কলকাতায় বিশ্বকাপের টিকিট কালোবাজারির অভিযোগে এখনও পর্যন্ত ২১ জনকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ। ময়দান থানায় ডেকে নিয়ে গিয়ে জেরা করা হয়েছে সিএবির কর্তা নরেশ ওঝাকে। ছিলেন আর এক আধিকারিক বিশ্বপতি সেন। কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত নয়টি মামলায় ২১ জন গ্রেফতার হয়েছে।
ম্যাচের আগের দিন প্রচুর পরিমাণে টিকিট উদ্ধার হয়েছে বলেও খবর মিলেছে। ম্যাচের জন্য মোট ৬৪ হাজার টিকিট ছাপানো হয়েছিল। এরমধ্যে ১৮ হাজার টিকিট পেয়েছে বুকিংঅ্যাপ। আর এখান থেকে কালোবাজারি হয়েছে বলে অভিযোগ। গোয়েন্দাদের দাবি, বেশি টাকার বিনিময়ে আইডি এবং কিউআর কোড কেনা হয়েছে। এবং তা কিনেছে মুম্বই-সহ ভিন রাজ্যের ব্ল্যাকাররা।
রবিবার বিশ্বকাপের ম্যাচের আগে ইডেনে কিউআর কোড মিলিয়ে দেখা হবে। পুলিশের দাবি, তাতেই জাল টিকিট ছাপানো হয়েছে কি না, সেই ব্যাপারে তথ্য মিলতে পারে।
শিহরে বিশ্বকাপের বড় ম্যাচ। কিন্তু বঙ্গ ক্রিকেটের কর্তারা রয়েছে ময়দান থানাতেই। শুক্রবারের পর শনিবার টিকিট কালোবাজারির অভিযোগ তাঁদের ডেকে পাঠানো হয়েছে। এর আগে ডেকে পাঠানো হয়েছিল অনলাইন বুকিং অ্যাপের কর্তাদের।
অভিযোগ, ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচের টিকিট সরিয়েছেন বিসিসিআই এবং সিএবির কর্তারা। তার ভিত্তিতে শুক্রবার রাত পর্যন্ত ময়দান এবং এন্টালি এই দুই থানা মিলিয়ে মোট সাতটি এফআইআর জমা পড়ছে। অভিযোগ, কর্তাদের মদতেই কালোবাজারিদের হাতে গিয়েছে টিকিট। এখনও পর্যন্ত বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
রবিবার ইডেনে বিশ্বকাপের অন্যতম বড় ম্যাচ। সেই ম্যাচের টিকিট নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই জলঘোলা হয়েছে শহরে। আটক করা হয়েছে বেশ কিছু টিকিটও। দামও উঠছে চড়া। ক্রিকেটপ্রেমীদের একাংশ অনলাইনে টিকিট বিক্রি করার সংস্থার বিরুদ্ধে কালোবাজারির অভিযোগ এনে এফআইআর দায়ের করেছেন। তারই ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে কলকাতা পুলিশের গুন্ডাদমন শাখা।
ইডেনে টিকিট নিয়ে হাহাকার। রবিবার কলকাতায় বিশ্বকাপে নামছে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা। টিকিটের কালোবাজারি নিয়ে ময়দান থানায় সিএবি, বিসিসিআই ও অনলাইন বুকিং অ্যাপ সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন এক ব্যক্তি। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে এবার সিএবির কর্তাও বুকিং সংস্থার প্রতিনিধিকে তলব কলকাতা পুলিশের।
সিএবি-এর এক উচ্চপদস্থ কর্তা যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। সিএবির পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, তাঁরা শুধু ম্যাচ আয়োজন করছে। কিন্তু টিকিট বণ্টনের দায়িত্ব তাঁদের নয়। আইসিসি ও অনলাইন পোর্টাল গোটা ব্যাপারটি আয়োজন করছে।
বিশ্বকাপে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের দিন বিরাট কোহলির জন্মদিন। ওই ম্যাচে আতসবাজি, লেজার লাইটের আয়োজন করেছে সিএবি। বিরাটের মুখোশও বিলি করা হবে। বিরাটের জন্মদিনে কেকও আয়োজন করেছে সিএবি। এরই মধ্যে কালোবাজারির অভিযোগে ময়দান থানায় মামলা দায়ের নিয়ে অস্বস্তিতে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল।
৫ নভেম্বর ইডেনে ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা। বিশ্বকাপে এটাই ভারতের প্রথম ম্যাচ ইডেনে। তাই টিকিটের চাহিদাও তুঙ্গে। তবে, সম্প্রতি, ওই ম্যাচের টিকিট নিয়ে কালোবাজারির অভিযোগ উঠেছে। তাও আবার সিএবি কর্তাদের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই ময়দান থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন এক ক্রীড়াপ্রেমী। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
ওই ব্যক্তির অভিযোগ, অনলাইনে যে সংস্থা বিশ্বকাপের ম্যাচগুলির টিকিট বিক্রি করছে তারা অর্ধেক টিকিট সরিয়ে দিয়েছেন। চলছে টিকিটের কালোবাজারি। এর সঙ্গে বাংলার ক্রিকেট সংস্থা এবং ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কর্তারাও যুক্ত বলে অভিযোগ তুলেছেন তিনি। অভিযোগের ভিত্তিতে সিএবি ও ওই অনলাইন সংস্থাকে চিঠি পাঠিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবারই ময়দান থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছে তাঁদের।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি, কলকাতায় ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের টিকিট কালোবাজারি করতে গিয়ে ধরা পড়েছে এক ব্যক্তি। ধৃতের নাম অঙ্কিত আগারওয়াল। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আড়াই হাজার টাকা দামের টিকিট ১১ হাজার টাকায় বিক্রি করার। ২০টি টিকিটও উদ্ধার করা হয়েছে তাঁর থেকে। এর আগে উত্তরপ্রদেশের একনা স্টেডিয়ামে ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচের টিকিট কালোবাজারির অভিযোগ উঠেছিল। সেখানেও অভিযান চালিয়ে একজনকে গ্রেফতার করেছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।
লখনউয়ের পর এবার কলকাতা। বিশ্বকাপের টিকিট কালোবাজারি করার অভিযোগ। এই অভিযোগে শহর থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতের নাম অঙ্কিত আগারওয়াল। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আড়াই হাজার টাকা দামের টিকিট ১১ হাজার টাকায় বিক্রি করার। পুলিশ জানিয়েছে, মূলত ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের টিকিট কালোবাজারি করতে গিয়ে ধরা পড়েছে ওই ব্যক্তি। তার থেকে ২০টি টিকিটও উদ্ধার করা হয়েছে।
উত্তরপ্রদেশের একনা স্টেডিয়ামে ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচের আগেও কালোবাজারির অভিযোগ উঠেছিল। সেখানেও অভিযান চালিয়ে একজনকে গ্রেফতার করেছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। অভিযোগ, কলকাতা বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচে ইডেনের আশপাশে বেশ চড়া দামে টিকিটের কালোবাজারি হয়েছে।
এখনও প্রশ্ন হচ্ছে, অনলাইনের টিকিট কী ভাবে বাইরে চলে আসছে। কারণ, নিয়ম অনুযায়ী এই বিশ্বকাপে বেশি ভাগ টিকিটই অনলাইনে বণ্টন করা হচ্ছে। আর এই টিকিট কাটতে হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কাছেই ওই টিকিট আসবে। তাহলে কী এখানেও প্রতারকরা জাল ফেলেছে। তদন্ত করছে লালবাজার।