এবার শহরের জাদুঘরে বোমাতঙ্ক ঘিরে চাঞ্চল্য। ইমেইল মারফত বার্তা আসে জাদুঘরে একাধিক বোমা রয়েছে। এরপরেই তৎপর হয় পুলিস এবং বম্ব স্কোয়াড। তড়িঘড়ি বের করে দেওয়া হয় দর্শনার্থীদের।
শুক্রবার সকাল থেকেই শহরের জাদুঘরে বোমাতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। জানা গিয়েছে শুক্রবার ভোরে একটি ইমেলে বোমা থাকার বিষয়টি পাঠানো হয়। ওই ইমেইলে বলা হয়েছে, কলকাতা জাদুঘরে রাখা আছে একাধিক বোমা। ইমেইল এসেছে 'টেরোরাইজার ১১১' নামে, যারা নিজেদের জঙ্গি সংগঠন বলে দাবি করেছে ৷ পাশাপাশি ওই ইমেলে লেখা আছে, তাদের সংগঠনকে প্রচারের আলোয় না আনলে, তারা জাদুঘরে বিস্ফোরণ ঘটাবে।
শুক্রবার সকালে ওই ইমেল বার্তার পরেই তড়িঘড়ি জাদুঘরে উপস্থিত হন বোম্ব স্কোয়াড, ডগ স্কোয়াড সহ পুলিসের একাধিক শীর্ষ আধিকারিকরা। এছাড়াও উপস্থিত হন গোয়েন্দা দফতরের অধিকারিকরাও। বোমা থাকার হুমকি বার্তা আসার পর থেকেই খালি করে দেওয়া হয়েছে ভারতীয় জাদুঘর। পাশাপাশি কয়েক ঘন্টা বন্ধ রাখার বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছে মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও জাদুঘরের ভেতরের প্রতিটি কক্ষে চালানো হচ্ছে তল্লাশি।
তবে আদৌ মিউজিয়ামে বোম্ব রাখা আছে, না কি নিছক আতঙ্ক ছড়ানোর কারণে এই ঘটনা উদ্দেশপ্রণোদিত করা হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। এছাড়া কে বা কারা আসলে এই ইমেইল বার্তা পাঠিয়ে বোমাতঙ্ক তৈরির চেষ্টা করছে সেই বিষয়টিও এই মুহূর্তে স্পষ্ট নয়। তবে জাদুঘরে হুমকি বার্তা আসার পর সমস্ত বিষয় খুঁজে বার করতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
শহরের ১১ জায়গায় থাকা বোমা বেলা দেড়টা নাগাদ ফাটবে! মঙ্গলবারে এহেন হুমকি ই-মেল ঘিরে হুলূস্থূল-কাণ্ড মুম্বই পুলিসে। হুমকি ই-মেলে উল্লিখিত জায়গাগুলোর মধ্যে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক-সহ দুটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের শাখাও রয়েছে। যদিও তড়িঘড়ি ১১ জায়গায় পৌঁছে যায় মুম্বই পুলিস।
বোমা বিস্ফোরণের একটি হুমকি ই-মেল আর তা ঘিরেই হূলুস্থূল মুম্বইজুড়ে। মুম্বই পুলিস সূত্রে খবর, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাশ-সহ অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের পদত্যাগ দাবি করা হয়েছে ই-মেলে। সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের হাতে থাকা সেই ই-মেলে লেখা, 'আমরা মুম্বইয়ের ১১টি ভিন্ন জায়গায় বোমা পেতে রেখেছি। আরবিআই-সহ একাধিক বেসরকারি ব্যাঙ্ক বড়সড় দুর্নীতিতে মদত দিয়েছে। এই দুর্নীতিতে জড়িয়ে রয়েছেন আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাশ, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন-সহ একাধিক ব্যাঙ্ক কর্তা এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।' হুমকি মেলে আরও লেখা, 'আমরা দাবি করছি, আরবিআই গর্ভনর এবং অর্থমন্ত্রী অবিলম্বে পদত্যাগ করুক আর প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে দুর্নীতির খতিয়ান সামনে আনুক। এই দুর্নীতির সঙ্গে যারা জড়িত তাঁদের শাস্তির ব্যবস্থা করুক সরকার', এমন দাবিও করা সেই হুমকি মেলে।
মুম্বই পুলিস সূত্রে খবর, হুমকি মেলে লেখা ১১টি বোমা শহরের একাধিক জায়গায় রাখা। RBI, নিউ সেন্ট্রাল বিল্ডিং ফোর্ট মুম্বই, HDFC হাউস, চার্চগেট, মুম্বই আর ICICI ব্যাঙ্ক টাওয়ার, বিকেসিতে রাখা বোম। এই বোমাগুলি দুপুর দেড়টা নাগাদ ফাটবে, এমন হুমকির উল্লেখ ই-মেলে। এই ই-মেলের গুরুত্ব বিচার করে মুম্বই পুলিস উল্লিখিত জায়গাগুলোতে পৌঁছলেও কোনও বিস্ফোরক উদ্ধার হয়নি, তদন্তের স্বার্থে মামলা রুজুও হয়েছে, এমনটাই মুম্বই পুলিস সূত্রে খবর।
ফের প্রাণনাশের হুমকি পেলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। শুধু তাই নয়, নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামও উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি ই-মেল এসেছে বলে সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে, এবারে সরাসরি হুমকি ই-মেল এসেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার (NIA) কাছে। প্রধানমন্ত্রীর প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি ৫০০ কোটি টাকা ও লরেন বিষ্ণোইকে মুক্তি দেওয়ার দাবিও জানানো হয়েছে।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতি এনআইএ-এর কাছে হুমকি ভরা ই-মেল এসেছে, যেখানে হিন্দিতে লেখা রয়েছে, "তোমার সরকারের থেকে আমাদের ৫০০ কোটি আর লরেন্স বিষ্ণোই চাই। নয়তো কাল আমরা নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামও উড়িয়ে দেব। হিন্দুস্তানে সব কিছু বিক্রি হয়, আমরাও কিছু কিনে নিয়েছি। যতই নিরাপত্তা নিশ্চিত কর আমাদের থেকে বাঁচতে পারবে না। যদি কথা বলতে হয় তো এই মেলের মাধ্যমে কথা বল।"
তবে কে বা কারা বা কোন গোষ্ঠীর তরফে এই হুমকি মেল দেওয়া হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের গ্যাং বা ঘনিষ্ঠের তরফেই ই-মেলটি করা হতে পারে বলে গোয়েন্দাদের অনুমান।
বুধবার সোদপুর স্টেশন রোডে চিত্রশিল্পী ও তাঁর মা-কে মারধরের অভিযোগ ওঠে। বৃহস্পতিবারই প্রাক্তন ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিস প্রদ্যুৎ কুমার বিশ্বাস-এর স্ত্রীকে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠল। খড়দহের মুখার্জী রোডের বাসিন্দা জলি বিশ্বাসের অভিযোগ, ফ্ল্যাট বিক্রির জন্য চাপ দিচ্ছেন আবাসনের কমিটির সদস্য প্রাণগোপাল সাহা সহ অন্যান্য সদস্যরা। খড়দহ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন নিগৃহীতারা।
জলি বিশ্বাস ফ্ল্যাট বিক্রি করতে রাজি না হওয়ায়, শুরু হয় একের পর এক নিগ্রহ। অভিযোগ, ফ্ল্যাটের সামনে নোংরা আবর্জনা ফেলা রেখে যাওয়া হচ্ছে। প্রতিবাদ করায় তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বর্তমানে আবাসনের কোনও বাসিন্দাই প্রাক্তন পুলিস কর্তার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলছেন না। আতঙ্কে গৃহবন্দি রয়েছেন জলি।
গত ২০২০ সালে মৃত্যু হয় প্রদ্যুৎ কুমার বিশ্বাসের। মৃত্যুর ৩ বছর পর আচমকাই আবাসন থেকে চাপ দেওয়া শুরু হল। খড়দহ থানায় ইতিমধ্যেই লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। আতঙ্কে গৃহবন্দি হয়েই দিন কাটাচ্ছেন জলি বিশ্বাস ও তাঁর মেয়ে।
আবাসনে বসবাসেও নেই নিরাপত্তা? সামান্য আবাসন কমিটির সদস্য হয়েই এত বাড়বাড়ন্ত? নাকি মাথায় প্রভাবশালী হাত থাকার সুবাদেই এই সাহস? গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে খড়দহ থানার পুলিস। খড়দহ থানার হস্তক্ষেপে এলাকার নিরাপত্তা কতটা সুনিশ্চিত হয়, সেটাই দেখার।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) ছাত্র মৃত্যুর (Student Death Case) ঘটনায় প্রথম গ্রেফতার করা হয়েছিল সৌরভ চৌধুরী (Sourav Chowdhury) নামে এক প্রাক্তনীকে। সেই ‘সৌরভের কিছু হলে দেখে নেওয়া হবে’ বলে হুমকি চিঠি (threatening letter) গিয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও যুগ্ম রেজিস্ট্রারের কাছে। পোস্ট অফিসের মাধ্যমে পাঠানো এই চিঠির শেষে লেখা ছিল ইতি অধ্যাপক রানা রায়। এতদিন ধরে খোঁজ চালানোর পর অবশেষে ভুবনেশ্বরের একটি হোটেল থেকে গ্রেফতার (Arrested) করে কলকাতা পুলিস। এই গ্রেফতারির সঙ্গে যদিও যাদবপুরের কোনও যোগ নেই। বেলঘড়িয়ার বাসিন্দা এক মহিলাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
উল্লেখ্য, সেই হুমকি চিঠিতে দেওয়া ছিল সংশ্লিষ্ট ঠিকানাও। কতটা সত্যতা রয়েছে সেই ঠিকানার, সেখানে ওই নামের কেউ রয়েছে কিনা তা জানতে সংশ্লিষ্ট ঠিকানায় পৌঁছে যান সিএন-এর প্রতিনিধি। মিলল আশ্চর্যজনক তথ্য। ৩৭ নং বেলগাছিয়া রোডের বিভিসি, এলআইজির ফ্ল্যাট নং এফ-৫ এ থাকেন রানা রায় নামের এক ব্যক্তি। তবে চিঠিতে অধ্যাপক বলে নিজেকে উল্লেখ করেছেন প্রেরক। যদিও সে বিষয়ে কোনও তথ্য প্রতিবেশীদের তরফ থেকে পাওয়া যায়নি।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ওই ব্যক্তি যে আবাসনে থাকেন, সেখানকার বাসিন্দারাও ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অশ্লীল ভাষায় চিঠি পাঠানোর অভিযোগ এনেছেন৷ এমনকি আবাসনের মহিলাদেরও প্রেমপত্র পাঠাতো বলে দাবি করেন এক আবাসিক। তাঁর অশ্লীল আচরণের জন্য টালা থান ও লালবাজার থানায় একাধিকবার অভিযোগ জানিয়েছেন আবাসিকরা।
এমনকি মুখোশ পরে রাস্তার লোককে ভয় দেখানো, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা, এমনভাবেই প্রতিবেশীদেরও বিরক্ত করত চিঠিতে উল্লিখিত নামের ওই ব্যক্তি। আবাসিক সূত্রে খবর, ছোটো থেকেই এই আবাসনে থাকতেন রানা রায়। গত ১৫ দিন ধরে নিখোঁজ তিনি। তাঁর স্ত্রী, ছেলেরও দেখা মিলছে না আবাসনে। তবে সরকারি স্টিকার দেওয়া তাঁর লাল গাড়িটি এখনও রয়েছে আবাসনে। আবাসিকদের দাবি গা ঢাকা দিয়েছে সে।
রেজিস্ট্রার ও যুগ্ম রেজিস্ট্রারকে পাঠানো যে চিঠি সামনে এসেছে তাতে ব্যবহার করা শব্দ এবং আবাসিকদের অভিযোগে উঠে আসা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে বেশ কিছুটা মিল পাওয়া যাচ্ছে চিঠি প্রেরক ও ওই চিঠিতে উল্লেখ করা আবাসনের বাসিন্দা রানা রায়ের। তবে ওই চিঠি কে লিখেছেন তা এখন তদন্ত সাপেক্ষ। তবে সবকিছুর মধ্যে উঠছে একাধিক প্রশ্ন, যদি ধরে নেওয়া যায় যে নাম ও ঠিকানা দেওয়া রয়েছে সেখানকার রানা রায় যদি এই চিঠি লিখে থাকেন সেটা কেন লিখলেন তিনি? যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় অন্যতম ধৃত, সৌরভ চৌধুরীর সঙ্গেই বা তাঁর কী সম্পর্ক রয়েছে? আর যদি চিঠিটা তিনি না লিখে থাকেন তবে কে বা কারা এই চিঠি লিখল? কেনই বা ব্যবহার করা হল তাঁর নাম ও ঠিকানা? সবকিছুই জানা এখন তদন্ত সাপেক্ষ।
দিল্লি-পুণে বিমানে বোমা হামলার (Bomb Threat) হুমকি। এই খবর বিমানযাত্রীদের কানে যেতেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে বিমানযাত্রীদের মধ্যে। সূত্রের খবর, শুক্রবার সাত-সকালে ভিস্তারা বিমান (Vistara Flight) সংস্থার বিমানে বোমা রয়েছে বলে হুমকি ফোন আসে। জানা গিয়েছে, বিমানটি দিল্লি থেকে পুণে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই এমন খবর আসায় বিমানটি সেই সময়ের জন্য বাতিল করা হয়। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে দিল্লি বিমানবন্দরে (Delhi Airport)। এরপর যাত্রীদের নিরাপদে বিমান থেকে নামিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে খবর।
সূত্রের খবর, আজ অর্থাৎ ১৮ অগাস্ট সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ জিমএমআর কল সেন্টারে ফোন আসে। ফোন করে বলা হয় যে, 'দিল্লি থেকে পুণে যাওয়ার বিমানে বোমা রাখা রয়েছে'। অন্যদিকে আগে থেকেই যাত্রীরা নিজেদের সিটে বসে গিয়েছিলেন। কিন্তু বোমার ব্যাপারে জানতেই তৎক্ষণাৎ যাত্রীদের বিমান থেকে বের করে আনা হয় ও তাঁদের ফের দিল্লির বিমানবন্দরে নিরাপদে নিয়ে আসা হয়।
বিমান সংস্থার তরফে এক বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, 'আমরা নিশ্চিত করছি যে, ইউকে৯৭১ নম্বর বিমানটি দিল্লি থেকে পুণে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নিরাপত্তা খতিয়ে দেখার জন্য বিমানের উড়ানে কিছুক্ষণের জন্য দেরী হতে পারে। আমারা খুব শীঘ্রই পরিস্থিতি ঠিক করার ব্যবস্থা নিচ্ছি।' সূত্রের খবর, বিমানযাত্রী ও তাঁদের ব্যাগ সহ নিরাপদে সরিয়ে আনা হয়েছে ও বিমানে আদৌ কিছু রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলেই যাত্রা শুরু করবে বিমানটি।
প্যারিসের (Paris) ঐতিহ্যবাহী আইফেল টাওয়ারে (Eiffel tower) বোমা বিস্ফোরণের (Bomb Threat) হুমকি দেওয়ার খবর এবার প্রকাশ্যে এল। আচমকা এমন হুমকি আসায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে প্যারিসে। সূত্রের খবর, শনিবার এই হুমকির খবর প্রকাশ্যে আসতেই তৎক্ষণাৎ সেখান থেকে সরিয়ে ফেলা হয় পর্যটকদের। জানা গিয়েছে, পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য এর তিনটি তলা ও সামনের চত্বর খালি করে ফরাসি পুলিস।
আন্তর্জাতিক সংবাদ সূত্রে খবর, বোমা হামলার আশঙ্কা থাকায় স্থানীয় সময় শনিবার দুপুর দেড়টার পর আইফেল টাওয়ারের নিচ থেকে পর্যটকদের সরিয়ে নেওয়া হয়। টাওয়ারের তিনটি তলায়ও লোকজন ছিল, তাদেরও সরিয়ে নেওয়া হয়। প্যারিসের এই আইফেল টাওয়ারের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে SETE নামের একটি সংস্থা। শনিবার বিস্ফোরণের হুমকি মিলতেই বম্ব স্কোয়াডকে খবর দেয় তারা। এর পরই গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে ফরাসি পুলিস। শুরু হয় চিরুনি তল্লাশি। আইফেল টাওয়ার-সংলগ্ন হোটেল, রেস্টুরেন্টও খালি করে তল্লাশি চালায় বম্ব স্কোয়াড ও প্যারিস পুলিস।
SETE সংস্থার মুখপাত্র বলেন, 'এটা একটা অদ্ভুত ঘটনা। এই ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি আমরা কখনও হইনি।' অন্যদিকে প্যারিস পুলিসের মুখপাত্র জানান, এই ধরনের ঘটনা বিরল। তবে বোমাতঙ্ক কীভাবে ছড়াল, সে ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি তিনি। শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত, আইফেল টাওয়ার বা সংলগ্ন এলাকায় বোমা বা বিস্ফোরক জাতীয় কিছু মেলেনি। তবে এর নেপথ্যে কাদের হাত রয়েছে তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ফরাসি পুলিস।
রাতের অন্ধকারে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে প্রাণে মারার হুমকি (Threat)। দুই যুবকের কাছ থেকে দুটি দামি মোবাইল (Mobile) ফোন নিয়ে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা। শনিবার, এই ঘটনাটি ঘটেছে দেগঙ্গার সোহাই এলাকায়। জানা গিয়েছে, ওই দুই যুবকের নাম আবিদ হোসেন ও মহম্মদ সাই হোসেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেশ আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। দেগঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ পেয়ে ইতিমধ্য়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
ওই দুই যুবক জানিয়েছে, শনিবার রাতে দেগঙ্গার সোহাই এলাকায় বেলিয়াঘাটা-ঈছাপুর রোড দিয়ে পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন দুই যুবক। অভিযোগ, সেই সময় দুটি মোটরবাইকে চার দুষ্কৃতী হেলমেট পড়া অবস্থায় তাঁদের পথ আটকে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এরপর দুটি মোবাইল ফোন নিয়ে চম্পট দেয় ওই চার দুষ্কৃতীরা। এখন দুই যুবকের দাবি, তাঁরা যেন তাঁদের ফোনটা ফিরে পায়। এই পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে দেগঙ্গা থানার পুলিস।
ফের ২৬/১১-এর পুনরাবৃত্তি ঘটবে, আবার হুমকি ফোন এল মুম্বই পুলিসের (Mumbai Police) কাছে। এবারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে (Yogi Adityanath) নিশানা করে হুমকি ভরা ফোন এসেছে বলে সূত্রের খবর। মঙ্গলবার, সকালে এই ফোন এসেছে বলে জানা গিয়েছে। কিছুদিন আগেই এরই ধরনের ফোন এসেছিল মুম্বই পুলিসের ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমে। সেই ঘটনার ছয়দিনের মাথায় ফের হুমকি। ফলে এই হুমকির পিছনে কে রয়েছে, তা জানতে তৎপর পুলিস ও প্রশাসন।
সম্প্রতি সীমা হায়দার নামে এক পাকিস্তানি গৃহবধূ পাকিস্তান থেকে ভারতে বেআইনিভাবে প্রবেশ করেন। আর এই নিয়েই হইহই পড়ে গিয়েছে সারা দেশজুড়ে। সীমা তাঁর প্রেমিকের ভালোবাসার টানে তাঁর চার সন্তানকে নিয়ে এদেশে চলে এসেছেন বলে দাবি করেছেন। এরপরই গত ১২ জুলাই মুম্বই ট্রাফিক পুলিসের কাছে ফোন আসে। সেখানে বলা হয় সীমাকে পাকিস্তানে না পাঠানো হলে ২৬/১১-এর সন্ত্রাসবাদী হামলার মতো ফের ঘটনা ঘটবে এদেশে। সেই সময় যোগী আদিত্যনাথকে নিশানা করে এই হুমকি দিয়েছিল সেই অজ্ঞাত ব্যক্তি।
আর এবারেও একই ঘটনা। হুমকির ছয়দিনের মাথায় ফের হুমকি ফোন এল। মুম্বই পুলিস সূত্রে খবর, যে এই হুমকি দিয়েছে, অর্থাৎ সেই অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ৫০৯ (২) ধারার অধীনে মামলা রুজু করা হয়েছে। মুম্বই পুলিস এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
ফের কাঠগড়ায় তৃণমূল কাউন্সিলর। এক শিক্ষকের (Threat) কাছ থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কাউন্সিলরের (TMC Councilor) বিরুদ্ধে। এমনকি টাকার জন্য বারবার হুমকিও দিচ্ছে কাউন্সিলর, এমনটাই অভিয়োগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটি (Panihati) পৌরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায়। এই গোটা ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে খড়দহ থানায়। এই গোটা ঘটনার তদন্ত ইতিমধ্য়েই শুরু করেছে খড়দহ থানার পুলিস (Police)। যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন কাউন্সিলর হিমাংশু দেব।
সূত্রের খবর, অভিযোগকারী ওই ব্যক্তির নাম সোমনাথ সর্দার। তিনি পেশায় একজন শিক্ষক। পানিহাটি পৌরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় একটি বাড়ি কিনেছিলেন তিনি। অভিযোগ, বাড়ি কেনার পর থেকেই ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর হিমাংশু দেব তার কাছে ৫ লক্ষ টাকা চান। এমনকি শিক্ষক সোমনাথ বাবুকে কাউন্সিলর তাঁর বাড়িতে যাওয়ার জন্যও চাপ দেন। পরে কাউন্সিলর-এর বাড়িতে গেলে কাউন্সিলর পাঁচ লক্ষ টাকা দিতে বলে।
তবে এত টাকা দিতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেন শিক্ষক সোমনাথ সর্দার। আর ঠিক তারপর থেকেই কাউন্সিলর তাঁর দলবলকে শিক্ষকের বাড়িতে পাঠিয়ে তাঁকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়, এমনটাই অভিযোগ করছেন ওই শিক্ষক। ওই শিক্ষকের দাবি, এই ঘটনার পর থেকেই তিনি বাড়ি ছাড়া হয়েছেন। এমনকি ঘটনায় আতঙ্কিত তাঁর পরিবারের সদস্যরাও, এমনটাই দাবি।
২৬/১১ সন্ত্রাসবাদী হামলার পুনরাবৃত্তি ঘটানোর হুমকি দেওয়া হচ্ছে মুম্বই পুলিসকে (Mumbai Police)। এই হুমকির পিছনে কে বা কারা, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানি মহিলা সীমা হায়দারকে (Seema Haider) পাকিস্তানে (Pakistan) ফেরানোর দাবি জানিয়ে এমনটা হুমকি দেওয়া হয়েছে। কিছুদিন আগেই খবরে এসেছিল, পাকিস্তানের এক মহিলা প্রেমিকের ভালোবাসার টানে বেআইনিভাবে ভারতে প্রবেশ করেছেন। এরপর সেই প্রেমিকের সঙ্গে থাকতে শুরু করেন তিনি। এবারে তাঁকে কেন্দ্র করেই এই হুমকি ভরা ফোন এসেছে পুলিসের কাছে।
কিছুদিন আগেই প্রকাশ্যে আসে একজন পাকিস্তানি গৃহবধূ, সীমা হায়দার অনলাইন গেম পাবজি খেলার সময় উত্তরপ্রদেশের এক যুবকের প্রেমে পড়ে যান। তিনি গ্রেটার নয়ডার নিবাসী শচীন। এরপর প্রেমিকের টানে কয়েকদিন আগে চার সন্তানকে নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা দেন সীমা। নেপাল সীমান্ত হয়ে গ্রেটার নয়ডায় আসেন তিনি। বেআইনিভাবে ভারতে অনুপ্রেবেশের জন্য সীমাকে গ্রেফতার করে উত্তরপ্রদেশ পুলিস। গ্রেফতার করা হয় প্রেমিক শচীনকেও। কিন্তু কয়েকদিন আগে তাদের মুক্তি দেয় আদালত। বর্তমানে গ্রেটার নয়ডায় প্রেমিকের সঙ্গেই আছেন পাকিস্তানি গৃহবধূ। তিনিও ফিরে যেতে চান না।
কিন্তু তারপরেই এল আরেক বিপত্তি। মুম্বই পুলিস সূত্রে খবর, বুধবার অর্থাৎ ১২ জুলাই এক ফোন আসে ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমে। আর সেই ফোনেই হামলার করার হুমকি দেওয়া হয়। বলা হয়, 'সীমা হায়দার পাকিস্তানে ফিরে না এলে ভারত ধ্বংস হয়ে যাবে। ২৬/১১-র মতো সন্ত্রাসবাদী হামলার জন্য প্রস্তুত থাকুন।'
এদিকে এই হামলার হুমকির পড় নড়েচড়ে বসেছে মুম্বই পুলিস। অপরাধ দমন শাখা এই বিষয়ে ব্যাপক অনুসন্ধান অভিযান শুরু করেছে। কে বা কারা ও কোথায় থেকে এই ফোন এসেছে, তা নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।
গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির নির্দল প্রার্থীদের বাড়িতে গিয়ে হুমকি (Threat) দিল পুলিস (Police), এমনটাই অভিযোগ তুলেছে নির্দল প্রার্থীরা। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের (East Medinipur) কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লকের ফুলেশ্বর গ্রামে। মিথ্যে মামলায় নির্দল প্রার্থীদের ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে চলেছে সাধারণের রক্ষক খোদ পুলিস। যদিও এ ঘটনায় পুলিস মুখ খুলতে নারাজ।
ওই নির্দল প্রার্থীদের অভিযোগ, প্রায় দিনই নির্দল প্রার্থীদের মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে চলেছে পুলিস। আর সেই ভয়েই নির্দল প্রার্থীরা। দিনের বেলায় বাড়িতে বা এলাকায় থাকলেও রাতে এলাকা ছেড়ে অন্যত্র দিন অতিবাহিত করছে। তাঁদের দাবি, এর ফলে পুলিসি হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে বাড়ির মহিলা সহ শিশুদের। যার ফলে বেশ আতঙ্কিত ওই এলাকাবাসী। তাঁদের আরও অভিযোগ উপর মহলকে এ বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েও কোনও সুরাহা মেলেনি।
শিক্ষককে মেরে ফেলার হুমকি (Threat) দিয়ে পোস্টার। পোস্টারে লেখা- টিউশন পড়ালে তোর খেলা (জীবন) শেষ। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে বেহালা (Behala) সেনহাটি কলোনির এক শিক্ষকের বাড়িতে। ইতিমধ্যেই বেহালা থানার পুলিসকে (Police) এই গোটা ঘটনার খবর দেওয়া হয়েছে। পুলিস ওই শিক্ষকের বাড়িতে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ উদ্ধার করেছে। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। ঘটনাকে ঘরে বেশ আতঙ্কে শিক্ষকের পরিবার। পুলিস সূত্রে খবর, ওই শিক্ষকের নাম অর্ণব গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বেহালা সেনহাটি কলোনিতে স্ত্রী এবং ছোট্ট একটি বাচ্চার পাশাপাশি নিজের বাবা-মাকে নিয়ে থাকেন। তিনি বিজ্ঞানের শিক্ষক।
অর্ণব বাবু জানান, মঙ্গলবার বিকেল বেলায় তাঁর বাড়ির দেওয়ালে ল্যামিনেশন করা পোস্টার লাগানো অবস্থায় দেখতে পান। তাতে লেখা রয়েছে প্রাইভেট টিউশন বন্ধ করো না হলে প্রাণে মেরে দেওয়া হবে। এই ঘটনায় অর্ণব বাবুর স্ত্রী দেবযানি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, একমাস যাবত তাঁদেরকে কেউ বা কারা বিরক্ত করে চলেছে। এমনকি বাড়ির দিকে লক্ষ্য করে ফেলা হচ্ছে চকলেট বোম, কাচের বোতল, বাল্বের টুকরো প্রভৃতি। যদিও কারোর আঘাত লাগেনি। তবে এই ঘটনা কে বা কারা করে চলেছে তা পরিষ্কার নয় তাঁদের কাছে।
বারবার এইসব ঝামেলা ঘটছে তাই দুষ্কৃতীদের হাত থেকে নিজেদের বাঁচবার জন্য কয়েকদিন আগেই নিজের বাড়িতে সিসি ক্যামেরা লাগান। আর সেই ক্যামেরাতেই একজন ব্যক্তিকে ছাতা মাথায় নিয়ে দেওয়ালে হুমকির পোস্টার লাগাতে দেখা যায়। যদিও ছাতা মাথায় থাকবার জন্য সেই ব্যক্তিকে আইডেন্টিফাই করা যায়নি, এমনটাই দাবি দেবযানি গঙ্গোপাধ্যায়ের।
ডাব খেয়ে সঠিক দাম না দিয়ে বরং বিক্রেতাকে হুমকি (Threat) দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে খড়দহ (Khardaha Police) থানার এএসআই-র (ASI) বিরুদ্ধে। ঘটনাটি সোদপুরের (Sodepore) রাজা রোড এলাকার ঘটনা। ঘটনায় আতঙ্কিত ওই ডাব ব্যবসায়ী। সূত্রের খবর, ডাব ব্যবসায়ীর নাম কার্তিক ঘোরামি এবং ওই এএসআই-র নাম পুলকেশ পাত্র। তিনি খড়দহ থানার অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর।
ডাব ব্যবসায়ী কর্তিক ঘোরামি জানান, সোদপুর রাজা রোড এলাকার বিটি রোডের ধারে বহু বছর ধরেই ডাব বিক্রি করছেন তিনি। খড়দহ থানার অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর পুলকেশ পাত্র ডাব বিক্রেতা কার্তিক ঘোরামির কাছে ডাবের দরদাম করেন। দরদাম করার পরে একটি ডাব খান তিনি। তবে ডাব খেয়ে ডাবের পর্যাপ্ত দাম দেন না পুলকেশ পাত্র বলে অভিযোগ।
ডাব ব্যবসায়ী আরও অভিযোগ করেন, পুলিস অফিসারের কাছে ডাবের টাকা চাইলে খড়দহ থানার সেই অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর পুলকেশ পাত্র তাঁকে হুমকি দেন। ওই জায়গা থেকে ডাব ব্যবসায়ীকে গাড়ি তুলে নিতে বলেন তিনি। যদি ডাবের গাড়ি তুলে না নেন, তাহলে ডাবের গাড়িসহ সেই বিক্রেতাকেও তুলে নিয়ে যাবেন, এমনই হুমকি দেন পুলিস অফিসার পুলকেশ পাত্র, এমনটাই অভিযোগ ডাব বিক্রতার। তবে এই গোটা ঘটনায় আতঙ্কিত সেই গরীব ডাব বিক্রেতা।
একজন পুলিস অফিসার হয়ে ডাবের পর্যাপ্ত টাকা না দিয়ে কীভাবে একজন ডাব বিক্রেতাকে হুমকি দিতে পারেন, এই নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধী নেতৃত্বরা।
ফের সকাল সকাল বোমা হামলার (Bomb Threat) হুমকি! সূত্রের খবর, সাউথ দিল্লির (South Delhi) এক বেসরকারি স্কুলে ইমেল মারফত হুমকি পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে সাউথ দিল্লির পুষ্প বিহারের অমৃতা নামক এক বেসরকারি স্কুলের ইমেলে এই হুমকি পাঠানো হয়েছে। এরপর সঙ্গে সঙ্গে স্কুল কর্তৃপক্ষ এই খবর পুলিসকে জানাতেই সেখানে উপস্থিত হয় দিল্লি পুলিস। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। এই হুমকি পাঠানোর পিছনে কে রয়েছে, কী তার কারণ, এই নিয়ে তদন্ত করছে দিল্লি পুলিস (Delhi Police)।
দিল্লি পুলিসের ডিসিপি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ১৬ মে, মঙ্গলবার সকাল ৬টা ৩৩ মিনিট নাগাদ এই হুমকি মেল স্কুলের ইমেলে পাঠানো হয়েছে। সেখানে উল্লেখ রয়েছে, বোমা বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেওয়া হবে স্কুল। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। ডিসিপি জানিয়েছেন, এই ঘটনার পরই স্কুলে বম্ব ডিসপোজাল টিম পাঠানো হয়েছে। পুরো স্কুল খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত তেমন কোনও সন্দেহজনক বস্তুর সন্ধান পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, স্কুলে বোমা হামলার হুমকি দেওয়ার মতো ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগে ১২ মে-তেই দিল্লির মথুরা রোডে দিল্লি পাবলিক স্কুলেও বোমা বিস্ফোরণ করার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল, ১২ মে ১১ টার মধ্যে সেই স্কুলে বিস্ফোরণ হবে। যদিও পরে জানা যায়, পুরো বিষয়টি ভুয়ো ছিল। এরপর জানা গিয়েছিল, সেই স্কুলেরই এক ছাত্রের ইমেল থেকে হুমকিতে ভরা মেল পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু পড়ুয়া এই ঘটনা অস্বীকার করে। তবে বারবার এমন বোমা বিস্ফোরণের হুমকির নেপথ্যে কার হাত রয়েছে ও আগের ঘটনার সঙ্গে এই ঘটনার কোনও যোগ রয়েছে কিনা তা খুঁজে বের করতে তৎপর দিল্লি পুলিস।