বর্তমানে ছোট থেকে বড় প্রায় প্রত্যেকের মধ্যেই এই ধরনের সমস্যা দেখা যায়। হাত কাঁপা (Shaky Hands) যে শুধুমাত্র বয়স্কজনিত কারণে হয়ে থাকে, তা কিন্তু নয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, হাত কাঁপার নেপথ্যে বিভিন্ন রোগও (Disease) হতে পারে। তাই এই সমস্যা দেখা দিলেই চিকিৎসকদের পরামর্শ নেওয়া দরকার। যেসব কারণে হাত কাঁপার মতো সমস্যা দেখা দেয়, তা হল-
উদ্বেগ- চিকিৎসকদের মতে, মানসিক চাপ থেকে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়। এর ফলে শরীরে রক্তচাপও বেড়ে যায় ও অ্যাড্রিনালিন হরমোনের মাত্রাও বৃদ্ধি পায়। আর এর প্রভাবেই দেহের পেশীগুলি কাঁপতে থাকে।
রক্তে শর্করার মাত্রা হ্রাস- শরীরে যেমন শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া ক্ষতিকর তেমনই শর্করার মাত্রা কমে গেলেও দেখা দিতে পারে বিভিন্ন সমস্যা। চিকিৎসকদের মতে, হাইপোগ্লাইসেমিয়া বা রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ কমে গেলে হাত সহ সারা শরীর কাঁপতে পারে।
নেশা ছাড়া- কোনও মানুষ যদি কোনও নেশায় আসক্ত থাকে, তবে তিনি সেটা ছাড়ার পরও শরীরে এমন ধরনের লক্ষণ দেখা যায়। শরীর কোনও জিনিসে অভ্যস্ত হওয়ার পর তা ছাড়া হলে স্নায়ু অতিরিক্ত সক্রিয় হয়ে পড়ে। ফলে হাত -পা কাঁপতে থাকে।
হাইপারথাইরডিজম- যখন থাইরয়েড গ্রন্থি মাত্রাতিরিক্ত থাইরয়েড হরমোন উৎপন্ন করে, এই অবস্থাকেই হাইপারথাইরডিজম বলা হয়। এই রোগের অন্যতম লক্ষণ হস, আঙুল সহ হাত কাঁপা।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, বয়স্কর পাশাপাশি, কম বয়সী ছেলে মেয়েদের মধ্যে হাত কাঁপার মতো সমস্যা দেখা দিলেই চিকিৎসকদের কাছে যাওয়া উচিত। কারণ এই সমস্যাকে অবহেলা করলে পরবর্তীতে আরও বিপদ ঘনিয়ে আসতে পারে।
ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ইন্দোনেশিয়া (Indonesia)। ভারতীয় সময় সোমবার সকালে ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে প্রধান দ্বীপ জাভা (Java)। সূত্রের খবর, কমপক্ষে ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে ভূমিকম্পে (Earthquake)। আহত হয়েছেন ৭০০ জনেরও বেশি মানুষ। কয়েক সেকেন্ডের জন্য কম্পন অনুভূত হয়েছিল। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৬। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানিয়েছে, ৫.৬ মাত্রার ভূমিকম্পটি ১০ কিলোমিটার (৬.২ মাইল) গভীরতায় পশ্চিম জাভা প্রদেশের সিয়ানজুর অঞ্চলে কেন্দ্রীভূত হয়েছিল। কম্পনের কারণে বহু মানুষ ঘর ছেড়ে বেড়িয়ে আসেন। খালি করে দেওয়া হয় অফিস। ভূমিকম্পে কয়েকশো বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়া কয়েকটি স্কুলও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘরবাড়ি ভেঙে চাপা পড়ে আহত হওয়া সকলকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। শুধু জাভা নয়, রাজধানী জাকার্তাতেও কম্পণ অনুভূত হয়েছে। প্রথমে ১৪ জনের মৃত্যুর খবর ঘোষণা করে সেখানকার সরকার৷ কিন্তু তারপর থেকে মৃত্যুর খবর আরও বাড়তে থাকে৷
ভূমিকম্পের জেরে প্রচুর বাড়ি ভেঙে পড়তে শুরু করে৷ উদ্ধারকারী দল জানিয়েছে, বেশিরভাগের মৃত্যু হয়েছে বাড়ি চাপা পড়ে। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।