Breaking News
Abhishek: দুবাই যাওয়ার পথে বাধা অভিষেক পত্নী রুজিরা বন্দোপাধ্যায়কে, কারণ!      Railway: অসংক্ষরিত টিকিটের ক্ষেত্রে পরিচয় পত্রের ব্যবস্থা থাকলে মৃতের পরিবার হয়ত টাকাটা পেত!      Railway: করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় পরিবারের কেউ নিখোঁজ! সনাক্ত করতে বিশেষ ব্যবস্থা রেলের      Train Accident: ওড়িশার বালেশ্বরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা! মৃত অন্তত ১০০      ED: মানিকের ফোন থেকেই কালীঘাটের কাকুর খোঁজ, ইডির কাছে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের তথ্য      DA: অবশেষে ডিএ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়      Bayron: দলবদলু বিধায়ক বায়রন বিশ্বাসকে নিয়ে এবার উল্টো সুর মমতার গলায়      Congress: 'আমি তৃণমূলেরই লোক' দল পরিবর্তন করে দাবি সাগরদীঘির বিধায়ক বায়রনের      IPL: আইপিএল ফাইনালে চেন্নাই বনাম গুজরাত, বৃষ্টি হলে কে জিতবে!      Prerona: সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রেরণার উদ্দেশে ভাষা সন্ত্রাস 'অনুপ্রেরণার'     

Tripura

Sourav Ganguly: ফের পদ পেলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়! ত্রিপুরার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর এবার দাদা

প্রসূন গুপ্তঃ বাংলায় রবীন্দ্রনাথ থেকে সত্যজিৎ রায় হয়ে বহু ব্যক্তিত্ব ভারত তথা বিশ্বের দরবারে সম্মানিত হয়েছেন। যদিও এই তালিকায় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম রাখাটা বাড়াবাড়ি হয়ে যাবে। কিন্তু তারই মধ্যে সৌরভের নাম ভারতের কিছু অংশে আলোচিত হয়েছে এবং হচ্ছে। সৌরভ গাঙ্গুলি ছিলেন দুর্দান্ত ক্রিকেটার এবং অবশ্যই ভালো অধিনায়ক। অন্যদিকে, তাঁকে সুনীল গাভাস্কার, সচিন তেন্ডুলকার, কপিল দেবের সঙ্গে একই পংক্তিতে রাখা যাবে না, কারণ এঁদের সময়ে এঁরা বিশ্বসেরা ছিলেন। ক্রিকেট ছাড়ার পরে এঁরা কেউই ভারতীয় ক্রিকেটের বিশেষ দায়িত্বে যান নি। গাভাস্কার তবু কমেন্ট্রি করেন, কিন্তু সচিন বা কপিল ক্রিকেট জগৎ থেকে অনেকটাই দূরে।

সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় কিন্তু চিরকাল এযাবৎ ক্রিকেটের নানান দায়িত্ব পালন করেছেন। বিভিন্ন সময়ে ক্রিকেট প্রশাসক থেকে রাজনীতিবিদের সঙ্গে সখ্যতা বজায় রেখে চলেছেন। তাঁর হয়তো ভারতীয় দলেই আসা হতো না যদি কিনা জগমোহন ডালমিয়া তাঁর পাশে দাঁড়াতেন। গ্রেগ চ্যাপেলের আমলে তিনি দল থেকে বাদ পড়ে গেলে শোনা যায় তৎকালীন মন্ত্রী  অশোক ভট্টাচার্য, মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে অনুরোধ করেন সৌরভের বিষয়টি দেখার জন্য। বুদ্ধবাবুর সঙ্গে ডালমিয়ার সম্পর্ক অত্যন্ত খারাপ ছিল। তিনি নাকি ব্যক্তিগত ভাবে ওই সময়ের ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি শারদ পাওয়ারকে সৌরভের বিষয়টি দেখার জন্য অনুরোধ করেন। ফের দলে আসেন সৌরভ।

সৌরভ খেলা ছাড়ার পরে কমেন্ট্রি বক্সে বসে পড়েন। ইতিমধ্যে ডালমিয়া প্রয়াত হয়েছেন। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের গদিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসেছেন। মমতার হস্তক্ষেপে সৌরভ বাংলা ক্রিকেটের সভাপতি হন। ধীরে ধীরে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের ঘনিষ্ঠ হন সৌরভ। ভারতীয় বোর্ডের সভাপতির আসন খালি হলে এক প্রকার নিশ্চিত ছিল কর্ণাটকের ব্রিজেস প্যাটেলের সভাপতি হওয়া, কিন্তু এরই মধ্যে অমিত শাহের সঙ্গে সৌরভের একান্ত বৈঠক হয় এবং সৌরভ বোর্ডের সভাপতি হন বলেই খবর ছড়িয়ে যায়। পাশাপাশি সৌরভের স্ত্রী ডোনাকে রাজ্য বিজেপির নানান অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করতে দেখা যায়।

শোনা যায়, ২০২১-এর ভোট নাকি সৌরভকে মুখ করতে চেয়েছিল বিজেপি অবিশ্যি এর আগে লোকসভাতেও নাকি প্রার্থী করতে চেয়েছিলো তারা বলে বাজারে গুঞ্জন ছিল। কিন্তু নানান বাহানায় সৌরভ রাজনীতিকে এড়িয়ে যান। ফলত কয়েক মাস আগে অদ্ভুত ভাবে বোর্ডের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ফের মমতা এসে দাঁড়ান তাঁর পাশে। আপাতত তিনি আইপিএলে দিল্লির দায়িত্বে ছিলেন এবং সম্পূর্ণ অসফল হন।

এবারে তাঁর কাছে নতুন দায়িত্ব এসেছে এবং বিজেপির একটি রাজ্য সরকারের কাছ থেকেই। তিনি ত্রিপুরার ব্র্যান্ড এম্বাসেডর হচ্ছেন। স্বয়ং ওই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার সঙ্গে কথাও হয়েছে। তাঁর সম্মতি নিতে এসেছিলেন ওই রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। সৌরভ সম্মতি দিয়েছেন। তাহলে ফের পদ পাচ্ছেন সৌরভ। বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য আনন্দ প্রকাশ করেছেন কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যায় এর বদলে কী দিতে হবে? সৌরভ অলরাউন্ডার। কোন মাঠে কীভাবে খেলতে হবে তা তিনি জানেন, কিন্তু রাজনীতির মাঠটি বড়োই জটিল।

2 weeks ago
Tripura: দ্বিতীয়বার ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক! শপথগ্রহণে প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উপস্থিতিতে ত্রিপুরায় (Tripura Government) শপথগ্রহণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা (CM Manik Saha) এবং তাঁর মন্ত্রিসভার ৮ জন সদস্য। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Prime Minister Modi), কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপি সভাপতি (BJP President JP Nadda) জগত প্রকাশ নাড্ডার উপস্থিতিতে শপথগ্রহণ করেন তাঁরা। এই নয় জনকে শপথবাক্য পাঠ করালেন রাজ্যপাল সত্যদেও নারায়ণ আর্য। এদিন শপথ নেওয়া ৯ জনের মধ্যে মানিক সাহা-সহ পাঁচ জন আগের মন্ত্রিসভায় ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার সঙ্গে মন্ত্রিসভায় ছিলেন সুশান্ত চৌধুরী, রতনলাল নাথ, প্রণজিৎ সিংহ রায় এবং সান্তনা চাকমা। নতুন মুখ হিসেবে মন্ত্রিসভায় গেলেন বিকাশ দেববর্মা, সুধাংশু দাস, টিংকু রায় এবং আইপিএফটি-র শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া।

এদিকে, এদিন শপথ নেওয়ার আগে লক্ষীনারায়ণ মন্দিরে পুজো দেন মানিক সাহা। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং-সহ অরুণাচল এবং মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীরাও। সদ্যসমাপ্ত ত্রিপুরা বিধানসভা ভোটে বিজেপি এবং আইপিএফটি জোট ৩৩টি আসন পেয়েছে। প্রধান বিরোধী দল হিসেবে উঠে আসা তিপ্রা মোথার ঝুলিতে ১৩ আসন। অন্যদিকে জোট বেঁধে লড়াই করা বাম-কংগ্রেসের ঝুলিতে ১৩টি আসন।

3 months ago
Tripura: গেরুয়া ঝড় তুলে প্রত্যাবর্তন বিজেপির, প্রধান বিরোধী কি তিপ্রা মোথা

গেরুয়া ঝড় তুলে ত্রিপুরায় (Tripura Assembly Poll) প্রত্যাবর্তন বিজেপির। ৬০ আসনের বিধানসভায় ৩৩টি আসন পেয়েছে বিজেপি এবং জোটসঙ্গী আইপিএফটি (BJP+)। ১৪ আসন ঝুলিতে পুড়েছে বাম এবং কংগ্রেস জোট (Left+)। তিপ্রা মোথা পার্টি পেয়েছে ১৩টি আসনে। প্রথমবার ভোটে লড়ে খাতা খুলতে ব্যর্থ তৃণমূল কংগ্রেস। নোটার চেয়েও কম ভোট ঘাসফুল শিবিরের ঝুলিতে। যদিও প্রথমবার ভোটে লড়ে ত্রিপুরায় বিরোধী দলের স্বীকৃতি পাবে তিপ্রা মোথা। ১৬ ফেব্রুয়ারি উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে ভোট গ্রহণ হয়েছে। ভোট পড়েছিল ৮০%-র বেশি। সেদিন থেকেই ক্ষমতা ফেরার ব্যাপারে আশাবাদী ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা (CM Manik Saha)। বৃহস্পতিবার তিনি টাউন বরদোলাই আসনে ১১৮০ ভোটে জিতেছেন। মানিক সাহা হারিয়েছেন নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের আশিস সাহাকে।


এদিকে, ত্রিপুরায় ভোট গণনার প্রাথমিক পর্বে বাম-কংগ্রেস জোটের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে ছিল বিজেপি। একটা সময় পর্যন্ত ম্যাজিক ফিগার (৩১) থেকে দূরে থাকলেও বেলা বাড়লে সম্পূর্ণ বদলে যায় চিত্র। বিরোধী জোটকে অনেক পিছনে ফেলে ম্যাজিক ফিগার পেরিয়ে গিয়েছে গেরুয়া শিবির। এই ভোটে তিপ্রা মোথা প্রথম থেকেই ফ্যাক্টর। ত্রিপুরায় বিজেপির ঝুলিতে ৩৯% ভোট, বাম এবং কংগ্রেস জোটের ঝুলিতে ৩৩% ভোট, এক শতাংশের কম ভোট তৃণমূলের ঝুলিতে।

এদিকে, ভোট গণনায় ফল চূড়ান্ত হওয়ায় এখন দেখার জনজাতি কেন্দ্রিক দল তিপ্রা মোথা বিজেপিকে সমর্থন করে কিনা সেদিকে তাকিয়ে জাতীয় রাজনীতি। ইতিমধ্যে সূত্রের খবর, বিজেপি শিবির থেকে সমর্থনের জন্য তিপ্রা মোথার প্রতিষ্ঠাতা প্রদ্যোত কিশোর মানিক্য দেববর্মার কাছে দূত পাঠানো হয়েছে। ভোটের আগেও এবার গেরুয়া শিবির দৌত্যর জন্য প্রদ্যোত কিশোরের কাছে লোক পাঠিয়েছিল। কিন্তু সেই দৌত্য ব্যর্থ হয়েছে।   

3 months ago


Exit Poll: ভোটপর্বে ইতি, এবার কোন রাজ্যে কী সমীকরণের সম্ভাবনা?

প্রসূন গুপ্ত: ত্রিপুরার ভোট আগেই হয়ে গিয়েছিল। সোমবার হয়েছে নাগাল্যান্ড, মেঘালয়ের বিধানসভা ভোট এবং পশ্চিমবঙ্গের সাগরদিঘির উপনির্বাচন। ফলাফল আগামী ২ মার্চ, বৃহস্পতিবার। এখন লক্ষ টাকার প্রশ্ন লক্ষ্মীবারে, লক্ষ্মীপ্রাপ্তি কার হয়! ভোট পর্ব চুকতেই বিভিন্ন চ্যানেল, তাদের নিজস্ব সেফোলজি (নম্বর বিশ্লেষণ) সংস্থাকে দিয়ে বুথ ফেরত সমীক্ষা চালিয়েছে। এই সমীক্ষার পথে অনেকেই বিশ্বাসী আবার অনেকেই বিশ্বাস করে না। কারণ স্যাম্পেল টেস্ট হয় সমগ্র ভোটারদের মধ্যে মাত্র ২-৫ শতাংশ মানুষের প্রতিক্রিয়ার মধ্যেই। কিন্তু সিএন ক্রমাগত চেষ্টা করেছে মানুষের মনের ভাবনা নিয়ে খবর করতে, তারই বিবরণ খানিকটা এই প্রকার।

প্রথমেই নাগাল্যান্ড, এই রাজ্যের বিষয়ে আগেই জানিয়েছিলাম যে এরা দেশের বাসিন্দা হলেও কোথাও একটা বিদ্রোহ একদা এঁদের মধ্যে বিরাজ করেছে। যদিও এঁরা এখন পুরোপুরি রিপাবলিক অফ ইন্ডিয়ার সার্বভৌম অংশ। ভোট উৎসবের অংশীদার। এখানকার ভোটে দেশের প্রধান দুই দল বিজেপি বা কংগ্রেসকে গত দুই যুগ ধরে খুব একটা ভালো ফল করতে দেখা যায়নি। কাজেই বিজেপি এখানকার স্থানীয় শক্তি এনডিপিপির সঙ্গে জোট বেঁধে ভোট লড়ছে। আপাতত খবর যা তাতে এই জোটকে অর্থাৎ এনডিএ-কে ফের ক্ষমতায় দেখা যেতে পারে। 

মেঘালয়, এখানেও জোট সরকার। এখানে সব দল আলাদা হয়ে ভোটে লড়েছে। তাতে করে আবারও ত্রিশঙ্কু বিধানসভার ইঙ্গিত। প্রধান দল এনপিপি হয়তো ৬০ আসনের মধ্যে কমবেশি ২৫টি আসনের দাবিদার। এরপর যা বোঝা যাচ্ছে হয়তো তৃণমূল বা কংগ্রেস বেশি আসন পেতে পারে। কিন্তু বিজেপি কোনওমতেই ৩-৫টির বেশি আসন পাবে না। এমনটাই একাধিক একজিট পোল সূত্রে খবর। এনপিপি সরকার গড়তে বিজেপির হাত ধরতে পারে গতবারের মতোই।

এবার জাতীয় রাজনীতির অন্যতম টার্গেট রাজ্য ত্রিপুরা। এখানে আবার দু'টি বিষয় হতে পারে ১) ত্রিপুরার বাঙালিরা, বাংলার মতো কাউকে সরকারে আনলে চট করে সরিয়ে দিতে চায় না

২) সিপিএম-কংগ্রেস জোট বেঁধে লড়ছে বলে কংগ্রেসের সমর্থকরা বিজেপিকে ভোট দিতে পারে। তবে তিপরা মাথা এবারের যুদ্ধে রাজ্যের 'রাজা'কে প্রচারে নামিয়ে ভোটের রং বদলাতে পারে| অবশ্য সেক্ষেত্রেও বেশি আসন পাওয়ার সুযোগ রয়েছে বিজেপির।

যদি এরপরেও বিধানসভা ত্রিশঙ্কু হয় তখন কিন্তু অন্য সমীকরণের ইঙ্গিত দিচ্ছেন ভোট কারবারিরা। শেষের প্রসঙ্গ সাগরদিঘি বিধানসভা উপনির্বাচন। একটা রব উঠেছে এই আসনটি নাকি কংগ্রেস জিততে পারে। বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ তো জানিয়ে দিয়েছেন তাঁর দল লড়াইয়ে নেই। তবে যদি নীরবে "চুপ চাপ ফুলে ছাপ" হয়ে থাকে তবে ফের তৃণমূল। সব সম্ভাবনার নিশ্চিত জবাব কী, তার জন্য অপেক্ষা ২ মার্চের।

3 months ago
Political: ভোটপর্ব অতীত, ফল নিয়ে চিন্তিত সব দল (পর্ব -৩)

প্রসূন গুপ্ত: সোমবার নাগাল্যান্ড এবং মেঘালয়ের ভোট। আর কয়েক ঘণ্টা পর সমস্ত দলের প্রচার শেষ হবে এবং ২৭ ফেব্রুয়ারি ভোট। ২৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা থেকেই শুরু হয়ে যাবে বিভিন্ন চ্যানেলের বুথ ফেরত সমীক্ষা। অবশ্য সারা ভারতের মিডিয়ার নজরে কিন্তু ত্রিপুরা। নাগাল্যান্ড বা মেঘালয়ে মিলিজুলি সরকারের রাজ্য ছিল এবং এই দুই রাজ্যে বিজেপি কিন্তু সহযোগী দল সরকারের। কিন্তু ত্রিপুরায় একক সংখ্যাগরিষ্ঠ বিজেপি কাজেই দেখার বিষয় তারা তাদের ক্ষমতা ধরে রাখতে পারে কিনা।

ত্রিপুরার অন্দরে কিন্তু সবকটি দল ইতিমধ্যে প্রচার মাধ্যমের কাছে দাবি করেছে যে তারা ক্ষমতায় আসছে, কিন্তু সেসব তো রাজনৈতিক কথা। আসল পরীক্ষা তো ২ মার্চে সকাল ৯টা থেকে ভোট গণনা শুরু হওয়ার পর থেকেই।

বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা জানিয়েছেন যে ভোট সুষ্ঠু ভাবে হয়েছে এবং রাজ্যের মানুষ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করেছে। ফলে বিজেপির ফের ক্ষমতায় আসাটা শুধু সময়ের অপেক্ষা | মানিকবাবু মিষ্টিভাষী মানুষ, ধৈর্য্য ধরে মিডিয়ার নেতিবাচক প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর  দেন। তাঁর একটাই কথা , আমার ফিরে আসছি।

ত্রিপুরার জনপ্রিয় নেতা তথা কংগ্রেসের সুদীপ রায় বর্মন সরাসারি সিএন পোর্টালকে জানালেন যে এবারের ভোট বিজেপির বিদায় আসন্ন। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ক্ষমতায় জোট নাকি জোটের সঙ্গে তিপরা মোথাও থাকবে? ইঙ্গিতপূর্ণ উত্তর দিলেন সুদীপ। জোট ক্ষমতায় আসবে কিন্তু ত্রিপুরার মহারাজ প্রদ্যোত দেববর্মার ভূমিকা অস্বীকার করা যাবে না।

শুক্রবার মিডিয়ার মুখোমুখি হলেন সিপিএম প্রার্থী তথা ত্রিপুরা সিপিএমের সম্পাদক জিতেন চৌধুরী। তিনি বললেন, ফলের আগে কোনও কথা বলাটা উচিত না হলেও জোটটির ক্ষমতায় আসাটা নিশ্চিত। তিনি বললেন, ভোট দিতে বাধা দেওয়া হলে সাধারণ মানুষ পথে নেমে প্রতিবাদ করে ভোট দিয়েছে। তাঁর ধারণা ৯০% বেশি মানুষের ভোট পড়েছে এটি নাকি সরকার  বিরোধের লক্ষণ। তবে জিতেনবাবু কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং নির্বাচন কমিশনারকে ধন্যবাদ দিয়েছেন | এখন অপেক্ষা ২ মার্চ অবধি। (পরের পর্ব দেখুন)

3 months ago


Explain: ভোটপর্ব অতীত, ত্রিপুরার ফল নিয়ে চিন্তিত সব দল (পর্ব -২)

প্রসূন গুপ্ত: না আমরা বুথ ফেরত সমীক্ষা বা এক্সিট পোল নিয়ে কিছু লিখছি না। এই মুহূর্তে লিখবো না, কারণ এখনও অন্য রাজ্যের ভোট হতে বাকি। ভোটপর্ব মিটলে একটা ধারণা দেওয়াই যেতে পারে ২ মার্চের আগে। কিন্তু কী হলে, কী হতে পারে ত্রিপুরায়, তা নিয়ে একটা সম্ভাবনা বিশ্লেষণ করা যেতেই পারে। উল্লেখ্য, ত্রিপুরার ভোট রাজনীতির একটা ইতিহাস আছে, শাসক দলকে খুব সহজে গদিচ্যুত করে না সে রাজ্যের আম আদমি।

তবে ১৯৮৮-তে রাজীব গান্ধীর পৌরহিত্যে এবং সন্তোষমোহন দেবের হাতযশে কংগ্রেস ক্ষমতায় এসেছিল উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে। কিন্তু ৫ বছর বাদে ফিরেও যেতে হয়েছিল। যদিও এই ইতিহাসে ভর করে এই মুহূর্তে ত্রিপুরা নিয়ে কিছু বলা অসম্ভব। যদিও শাসক বিজেপি দাবি করেছে, এই ভোটে তাদের আসন বাড়বে। পাল্টা গদি উলটোবে, এই আশায় বুক বাঁধছে বিরোধী বাম-কংগ্রেস জোট।

অন্যদিকে আদিবাসী এলাকার ২০টি আসনের মধ্যে তিপরা মোথা যদি ফ্যাক্টর হয় তবে নিঃসন্দেহে ত্রিশঙ্কু অবস্থান হবে। এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এ ক্ষেত্রে সরকার গড়বে কে, এটাই বড় প্রশ্নচিহ্ন!

ফল ঘোষণার পর তিপরা মোথা ফ্যাক্টর হলে, এই দল তাদের দর বাড়াবে। জোট বা বিজেপিকে সমর্থনে জন্য হয়তো বা তারা শর্ত দেবে যে মুখ্যমন্ত্রীর পদের।এক্ষেত্রে কী হতে পারে?

সম্ভাবনা উসকে বলা যেতে পারে, প্রথমত বিজেপি হয়তো বা রাজি হবে না। কারণ ২০২৪-র লোকসভা ভোটে ত্রিপুরার দুটি আসনে তাদের নজর আছে। বিজেপি জানে ৭০ শতাংশ বাঙালির বাস যেখানে, সেখানে উপজাতির মুখ্যমন্ত্রী হলে বাঙালিরা হয়তো বা মেনে নেবে না। কিংবা মহারাষ্ট্রের মতো শাসক জোটের শরিক হলেও হতে পারে। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না হলে বিজেপি এখনই প্রধান চালিকাশক্তি হওয়ার জন্য ত্রিপুরায় হয়তো বা ঝাঁপাবে না। তারা অপেক্ষা করবে লোকসভা নির্বাচনের ফলের দিকে। কাজেই গো স্লো পদ্ধতিতে এগোবে পদ্মশিবির।

মনে রাখতে হবে এই বিশ্লেষণ পুরোটাই সম্ভাবনা এবং অনুমান ভিত্তিক। আদতে ভোটের ফলের উপর নির্ভরশীল শাসক-বিরোধী রাজনীতির দাড়িপাল্লা। সেটা জানতে অপেক্ষা করতেই হবে ২ মার্চ অবধি। (চলবে)


3 months ago
Tripura: ভোটপর্ব অতীত, ত্রিপুরার ফল নিয়ে চিন্তিত সব দল (প্রথম পর্ব)

প্রসূন গুপ্ত: ত্রিপুরার ভোট হয়ে গিয়েছে ১৬ ফেব্রুয়ারি, ফল ঘোষণা ২ মার্চ। সমস্ত দলের কাছেই ফল কিন্তু টেনশনের। যদিও ভোটের পর মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা থেকে বিজেপির বিভিন্ন নেতা মিডিয়ার সামনে জয় সুনিশ্চিত বলে দাবি করেছেন। এরপর ২৭ ফেব্রুয়ারি উত্তর-পূর্বের বাকি দুই রাজ্যে ভোট।

তারপর বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যমে শুরু বুথ ফেরত সমীক্ষা অর্থাৎ পরিভাষায় যাকে বলে স্যাম্পেল টেস্ট। বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে বিভিন্ন ভোটারের সঙ্গে কথা বলে এই বুথ ফেরত সমীক্ষা তৈরি হয়। যদিও বহু সময়ে এই অগ্রিম বার্তা ভুল প্রমাণিত হয়েছে, তেমনই প্রায় ঠিকও হয়েছে বহুবার। তবে এই সমীক্ষায় ভরসা রাখে না অনেকেই। তবে কী করে অগ্রিম জানা যাবে? এক্সিট পোল না করেও ধারণা যা দাঁড়ায় তাই ব্যক্ত করা হচ্ছে। প্রথমত বিপুল সংখ্যাই ভোট পোল হয়েছে। কোথাও ৯১ শতাংশ অবধি বলেই খবর, তবে শতাংশের হিসাবে ৮৭%-এর মতোই। প্রশ্ন হচ্ছে এই বিপুল ভোট কার বাক্সে যেতে পারে?

ইন্দিরা গান্ধীর সময় থেকেই ভোটবাক্সে বিপুল ভোট মানে সরকার-বিরোধী ভোট! ১৯৭৭-এ জরুরি অবস্থার পর যে ভোট হয়েছিল লোকসভায়, তা সাধারণ ভোট শতাংশের থেকে অনেক বেশি ছিল। ইন্দিরা পরাজিত হয়েছিলেন, আবার ইন্দিরার মৃত্যুর পর বিপুল যে ভোট হয়েছিল তাতে সুবিধা হয়েছিল ক্ষমতাসীন কংগ্রেসের। রাজীব গান্ধী রেকর্ড গড়েছিলেন, ৫৪৩ আসনের মধ্যে ৪১৩ আসন পেয়ে।

ফলে এই দুই ধরণের ভোটের ফল হয়েছিল। ত্রিপুরায় এই মুহূর্তে জল্পনা হচ্ছে যদি ত্রিশঙ্কু হয়? তবে কি তিপরা মোথা ফ্যাক্টর? নাকি বিপুল জনসমর্থন নিয়ে ফের আগরতলার মসনদে বিজেপি সরকার? অপেক্ষা কিন্তু ২ মার্চের। (চলবে) 

3 months ago
Tripura: ৪টে পর্যন্ত ৮০%-র বেশি ভোট ত্রিপুরায়, বিকেলের পরেও লম্বা লাইন ভোটারদের

ববছরের প্রথম ভোট উৎসবে কড়া নিরাপত্তায় অনুষ্ঠিত ত্রিপুরায় বিধানসভা ভোট গ্রহণ (Tripura Poll)। ৬০ আসনের ত্রিপুরা বিধানসভায় (Assembly Election 2023) বিকেল ৪টে পর্যন্ত পর্যন্ত ভোট পড়ে ৮১%-র কিছু বেশি। জানা গিয়েছে, ভোট উৎসবের শরিক হতে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকেই ভোট কেন্দ্রের বাইরে ভোটারদের (Voters) ভিড় চোখে পড়েছে। সকাল ৭টা থেকে শুরু হওয়া ভোট গ্রহণ পর্ব বিকেল সাড়ে ৪টে পর্যন্ত হওয়ার কথা। কিন্তু বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যার পরেও একাধিক বুথের বাইরে ভোটারদের লম্বা লাইন দেখা গিয়েছে। এই ভোটদানের শতাংশ জুড়লে আরও বাড়বে ভোট গ্রহণের শতাংশ। 

এদিকে, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণের লক্ষে কড়া নিরাপত্তায় মোড়া হয়েছে রাজ্যের সবকটি বুথ। এদিন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহাও ভোট দেন। টাউন বরদোয়ালি আসনের এই বিজেপি প্রার্থী ভোট দিয়ে বেড়িয়ে জানান, '২০১৮ সালের আগে এখানে কখনও শান্তিপূর্ণ ভোট হয়নি। সায়েন্টিফিক রিগিংয়ের নাম শুনতাম। সেই দু'জন (পড়ুন বাম-কংগ্রেস) আবার হাত মিলিয়েছে। এবার কোথাও কোনও বোমাবাজি হচ্ছে না। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমাদের কর্মী-সমর্থকরা অশান্তি, বোমাবাজির শিক্ষা পায়নি।'

নাম না করে বাম-কংগ্রেস জোটকে কটাক্ষের সুরে বিধে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'মানুষ সাড়া দিয়েছে। রেজাল্টের দিন সেই সাড়া কেমন বুঝতে পারবেন। আমাদের এবারের চ্যালেঞ্জ অশুভ জোটকে প্রতিরোধ করা।' তিনি জানান, 'বিরোধীরা অশান্তি তৈরি চেষ্টা করছে। ওদের সংস্কৃতি সম্বন্ধে সবাই জানে। প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন নিশ্চয় ব্যবস্থা নেবে। ত্রিপুরায় উন্নয়নের ধারা বজায় থাকবে। এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গড়বোই। আগেরবারের চেয়ে আসন সংখ্যা বিজেপির আরও বাড়বে।' 


পাশাপাশি আগরতলা বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট দেন কংগ্রেস প্রার্থী সুদীপ রায় বর্মণ। এদিন ভোট দিয়ে বেড়িয়ে কংগ্রেস প্রার্থী জানান, 'দু'দিন ধরে ভোটারদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এদিন ভোর থেকেই মানুষের লাইন ভোট কেন্দ্রের বাইরে দেখা গিয়েছে। যা আশাব্যাঞ্জক, গণতন্ত্রকে বাঁচিয়ে রাখতে এই উৎসাহ।'

অপরদিকে নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ভোট শুরুর পর থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা বা ইভিএম ত্রুটির খবর আসেনি। ভোট প্রক্রিয়া চলাকালীন বহিরাগত প্রবেশ রুখতে সীমান্ত এলাকাগুলি ঘিরে ফেলা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই ভোট মূলত ত্রিমুখী লড়াই। ৬০ আসনের বিধানসভায় বিজেপি ৫৫টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। জোটসঙ্গী আইপিএফটি বাকি আসনে লড়ছে। বাম-কংগ্রেসের জোট প্রার্থী দিয়েছে ৪৭টি এবং ১৩টি আসনে। পাশাপাশি ত্রিপুরায় ভাগ্য পরীক্ষা করতে নামা তৃণমূল ২৮টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। এমনকি এই ভোটে সম্ভাব্য 'কিং মেকার' হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে তিপ্রা মোথা দলকে। তারা প্রার্থী দিয়েছে ৪২ আসনে।

4 months ago


Tripura: ১৬ ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরায় ভোট, শেষ মুহূর্তে কে কোথায় দাঁড়িয়ে (শেষ পর্ব)

প্রসূন গুপ্ত: হাতে গোনা আর মাত্র কয়েক ঘন্টা, তারপরে ত্রিপুরার ভোটাররা তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে যাবেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে ৭২ ঘন্টা আগে কে কোথায় দাঁড়িয়ে? ভোট নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়া ইস্তক প্রচার যা বিপুল ভাবে হয়েছে, তা কিন্তু বিজেপির পক্ষে অ্যাডভান্টেজ। ক্ষমতায় থাকা দল নিশ্চিতভাবে চেষ্টা করবে, ফের ভোটে জিতে ফিরে আসতে। ৫ বছর রাজত্ব করার পর যেকোনও স্থানে একটি বিপরীতমুখী ভোটের হওয়া ওঠে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ বা ত্রিপুরার রাজনৈতিক ইতিহাস কিন্তু ভিন্ন ধর্মী।

এখানকার জনতা বারবার ক্ষমতাসীন দলকে সুযোগ দেয় বা দিয়ে এসেছে। বাম জমানা যেমন দীর্ঘদিন দুই রাজ্যে ছিল এবং তাদের পরাজিত করে এ বাংলায় তৃতীয় বারের মতো তৃণমূল সরকার। তেমন দীর্ঘ কংগ্রেস শাসন যেমন ছিল ত্রিপুরায়, তেমন বাম শাসনও ছিল দীর্ঘদিন। কাজেই ওই অংকে বলা যেতেই পারে ফের একবার হয়তো বিজেপিকে সরকার গড়তে সুযোগ দেবে ওই রাজ্যের ভোটাররা।

এদিকে একটি অলিখিত সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বিজেপির ভোট ২০২২-এ ৪০ শতাংশের মতো ছিল। একইসঙ্গে ওই অলিখিত সমীক্ষা (যা সিএন পোর্টাল যাচাই করেনি) বলছে, যে কংগ্রেস-বামেদের মিলিত ভোট এই মুহূর্তে ৩১ শতাংশের কাছাকাছি। সেটা হলেও অ্যাডভান্টেজ বিজেপি। এই মুহূর্তে ত্রিপুরায় তৃতীয় শক্তি তৃণমূলের ভোট ৬/৭ শতাংশ। বাকি ভোট উপজাতি কেন্দ্রিক দল তিপরা মাথা-সহ অন্যদের।

কিন্তু এখানে জটিলতা রয়েছে, তৃণমূল মাত্র ২৮ আসনে প্রার্থী দিয়েছে। কাজেই বাকি ৩২ আসনে কী হতে পারে? আরও আছে, তিপরা মোথা নিজেদের ১৮টি আসন ব্যতীত বাকি আসনে বাম-কংগ্রেস জোটকে ভোট দেওয়ার জন্য প্রচার করেছে। সরাসরি সুদীপ রায় বর্মনকে ভোট দিতে প্রচার করেছে। অতএব ফ্যাক্টর কিন্তু ৪২ আসন। এই ৪২ আসনে তৃণমূলের ৬% ভোট বাদ দিলে এবং বিজেপির ৪০ শতাংশ বাদ দিলে বাকি আসনে কী দাঁড়াতে পারে তাই নিয়ে মাথাব্যথা সব দলের। এসব জটিল অংকের শেষ দিন ১৬ ফেব্রুয়ারি, শেষবেলায় যে দলের সংগঠন ভোট করাতে পারবে, তারাই ক্ষমতায় আসবে।


4 months ago
Tripura: ত্রিপুরায় ভোট, কে কোথায় দাঁড়িয়ে (পর্ব ১০ )

প্রসূন গুপ্ত: পশ্চিমবঙ্গের নেতা বা এ রাজ্যের যেকোনও মানুষ ত্রিপুরায় গেলে প্রথম সমস্যা যা হয় তা ভাষা। ত্রিপুরার বাঙালিরা নিশ্চিত বাংলা বলে কিন্তু তা কুমিল্লা ও নোয়াখালী মিশ্রিত পূর্ববঙ্গীয় 'বাঙাল' ভাষা। তাঁরা সবাই অবশ্যই শুধু বাংলা অর্থাৎ নদিয়ার বাংলা জানে। অথবা স্কুল বা কলেজে কিংবা যেকোনও মঞ্চ অনুষ্ঠানে সে রাজ্যের মানুষ শুদ্ধ বাংলা ব্যবহার করলেও তাদের কথায় একটা পূর্ববঙ্গীয় টান থাকে এবং এতেই তাঁরা গর্বিত। সত্যি বলতে বাংলাদেশে গিয়ে শুধু বাংলায় কথা বললে সমস্যা নেই কিন্তু ত্রিপুরায়, সে রাজ্যের অধিবাসীরা ওদের বাংলাকেই পছন্দ করে। বাস্তব এই যে শুদ্ধ বাংলা বললে সাধারণ মানুষ কিছুটা অবাক হয়। তাঁরা নিজস্ব সংস্কৃতির মধ্যে অবোধ থাকতে চায়।

বিপ্লব দেব দীর্ঘদিন দলের কাজে উত্তর ভারতে ছিলেন, কাজেই তাঁর কথায় হিন্দি এবং হিন্দি মিশ্রিত বাংলা ছিল। এটাই কিন্তু তাঁর প্রথম নেতিবাচক দিক, পরে অবশ্য মানিক সাহা তাঁর স্থলে আসতে অনেকটাই ড্যামেজ কন্ট্রোল হয়েছে। মোদী হোক কিংবা মমতা অথবা শুভেন্দু, তাঁরা ত্রিপুরার মন জয় করার চেষ্টাতে ত্রুটি রাখেননি। কিন্তু দুটি দলের মধ্যে যাঁরা কিছুটা বাঙাল ভাষা বলতে পেরেছেন ওই রাজ্যে তাঁদের সুবিধা হয়েছে অনেক। যেমন তৃণমূল সাংসদ সুস্মিতা দেব অথবা অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা।

খাওয়াদাওয়ার বিষয়ে ত্রিপুরাবাসীর অন্যতম প্রিয় খাদ্য 'সিদল' বা শুটকি মাছ যা কিনা বাংলার মানুষ সেভাবে খেতেই পারেন না। তবে ত্রিপুরাবাসী বইপত্র ও গানবাজনা খুব ভালোবাসে এবং সংস্কৃতি তাদের মধ্যে প্রবলভাবে বিদ্যমান | 

বিজেপিই ফের ক্ষমতায় আসবে নাকি, জোট সে তর্ক পরে কিন্তু একটি বিষয় সত্যি ত্রিপুরাবাসী নিশ্চিত চায় যে তাদের নিজের লোক দায়িত্বে আসুক। বাংলার 'ঘটি' নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় হাড়েহাড়ে তা বুঝেছেন, যা বুঝেছিলেন মুকুল রায় বা সব্যসাচী দত্ত। আর একটি বিষয় এ বাংলার সঙ্গে যার খুব মিল তা, একবার ত্রিপুরা যাকে ক্ষমতায় আনে, তাদের চট করে সরিয়ে দিতে চায় না। সিপিএম এই বিষয়টি খুব ভালো জানে তাই তারা নিজেদের উপর ভরসা না করে জোট করেছে। তবুও একটা কিন্তু থেকেই যায়। (চলবে)


4 months ago


Tripura: ত্রিপুরার ভোট, কে কোথায় দাঁড়িয়ে (পর্ব ৯)

প্রসূন গুপ্ত: ১৬ ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন। ঠিক ১০ দিন আগে প্রচারে সরগরম আগরতলা-সহ গোটা রাজ্য। সপ্তাহের প্রথম দিন অর্থাৎ ৬ ফেব্রুয়ারি আগরতলা গিয়ে পৌঁছন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গী ছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একই দিনে প্রচার শুরু করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও।মঙ্গলবার প্রথমে পদযাত্রা, রোড শো সেরে মঞ্চে ভাষণ দিতে উঠলেন মমতা। একই দিনে উপস্থিত হলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। অন্যদিকে বঙ্গ বিজেপির নেতারাও ত্রিপুরা গিয়ে প্রচারে ঝড় তুলছেন। আগামী বৃহস্পতিবার প্রচারে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও।

অন্যদিকে জোট অর্থাৎ বাম কংগ্রেস ও পরোক্ষ জোটসঙ্গী তিপরা মোথা এখনও কোনও তেমন স্টার বক্তাকে প্রচারে ব্যবহার করেনি। নিজেরাই প্রচার সারছে এবং শোনা গেলো ঘরে ঘরে ভোটার স্লিপ দিতে গিয়ে যোগাযোগ রাখছে ভোটারদের সঙ্গে। এখন মজার বিষয় এই যে প্রতি দলের প্রচারে প্রচুর ভিড় হচ্ছে কাজেই হওয়া কোন দিকে, ঠাউর করা যাচ্ছে না।

অমিত শাহ তাঁর বক্তব্যে সরাসারি আক্রমণ শানালেন সিপিএম বা বামেদের। বললেন যে, 'এই সিপিএম বা বামেদের বিশ্বাস করা যায় না। এরা সময় বুঝে কংগ্রেসকে সঙ্গী করেছে এবং সঙ্গী করেছে তিপরা মোথাকে।' শাহী ভাষণে অবশ্য তৃণমূল বা মমতার উল্লেখ ছিল না। ফলত বিরোধীরা জানাচ্ছে, যে তৃণমূল ভোটে দাঁড়িয়েছে বিজেপিকে সুবিধা করতেই।

অবশ্য আজ মমতা ভাষণে জানালেন যে বিজেপি, সিপিএম বা কংগ্রেস তাঁর রাজ্যে এক। তিনি বিরোধীদের কটাক্ষের জবাবে বললেন, 'বাংলায় বিভিন্ন প্রান্তে বিজেপি, সিপিএম প্রকাশ্য জোট করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়ছে।' তিনি বাংলায় চলা কন্যাশ্রী, যুবশ্রী ইত্যাদির যুক্তি দিলেন এবং তাঁদের ভোট দেওয়ার জন্য আবেদন করলেন।

যোগী তাঁর ভাষণে উত্তরপ্রদেশ বর্তমান অবস্থার কারণে রাজ্যের মানুষ খুশি, এমনটাই জানালেন। যত দিন এগোচ্ছে উত্তাপ, উত্তেজনা এবং সব দলের টেনশন বাড়ছে। অবশ্য পশ্চিমবঙ্গের ভোটের ফলাফলের একটা আভাস পাওয়া গেলেও অদ্ভুত ভাবে ত্রিপুরার জনতা কিন্তু এই বিষয় টু শব্দ করছে না। কাজেই ২ মার্চ অবধি অপেক্ষা ছাড়া এই মুহূর্তে কোনও বিকল্প নেই। যদিও বিরোধীরা ভোটে প্রচণ্ড গন্ডগোলের আশংকা করছে, অন্যদিকে বিজেপি জানাচ্ছে ভোট হবে অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ।


4 months ago
Mamata: 'যখন তোমার কেউ ছিল না, তখন ছিলাম আমি', ত্রিপুরায় দাবি মমতার

'ত্রিপুরা আমার ঘর।' ভোট প্রচারে আগরতলা (Agartala) নেমে এই দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। তিনি জানান, 'নিজের ভাষায় কথা বলা, পছন্দসই রান্না খাওয়ার পাশাপাশি বাংলা এবং ত্রিপুরার (Tripura Vote) খাওয়া-দাওয়া এক। ওদের বেশভূষা, চলন-বলন বাংলার মতোই। সবচেয়ে বড় কথা বাংলা ভাষায় কথা বলা যায়।'

তিনি ত্রিপুরাবাসীকে অভিনন্দন জানিয়ে জানান, 'যখন কেউ ছিল না, বিজেপির একতরফা অত্যাচার চলছিল ত্রিপুরায়। আগে যখন কংগ্রেস ক্ষমতায় ছিল, আমি সন্তোষমোহন দেব এবং অন্যরা ত্রিপুরায় ঘুরে ঘুরে কাজ করেছি। ত্রিপুরার সঙ্গে বাংলার কানেকশন ভালো। যখন তোমার কেউ ছিল না, তখন ছিলাম আমি।' 

তৃণমূল নেত্রীর অভিযোগ, 'আগামিকাল আমাদের মিছিল আছে। সেখানে কীভাবে আমাদের উপর অত্যাচার হয়েছে, সে বিষয়ে বলবো। তৃণমূলের সাংসদ, কর্মী-সমর্থকদের উপর আক্রমণ হয়েছে। দোলা সেন, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুস্মিতা দেবের এঁদের গাড়িতেও হামলা হয়েছে।' 

4 months ago
Tripura: ভোটমুখী ত্রিপুরায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী! 'বিকাশের পথে রাজ্য', দাবি অমিত শাহর

সোমবার ত্রিপুরার রাজনীতি (Tripura Politics) মেগা ডুয়েটের মুখোমুখি। একইদিনে সে রাজ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। ত্রিপুরা দখলে কোমর বেঁধে নেমেছে ঘাসফুল শিবির (TMC)। পাশাপাশি উত্তর-পূর্বের এই রাজ্য ধরে রাখতে ইতিমধ্যেই রণকৌশল চূড়ান্ত করেছে গেরুয়া শিবির (BJP)। এই পরিবেশে আগামি ১৬ ফেব্রুয়ারির ভোট যুদ্ধের আগে জনতার মন জয়ে প্রচারের ঝড় তুলছে ঘাসফুল, পদ্মফুল দুই শিবিরই।

এদিন খোয়াইয়ের এক জনসভায় দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গত পাঁচ বছরে রাজ্যের উন্নয়নমূলক কর্মসূচির প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। তাঁর দাবি, 'ত্রিপুরায় বিজেপি বিনাশ সরিয়ে বিকাশের পরিবেশ এনেছে। ত্রিপুরা মানে আগে আদিবাসীদের উপর অত্যাচার, বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী, সন্ত্রাসবাদ, মাদক পাচার, মানব পাচার এবং দুর্নীতি। কিন্তু গত পাঁচ বছরে বিপ্লব দেব এবং মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার নেতৃত্বে রাস্তা, ব্রিজ তৈরি হচ্ছে, পানীয় জল সরবরাহ হচ্ছে। বিনিয়োগ আসছে। আদিবাসী মা-বোনেদের স্বনির্ভর করার কাজ চলছে।' 

বিজেপি এসে রাজ্যের একাধিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে শান্তি আলোচনা চালিয়ে বিনাশের জায়গায় বিকাশ স্থাপন করেছে। কম্যুনিস্ট শাসনে ত্রিপুরায় হিংসার বাতাবরণ, বিবাদ ছিল। কিন্তু ত্রিপুরায় এখন বিশ্বাসের বাতাবরণ। এই দাবি এদিন করেছেন দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী।

এদিন তিনি কংগ্রেস এবং বামেদের অপশাসনকে কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি। আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম ত্রিপুরায় শান্তি ফিরবে। সেই পরিবেশ ফিরিয়ে আনা হয়েছে। আগামি ৫ বছরে ত্রিপুরাকে উত্তর-পূর্বের মধ্যে আরও সমৃদ্ধ রাজ্য বানাবে বিজেপি। এই দাবি করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

4 months ago


Tripura: ত্রিপুরার ভোট, কে কোথায় দাঁড়িয়ে (পর্ব ৮)

প্রসূন গুপ্ত: ত্রিপুরায় বাঙালি ও উপজাতি রয়েছে, যা এর আগেও বলেছি। কিন্তু সে রাজ্যের বাঙালিদের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের যেমন মিল রয়েছে তেমন অমিলও বিস্তর। মিল রয়েছে সংস্কৃতিতে, পুজো-অর্চনা, শিক্ষাক্ষেত্রে। সেখানেও ঘটা করে পয়লা বৈশাখ থেকে রবীন্দ্র- নজরুল জয়ন্তী যেমন পালিত হয় তেমনই দুর্গাপুজো ওই রাজ্যের প্রধান উৎসব। তারপর কালীপুজো,সরস্বতী পুজো ইত্যাদি নিয়ম করে পালিত হয়ে থাকে। এ রাজ্যে যেমন বইমেলা পালিত হয় তেমন আগরতলা বইমেলাও প্রতিবছর পালিত হয় রাজবাড়ীর সামনের মাঠে।

কিন্তু অমিলও আছে, প্রথমত ভাষাগত। এখানকার বাঙালি বলতেই ওপার বাংলার কুমিল্লা ও নোয়াখালী থেকে আগত উদ্বাস্তু। বাংলাদেশ বা উত্তরবঙ্গের মানুষের ভাষার মতো পূর্ববঙ্গীয় ভাষা এখানে। এখানকার মানুষের খাওয়াদাওয়া একটু ভিন্ন। এখানে ছুটির দিনে জলখাবার থেকে নৈশভোজ অবধি ভাত চলে। তিন বেলায় ভাত, লুচি-পরোটা বা চাউমিন অথবা পাউরুটি যে চলে না, তা নয় কিন্তু এই খাবারের প্রতি ঝোঁক কম। মাছ খেতে ত্রিপুরাবাসী খুব ভালোবাসে কিন্তু মাছ মাংস থেকে তরিতরকারির দাম প্রচণ্ড।

কলকাতার রাস্তায় এখনও ২৫ টাকায় ভাত-ডাল-সবজি পাওয়া যায়। কিন্তু আগরতলার যেকোনও ভাতের হোটেলে সবজি-ডাল-ভাত খেতে ৭৫ টাকা খরচ হয়। মাছ-ভাত ২৫০ থেকে ৭০০ টাকা অবধি দাম ওঠে কাজেই এখানকার মানুষ পারতপক্ষে রাস্তায় বা হোটেলে খেতে চান না।

চাকরি বলতে সরকারি। পশ্চিমবঙ্গে ১২% মানুষ সরকারি চাকরি করে এবং বাকি বেসরকারি। কিন্তু ওই রাজ্যে চাকরি মানেই সরকারি, কিছুটা বেসরকারি। সমস্যা শিল্প-বাণিজ্য নেই, কাজ করবে কোথায়? কিছু সংস্থার শাখা অফিস যা আছে তাতে ক'জনই বা কাজ করে।ব্যবসা বলতে ট্রেডিং। আসলে ত্রিপুরায় শিল্প হলে তার প্রোডাক্ট সারা ভারতে পাঠাতে যে পরিমান জ্বালানি খরচ হবে তাতে ভারতের অন্য প্রান্তের ওই একই প্রোডাক্টের দামের কাছে মার খাবে এ রাজ্যের প্রোডাক্ট। ফলে চাকরির বাজার খুবই খারাপ।

বর্তমানে রাজ্যের মানুষের দাবি কর্ম-দ্রব্যমূল্য হ্রাস। কংগ্রেস থেকে বর্তমান বিজেপি সরকার কেউই এই সমস্যার সমাধান খুঁজে পায়নি। (চলবে) 

4 months ago
Tripura: ত্রিপুরার ভোট, কে কোথায় দাঁড়িয়ে (পর্ব ৭)

প্রসূন গুপ্ত: রাজনীতির ট্যুইস্ট, নতুন ঘটনা কিছু নয়, মোদী সরকারের আমলে বিভিন্ন রাজ্যে বিরোধী সরকার পড়েছে, নতুন ইকুয়েশন তৈরি হয়েছে। দেখা গিয়েছে, এমনও যে দলের সঙ্গে বিজেপির কোনও কালেও সুসম্পর্ক ছিল না তারা হঠাৎই বিজেপির জুড়িদার হয়েছে যথা হরিয়ানা। আবার মহারাষ্ট্রে শিবসেনা ভেঙে দু'টুকরো হয়েছে। তেমনটা কী হচ্ছে ত্রিপুরায়?

যদিও বর্তমান ত্রিপুরা সরকারে বিজেপিই একক সংখ্যাগরিষ্ঠ কিন্তু তাদের জোট সঙ্গী আছে ত্রিপুরা আদিবাসীদের আইপিএফটি। এবার ভোটেও আইপিএফটি ফের জোটবদ্ধ কিন্তু এখন তাদের দল বলতে কিছুই নেই। দলের নেতা-বিধায়করা যোগ দিয়েছে নতুন দল তিপরা মোথাতে। বিজেপি দফায় দফায় এই তিপরা মোথার সঙ্গে বৈঠক করেও তাদের বাগে আনতে পারেনি।

দলের মূল কাণ্ডারি ত্রিপুরার মহারাজ প্রদ্যোত বিক্রম মানিক্য দেববর্মন। রাজার হুকুম একাই লড়তে হবে, কারণ নাকি ত্রিপুরীরাই ত্রিপুরার আসল দাবিদার। এখানে বাঙালি ও ত্রিপুরীদের মধ্যে ভেদাভেদ রয়েছে স্বাধীনতার পর থেকেই। আইপিএফটি যদিও স্থানীয় উপজাতির দল। কিন্তু বর্তমানে উপজাতি ভোটাররা তাদের উপর নাকি ভরসা হারিয়েছে! এমনটাই কানাঘুষো।

জানা যাচ্ছে ১৮টি উপজাতি আসনে কোনওভাবে প্রভাব ফেলতে পারবে না আইপিএফটি।  বৃহস্পতিবার শেষ খবর, কংগ্রেস ও বামের জোটের সংকট শেষ হয়েছে। এই দুই দল একত্রে ভোট লড়বে কিন্তু পরোক্ষভাবে তাদের কাছে পেতে আগ্রহী তিপরা মোথা। সে তো ঠিক আছে কিন্তু লড়াই হবেটা কি করে?

এখানেই ট্যুইস্ট। বাম ও কংগ্রেস মোটামুটি ৬০টি আসনেই ভাগাভাগি করে প্রার্থী দিচ্ছে অন্যদিকে তিপরা মোথা ৪৮টি আসনে ইতিমধ্যে প্রার্থী ঠিক করে ফেলেছে। তবে জোট হচ্ছে কী করে। এই জোট তলায় তলায়। ১৮টি উপজাতি অঞ্চলে কংগ্রেস ও বামেরা দুর্বল প্রার্থী দেবে অন্যদিকে টিএম দল ১৮টি আসন বাদে বাকি আসনগুলোয় দেবে দুর্বল প্রার্থী। খুব ঝুঁকির লড়াই তবে এমন কাণ্ড তো বিস্তর ঘটেছে ভারতীয় রাজনীতিতে। এবার দেখার কী প্রতিফলন দাঁড়ায় ভোটবাক্সে।

4 months ago