বিয়ারের ছবি ফেসবুকে(Face book) শেয়ার করার অপরাধে গ্রেফতার (Arrest) তাইল্যান্ডের (Thailand) এক যুবক। গ্রেফতার হওয়া ওই যুবকের নাম আর্টিড সিভানসাফান। জানা গিয়েছে, বিয়ারটি কেমন খেতে তা নিয়েও সোশ্য়াল মিডিয়াতে নিজের মতামত শেয়ার করেছিলেন তিনি। তার জেরেই ওই যুবককে ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা জরিমানা করল তাইল্যান্ডের এক আদালত। এর পাশাপাশি ওই যুবককে ৬ মাস কারাদণ্ডের সাজাও শোনানো হয়েছে। কারণ, ২০০৮ সালে অ্যালকোহলযুক্ত পানীয়ের বিজ্ঞাপন করলে ১১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করার আইন পাশ করেছে তাইল্যান্ড সরকার। সেই আইন অমান্য়ের জন্যই আর্টিডকে দোষী সাব্যস্ত করেছে ব্যাঙ্ককের একটি আদালত।
আর্টিডের দাবি, তিনি বিয়ার নিয়ে কোনও বিজ্ঞাপনী প্রচার করেননি। বিয়ারটি কেমন স্বাদ সমন্ধে নেটনাগরিকদের জানিয়েছিলেন। তাই তাঁকে গ্রেফতার করা ঠিক হয়নি জানিয়েছেন যুবক। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২০ সালে ফেসবুকে ওই পোস্টটি করেছিলেন আর্টিড। প্রাথমিকভাবে তাঁকে ভুলস্বরুপ ৮ মাসের জেল এবং ৪.৭ লক্ষ টাকা জরিমানা করে ব্যাঙ্ককের একটি আদালত।
ফের দক্ষিণ থাইল্যান্ডে (Southern Thailand) গুলিবৃষ্টি (Shooting)। এখনও অবধি পাওয়া খবর অনুযায়ী, বন্দুকবাজের হামলায় মৃত্যু (Death) হয়েছে ৪ জনের। শনিবার স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা নাগাদ গুলি চলার ঘটনাটি ঘটে। বন্দুকবাজের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিস। কী কারণে এই হামলা তাঁর তদন্তও করছে বলে খবর।
সূত্রের খবর, থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাঙ্কক থেকে ৬০০ কিলোমিটার দূরের খিরি রাত নিখোম জেলার সুরাট থানি প্রদেশে গুলি চলার ঘটনাটি ঘটে। একেবারে প্রাক্তন গ্রাম প্রধানের বাড়ির কাছেই এই ঘটনা। পুলিস এখনই অন্য কোনও তথ্য সামনে আনতে চায়নি। সেখানকার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে ঘটনায় চার জন নিহত হয়েছেন। যদিও মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলেই অনুমান পুলিসের।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি থাইল্যান্ডের গুলি চালনার ঘটনা বেড়ে চলেছে। গত বছর অক্টোবরে এক প্রাক্তন পুলিসকর্মী নিজের বন্দুক থেকে গুলি চালিয়ে ৩৬ জনকে মেরে ফেলেন। তার মধ্যে ২৪টি শিশু। আবার গত মাসে ফেতচাবুরি প্রদেশে গুলি চালনার ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যু হয় এবং ৩ জন গুরুতর আহত হন। মনে করা হচ্ছে, সেখানে বন্দুকের লাইসেন্স পাওয়া খুব সহজ। সে কারণে আততায়ীরা সহজে হাতে বন্দুক পেয়ে যাচ্ছে। ফলে এ ধরনের ঘটনা বেড়ে চলেছে।
কলকাতায় লোকাল ট্রেনে যাত্রীদের ঝগড়া, মারামারি খুবই সাধারণ একটি বিষয়। কিন্তু সেই বচসা, হাতাহাতি ট্রেন ছাড়িয়ে মাঝ আকাশে হবে, তা কী ভাবতে পেরেছেন কখনও! সম্প্রতি নেটদুনিয়ায় বিমানের যাত্রীদের মধ্যে একে অপরকে মারধর করার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এই ভিডিওটি তোলপাড় করে দিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া৷ নেটিজেনরা বলছেন, এ যেন মাঝ আকাশে কলতলার ঝগড়া!
ঠিক কী হয়েছে, যা ঘিরে এত শোরগোল? জানা যায়, মঙ্গলবার ব্যাঙ্কক থেকে কলকাতাগামী বিমানে দুই ভারতীয় যাত্রীর মধ্যে প্রথমে বচসা এবং সেখান থেকে তীব্র হাতাহাতির ঘটনা এখন নেট দুনিয়ায় ভাইরাল। থাই স্মাইল এয়ারওয়েজের একটি বিমানে এই ঘটনায় দুই যাত্রীকে সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়েছে বিমান সেবিকাদের। সেই ঘটনা আবার সেই বিমানের কোনও এক যাত্রী ভিডিও করে এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন। মুহূর্তের মধ্যে তা ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।
ওই ভিডিওটিতে দেখা যায়, দুই ব্যক্তির মধ্যে কোনও বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি শুরু হওয়ায় থামাতে আসেন এক বিমান সেবিকা৷ এরপর সেখানে জড়ো হন আরও কয়েকজন যাত্রী৷ সবাই মিলে এক ব্যক্তিকে বেধড়ক মারধর শুরু করে৷ বিমান সেবিকা তাঁদের শান্ত করার চেষ্টা করলেও তিনি ব্যর্থ হন৷
একজন পুরুষকে বলতে শোনা যায় "শান্তি সে বেট" (চুপচাপ বসে থাক), অন্যজন বলছে, "হাত নিচে কর" (আপনার হাত নীচে রাখুন)। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে, মৌখিক ঝগড়া শারীরিকে সংঘর্ষে পরিণত হয়। একজন লোক আক্রমনাত্মকভাবে অন্যকে থাপ্পড়ও, কিল চোর ঘুষি মারতে থাকেন।
Not many smiles on this @ThaiSmileAirway flight at all !
— VT-VLO (@Vinamralongani) December 28, 2022
On a serious note, an aircraft is possibly the worst place ever to get into an altercation with someone.
Hope these nincompoops were arrested on arrival and dealt with by the authorities.#AvGeek pic.twitter.com/XCglmjtc9l
এদিকে, এয়ারলাইনটি একটি বিবৃতি জারি করে বলেছে, "থাই স্মাইল এয়ারওয়েজ এই ঘটনার জন্য দুঃখিত। আমরা আবার নিশ্চিত করছি যে, আমরা আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী ফ্লাইট নিরাপত্তা বজায় রাখব। এমন অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সেদিনে নজর রাখব।" পরে বিমানের কর্মীরা এসে দু’জনের বিবাদ থামান। এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিমান কর্তৃপক্ষের তরফে কিছু জানানো হয়নি। ওই দুই যাত্রীর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেছেন কিনা তাও জানা যায়নি।
থাইল্যান্ডের (Thailand) সীমান্তে কম্বোডিয়ার একটি হোটেল-ক্যাসিনোতে (Cambodian hotel-casino) ভয়াবহ আগুন (Fire) লাগে। ঘটনায় অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে সূত্রের খবর। বুধবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১১টায় পোয়েপেটের গ্র্যান্ড ডায়মন্ড সিটি হোটেল-ক্যাসিনোতে আগুন লাগে। পুলিস জানিয়েছে, আগুনে প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছেন।
ওই হোটেলে আগুন লাগার ভিডিও নেটমাধ্যমে ভাইরাল। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে , দাউদাউ করে জ্বলছে হোটেল-ক্যাসিনো। প্রাণ বাঁচাতে বহুতল থেকে অনেককেই ঝাঁপ দিতে দেখা যায়। এদিকে, থাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে খবর, হোটেলের অরফ থেকে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। আহতদের থাইল্যান্ডের সা কাইও প্রদেশের হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গেই খবর দেওয়া হয় দমকলে। বেশ দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। থাই উদ্ধারকারী সংস্থা, রুয়ামকাতানিউ ফাউন্ডেশনের একজন স্বেচ্ছাসেবক বলেছেন যে, আগুন প্রথম তলায় লেগেছিল। এরপর তা দ্রুত বহুতলে ছড়িয়ে পড়ে। উল্লেখ্য, গ্র্যান্ড ডায়মন্ড সিটি থাই-কম্বোডিয়ান সীমান্তে অবস্থিত বেশ কয়েকটি ক্যাসিনো-হোটেলের মধ্যে একটি।
তাইল্যান্ডের (Thailanad Firing) এক বেবি ডে কেয়ারে এলোপাথাড়ি গুলি। শিশু-সহ নিহত কমপক্ষে ৩৪ জন। এই ঘটনার পর আত্মঘাতী হয়েছেন আততায়ী। এক আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, নিহতদের মধ্যে ২২ জন শিশু (Child Death)। পুলিসের এক মুখপাত্র জানান, তাইল্যান্ডের উত্তর-পূর্ব প্রদশে এক ক্রেশে হামলা চালানো হয়েছে। হামলায় জখম হয়েছেন আরও অনেকে।
বিবিসি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার তাইল্যান্ডের এক চাইল্ড ডে কেয়ার সেন্টারে গুলি চালান প্রাক্তন এক পুলিসকর্তা। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গুলি চালানোর পাশাপাশি শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের কোপান বন্দুকবাজ। তবে কী কারণে হামলা, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
তাইল্যান্ডের নং বুয়া লম্ফু শহরে এই হামলা হয়েছে। বিবিসি সূত্রে দাবি, সম্প্রতি ওই পুলিশ আধিকারিককে বরখাস্ত করা হয়। তার জেরেই এই হামলা কিনা, খতিয়ে দেখবে প্রশাসন।
কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta high Court) ইডির বিরুদ্ধে মানেকা গম্ভীরের করা আদালত অবমাননার মামলা খারিজ। শুক্রবার আদালতের বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্য এই মামলা খারিজ করে বলেন, 'ইডি (ED) যাতে মানেকা গম্ভীরের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ না নিতে পারে, কোর্ট সেই রক্ষাকবচ দিয়েছিল। কিন্তু মানেকা গম্ভীর (Maneka Gambhir) কোথায়, কী কাজ যাবে এবং সেই প্রসঙ্গে ইডির কী ভূমিকা হবে? এই সংক্রান্ত কোনও নির্দেশ দেয়নি। তাই বিমান বন্দরে (Kolkata Airport) মানেকা গম্ভীরকে আটকে আদালত অবমাননা করেনি কেন্দ্রীয় সংস্থা।'
এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য সম্প্রতি থাইল্যান্ড যাওয়ার পথে বিমান বন্দরে অভিষেকের শ্যালিকাকে আটক করে অভিবাসন দফতর। তাঁর বিরুদ্ধে ইডির লুকআউট নোটিস আছে। এই যুক্তি দেখিয়ে তাঁকে বিমানে উঠতে বাধা দেওয়া হয়। অগত্যা থাইল্যান্ড না গিয়ে ফিরতে হয় মানেকা গম্ভীরের। সেই ঘটনার রেশ মিলিয়ে যাওয়ার আগেই একদিন রাত ১২টার পর ইডি দফতরে আইনজীবীকে নিয়ে হাজির হয়েছিলেন মানেকা। যদিও পরে জানা গিয়েছিল, ওটা রাত নয় দুপুর ১২টা হবে। এএম, পিএম ত্রুটি এই অসুবিধার নেপথ্যে। পরে অবশ্য নতুন করে নোটিস পাঠিয়ে সিজিও কমপ্লেক্সে ডাকা হয় অভিষেকের শ্যালিকাকে।
তারপরেই আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে ইডির বিরুদ্ধে মামলা করেন মানেকা গম্ভীর। সেই মামলার নিষ্পত্তি এদিন হাইকোর্টে করলেন বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্য।