উত্তর সিকিমে আবহাওয়ার উন্নতি হচ্ছে। জোরকদমে চলছে উদ্ধারকাজ। সেতু ভেঙে পড়ায় অস্থায়ী বাঁশের সাঁকো তৈরি করেই চলছে উদ্ধারকাজ। এদিকে, পাহাড় থেকে সমতলের দিকে একের পর এক দেহ ভেসে আসছে। সম্প্রতি, জলপাইগুড়ির তিস্তায় ভেসে এল ১১ জনের দেহ। শুঝু দেহ নয়, দেহাংশও ভেসে আসছে। তিস্তাপাড়ে যেন মৃতদেহের পলি জমতে শুরু করেছে। আর সেগুলি ছিঁড়ে খাচ্ছে শিয়াল কুকুরে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, রবিবার পর্যন্ত ৪০ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। তার মধ্যে ১০ জনকে শনাক্ত করা গিয়েছে। বাকিদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালের মর্গে উদ্ধার হওয়া দেহের ময়নাতদন্ত চলছে। জলপাইগুড়ির তিস্তাপাড়ে আরও দেহ ভেসে আসতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তিস্তায় নৌকা নামিয়ে দেহের খোঁজ চলছে।
এদিকে, গত কয়েকদিন ধরে খারাপ আবহাওয়ার জন্য উত্তর সিকিমে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হয়েছে। তবে, রবিবার থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হওয়ায় ফের জোরকদমে চলছে উদ্ধারকাজ। যেখানে সেতু ভেঙে গিয়েছে, সেখানে বাঁশের অস্থায়ী সাঁকো তৈরি হয়েছে । সিকিম প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর সিকিমের ডংজু , চুংথাং এবং পেগং থেকে বেশ কয়েক জনকে সড়কপথেই নীচে নামিয়ে আনা হয়েছে।
বহু পর্যটক উত্তর সিকিমের লাচুং ও লাচেনে আটকে রয়েছেন। তবে, সিকিম প্রশাসন জানিয়েছেন, পর্যটকরা সুরক্ষিত রয়েছে। তাঁদের নিখরচায় থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে, খারাপ রাস্তার কারণে এখনও সেখানে সেভাবে উদ্ধারকাজ শুরু করা যায়নি।
এবার নৈহাটি স্টেশনে (Naihati Station) এক সন্দেহভাজনের ব্যাগ থেকে প্রায় ৬০ লক্ষ (Cash Seized) টাকা বাজেয়াপ্ত। যদিও টাকার আসল পরিমাণ নিয়ে ধন্দে তদন্তকারীরা। তাঁকে আটক করেছে নৈহাটি জিআরপি (GRP)। খবর দেওয়া হয়েছে, আয়কর দফতর এবং দুর্নীতি দমন শাখাকে। সূত্রের খবর, টাকা গুণতে মেশিনও এনেছে জিআরপি। এমনটাই নৈহাটি জিআরপি সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে আটক এই যুবক টিটাগড়ের (Titagarh) বাসিন্দা। বারবার বয়ান বদলানোয় টাকার উৎস নিয়ে ধন্দে তদন্তকারীরা।
সূত্রের খবর, নৈহাটি স্টেশনে টাকা উদ্ধারের ঘটনায় তদন্তকারী অফিসারদের বারেবারে বিভ্রান্ত করছে ধৃত যুবক। জেরায় সন্দেহভাজন যুবক জানিয়েছে, মাঝেমাঝে সে এরকম ভাবে নৈহাটিতে টাকা নিয়ে আসে। তবে কার কাছে আসে, তা বলতে নারাজ অভিযুক্ত অভিষেক সোনকার।
নৈহাটি জিআরপির ওসি জানান, তাঁদের স্টেশনজুড়ে নাকা চেকিং চলছিল। আপ কল্যাণী লোকাল থেকে অভিষেক ব্যাগ নিয়ে নামতেই আমাদের সন্দেহ হয়। অন্য কাউকে ব্যাগ হস্তান্তরের এর জন্য ফোন করে অভিষেক। দুই ক্যারিয়ারের সংকেত ছিল, মোবাইলে হাফ দশ টাকার নোটের ছবি দেখালেই টাকার ব্যাগ হস্তান্তার হবে। আর সেই মুহুর্তেই পুলিস বমাল ধরে ফেলে। ব্যাগ তল্লাশি চালাতেই বেড়িয়ে পড়ে টাকার বান্ডিল।
এরপরই তাঁকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেও টাকার উৎসের খোজ এখন পায়নি ইনকাম ট্যাক্স। ব্যাগের মধ্যে টাকার পরিমাণ কত, তা এখন স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে। তবে অনুমান ৬০ লক্ষের মতো রয়েছে সন্দেহভাজনের ব্যাগে। ক্যাশ ভেন্ডিং মেশিনে টাকার পরিমান আরো বাড়তে পারে বলে পুলিসের অনুমান।