এবার পুলিসের জালে ইংরেজিতে এমএ পাশ চোর। এই অদ্ভুদ ঘটনায় হতবাক পুলিস কর্মীরাও। ঘটনাটি ঘটেছে মেদিনীপুর শহরের বিধান নগর এলাকায়। ঘটনার তদন্তে নেমে সৌমাল্য চৌধুরী নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানার পুলিস। বুধবার তাকে মেদিনীপুর কোর্টে তোলা হয়৷
জানা গিয়েছে, গত একমাস আগে মেদিনীপুরের বিধান নগর এলাকায় একটি বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনার তদন্তে নেমেই গত চারদিন আগে বাঁকুড়া থেকে সৌমাল্য চৌধুরী নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়। তল্লাশি চালিয়ে তার কাছ থেকে উদ্ধার হয় চুরি যাওয়া অনেক সোনার গহনা। এ পর্যন্ত কমবেশি প্রায় দুই শতাধিক চুরির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে অভিযুক্ত সৌমাল্য। তবে তার শিক্ষাগত যোগ্যতা দেখে একেবারে অবাক পুলিস।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগেও অভিযুক্ত ওই যুবক বিভিন্ন জেলায় একাধিক চুরি করেছে। এমনকি সে চুরির ঘটনা স্বীকারও করেছে। তবে এত শিক্ষিত হয়েও সৌমাল্য কেন চুরির পেশাকে বেছে নিয়েছে, তা নিয়ে ধন্ধে পুলিস।
মাদকাসক্তদের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে উত্তর দিনাজপুরের কুলিক ফরেস্ট। বাড়ছে চুরি ছিনতাইয়ের ঘটনা। রায়গঞ্জের কুলিক পক্ষী নিবাসের সামনে মাদকাসক্তদের দৌরাত্ম্য বাড়ায় ভীত সন্ত্রস্ত স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযোগ, জাতীয় সড়কের দুই পাশে ঘন জঙ্গল থাকায় অন্ধকার নামতেই চুরি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটাচ্ছে মাদকাসক্তরা।
মাদকাসক্তদের অত্যাচারে আতঙ্কিত জাতীয় সড়কের পাশে থাকা বনবস্তির মানুষজন। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এলাকার মহিলারা। অভিযোগ, সমস্যা মেটাতে রায়গঞ্জ পুরসভার পক্ষ থেকে আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু মাদকাসক্তরা বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় নিজেদের সুবিধার্থে। প্রশাসনের নজরদারির অভাবে মাদকাসক্তদের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলেছে।
প্রশাসন আরও সক্রিয় হোক অভিযোগ স্বীকার করে এমনই দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য।
বারাসতের আমডাঙার আড়খালিতে হাতেনাতে ধরা পড়ল চোর। বেশ কয়েকদিন ধরে এলাকায় চুরি হচ্ছিল। এই চুরির ঘটনায় চোর সন্দেহে এক যুবককে বেধড়ক মারধর করেন এলকাবাসী। চুরি করার অভিযোগে ঘরে আটকে ওই যুবকের ওপর চলে গনধোলাই। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস যাওয়ার পর পুলিসের সামনেই বিক্ষোভ শুরু করেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়দের দাবি, দিনদিন যেন এলাকায় বেড়েই চলেছে নেশাগ্রস্থদের সংখ্যা। সেই জন্য় নেশার টাকা যোগাড় করতে না পেরে এলাকায় প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে চুরি। এই চুরি যাওয়ার ঘটনায় প্রশাসনিক নজরদারির অভাব রয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। পুলিসের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ স্থানীয়দের। এলাকায় পুলিসি নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। উত্তেজিত জনতার হাত থেকে চোর সন্দেহে ওই যুবককে উদ্ধার করে নিয়ে যায় আমডাঙ্গা থানার পুলিস।
চুরি করতে এসে ঘরেই মদ পান করে ঘুমিয়ে পড়ল চোর। এমনটাও আবার হয় নাকি! এই ঘটনা শুনতে অবাক লাগলেও এমনটাই ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে। সূত্রের খবর, লখনউয়ে এক বাড়িতে চুরি করতে গিয়ে সেখানে দামি ওয়াইন দেখে নিজের লোভ সামলাতে পারল না চোর। ফলে ওয়াইন খেয়ে নেশা হয়ে যেতেই সেখানেই ঘুমিয়ে পড়ে সেই চোর। এরপর বাড়ির সদস্য বাড়িতে ফিরে এলে তাকে পুলিসের হাতে তুলে দেয়।
সূত্রের খবর, যে বাড়িতে চুরি করতে ঢুকেছিল সেই বাড়ির মালিকের নাম স্বরানন্দ। তিনি প্রাক্তন সেনা জওয়ান। তিনি লখনউয়ের নির্মলার কাটারি পার্টে বসবাস করেন। তিনি জানিয়েছেন, যখন চোর বাড়িতে আসে, তখন তাঁরা এক বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। এরপর বাড়িতে ফিরতেই দেখেন তাঁর বাড়ির গেট ভাঙা ও ঘরে সবকিছু এলোমেলো হয়ে রয়েছে। আবার বিছানায় আরাম করে শুয়ে রয়েছে এক অজানা ব্যক্তি, তার পাশে রয়েছে ওয়াইনের ফাঁকা বোতলও। তবে সেই চোরকে তখনই ডাকেননি তাঁরা, পুলিসে খবর দিলে তখনই তাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়।
পুলিস সেই চোরকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করলে সে জানায়, তার নাম সালিম। সে চুরি করতে এসে চোখের সামনে দামি ওয়াইন দেখে নিজেকে সামলাতে পারেনি ও তার সঙ্গীও তাকে জোর করতেই সেবন করেছিল। বাড়ি থেকে চুরি করার পরই সে ওয়াইন খায়। কখন যে সে সেখানেই ঘুমিয়ে পড়ে, তা নিজেও জানে না। অন্যদিকে তার সেই সঙ্গী নিখোঁজ ও তাকে খোঁজার চেষ্টা করছে পুলিস। আরও জানা গিয়েছে, তাঁর বাড়িতে ১০০ গ্রাম সোনা, ৫০ হাজার টাকার ৪০ টি শাড়ি, দেড় লাখ টাকার রূপো পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে অভিযোগ উঠছে, তার সেই সঙ্গীই সেগুলো নিয়ে পালিয়েছে। তাই তাকে খুঁজে বের করতে তৎপর পুলিস।
৫০০ কিলোমিটার ধাওয়া করে ‘সুপার চোর’ বান্টিকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি (Delhi Police) পুলিস। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) কানপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। বান্টি চোরের (Thief) এই ঘটনা মনে করিয়ে দিয়েছে হিন্দি ছবি ‘বান্টি অউর বাবলি’র। জানা গিয়েছে, ‘সুপার চোরের’ আসল নাম দেবেন্দ্র সিং। পাঁচশোরও বেশি চুরির মামলা রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। তারমধ্যে বেশ কিছু মামলায় সাজাও হয়েছে তাঁর। এমনকি ২০১০ সালে চুরির মামলায় ৩ বছর জেল খেটেছে সে।
সূত্রের খবর, জেলে থেকে মুক্তি পাওয়ার পর নিজেকে শোধরানোর প্রতিশ্রুতি নিয়েছিল বান্টি। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতিও রাখতে পারেনি সে। জেল থেকে বেরনোর পরই ‘বিগ বস’ রিয়ালিটি শো-এ অংশ নেন। কিন্তু ‘বিগ বস’-এর শো ছেড়ে বেরনোর পরই আবার নিজের পুরনো ‘ব্যবসায়’ নেমে পড়েন দেবেন্দ্র।
পুলিস সূত্রে খবর, বান্টি বেশির ভাগ চুরি করে রাত ২টো থেকে ভোর ৬টার মধ্যে। চুরি করার সময় বাড়ির ভিতরে ঢুকতে স্ক্রু ড্রাইভার কাজে লাগিয়ে দরজা অথবা জানলা অনায়াসে খুলে ফেলে বান্টি। তবে কম দামি জিনিস চুরি করতেন না বান্টি। তাঁর চুরির তালিকায় রয়েছে, বিলাসবহুল গাড়ি, সোনার গয়না, বিদেশি ঘড়ি এবং বহুমূল্যবান পুরনো আসবাব। এমনকি গাড়ি চুরি করার সময় লক না ভেঙেই গাড়ি মালিকের বাড়ি থেকে চাবি চুরি করেই গাড়ি চুরি করতেন তিনি। এমনকি দেবেন্দ্র চুরি করতে যান গাড়ি চড়ে।
পুলিস আরও জানিয়েছে, অনেক দিন ধরেই তক্কে-তক্কে ছিল পুলিস। বারবার নাগাল পেলেও পুলিশকে ‘বোকা’ বানিয়ে পালিয়ে যেতেন তিনি। তবে এবার আর শেষরক্ষা হল না।
পোস্টার হাতে ভুলের ক্ষমা চাইতে থানায় হাজির এক মোটরবাইক চোর। পুলিস এনকাউন্টার থেকে বাঁচতে কি এই ক্ষমাপ্রার্থনা? বুধবার মুজফ্ফরনগরের মনসুরপুর থানায় পোস্টার হাতে ঢুকে আত্মসমর্পন (Surrender) এক মোটরবাইক চোরের। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা সেই পোস্টারে। পুলিস (Uttar Pradesh Police) সূ্ত্রে খবর, অভিযুক্ত মোটরবাইক চোরের নাম অঙ্কুর। অভিযুক্তর এরকম অপরাধ স্বীকার দেখে মনসুরপুর থানার এক পুলিসকর্মী বলেন,'অভিযুক্ত অঙ্কুর এনকাউন্টারের (Encounter) ভয়ে নিজের প্রাণ বাঁচাতেই অপরাধ স্বীকার করেছে।'
কারণ, যোগী আদিত্যনাথের সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে উত্তরপ্রদেশে অপরাধ দমনে এনকাউন্টার অনেক বেড়ে গিয়েছে। তিনি ক্ষমতায় আসার পর থেকে উত্তরপ্রদেশে প্রায় ন’হাজারেরও বেশি এনকাউন্টার হয়েছে। মঙ্গলবার পুলিসি এনকাউন্টারের একটি খবর প্রকাশ্যে আসে। তারপরেই বুধবার গ্রাম প্রধান এবং পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অভিযুক্ত অঙ্কুর তাঁর অপরাধ স্বীকার করতে থানায় হাজির। খুনের চেষ্টা ও চুরির বেশ কয়েকটি মামলা থাকায় পুলিস অভিযুক্ত অঙ্কুরের খোঁজে ছিল। তাই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে আইপিসির একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।
৯টি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল-সহ চোর(Mobile Thief) গ্রেফতার। গ্রেফতার করল জয়নগর থানার(Jaynagar Police) পুলিস। ধৃতকে সোমবার বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ধৃত ব্যক্তির নাম আজিজুল মোল্লা। আজিজুল জয়নগর থানার চালতাবেড়িয়ার এলাকার বাসিন্দা।
রবিবার রাতে দক্ষিণ বারাসাত রেলগেট সংলগ্ন এলাকা থেকে আজিজুল মোল্লাকে গ্রেফতার করে জয়নগর থানার পুলিস। ধৃত থেকে উদ্ধার হয় নয়টি মোবাইল ফোন। ধৃতকে সোমবার বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে।
ফাঁকা বাড়ির সুযোগে ফের বজবজে (Budgebudge) চুরি। নাসিমা বিবি নামক এক ভদ্রমহিলার বাড়িতে চুরি হয়েছে। বজবজ পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মর্ডান এসপি ক্লাবের সংলগ্ন এলাকায় বাড়ি তাঁর। ঘটনাচক্রে জানা গিয়েছে, নাসিমা বিবির বাবার শরীর অসুস্থ হওয়ায় শনিবার তিনি স্বামীকে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে যান। সেই সময় বাড়ি ফাঁকাই ছিল। পরে নাসিমা বিবির বাবা মারা যাওয়ায় শেষকৃত্যের (Funeral) কাজ সম্পন্ন করে মঙ্গলবার বাড়িতে এসে দেখেন সমস্ত জিনিস লণ্ডভণ্ড অবস্থায় পড়ে। আলমারির লকারও ভেঙে ফেলা হয়েছে। নগদ প্রায় ১০ হাজার টাকা চুরি গিয়েছে।
পাশাপাশি সোনার গয়না ও অন্য জিনিস মিলিয়ে প্রায় ৪০-৫০ হাজার টাকা চুরি গিয়েছে বলে জানান নাসিমা বিবি। বাড়ি সম্পূর্ণ ফাঁকা থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এই চুরি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বাড়ির এই অবস্থা দেখে তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় বজবজ থানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বজবজ থানার পুলিস। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে (Budgebudge PS)পুলিস।
উল্লেখ্য, এর আগে আরামবাগের গোঘাটেও চোরদের হুজ্জুতি বেড়েছিল। কেন দিনের পর দিন বিভিন্ন জায়গায় চুরি-ডাকাতির ঘটনা বেড়ে চলেছে সেই নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
ফের কলকাতার উপকণ্ঠে দুঃসাহসিক ঘটনা। এক বেসরকারি সংস্থার পাঁচিল টপকে আচমকাই হাজির এক চোর (thief)। তবে উদ্দেশ্য হল না সফল। গা ঢাকা দিতে গিয়ে সংস্থার নিরাপত্তাকর্মীর (Security Guard) নজরে পড়ে যায় সেই অল্পবয়সী তস্কর। আর তাতেই বিপত্তি। নিরাপত্তা কর্মীর চিৎকার-চেচামেচিতে একেবারে হাতেনাতে ধরা পড়ে সেই ছিঁচকে চোরটি। ঘটনাটি মহেশতলা (Maheshtala) থানার অন্তর্গত চন্দননগর এলাকার একটি সংস্থার। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত চোরের নাম কৌশিক সেনগুপ্ত।
কর্মরত সিকিউরিটি গার্ড জানান, শুক্রবার ভোররাতে চোর নজরে পড়তেই চিৎকার করতে শুরু করেন তিনি। তাঁর চিৎকার শুনে সবাই বেরিয়ে এসে হাতেনাতে ধরে ফেলে চোরকে। এরপর কোম্পানির ভিতরে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয় চোরকে। খবর দেওয়া হয় মহেশতলা থানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে চোরকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে থানায়।
চোর আর পুলিসের মজাদার আলাপচারিতা। যা শুনলেও আপনিও হাসতে বাধ্য। আবার কোথাও গিয়ে চোরের মানসিকতার প্রশংসাযোগ্য। ছত্তিশগড়ে চোরের একটি দলকে থানায় তুলে নিয়ে এসেছিল পুলিস। তারপর পুলিসি জেরায় চোর কী বলেছে জানুন।
ছত্তীসগঢ়ের দুর্গ জেলার পুলিস সুপার অভিষেক পল্লব প্রথমেই দলের এক চোরকে জিজ্ঞাসা করেন, কতদিন ধরে তিনি এই লাইনে রয়েছেন? অকপট উত্তর দিয়ে চোর বলে, 'সবে মাত্র কয়েকদিন হল।' তখন একটু রেগেই পুলিশ সুপার বলেন, 'মিথ্যা কথা না বলে সত্যিটা বলো।' সেই কথোপকথনই এখন ভাইরাল নেটপাড়ায়। যা ঘিরে হৈচৈ পড়ে গিয়েছে।
চোরকে তিনি আবার জিজ্ঞাসা করেন, “চুরি করে কেমন লাগছে?” তার জবাব শুনে থানায় উপস্থিত অন্য পুলিস আধিকারিকরা হাসিতে ফেটে পড়েন। চোর বলে,'চুরি করতে তো ভালই লাগে। তবে পরে নিজের ভুল বুঝতে পেরেছি। মনে হয়েছে, আমি ভুল কাজ করছি।' এরপর ওই চোর যখন বলে সে চুরি করতে যায়নি, তা শুনে তাঁকে পুলিসকর্তা জিজ্ঞাসা করেন, 'তাহলে কি চুরি দেখতে গিয়েছিল?' থানায় উপস্থিত বাকিরা আধিকারিকরা এ কথা শুনে হেসে ওঠেন।
ভিডিওতে পুলিস সুপারকে আরও বলতে শোনা যায়, চুরি করে কত টাকা পেয়েছিস? সে জানায় ১০ হাজার টাকা। ওই টাকা তিনি গরীব মানুষের মধ্যে বিলি করে দিয়েছেন। শীতের জন্য কম্বল দিয়েছেন। রাস্তার কুকুর, বিড়ালের জন্য খরচ করেছেন। একটু অবাক হয়ে সুপার বলেন, "তা, ঈশ্বরের আশীর্বাদ পেয়েছিস, এই কাজ করে?" চোরের জবাব শুনে সকলেই অবাক। বলেন, "ওঁর আশীর্বাদেই তো এ কাজ করতে পারছি।" তবে সকলে হাসিতে ফেটে পড়েন।
দোকানের বাইরে থাকা বাল্ব চুরি করছেন 'চোর' আর সেই দৃশ্যবন্দি সিসি ক্যামেরায় (CCTV)। কিন্তু চোরের বেশভূষা দেখে হতবাক স্থানীয়রা। কারণ সেই 'চোর' কোনও দাগী আসামি নয়, বরং পুলিস (Police)। ভাইরাল ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, চোরের মতোই চুপি চুপি দোকানের বাইরে ঝোলা বাল্ব চুরি করছেন অভিযুক্ত পুলিসকর্মী। এই ভিডিও (Viral Video) এবং ঘটনা চাউর হতেই অভিযুক্তকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে খবর।
জানা গিয়েছে, ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের। ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, পায়চারি করতে করতে একটি দোকানের সামনে এসে দাঁড়ান ওই পুলিস। কিছুক্ষণ আশপাশে তাকান, গভীর রাতে দোকান বন্ধই ছিল। আশপাশও জনমানবশূন্য। সেই সুযোগেই এগিয়ে গিয়ে দু’হাত বাড়িয়ে তিনি খুলে নিচ্ছেন দোকানের বাল্ব এবং তা পকেটে পুরে সামনে হেঁটে চলে যান।
Steals light bulb in UP pic.twitter.com/g4pE5qBjuF
— Sanat Singh (@sanat_design) October 15, 2022
জানা গিয়েছে, এই কীর্তিমান পুলিসের নাম রাজেশ বর্মা। তিনি প্রয়াগরাজের ফুলপুর থানার কনস্টেবল। মূলত দোকান মালিক পরের দিন সিসিটিভি দেখেই বিষয়টি ভাইরাল করেন। তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করলে খবর জানাজানি হয়। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্তকে সাসপেন্ড করেছে প্রয়াগরাজ জেলা পুলিস।
প্রথমে চুরির অপবাদ, এরপর শুরু হয় মারধর। তবে এখানেই শেষ নয়, ঘরে গিয়ে নিচুজাতি বলে পরিবারকে গ্রামছাড়া করার হুমকিও (threat) পর্যন্ত দেওয়া হয়। আর এসবের ফল মর্মান্তিক। ওই বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয় কিশোরের ঝুলন্ত দেহ (hanging body)। মর্মান্তিক এই ঘটনা পূর্ব বর্ধমানের ভাতার (Bhatar) থানার মোহনপুর গ্রামের।
পরিবার সূত্রে খবর, মৃতের নাম বিষ্ণু বাগদী ওরফে আকাশ বাগদী, বয়স ১৩ বছর। মৃতের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস (police) ইতিমধ্যেই দোকান মালিক মিলন কুন্ডু ও কর্মচারী বিশ্বজিৎ পালকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের শুক্রবার বর্ধমান আদালতে তোলা হয়।
পুলিস ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার মোহনপুর গ্রামের বটতলা এলাকায় মিলন কুন্ডু নামে এক মুদিখানা ব্যবসায়ীর দোকানে সামগ্রী আনতে যায় আকাশ বাগদী। অভিযোগ সেই সময় চুরির অপবাদ দিয়ে দোকান মালিক মিলন কুন্ডু ও দোকানের কর্মচারী বিশ্বজিৎ পাল তাকে মারধর করে। এমনকি বাড়িতে চড়াও হয়ে নিচুজাতি বলে গ্রামছাড়া করারও হুমকি দেয়। এরপরই অপমানে আকাশ বাগদী গলায় দড়ি দেওয়া অবস্থায় ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।
পরিবারের দাবি, তাঁদের ছেলের এই মৃত্যুর একমাত্র দায় দোকান মালিক মিলন কুন্ডুর। সঠিক বিচারের আর্জি জানিয়েছে পরিবার। তবে একবিংশ শতকে দাড়িয়েও এমন ঘটনায় চক্ষুচড়কগাছ গ্রামবাসীদের।