গার্ডেনরিচকাণ্ডে ঘা এখনও দগদগে রাজ্যবাসীর মনে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দুর্ঘটনায় আক্রান্ত হওয়া বেশ কিছু ব্যক্তি। গরিবদের মাথার ছাদের ওপর বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনায় এখনও আসছে মৃত্যুর খবর। মঙ্গলবার ফের মৃত্যুর খবর এল গার্ডেনরিচকাণ্ডে আহত এক যুবকের। এসএসকেএম হাসপাতালে জখম অবস্থায় ভর্তি ছিলেন তিনজন। যাঁদের মধ্যে একজন বছর ২৩-এর মইনুল সর্দার। মঙ্গলবার চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে, এমনটাই হাসপাতাল সূত্রে খবর।
এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মুসরাত জাহান এবং মহম্মদ সহিলউদ্দিন নামে আরও দুজন। অন্যদিকে গার্ডেনরিচ সংলগ্ন বেসরকারি হাসপাতালেও ভর্তি রয়েছেন আরও ৬ জন।
রেশন বন্টন দুর্নীতির তদন্তে নেমে বাকিবুর ও বালুর সূত্র ধরে ইডির জালে ধরা পড়েছিল দাপুটে রাঘব বোয়াল বনগাঁর প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্য। আর্থিক দুর্নীতি, বিদেশে মুদ্রা পাচার-সহ পরিবারের নামে একাধিক কোম্পানি এমনকি নিজের নামেও একাধিক FFMC কোম্পানি, সবেতেই যে দুর্নীতির কাণ্ডারি শঙ্কর, সেই তথ্যের সন্ধান মিলেছিল ইডির তল্লাশিতে। ইডির হাতে এসেছিল শঙ্করের ফরেন মানি এক্সচেঞ্জ কোম্পানির খোঁজও। শঙ্কর ও তাঁর পুত্র শুভ আঢ্যের বিদেশি কোম্পানির হদিশও পেয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দামহল।
ইতিমধ্যেই, শুক্রবার নগর দায়রা আদালতে পেশ করা হয়েছে রেশন বন্টন দুর্নীতিতে ধৃত শঙ্কর আঢ্য ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ দাসকে। শনিবার ধৃত বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যর মামলা কলকাতার নগর দায়রা আদালতে পেশ করা হয়। আলিপুর সংশোধনাগার থেকে ধৃত শঙ্কর আঢ্যকে আদালতে নিয়ে আসার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বা বিশ্বজিৎ দাসকে চেনেন না, এমনই চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করেন।
সাংবাদিক শঙ্কর আঢ্যকে প্রশ্ন করেন, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কালো টাকা বিশ্বজিৎ দাসের হাত ঘুরে আপনার কোম্পানিতে আসতো? শঙ্করের সাফ জবাব, 'চিনি না... আমি এদের কাউকেই চিনি না।'
এদিন ইডির বিশেষ আদালতে শঙ্কর আঢ্যের মামলা চলে ভারপ্রাপ্ত বিচারক শুভেন্দু সাহার অধীনে। শঙ্করের আইনজীবী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী জাকির হুসেন এবং আইনজীবী শ্যামল ঘোষ। পাশাপাশি ইডির তরফে ছিলেন আইনজীবী ভাস্কর প্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়।
সূত্রের খবর, এদিন শঙ্কর আঢ্যর আইনজীবী, আদালতে সিজার লিস্ট এবং কেস ডাইরির আবেদন জানান। কোনও জামিনের আবেদন করা হয়নি শঙ্কর আঢ্যর আইনজীবীর তরফে। অন্যদিকে ইডির তরফে শঙ্কর আঢ্যর জেল হেফাজতের জন্য আবেদন করা হয়েছে আদালতে। তবে শনিবার আদালতে বিচারকের কাছে কাতর আবেদন ধৃত শঙ্কর আঢ্যর।
এখন গরিবের অন্ন নিয়ে ঠিক কত পরিমাণ দুর্নীতিতে মজেছিলেন শঙ্কর আঢ্য ওরফে ডাকু? তা জানার অপেক্ষাতেই বঙ্গের ওয়াকিবহাল মহল।
শনিবার ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা তথা রাজনীতিবিদ মিঠুন চক্রবর্তী। বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। সূত্রের খবর, নিউরোলজি, কার্ডিয়োলজি এবং গ্যাস্ট্রোএনট্রোলজি বিভাগের চিকিত্সকদের নিয়ে একটি মেডিক্যাল দল গঠন করা হয়েছে অভিনেতার চিকিৎসার জন্য। এই মেডিক্যাল দলের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন টলিউডের মহাগুরু।
জানা যাচ্ছে, অভিনেতা চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন। ধীরে ধীরে কথাও বলছেন চিকিৎসকদের সাথে। হাসপাতাল সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, শনিবার রাতে পর্যাপ্ত ঘুমিয়েছেন অভিনেতা, তাই আপাতত বিপদমুক্ত মিঠুন, একথা বলাই যায়।
কার্যত, এদিন হাসপাতাল চত্বরে দেখা গেল বহু বিশিষ্ট জনের আসা যাওয়া। সকলের প্রিয় অভিনেতাকে দেখতে আসছেন তাঁর বহু শুভাকাঙ্খী। এদিন হাসপাতালে আসেন পরিচালক অতনু রায়চৌধুরী। জানান, ফুরফুরে মেজাজেই দেখলেন মিঠুন চক্রবর্তীকে।
হাসপাতালে মিঠুনকে দেখতে আসেন সিপিএম নেতা সুভাষ চক্রবর্তীর স্ত্রী রমলা চক্রবর্তীও। হাসপাতালে আসেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যও। তিনিও বললেন, উনি এখন সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন। এমনকি, অনেক পুরোনো রাজনৈতিক গল্পেও যে তাঁরা কিছুক্ষণ মশগুল হয়েছিলেন, তাও জানান শমীক।
এছাড়াও হাসপাতালে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। তিনি ভালো আছেন জেনেও, ওই যে বিপদে পাশে থাকার, দেখা দিয়ে কয়েক মিনিট কথা বলে আসার টান- সেই টানেই মিঠুনকে দেখতে সুকান্ত মজুমদার আসেন হাসপাতালে। হাসপাতালে বেশ খোশ মেজাজে সুকান্তর সঙ্গে গল্পও করতে দেখা যায় মিঠুন চক্রবর্তীকে।
সরকারি হাসপাতালে অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা নিয়ে গর্বের অন্ত নেই বর্তমান রাজ্য সরকারের। অথচ এদিকে ফের সরকারি হাসপাতালে অমানবিকতার নজির। অ্যাম্বুল্যান্সের অভাবে মাত্র ৪ মাসের অসুস্থ শিশুকে কোলে নিয়ে বাবা-মাকে বসে থাকতে হল ঘণ্টার পর ঘণ্টা। শনিবার রাতের এমন ছবি উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদ হাসপাতালের সামনের।
শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগছিল ৪ মাসের ছোট্ট শিশু। বাবা-মা নিয়ে যায় হেমতাবাদ হাসপাতালে। বিপদ বাড়ে শিশুকে রায়গঞ্জ হাসপাতালে রেফার করা হলে। অভিযোগ, দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও মেলেনি অ্যাম্বুল্যান্স। বাধ্য হয়ে কোলের শিশুকে নিয়ে বসে থাকতে হয় ঠাণ্ডায়।
সূত্রের খবর, হেমতাবাদ হাসপাতালে অ্যাম্বুল্যান্স ৫ টি। তার মধ্যে সচল ৩ টি। কেন ২ টি অ্যাম্বুল্যান্স চলে না? ৩ টি সচল অ্যাম্বুল্যান্সের পরিষেবাও অমিল কেন? তা নিয়ে সদুত্তর মেলেনি।
এসএসকেএম হাসপাতাল নিয়ে একের পর এক অভিযোগ রোগীদের। সেখানে রাজ্যের সাধারণ মানুষ ভর্তি হতে গেলে শিকার হচ্ছেন হয়রানির। অথচ শাসক দলের নেতৃত্বদের জন্য সবসময় দরজা খোলা এসএসকেএমে। প্রশ্নের মুখে এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবারও এসএসকেএম হাসপাতালের বিরুদ্ধে উঠে আসে একই অভিযোগ। প্রায় ৪০ মিনিট ধরে রোগী এমারজেন্সিতে রয়েছে কিডনি, লিভার,হার্টের সমস্যা নিয়ে। তবুও হাসপাতালের তরফে ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ রোগীর পরিবারের। জানা গিয়েছে, রোগীর নাম হাসিনা বিবি(৩৮)। রাজারহাট থানার অন্তগর্ত মোহাম্মদপুর গ্রামের বাসিন্দা।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই বিহারের বাসিন্দা এক শিশুকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ভর্তি না নিয়ে বাইরে অ্যাম্বুলেন্সেই ফেলে রাখা হয় দীর্ঘক্ষণ। কারণ হিসেবে বলা হয় হাসপাতালে নাকি বেড নেই। পরবর্তীতে অবশ্য CN-এর খবরের জেরে একপ্রকার বাধ্য হয়ে শিশুটিকে ভর্তি করে তার চিকিৎসা শুরু করে এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি গত শনিবার বেডের জন্য টানা ১৮ ঘন্টা হয়রানির শিকার হয়ে, এই এসএসকেএম-এর সামনেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন, জগৎবল্লভপুরের বাসিন্দা ৭০ বছর বয়সী আখলিমা বেগম। রাজ্যের অন্যতম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল বলা হয় এই এসএসকেএম-কে।
এই এসএসকেএম-এ ভর্তি রয়েছেন নিয়োগ দুর্নীতি মামলার অন্যতম অভিযুক্ত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু। ভর্তি রয়েছেন মদন মিত্রও। রীতিমত এসএসকেএম-এর কার্ডিওলজি বিভাগে, শিশুর বেড দখল করে রয়েছেন 'ভদ্র' কাকু। ইডির হাত থেকে বাঁচতে এসএসকেএমের নিরাপদ আশ্রয়কেই বেছে নিয়েছেন তিনি। তাই বারংবার সুজয়কৃষ্ণের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের জন্য ইডি, সিবিআইয়ের তরফে আবেদন জানানো হলেও, এসএসকেএমের দৌলতে তাঁর টিকিটিও ছুঁতে পারছে না তারা।
আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি শুধুমাত্র রাজ্যের শাসকদলকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্যই রয়েছে, রাজ্যের প্রথম সারির এই হাসপাতাল? শাসকদলের নেতৃত্বরা সহজে বেড পেয়ে গেলেও, কেন সাধারণ মানুষকে এসএসকেএমে ভর্তি হতে গেলে, বারংবার হয়রানির শিকার হতে হবে? প্রাণের দাম কি শুধুই শাসকদলের নেতৃত্বদের? কেন বেডের অভাবে এসএসকেএমে ভর্তি হতে পারবেন না সাধারণ মানুষ? কেনই বা বারংবার বেঘোরে প্রাণ যাবে তাঁদের? একাধিক অভিযোগের পরেও, এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মুখে কুলুপ কেন? কাদের অঙ্গুলি হেলনে চলছে এই এসএসকেএম? প্রশ্নগুলো কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।
আবারও হাসপাতালের বিরুদ্ধে উঠেছে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ। মেয়েকে সুস্থ করার দাবিতে মন্ত্রীর পায়ে ধরে কাতর আবেদন রোগীর আত্মীয়র। রবিবার সাতসকালে মেদিনীপুর মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতালে ঘটেছে এই ঘটনা।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্য়া ৭ টা নাগাদ মেদিনীপুরের কলগাং এলাকার বাসিন্দা রিঙ্কু রায়ের মেয়েকে অসুস্থ হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর রাত ১১ টা নাগাদ কোন কিছু পরীক্ষা না করিয়ে সোজা তাঁকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে গিয়ে অপারেশন করা হয় বলে অভিযোগ।
আজ অর্থাৎ শনিবার সকালে আরও একটি অপারেশন করা হয় বলে অভিযোগ বাড়ির লোকের। আর তারপরে এই রক্তপাত বন্ধ না হওয়ায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই রোগী। তারপরে তাকে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয় আইসিইউতে। এদিন ভোরবেলায় ওই রোগীর বাড়ির লোককে জানানো হয় মেয়ের অবস্থা খারাপ। এই কথা শোনা মাত্রই ক্ষোভে ফেটে পড়েন রোগীর বাড়ির লোক।
অন্য়দিকে বিশেষ কাজে মন্ত্রী বীরবাহা হাসদা এসেছিলেন মেদিনীপুর মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালে। মন্ত্রীকে দেখা মাত্রই তাঁর কাছে আবেদন জানালেন ওই অসুস্থ মেয়েটির বাড়ির লোক। ইতিমধ্যেই মেদিনীপুর মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালে যে আউটপোস্ট রয়েছে সেখানে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন ওই অসুস্থ মেয়েটির বাড়ির লোকজন।
এসএসকেএম-এর কার্ডিওলজি বিভাগে শিশুদের জন্য বরাদ্দ বেডে এই মুহূর্তে ভর্তি রয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু। আর এই কার্ডিওলজি বিভাগের বাইরের চত্বরে নজর রাখলে দেখা যাবে ২৭ বছরে এক যুবতী গলায় দুরারোগ্য ব্যাধি ক্যান্সার ও চোখে জল নিয়ে চেয়ে রয়েছেন পথ চলতি মানুষের দিকে। যুবতীর নাম ত্রিলোচনা। তিনি মুর্শিদাবাদ থেকে এসে ২৭ দিন ধরে হাসপাতাল চত্বরে অস্থায়ী ঠিকানা তৈরি করে চিকিৎসা চালাচ্ছেন নিজের। মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিল এ রোগের চিকিৎসা এখানে করা সম্ভব নয়। তাই কলকাতায় গিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে।
এসএসকেএম হাসপাতালে এসে চিকিৎসা পেয়েছেন ত্রিলোচনা, গলায় অস্ত্রপচারও করা হয়েছে। কিন্তু এখানেই শেষ নয়। এই দীর্ঘ চিকিৎসা চালাতে গেলে তাঁকে শহর কলকাতার কোথাও থাকতে হবে। টাকার অভাবে বাড়ি ভাড়া করতে পারেননি। স্বামীকে সঙ্গে করে নিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে কার্ডিওলজি বিভাগের বাইরের চত্বরে ঠিকানা হয়েছে ত্রিলোচনা ভাস্করের।
ত্রিলোচনা মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের বাসিন্দা। মুখে টিউমার হয়েছিল। সেই টিউমারের চিকিৎসা করতে যান মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে। তারপর সেখান থেকে শিয়ালদহের আর আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজ। সেখানে ভুল চিকিৎসার পর তিনি চলে আসেন এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানেই চলছে তাঁর চিকিৎসা। অনেকটা সুস্থ হয়েছেন কিন্তু সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠতে পারেননি। যতদিন না সুস্থ হয়ে উঠছেন ততদিন হয়ত তাঁকে এই এসএসকেএম হাসপাতালের বাইরে এভাবেই দিন কাটাতে হবে। আর কলকাতার হাসপাতালগুলি বাইরের চত্বরে এভাবেই দিন কাটাছেন হাজারও ত্রিলোচনা, শুধু অপেক্ষা করছেন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার।
বেশ কয়েকদিন ধরেই নতুন করে চোখের সমস্যায় ভুগছিলেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি চোখে ইনফেকশন জনিত সমস্যার কারণে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলীয় সভায় অনুপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। আজ, শনিবার বেলা সাড়ে ১১ টা নাগাদ দমদম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন ডায়মন্ডর হারবারের তৃণমূল সাংসদ। তৃণমূল সূত্রে খবর, চোখের চিকিৎসা করতে হায়দরাবাদ উড়ে যাচ্ছেন অভিষেক।
উল্লেখ্য, এর আগেও হায়দরাবাদে চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়া পুজোর আগেও প্রায় একমাস আমেরিকায় থেকে চোখের চিকিৎসা করিয়েছেন। শনিবার কলকাতা বিমানবন্দরে গাড়ি থেকে নেমে অপেক্ষারত সাংবাদিকদের দিকে হাত নেড়ে বিমানবন্দরে ভিতর ঢুকে যান তৃণমূল নেতা। তাঁর চোখে এখন কেমন রয়েছে, সেই নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানাননি অভিষেক। কেমন আছেন? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে অভিষেক জানান তিনি ভাল আছেন।
রাজ্য সরকারের গাফিলতিতে ৬ মাস ধরে আটকে ক্যান্সার রোগীর চিকিৎসা।অভিযোগ, সরকারের কাছে সাহায্যের আর্জি জানালেও মেলেনি চিকিৎসার টাকা। জানা গিয়েছে, ২০২২ সালে বছর ২৬-এর কৌশিক বর্মন নামে এক যুবক ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। ধূপগুড়ির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা তিনি। আর্থিক অবস্থা খুব বেশি সচ্ছল নয়। দরিদ্র পরিবারে মা বাবা ও দুই দাদাকে নিয়ে থাকতেন সে। কিন্তু এক বছর ধরে ক্যান্সারে আক্রান্ত থাকায় আরও বিপদে পড়ে যায় ওই পরিবার। এরপর জলপাইগুড়িতে চিকিৎসা না হওয়ায়, ওই পরিবারের পাশে দাঁড়ান প্রতিবেশীরা। যে যার সামর্থ্য অনুযায়ী টাকা-পয়সা দিয়ে চিকিৎসা জন্য বেঙ্গালুরু পাঠায় ওই ক্যান্সার আক্রান্ত যুবককে।
এরপর জলপাইগুড়িতে ফিরে বেসরকারি হাসপাতালে শুরু হয় ওই ক্যান্সার আক্রান্ত যুবকের কেমো থেরাপি। অভিযোগ, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে ২ টো কেমোর সাহায্য পেলেও কিন্তু আরও কেমো দেওয়ার জন্য আবারও প্রতিবেশীদের কাছে টাকা চাইতে হয় ওই পরিবারকে। ক্যান্সার আক্রান্ত হবার পর থেকে চিকিৎসার জন্য প্রায় ৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। এরপর হাসপাতাল থেকে জানানো হয় ফের অপারেশন করতে হবে ওই ক্যান্সার আক্রান্ত যুবককে।
পরিবারের অভিযোগ, প্রায় ছয় মাস আগে চিকিৎসার জন্য সাহায্য চাইতে মুখ্যমন্ত্রীর রিলিফ ফান্ডের জন্য আবেদন করা হয়। কিন্তু আবেদন করার ছয় মাস কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত কোনও সাহায্য পায়নি ওই পরিবার। যারফলে এখন পুরোপুরিভাবে বন্ধ হয়ে গেছে ক্যান্সারে আক্রান্ত বছর ছাব্বিশের কৌশিক বর্মনের চিকিৎসা। কবে মুখ্যমন্ত্রীর রিলিফ ফান্ডের টাকা তাঁরা পাবে এবং কবে অপারেশন হবে সেই দিনের অপেক্ষায় রয়েছে পরিবার।
রাজ্যের মানুষকে সঠিক ও কম খরচে চিকিৎসা প্রদানের জন্যই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বাস্থ্য়সাথী প্রকল্পের শুরু করেছিলেন। এই স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের শুরু হওয়ার পর থেকেই পরিষেবা নিয়ে উঠেছে একাধিক প্রশ্ন। সামনে এসেছে বহু অভিযোগ ,কখনও সঠিক সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না , আবার কখনও কার্ড দেখালেও মিলছে না পরিষেবা। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে তুঙ্গে চর্চা। এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে বড়সড় বদল আনল রাজ্য সরকার। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের রেফারে এবার থেকে বেসরকারি হাসপাতালে আর হাড়ের অস্ত্রোপচার করানো যাবে না, করাতে হবে সরকারি হাসপাতালেই। এই মর্মে রাজ্য় সরকারে তরফ থেকে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। যেই নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে হাড়ের অস্ত্রোপচারের জন্য পরিষেবা ও পরিকাঠামো উন্নত করা হয়েছে। যা থেকে উন্নত চিকিৎসা পেতে পারেন রোগীরা। তাই হাড়ের অস্ত্রোপচারের জন্য আর বাইরে রেফার না। তবে যদি জরুরী অবস্থার দেখা যায় ,যেখানে আরও উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন সেখানে,সরকারি রেফার এর প্রটোকল মেনে কাজ করতে হবে।
পাশাপাশি এই নির্দেশিকতাতে আরও বলা হয় যদি কোন ক্ষেত্রে দেখা যায়,কোনও ধরনের প্রয়োজন ছাড়াই হাড় এর চিকিৎসার ক্ষেত্রে রেফার করা হয়েছে।সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার উপযোগী সেই রোগী তবে সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক এবং নার্সিং স্টাফ এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতালে অবিলম্বে এই নির্দেশিকা জারি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে।
প্রসঙ্গত , এর আগে মালদা ও মুর্শিদাবাদ জেলায় বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে হাড়ের অস্ত্রোপচারে জারি হয়েছিল নিষেধাজ্ঞা। সেই সময় স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, মালদা ও মুর্শিদাবাদ জেলায় সরকারি হাসপাতালে অর্থোপেডিক বিভাগের পরিকাঠামো যথেষ্ট উন্নত। তাই এখানেই এবার থেকে করা হবে চিকিৎসা ।এবার থেকে সেই একই নিয়ম লাগু করা হল রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতালের।এই নতুন নির্দেশিকায় আদৌও কোনও লাভ হবে কি না , নাকি উল্টে ভোগান্তির শিকার হতে হবে রোগীর পরিবারকে সেটাই এখন দেখার ।
পায়ের দগদগে ঘায়ে এক ফোঁটা ওষুধও পড়েনি। ক্ষতয় মলম বলতে কলের ঠাণ্ডা জল। কাতরাতে কাতরাতে হাসপাতালের (Hospital) বাইরেই প্রায় অচেতন অবস্থায় পড়ে রয়েছেন এক ব্যক্তি। তবু হুঁশ নেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। ফিরেও তাকাচ্ছেন না কোনও ডাক্তার বা নার্স। কেউ এগিয়েও এল না শুশ্রুষার জন্য? চরম অমানবিকতার ছবি নদিয়ার তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে। অভিযোগ, ৪ দিন আগে নদিয়ার (Nadia) নাজিরপুর হাসপাতাল থেকে তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে রেফার করা হয় ওই ব্যক্তিকে। তবু হাসপাতালের ভিতরে একটু ঠাঁই মিলল না। গত ৩দিন ধরে হাসপাতালের বাইরেই ঠাঁই হয়েছে তাঁর।
বিভিন্ন সভা, মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রীর গর্বের বিষয় তাঁর সরকারি হাসপাতাল, স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলির চিকিৎসা পরিষেবা। কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে কি তা হচ্ছে? মাত্র এক মাস আগেই হুগলির চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালও সাক্ষী ছিল এই নির্মমতার। মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলা ঘা নিয়ে রাস্তায় পরে থাকলেও এগিয়ে যায়নি হাসপাতালের কেউ। কোন অন্ধকার গ্রাস করছে রাজ্যকে? মানুষ হয়ে মানবিক হওয়া যাচ্ছে না? হাসপাতাল থাকলেও চিকিৎসা দেওয়া যাচ্ছে না?
ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর (Death) ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল সোনারপুর হাসপাতালে। ঘটনার জেরে আতঙ্কে হাসপাতাল ছেড়ে পালালেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত যুবকের নাম শুভ নস্কর (১৯)। বাড়ি সোনারপুর থানা এলাকার সুভাসগ্রামের চন্ডীতলায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে সোনারপুর থানার বিশাল পুলিস বাহিনী। এরপর পুলিস মৃতদেহ উদ্ধার করতে গেলে, পুলিসকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান মৃত রোগীর পরিজনেরা।
মৃতের পরিবার জানিয়েছে, আগামীকাল অর্থাৎ শনিবার সন্ধ্যায় বিষাক্ত পোকামাকড় কিংবা সাপে কামড়েছে বলে মনে করে ওই যুবককে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। অভিযোগ, পর্যবেক্ষণে রাখার পরিবর্তে দুটি ইনজেকশন দিয়ে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে ওই যুবককে বাড়ি ছেড়ে দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বাড়ি নিয়ে যাওয়ার পথেই ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই যুবক। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে আবার নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। এই ঘটনা জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে রোগীর পরিবারের লোকজন। ডাক্তারদের উপর ভুল চিকিৎসা করার অভিযোগে হাসপাতালের সামনে চড়াও হন রোগীর পরিজনেরা।
যদিও চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীকে ভর্তি না করার পাল্টা দায় চাপিয়েছে পরিবারের উপর। মৃতের পরিবারের দাবি চিকিৎসকদের গাফিলতির জেরেই মৃত্যু হয়েছে, অভিযুক্ত চিকিৎসকদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
ছিনতাইয়ে (Robbery) বাধা দেওয়ায় এক ব্য়ক্তিকে বেধড়ক মারধর ও মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ দুই দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। ঘটনায় গুরুতর আহত হয় পড়েন ওই ব্য়ক্তি। বুধবার, রাতে এই ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের (Maldah) রথবাড়ি এলাকায়। বর্তমানে আহত ওই ব্যক্তি মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। এই ছিনতাইয়ের ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে খবর, আহত ওই ব্য়ক্তির নাম কার্তিক বসাক (৪৬)। ফরাক্কার বাসিন্দা। বিগত দুইদিন ধরে ওই ব্য়ক্তির বাবা বিমল বসাক (৭৫) মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বুধবার, রাতে বাবাকে হাসপাতালে রেখে কার্তিক বসাক রথবাড়িতে গিয়েছিলেন। সেইখান থেকে ফেরার সময় রথবাড়ি এলাকায় দুইজন যুবক এসে তাঁর পথ আটকায়। ওই ব্যক্তির কাছ থেকে ওই দুই যুবক মোবাইল ছিনিয়ে নেয় এবং এরপর টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। সেই সময় বাধা দিতে গেলেই ওই ব্যক্তিকে বেধড়ক মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেয় অভিযুক্তরা, বলে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি।
টাকা ছিনিতাইয়ের সময় ওই ব্যক্তির চিৎকার শুনে আশেপাশে দোকানদার ও লোকজনেরা ছুটে আসে এবং ওই দুই যুবককে ধরে বেধড়ক মারধর দিয়ে পুলিসের হাতে তুলে দেয়। অভিযুক্ত দুই যুবককে ধরে নিয়ে যায় ইংরেজ বাজার থানায়।
হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। প্রায় ১১ দিন পর হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরলেন বর্ষীয়ান নেতা। এদিন, তাঁকে আনতে হাসপাতালে যান স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য। বুধবার সকাল থেকেই হাসপাতালের বাইরে রাখা ছিল অ্যাম্বুলেন্স। স্ট্রেচারে করে এনে তাঁকে ওই অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হয়। সঙ্গে ছিলেন চিকিৎসক। এরপর পাম অ্যাভিনিউ-এর উদ্দেশে রওনা দেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
চিকিৎসকরা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বুদ্ধদেববাবু বাড়িতে পৌঁছনোর পর সেখানেও একজন চিকিৎসক থাকবেন। তাঁরা জানিয়েছেন, স্থান পরিবর্তন হল, কিন্তু হোম কেয়ার চলবে। আপাতত এক মাস হোমকেয়ারে রাখা হবে তাঁকে। বাইপ্যাপ সাপোর্ট ছাড়াই বাড়ি ফিরছেন বুদ্ধবাবু। তবে বাড়িতে রাতে বাইপ্যাপ দেওয়া হবে তাঁকে। ওষুধ খাওয়ানো ও প্যারামিটার দেখার জন্য নার্স থাকবেন পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে। ফিজিওথেরাপি চলবে।
চিকিৎসকরা আরও জানাচ্ছেন, যে অবস্থায় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল, সেই তুলনায় এখন তিনি অনেকটা সুস্থ। চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন ও আশীর্বাদও করেছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।
এদিন মীরা ভট্টাচার্য হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে বলেন, বাড়িতে কড়া নজরদারিতে চিকিৎসা তলবে তাঁর। সেইমতো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে এতদিন বুদ্ধদেববাবুর জন্য যাঁরা উৎকণ্ঠায় ছিলেন, তাঁর জন্য প্রার্থনা করেছেন, তাঁদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন মীরা ভট্টাচার্য।
চোখের চিকিৎসার জন্য আমেরিকায় রয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, সেখানে তাঁর চোখের পরীক্ষা হয়েছে নির্বিঘ্নেই। অগাস্টের মাঝামাঝি তিনি কলকাতায় ফিরবেন বলে জানা গিয়েছে। শহরে ফিরেই ইডির বিরুদ্ধে অভিষেক আইনি পদক্ষেপ করতে পারেন বলে ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর।
সম্প্রতি, অভিষেকের ঘনিষ্ঠ সূত্র মারফৎ একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে দেখা যাচ্ছে, আমেরিকার হাসপাতালে বিদেশি চিকিৎসকের সঙ্গে বসে রয়েছেন অভিষেক। কথা বলছেন তাঁরা। চিকিৎসকের হাতে কিছু নথিপত্রও রয়েছে।
ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, যে হাসপাতালে অভিষেকের চোখের অস্ত্রোপচার হয়, অর্থাৎ আমেরিকার জন্স হপকিন্স হাসপাতালে চিকিৎসা করাচ্ছেন তিনি। ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, পরিস্থিতি এখন অনেকটা ভাল। ৬ মাস পর আবারও চিকিৎসার জন্য আমেরিকায় যেতে হবে তাঁকে।