতে ট্রেডিং। আসলে ত্রিপুরায় শিল্প হলে তার প্রোডাক্ট সারা ভারতে পাঠাতে যে পরিমান জ্বালানি খরচ হবে তাতে ভারতের অন্য প্রান্তের ওই একই প্রোডাক্টের দামের কাছে মার খাবে এ রাজ্যের প্রোডাক্ট। ফলে চাকরির বাজার খুবই খারাপ।

বর্তমানে রাজ্যের মানুষের দাবি কর্ম-দ্রব্যমূল্য হ্রাস। কংগ্রেস থেকে বর্তমান বিজেপি সরকার কেউই এই সমস্যার সমাধান খুঁজে পায়নি। (চলবে) 

one year ago


Tripura: ত্রিপুরার ভোট, কে কোথায় দাঁড়িয়ে (পর্ব ৭)

প্রসূন গুপ্ত: রাজনীতির ট্যুইস্ট, নতুন ঘটনা কিছু নয়, মোদী সরকারের আমলে বিভিন্ন রাজ্যে বিরোধী সরকার পড়েছে, নতুন ইকুয়েশন তৈরি হয়েছে। দেখা গিয়েছে, এমনও যে দলের সঙ্গে বিজেপির কোনও কালেও সুসম্পর্ক ছিল না তারা হঠাৎই বিজেপির জুড়িদার হয়েছে যথা হরিয়ানা। আবার মহারাষ্ট্রে শিবসেনা ভেঙে দু'টুকরো হয়েছে। তেমনটা কী হচ্ছে ত্রিপুরায়?

যদিও বর্তমান ত্রিপুরা সরকারে বিজেপিই একক সংখ্যাগরিষ্ঠ কিন্তু তাদের জোট সঙ্গী আছে ত্রিপুরা আদিবাসীদের আইপিএফটি। এবার ভোটেও আইপিএফটি ফের জোটবদ্ধ কিন্তু এখন তাদের দল বলতে কিছুই নেই। দলের নেতা-বিধায়করা যোগ দিয়েছে নতুন দল তিপরা মোথাতে। বিজেপি দফায় দফায় এই তিপরা মোথার সঙ্গে বৈঠক করেও তাদের বাগে আনতে পারেনি।

দলের মূল কাণ্ডারি ত্রিপুরার মহারাজ প্রদ্যোত বিক্রম মানিক্য দেববর্মন। রাজার হুকুম একাই লড়তে হবে, কারণ নাকি ত্রিপুরীরাই ত্রিপুরার আসল দাবিদার। এখানে বাঙালি ও ত্রিপুরীদের মধ্যে ভেদাভেদ রয়েছে স্বাধীনতার পর থেকেই। আইপিএফটি যদিও স্থানীয় উপজাতির দল। কিন্তু বর্তমানে উপজাতি ভোটাররা তাদের উপর নাকি ভরসা হারিয়েছে! এমনটাই কানাঘুষো।

জানা যাচ্ছে ১৮টি উপজাতি আসনে কোনওভাবে প্রভাব ফেলতে পারবে না আইপিএফটি।  বৃহস্পতিবার শেষ খবর, কংগ্রেস ও বামের জোটের সংকট শেষ হয়েছে। এই দুই দল একত্রে ভোট লড়বে কিন্তু পরোক্ষভাবে তাদের কাছে পেতে আগ্রহী তিপরা মোথা। সে তো ঠিক আছে কিন্তু লড়াই হবেটা কি করে?

এখানেই ট্যুইস্ট। বাম ও কংগ্রেস মোটামুটি ৬০টি আসনেই ভাগাভাগি করে প্রার্থী দিচ্ছে অন্যদিকে তিপরা মোথা ৪৮টি আসনে ইতিমধ্যে প্রার্থী ঠিক করে ফেলেছে। তবে জোট হচ্ছে কী করে। এই জোট তলায় তলায়। ১৮টি উপজাতি অঞ্চলে কংগ্রেস ও বামেরা দুর্বল প্রার্থী দেবে অন্যদিকে টিএম দল ১৮টি আসন বাদে বাকি আসনগুলোয় দেবে দুর্বল প্রার্থী। খুব ঝুঁকির লড়াই তবে এমন কাণ্ড তো বিস্তর ঘটেছে ভারতীয় রাজনীতিতে। এবার দেখার কী প্রতিফলন দাঁড়ায় ভোটবাক্সে।

one year ago
Brown Sugar: ভোটমুখী ত্রিপুরায় ২০ লক্ষ মূল্যের ব্রাউন সুগার-সহ পুলিসের হাতে ধৃত গরু ব্যবসায়ী

ত্রিপুরার (Tripura) ৬০ আসনের বিধানসভার নির্বাচন (Assembly election) ১৬ ফেব্রুয়ারি। নির্বাচনে বামফ্রন্ট সমঝোতা করেছে কংগ্রেসের সঙ্গে। বহুকাল ধরে কংগ্রেস বনাম বামেদের লড়াই দেখা গিয়েছে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে। পরবর্তীকালে বিজেপি (BJP) সেখানের ক্ষমতায় এসেছে। আর সেই নির্বাচন ঘিরে এবার উত্তপ্ত ত্রিপুরার রাজনীতি। নির্বাচনের আগে পুলিসের জালে ধরা পড়ছে একের পর এক নেশা কারবারী।

বৃহস্পতিবার আমতলী থানা অধীনস্থ পশ্চিম গোকুলনগর ফুলতলী এলাকায় ১১ প্যাকেটে ১২১ গ্রাম ব্রাউন সুগার-সহ আটক করা হয়েছে একজনকে। অভিযুক্তর নাম মহম্মদ জহর মিয়াঁ। বাড়ি পশ্চিম গোকুলনগর, পেশায় গরু ব্যবসায়ী বলে জানা গিয়েছে।

পুলিস গোপন সূত্রে  অভিযুক্তর বিষয়ে বহুদিন আগেই খবর পেয়েছিল। নজর ছিল তাঁর উপর। অবশেষে বৃহস্পতিবার হাতেনাতে পুলিস তাঁকে ধরেছে। আমতলী থানার ওসি প্রাজিত মালাকার জানান, উদ্ধারকৃত ব্রাউন সুগারের বাজারমূল্য ২০ লক্ষ টাকা। শুক্রবার অভিযুক্তকে আদালতে তোলা হবে বলে খবর।

one year ago


Poll: ত্রিপুরার ভোট, কোন দল কোথায় দাঁড়িয়ে (ষষ্ঠ পর্ব)

প্রসূন গুপ্ত: কোন দল কোথায় দাঁড়িয়ে তা শেষ পর্যন্ত প্রশ্নই থেকে যাবে ত্রিপুরায়। আপাতত প্রচার শুরুর অবস্থান যে যেখানে দাঁড়িয়ে, সেখান থেকেই। তিপরা মোথা নামক নতুন দলের প্রধান প্রদ্যোত বিক্রম মানিক্য দেববর্মন মোটামুটি নিজের দলের ভরসায় ভোট লড়ার প্রস্তুতি নিয়েছে। মাণিক্যের পূর্বপুরুষ একসময় কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। শুধু তাই নয় আইনসভাতেও তাঁদের প্রতিনিধিত্ব ছিল। কিন্তু দিন পালটেছে, দীর্ঘদিন বামেরা ত্রিপুরা রাজ্য চালিয়েছে নিজেদের দলে থাকা আদিবাসী নেতাদের সঙ্গেই। এখানে আদিবাসীরা আলাদা দল গড়লেও রাজ্যে ছাপ ফেলতে পারেনি।

কিন্তু বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর আদিবাসী উন্নয়নে কাজ হচ্ছে না বলে বিজেপির জোটসঙ্গী আইপিএফটি বারবার আবেদন করেছিল। বর্তমানে ওই দলের প্রায় সব বিধায়ক তিপরা মোথা দলে যোগ দিয়েছে। ত্রিপুরার ৬০টি আসনের মধ্যে ২০টি আসন কিন্তু আদিবাসীদের জন্য সংরক্ষিত। ফলে প্রশ্ন থাকতেই পারে ভাঙা দল আইপিএফটি সেখানে দাঁত ফোটাতে পারবে কি?

প্রচারের প্রাথমিক লগ্নে ৬০টি আসনের মধ্যে ৪৮ আসনে তিপরা মোথা প্রার্থী দিয়েছে। তাদের দাবি ১৮টি আসনে তাদের জয় নিশ্চিত। যদি তাই হয় তবে প্রশ্ন বিজেপির জোটসঙ্গী একটিও আসন জয় করতে পারছে না। কাজেই বিজেপিকে বাকি ৪২ আসনের মধ্যে ৩১ আসন জিততেই হবে ক্ষমতায় ফিরতে। অবশ্য ওপিনিয়ন পোল ইত্যাদি যা দেখাচ্ছে তাতে খোদ ত্রিপুরাবাসীর ভরসা নেই।

এখানে ওপার বাংলা থেকে আগত বাঙালির অবস্থান ৯৫ শতাংশ এবং এই আদিবাসী ও বাঙালি ভোটারদের মধ্যে সখ্যতা নেই। পশ্চিমবঙ্গে যেমন ২০১৯-এর নির্বাচনে বিজেপি ১৮টি আসন জয় করেছিল। সেই ফর্মুলায় ত্রিপুরায় পদ্ম শিবির চেষ্টা করবে বাঙালি ও আদিবাসীদের মধ্যে ভোট ভাগাভাগি করে ঝুলি ভরানোর।

কিন্তু এতেও সমস্যা আছে। ওই ২০টি আদিবাসী এলাকায় প্রার্থী দিতে হবে বিজেপিকে। সেক্ষেত্রে প্রার্থী যেই হোক, তার আদিবাসী হওয়া জরুরি। এখানেই বাঙালি ভোটারদের মধ্যে প্রশ্ন থাকবে যে সেই তো বাঙালি/আদিবাসী জোটেই সরকার হচ্ছে। কাজেই খুব হিসাব করে এগোতে হচ্ছে বিজেপিকে। এদিকে বৃহস্পতিবার সকালেই বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা কিন্তু কালবিলম্ব না করে প্রচারে বেড়িয়েছেন। (আগামী সংখ্যা দেখুন)  


one year ago
Tripura: ত্রিপুরায় ভোট, কে কোথায় দাঁড়িয়ে (পর্ব পাঁচ)

প্রসূন গুপ্ত: ভোট দিন ধার্য হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে ত্রিপুরায়। কাজেই সব দলের সাজো সাজো রব। ভোটের বালি ঘড়ি যত এগোচ্ছে, দেখা যাচ্ছে যথেষ্ট টেনশনে সমস্ত দলই। ত্রিপুরার বছর ছয়েক আগে বিজেপি বলে কোনও দল খাতায় কলমে ছাড়া অন্য কোথাও ছিল না। এখন প্রশ্ন হচ্ছে যদি নাই থাকবে তবে তারা ক্ষমতায় এলো কী করে?

আসলে ত্রিপুরার মানুষ একটা পরিবর্তন চাইছিলো। দীর্ঘদিন বাম শাসনে খুশি ছিল না ওই রাজ্যের মানুষ। যদিও এটা বাস্তব পশ্চিমবঙ্গের মতো ত্রিপুরার বাঙালিরা একটু বাম ঘেঁষা, কারণ পরিষ্কার। স্বাধীনতার সময়ে ভারত ভাগ হওয়ার ফলে লক্ষ লক্ষ হিন্দু দুই পাকিস্তান থেকে উদ্বাস্তু হয়ে এই দেশের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, অসম এবং পঞ্জাবে আশ্রয়ে নেয়। ওই সময়ে দেশের কমিউনিস্টরা তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে আন্দোলন করে এবং উদ্বাস্তুদের কাছে প্রমাণ করার চেষ্টা করে যে দেশের কংগ্রেসকে দিয়ে কিছু হবে না বাম ও গণতান্ত্রিক দল দরকার। লক্ষ্য করে দেখলে প্রমাণ হবে এই চার রাজ্যেই কমিউনিস্টরা তাদের শক্তি বাড়িয়েছিল।

ক্ষমতায় এসে বামেরা দীর্ঘদিন রাজ করেছে বাংলা ও ত্রিপুরায়। সেই বাম মনোভাব কেটেছে শেষ পর্যন্ত অনটনে। পরিবর্তন এসেছে বাংলায়, ত্রিপুরায়। ত্রিপুরায় বিজেপি আসার কোনও কথাই ছিল না। ওই রাজ্যের বিরোধী কংগ্রেস ভেঙে গেলে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় তৃণমূল।

এলাকার মানুষ বলে মুকুল রায় এবং সব্যসাচী দত্তের উপর দায়িত্ব রাখাটা ভুল ছিল মমতার। এই দোদুল্যমান অবস্থা চলার সময়ে বিজেপি তাদের সংগঠন নিয়ে আসে ত্রিপুরায় এবং বিরোধীরা একযোগে চলে যায় বিজেপিতে। কিন্তু তারপর তারা ক্ষমতায় আসার পর একটা সংঘাত বাঁধে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব ও প্রাক্তন কংগ্রেসীদের মধ্যে। এমনটাই কানাঘুষো শোনা যায়।

এক সময়ে বাধ্য হয়েই বিপ্লবকে সরিয়ে একসময়ের কংগ্রেসি মানিক সাহাকে মুখ্যমন্ত্রী করে ড্যামেজ কন্ট্রোল করে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আপাতত ওই ফর্মুলা থেকে অনেকটাই সরে আবার নতুন ভাবে এবারের ভোটার পরিকল্পনা করছে তারা। ২৩ জন নতুন মুখ নেওয়া হয়েছে। বিপ্লব দেবকে টিকিট দেওয়া হচ্ছে না ইত্যাদি। কিন্তু এতেই কি কাজ হবে তার জন্য অপেক্ষা রেজাল্ট আউট অবধি। (চলবে)

one year ago
Tripura: বিধানসভা ভোটের প্রার্থীতালিকা ঘোষণা বিজেপির, তালিকায় মানিক-প্রতিমা! নেই বিপ্লব দেব

আসন্ন ২০২৩ ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনকে (Tripura Assembly Election) ঘিরে ইতিমধ্যে বিভিন্ন দল প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করেছে। শনিবার প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করল ভারতীয় জনতা পার্টি (Bharatiya Janata Party)। ৬০টি আসনের মধ্যে ৪৮টি আসনের প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করল বিজেপি (BJP)। তাঁদের মধ্যে ১১ জনই মহিলা প্রার্থী। বাকি ১২ জন প্রার্থীর নাম খুব শীঘ্রই ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে গেরুয়া শিবির। শনিবার দিল্লির ভারতীয় জনতা পার্টির কেন্দ্রীয় অফিসে বসে সাংবাদিক বৈঠকে এই ঘোষণা করেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অরুণ সিং এবং সর্বভারতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্র।

এই ৪৮টি আসনের মধ্যে হেভিওয়েট প্রার্থীরা হলেন মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডাক্তার মানিক সাহা, যিনি আট টাউন বড়দোয়ালি আসনের বর্তমান বিধায়ক। ধনপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে লড়বেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের বিধানসভা কেন্দ্র ৯ বনমালিপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে লড়ছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য।

উল্লেখ্য, আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন, ২ মার্চ ফল ঘোষণা। ২৫ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়েছিল বিজেপি ২০১৮ সালে। তাই এবারে ত্রিপুরায় বিজেপি-কে হারাতে সমঝোতার পথে হেঁটেছে বামফ্রন্ট-কংগ্রেস৷

one year ago


Tripura: ত্রিপুরার ভোটপর্ব , কোন দল কোথায় দাঁড়িয়ে (পর্ব ৪)

প্রসূন গুপ্ত: অবশেষে মধ্য ফেব্রুয়ারিতে ত্রিপুরায় ভোট। ৬০টি কেন্দ্রে একদফাতেই ভোট গ্রহণ। এবার ভোটপর্বে আরও দুই রাজ্যে, তাও উত্তর-পূর্বের মেঘালয় এবং নাগাল্যান্ডে। পাশাপাশি বেশ কিছু উপনির্বাচন বিভিন্ন রাজ্যে আছে। তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের সাগরদিঘিও আছে। একইসঙ্গে ফল প্রকাশিত হবে ২ মার্চ। এবার নজরে আনা দরকার কে কোথায় দাঁড়িয়ে। ত্রিপুরায় মূল লড়াইয়ে একটি দল অবশ্যই ক্ষমতাসীন বিজেপি। কিন্তু বিরোধী বলতে ঠিক কে আছে, তা মাথা চুলকিয়ে সে রাজ্যের মানুষ বলতেই পারছে না। কেউ বলছে বাম তথা সিপিএম, কেউ বলছে কংগ্রেস, কেউ বলছে নতুন দল তিপরা মোথা। শেষের দলটির বিষয়ে পরে আসছি।

প্রথমেই বলা দরকার তৃণমূল এই ভোটে লড়াই করছে। কিন্তু স্থানীয়দের বক্তব্য, একটিও আসন জয় করা তৃণমূলের দ্বারা সম্ভব নয়। এই পূর্বাভাস দিয়েছেন ভোট কারবারীরা। কিন্তু কিছু শতাংশ ভোট কাটতে পারে তারা। এতে মূলত ক্ষতি কংগ্রেস বা সিপিএম-র বলেই ধারণা বিশেষজ্ঞদের। শোনা গিয়েছে, সরাসরি জোট না হলেও বেশ কিছু আসন কংগ্রেস ও সিপিএম নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিচ্ছে।

টানা ৫ বছরে বিজেপির শাসনে কত লাভ বা ক্ষতির হিসাব আগের পর্বগুলিতে প্রতিবেদনে দেওয়া রয়েছে। এবার বলতেই হবে ৬০ আসনের অন্তত ২০টিতে ফ্যাক্টর কিন্তু আদিবাসী ত্রিপুরীদের ভোট। ফের বলতে বাধ্য হচ্ছি, এই আদিবাসীরা কিন্তু বাঙালিদের পছন্দ করে না আজও। এরা দীর্ঘদিন ধরে আলাদা রাজ্যের দাবি করে এসেছে। কিন্তু নরসিমা রাওয়ের সময় থেকে এই দাবিকে এক প্রকার নস্যাৎ করা হয়েছে। বিজেপি মনে করে তাদের জোটসঙ্গী আইপিএফটি-র সঙ্গে দীর্ঘদিন হনিমুন পিরিয়ড কাটানো অসম্ভব।

অন্যদিকে নতুন দল 'তিপরা মোথা' কিন্তু প্রবল বেগে এগিয়ে চলেছে। শোনা গিয়েছে, আইপিএফটি হয়তো শেষ মুহূর্তে তাদের সঙ্গে মিশে যেতে পারে। যদি তাই হয় তবে অন্তত ১৯টি আসন বিজেপির কাছে চাপের, এমনটাই ধারণা ভোট বিশেষজ্ঞদের। বাকি ৪১ আসনের মধ্যে বিজেপি কি পারবে অন্তত ৩১টি আসন জয় করতে, তাহলেই কেল্লাফতে পদ্ম শিবিরের। কারণ বিরোধী ভোট ভাগাভাগি হওয়ার সম্ভাবনা প্রচুর। সেই ভাগের লাভের গুড় কতটা বিজেপি তুলবে, তার জন্য অপেক্ষা দোসরা মার্চের।


one year ago
Tripura: মাস ঘুরলেই বিধানসভা ভোট, শান্তি বজায়ে ত্রিপুরায় ব্যাপক ধরপাকড়! সক্রিয় পুলিস-কেন্দ্রীয় বাহিনী

আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরায় (Tripura) বিধানসভা নির্বাচন। আর তার আগে রাজ্যে কড়া নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছে প্রশাসন। রাজ্যের আটটি জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ত্রিপুরা পুলিস টিএসআর এবং কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনীর চিরুনি তল্লাশি চলছে। এরই ফলস্বরূপ ২৩শে জানুয়ারি সোমবার রাজ্যব্যাপী একযোগে চলা অভিযানে মোট ৩৪৯ জনকে গ্রেফতার (Arrested) করেছে পুলিস (Police)। আপরাধ, এঁদের মধ্যে কেউ নেশা দ্রব্য পাচারকারী, কেউবা ফেনসিডিল ব্যবসায়ী, কেউ গাঁজার কারবারি অথবা ড্রাগস, হেরোইন বিক্রেতা। আবার চুরি-ছিনতাই-র মতো অভিযোগও রয়েছে অনেকের বিরুদ্ধে।

গ্রেফতার হওয়া প্রত্যেকেই আসন্ন নির্বাচনে রাজ্যব্যাপী বিশৃঙ্খলার পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে বলে পুলিসের ধারণা। আর তাই তাদের আগে থেকেই চিহ্নিত করে আটক করেছে পুলিস। ত্রিপুরা পুলিসের সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতি থেকে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যের পুলিস ৩৩ কেজি গাঁজা, ১০.৫ গ্রাম হেরোইন বাজেয়াপ্ত করেছে। মোট ৩৪৯ জন অভিযুক্তকে একাধিক ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে ত্রিপুরা পুলিসের নজরদারি এবং তৎপরতা ততটাই বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনদিন আগেই এমনই একটি অভিযানে ২৪ ঘণ্টায় ২১৯ জনকে গ্রেফতার করেছিল ত্রিপুরা পুলিস। যেখানে মোট ২৩০ কেজি শুকনো গাঁজা উদ্ধার করেছে পুলিস। নির্বাচনের আগ মুহূর্তে এই অভিযানে খুশি ত্রিপুরাবাসী।

one year ago


Vote: ত্রিপুরায় ভোট, কে কোথায় দাঁড়িয়ে (পর্ব-৩)

প্রসূন গুপ্ত: ত্রিপুরায় যত বাঙালি থাকে এখন তাদের মধ্যে ৯০% ওপার বাংলার, মূলত কুমিল্লার। একটা সময়ে কুমিল্লার মধ্যেই ত্রিপুরার অবস্থান ছিল অথবা ত্রিপুরা কুমিল্লার সমগোত্রীয় ছিল। এবারে প্রশ্ন থাকছে ত্রিপুরায় মুসলিম ভোটাররা এল কোথা থেকে, যাদের একটা সামান্য ভোট শতাংশ আছে। এটা বিভিন্ন মত আছে, কেউ বলে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ওদেশ থেকে মুজিব-বিরোধী একটি সংখ্যা ত্রিপুরায় আসে। আবার অনেকেই বলে পশ্চিমবঙ্গ থেকে অনেকে বাণিজ্য করতে ওই রাজ্যে গিয়ে থেকেছে। এটাও সত্যি ত্রিপুরার আদিবাসীদের মধ্যেও অনেক মুসলিম ভোটারও আছে। তবে এদের ভোটের উপর ভরসা করে কোনও দলই ভোটের হাওয়া ধরে না, পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে এই মুসলিম ভোটাররাই আবার রাজনৈতিক দলের ভরসা।

আদিবাসী ত্রিপুরীদের বাঙালিদের উপর চিরকাল একটা বিদ্বেষ আছে। ফলে উপজাতি নেতা বিভিন্ন দলে রাখতেই হচ্ছে। উপজাতি ভোটের সহযোগিতা না পেলে ত্রিপুরা দখল কঠিন। এটা মানেন ডান, বাম সবপক্ষ। বাম বা সিপিএম আমলে এদেরকে অনেকটাই বশে আনতে পেরেছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। পরে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পরও বামেরা কিন্তু আদিবাসী ভোট পেয়েছিল। কিন্তু মূল ভোট টেনে নিয়ে যায় বিজেপির জোট সঙ্গী আইপিএফটি। এবার ভোটে ওই আইপিএফটি ভোটে থাবা বসাবে নতুন দল টিপরা মোথা। এই উপজাতিরা, শেষ খবর অবধি যা জানা যাচ্ছে যে, তারা ত্রিপুরার বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে আছে। যে ভাবে উত্তরবঙ্গজুড়ে ছড়িয়ে নেপালি বা গোর্খা ভোট। বর্তমান বিজেপি সরকারে এই উপজাতির পক্ষে মন্ত্রী রয়েছে। তাই এঁদের উপর অনেকটাই নির্ভর করবে রাজ্য বিজেপি।

অন্যদিকে কংগ্রেসের সুদীপ রায়বর্মন ত্রিপুরী উপজাতির সঙ্গে অনেকটা সম্পৃক্ত। তিনি তাঁদের ভাষা অনর্গল বলতে পারেন। সুদীপ বিজেপিতে যাওয়ায় গেরুয়া শিবিরের গত নির্বাচনে ভোট বেড়েছিল। এবার সুদীপ কংগ্রেসের মুখ ফলে এই দিকটা রাজ্য বিজেপির একটা চিন্তা। (পরের পর্ব)

 

one year ago
Tripura: পাখির চোখ বিধানসভা নির্বাচন, চলতি মাসেই ত্রিপুরায় ভোট প্রচারে মমতা-অভিষেক

মেঘালয়ের পরে উত্তর-পূর্ব ভারতের আরেক রাজ্য ত্রিপুরা (Tripura) বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। দলীয় সূত্র মারফৎ খবর, চলতি মাসের শেষেই ত্রিপুরায় ভোট প্রচারে যেতে পারেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তার আগেই তৃতীয় সপ্তাহে সভা করতে পারেন তৃণমূল কংগ্রেস সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)।

দুই সভা ঘিরেই বর্তমানে তৃণমূলের প্রস্তুতি তুঙ্গে। গত ২০২১ সাল থেকে ত্রিপুরায় দলের সংঘটন বৃদ্ধির পর এই প্রথম ত্রিপুরায় পা দিতে চলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী সপ্তাহেই ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ হতে চলেছে। তারপরেই ত্রিপুরায় জোর কদমে নামতে চলেছে ঘাসফুল শিবির।

২০২১-এ আগরতলা পুরনিগম নির্বাচনে সবকটি আসনে প্রার্থী দিলেও আশানরূপ ফল করতে পারেনি তৃণমূল শিবির। কয়েকমাস বাদে ৪ কেন্দ্রের উপনির্বাচনে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছিল তৃণমূল প্রার্থীদের। বর্তমানে ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনে ভালো ফল করতে মরিয়া ঘাসফুল শিবির। ফলে দিন ঘোষণার পরেই কোমর বেঁধে নামতে প্রস্তুত শীর্ষ নেতারা।

one year ago
Tripura: ত্রিপুরায় ভোট, কে কোথায় দাঁড়িয়ে (পর্ব -২)

প্রসূন গুপ্ত: ত্রিপুরার ভোট (Tripura Vote) আসন্ন কিন্তু ঠিক কবে ঘোষণা হয়নি। একবার শোন যাচ্ছিলো যে ফেব্রুয়ারিতে ভোট হতে পারে। কিন্তু সে রাজ্যেও মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মতোই। তবে কি এপ্রিল বা মে নাগাদ? নির্বাচন কমিশনার (Election Commission) সেই সূচি ঘোষণা করবেন।

আগের পর্বে জানিয়েছিলাম সিপিএম বা তৃণমূলের প্রাথমিক অবস্থান। আজ জানাবো বিজেপি এবং কংগ্রেস কে কোথায় দাঁড়িয়ে। কয়েক মাস আগে অবধি কংগ্রেসের অবস্থান অত্যন্ত করুণ ছিল উত্তর-পূর্বের সে রাজ্যে। একটা সময়ে ত্রিপুরায় দুটি দলই ছিল কংগ্রেস ও সিপিএম। কিন্তু ২০১৮ র নির্বাচনে কংগ্রেসের সব ভোট গিয়ে পড়ে বিজেপির বাক্সে। পক্ষান্তরে কংগ্রেস শূন্য হয়ে যায়। পরে কংগ্রেস থেকে বেড়িয়ে সুদীপ রায় বর্মণ বিজেপিতে যোগ দেন। কিন্তু তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় তিনি ফের বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেন। ফের ভোট দাঁড়িয়ে জিতেও আসেন। কার্যত সুদীপবাবু মানেই কংগ্রেসের সংগঠন প্রমাণিত। কিন্তু একা সুদীপবাবু কি লড়াই দিতে পারবেন বিজেপির সঙ্গে? ভোটের পূর্বাভাস কিন্তু তা বলছে না।

অন্যদিকে বর্তমানে সরকারে থাকা বিজেপির জোট সঙ্গী আইপিএফটি এবারও কি বিজেপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হবে? জানা যাচ্ছে জনজাতি গোষ্ঠীর এই দলটির ক্ষমতা ত্রিপুরার বিশেষ কিছু অঞ্চলে যেখানে ত্রিপুরীদের বসবাস। আবার ত্রিপুরার মহারাজ প্রদ্যোতকিশোর ,এই রাজ্যে যথেষ্ট জনপ্রিয়। একসময় ত্রিপুরার মহারাজদের সহযোগিতায় কংগ্রেস বারবার ক্ষমতা পেয়েছিল। এখন সেই বংশের অন্যতম প্রদ্যোৎকিশোর নতুন দল গড়েছেন জনজাতিদের নিয়ে 'ত্রিপুরা মোথা'। শোনা যাচ্ছে এরাও এবারের ভোট অংশ নেবে।

তাহলে বিজেপির বিরুদ্ধে অনেক দল আলাদা আলাদা করে দাঁড়াচ্ছে? বামেরা, কংগ্রেস, তৃণমূল ,ত্রিপুরা মোথা ইত্যাদি। এটা বাস্তব যে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের কাজে অখুশি ছিল ত্রিপুরার মানুষ। বিপ্লব মূলত দিল্লি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ফলে দ্রুত ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। দ্রুত বিপ্লবকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পদে নিয়ে আসা হয় প্রাক্তন কংগ্রেসী মানিক সাহাকে।

মানিকবাবুর যথেষ্ট জনপ্রিয়তা আছে কাজেই ফের তিনিই দলের মুখ। পঞ্চমুখী লড়াইতে অ্যাডভান্টেজ বিজেপি, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। (চলবে)

one year ago


Vote: ত্রিপুরায় ভোট, কে কোথায় দাঁড়িয়ে (পর্ব ১)

প্রসূন গুপ্ত: কেন্দ্রীয় বিজেপির আপাতত পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে কোনও ভাবনা নেই বলেই খবর। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, পদ্ম শিবিরের জাতীয় সভাপতি নাড্ডা, অমিত শাহ এবং স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর এ রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট উপলক্ষে প্রচার প্রস্তুতির যে খবর ছিল, সে নিয়ে চূড়ান্ত কোনও খবর এই মুহূর্তে নেই। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এখন আসন্ন ত্রিপুরা, মেঘালয়-সহ উত্তর পূর্ব ভারতের বিধানসভা ভোটের দিকেই জোর দেবেন বলেই খবর। কিন্তু কী অবস্থা ওই রাজ্যগুলির? ধরা যাক ত্রিপুরার রাজনৈতিক অবস্থান।

ত্রিপুরাকে মিনি পশ্চিমবঙ্গ হিসাবে অনেকেই বলে থাকে। পশ্চিমবঙ্গের মতোই সেখানেও কংগ্রেসের হাত থেকে ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে দীর্ঘদিন বামফ্রন্ট রাজ করেছে। একইসঙ্গে এও বলা যেতে পারে যে অনেক মিল বাংলার সঙ্গে ত্রিপুরার থাকলেও, অমিলও প্রচুর। এ রাজ্যে বাঙালি প্রধান হলেও, আদি ত্রিপুরা উপজাতির বাস রয়েছে। ত্রিপুরী নামে তারা পরিচিত এবং অসমের মতোই এই উপজাতিদের বাঙালিদের উপর প্রবল ক্রোধ। এই নিয়ে শহরতলীর অদূরে একদা বহু হত্যালীলা চলেছিল। এই সমস্যার সমাধান অনেকটাই করেছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। এ সত্বেও বামেদের উপর স্থানীয় বাঙালি ও উপজাতিদের প্রচণ্ড ক্ষোভ ছিল, তারাও চেয়েছিল রাজ্যে পরিবর্তন।

মনে রাখতে হবে ওই রাজ্যে কিন্তু কোনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন না। তাই বামেদের বিরুদ্ধে ক্ষোভের কোনও গণআন্দোলন ঘটেনি। জানা যায় যে এ রাজ্যের মতোই ওই রাজ্যেও বামেরা একেবারেই প্রশাসন ও সংগঠনকে পুরোপুরি নিজেদের হাতেই কুক্ষিগত করে রেখেছিল। দল করলে চাকরি বা ব্যবসা পেতে অসুবিধা হয়নি। কিন্তু ত্রিপুরায় হাতে গোনা সরকারি চাকরি ফলে অনেকেই কর্মহীন হয়েই ছিল। আর ওই রাজ্যে কোনও বাণিজ্যও নেই, যা আছে তা ফ্র্যাঞ্চাইজি এবং ট্রেডিং ব্যবসা। ফলে এক শ্রেণীর মানুষ করে-কম্মে ছিল আর বেকার ও কর্মহীনের সংখ্যা ক্রমশই বেড়ে চলেছিল। এখান থেকেই পরিবর্তন। এই পরিবর্তনের হাওয়া ধরতে তৃণমূল ঝাঁপিয়ে পড়েছিল কারণ তখন প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস ভেঙে গিয়েছিল। ভাঙার কারণ কেন্দ্রে রাহুল গান্ধী ও সিপিএমের বন্ধুত্ব। তৃণমূল কিন্তু ভালোভাবেই এগিয়েও সংগঠন ধরে রাখতে পারেনি। স্থানীয় মানুষের বক্তব্য মুকুল রায় ও সব্যসাচী দত্তর অযোগ্যতা। ( পরের পর্বে বাকি অংশ)


one year ago
Tripura: বিপ্লব দেবের পৈতৃক বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা, কাঠগড়ায় দুষ্কৃতী তাণ্ডব

সামনেই ত্রিপুরার (Tripura) বিধানসভা নির্বাচন। আর কিছুদিন পরেই নির্বাচন কমিশন দিনক্ষণ ঘোষণা করবেন। তার আগ মুহূর্তে ভয়াবহ ঘটনার সম্মুখীন হলেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যসভার সাংসদ বিপ্লব দেব। ত্রিপুরার উদয়পুরের জামজুরিতে অবস্থিত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর পৈতৃক বাড়ি। সেই বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে। বুধবারই ওই বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল বিপ্লব দেবের।

জানা গিয়েছে, বুধবার তাঁর বাবার বার্ষিক পারলৌকিক কাজ হওয়ার কথা। অভিযোগ, তার আগে মঙ্গলবার রাতে একদল দুষ্কৃতী হামলা চালায় তাঁর গ্রামের বাড়িতে। ভাঙচুর করা হয় গাড়ি। বাড়িতে আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয়। বিপ্লব দেবের অভিযোগ, সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত সিপিএম-এর পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। অগ্নিকাণ্ড বা ভাঙচুরের ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর মেলেনি। ইতিমধ্যে পুলিস গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করার জন্য তল্লাশি শুরু হয়েছে।

ঘটনার পর থেকেই জামজুরি এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অগ্নিকাণ্ড, ঢিল ছোঁড়াছুঁড়ির মতো একাধিক ঘটনা ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিস কড়া ব্যবস্থা নেয়। গোটা এলাকা এখনও থমথমে।

one year ago